Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Himanta Biswa Sarma: বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুনিধন নিয়ে নীরব কংগ্রেস, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Himanta Biswa Sarma: বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুনিধন নিয়ে নীরব কংগ্রেস, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র আক্রমণ করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিম বিশ্বে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস সব সময় সোচ্চার হলেও, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুনিধন নিয়ে সম্পূর্ণ চুপ। মুখে কুলুপ দিয়ে বসে রয়েছেন কংগ্রেসের নেতারা।” উল্লেখ্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে গাজায় আক্রমণ নিয়ে কংগ্রেসকে যতটা সরব হতে দেখা গিয়েছিল, গত ৫ অগাস্টের পর থেকে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে সনাতনী হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে, দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি। আর এখানেই বিজেপি নেতার প্রশ্ন। 

    ঠিক কী বলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)?

    সামনেই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের নির্বাচন। এই রাজ্যে দলের তরফ থেকে সহ-পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। শনিবার এখানে একটি সাংগঠনিক বৈঠকে যোগদান করে বাংলাদেশে হিন্দুনিধনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। সেই দেশের হিন্দুদের উপর আক্রমণ সম্পর্কে কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দেগে বলেন, “দেশের বিরোধী দল কংগ্রেস এখন নীরবতা পালন করছে। তাঁরা গাজা নিয়ে সব সময় বেশি করে উদ্বিগ্ন থাকেন। বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আমি নিশ্চিত ভারতের কেন্দ্র সরকার কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে এই সমস্যাটির সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

    আরও পড়ুনঃ”হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ!

    আর কী বললেন?

    আবার বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) আরও বলেন, “এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। হিন্দুদের দুর্দশার বিষয়ে কংগ্রেসের কোনও মাথাব্যথাই নেই। কংগ্রেসের নেতারা মুসলমানদের হয়ে বার বার প্রতিবাদ জানান। কিন্তু তাঁরা কতবার বাংলাদেশে হিন্দুদের পক্ষে কথা বলেছেন, এই প্রশ্ন করা উচিত। বাংলাদেশ থেকে অনেক শরণার্থী ভারতে আসতে চাইছেন। কিন্তু ভারত সরকার কাউকে সীমান্ত অতিক্রম করার অনুমতি দেয়নি। কারণ তাতে স্থায়ী সমাধান হবে না। একমাত্র সমাধান হল বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে সেই দেশেই হিন্দুদের স্বার্থকে সুনিশ্চিত করা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khudiram Bose Death Anniversary: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ!

    Khudiram Bose Death Anniversary: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা ও বিপ্লবী আন্দোলনের সব থেকে উজ্জ্বল নক্ষত্র ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস (Khudiram Bose Death Anniversary) আজ। ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট মাত্র ১৮ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে হাসিমুখে ফাঁসিতে চড়েছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। মুজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয় ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose)। 

    ফিরে দেখা ইতিহাস (Khudiram Bose Death Anniversary) 

    ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম বসু। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তাঁর মাকে হারান এবং এর এক বছর পর তাঁর বাবা মারা যান। এরপর খুব অল্প বয়সেই তিনি কলকাতার বারিন্দ্রকুমার ঘোষের মতো বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিজেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রতী করেছিলেন ক্ষুদিরাম। স্থানীয়দের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী পুস্তিকা বিতরণের জন্য ইংরেজ শাসকরা তাঁকে আটক করে। 
    ১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষুদিরামের বয়স যখন ১৬ বছর, সে সময় প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি মুজফফরপুরে একটি গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কিংসফোর্ড সেদিন ক্লাবে আসেননি। দুই ইংরেজ মহিলা মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যা একই লাল গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফলে সেই বোমা হামলায় তাঁরা মারা গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ ধরার আগেই প্রফুল্ল চাকি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। আর অন্যদিকে এই ঘটনার পর নিজের প্রাণ বাঁচাতে ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose) ২৫ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু, একটি জায়গায় জলের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হন তিনি। তাঁকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়৷ কিন্তু, সদ্য কৈশোর পেরনো ক্ষুদিরাম পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যান৷ তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করে ব্রিটিশ পুলিশ৷ এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসির সাজা শোনায় করে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থা৷   

    আরও পড়ুন: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ (Khudiram Bose)

    বিখ্যাত অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন ক্ষুদিরাম। তাঁকে ফাঁসি দেওয়া (Khudiram Bose Death Anniversary) হয় মুজফফপুর সংশোধনাগারে। বর্তমানে সেই কারাগারের নাম বদলে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর নামেই নামকরণ করা হয়েছে। এই কারাগারেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজন যিনি দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর শরীরের মৃত্যু হলেও আজীবন তিনি অমর হয়ে থেকে গেলেন প্রতিটি ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vigyan Ratna Award: দেশের প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন

    Vigyan Ratna Award: দেশের প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন উদ্বোধনী বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) প্রাপক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। লিভারের রোগ এবং জিন নিয়ন্ত্রণে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন। এটি এই বছর সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত সর্বোচ্চ বিজ্ঞান পুরস্কার। ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

    দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান সম্মান (Vigyan Ratna Award)

    এই বছরের শুরুর দিকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গবেষক, প্রযুক্তিবিদ এবং উদ্ভাবকদের অসামান্য এবং অনুপ্রেরণাদায়ক বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং উদ্ভাবনী অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) চালু করেছিল কেন্দ্র। সেই নিরিখে প্রখ্যাত জৈব রসায়নবিদ গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন ২০২৪ সালের জন্য দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান সম্মান পেতে চলেছেন। 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার

    কেন্দ্রীয় সরকার ৭ অগাস্ট ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য ১৮টি বিজ্ঞান যুব পুরস্কার, ১৩টি বিজ্ঞান শ্রী পুরস্কার এবং একটি বিশেষ বিজ্ঞান দল পুরস্কার রয়েছে। টিম চন্দ্রযান-৩ তাদের যুগান্তকারী চন্দ্র অভিযানের জন্য পুরস্কৃত হতে চলেছে। গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন বর্তমানে তিরুভারুরের তামিলনাড়ুর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISC), বেঙ্গালুরুর একজন সাম্মানিক অধ্যাপক। যকৃতের রোগ, প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং তাঁর অগ্রগামী গবেষণার জন্য বিজ্ঞান রত্ন দিয়ে তিনি সম্মানিত হতে চলেছেন। 

    রাজনৈতিক নেতারা অভিনন্দন জানিয়েছেন

    তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতা কে আন্নামালাই বিজ্ঞান ও শিক্ষায় তাঁর অবদানের প্রশংসা করে পদ্মনাভনকে তার কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইভাবে তামিল মানিলা কংগ্রেস (মুপানার) সভাপতি জি কে ভাসানও পদ্মনাভনের কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন। ৪ অগাস্ট জারি করা একটি বিবৃতিতে, ভাসান বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কারের জন্য পদ্মনাভনকে নির্বাচিত করায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর অসামান্য বৈজ্ঞানিক অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রশংসা করেছেন।

    পুরস্কার প্রাপক বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা

    পদ্মনাভন ছাড়াও বিজ্ঞান শ্রী পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন, জ্যোতির্পদার্থবিদ অন্নপুরিণী সুব্রামানিয়ান, তামিলনাডুর কৃষিবিদ আনন্দরামকৃষ্ণান সি, অ্যাটমিক এনার্জি থেকে আভেশ কুমার ত্যাগী, প্রফেসর উমেশ বার্শনি এবং প্রফেসর জয়ন্ত ভালচন্দ্র উদগাঁওকর (জীব বিজ্ঞান), প্রফেসর সৈয়দ ওয়াজিহ আহমদ নকভি (পৃথিবী বিজ্ঞান), প্রফেসর ভীম সিং (ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সেস), প্রফেসর আদিমূর্তি আদি এবং প্রফেসর রাহুল মুখোপাধ্যায় (গণিত এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান), অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় বিহারী (মেডিসিন), প্রফেসর লক্ষ্মণ মুথুসামী এবং প্রফেসর নব কুমার মণ্ডল (পদার্থবিদ্যা), অধ্যাপক রোহিত শ্রীবাস্তব (প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন)। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি প্রথম জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে চন্দ্রযান-৩-এর সফল চাঁদে অবতরণ উদযাপনের দিন হিসেবে ২৩ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamaat-e-Islami: কাশ্মীর হোক বা বাংলাদেশ, জামাত-এ-ইসলামির বিষ ছড়িয়েছে সর্বত্র

    Jamaat-e-Islami: কাশ্মীর হোক বা বাংলাদেশ, জামাত-এ-ইসলামির বিষ ছড়িয়েছে সর্বত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার ইসলামপন্থী সংগঠন, জামাত-এ-ইসলামি (JEI)। ভারত-বিরোধী এই ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন কাশ্মীর এবং বাংলাদেশে সক্রিয়। যাদের একমাত্র লক্ষ্য হল গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে দেশে শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করা। এদের হাতে ক্ষমতা গেলে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান হতে খুব একটা দেরি হবে না বাংলাদেশ বা কাশ্মীরের। ইসলামি শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী এই সংগঠন অমুসলিম ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতিকে ইসলাম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।

    অতীতের কথা

    স্বাধীনতার আগে, ১৯৪১ সালে পরাধীন ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় জামাত-ই-ইসলামি (JEI)। সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলামি রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়েই তৈরি হয় এই সংগঠন। ইসলামি অনুশীলনগুলিকে সংস্কার করে ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারমূল্যবোধের পরিবর্তে শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল জামাত (Jamaat-e-Islami)। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর দলটি দুটি সংগঠনে ভাগ হয়। জামাত-এ-ইসলামি পাকিস্তান ও জামাত-এ-ইসলামি হিন্দ। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জামাত-এ-ইসলামি কাশ্মীর, যা ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জামাত-ই-ইসলামি আজাদ কাশ্মীর নাম গ্রহণ করে। জামাত-ই-ইসলামি বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে পুনর্যাত্রা শুরু করে মেজর জিয়ার শাসনকাল থেকে। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামি। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির। ১৯৮০ এর দশকে পাকিস্তানি জামাত কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহে সমর্থন জোগায়।

    আরও পড়ুন: তমলুকে গড়ে ওঠে পরাধীন ভারতের স্বাধীন সরকার, ফিরে দেখা অগাস্ট ক্রান্তি দিবস

    ১৯৪৭-এর পাকিস্তান বিরোধিতার মতো তারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশেরও বিরোধিতা করেছিল। এর অন্যতম কারণ হিসেবে তারা মনে করত, পাকিস্তান ভাগ হলে বাংলাদেশ হবে ভারতের কলোনি। তাদের আরেকটি বড় অসুবিধা ছিল আদর্শিক জায়গায়। আদর্শগত কারণেই জামাতের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

    কাশ্মীরে সক্রিয় জামাত

    কাশ্মীর উপত্যকায়, জামাত ইসলামের ঐতিহ্যবাহী সুফি চর্চার সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়। সুফিরা উগ্র ইসলামকে সমর্থন করে না। এখানে ইসলামিক বিশ্বাসের সঙ্গে স্থানীয় হিন্দু ঐতিহ্যের মিশ্রণ দেখা যায়। কাশ্মীরি সুফি ঐতিহ্য এবং সুফি-সাধকেরা, যা আধ্যাত্মিক বহুত্ববাদ এবং মেলবন্ধনের জন্য পরিচিত, জামাতের আক্রমণের লক্ষ্য হয়। কাশ্মীরে সুফির পরিবর্তে কঠোর এবং রক্ষণশীল ইসলামের বিকাশ ঘটাতে থাকে জামাত। তাদের মতাদর্শ সংঘর্ষ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবকে উস্কে দেয় এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির উত্থানের পথ প্রশস্ত করে। এরা কাশ্মীরে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।

    কাশ্মীরে নিষিদ্ধ জামাত

    ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ তকমা প্রত্যাহার ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের সময়ে সংগঠনটিকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ জানিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া থেকে শুরু করে হিংসা ছড়ানো, জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এমন বহু অভিযোগ রয়েছে জামাতের বিরুদ্ধে। রয়েছে পাক যোগাযোগের অভিযোগও। তবে সম্প্রতি এই সংগঠন কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছোট বালুকণার মধ্যেও অসীমের স্পর্শ পেতেন, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা কবিগুরুকে

    বাংলাদেশে জামাতের বিস্তার

    কাশ্মীরের মতোই বাংলাদেশেও জামাতের প্রভাব সমানভাবে ধ্বংসাত্মক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময়, জামাতের আধা-সামরিক বাহিনী, রাজাকাররা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে বাঙালি নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচার চালায়, যার মধ্যে মুসলমান ও হিন্দু উভয়ই অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বর্বর অত্যাচার বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় স্থায়ী ক্ষত রেখে যায়। এর প্রভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে অস্থির করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের পর, জামাতের প্রভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিকে বারবার অস্থিতিশীল করে তুলেছে। সংগঠনটি শেখ হাসিনার ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে সরিয়ে তাদের ইসলামপন্থী এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদা সক্রিয় থাকে। বর্তমানেও সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্রমশ রাজনৈতিক বিক্ষোভের রূপ ধারণ করে, যা ছিনিয়ে নিয়েছে ধর্মান্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন আর ভারত-বিরোধী অংশ। বাংলাদেশে উৎখাত হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। শেষপর্যন্ত, বাংলাদেশ পরিচালনায় তৈরি করা হয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। যার রাশ বকলমে জামাত গোষ্ঠীর হাতেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার, সকাল ১১ টায় তিনি প্রথমে কান্নুরে পৌঁছান, তারপরে তিনি ভূমিধস ও দুর্গত এলাকাগুলিকে আকশপথে পরিদর্শন করেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চূরমালা এবং মুন্ডাক্কাই এলাকায়। সেখানে ভূমিধসের পরে দুর্গত মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি এবং সেই সঙ্গে দেন সাহায্যের আশ্বাস।

    ধ্বংসের চিত্র নিজের চক্ষে প্রত্যক্ষ করেন মোদি (Wayanad Landslide)

    এদিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। আকাশপথে সমীক্ষা করে ভূমিধসের উৎপত্তি কেন্দ্রকেও পরিদর্শন করেন মোদি। এই ভূমিধসের উৎসস্থল ছিল ইরুভাঝিনজি পুঝা নদীর অঞ্চল। ধসের ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলির মধ্যে হল পুনচিরিমাত্তম, মুন্ডক্কাই এবং চুরমালা। এই সব এলাকায় অতিভারী বৃষ্টির ফলে ভূমিধসজনিত ধ্বংসের চিত্র নিজের চক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। উদ্ধারকারী বাহিনীরা কীভাবে কাজ করেছে, সেই বিষয় সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন।

    ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের আনুরোধ

    ভূমিধসের স্থানগুলি (Wayanad Landslide) পরিদর্শন করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আহত মানুষদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেই সঙ্গে একটি ত্রাণ শিবির ও স্থানীয় হাসপাতালে যান। তাঁদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন মোদি। এরপর এখানকার স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। তবে অঞ্চলগুলিতে পুনর্বাসন ও ত্রাণ কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ পুরস্কার ২০ লক্ষ! সেনা কনভয়ে হামলাকারী চার জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ কাশ্মীর পুলিশের

    রাহুলের ধন্যবাদ

    এদিকে, বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) আপনি ব্যক্তিগত ভাবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে পরিদর্শন করেছেন। আপনার সিদ্ধান্তটি বেশ ভালো।”

    গত ৩০ জুলাই এই অঞ্চলে ভূমিধসের কবলে কমপক্ষে ২২৬-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ। বেসরকারি মতে, এই সংখ্য়াটা ৪০০-র বেশি। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে সম্প্রতি সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই ধসজনিত বিপর্যয়ে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Militant: পুরস্কার ২০ লক্ষ! সেনা কনভয়ে হামলাকারী চার জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ কাশ্মীর পুলিশের

    Militant: পুরস্কার ২০ লক্ষ! সেনা কনভয়ে হামলাকারী চার জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ কাশ্মীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই ভূস্বর্গে ফের সক্রিয় পাকিস্তানি জঙ্গি (Militant) সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ। কাঠুয়ার সেনা কনভয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত চার জঙ্গির ছবি (স্কেচ) প্রকাশ করল জম্মু ও কাশ্মীর (Kashmir) পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের গতিবিধি সম্পর্কে খবর দিলে মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Militant)

    গত ৮ জুলাই, কাঠুয়া জেলার সদর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে মাচেদি এলাকায় সেনা কনভয় লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা (Militant)। ওই ঘটনায় পাঁচ জন জওয়ান নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও ছয় জওয়ান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Kashmir) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে এসে ওই হামলা চালিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। সেনা কনভয়ে হানা দিতে তারা ব্যবহার করেছিল আমেরিকায় তৈরি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রেনেড লঞ্চার। পাশাপাশি, সেনা জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের সময় তারা এম-৪ কার্বাইন রাইফেল ব্যবহার করেছিল। উন্নত এই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও মার্কিন সংস্থার তৈরি।

    এখনও লুকিয়ে ৪০-৫০ জঙ্গি

    শনিবার, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, শেষবার কাঠুয়া জেলার মলহারের ঢোক, বানি এবং সেওজধার এলাকায় ওই জঙ্গিদের দেখা গিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই খবর মিলেছিল, জম্মুর পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে অনুপ্রবেশকারী ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই জঙ্গিদের উপস্থিতির সম্ভাবনার কথা শনিবার মেনে নিয়েছে পুলিশও। এছাড়া পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া হিরানগরের সাইদা সুখাল গ্রামে দুই জঙ্গি ঢুকে দরজায় টোকা মেরে জল খেতে চায়। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা সতর্ক হয়ে পড়ায় জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে এলে তাদের গাড়ির ওপরও গুলিবর্ষণ করে তারা। এইসব ঘটনায় এক সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    দায় স্বীকার জয়েশ ঘনিষ্ঠ কাশ্মীর টাইগার্স

    রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের বাসে গুলি করে ১০ জনকে হত্যা করা এক জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ করেছে পুলিশ। রিয়াসির হামলা ছাড়াও জম্মুর ডোডা জেলার ভাদেরওয়া-পাঠানকোট সড়কে ৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং পুলিশের যৌথ চেকপোস্টে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাতে ৫ জওয়ান এবং এক পুলিশ অফিসার ঘায়েল হয়েছেন। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জয়েশ ঘনিষ্ঠ কাশ্মীর টাইগার্স নামে একটি সংগঠন। ৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গি (Militant) হামলায় মোট ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ফের নতুন করে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর সময় গুলিযুদ্ধে তাদেরও ২ জনকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশিতে পাকিস্তানে তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড ও এক লক্ষ পাকিস্তানি টাকা, বন্দুক, ওষুধ, চকোলেট এবং অন্যান্য শুকনো খাবার উদ্ধার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে মানুষের জীবন বিপন্ন। জামাত এবং বিএনপি সমর্থক গুন্ডাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh border) বাংলাদেশি হিন্দুদের ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। এই ভিড়ের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার। তাঁরা শরণার্থী হিসাবে হয়তো আশ্রয় চান ভারতে। একই ভাবে সেই দেশের জঙ্গিরাও অবৈধ অনুপ্রবেশ করে নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফ (BSF), এতদিন পর্যন্ত খোলা পড়ে থাকা বর্ডারগুলিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। প্রশাসন এবং বিএসএফ দ্রুত কদমে কাজ শুরু করেছে।

    ২২৪ কিমি সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে তোরজোড় (Bangladesh border)  

    সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ২২০০ কিলোমিটার জুড়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত (Bangladesh border) রয়েছে। তাঁর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৬০০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসেছে। বাকি যেখানে এখনও তার বসেনি, তার একটা বড় অংশ আবার নদী দিয়ে ঘেরা। এখন ২২৪ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর তোরজোড় চলছে। জমির বন্দোবস্ত করার চেষ্টাও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে ৪৩ কিমি এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। আবার মমতার মন্ত্রিসভা ২৬৭ কিমি জমি কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে। অপরদিকে, ১১২.৩ কিমি জমি কিনতে রাজ্যকে ২২১ কোটি টাকা সাহায্য পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরও ১৫৪ কিমি জমি কেনার হিসেব কেন্দ্রকে দিয়েছে রাজ্য। ফলে সীমান্তকে সুরক্ষিত করা বিএসএফের কাছে প্রাথমিক বিষয়। বাংলাদেশের অশান্ত এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রচুর জেলবন্দি দুষ্কৃতীরা ছাড়া পেয়েছে। ফলে জেএমবি বা আল-কায়েদা জঙ্গিরা যাতে অবাধে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই দিকের কথা মাথায় রেখে বিএসএফ (BSF) এই কোচবহার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    হিন্দুদের সুরক্ষার বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারকে

    বাংলাদেশে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মোট ১৭ সদস্যের একটি নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে। প্রধান করা হয়েছে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই সেই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধদের টার্গেট করেছে মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা। আওয়ামি লিগের অবশ্য দাবি, সবটাই ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত শিবির এবং বিএনপির ষড়যন্ত্র। দেশে হিন্দুদের ধর্মীয়স্থল মন্দির, মঠে আগুন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। একাধিক জেলায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, ব্যবসার কেন্দ্রে ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে একাধিক জায়গার অত্যচার-আর্তনাদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তি সুরক্ষা করার বার্তা পাঠিয়েছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তকে (Bangladesh border) আরও সুরক্ষিত করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিএসএফ (BSF)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    Assam: ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) হাইলাকান্দি থেকে এক যুবককে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশের মতো অসম সহ ভারতের বিভিন্ন অংশে হিংসা করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম রেজুয়ান উল্লা মাজারভূইয়া।

    ফেসবুকে কী লিখেছিলেন? (Assam)

    রেজুয়ান ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা। খুব শিগগিরই অসমে বাংলাদেশের প্রভাব শুরু হবে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দেখে এক নেটিজেন তাঁকে কোথা থেকে এসেছেন জিজ্ঞাসা করলে, রেজুয়ান বাংলায় উত্তর দিয়ে বলেন, “আমি ভারতে কাজ করলেও আল-কায়েদার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত। সবসময় পাকিস্তানে আল-কায়েদা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছি। আমি বাংলাদেশকে আমার হৃদয়ে রাখি এবং সবসময় বাংলাদেশকে কাছে রাখি। বাংলাদেশই আমাদের বন্ধুত্বের প্রধান কারণ।”

    থানায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার!

    হাইলাকান্দি পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেলের কর্তাদের ফেসবুক পোস্টটি নজরে পড়ে। এরপরই রেজুয়ানকে দক্ষিণ অসমের (Assam) হালিয়াকান্দি জেলার রংপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে আল-কায়েদার (Al-Qaeda) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্রের দাবি নিয়ে থানায় তাঁকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি দাবি করেন, যে পাকিস্তানে আল-কায়েদা অপারেটিভদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশ জানিয়েছে যে, রেজুয়ান পোস্টটি “আমাদের হাইলাকান্দি” নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করেছিলেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত প্রোফাইলেও অনুরূপ একটি বার্তা পোস্ট করেছেন। হাইলাকান্দির (Assam) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সমীর বড়ুয়া বলেন, রেজুয়ানের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে ধারা ৬১ (২০  (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ১৪৭ (ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা), এবং ৩৯ ধারা সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ (বিএনএস) এর ১৯৬  (শত্রুতা প্রচার) এর অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ (ইউএপিএ) ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।

    ইসলামপন্থিরা ভারতে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার স্বপ্ন দেখছে!

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সংরক্ষণ-বিরোধী বিক্ষোভ জামাত-ই-ইসলামির মতো ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলি হাইজ্যাক করেছে বলে অভিযোগ। অনেক বিরোধী নেতা এবং ইসলামপন্থিরা ভারতে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার জন্য একই ধরনের হিংসা ঘটানোর স্বপ্ন দেখছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা রয়েছে। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা ভারতে একই ধরনের ‘বিদ্রোহ’ আশা করে মন্তব্য করেছেন। কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, মণিশঙ্কর আইয়ার এবং একাধিক কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন যে, ভারতের পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতোই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধানে এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” উপশ্রেণি সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। গত সপ্তাহে সাব কোটা মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Supreme Court), রাজ্যগুলির এই ক্ষমতা রয়েছে যে, সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলিকে আরও উন্নীত করার লক্ষ্যে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত বিভাগের মধ্যে কোটা বরাদ্দ করতে পারবে।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব? (Ashwini Vaishnaw)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংবিধানের প্রদত্ত এসসি এবং এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ-শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর বিশদ আলোচনা করেছে। তবে, তাকে এখনই কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী, এসসি-এসটি সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রাজ্যগুলিকে অবশ্যই এসসি-এসটিতে ক্রিমি লেয়ার চিহ্নিত করতে হবে। সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু এনডিএ সরকার সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “এসসি-এসটি সংরক্ষণের বিধান হওয়া উচিত সংবিধান মেনে।”

    বৈঠকে মন্ত্রিসভা

    দেশের শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই বৈঠকেই সংবিধানে প্রদত্ত এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু আম্বেডকরের সংবিধানে এসসি-এসটি’র জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই, সেহেতু সংবিধান অনুযায়ীই সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন: ৮টি বড় রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিল মোদি সরকার, খরচ হবে ২৪,৬৫৭ কোটি

    চলতি মাসের শুরুর দিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে (Ashwini Vaishnaw) সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এসসি-এসটি বিভাগে কোটা যুক্ত করার অনুমোদন দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এসসি-এসটি ক্যাটেগরির মধ্যে একটি নয়া সাব ক্যাটেগরি তৈরি করা যেতে পারে। এর অধীনে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য আলাদা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে (Supreme Court)। শুক্রবার, বিজেপির এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি সাংসদ ফাগ্গান সিং কুলাস্তে। সেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি ক্রিমি লেয়ার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবেন না।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সময় আমরা এসসি/এসটি সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দ্বারা প্রকাশিত ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে  আলোচনা করেছি, যা এসএস/এসটি সম্প্রদায়ের ক্রিমি লেয়ারকে চিহ্নিত করার ও তাদের সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।”

    তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মতামতের সঙ্গে এক মত হয়েছেন। এবং এটি বাস্তবায়ন না করার অঙ্গীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি।”

    অশ্বিনীর মতো প্রায় একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের গলায়ও। শুক্রবার লোকসভায় তিনি বলেন, “এসসি/এসটির উপ শ্রেণিবিভাগে ক্রিমি লেয়ারের উল্লেখটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের একটি পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্তের অংশ নয়। সদস্যদের সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়।”

    ২০০৫ সালের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এসসি-এসটির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এক্তিয়ার কোনও রাজ্যের সরকারের নেই। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটির মধ্যে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না। তবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি বৃহস্পতিবার। বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এসসি-এসটির মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে কোটার মধ্যে কোটার সুবিধা দেওয়ায় ছাড়পত্র দিলেও (Supreme Court) ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন (Ashwini Vaishnaw) বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • J&K Assembly Election: জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন দোড়গোড়ায়, ইঙ্গিত নির্বাচন কমিশনের

    J&K Assembly Election: জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন দোড়গোড়ায়, ইঙ্গিত নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন আসন্ন। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার। সম্প্রতি একটি (Election Commission) বৈঠকে রাজীব কুমার বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের বিধানসভা নির্বাচনের (J&K Assembly Election) মাধ্যমে তাঁদের নিজস্ব সরকার করার সময় এসেছে। সময় এসেছে বিধানসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আপনার নিজের সরকার তৈরি করার।”

    নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ভূস্বর্গ (J&K Assembly Election)

    বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অপর দুই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) জ্ঞানেশ কুমার এবং এস এস সন্ধু ছিলেন। রাজীব কুমার এদিন বলেন, “এখন, সময় এসেছে যে স্বপ্নগুলি আপনারা আমাদের দেখিয়েছিলেন তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।” রাজীব এখানে লোকসভা নির্বাচনের উদাহরণ প্রস্তুত করেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় উপত্যকার ভোটকেন্দ্রগুলির সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। যদিও নির্বাচন্ন আসন্ন জানালেও তাঁর দিনক্ষণ জানা যায়নি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য-স্তরের (J&K Assembly Election) প্রাথমিক পর্যালোচনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অমরনাথ যাত্রা শেষ হবে ১৯ অগাস্ট। নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করার আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বাহিনীর প্রাপ্যতার মূল্যায়ন হবে।

    ৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই নির্বাচন (Election Commission)

    কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের ৩০ সেপ্টেম্বরের (J&K Assembly Election) সময়সীমা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার জানান, “আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এটি মাথায় রাখব।” অগাস্টে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনার জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, সারা দেশ জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের উৎসাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভোটারদের সুবিধার্থে প্রতি দুই কিলোমিটারে একটি ভোট কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission), প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি কভারেজ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ”ওয়াকফ বোর্ড দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা”, অভিযোগ অল ইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডেরই

    জম্মু অঞ্চলে জঙ্গি হামলায় সাম্প্রতিক বৃদ্ধির বিষয়ে রাজীব কুমার জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share