Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: ডিপি-তে তেরঙ্গা, এক্স হ্যান্ডেলে ছবি বদল প্রধানমন্ত্রীর, কী বার্তা দিলেন নাগরিকদের?

    PM Modi: ডিপি-তে তেরঙ্গা, এক্স হ্যান্ডেলে ছবি বদল প্রধানমন্ত্রীর, কী বার্তা দিলেন নাগরিকদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই ১৫ অগাস্ট। আর দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের ছদিন আগেই এবার নিজের মাইক্রোব্লগিং সাইটে ডিপি বদলে তেরঙ্গার ছবি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে দেশের নাগরিকদের তৃতীয় বারের মত ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga Campaign) প্রচারাভিযানকে গণ আন্দোলনে পরিণত করার আহ্বান জানালেন তিনি। 

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) 

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ”সামনেই স্বাধীনতা দিবস। আসুন আমরা আবার ‘হর ঘর তিরাঙ্গা’-কে একটি স্মরণীয় গণআন্দোলনে পরিণত করি। আমি আমার প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করেছি এবং আমি চাই আপনারাও সকলে এই একইভাবে প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে তেরঙ্গা উদযাপনে আমার সঙ্গে যোগ দিন।” 

    কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে আগামী ৯ থেকে ১৫ অগাস্ট তৃতীয় বারের মত উদযাপিত হবে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’। একইসঙ্গে নিজ নিজ বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করে তার সঙ্গে একটি সেলফি তুলে harghartiranga.com পোর্টালে সেই ছবি আপলোড করতে দেশের সকল মন্ত্রী ও নাগরিকদের আহ্বান জানান তিনি। 

    অন্যতম আকর্ষণ ‘তিরঙ্গা বাইক র‍্যালি’

    এই প্রচারের অন্যতম আকর্ষণ হল সংসদ ও সদস্যদের একটি বিশেষ ‘তিরঙ্গা বাইক র‍্যালি’, যেটি ১৩ অগাস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। র‌্যালিটি ভারত মণ্ডপম প্রগতি ময়দান থেকে শুরু হয়ে মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে পৌঁছে শেষ হবে।    

    আরও পড়ুন: ‘‘গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন’’, আইনজীবীকে কটাক্ষ বিচারপতির

    এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং বলেন, ২০২২ সালে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের পৃষ্ঠপোষকতায় চালু হওয়া ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga Campaign) প্রচারাভিযান একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল, যা সারা দেশে সমাজের বিভিন্ন অংশ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। ২০২২ সালে ২৩ কোটিরও বেশি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল এবং ৬ কোটি মানুষ harghartiranga.com-এ পতাকার সঙ্গে সেলফি তুলে আপলোড করেছিলেন। আর ২০২৩ সালে এইচজিটি প্রচারের আওতায় ১০ কোটিরও বেশি সেলফি আপলোড করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Amendment Bill: ‘‘ভাবুন, মন্দির সহ গোটা গ্রামকেই ওয়াকফ ঘোষণা করে হয়েছে’’! সংসদে রিজিজু

    Waqf Amendment Bill: ‘‘ভাবুন, মন্দির সহ গোটা গ্রামকেই ওয়াকফ ঘোষণা করে হয়েছে’’! সংসদে রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু সংখ্যক লোক দেশে ওয়াকফ বোর্ড দখল করেছে এবং সাধারণ মুসলমানরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, সংসদে দাবি করলেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। লোকসভায় (Kiren Rijiju) তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইনের সংশোধনী (Waqf Amendment Bill) বিধানগুলি বছরের পর বছর ধরে একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন এবং লক্ষাধিক স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এদিন মন্ত্রী, ওয়াকফ সংস্থাগুলির দ্বারা অবৈধভাবে দখল করা জমি ও সম্পত্তির বেশ কয়েকটি উদাহরণ সংসদে পেশ করেন। “তামিলনাডুর তিরুচিরাপল্লি জেলায় ১,৫০০ বছরের পুরনো সুন্দরেশ্বর মন্দির সহ গোটা গ্রামটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়। একটু ভাবুন, পুরো গ্রামটিকে ওয়াকফ ঘোষণা করা হয়েছে। এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে।” জানান মন্ত্রী। 

    কর্পোরেশনের ভবনও কি ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Amendment Bill)

    এছাড়া, সুরাট মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের উদাহরণও পেশ করেন মন্ত্রী। “সুরাট মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের সদর দফতরকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে মন্ত্রীর ধর্ম নিয়ে এদিন সংসদে প্রশ্ন করে অসংসদীয় আচরণ করেন বিরোধী কয়েকজন সাংসদ। পাল্টা কিরেন (Kiren Rijiju) জবাব দেন, “এই দেশে কোনও পদে আসীন হতে গেলে বা মন্ত্রী হতে গেলে নির্দিষ্ট ধর্মের হতে হবে এই উল্লেখ সংবিধানে নেই। আমি একজন বৌদ্ধ, হিন্দু বা মুসলিম ধর্মের প্রতিনিধি নই। আমি সরকার এবং জনগণের প্রতিনিধি। কিন্তু আমি সব ধর্মকে সম্মান করি। এটাকে ধর্মীয় ইস্যু হিসেবে দেখবেন না। পুরসভা কি ব্যক্তিগত সম্পত্তি? পুরসভার সম্পত্তিকে কীভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা যায়?” তিনি প্রশ্ন তোলেন।

    মুসলিমদের অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের সুযোগ (Kiren Rijiju)

    ১৯৭৬ সালের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনের দিকেও ইঙ্গিত করেন কিরেন, যা ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। তিনি ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) বোর্ডে আরও প্রতিনিধিত্বের জন্য সাচার কমিটির সুপারিশ উল্লেখ করেছেন। মুসলিমদের মধ্যে শিয়া, বোহরা, আগাখানি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের জন্য প্রস্তাবিত আইনে বিধান তুলে ধরে তিনি (Kiren Rijiju) বলেন, “একটি সম্প্রদায় যদি ছোট সম্প্রদায়কে পিষ্ট করে, তাহলে এই সংসদ কীভাবে তা অনুমোদন করবে?”

    বিলের বিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে না

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী (Kiren Rijiju) এদিন অভিযোগ করেন, “বিরোধীরা এই সংস্থাগুলিতে ক্ষমতা দখল করার উদ্দেশ্যে একটি অংশকে উস্কে দিচ্ছে এবং ওয়াকফ কর্তৃপক্ষের জন্য মুসলমানদের মধ্যেই ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিলের (Waqf Amendment Bill) বিধানগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না এবং কোনওভাবেই সংবিধান লঙ্ঘন করে না। কেন্দ্র এই আইনের বিভিন্ন দিক খতিয়ে জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে সম্মত হয়েছে।”

    স্বচ্ছ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন

    রিজিজু (Kiren Rijiju) দাবি করেন, বিরোধীদের অনেক নেতা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি মাফিয়ায় পরিণত হয়েছে। এই বিল সময়ের দাবি, এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

    এর আগে, ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) বিলের প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল প্রস্তাবিত আইনটিকে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন। সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টিও এই বিলের বিরোধিতা করেছে। 

    আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীরা পাবেন মাসিক উপবৃত্তি, বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিনব উদ্যোগ অসমে

    Himanta Biswa Sarma: উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীরা পাবেন মাসিক উপবৃত্তি, বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিনব উদ্যোগ অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে অভিনব উদ্যোগ নিল অসম সরকার। উচ্চ শিক্ষা নেওয়া মেয়েদের মাসিক উপবৃত্তি ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। সরকারি-চালিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রীদের জন্য মাসিক আর্থিক সহায়তা দিতে নতুন প্রকল্প চালু করল অসম সরকার।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? (Himanta Biswa Sarma)

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “নতুন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিজুত ময়না’। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে এই গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অসম পুলিশ বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে দুটি বড় অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার এক বছর পর এই প্রকল্প চালু করা হল। এই প্রকল্পটি সকলের জন্য করা হয়েছে। তবে, যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান না, তারা স্বেচ্ছায় এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    ছাত্রীরা কত টাকা করে পাবেন?

    অসম (Assam) সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে শিক্ষাবর্ষের ১০ মাস ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের একজন ছাত্রী ১০ মাসের জন্য প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। স্নাতক স্তরে একজন ছাত্রী প্রতি মাসে ১২৫০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী ১০ মাসের জন্য প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা পাবে। এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি প্রাথমিকভাবে ছাত্রীদের প্রথম বছরের জন্য হবে। এই প্রকল্পের দুটি শর্ত রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর উপস্থিতি এবং তার “চরিত্র”-এর রেকর্ড বজায় রাখতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বা স্নাতক স্তরে থাকাকালীন বিবাহিত মেয়েদের জন্য বা মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদদের কন্যাদের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি প্রযোজ্য হবে না। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রথম বিভাগ পাওয়ার জন্য যারা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে স্কুটার পাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে না।

    অসমে বাল্যবিবাহ কোথায় বেশি?

    জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, অসমে (Assam) ৩১.৮ শতাংশ মেয়ে ২০-২৪ বছর বয়সের মধ্যে মা হয়েছেন। তার মানে তাঁদের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের আগে। মূলত ৩০ শতাংশ মেয়ের ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়। ফলে তাঁরা অপুষ্টিতে ভোগেন। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন এবং পারিবারিক হিংসার শিকার হন। মধ্য ও নিম্ন অসমে বাল্যবিবাহ সবচেয়ে বেশি।

    ১০ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন!

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”দক্ষিণ সালমারা এবং ধুবরি জেলায় ৫০ শতাংশেরও বেশি মেয়ের ১৮ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়। আমরা প্রায়ই দেখি যে তারা ১২-১৩ বছরের মধ্যে মা হয়ে যায়। আমরা বিশ্বাস করি, বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে শিক্ষাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে বিবাহের বয়স যদি আমরা আরও এক বা দুই বছর বাড়াতে পারি, তাহলে আমরা বাল্যবিবাহ এবং কিশোরী বয়সে গর্ভাধারণ বন্ধ করতে সক্ষম হব। সরকার ১০ লক্ষ ছাত্রীকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে চায়। এই প্রকল্পে পরবর্তী চার বছরের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jim Corbett National Park: জঙ্গলের রাজা বাঘ, ৫৮০ প্রজাতির পাখি! ঘুরে নিন করবেট ন্যাশনাল পার্ক

    Jim Corbett National Park: জঙ্গলের রাজা বাঘ, ৫৮০ প্রজাতির পাখি! ঘুরে নিন করবেট ন্যাশনাল পার্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫২০.৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক (Jim Corbett National Park) উত্তরাখণ্ডের অন্যতম সেরা অরণ্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শাল, সেগুন, শিমুল গাছে ঢাকা এই অরণ্যে রয়েছে হাতি, শম্বর, নীলগাই, ব্ল্যাক বিয়ার, হরিণ, বুনো শুকর। আর হ্যাঁ! আছে জঙ্গলের রাজা বাঘ। তবে ভাগ্য সহায় হলে তবেই দেখা মেলে তেনাদের। আর আছে প্রায় ৫৮০ প্রজাতির পাখি।

    প্রবেশের গেট ক’টি, কী কী দেখবেন? (Jim Corbett National Park)

    মোট ৫টি জোনে এই অরণ্যকে বিভক্ত করা হয়েছে। এক একটি জোনে প্রবেশের জন্য রয়েছে এক একটি প্রবেশদ্বার। যেমন  ১) ঝিরণা জোনে প্রবেশের জন্য রয়েছে রামনগর থেকে ১৮ কিমি দূরে ঝিরণা বা খাড়া বা কালাগড় গেট। ২) ধিকালা জোনে প্রবেশের জন্য রয়েছে রামনগর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে ধিকালা গেট বা ধানগড়ি গেট। ৩) দোমুণ্ডা জোনে প্রবেশের জন্য রয়েছে রামনগর থেকে প্রায় ২৮ কিমি দূরে সোনাডাঙা বা দুর্গাদেবী গেট। ৪) বিজরানি জোনের জন্য রয়েছে রামনগর থেকে প্রায় ৮ কিমি দূরে বিজরানি বা আমদান্ডা গেট এবং ৫) সোননাড়ি জোনের জন্য রয়েছে রতনবাসা গেট।

    রামনগর হল পার্কের মূল কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ন্যাশনাল পার্কের রিসেপশন সেন্টার। এখান থেকেই মেলে পার্কে প্রবেশের অনুমতিপত্র। এখান থেকে যে অনুমতিপত্র দেওয়া হয়, তা জঙ্গলে ঘোরার সময় (Bengal Tiger) সব সময় সঙ্গে রাখতে হয়। ফেরার সময় যে জোনে সাফারি হবে, সেই জোনের ফরেস্ট রিসেপশন থেকে দেওয়া ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট গেটে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়াও সঙ্গে সচিত্র পরিচয়পত্র রাখতে হবে। এক যাত্রায় দেখে নেওয়া যায় ধিকালা গেটের কাছে অবস্থিত করবেট মিউজিয়াম, গর্জিয়া দেবীর মন্দির, কালাধুঙ্গির করবেট মিউজিয়াম, করবেট ওয়াটার ফলস প্রভৃতি।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    করবেট (Jim Corbett National Park) ভ্রমণের জন্য আসতে হবে রামনগর। কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে নামতে হবে মোরাদাবাদ। সেখান থেকে লোকাল ট্রেন আসছে রামনগর। আবার হলদোয়ানি (৮৪ কিমি), কাঠগোদাম (৭৭) কিমি এবং নৈনিতাল (৬৫ কিমি) থেকেও বাস আসছে রামনগর।
    থাকা-খাওয়া-রামনগরে আছে কেএমভিএন (KMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস (ফোন-০৫৯৪৭-২৫১২২৫)। এছাড়াও করবেট ন্যাশনাল পার্ক বা এর আশেপাশে রয়েছে বেশ কিছু থাকার ও খাওয়ার হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Board: ‘‘গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন’’, আইনজীবীকে কটাক্ষ বিচারপতির

    Waqf Board: ‘‘গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন’’, আইনজীবীকে কটাক্ষ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় বৃহস্পতিবারই পেশ করা হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। কিন্তু এরই মধ্যে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) বিরুদ্ধে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি আবেদনের শুনানি চলাকালীন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের (Madhya Pradesh High Court) বিচারপতির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ওই ভিডিওতে বিচারপতি এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীকে কটাক্ষ করে বলছেন, ”পুরে ভারত কো ওয়াকফ সম্পত্তি বানা দো” অর্থাৎ ”গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন।” একইসঙ্গে ওই আইনজীবীকে বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেছিলেন যে, কীভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি সরকারের সংরক্ষিত সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে বৈধতা দিতে পারে? এছাড়াও ভাইরাল ওই ভিডিওতে বিরক্ত বিচারককে বলতে শোনা যায়, ”তাজ মহলকেও ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করুন, আপনাকে কে বাধা দিচ্ছে!” 

    আগে কী ঘটেছিল? 

    উল্লেখ্য, ১১ বছর আগে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) ২০১৩ সালের জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে শাহ সুজা এবং নাদির শাহের সমাধির মালিকানা দাবি করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সে সময় ওয়াকফ বোর্ডের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেই মামলারই শুনানির সময়, বিচারপতি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিলেন, কিসের ভিত্তিতে সরকারের প্রাচীন সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে দাবি করা হচ্ছে? যার জবাবে আইনজীবী বলেন, ”এটি একটি বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে দাবি করা হয়েছে।”   

    আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য 

    আইনজীবীর এই উত্তর শুনেই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা বলেন, ”আমার শুধু একটা প্রশ্ন আছে… আগামিকাল যদি আগরওয়ালজির (যে কোনও একজন ব্যক্তি) সম্পত্তির ওপর বিজ্ঞপ্তি বের হয়, তাহলে সেটাও কি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হবে? তাহলে তো এবার ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) যে কোনও সরকারি অফিসকে তার সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করতে পারে!..”  

    এরপর মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট বুরহানপরের ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির উপর ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) সমস্ত দাবিকে বাতিল করেছে এবং ১৯০৪ সালে তৈরি প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে আইনের অধীনে সুরক্ষিত সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করেছে৷ এছাড়াও আদালতের (Madhya Pradesh High Court) তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৮৯ সালে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি, আইনি অনুমতি ছাড়াই কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে বৈধতা দিতে পারবে না৷ 
       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rice ATM: চাল চুরি, কালোবাজারি রুখতে অভিনব উদ্যোগ বিজেপির, ওড়িশায় চালু ‘রাইস এটিএম’

    Rice ATM: চাল চুরি, কালোবাজারি রুখতে অভিনব উদ্যোগ বিজেপির, ওড়িশায় চালু ‘রাইস এটিএম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার ভুবনেশ্বরে (Bhubaneswar) চাল বণ্টনের জন্য ভারতের প্রথম ‘রাইস এটিএম’ (Rice ATM) চালু করা হয়েছে। পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস)-এর অধীনে এই বণ্টন ব্যবস্থার প্রবাহকে আরও গতি প্রদান করার প্রয়াসে বৃহস্পতিবার এই এটিএম-এর সফল পূর্বক উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে এই ‘রাইস এটিএম’ মেশিনটি মঞ্চেশ্বরের একটি গুদামে স্থাপনা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী কৃষ্ণচন্দ্র পাত্র উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, “এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।”

    ‘রাইস এটিএম’ কীভাবে কাজ করে (Rice ATM)?

    পিডিএস-এর আওতায় যোগ্য রেশন কার্ড (Rice ATM) ধারকদের মধ্যে চাল বিতরণের কাজকে সহজ করার জন্য রাইস এটিএম তৈরি করা হয়েছে। এই মেশিনটি জনপ্রতি ২৫ কেজি পর্যন্ত চাল বিতরণ করতে পারবে। প্রথমে গ্রাহকদের মেশিনের টাচস্ক্রিন ডিসপ্লেতে রেশন কার্ড নম্বর টাইপ করতে হবে। এরপর বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করতে হবে আর ঠিক তারপরেই এটিএম থেকে নির্ধারিত চাল বের হতে শুরু করবে। গ্রাহকদের জন্য চাল বিতরণের এই ব্যবস্থা সময়কে যেমন সাশ্রয় করবে, তেমনি বিতরণ কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না। আবার একই সঙ্গে চাল চুরি ও কালোবাজারি রোধ করতে ব্যাপক সহায়ক হবে।

    আরও পড়ুনঃ“ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের অধীন’

    ওড়িশার খাদ্য সরবরাহ ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী কৃষ্ণচন্দ্র পাত্র এই বিষয়ে বলেন, “রাইস এটিএম (Rice ATM) ভারতে এই প্রথম চালু করা হয়েছে। রাইস এটিএমের লক্ষ্য ভর্তুকিযুক্ত চালের কালোবাজারি রোধ করা। সুবিধাভোগীরা যে কোনও মানুষের সহযোগিতা ছাড়াই সঠিক পরিমাণে চাল পাবেন এবার থেকে। এই রাইস এটিএম প্রাথমিকভাবে ভুবনেশ্বরে (Bhubaneswar) চালু করা হল, এরপর রাজ্যের ৩০টি জেলায় প্রসারিত করা হবে। এই মডেলটি ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পে’র অধীনে, পরবর্তী সময়ে অন্যান্য রাজ্যেও প্রসারিত হবে। স্বয়ংক্রিয় চালের এটিএমের মাধ্যমে ভর্তুকিযুক্ত রেশন পেতে সহায়ক হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslides: কুর্ণিশ! টানা ৩ ঘণ্টা ভারতনাট্যম নেচে উপার্জিত অর্থ ওয়ানাড় ত্রাণ তহবিলে দান কিশোরীর

    Wayanad Landslides: কুর্ণিশ! টানা ৩ ঘণ্টা ভারতনাট্যম নেচে উপার্জিত অর্থ ওয়ানাড় ত্রাণ তহবিলে দান কিশোরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিণী শ্রী নামে ১৩ বছর বয়সি তামিলনাড়ুর এক কিশোরী টানা তিন ঘণ্টা ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করেছে। কেন জানেন? নিজের জন্য সে এই নাচ করেনি। শুধুমাত্র কেরলের (Kerala) ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করতেই সে এই উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার জমানো অর্থ সহ ১৫ হাজার টাকা সে ত্রাণ তহবিলে দান করেছে। তার এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছে দেশবাসী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে তাকে আশীর্বাদ করেছেন।

    ওয়েনাড়ে চলছে অভিযান (Wayanad Landslide)

    কেরলে (Kerala) ওয়েনাড়ে ব্যাপক ভূমিধসের কারণে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ৩০০ বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনীর কর্মী, এসওজি কর্মকর্তা এবং বন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার থেকে বনের অভ্যন্তরে সুজিপ্পাড়ার সানরাইজ ভ্যালিতে অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। দশ দিনের উদ্ধার অভিযান শেষ করার পরে ফেরার পথে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপর, উদ্ধার অভিযানের দায়িত্ব এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ফায়ার ফাইটার্স ফোর্স এবং কেরল পুলিশের বাহিনীকে হস্তান্তর করা হবে। তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর এবং বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৫০০ সদস্য নিয়ে গঠিত ভারতীয় সেনা একটি ব্যাটালিয়ন ফিরে আসতে চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা অস্থায়ীভাবে নির্মিত বেইলি ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি দল এলাকায় থাকবে।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ওই কিশোরীকে দেখা করে আশীর্বাদ করেছেন

    ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারগুলি এখন অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তা করছে। ৩০ জুলাই ওয়েনাড় (Wayanad Landslide) বিপর্যয়ের শিকার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০ কেজিরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী, ৮ জন বেসামরিক ব্যক্তি এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের দলগুলিকে হেলিকপ্টার দ্বারা এয়ারলিফ্ট করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড় পরিদর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Amendment Bill: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

    Waqf Amendment Bill: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে (Waqf Amendment Bill) বিরোধীরা যতই হইচই করুক না কেন, এই ইস্যুতে বিজেপিকে পূর্ণ সমর্থন জানাল এনডিএর সহযোগী দলগুলি (NDA)। তেলুগু দেশম পার্টি, শিবসেনা এবং লোক জনশক্তি পার্টি বৃহস্পতিবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। সহযোগী দলগুলির দাবি, এতে ওয়াকফের কর্মপদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আসবে। মসজিদ পরিচালনা কিংবা মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কোনও উদ্দেশ্য নেই এই বিলে।

    জনতা দল ইউনাইটেডের সমর্থন (Waqf Amendment Bill)

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বৃহস্পতিবার ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) সংসদে পেশ করেন এবং বিরোধী দলগুলি এই বিলের প্রস্তাবিত সংশোধনের বিরোধিতা করে এবং একে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করে। সরকার পক্ষ তা মেনে নেয়। সরকারের তরফে বিলটি লোকসভায় পেশ করার পর সাংসদদের বক্তৃতার সময়, (NDA) জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং ‘ললন’ জোর দিয়ে বলেন, “এই বিলটি কোনওভাবেই মুসলিম বিরোধী নয়। বিলের পক্ষে তিনি বলেন, “বেশ কয়েকজন সাংসদ দাবি করছেন, ওয়াকফ আইন সংশোধন মুসলিম বিরোধী। কিন্তু এটা কোনও ভাবেই মুসলিম বিরোধী নয়। এখানে অযোধ্যার উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে। একটি মন্দির এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছে না বিরোধীরা। এই বিলটি আইনে পরিণত হলে, ওয়াকফের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আসবে। ওয়াকফ বোর্ড কিভাবে গঠিত হয়েছিল, তা সকলেই জানে।”

    বিল সম্পর্কের মন্ত্রীর অবস্থান

    সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কোনও প্রতিষ্ঠান স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আইন আনার অধিকার সরকারের রয়েছে। বিরোধী দলগুলির নিন্দা করে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে কোনও (Waqf Amendment Bill) সাম্প্রদায়িক বিভাজন নেই। বিরোধীরা গুজব ছড়াচ্ছেন।” ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি প্রশ্ন করেন, “কে হাজার হাজার শিখকে হত্যা করেছে?” বিল আসা উচিত এবং স্বচ্ছতা আনা উচিত,” জোরগলায় বলেন কিরেন।

    টিডিপি-র বক্তব্য (NDA)

    তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সাংসদ জিএম হরিশ বালাযোগী জানিয়েছেন,  (Waqf Amendment Bill) বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হলে, তাঁর দল আপত্তি করবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন,  “সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিল এনেছে, আমি তার প্রশংসা করি। করদাতাদের উদ্দেশ্য রক্ষা করা দরকার।

    আরও পড়ুন: গরীব ও মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্যই ওয়াকফ সংশোধনী, দাবি কেন্দ্রের

    যখন উদ্দেশ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়, তখন সংস্কার আনা এবং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা প্রবর্তন করা সরকারের দায়িত্ব। ”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tiger: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে ছত্তিশগড়ে, ছাড়পত্র দিল বিজেপি সরকার

    Tiger: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে ছত্তিশগড়ে, ছাড়পত্র দিল বিজেপি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র (Tiger) সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে এই প্রকল্প দীর্ঘদিন আটকে ছিল। এবার রাজ্যের বিজেপি সরকার তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বন্যপ্রাণী ও পরিবেশপ্রেমীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের নাগার্জুন সাগর শ্রীশৈলম টাইগার রিজার্ভ ভারতের বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। ঠিক তার পরেই রয়েছে অসমের মানস টাইগার রিজার্ভ কেন্দ্র। এটি আনুমানিক ২৮৩৭.১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার।

    ২৮২৯.৩৮০ বর্গ কিমি জমি বরাদ্দ (Tiger)

    রাজ্যের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা গুরু ঘাসীদাস-তামর পিংলা টাইগার (Tiger) রিজার্ভের জন্য মোট ২৮২৯.৩৮০ বর্গ কিমি জমি বরাদ্দ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র গঠনের জন্য দেওয়া অঞ্চলটি বেশ সুরক্ষিত। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং আবাসস্থল বাঘের জন্য ভীষণ উপযুক্ত। ফলে বাঘের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গুরু ঘাসীদাস জাতীয় উদ্যান এবং তামোর পিংলা অভয়ারণ্যের অঞ্চলগুলিকে একত্রিত করে নতুন ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে। একই ভাবে মানেন্দ্রগড়-চিরমিরি-ভরতপুর, কোরিয়া, সুরাজপুর এবং বলরামপুর জেলাগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    সর্বশেষ গণনায় বাঘের সংখ্যা রাজ্যে ১৭

    ভারতে যাতে বাঘের (Tiger) সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অভয়ারণ্য কেন্দ্র হিসেবে ছত্তিশগড়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তাই এই রাজ্যের বিজেপি সরকার দেশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে প্রকল্পের ছাড়পত্র দিয়েছে। উল্লেখ্য আগেই ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক অনুমোদন দিয়েছে। এবার এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে আর কোনও বাধা রইল না।

    বিগত কয়েক বছরে ক্রমেই ছত্তিশগড়ে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছিল। এই পটভূমিতে সরকারের অনুমোদন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ। সর্বশেষ গণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী এই রাজ্যে বাঘের সংখ্যা মাত্র ১৭। অথচ ২০১৪ সালের গণনায় এই সংখ্যা ছিল ৪৬। ফলে ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ৭ হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন, জানাল কেন্দ্র

    Bangladesh Crisis: ৭ হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরও অশান্ত বাংলাদেশ। আর আগে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখনও দেশজুড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কত ভারতীয় পড়়ুয়া বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) থেকে দেশে ফিরেছেন রাজ্যসভায় সেই তথ্য দিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।

    ৭২০০ বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন (Bangladesh Crisis)

    বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, শিক্ষা বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) বসবাসকারী ভারতীয়দের মোট সংখ্যা কত? বাংলাদেশে বসবাসরত গুজরাটের লোকের সংখ্যা এবং হিংসায় বিধ্বস্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে কিনা। এই বিষয়ে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৯ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। তারমধ্যে ৯ হাজারের বেশি ছাত্র রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ৭ হাজার ২০০ জনের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন। বাংলাদেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসম রাজ্যের। বাংলাদেশে আমাদের মিশন এবং পোস্টগুলি রাজ্যভিত্তিক তালিকা রক্ষণাবেক্ষণ করে না। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় সহকারি হাইকমিশনগুলো ভারতীয় নাগরিকদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে অপেক্ষারত পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সমন্বয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৮ জুলাই থেকে শুরু করে ১ অগাস্ট পর্যন্ত ৭২০০ বেশি ভারতীয় ছাত্র ভারতে ফিরে এসেছেন।  

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    চিনা প্রভাব নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথ্য ভাগ করে বলেন, ‘‘ইমিগ্রেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (IRCC) এর ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভারতীয় (Indian) ছাত্রের ভর্তি গত তিন বছরে বেড়েছে। ২০২১ সালে ছিল ২,১৬,৩৬০ জন। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৩, ১৮,৩৮০ জন। আর ২০২৩ সালে সংখ্যা আরও বেড়ে হয় ৪,২৭,০৮৫ জন।’’ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে ‘ক্রমবর্ধমান চিনা প্রভাব’ সম্পর্কে সরকার সচেতন কিনা তা মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে এই দেশগুলির সম্পর্ক থেকে যা স্বাধীন। সরকার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলে এমন সমস্ত উন্নয়নের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখে। আর এটি রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share