Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Maulana Yasoob Abbas: ”ওয়াকফ বোর্ড দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা”, অভিযোগ অল ইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডেরই

    Maulana Yasoob Abbas: ”ওয়াকফ বোর্ড দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা”, অভিযোগ অল ইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডেরই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুপুরেই সংসদে ওয়াকফ বিল পেশ হয়েছে। পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্র আগামী সংসদ অধিবেশনে এই আইনে ৪০টি সংশোধনী আনতে পারে। কিন্তু ওয়াকফ বিল পেশ হতেই এবার অল ইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মৌলানা ইয়াসুব আব্বাস (Maulana Yasoob Abbas) ওয়াকফ বোর্ডকে (Waqf Board) একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা বলে তীব্র আক্রমণ করলেন।  

    ঠিক কী জানিয়েছেন তিনি? (Maulana Yasoob Abbas) 

    অল ইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াসুব আব্বাস ওয়াকফ বোর্ডের তীব্র নিন্দা করে অভিযোগ করেন, ”বোর্ডের মধ্যে এক মাফিয়া জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপকভাবে জড়িত। তারা বিভিন্ন সম্পত্তির ওয়াকফ নম্বর মুছে জমি বিক্রি করার জন্য জাল দলিল তৈরি করে। এই সব মানুষের কারণে গোটা ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ডিপি-তে তেরঙ্গা, এক্স হ্যান্ডেলে ছবি বদল প্রধানমন্ত্রীর, কী বার্তা দিলেন নাগরিকদের?

    ওয়াকফ আইন বাতিল করার আহ্বান   

    সম্প্রতি কেন্দ্র ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা হ্রাস করার জন্য ওয়াকফ আইন সংশোধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু সাধারণ নাগরিক এই আইনটিকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এক নাগরিক অভিযোগ করেছেন, ওয়াকফ বোর্ড ভারত জুড়ে জমি দখল করার জন্য তার কর্তৃত্বের অপব্যবহার করেছে। তিনি তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ”ওয়াকফ আইন শুধু সংশোধন করা উচিত নয়, বাতিল করা উচিত। ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) ভারত জুড়ে জমি দখল করার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ওয়াকফ বোর্ড তামিলনাড়ুর পুরো তিরুচেন্দুরাই গ্রামের মালিকানা দাবি করেছে, যেখানে ১৫০০ বছরের পুরানো মানেন্দিয়াভল্লি সামেথা চন্দ্রশেখর স্বামী মন্দির রয়েছে।”

    এ প্রসঙ্গেই অন্য একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অনুপম মজুমদার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ওয়াকফ বোর্ড বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ”আইনের সংশোধনী কোনও পার্থক্য করবে না। দক্ষিণ ভারত ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madras High Court: ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ মন্দির খোলার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    Madras High Court: ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ মন্দির খোলার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা মন্দির খোলা নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিল তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন মাদুরাই জেলার উথাপুরম গ্রামে শ্রী মুথালাম্মন এবং শ্রী মারিয়াম্মান মন্দির পুনরায় খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধের কারণে এই মন্দির ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল।

    “দেবতাকে কারারুদ্ধ করার সমান” (Madras High Court)

    জানা গিয়েছে, আবেদনকারীর নাম পান্ডি। তিনি জেলা কালেক্টর, রাজস্ব বিভাগীয় আধিকারিক (আরডিও), তহসিলদার এবং পুলিশ পরিদর্শককে মন্দিরগুলি পুনরায় চালু করতে এবং প্রতিদিনের পুজো এবং উত্সব উদযাপন শুরু করার নির্দেশ চেয়ে আদালতে (Madras High Court) গিয়েছিলেন। বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন মন্দির খোলার রায় দিতে গিয়ে বলেন, প্রথাগত পুজো না করে মন্দিরগুলি বন্ধ করা দেবতাকে বন্দি করার সমান। বিচারপতি যুক্তি দিয়েছেন, এই ধারণাটিকে এখন প্রসারিত করা উচিত যাতে দেবতারা তাঁদের উপাসনা এবং যথাযথ যত্নের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। বিচারপতি স্বামীনাথন অধ্যাপক নানজুন্দা শাস্ত্রীর “দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ এইচএইচ শ্রী চন্দ্রশেখর ভারতী” বই থেকে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। সেখানে বর্ণনা করা হয়েছে, একজন শিষ্য শ্রী চন্দ্রশেখর ভারতীকে একটি পুজোর ঝুড়ি উপহার দিয়েছিলেন। একটি শালগ্রাম শিলা পরীক্ষা করার পরে, সাধু দেখেন যে সাত বছর ধরে দেবতা তার প্রয়োজনীয় দৈনিক পুজো থেকে বঞ্চিত ছিলেন। সাধক শিষ্যকে দেবতার প্রাপ্য বিশেষ উপাসনা এবং নৈবেদ্য সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    কেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মন্দির?

    জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে পিল্লাইমার এবং পাল্লার (তফশিলি জাতি) সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধের কারণে উথাপুরম মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। যা “অস্পৃশ্যতার প্রাচীর” নামে পরিচিত হয়েছিল। মন্দিরটি ২০১৪ সাল থেকে একটি বিরোধের কারণে বন্ধ ছিল। তফশিলি জাতি সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপাসনার নতুন ধরন প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিল। যার ফলে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এলুমালাই থানায় একটি ফৌজদারি মামলা হয়। দ্বন্দ্ব আইনি লড়াইয়ের দিকে নিয়ে যায়। রিট পিটিশন (Madras High Court) দাখিল করা হয় এবং অবশেষে দুপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। তবে, মন্দিরগুলিতে নিয়মিত পুজো  বন্ধ ছিল। বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন তাঁর ১১-পৃষ্ঠার বিস্তারিত আদেশে জোর দিয়েছেন, একটি মন্দিরের প্রথাগত পুজো না করে বন্ধ করা দেবতাকে কারারুদ্ধ করার সমান।

    ১৯২২ সালের মামলার উদ্ধৃতি

    রামব্রমা চট্টোপাধ্যায় বনাম কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্যদের ১৯২২ সালের মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে, বিচারপতি (Madras High Court) স্বামীনাথনের ব্যাখ্যা, একজন দেবতাকে জীবন্ত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিদিনের আচার-অনুষ্ঠান এবং অর্ঘ্য এমনভাবে করা হয় যেন দেবতা বাড়ির কর্তা। তিনি জোর দেন, জেলের কয়েদিদের যেমন মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হয়, দেবতাকেও অবশ্যই তাঁর প্রাপ্য নৈবেদ্য দেওয়া দরকার। বিচারপতি বলেছেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য দেবতাকে অস্বীকার করা কারাদণ্ডের সমতুল্য।

    মন্দির খোলার নির্দেশ

    বিচারপতি (Madras High Court) স্বামীনাথন বলেন, অস্পৃশ্যতা বা অন্যের অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ না থাকলে, একটি মন্দির অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা যাবে না। তিনি তুলে ধরেন, ভক্তদের উপাসনার অধিকার, প্রথাগত আচার পালনে দেবতার অধিকারের মতোই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, প্রতিদিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যাতে বাধা ছাড়াই সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। বিচারপতি স্বামীনাথন মন্দিরের বর্তমান অবস্থাকে “দুঃখজনক” বলে বর্ণনা করেছেন। এটি অবিলম্বে পুনরায় চালু করার এবং নিয়মিত পুজোর সময় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি পুলিশকে এফআইআর নথিভুক্ত করার এবং আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিলে যে কোনও অপরাধীর বিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন। মন্দির যাতে উপাসনার জন্য উন্মুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। বিচারক পুনঃনিশ্চিত করেছেন যে সমস্ত পক্ষকে অবশ্যই মন্দিরের ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে পূর্বে প্রতিষ্ঠিত চুক্তিগুলি মেনে চলতে হবে, যাতে দেবতা এবং ভক্ত উভয়ের অধিকারকে সম্মান করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Har Ghar Tiranga: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেই মিলবে কেন্দ্রের সার্টিফিকেট! জেনে নিন কীভাবে

    Har Ghar Tiranga: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেই মিলবে কেন্দ্রের সার্টিফিকেট! জেনে নিন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টি ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য ৯ আগস্ট থেকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ২০২৪ প্রচারের তৃতীয় সংস্করণ শুরু করেছে। ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান থেকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান সহ ভারতীয় পতাকার সম্মানের উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী প্রচারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

    ‘হর ঘর তিরঙ্গা’কে গণ-আন্দোলনে পরিণত করার উদ্যোগ (Har Ghar Tiranga)

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে লিখেছেন, স্বাধীনতা দিবস আসন্ন। ফের ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) অভিযানকে গণ-আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। আমি নিজের প্রোফাইল পিকচার বদল করছি এবং দেশবাসীর কাছে আশা করছি, আপনারাও আপনাদের প্রোফাইল পিকচার বদলে দেবেন। আপনারা সেলফি তুলে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ ডটকমে পাঠান এবং সার্টিফিকেট ডাউনলোড করুন।

    প্রধানমন্ত্রীর আহবান (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) জুলাই মাসে ‘মন কি বাত’-এর ১১২ তম সংস্করণে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) অনুষ্ঠানকে একটি জাতীয় উৎসবে উদযাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ এক বিবৃতিতে বলেন, “বিজেপি ১১ অগাস্ট থেকে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিরঙ্গা যাত্রা করবে। ১৪ অগাস্ট সমস্ত জেলা জুড়ে একটি নীরব পদযাত্রার সঙ্গে দেশভাগের স্মরণ দিবস পালন করবে। ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ জাতীয় পতাকা সমস্ত বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উত্তোলন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। পুরো দেশকে গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ সাগরে পরিণত করতে চাই আমরা। বিজেপির সমস্ত নেতাকর্মী জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।” আপাতদৃষ্টিতে জনসাধারণকে স্বাধীনতার আনন্দে যুক্ত করার অনুষ্ঠান মনে হলেও আসলে দলের তরফ থেকে দেশের প্রতিটি বুথে পৌঁছানোই লক্ষ্য, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন: ডিপি-তে তেরঙ্গা, এক্স হ্যান্ডেলে ছবি বদল প্রধানমন্ত্রীর, কী বার্তা দিলেন নাগরিকদের?

    এবার দেখে নিন হর ঘর তিরঙ্গা শংসাপত্রটি কীভাবে ডাউনলোড করবেন

    প্রথমে, www.harghartiranga.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। যেখানে হোমপেজে একটি ‘অংশগ্রহণ করতে ক্লিক করুন’ ট্যাব রয়েছে, সেটিতে ক্লিক করে নিজের নাম, ফোন নম্বর, রাজ্য এবং দেশ লিখতে হবে। বিস্তারিত লেখার পরে, “আমি শপথ করছি যে আমি তেরঙ্গা উত্তোলন করব, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সাহসী পুত্রদের আত্মাকে সম্মান করব এবং ভারতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করব।” অঙ্গীকার গ্রহণে ক্লিক করুন এবং আপনাকে একটি পৃষ্ঠায় পুনঃনির্দেশিত করা হবে। যেখানে আপনি তেরঙ্গার সঙ্গে আপনার সেলফি আপলোড করতে পারবেন। যখন পোর্টাল আপনাকে সাইটে ছবি ব্যবহার করার অনুমতি চাইবে তখন সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এই পর্ব সম্পূর্ণ হলে, আপনি সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারেন এবং প্রচারে আপনার অংশগ্রহণ প্রমাণ করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: নাম-ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিল পুলিশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ধৃত আইএস জঙ্গি

    Delhi Police: নাম-ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিল পুলিশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ধৃত আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি শহরজুড়ে জঙ্গিদের নাম-ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিল পুলিশ (Delhi Police)। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাতেনাতে পাকড়াও এক আইএস জঙ্গি (ISIS militant)। পুলিশের বিশেষ দল স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগেই যে কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে, তার নাম রিজওয়ান আলি। বৃহস্পতিবার, ১৫ জন জঙ্গির নাম ও ছবি সমেত পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তার মধ্যে ৬ জঙ্গি ছিল আল কায়েদার। তালিকায় ছিল কয়েকজন খালিস্তান জঙ্গি। এছাড়া, বাকিরা ছিল অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সক্রিয় জঙ্গি। পুলিশকে যে কোনও তথ্য দিলে পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে অভিনব প্রচারে হাতেনাতে সাফল্য পেল পুলিশ।

    রিজওয়ানের মাথার দাম ছিল ৩ লক্ষ টাকা (Delhi Police)

    জানা গিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর গঙ্গাবক্স মার্গের কাছে রাত ১১ টার সময় এই আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে একটি ৩০ বোরের স্টার পিস্তল, ৩টি তাজা কার্তুজ এবং ২টি মোবাইল উদ্ধার করেছে। দিল্লির দরিয়াগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল এই জঙ্গি। এই কুখ্যাত জঙ্গির (ISIS militant) মাথায় ৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার বিষয়ে আগেই প্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশকে দিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রিজওয়ান আইসিসের পুণে মডিউলের অংশ হিসেবে সক্রিয় ভাবে কাজ করছিল। অনেক দিন ধরে পলাতক ছিল। তার ছবি ও নাম সমেত পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচার করতেই সাফল্য মিলেছে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে ছত্তিশগড়ে, ছাড়পত্র দিল বিজেপি সরকার

    আল কায়েদা, খালিস্তানি জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি

    শহরজুড়ে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে, আল কায়েদা এবং খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন জঙ্গিদের নাম-ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ধরতে সহায়তা করার জন্য মানুষকে সজাগ থাকার কথাও বলা হয়েছে। আবার জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার কথা জানিয়ে পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে। অপর দিকে দিল্লির মতো পঞ্জাব পুলিশও ২১টি জেলায় তল্লাশি অভিযান চালানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শহরের জনবহুল জায়গায়গুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ডিপি-তে তেরঙ্গা, এক্স হ্যান্ডেলে ছবি বদল প্রধানমন্ত্রীর, কী বার্তা দিলেন নাগরিকদের?

    PM Modi: ডিপি-তে তেরঙ্গা, এক্স হ্যান্ডেলে ছবি বদল প্রধানমন্ত্রীর, কী বার্তা দিলেন নাগরিকদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই ১৫ অগাস্ট। আর দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের ছদিন আগেই এবার নিজের মাইক্রোব্লগিং সাইটে ডিপি বদলে তেরঙ্গার ছবি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে দেশের নাগরিকদের তৃতীয় বারের মত ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga Campaign) প্রচারাভিযানকে গণ আন্দোলনে পরিণত করার আহ্বান জানালেন তিনি। 

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) 

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ”সামনেই স্বাধীনতা দিবস। আসুন আমরা আবার ‘হর ঘর তিরাঙ্গা’-কে একটি স্মরণীয় গণআন্দোলনে পরিণত করি। আমি আমার প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করেছি এবং আমি চাই আপনারাও সকলে এই একইভাবে প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে তেরঙ্গা উদযাপনে আমার সঙ্গে যোগ দিন।” 

    কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে আগামী ৯ থেকে ১৫ অগাস্ট তৃতীয় বারের মত উদযাপিত হবে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’। একইসঙ্গে নিজ নিজ বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করে তার সঙ্গে একটি সেলফি তুলে harghartiranga.com পোর্টালে সেই ছবি আপলোড করতে দেশের সকল মন্ত্রী ও নাগরিকদের আহ্বান জানান তিনি। 

    অন্যতম আকর্ষণ ‘তিরঙ্গা বাইক র‍্যালি’

    এই প্রচারের অন্যতম আকর্ষণ হল সংসদ ও সদস্যদের একটি বিশেষ ‘তিরঙ্গা বাইক র‍্যালি’, যেটি ১৩ অগাস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। র‌্যালিটি ভারত মণ্ডপম প্রগতি ময়দান থেকে শুরু হয়ে মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে পৌঁছে শেষ হবে।    

    আরও পড়ুন: ‘‘গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন’’, আইনজীবীকে কটাক্ষ বিচারপতির

    এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং বলেন, ২০২২ সালে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের পৃষ্ঠপোষকতায় চালু হওয়া ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga Campaign) প্রচারাভিযান একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল, যা সারা দেশে সমাজের বিভিন্ন অংশ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। ২০২২ সালে ২৩ কোটিরও বেশি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল এবং ৬ কোটি মানুষ harghartiranga.com-এ পতাকার সঙ্গে সেলফি তুলে আপলোড করেছিলেন। আর ২০২৩ সালে এইচজিটি প্রচারের আওতায় ১০ কোটিরও বেশি সেলফি আপলোড করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Amendment Bill: ‘‘ভাবুন, মন্দির সহ গোটা গ্রামকেই ওয়াকফ ঘোষণা করে হয়েছে’’! সংসদে রিজিজু

    Waqf Amendment Bill: ‘‘ভাবুন, মন্দির সহ গোটা গ্রামকেই ওয়াকফ ঘোষণা করে হয়েছে’’! সংসদে রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু সংখ্যক লোক দেশে ওয়াকফ বোর্ড দখল করেছে এবং সাধারণ মুসলমানরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, সংসদে দাবি করলেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। লোকসভায় (Kiren Rijiju) তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইনের সংশোধনী (Waqf Amendment Bill) বিধানগুলি বছরের পর বছর ধরে একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন এবং লক্ষাধিক স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এদিন মন্ত্রী, ওয়াকফ সংস্থাগুলির দ্বারা অবৈধভাবে দখল করা জমি ও সম্পত্তির বেশ কয়েকটি উদাহরণ সংসদে পেশ করেন। “তামিলনাডুর তিরুচিরাপল্লি জেলায় ১,৫০০ বছরের পুরনো সুন্দরেশ্বর মন্দির সহ গোটা গ্রামটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়। একটু ভাবুন, পুরো গ্রামটিকে ওয়াকফ ঘোষণা করা হয়েছে। এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে।” জানান মন্ত্রী। 

    কর্পোরেশনের ভবনও কি ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Amendment Bill)

    এছাড়া, সুরাট মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের উদাহরণও পেশ করেন মন্ত্রী। “সুরাট মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের সদর দফতরকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে মন্ত্রীর ধর্ম নিয়ে এদিন সংসদে প্রশ্ন করে অসংসদীয় আচরণ করেন বিরোধী কয়েকজন সাংসদ। পাল্টা কিরেন (Kiren Rijiju) জবাব দেন, “এই দেশে কোনও পদে আসীন হতে গেলে বা মন্ত্রী হতে গেলে নির্দিষ্ট ধর্মের হতে হবে এই উল্লেখ সংবিধানে নেই। আমি একজন বৌদ্ধ, হিন্দু বা মুসলিম ধর্মের প্রতিনিধি নই। আমি সরকার এবং জনগণের প্রতিনিধি। কিন্তু আমি সব ধর্মকে সম্মান করি। এটাকে ধর্মীয় ইস্যু হিসেবে দেখবেন না। পুরসভা কি ব্যক্তিগত সম্পত্তি? পুরসভার সম্পত্তিকে কীভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা যায়?” তিনি প্রশ্ন তোলেন।

    মুসলিমদের অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের সুযোগ (Kiren Rijiju)

    ১৯৭৬ সালের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনের দিকেও ইঙ্গিত করেন কিরেন, যা ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। তিনি ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) বোর্ডে আরও প্রতিনিধিত্বের জন্য সাচার কমিটির সুপারিশ উল্লেখ করেছেন। মুসলিমদের মধ্যে শিয়া, বোহরা, আগাখানি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের জন্য প্রস্তাবিত আইনে বিধান তুলে ধরে তিনি (Kiren Rijiju) বলেন, “একটি সম্প্রদায় যদি ছোট সম্প্রদায়কে পিষ্ট করে, তাহলে এই সংসদ কীভাবে তা অনুমোদন করবে?”

    বিলের বিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে না

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী (Kiren Rijiju) এদিন অভিযোগ করেন, “বিরোধীরা এই সংস্থাগুলিতে ক্ষমতা দখল করার উদ্দেশ্যে একটি অংশকে উস্কে দিচ্ছে এবং ওয়াকফ কর্তৃপক্ষের জন্য মুসলমানদের মধ্যেই ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিলের (Waqf Amendment Bill) বিধানগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না এবং কোনওভাবেই সংবিধান লঙ্ঘন করে না। কেন্দ্র এই আইনের বিভিন্ন দিক খতিয়ে জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে সম্মত হয়েছে।”

    স্বচ্ছ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন

    রিজিজু (Kiren Rijiju) দাবি করেন, বিরোধীদের অনেক নেতা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি মাফিয়ায় পরিণত হয়েছে। এই বিল সময়ের দাবি, এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

    এর আগে, ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) বিলের প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল প্রস্তাবিত আইনটিকে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন। সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টিও এই বিলের বিরোধিতা করেছে। 

    আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীরা পাবেন মাসিক উপবৃত্তি, বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিনব উদ্যোগ অসমে

    Himanta Biswa Sarma: উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীরা পাবেন মাসিক উপবৃত্তি, বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিনব উদ্যোগ অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে অভিনব উদ্যোগ নিল অসম সরকার। উচ্চ শিক্ষা নেওয়া মেয়েদের মাসিক উপবৃত্তি ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। সরকারি-চালিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রীদের জন্য মাসিক আর্থিক সহায়তা দিতে নতুন প্রকল্প চালু করল অসম সরকার।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? (Himanta Biswa Sarma)

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “নতুন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিজুত ময়না’। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে এই গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অসম পুলিশ বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে দুটি বড় অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার এক বছর পর এই প্রকল্প চালু করা হল। এই প্রকল্পটি সকলের জন্য করা হয়েছে। তবে, যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান না, তারা স্বেচ্ছায় এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    ছাত্রীরা কত টাকা করে পাবেন?

    অসম (Assam) সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে শিক্ষাবর্ষের ১০ মাস ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের একজন ছাত্রী ১০ মাসের জন্য প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। স্নাতক স্তরে একজন ছাত্রী প্রতি মাসে ১২৫০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী ১০ মাসের জন্য প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা পাবে। এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি প্রাথমিকভাবে ছাত্রীদের প্রথম বছরের জন্য হবে। এই প্রকল্পের দুটি শর্ত রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর উপস্থিতি এবং তার “চরিত্র”-এর রেকর্ড বজায় রাখতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বা স্নাতক স্তরে থাকাকালীন বিবাহিত মেয়েদের জন্য বা মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদদের কন্যাদের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি প্রযোজ্য হবে না। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রথম বিভাগ পাওয়ার জন্য যারা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে স্কুটার পাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে না।

    অসমে বাল্যবিবাহ কোথায় বেশি?

    জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, অসমে (Assam) ৩১.৮ শতাংশ মেয়ে ২০-২৪ বছর বয়সের মধ্যে মা হয়েছেন। তার মানে তাঁদের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের আগে। মূলত ৩০ শতাংশ মেয়ের ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়। ফলে তাঁরা অপুষ্টিতে ভোগেন। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন এবং পারিবারিক হিংসার শিকার হন। মধ্য ও নিম্ন অসমে বাল্যবিবাহ সবচেয়ে বেশি।

    ১০ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন!

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”দক্ষিণ সালমারা এবং ধুবরি জেলায় ৫০ শতাংশেরও বেশি মেয়ের ১৮ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়। আমরা প্রায়ই দেখি যে তারা ১২-১৩ বছরের মধ্যে মা হয়ে যায়। আমরা বিশ্বাস করি, বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে শিক্ষাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে বিবাহের বয়স যদি আমরা আরও এক বা দুই বছর বাড়াতে পারি, তাহলে আমরা বাল্যবিবাহ এবং কিশোরী বয়সে গর্ভাধারণ বন্ধ করতে সক্ষম হব। সরকার ১০ লক্ষ ছাত্রীকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে চায়। এই প্রকল্পে পরবর্তী চার বছরের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jim Corbett National Park: জঙ্গলের রাজা বাঘ, ৫৮০ প্রজাতির পাখি! ঘুরে নিন করবেট ন্যাশনাল পার্ক

    Jim Corbett National Park: জঙ্গলের রাজা বাঘ, ৫৮০ প্রজাতির পাখি! ঘুরে নিন করবেট ন্যাশনাল পার্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫২০.৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক (Jim Corbett National Park) উত্তরাখণ্ডের অন্যতম সেরা অরণ্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শাল, সেগুন, শিমুল গাছে ঢাকা এই অরণ্যে রয়েছে হাতি, শম্বর, নীলগাই, ব্ল্যাক বিয়ার, হরিণ, বুনো শুকর। আর হ্যাঁ! আছে জঙ্গলের রাজা বাঘ। তবে ভাগ্য সহায় হলে তবেই দেখা মেলে তেনাদের। আর আছে প্রায় ৫৮০ প্রজাতির পাখি।

    প্রবেশের গেট ক’টি, কী কী দেখবেন? (Jim Corbett National Park)

    মোট ৫টি জোনে এই অরণ্যকে বিভক্ত করা হয়েছে। এক একটি জোনে প্রবেশের জন্য রয়েছে এক একটি প্রবেশদ্বার। যেমন  ১) ঝিরণা জোনে প্রবেশের জন্য রয়েছে রামনগর থেকে ১৮ কিমি দূরে ঝিরণা বা খাড়া বা কালাগড় গেট। ২) ধিকালা জোনে প্রবেশের জন্য রয়েছে রামনগর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে ধিকালা গেট বা ধানগড়ি গেট। ৩) দোমুণ্ডা জোনে প্রবেশের জন্য রয়েছে রামনগর থেকে প্রায় ২৮ কিমি দূরে সোনাডাঙা বা দুর্গাদেবী গেট। ৪) বিজরানি জোনের জন্য রয়েছে রামনগর থেকে প্রায় ৮ কিমি দূরে বিজরানি বা আমদান্ডা গেট এবং ৫) সোননাড়ি জোনের জন্য রয়েছে রতনবাসা গেট।

    রামনগর হল পার্কের মূল কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ন্যাশনাল পার্কের রিসেপশন সেন্টার। এখান থেকেই মেলে পার্কে প্রবেশের অনুমতিপত্র। এখান থেকে যে অনুমতিপত্র দেওয়া হয়, তা জঙ্গলে ঘোরার সময় (Bengal Tiger) সব সময় সঙ্গে রাখতে হয়। ফেরার সময় যে জোনে সাফারি হবে, সেই জোনের ফরেস্ট রিসেপশন থেকে দেওয়া ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট গেটে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়াও সঙ্গে সচিত্র পরিচয়পত্র রাখতে হবে। এক যাত্রায় দেখে নেওয়া যায় ধিকালা গেটের কাছে অবস্থিত করবেট মিউজিয়াম, গর্জিয়া দেবীর মন্দির, কালাধুঙ্গির করবেট মিউজিয়াম, করবেট ওয়াটার ফলস প্রভৃতি।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    করবেট (Jim Corbett National Park) ভ্রমণের জন্য আসতে হবে রামনগর। কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে নামতে হবে মোরাদাবাদ। সেখান থেকে লোকাল ট্রেন আসছে রামনগর। আবার হলদোয়ানি (৮৪ কিমি), কাঠগোদাম (৭৭) কিমি এবং নৈনিতাল (৬৫ কিমি) থেকেও বাস আসছে রামনগর।
    থাকা-খাওয়া-রামনগরে আছে কেএমভিএন (KMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস (ফোন-০৫৯৪৭-২৫১২২৫)। এছাড়াও করবেট ন্যাশনাল পার্ক বা এর আশেপাশে রয়েছে বেশ কিছু থাকার ও খাওয়ার হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Board: ‘‘গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন’’, আইনজীবীকে কটাক্ষ বিচারপতির

    Waqf Board: ‘‘গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন’’, আইনজীবীকে কটাক্ষ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় বৃহস্পতিবারই পেশ করা হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। কিন্তু এরই মধ্যে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) বিরুদ্ধে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি আবেদনের শুনানি চলাকালীন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের (Madhya Pradesh High Court) বিচারপতির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ওই ভিডিওতে বিচারপতি এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীকে কটাক্ষ করে বলছেন, ”পুরে ভারত কো ওয়াকফ সম্পত্তি বানা দো” অর্থাৎ ”গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন।” একইসঙ্গে ওই আইনজীবীকে বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেছিলেন যে, কীভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি সরকারের সংরক্ষিত সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে বৈধতা দিতে পারে? এছাড়াও ভাইরাল ওই ভিডিওতে বিরক্ত বিচারককে বলতে শোনা যায়, ”তাজ মহলকেও ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করুন, আপনাকে কে বাধা দিচ্ছে!” 

    আগে কী ঘটেছিল? 

    উল্লেখ্য, ১১ বছর আগে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) ২০১৩ সালের জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে শাহ সুজা এবং নাদির শাহের সমাধির মালিকানা দাবি করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সে সময় ওয়াকফ বোর্ডের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেই মামলারই শুনানির সময়, বিচারপতি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিলেন, কিসের ভিত্তিতে সরকারের প্রাচীন সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে দাবি করা হচ্ছে? যার জবাবে আইনজীবী বলেন, ”এটি একটি বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে দাবি করা হয়েছে।”   

    আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য 

    আইনজীবীর এই উত্তর শুনেই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা বলেন, ”আমার শুধু একটা প্রশ্ন আছে… আগামিকাল যদি আগরওয়ালজির (যে কোনও একজন ব্যক্তি) সম্পত্তির ওপর বিজ্ঞপ্তি বের হয়, তাহলে সেটাও কি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হবে? তাহলে তো এবার ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) যে কোনও সরকারি অফিসকে তার সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করতে পারে!..”  

    এরপর মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট বুরহানপরের ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির উপর ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) সমস্ত দাবিকে বাতিল করেছে এবং ১৯০৪ সালে তৈরি প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে আইনের অধীনে সুরক্ষিত সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করেছে৷ এছাড়াও আদালতের (Madhya Pradesh High Court) তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৮৯ সালে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি, আইনি অনুমতি ছাড়াই কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে বৈধতা দিতে পারবে না৷ 
       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rice ATM: চাল চুরি, কালোবাজারি রুখতে অভিনব উদ্যোগ বিজেপির, ওড়িশায় চালু ‘রাইস এটিএম’

    Rice ATM: চাল চুরি, কালোবাজারি রুখতে অভিনব উদ্যোগ বিজেপির, ওড়িশায় চালু ‘রাইস এটিএম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার ভুবনেশ্বরে (Bhubaneswar) চাল বণ্টনের জন্য ভারতের প্রথম ‘রাইস এটিএম’ (Rice ATM) চালু করা হয়েছে। পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস)-এর অধীনে এই বণ্টন ব্যবস্থার প্রবাহকে আরও গতি প্রদান করার প্রয়াসে বৃহস্পতিবার এই এটিএম-এর সফল পূর্বক উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে এই ‘রাইস এটিএম’ মেশিনটি মঞ্চেশ্বরের একটি গুদামে স্থাপনা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী কৃষ্ণচন্দ্র পাত্র উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, “এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।”

    ‘রাইস এটিএম’ কীভাবে কাজ করে (Rice ATM)?

    পিডিএস-এর আওতায় যোগ্য রেশন কার্ড (Rice ATM) ধারকদের মধ্যে চাল বিতরণের কাজকে সহজ করার জন্য রাইস এটিএম তৈরি করা হয়েছে। এই মেশিনটি জনপ্রতি ২৫ কেজি পর্যন্ত চাল বিতরণ করতে পারবে। প্রথমে গ্রাহকদের মেশিনের টাচস্ক্রিন ডিসপ্লেতে রেশন কার্ড নম্বর টাইপ করতে হবে। এরপর বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করতে হবে আর ঠিক তারপরেই এটিএম থেকে নির্ধারিত চাল বের হতে শুরু করবে। গ্রাহকদের জন্য চাল বিতরণের এই ব্যবস্থা সময়কে যেমন সাশ্রয় করবে, তেমনি বিতরণ কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না। আবার একই সঙ্গে চাল চুরি ও কালোবাজারি রোধ করতে ব্যাপক সহায়ক হবে।

    আরও পড়ুনঃ“ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের অধীন’

    ওড়িশার খাদ্য সরবরাহ ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী কৃষ্ণচন্দ্র পাত্র এই বিষয়ে বলেন, “রাইস এটিএম (Rice ATM) ভারতে এই প্রথম চালু করা হয়েছে। রাইস এটিএমের লক্ষ্য ভর্তুকিযুক্ত চালের কালোবাজারি রোধ করা। সুবিধাভোগীরা যে কোনও মানুষের সহযোগিতা ছাড়াই সঠিক পরিমাণে চাল পাবেন এবার থেকে। এই রাইস এটিএম প্রাথমিকভাবে ভুবনেশ্বরে (Bhubaneswar) চালু করা হল, এরপর রাজ্যের ৩০টি জেলায় প্রসারিত করা হবে। এই মডেলটি ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পে’র অধীনে, পরবর্তী সময়ে অন্যান্য রাজ্যেও প্রসারিত হবে। স্বয়ংক্রিয় চালের এটিএমের মাধ্যমে ভর্তুকিযুক্ত রেশন পেতে সহায়ক হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share