Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Wayanad Landslides: কুর্ণিশ! টানা ৩ ঘণ্টা ভারতনাট্যম নেচে উপার্জিত অর্থ ওয়ানাড় ত্রাণ তহবিলে দান কিশোরীর

    Wayanad Landslides: কুর্ণিশ! টানা ৩ ঘণ্টা ভারতনাট্যম নেচে উপার্জিত অর্থ ওয়ানাড় ত্রাণ তহবিলে দান কিশোরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিণী শ্রী নামে ১৩ বছর বয়সি তামিলনাড়ুর এক কিশোরী টানা তিন ঘণ্টা ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করেছে। কেন জানেন? নিজের জন্য সে এই নাচ করেনি। শুধুমাত্র কেরলের (Kerala) ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করতেই সে এই উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার জমানো অর্থ সহ ১৫ হাজার টাকা সে ত্রাণ তহবিলে দান করেছে। তার এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছে দেশবাসী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে তাকে আশীর্বাদ করেছেন।

    ওয়েনাড়ে চলছে অভিযান (Wayanad Landslide)

    কেরলে (Kerala) ওয়েনাড়ে ব্যাপক ভূমিধসের কারণে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ৩০০ বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনীর কর্মী, এসওজি কর্মকর্তা এবং বন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার থেকে বনের অভ্যন্তরে সুজিপ্পাড়ার সানরাইজ ভ্যালিতে অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। দশ দিনের উদ্ধার অভিযান শেষ করার পরে ফেরার পথে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপর, উদ্ধার অভিযানের দায়িত্ব এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ফায়ার ফাইটার্স ফোর্স এবং কেরল পুলিশের বাহিনীকে হস্তান্তর করা হবে। তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর এবং বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৫০০ সদস্য নিয়ে গঠিত ভারতীয় সেনা একটি ব্যাটালিয়ন ফিরে আসতে চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা অস্থায়ীভাবে নির্মিত বেইলি ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি দল এলাকায় থাকবে।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ওই কিশোরীকে দেখা করে আশীর্বাদ করেছেন

    ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারগুলি এখন অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তা করছে। ৩০ জুলাই ওয়েনাড় (Wayanad Landslide) বিপর্যয়ের শিকার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০ কেজিরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী, ৮ জন বেসামরিক ব্যক্তি এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের দলগুলিকে হেলিকপ্টার দ্বারা এয়ারলিফ্ট করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড় পরিদর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Amendment Bill: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

    Waqf Amendment Bill: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে (Waqf Amendment Bill) বিরোধীরা যতই হইচই করুক না কেন, এই ইস্যুতে বিজেপিকে পূর্ণ সমর্থন জানাল এনডিএর সহযোগী দলগুলি (NDA)। তেলুগু দেশম পার্টি, শিবসেনা এবং লোক জনশক্তি পার্টি বৃহস্পতিবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। সহযোগী দলগুলির দাবি, এতে ওয়াকফের কর্মপদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আসবে। মসজিদ পরিচালনা কিংবা মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কোনও উদ্দেশ্য নেই এই বিলে।

    জনতা দল ইউনাইটেডের সমর্থন (Waqf Amendment Bill)

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বৃহস্পতিবার ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) সংসদে পেশ করেন এবং বিরোধী দলগুলি এই বিলের প্রস্তাবিত সংশোধনের বিরোধিতা করে এবং একে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করে। সরকার পক্ষ তা মেনে নেয়। সরকারের তরফে বিলটি লোকসভায় পেশ করার পর সাংসদদের বক্তৃতার সময়, (NDA) জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং ‘ললন’ জোর দিয়ে বলেন, “এই বিলটি কোনওভাবেই মুসলিম বিরোধী নয়। বিলের পক্ষে তিনি বলেন, “বেশ কয়েকজন সাংসদ দাবি করছেন, ওয়াকফ আইন সংশোধন মুসলিম বিরোধী। কিন্তু এটা কোনও ভাবেই মুসলিম বিরোধী নয়। এখানে অযোধ্যার উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে। একটি মন্দির এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছে না বিরোধীরা। এই বিলটি আইনে পরিণত হলে, ওয়াকফের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আসবে। ওয়াকফ বোর্ড কিভাবে গঠিত হয়েছিল, তা সকলেই জানে।”

    বিল সম্পর্কের মন্ত্রীর অবস্থান

    সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কোনও প্রতিষ্ঠান স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আইন আনার অধিকার সরকারের রয়েছে। বিরোধী দলগুলির নিন্দা করে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে কোনও (Waqf Amendment Bill) সাম্প্রদায়িক বিভাজন নেই। বিরোধীরা গুজব ছড়াচ্ছেন।” ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি প্রশ্ন করেন, “কে হাজার হাজার শিখকে হত্যা করেছে?” বিল আসা উচিত এবং স্বচ্ছতা আনা উচিত,” জোরগলায় বলেন কিরেন।

    টিডিপি-র বক্তব্য (NDA)

    তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সাংসদ জিএম হরিশ বালাযোগী জানিয়েছেন,  (Waqf Amendment Bill) বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হলে, তাঁর দল আপত্তি করবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন,  “সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিল এনেছে, আমি তার প্রশংসা করি। করদাতাদের উদ্দেশ্য রক্ষা করা দরকার।

    আরও পড়ুন: গরীব ও মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্যই ওয়াকফ সংশোধনী, দাবি কেন্দ্রের

    যখন উদ্দেশ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়, তখন সংস্কার আনা এবং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা প্রবর্তন করা সরকারের দায়িত্ব। ”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tiger: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে ছত্তিশগড়ে, ছাড়পত্র দিল বিজেপি সরকার

    Tiger: ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে ছত্তিশগড়ে, ছাড়পত্র দিল বিজেপি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র (Tiger) সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে এই প্রকল্প দীর্ঘদিন আটকে ছিল। এবার রাজ্যের বিজেপি সরকার তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বন্যপ্রাণী ও পরিবেশপ্রেমীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের নাগার্জুন সাগর শ্রীশৈলম টাইগার রিজার্ভ ভারতের বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। ঠিক তার পরেই রয়েছে অসমের মানস টাইগার রিজার্ভ কেন্দ্র। এটি আনুমানিক ২৮৩৭.১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার।

    ২৮২৯.৩৮০ বর্গ কিমি জমি বরাদ্দ (Tiger)

    রাজ্যের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা গুরু ঘাসীদাস-তামর পিংলা টাইগার (Tiger) রিজার্ভের জন্য মোট ২৮২৯.৩৮০ বর্গ কিমি জমি বরাদ্দ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র গঠনের জন্য দেওয়া অঞ্চলটি বেশ সুরক্ষিত। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং আবাসস্থল বাঘের জন্য ভীষণ উপযুক্ত। ফলে বাঘের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গুরু ঘাসীদাস জাতীয় উদ্যান এবং তামোর পিংলা অভয়ারণ্যের অঞ্চলগুলিকে একত্রিত করে নতুন ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে। একই ভাবে মানেন্দ্রগড়-চিরমিরি-ভরতপুর, কোরিয়া, সুরাজপুর এবং বলরামপুর জেলাগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    সর্বশেষ গণনায় বাঘের সংখ্যা রাজ্যে ১৭

    ভারতে যাতে বাঘের (Tiger) সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অভয়ারণ্য কেন্দ্র হিসেবে ছত্তিশগড়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তাই এই রাজ্যের বিজেপি সরকার দেশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে প্রকল্পের ছাড়পত্র দিয়েছে। উল্লেখ্য আগেই ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক অনুমোদন দিয়েছে। এবার এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে আর কোনও বাধা রইল না।

    বিগত কয়েক বছরে ক্রমেই ছত্তিশগড়ে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছিল। এই পটভূমিতে সরকারের অনুমোদন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ। সর্বশেষ গণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী এই রাজ্যে বাঘের সংখ্যা মাত্র ১৭। অথচ ২০১৪ সালের গণনায় এই সংখ্যা ছিল ৪৬। ফলে ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ৭ হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন, জানাল কেন্দ্র

    Bangladesh Crisis: ৭ হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরও অশান্ত বাংলাদেশ। আর আগে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখনও দেশজুড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কত ভারতীয় পড়়ুয়া বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) থেকে দেশে ফিরেছেন রাজ্যসভায় সেই তথ্য দিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।

    ৭২০০ বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন (Bangladesh Crisis)

    বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, শিক্ষা বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) বসবাসকারী ভারতীয়দের মোট সংখ্যা কত? বাংলাদেশে বসবাসরত গুজরাটের লোকের সংখ্যা এবং হিংসায় বিধ্বস্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে কিনা। এই বিষয়ে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৯ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। তারমধ্যে ৯ হাজারের বেশি ছাত্র রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ৭ হাজার ২০০ জনের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন। বাংলাদেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসম রাজ্যের। বাংলাদেশে আমাদের মিশন এবং পোস্টগুলি রাজ্যভিত্তিক তালিকা রক্ষণাবেক্ষণ করে না। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় সহকারি হাইকমিশনগুলো ভারতীয় নাগরিকদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে অপেক্ষারত পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সমন্বয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৮ জুলাই থেকে শুরু করে ১ অগাস্ট পর্যন্ত ৭২০০ বেশি ভারতীয় ছাত্র ভারতে ফিরে এসেছেন।  

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    চিনা প্রভাব নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথ্য ভাগ করে বলেন, ‘‘ইমিগ্রেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (IRCC) এর ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভারতীয় (Indian) ছাত্রের ভর্তি গত তিন বছরে বেড়েছে। ২০২১ সালে ছিল ২,১৬,৩৬০ জন। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৩, ১৮,৩৮০ জন। আর ২০২৩ সালে সংখ্যা আরও বেড়ে হয় ৪,২৭,০৮৫ জন।’’ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে ‘ক্রমবর্ধমান চিনা প্রভাব’ সম্পর্কে সরকার সচেতন কিনা তা মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে এই দেশগুলির সম্পর্ক থেকে যা স্বাধীন। সরকার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলে এমন সমস্ত উন্নয়নের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখে। আর এটি রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    PM Modi: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাশাপাশি, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করার আহ্বানও জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমাজ মাধ্যমের পাতায় মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) লিখেছেন, ‘‘নতুন দায়িত্ব পাওয়ার মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা। আশা করি বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’ তারপরেই তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’’

    ৮৪ বছর বয়সি ইউনূস ২০০৬ সালেই পেয়েছিলেন নোবেল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট বার্তায় আরও জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের জনগণের যৌথ আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রসঙ্গত, ৮৪ বছর বয়সি মহম্মদ ইউনূস হলেন একজন অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ২০০৬ সালে তাঁর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ভাবনার জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি, নানান জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের সম্মানও পেয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, মোদিকে (PM Modi) চিঠি ছাত্রীর

    প্রসঙ্গত, অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা খুবই খারাপ। বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশা নিয়ে এক কিশোরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লেখেন। বৃহস্পতিবারই সামনে আসে ওই চিঠি। হিন্দুদের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘‘এ দেশে সব চেয়ে খারাপ যে জিনিসটা ঘটছে, তা হল হিন্দুদের ওপর নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ ও নির্যাতন। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি, যা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের ওপর অকল্পনীয় নির্যাতন শুরু করেছে। মহিলারা ধর্ষিত (Bangladesh Crisis) হচ্ছেন। ওরা বাড়িঘর-মন্দিরে গুলি চালাচ্ছে। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। লাখ লাখ টাকা চাঁদা চাইছে। না দিলে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই যা দেখছে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা। আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে। এ দেশে সব অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি একে চিরতরে বাজে লোকদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মধ্যে ভালো কিছু দেখি না। বরং এই অপশক্তিকে রুখতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আমি মনে করি, এ পৃথিবীতে ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Hindu: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন! আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইল দিল্লির সংস্থা

    Bangladeshi Hindu: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন! আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইল দিল্লির সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির একটি স্বাধীন সংস্থা হল ‘দ্য সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড অ্যান্ড হলিস্টিক স্টাডিস’ (CIHS)। সম্প্রতি, এই সংস্থা একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে বাংলাদেশি হিন্দুদের (Bangladeshi Hindu)  ওপর। ওই রিপোর্টে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘হিন্দু জেনোসাইড আনফোল্ডিং ইন বাংলাদেশ’,  এবং এখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে বেছে বেছে টার্গেট বানানো হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের। এর ফলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সর্বদাই লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, এমন কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে। এর পাশাপাশি, ওই সংস্থার পক্ষ থেকে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপেরও দাবি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত ওই সংস্থা, ‘সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড অ্যান্ড হলিস্টিক স্টাডিজ’- এই রিপোর্ট তৈরি করেছে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। বিগত ৭৬ বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমশই কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। হিন্দু জনগোষ্ঠীর (Bangladeshi Hindu) এমন সংখ্যা ক্রমশই কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে সাম্প্রদায়িক হিংসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের পাশাপাশি বৈষম্যকেও দায়ী করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুর জনসংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশ কিন্তু ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ শতাংশে।

    মহিলাদের ওপর নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ধর্মান্তকরণ সম্ভব হয়েছে (Bangladeshi Hindu) 

    ওই রিপোর্টে উল্লেখযোগ্যভাবে দাবি করা হয়েছে, বিগত ৭৬ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা কোনও স্বাভাবিক কারণে কমেনি। উপরন্ত তা কমানো হয়েছে অত্যাচারের মাধ্যমে, ধর্মান্তকরণের (Bangladeshi Hindu) মাধ্যমে। ওই সংস্থার রিপোর্টে আরও দাবি জানানো হয়েছে যে, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ধর্মান্তকরণ সম্ভব হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, বেছে বেছে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান এবং মূর্তিগুলির উপরে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটেছে লুট এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও। হিন্দু সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বাংলাদেশ থেকে মুছে দেওয়ার জন্যই এমন তাণ্ডব সেখানে মৌলবাদীরা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই রিপোর্টে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের নতুন কালী মন্দির অথবা চট্টগ্রামের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের কথা। এই মন্দিরগুলিতে লুট হয়, মূর্তি ভাঙা হয় এবং সম্পূর্ণভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলাতে গৌড়-নিতাই মন্দিরে হামলা চালায় একদল মৌলবাদী। সেখানকার হিন্দু জনগোষ্ঠীগুলির বাড়িতেও লুট চালানো হয়।

    ২০২৪ সালের ১৪ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত ৫৭ টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে

    সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন ছিল আসলে মুখোশ, যার মুখ বেরিয়ে এল গত সোমবারই। ক্ষমতার রাশ সম্পূর্ণভাবে চলে এসেছে জামাত-ই-ইসলাম এবং বিএনপি’র মতো সংগঠনগুলির হাতে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে হেফাজতি ইসলামের মতো সংগঠনগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার যে সংজ্ঞা রয়েছে তার প্রতিটি শর্তই পূরণ করেছে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindu) মৌলবাদীরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দু পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমারকে কুপিয়ে হত্যা করে জেহাদিরা। অন্যদিকে হিন্দু রাজনৈতিক নেতা হারাধন রায় ও তাঁর ভাইপোকে যেভাবে হত্যা করা হয় তাতে বোঝাই যায় যে সম্পূর্ণভাবে এই ঘটনা সাম্প্রদায়িক। ওই সংস্থার (CIHS) রিপোর্টে ২০২৪ সালের ১৪ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৬ অগাস্ট পর্যন্ত ৫৭টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।

    জুন মাসের ঘটনাগুলি

    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ১৪ বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindu) লক্ষীপুরের একটি ঘটনা ঘটে, যখন ১৪ বছরের একজন হিন্দু নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় জেহাদিরা, স্থানীয় গালইয়ারচর গ্রাম থেকে। ঠিক তার পরের দিন ঢাকাতেই একটি হিন্দু পরিবার, যারা লালবাগ অঞ্চলে বসবাস করত তাদের ওপরে ভয়ঙ্কর হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তাদের বাড়িতে লুট চালানো হয়। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে একাধিক ঘটনা ঘটে যখন হিন্দুর মন্দিরগুলিতে উগ্র মৌলবাদীরা হামলা চালায়। এই ঘটনা ঘটে গত জুনের ২৫ তারিখ।

    জুলাই ও অগাস্টের হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা

    জুলাই মাসেও একই ধরনের তাণ্ডবলীলা চালাতে থাকে মৌলবাদীরা। ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ইসলামিক মৌলবাদীরা হিন্দুদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি, হিন্দুদের বাড়িগুলিতেও হামলা চালানো হয়। ১৪ জুলাই ঢাকাতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই বরিশালে হিন্দুদের ব্যবসার প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে হামলা চালানো হয়। চলতি অগাস্ট মাসের ৪ তারিখ হিন্দু কাউন্সিলর কাজল রায়কে হত্যা করা হয়। ইস্কন ও কালী মন্দির ভাঙচুর করা হয় নোয়াখালিতে। একই দিনে উগ্র মৌলবাদীরা তাণ্ডব চালাতে থাকে এবং সেখানকার রায়গঞ্জের হিন্দু সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিককে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে হিন্দু দোকানগুলিকে লুট করা হয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও সংগঠনগুলি অভিযোগ, ২৯টি জেলাতেই হিন্দুদের উপরে আক্রমণ চলে।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে দাবি

    ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সিআইএইচএস আবেদন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হিন্দু জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা এমন দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের কাছে। ভারত সরকারের কাছে একইভাবে ওই সংস্থা দাবি জানিয়েছে যে, কূটনৈতিকভাবে চাপ তৈরি করে বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে যেন রক্ষা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nityanand Rai: কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই

    Nityanand Rai: কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরি অভিবাসীদের জন্য বড় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আর্থিক প্যাকেজ, এমনকী কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityanand Rai) লোকসভায় এই ঘোষণা করেছেন।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Nityanand Rai)

    তিনি (Nityanand Rai) বলেন, কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্যাকেজ, ২০১৫ এবং প্রধানমন্ত্রীর পুনর্গঠন পরিকল্পনা, ২০০৮-এর অধীনে ৬ হাজার চাকরি অনুমোদন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৭২৪টি পদ পূরণ করা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। লোকসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি যোগ্য কাশ্মীরি অভিবাসী প্রতি মাসে ৩২৫০ টাকা করে পান। এছাড়া তাঁদের পরিবারকে প্রতি মাসে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি যোগ্য কাশ্মীরি অভিবাসীকে প্রতি মাসে ৯ কেজি চাল আর ২ কেজি আটা দেওয়া হয়। আর দেওয়া হয় প্রতি মাসে ১ কেজি চিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান প্যাকেজের অধীনে তাঁদের জন্য ৬ হাজার ট্রানজিট আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    নিরাপত্তা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, কাশ্মীরি অভিবাসী (Kashmiri Migrant) শিবিরগুলিতে চারটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ পাঁচটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক। স্ট্যাটিক গার্ডের সঙ্গে গ্রুপ সিকিউরিটি, কৌশলগত অবস্থানে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য চেকপয়েন্ট রাখা হয়েছে। রাতে টহলের ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে যথাযথ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। ২০২১ সালের অগাস্টে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে, যেখানে কাশ্মীরি অভিবাসীদের জমি দখল, নাম পরিবর্তন, সম্পত্তি পরিবর্তন, বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ জানানো যাবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, আয়ুষ্মান গোল্ডেন হেলথ কার্ড, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ক্যাম্পে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইন পোর্টাল www.jkmigrantrelief.nic.in এর মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: স্বাধীনতা দিবসের আগে ১৫ জঙ্গির ছবি প্রকাশ দিল্লি পুলিশের, সঙ্গে পুরস্কার ঘোষণা

    Delhi Police: স্বাধীনতা দিবসের আগে ১৫ জঙ্গির ছবি প্রকাশ দিল্লি পুলিশের, সঙ্গে পুরস্কার ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগে, দেশের রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। তারই অঙ্গ হিসেবে শহরজুড়ে কুখ্যাত আল কায়দা এবং খালিস্তানি জঙ্গিদের নাম ও ছবি সমেত পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের এই কৌশল বিশেষ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে তথ্য দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। সন্ত্রাস দমনে এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দিল্লিবাসীর একাংশ।

    ছয়জন আল-কায়দা জঙ্গির তল্লাশি (Delhi Police)

    দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) বলেছে, “যাঁরা সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে এগিয়ে আসবেন, তাঁদের উপযুক্ত সম্মানে সম্মানিত করা হবে। তবে তথ্যদাতাদের নাম গোপন রাখা হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং সন্ত্রাসীদের ধরপাকড় করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” খান মার্কেটের মহিলা পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর কোমল শাক্য বলেন, “নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য এটি করা হয়েছে। এখন পোস্টারে মোট পনেরো জন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য তাদের মধ্যে ছয়জন আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত। দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃলোকসভায় পেশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, কী কী নতুন বৈশিষ্ট্য আছে?

    পাঞ্জাবের ২৮টি জেলায় চলছে তল্লাশি

    দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) সঙ্গে পাঞ্জাব পুলিশও অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে নেমে পড়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি গৌরব যাদবের নির্দেশে ২৮টি পুলিশ জেলায় একযোগে দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টে পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছে। সন্দেহজনক এলাকাগুলিতে কুকুরদের সহায়তায় তল্লাশি চালানোর কথা বলে এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের টিমগুলি নিজ নিজ জেলার সমস্ত বাসস্ট্যান্ডে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি অভিযান চালাবে বলে জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: ইউপিআই-এর মাধ্যমে কর প্রদানের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করল আরবিআই

    RBI: ইউপিআই-এর মাধ্যমে কর প্রদানের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং বড় লেনদেন সক্ষম করার জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এবার থেকে ইউপিআই-এর (UPI Payment) মাধ্যমে ট্যাক্স পেমেন্টের ঊর্ধ্বসীমা প্রতি লেনদেনে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এর আগে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দেওয়া যেত ইউপিআই-এর মাধ্যমে।

    ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ (RBI)

    আরবিআই-এর (RBI) উদ্দেশ্য, ডিজিটাল মাধ্যমে (UPI Payment) লেনদেনকে আরও উদ্বুদ্ধ করা। নতুন বর্ধিত সীমায় ট্যাক্স প্রদানে করদাতারা উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছে সরকার। এই উদ্যোগটি ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে এবং নগদ অর্থের উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য আরবিআই-এর প্রচেষ্টার একটি অংশ। আরবিআই আশা করছে এই ব্যবস্থাটি করদাতাদের মধ্যে ট্যাক্স নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে। বর্ধিত সীমা করদাতাদের একক লেনদেনের ক্ষেত্রে অধিক কর প্রদানের অনুমতি দেবে। একক ক্ষেত্রে একাধিক বার অর্থপ্রদানের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে এই ব্যবস্থা।

    ডেলিগেটেড পেমেন্ট চালু করার ভাবনা (UPI Payment)

    রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) পর্যায়ক্রমে ক্যাপিটাল মার্কেট, আইপিও সাবস্ক্রিপশন, ঋণ সংগ্রহ, চিকিৎসা বিমা এবং শিক্ষামূলক পরিষেবার মত বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিভিন্ন সময়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করেছে। ইউপিআই (UPI Payment) এর ক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি ছাড়াও ডেলিগেটেড পেমেন্ট চালু করার কথাও বিবেচনা করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রাহকদের ইউপিআই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ প্রদান করার জন্য অন্যদেরও অনুমোদন করতে সক্ষম করবে। যার ফলে ডিজিটাল পেমেন্টের নাগাল আরও বৃদ্ধি পাবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মূল্যে দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় ভারতীয় রেল। প্রায় ২০ হাজার ট্রেনে অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তথা “কবচ” বসানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। আনা হচ্ছে ‘কবচ ৪.০’। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার ট্রেনে ‘কবচ ৪.০’ বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণও করেছে রেলমন্ত্রক। বুধবার এই বিষয় নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কবচ ৪.০-তে রয়েছে ‘টেম্পোরারি স্পিড রেস্ট্রিকশন’, উন্নত ব্রেকিং কার্ভ এবং লোকেশন প্রিসিশনের মতো অতিরিক্ত ফিচার। 

    রেলমন্ত্রীর ঘোষণা

    ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মধ্য রেলের ১ হাজার ৪৬৫টি রুটের ১৪৪টি রেকে এই ‘কবচ’ চালু করা হয়েছে। দিল্লি-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই সেকশনে অটোমেটিক সিগন্যাল সেকশনের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, আপাতত দু’টি ব্যস্ততম রুটে এই ‘কবচ’ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি- দিল্লি-মুম্বই এবং অন্যটি দিল্লি-হাওড়া। এই প্রক্রিয়া এই অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।নতুন এই কবচের নাম রাখা হয়েছে ‘কবচ ৪.০’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ধীরে ধীরে প্রতিটি সেকশনেই কবচ ৪.০ আনা হবে। ভারতের প্রাণ রেলওয়ে তাই মরুভূমি থেকে জঙ্গল প্রতিটি রেললাইনেই এই অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধী ব্যবস্থা আনতে চলেছে ভারতীয় রেল।

    কী ভাবনা রেলের

    দিল্লি-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বই রেলপথে কবচ বসানোর কাজ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে, বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। অ্যান্টি-কলিশন প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার কবচের কাজ চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরাল বা সোনালী চতুর্ভুজে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ হয়। ১০ হাজার ইঞ্জিনে কবচ বসানো ছাড়াও সারা দেশে ৮,০০০ রেল স্টেশন লিডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং, একটি রিমোট সেন্সিং পদ্ধতি যা পৃথিবীতে রেঞ্জ পরিমাপ করতে স্পন্দিত লেজারের আকারে আলো ব্যবহার করে) এবং ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ করা হবে। এর পরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে একযোগে সমস্ত স্টেশনে কবচ ডেটা সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share