Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jaisalmer Fort: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    Jaisalmer Fort: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়সলমেরে প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rains) দ্বাদশ শতকের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’র (Jaisalmer Fort) দেওয়াল ধসে পড়েছে। একে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে ছিল। তবে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরানো দেওয়ালগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আর অতিভারী বর্ষণে তা ভেঙে পড়েছে।

    দেওয়ালের পাথর ধসে রাস্তায় স্তূপ (Jaisalmer Fort)

    জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের (Heavy Rains) কারণে শহরের একাধিক এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ধস-জনিত সমস্যা। এই কারণেই দূর্গের প্রাচীরের একাংশে ফাটল দেখা দেয় এবং তা ধসে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে, প্রায় ১১টার দিকে এই কেল্লার শিব রোডের দেওয়ালটি ভেঙে পড়ে। দুর্গের দেওয়ালের পাথর ধসে রাস্তায় স্তূপ হয়ে রয়েছে। কিন্তু এই দেওয়ালে ধসজনিত ভাঙন প্রথম নয়। আগেও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) থেকে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছিল। এই বর্ষায় প্রাচীরের একাংশ ভেঙে পড়েছে, যা দুর্গের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। 

    রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এএসআই-এর

    জয়সলমের পুরসভার কমিশনার লাজপাল সিং বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ একটি দল নিয়ে দুর্গে (Jaisalmer Fort) পৌঁছেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার দু’পাশে আটকে দিয়েছে। অন্যদিকে, আরও বড় দুর্ঘটনা এড়াতে একটি দলকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করেছে পুরসভা। এই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এএসআই-এর উপর ছিল। তাদেরকে ধসের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এই দুর্গটি অনেক পুরনো, সেইসঙ্গে জনবসতিপূর্ণ। প্রবল বৃষ্টির সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।”

    বিশেষ দল পরিদর্শন করবে

    এএসআই রাজস্থান বিভাগের একজন আধিকারিক বলেন, “উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি উচ্চপর্যায়ের দল পরিদর্শন করবে। আমরা দুর্গের (Jaisalmer Fort) ক্ষয়ক্ষতি মেরামত এবং যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করব।”

    স্থানীয় বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    স্থানীয় দুর্গ (Jaisalmer Fort) বিশেষজ্ঞ চন্দন ভাটি বলেন, “এএসআই-কে সোনার কেল্লায় এই ধরনের ক্ষতি সম্পর্কে আগেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা উপেক্ষা করেছে। গত কয়েক দিনে এই দুর্গে বেশ কিছু ছোটখাট ক্ষতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। আমরা বহুবার এএসআই-কে অনুরোধ করেছি। এমনকী, কেল্লার ঐতিহ্য রক্ষায় একাধিক স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদাসীন ছিল। আবারও বলছি দুর্গের দেওয়ালগুলি খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে, যা অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার, নয় তো আরও বড় বিপদ ঘটবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    ১১৫৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল দুর্গ

    রাজস্থানের এই দুর্গ (Jaisalmer Fort) বিশ্বের খুব কম জীবন্ত দুর্গগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এটি রাজস্থানের দ্বিতীয় প্রাচীনতম দুর্গ। দুর্গটি ১৫০০ ফুট (৪৬০ মিটার) দীর্ঘ এবং ৭৫০ ফুট (২৩০ মিটার) চওড়া এবং এটি একটি পাহাড়ের উপর নির্মিত, যা পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের তুলনায় ২৫০ ফুট (৭৬ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। দুর্গে রয়েছে একটি ১৫ ফুট (৪.৬ মিটার) দৈর্ঘ্যের প্রাচীর, যা দুর্গের বাইরের বলয়কে ধরে রেখেছে। আনুমানিক ১১৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা রাওয়াল জয়সওয়াল নির্মাণ করেন এই দুর্গ। এরপর তাঁর নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়েছে। মুসলমান পাঠান, মুঘল ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার গৌরব গাথা এই দুর্গ বহন করছে। দুর্গের বিশাল দেওয়ালগুলি হলুদ বেলেপাথরের তৈরি। দিনের বেলায় এই দেওয়াল সিংহের রঙের মতো ছোপ ছোপ দেখায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে মধু-সোনা হয়ে যায় এবং তা হলুদ মরুভূমিতে মিশে যায়। এটি সোনার কেল্লা, সোনার দুর্গ বা স্বর্ণ দুর্গ নামেও পরিচিত। রাজস্থানের অন্য পাঁচটি দুর্গের মতো জয়সলমেরের এই দূর্গটি পার্বত্য দুর্গেরই অংশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    Bangladesh Crisis: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রতিবেশী দেশটিতে হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুরা। বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border)। যদিও এর জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়নি। গুলি চালানোরও কোনও দরকার পড়েনি। 

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ ও তৎপর বিএসএফ (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শয়ে শয়ে শরণার্থীরা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইছেন। বুধবার দুপুর থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সীমান্তে ভিড় করেছেন বহু বাংলাদেশি। কার্যত কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সীমান্তে দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ভারতে প্রবেশ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। 

    তবে, এমন ঘটনা (Bangladesh Crisis) যে ঘটতে পারে তার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিল বিএসএফ। তাই সোমবারের পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বুধবার কিছু মানুষ আসা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border) সীমান্তেও বাহিনী সংখ্যা বাড়ায়। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন সকলে। বিএসএফের দাবি, এই বাংলাদেশিরা মূলত সানসেরপুরা, ধামেরঘাট, চিরাকুটি, লাখিপাড়া, বোনাগ্রাম, কাঠুমারি, পানিডুবি ও বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এই গ্রামগুলি সীমান্ত থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    শরণার্থীদের দাবি (Bangladesh Crisis) 

    বিএসএফ জানায়, প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেক শরণার্থীদের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, উপরতলায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শরণার্থীদের কোনও পরিস্থিতিতেই এ পারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nitin Gadkari: কৃষকরা শুধু অন্নদাতা নন, বিটুমিন ও জৈব শক্তির ইন্ধন দাতাও, বললেন গড়করি

    Nitin Gadkari: কৃষকরা শুধু অন্নদাতা নন, বিটুমিন ও জৈব শক্তির ইন্ধন দাতাও, বললেন গড়করি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষকরা শুধু অন্নদাতা নন, তাঁরা শক্তিদাতা, বিটুমিনদাতা এবং জৈব শক্তির ইন্ধনদাতা। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এমন কথাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। বায়ো এভিয়েশন ফুয়েল বা গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন অফসেট এবং খড় থেকে তৈরি জৈব বিটুমিন নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ২০২২ সালের নভেম্বরে এনএইচ সেভেন জিরোনাইনএডি-এর শামলি-মুজাফ্ফরনগর রুটে রাস্তা নির্মাণে জৈব-বিটুমিন (Bio-energy fuel) উৎপাদনের জন্য তিন বছরের একটি পরীক্ষামূলক বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে। জ্বালানি খরচ কম করতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Nitin Gadkari)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) বুধবার রাজ্যসভায় প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের বিমান চলাচলে ২০ শতাংশ জৈব-বিমান জ্বালানি ব্যবহার করা হবে। ফসলের অবশেষ বা খড় থেকে এই জৈব জ্বালানি উৎপাদন করা হবে। কৃষকরা তার জন্য প্রতি টন ২৫০০ টাকা করে পাবেন। কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক রাস্তা নির্মাণে বায়ো-বিটুমিনকে বেশি করে ব্যবহার করছে। ফলে দেশীয় উৎপাদন বাড়লে ভারতকেও বিদেশি আমদানি কম করতে হবে। বায়ো-বিটুমিন হল একটি জৈব-ভিত্তিক উৎপাদন। ফসলের খড় বা পরিত্যক্ত অংশ থেকে উৎপাদন করা হয়। পাকা রাস্তার উপরিভাগ নির্মাণ কাজে তা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশ্বের বৃহত্তম সড়ক যোগাযোগের ৯০ শতাংশ সড়ক নির্মাণে আমরা বিটুমিনকে ব্যবহার করছি। ২০২৩-২৪ সালে বিটুমিনের (Bio-energy fuel) ব্যবহার ছিল ৮৮ লাখ টন, ২০২৪-২৫ সালে যা ১০০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন মোট বিটুমিনের ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয় এবং যার বার্ষিক আমদানি ব্যয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার

    কোথায় কোথায় উৎপাদন করা হচ্ছে

    কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) আরও বলেছেন, “সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিআরআরআই) নয়াদিল্লি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়াম (আইআইপি) দেরাদুনের সহযোগিতায় খড় থেকে বায়ো বিটুমিন তৈরি করেছে। জ্বালানি খাতে অবদান রেখে কৃষকরা এখন ‘শক্তিদাতা’ হয়ে উঠেছেন। আমাদের কৃষকরা এখন শুধু অন্নদাতা নয়, তাঁরা একই সঙ্গে শক্তি উৎপাদকও বটে। এনএইচএআই জাতীয় সড়ক ৪০-এর জোরাবত-শিলং রুটে বায়ো-বিটুমিন দিয়ে একটি ট্রায়াল করার কথাও ভাবা হয়েছে। বায়ো-বিটুমিনের সুবিধা হল জ্বালানির (Bio-energy fuel) খরচ কম করে, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণকে হ্রাস করা এবং সেই সঙ্গে কৃষকদের জন্য আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করা। ফলে কৃষিতে উদ্যোগ  ও কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করার বড় লক্ষ্য রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    Bangladesh Crisis: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের প্রতিদান দিল ইজরায়েল! বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের (Attacks On Hindus) ওপর মুসলমানদের নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু ও তাঁদের মন্দিরে যে হামলা হচ্ছে, তাতে আমি উদ্বিগ্ন।”

    উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রাণ ভয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ৫ অগাস্ট দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তার আগে পরে বাংলাদেশে চলছে হিন্দু নিধন  যজ্ঞ। হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। নির্যাতন করা হচ্ছে হিন্দু নারীদের। হিন্দু-নির্যাতনের করুণ কাহিনির ছবি সম্বলিত নানা ভিডিও হয়েছে ভাইরাল। এহেন আবহে মুখ খুললেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলন। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। এর মাত্র ৮ শতাংশ হিন্দু। এই হিন্দুরা দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করে আসছেন হাসিনার আওয়ামি লিগকে। হাসিনা ভিটে ছাড়া হতেই বাংলাদেশে আক্ষরিক অর্থেই চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis)।

    কী বললেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত?

    এক্স হ্যান্ডেলে গিলন লিখেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের ওপর এবং তাদের মন্দিরে হামলায় খবরে আমি উদ্বিগ্ন।” গিলনের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট, ক্রমেই আন্তর্জাতিক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইজরায়েলের পক্ষ নিয়েছিল ভারত। যদিও মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছিল প্যালেস্তাইনকে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। তাই এবার ভারতের পাশে দাঁড়াল ইজরায়েল।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আওয়ামি লীগের উপর হিংসা অব্যহত, উদ্ধার ২৯ জনের দেহ

    এদিকে, দিন দিন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সংসদে সর্বদলীয় বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি উপস্থিত নেতাদের বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের কল্যাণ মনিটরিংয়ের ভারত সরকার দায়বদ্ধ বলেও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। শেখ হাসিনা ভারতে আসছেন বলে একটি শর্ট নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো তিনি ভারতে এসেছেন বলেও জানান বিদেশমন্ত্রী। সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় রয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার। এঁদের মধ্যে ৯ হাজারই ছাত্র। এই ছাত্রদের সিংহভাগই জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে এসেছেন দেশে। তিনি জানান, ঢাকায় ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে (Attacks On Hindus) নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত সরকার (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: স্বস্তির প্রত্যাবর্তন! বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ থেকে ফিরলেন ২০৫ ভারতীয়

    Bangladesh Crisis: স্বস্তির প্রত্যাবর্তন! বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ থেকে ফিরলেন ২০৫ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঢাকাগামী সমস্ত বিমান পরিষেবা বাতিল করেছে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থা। বাংলাদেশে গিয়ে সেখানে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। দেশে পরিবারের লোকজন চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এই আবহের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) একটি বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরলেন ২০৫ জন ভারতীয়। বুধবার সকালে ঢাকা থেকে দিল্লি নামেন ওই যাত্রীরা। তাদের মধ্যে ছিল ছয় শিশুও। বিমান সংস্থার এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মধ্যরাত পেরিয়ে ঢাকায় পৌঁছয় বিমানটি। সেখান থেকে এদিন ভারতীয়দের নিয়ে দিল্লি ফেরে।

    দিল্লি-ঢাকা রুটে বিমান পরিষেবা চালু! (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে দিল্লি-ঢাকা (Bangladesh Crisis) রুটে ফের বিমান পরিষেবা চালু করল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না এখনই। ওই রুটে আপাতত প্রতিদিন মাত্র দু’টি উড়ান চালু থাকছে। আপাতত দিনে এবং সন্ধ্যায় একটি বিমান দুই দেশের মধ্যে চালাবে এয়ার ইন্ডিয়া। পাশাপাশি, বাংলাদেশে স্বাভাবিক পরিষেবা চালুর পথে ভিস্তারা এবং ইন্ডিগোও। ভিস্তারার একটি বিমান প্রতিদিন মুম্বই থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। এছাড়া দিল্লি-ঢাকা সাপ্তাহিক তিনটি বিমান চলবে। সাধারণত, ইন্ডিগো বিমানসংস্থার দিল্লি, মুম্বই এবং চেন্নাই থেকে ঢাকাগামী তিনটি দৈনিক উড়ান রয়েছে। কলকাতা থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য রয়েছে দৈনিক দু’টি বিমান। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে দৈনিক কতগুলি উড়ান চালু থাকবে (Air India), তা এখনই বলা যাচ্ছে না। শুধু বিমান নয়, বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভারত থেকে বাংলাদেশগামী ট্রেন, বাসও। ফলে দু’দেশেই আটকে পড়েন বহু নাগরিক। তবে, আপাতত বিমান পরিষেবা চালু হওয়ায় খানিকটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন দুই দেশে আটকে থাকা যাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) কী বলল?

    এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) থেকে ভারতে যাত্রীদের ফেরানোর জন্য মঙ্গলবার গভীর রাতে বিমানটি রওনা দেয়। অশান্ত পরিবেশে ঢাকা বিমানবন্দরে পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও খুব কম সময়ের নোটিশে দিল্লিতে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে পেরেছে বিমানটি।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে পেট্রাপোল, বেনাপোল, হিলিতে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের স্থলবন্দরের গেট। বুধবার চালু হল বিমান পরিষেবাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন এখন সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের (Bangladesh Crisis) রূপ নিয়েছে। হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে ভারতের বিশ্বহিন্দু পরিষদ ইতিমধ্যে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। গত সোম–মঙ্গলবার চলেছে লাগাতার হিন্দুদের উপর অত্যাচার। নির্বিচারে মন্দির ও মূর্তি ভাঙার ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসছে নিপীড়িত হিন্দুদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ছবি। এবার ‘হিন্দুদের ওপর নির্যাতন’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার করলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। তিনি স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে বলেছেন, “এটা খালি আমাদের সরকারের দায়িত্ব নয়, ওঁদের জীবনে যাতে শান্তি ফেরে তার জন্য সকলের ভাবা উচিত।”

    কী বললেন সোনু সুদ (Bangladesh Crisis)?

    রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে চলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। আইন-শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা গণভবন লুট করার পর থেকেই টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রংপুর, ঢাকা, খুলনা, যশোর, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জে চলছে নির্বিচারে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। সমাজিক মাধ্যমে লাইভ করে নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিবরণ দিয়ে ভেঙে পড়ছেন হিন্দুরা। ঠিক এমন এক মহিলার ওপর অত্যাচারের ভিডিও বিনিময় করে সোনু (Sonu Sood) বলেছেন, “আমাদের সবটা দিয়ে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষদের জীবন সুরক্ষিত করতে সকলকে একসঙ্গে কাজে নামতে হবে। শুধু ভারত সরকারের একক কাজ নয়। ওঁদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ জীবন দেওয়ার প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন। ওঁরাও নিজের মতো করে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আমাদেরও একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। জয় হিন্দ।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘একমাত্র মোদি পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে’’, দাবি বিজেপি সাংসদের

    আইনের শাসন প্রয়োগে কি ব্যর্থ সেনা বাহিনী?

    বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের (Bangladesh Crisis) চূড়ান্ত রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং নাগরিকদের জান-মালের সুরক্ষার কথা জানিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। কিন্তু বাস্তবে আইনের শাসন প্রয়োগে ব্যর্থ হয় সেনাবাহিনী। পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা সারা দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আওয়ামি লীগের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-সমর্থক, প্রাক্তন ক্রিকেটার, অভিনেতা, সাংবাদিক কাউকেই রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। তবে সব থেকে বড় টার্গেট করা হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, সম্পত্তি এবং মন্দিরকে। বাংলাদেশের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। একই ভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shree Jagannath Temple: রত্ন ভান্ডারের ভিতর গোপন সুড়ঙ্গ! পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হতে পারে লেজার স্ক্যানিং

    Shree Jagannath Temple: রত্ন ভান্ডারের ভিতর গোপন সুড়ঙ্গ! পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হতে পারে লেজার স্ক্যানিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের ভিতর কোনও গোপন সু়ড়ঙ্গ রয়েছে কিনা, তা জানতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালানোর সিদ্ধান্ত নিল মন্দির (Shree Jagannath Temple) পরিচালন কমিটি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান কী ভাবে এগোবে, তা স্থির করতে সোমবার জরুরি বৈঠক হয় জগন্নাথ মন্দিরে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পুরীর মহারাজা গজপতি মহারাজ দিব্যসিং দেব।

    কীভাবে হবে লেজার স্ক্যানিং

    মন্দিরের (Shree Jagannath Temple) মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি জানান, খনন করতে হবে না, এমন পদ্ধতিতে রত্ন ভান্ডারের গোপন সুড়ঙ্গ বা কুঠুরির খোঁজ করা হবে। এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন এবং ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)-এর অনুমতি মিলেছে। তবে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কাজ শুরুর আগে মন্দির কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন আইআইটি এবং সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কথা বলা হবে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রহস্যময় রত্নভান্ডারের ভিতরের চিত্রটি বুঝতে ‘লেজার স্ক্যানিং’ করা হতে পারে। এএসআই লেজার স্ক্যান করার জন্য একটি অত্যন্ত অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করবে। পুরো রত্ন ভান্ডারটির সংস্কার করবে এএসআই।

    আরও পড়ুন: ভারতেই হাসিনা, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর কেন্দ্রের, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর

    প্রচলিত বিশ্বাস

    বেশ কয়েকজন সেবাইত দাবি করছেন পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Shree Jagannath Temple) রত্ন ভান্ডারের ভিতরের কক্ষে একটি গোপন সুড়ঙ্গ আছে। অনেকের ধারনা সেই সুড়ঙ্গ গিয়ে মিশেছে সাগরে। সেখানেই নাকি জগন্নাথ মন্দিরের আসল ধন-সম্পদ লুকোনো আছে। তবে, সুপারভাইজারি প্যানেলের চেয়ারম্যান, বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ জানিয়েছিলেন, এই ধরনের কোনও সুড়ঙ্গের ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। তিনি বলেছেন, “আমরা কখনই সুড়ঙ্গ তত্ত্ব বিশ্বাস করিনি। এই নিয়ে কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। আমরা সব ধন-সম্পদ সরিয়ে ভিতরের কক্ষের দেওয়ালগুলি পরীক্ষা করে দেখেছি। কোথাও কোনও সূড়ঙ্গ পাইনি।” রত্ন ভান্ডারের ভিতর এবং বাহির ভান্ডারের আলমারি এবং সিন্দুকগুলি সরানোর বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়। এই বিষয়ে কী বিধি মেনে চলা হবে, তার একটি খসড়া তৈরি করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ওড়িশা সরকারের কাছে পাঠিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Astra Mark 1: ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০, তেজস যুদ্ধবিমানে বসতে চলেছে নতুন ‘অস্ত্র’

    Astra Mark 1: ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০, তেজস যুদ্ধবিমানে বসতে চলেছে নতুন ‘অস্ত্র’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুখোই-৩০ ও এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমানে বসানোর জন্য ভারত ডায়নামিকস লিমিটেডকে এয়ার-টু-এয়ার ‘অস্ত্র মার্ক-১’ (Astra Mark 1) ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ছাড়পত্র দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই মিসাইল তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। এটি একটি আকাশ-থেকে-আকাশ বিভিআর মিসাইল। জানা গিয়েছে, এই মিসাইলের রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার। অস্ত্র মার্ক-২ বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এর রেঞ্জ হতে চলেছে ৩০০ কিলোমিটার।

    ২৯০০ কোটি টাকার বেশি প্রকল্পের অনুমোদন (Astra Mark 1)

    ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) তরফে জানানো হয়েছে, এয়ার মার্শাল আশুতোষ দীক্ষিত হায়দরাবাদ সফরের সময় বিডিএলকে উৎপাদনের ছাড়পত্র প্রদান করেছিলেন। তিনি ডিআরডিও-র পরীক্ষাগার পরিদর্শন করেছিলেন, যেখানে (Astra Mark 1) এই মিসাইল তৈরি হয়েছিল। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, ২০২২-২৩ সালে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় পরিষদ ২৯০০ কোটি টাকার বেশি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে উৎপাদন সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এই মিসাইল সুখোই-৩০ এবং এলসিএ তেজস বিমানে ব্যবহার করা হবে।

    ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য দেশীয় প্রকল্পে সাহায্য বায়ুসেনার (IAF)

    প্রসঙ্গত, অস্ত্র মার্ক-১ (Astra Mark 1) ছাড়াও আকাশ থেকে ভূমি নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সহ তিন থেকে চারটি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও বায়ুসেনা (IAF) তরঙ্গ শক্তি মহড়া শুরু করেছে। প্রথম ধাপে ৬ থেকে ১৪ অগাস্ট এবং দ্বিতীয় ধাপে ২৯ অগাস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মহড়া চলবে।

    আরও পড়ুন: হাসিনার জন্য তৈরি ছিল রাফাল! বাংলাদেশের উপর কড়া নজর কেন্দ্রের

    ১০ দেশ এই মহড়ায় অংশ নেবে। ১৮টি দেশ পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করবে। ভারতীয় নৌসেনাও মিগ-২৯ বিমান সহ এই মহড়ায় অংশ নেবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Reform: ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সুফি ধর্মগুরুদের

    Waqf Reform: ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সুফি ধর্মগুরুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংস্কার (Waqf Reform) নিয়ে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৌলানা সাজিদ রশিদি। রশিদি যখন উস্কানি দিয়ে বাজার গরম করতে চাইছেন, তখন ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করল অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিল। মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর (Kiren Rijiju) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিস্তি।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Waqf Reform)

    এই ধর্মগুরুরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংশা করেন। স্বচ্ছতা আনার স্বার্থে ওয়াকফ সংশোধনীকে সমর্থনও জানান। এক্স হ্যান্ডেলে মন্ত্রী লেখেন, “ভারতজুড়ে বিভিন্ন দরগা থেকে সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় ও বিশিষ্ট সাজ্জাদানশিনদের নিয়ে গঠিত অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিস্তি। তিনি আজমেড় দরগার বর্তমান আধ্যাত্মিক প্রধানের উত্তরসূরি এবং চেয়ারম্যান। মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    মোদির প্রশংসা

    রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সমগ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে, তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তাঁরা। ২০৪৭ সালের মধ্যে যে ‘বিকশিত ভারত’-এর সঙ্কল্প নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিও যে তাঁরা দায়বদ্ধ, তাও জানান সুফি ধর্মগুরুরা। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুন্নাওয়ালাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে যে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে, তাও স্বীকার করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘একমাত্র মোদি পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে’’, দাবি বিজেপি সাংসদের

    সোমবারই মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, দরিদ্র ও সাধারণ মুসলমান মহিলারা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Reform) সংস্কারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা এও বলেছিলেন, মোদি সরকারের এই উদ্যোগে ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আসবে। তাতে আখেরে লাভ হবে মুসলমান সম্প্রদায়েরই। রিজিজু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই দরিদ্র মুসলমান ও গরিব মহিলারা ওয়াকফ সম্পত্তিত স্বচ্ছতা আনার দাবি জানাচ্ছিলেন। তাঁদের (Kiren Rijiju) বক্তব্য, মুসলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন (Waqf Reform)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার

    Dengue: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সরকার কেন ডেঙ্গির (Dengue) তথ্য লুকিয়ে রাখে? মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। তাঁর প্রশ্নে এই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির এই সর্বভারতীয় সভাপতি। উল্লেখ্য, মমতার সরকারের বিরুদ্ধে করোনা কাল থেকেই সংক্রমণ রোগ বা মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশে তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ঠিক কী বলেন জেপি নাড্ডা (Dengue)?

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা আজ রাজ্যসভায় বাংলার সরকারের ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলা নিয়ে বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না? তথ্য গোপন করার কী আছে? আমি রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাই। তবে এই প্রশ্ন তোলার মধ্যে আমার কোনও রাজনৈতিক অভিপ্রায় নেই। সব পক্ষের কথা শোনার ধৈর্য এবং বলবার অবসর থাকা একান্ত প্রয়োজন।” এই বক্তব্যের ভিডিও বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।

    ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের বৈঠক

    বর্ষার মরসুমে প্রত্যেক বছরই ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা যায়। রাজ্য সরকার প্রতিবছর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড সহ একাধিক রোগের সঠিক তথ্যে কেন্দ্রকে যে পাঠায় না, সেই বিষয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বরাও সরব হয়েছেন। এদিকে রাজ্যে লাগাতার বর্ষণের ফলে বর্ষায় জল জমে একাধিক জেলায় ডেঙ্গি প্রকোপ মারাত্মক আকার নিয়েছে। কলকাতায়ও অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। একাধিক জেলা সহ কলকাতায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। রাজ্যের পুরসভাগুলির বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগামী ৮ অগাস্ট ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের সব পুরসভার চেয়ারম্যান এবং দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। একই ভাবে এই বৈঠকে থাকবেন কলকাতা স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জেলা এবং মহাকুমা শাসক, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ষার জমা জল এবং নিকাশি ব্যবস্থার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share