Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Waqf Act Amendment: গরীব ও মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্যই ওয়াকফ সংশোধনী, দাবি কেন্দ্রের

    Waqf Act Amendment: গরীব ও মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্যই ওয়াকফ সংশোধনী, দাবি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরীব এবং মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়ণের উদ্দেশ্য নিয়ে ওয়াকফ আইন সংশোধন (Waqf Act Amendment) করা হবে। এমনটাই জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সংসদের চলতি অধিবেশনে ওয়াকফ বোর্ড সংশোধনী আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র। বিরোধীরা বিল আসার আগে থেকেই এই সংশোধনীর বিরোধিতা শুরু করছে। তবে ওয়াকফ বোর্ডের ট্র্যাক রেকর্ড (Waqf Disputes) তাতে সংশোধনী আনা ছাড়া সরকারের হাতে আর কোন উপায় ছিল না। সরকারের দাবি মুসলিমদের পক্ষেই হবে এই সংশোধনী।

    ভূ-মাফিয়া বোর্ড (Waqf Act Amendment)

    অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে গরিব মুসলিমদের জমিও (Waqf Disputes) হাতিয়ে নিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড। পুরাতাত্ত্বিক ধরোহর থেকে সরকারি সম্পত্তি সবেতেই হয়েছে ওয়াকফের কব্জা। যেহেতু ওয়াকফ বোর্ডের হাতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা রয়েছে, তাই যে কোনও মানুষের জমি বা সম্পত্তি নিজেদের বলে দাবি করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। এই বোর্ডে মুসলিম মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি নেই। একতরফা পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে সকলকে নিয়ে সমান সুযোগ দিতে (Waqf Act Amendment) চায় কেন্দ্রীয় সরকার। মনে করা হচ্ছে, ওয়াকফ বোর্ডের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সংকুচিত হবে এই সংশোধনের মাধ্যমে। ওয়াকফ সংক্রান্ত প্রায় ৪০টি সংশোধনী আনা হবে এই বিলে। যার অন্যতম উদ্দেশ্য সরকারিভাবে যাচাই ছাড়া যাতে ওয়াকফ বোর্ড আর কোনও নতুন সম্পত্তি বা জমি কব্জা না করতে পারে।

    ওয়াকফের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Waqf Disputes)

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে ওয়াকফ বোর্ড আত্মপ্রকাশ করে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এই বোর্ডের সৃষ্টি করেছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৯৫ এবং ২০১৩ সালে দু-বার সরকার বোর্ডের নিয়ম-কানুন সংশোধন করে। দু-বারের সংশোধনে ওয়াকফ বোর্ডকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপরই ওয়াকফ বোর্ড ভূ-মাফিয়া (Waqf Disputes) হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। তাজমহল থেকে শুরু করে তামিলনাডুর হাজার বছর পুরনো মন্দির, এমনকী থিরুচি জেলায় হিন্দুদের ৬টি গ্রাম সবই কব্জা করার চেষ্টা করে এই বোর্ড। পুরাতত্ত্ব বিভাগের আওতায় থাকা বহু রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি এবং সরকারি সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের বলে দাবি করেছে এবং বহু ক্ষেত্রে কব্জাও করেছে। এই ঘটনাতে তিতি-বিরক্ত সরকার ওয়াকফ বোর্ডকে (Waqf Act Amendment) গরিব এবং মুসলিম মহিলাদের উপকারের জন্য নিয়োজিত বোর্ডে পরিণত করতে চায়।

    ওয়াকফের রাজস্ব আদায় খুবই কম

    প্রসঙ্গত রেলওয়ে এবং প্রতিরক্ষার পর ওয়াকফ বোর্ড ভারতবর্ষের তৃতীয় সবচেয়ে বড় ভূখণ্ডের অধিকারী। অথচ ওয়াকফ বোর্ড থেকে যে রাজস্ব আদয় হয় তা খুবই কম। এত বড় ভূখণ্ড তাঁদের হাতে থাকলেও ২০০ কোটির চেয়েও কম রাজস্ব আদায় হচ্ছে। ফলে নয়া সংশোধনীতে (Waqf Act Amendment) এই বিষয়টিও দেখা হবে। যাতে ওই ভূখণ্ডগুলি থেকে রাজস্ব আদয় হয়। এত কম রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে দুটি তত্ব উঠে আসছে। হতে পারে ওয়াকফ বোর্ড রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে আগ্রহী নয়।

    আরও পড়ুন: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    অন্যথা, রাজস্ব যা আদায় হচ্ছে তা হয়তো খাতায়-কলমে (Waqf Disputes) দেখানো হচ্ছে না, একথাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নয়া সংশোধনীতে জেলাশাসককে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে যুক্ত করা হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    PM Modi: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেয়ে জনগণের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পেঙ্গুইন এন্টারপ্রাইজের প্রকাশনায় ‘৩৭০: আনডুয়িং দ্য আনজাস্ট, এ নিউ ফিউচার ফর জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর’- বইটিতে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, বইটি এই মাসেই প্রকাশিত হতে চলেছে। 

    এই বইটির বিষয়বস্তু কী? (Article 370)  

    জানা গিয়েছে, বইটিতে বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে মোদি নিজের লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রকাশকরা বলেছেন, ”ভারতের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ সাংবিধানিক কীর্তি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কীভাবে আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন তার ভিতরের ইতিহাস বর্ণিত আছে এই বইতে।” অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া তৈরি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সব কিছুরই উল্লেখ আছে এই বইতে। 

    আরও পড়ুন: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    কাশ্মীরের ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া তৈরি করেছিলেন শেখ আবদুল্লা। সেই সময় তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন মহারাজা হরি সিং এবং জওহরলাল নেহরু। তবে অস্থায়ী ভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে রাজি ছিলেন না আবদুল্লা। তিনি স্থায়ীভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তবে তাতে রাজি ছিল না কেন্দ্র।  

    অগ্রিম প্রশংসা বিদেশমন্ত্রীর 

    বইটির জন্য অগ্রিম প্রশংসা করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিশিষ্ট বিবরণ যা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার পটভূমিকে সঠিক ভাবে প্রকাশ করেছে। এই বইটির মাধ্যমে কীভাবে পূর্ববর্তী যুগের রাজনৈতিক গণনা এবং ব্যক্তিগত প্ররোচনাগুলি শেষ পর্যন্ত জাতীয় অনুভূতি দ্বারা প্রতিহত হয়েছিল তা প্রকাশিত হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sexual Assault: উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসায় নাবালক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! পলাতক মৌলানা

    Sexual Assault: উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসায় নাবালক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! পলাতক মৌলানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসায় নাবালক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের (Sexual Assault) অভিযোগ শিক্ষক মৌলানার বিরুদ্ধেই। অভিযুক্ত মাদ্রাসার মৌলবির নাম চাঁদ মোহম্মদ। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত মৌলানা পলাতক। ফলে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। আবার গাড়ি পুখতা থানার ইনচার্জ প্রবেশ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনার তদন্তে নেমে কাজ শুরু করেছি।

    গোপনাঙ্গে তেল দিয়ে মালিশ করার অভিযোগ (Sexual Assault)

    উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) শামলি জেলার মুমতাজনগরের গুরানা গ্রামে ‘জামিয়া আরাবিয়া তালিমুল কুরআন’ নামে একটি মাদ্রাসায় এক নাবালক ছাত্রের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত মৌলানা চাঁদ মোহম্মদ, এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিজে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক বাচ্চাকে দিয়ে নিজের গোপনাঙ্গে তেল দিয়ে মালিশ করার অভিযোগও রয়েছে। ইতিমধ্যে ছাত্রের যৌন নির্যাতনের (Sexual Assault) অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই, এই অভিযুক্ত মৌলানা এলাকা থেকে পালিয়াছে। অপর দিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করেছে বলে জানিয়েছে। তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে শিশুদের মধ্যে নিছক ঝগড়া বলে অভিহিত করেছে। গ্রামের বাইরে থেকেও অনেক পড়ুয়ারা এই মাদ্রাসায় পড়তে আসে। নির্যাতনের শিকার এই বাচ্চা ছেলেটি তার বাবা-মাকে আগেই হারিয়েছিল। তার দাদু-দিদার বাড়িতে থেকে পড়াশুনার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল। আগেও এই বাচ্চাকে একাধিকবার অভিযুক্ত মৌলানা নিজের লালসার শিকার করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

    আরও পড়ুনঃ বিচার ব্যবস্থা হবে আরও শক্তিশালী, ৩টি নতুন অ্যাপ চালু অমিত শাহের

    বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলত

    স্থানীয়দের (Uttar Pradesh) দাবি, “চাঁদ মোহম্মদ অন্যান্য ছাত্রদেরকেও যৌন শোষণ (Sexual Assault) করেছে। ক্লাস শেষে ছোট বাচ্চাদের তার ঘরে ডেকে গোপনাঙ্গ মালিশ করতে বলত। সেই সঙ্গে বাচ্চাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতো। অসহায় বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলত। চাঁদ মোহম্মদের এই অত্যাচারে সকলেই চরম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। অবশেষে আজ বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও পুলিশ এখনও প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ফের লাভ জিহাদ! মুসলিমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ, আত্মহত্যা হিন্দু কলেজ ছাত্রীর

    Love Jihad: ফের লাভ জিহাদ! মুসলিমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ, আত্মহত্যা হিন্দু কলেজ ছাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশ। সব কিছু জেনে বুঝেও চোখের সামনে নিজের কন্যা সন্তানকে হারালেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ময়নপুরিতে কুরাভালি থানা এলাকার একটি হিন্দু পরিবার। মুসলিম যুবকের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার জন্য মুসলিম যুবকের ক্রমাগত চাপ সহ্য করতে না পেরেই গলায় দড়ি দিয়ে ওই হিন্দু যুবতী আত্মহত্যা করেছেন। ওই যুবতী বিএসসি পড়ছিলেন। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত যুবক মহম্মদ ওয়াসিফ আনসারির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার বাড়ি ঘরনাজপুর এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

    মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ! (Love Jihad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে মা, ছোট ভাই থাকে। আর বাবা দিল্লিতে পুলকার চালান। ওই ছাত্রীর বাড়িতে ওই মুসলিম যুবক প্রায়ই আসত। কোনও এক সময় তাঁর অশ্লীল ছবি তুলে আনসারি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। এরপর তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে মুলসিম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আর সেটা না করলে অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকে। এমনকী আর তার কথা মতো মুসলিম ধর্ম গ্রহণ না করলে তাঁকে অ্যাসিড মারার হুমকি দেয় আনসারি। নিহত ছাত্রীর মা বলেন, মেয়ে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমি ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা কিছু করেননি। উল্টে আমাকে গালিগালাজ করেছিল। আমি বিষয়টি আমার স্বামীকে জানিয়েছিলাম। এরমধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল। এভাবে আমার মেয়ে (Love Jihad) চলে যাবে তা আমরা ভাবতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    নিহত ছাত্রীর বাবা কী বললেন?

    নিহত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছিল। মেয়ের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ওই মুসলিম যুবক ব্ল্যাকমেল করত। বিয়ে করতে রাজি না হলে সে আমার ছোট ছেলেকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। আর বার বার মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দিচ্ছিল। ২৯ জুলাই ওই যুবক বিয়ের করার দিন ঠিক করেছিল, না হলে মেয়ের মুখে অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়েছিল। সেটা সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আর কোনও হিন্দু মেয়ের (Love Jihad) সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য প্রশাসনকে বলব। আর অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ময়নপুরির (Uttar Pradesh) পুলিশ সুপার বিনোদ কুমার বলেন, “কুরভালি এলাকায় একটি মেয়ে তাঁর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। ওয়াসিফ নামে এক যুবক উত্ত্যক্ত করে তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছি। মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বিচার ব্যবস্থা হবে আরও শক্তিশালী, ৩টি নতুন অ্যাপ চালু অমিত শাহের

    Amit Shah: বিচার ব্যবস্থা হবে আরও শক্তিশালী, ৩টি নতুন অ্যাপ চালু অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি নির্ভর বিচারব্যবস্থা। ফৌজাদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন অ্যাপ (New Apps) উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ই-সাক্ষ্য (e-Sakshya), ন্যায় সেতু (Nyaya Setu), ন্যায় শ্রুতি (Nyaya Shruti) ও ই-সমন (e-Summon) ব্যবস্থার উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। চণ্ডীগড়ে নয়া অ্যাপের উদ্বোধন করে তিনি জানান, নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন, ভারতে ব্রিটিশ আমলের আইন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়েছে। জনসাধারণকে দ্রুত ন্যায়বিচার দিতে সাহায্য করবে এই আইনগুলি। এতে দণ্ডের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ন্যায়ের ওপর। অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল এবং চণ্ডীগড়ের প্রশাসক শ্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবও উপস্থিত ছিলেন।

    ২১ শতকের সবচেয়ে বড় সংস্কার

    নতুন অ্যাপগুলি বিচারব্যবস্থাকে প্রযুক্তিবান্ধব করে তুলবে। ন্যায় পাবেন সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) তাঁর ভাষণে বলেন, “আজ আমরা ২১ শতকের সবচেয়ে বড় সংস্কারের সাক্ষী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির দ্বারা আনা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা (BNSS), এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (BSA) আমাদের ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ ও ভারতীয়ত্বের সুগন্ধ বহন করে।” তাঁর কথায়, “১৫০ বছর আগে তৈরি করা আইন আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারে না। বছরের পর বছর মানুষ ন্যায়বিচার পায়নি, বরং বিচার ব্যবস্থায় শুধুমাত্র শুনানির নতুন তারিখ প্রদান করে দোষারোপ করা হয়েছে। মোদি সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে নতুন আইন বাস্তবায়ন করেছে।”

    প্রযুক্তি-সক্ষম বিচার ব্যবস্থা

    নতুন আইনগুলি পূর্ণ বাস্তবায়নের পরে, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং প্রযুক্তি-সক্ষম ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা পাবে, বলে আশা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তিনি জানান, এই আইনগুলির সঠিক প্রয়োগের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে এবং আটটি রাজ্যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা কাজ করেছেন। আরও আটটি রাজ্যে ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।

    নতুন অ্যাপগুলির সুবিধা

    ই-সাক্ষ্য (e-Sakshya) অ্যাপের (New Apps) মাধ্যমে সমস্ত ভিডিওগ্রাফি, ফটোগ্রাফি এবং সাক্ষ্যগুলি ই-এভিডেন্স সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। ই-সমন (e-Summon) অ্যাপের মাধ্যমে সমন ইলেকট্রনিকভাবে পাঠানো হবে। ন্যায় সেতু (Nyaya Setu) ড্যাশবোর্ডে পুলিশ, মেডিক্যাল, ফরেন্সিক, প্রসিকিউশন এবং প্রিজন পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ন্যায় শ্রুতি (Nyaya Shruti) অ্যাপের মাধ্যমে আদালত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাক্ষীদের শুনতে পারবে।

    চণ্ডীগড়ে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন

    এই অ্যাপগুলির (New Apps) সঠিক প্রয়োগের জন্য চণ্ডীগড়ে ২২ জন আইটি বিশেষজ্ঞ এবং ১২৫ জন তথ্য বিশ্লেষক নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্ত পুলিশ স্টেশনে ১০৭টি নতুন কম্পিউটার, স্পিকার এবং দুটি ওয়েব ক্যামেরা ইনস্টল করা হয়েছে। ১৭০টি ট্যাবলেট, ২৫টি মোবাইল ফোন এবং ১৪৪টি নতুন আইটি কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। চণ্ডীগড় নতুন ফৌজদারি আইনগুলির ১০০ শতাংশ বাস্তবায়নের পথে প্রথম প্রশাসনিক ইউনিট হতে পারে।

    নাগরিক-কেন্দ্রিক আইন

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার একটি সরকারি প্রচার নয়, বরং এটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে মাদকাসক্তির বাইরে নিয়ে আসার প্রচার। নতুন আইনগুলির মাধ্যমে ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা একুশ শতকের সবচেয়ে বড় সংস্কারের সাক্ষী হচ্ছে। এই আইনগুলিতে প্রযুক্তি (New Apps) এমনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যে এটি আগামী ৫০ বছরের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে। তিন বছরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত রায় পাওয়া সম্ভব হবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণকে আইনগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কথা বলেন এবং গুজব থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। তিনি নয়া আইন প্রয়োগে নাগরিকদের সক্রিয় এবং গঠনমূলক অবদান রাখার অনুরোধ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: “আমার কিছুই আর নেই!” ভূমিধসে পরিবারে ১৬ জনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ মনসুর

    Wayanad Landslide: “আমার কিছুই আর নেই!” ভূমিধসে পরিবারে ১৬ জনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ মনসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) ভূমিধসে বিপর্যয়ের শিকার হয়ে এক পরিবারের ১৬ জনকে হারিয়ে মর্মান্তিক দুঃখের কথা প্রকাশ করলেন ৪২ বছরের মনসুর। তিনি বলেছেন, “আমার কিছুই নেই, সব হারিয়ে ফেলেছি, নিঃস্ব করেছে আমাকে।” এরপর রীতিমতো কান্নায় তিনি ভেঙে পড়েছেন তিনি। গত ৩০ জুলাই বর্ষার অতিভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধস অকল্পনীয় ক্ষতি সাধন করেছে। শতশত মানুষের ধসের নিচে চাপা পরে মৃত্যু হয়েছে। বাড়িঘর, গাছপালা, ফসল এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি (Landslide) হয়েছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। উদ্ধারের কাজে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা জওয়ান সহ একাধিক সংস্থা জোর কদমে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

    চোখের জলই এখন সম্বল (Wayanad Landslide)

    শোকস্তব্ধ মনসুর বলেছেন, “এই প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞের কবলে মা, স্ত্রী, দুই সন্তান, বোন এবং এক পিসির পরিবারের ১১ জন সদস্য সহ মোট পরিবারের ১৬ জনকে কেড়ে নিয়েছে। এই ধস এবং বন্যা পরিবারের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। আমার তো বেঁচে থাকার কোনও রসদ রইল না। আমার ঘুম আসছে না, শুধু এই চোখের জলই এখন সম্বল। তবে দুর্ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটা কাজে বাড়ির বাইরে ছিলাম। আমার মেয়ের মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত পাইনি। চারটি মৃতদেহ পেয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে আমার স্ত্রী, ছেলে, বোন এবং মায়ের দেহ। আমি এখনও আমার মেয়েকে খুঁজে পাইনি। আপাতত আমি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছি।”

    মায়ের দেহাবশেষ শনাক্ত করলাম

    অপর দিকে মনসুরের ভাই নাসির তাঁদের পরিবারের ওপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Wayanad Landslide) প্রভাব সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, “আজ সকালেই আমাদের মায়ের দেহাবশেষ শনাক্ত করলাম। মোট চারজনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের এখনও ১২জন সদস্যের কোনও খোঁজ নেই। ঘটনার দিন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, মা, বোনেরা বাড়িতেই ছিলেন। তবে এমন বিপর্যয় হবে, প্রশাসনের তরফ থেকে আগে কোনও সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়নি। আচমকা জলের স্তর বাড়তে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্মান্তিকভাবে বিপর্যয় ঘটে যায়। তাঁদেরকে আমার বাড়িতে আসতে বলেছিলাম, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে পুরো এলাকা। আমার ভাই ওঁর পরিবারের সবাইকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    চলছে উদ্ধার কাজ

    ইতিমধ্যে কেরলের টাস্ক ফোর্স ক্ষতিগ্রস্থ (Wayanad Landslide) এলাকা পরিদর্শন করে এখন মোট সাতটি এলাকাকে চিহ্নিত করে দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মুন্ডক্কাই, পুঞ্চিরিমাত্তম এবং চুরামালায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি (Landslide) হয়েছে। এদিকে, মাটির নিচে ধসে আটকে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করতে অত্যন্ত তৎপর হয়ে কাজ করে চলেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    India: মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সারোগেট’ বা ঘুরিয়ে মদের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করবে ভারত (India)। এক মাসের মধ্যে নিয়ম চূড়ান্ত হতে পারে। মদের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের পথে মোদি সরকার। সম্প্রতি মদের ব্র্যান্ডগুলির সারোগেট বিজ্ঞাপনের (Liquor ad Rules) বিধি লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি উদাহরণ সামনে এসেছে। এর পরেই সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি (CCPA) কোম্পানিগুলিকে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় হিসাবে একই ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলির তালিকা চেয়েছে। অন্যদিকে, কোম্পানিগুলিকে নিশ্চিত করতে বলেছে যে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে না। 

    বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য জরিমানা (India)

    নতুন নিয়ম অনুসারে, কার্লসবার্গ, পেরনোড রিকার্ড এবং ডিয়াজিওর মতো কোম্পানিগুলি ভারতে সারোগেট বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের মূল পণ্যের প্রচার চালিয়ে গেলে ৫০ লাখ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ঘটনাচক্রে, ভারতে অ্যালকোহল নির্মাতাদের সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের মদের ব্র্যান্ডের প্রচার করা নিষিদ্ধ। তাই, কোম্পানিগুলি “সারোগেট বিজ্ঞাপন” পদ্ধতি বেছে নেয়। ফলে প্রায়শই এ ধরনের বিজ্ঞাপনে জল, মিউজিক সিডি, কাচের পাত্র ইত্যাদির পরিবর্তে কম আকাঙ্খিত জিনিস দেখিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। 

    দায়ী হবে বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত সেলেব্রিটিরাও 

    উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ব্রুয়ার কার্লসবার্গ ভারতে (India) তার টিউবর্গ পানীয়ের প্রচার করে। এই বিজ্ঞাপনে ফিল্ম স্টারদের একটি ছাদের পার্টিতে দেখানো হয়। যেখানে এই বিজ্ঞাপনের স্লোগানই হল “টিল্ট ইয়োর ওয়ার্ল্ড”। অন্যদিকে, আর এক প্রতিযোগী ব্র্যান্ড ডিয়াজিওর ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট জিঞ্জার এলের ইউটিউব বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যেই ৬০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে৷ ফলে, এবার থেকে নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন তৈরি না হলে এই ধরনের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত সেলেব্রিটিদেরও দায়ী করা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    নতুন এই ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে শিশু এবং তরুণ প্রজন্ম সারোগেট বিজ্ঞাপন (Liquor ad Rules) দ্বারা প্রভাবিত না হয়। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, অ্যালকোহল বিজ্ঞাপনের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে “সাশ্রয়ী পদক্ষেপ”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ‘লাভ জিহাদ’ রোধে কঠোর আইন আনার ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad) মামলায় আরও কড়া অসম সরকার। দোষীকে দেওয়া হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। নয়া আইন আনছে অসমের বিজেপি সরকার। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনের সময় ‘লাভ জিহাদ’-এর কথা বলেছিলাম। শীঘ্রই সেই আইন আনা হচ্ছে, যাতে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় দোষীর।” একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, অসমে ‘জমি জেহাদ’ রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা আর সহজ হবে না।

    ঠিক কী জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা? (Himanta Biswa Sarma) 

    রবিবার গুয়াহাটিতে ছিল রাজ্য বিজেপির বৈঠক। সেখানেই নিজের বক্তৃতায় ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। লাভ জিহাদ ছাড়াও অসম সরকার আরও বেশ কিছু বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বলেও এদিন জানান তিনি। এরমধ্যে অন্যতম হল হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সম্পত্তি বিক্রি। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনাবেচা করতে গেলে সরকারের কাছ থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে। 

    হিমন্ত বলেন, ”সরকার এই ধরনের লেনদেনে বাধা দিতে পারে না। তবে সরকার ঠিক করেছে এই ধরনের লেনদেনের আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে।” অর্থাৎ সরকার অনুমতি দিলে তবেই একজন হিন্দু তাঁর জমি একজন মুসলিমকে অথবা একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁর জমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও অসমের সরকারি চাকরি কারা পাবেন তা নিয়েও সরকার একটি নতুন নীতি (Assam law) প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে বলে জানান হিমন্ত।

    আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে সেবাভারতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ চার্চের পুরোহিতরা 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা  

    এদিন এই বক্তৃতার মাঝেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অসমের মানুষ সুসংবাদ পাচ্ছে। কংগ্রেসের কাছে ছাড়াইদেও মৈদামকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা তা করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ছাড়াইদেও মৈদাম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অসম নতুন ইতিহাস গড়তে সক্ষম হয়েছে।” এছাড়াও তিনি বলেন, ”বিজেপি রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি সবসময় অসমের উন্নতির চিন্তা করেন। সামনেই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি আশা করি যে আমরা ৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪টিতে জিতব। গত ৩ বছর ধরে আমরা অসমের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৬ সালে অসমে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসবেই, কেউ এটা আটকাতে পারবে না।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে সেবাভারতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ চার্চের পুরোহিতরা

    Wayanad Landslide: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে সেবাভারতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ চার্চের পুরোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেবাভারতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ের (Wayanad Landslide) এমানুয়েল চার্চের পুরোহিতরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানবিক কাজের জন্য পরিচিত সঙ্ঘের-এই সংস্থা (Sevabharati)।

    সেবাভারতীর সেবাব্রতীরা (Wayanad Landslide)

    গত মঙ্গলবার, ধসের জেরে কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ওয়েনাড়। মৃত্যু হয়েছে ৪০০-র বেশি মানুষের। এখনও নিখোঁজ কয়েকশো জন। দুর্গত ওয়েনাড়বাসীর সাহায্যে এগিয়ে আসেন সেবাব্রতীরা। প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের বিপন্নদের পাশে দাঁড়ান সেবাভারতীর সেবাব্রতীরা। জানা গিয়েছে, ওয়েনাড়ে বিপর্যয়ের পর তাঁরাই প্রথম ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেবাব্রতীরা যখন দুর্গতদের উদ্ধার করতে প্রাণপাত করছেন, তখনই আসেন সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স, কেরল পুলিশ এবং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের লোকজন। এর পরেই সেবাব্রতীরা এই সব বাহিনীর লোকজনকে উদ্ধার কার্যে সাহায্য করেন। বিলি করতে শুরু করেন ত্রাণ। জানা গিয়েছে, বিপন্নদের বাঁচাতে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সেবাব্রতীরা কারও নির্দেশের অপেক্ষা না করেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন উদ্ধারকাজে (Wayanad Landslide)। তাঁদের এহেন আচরণে মুগ্ধ ওয়েনাড়বাসী।

    সেবাভারতীর প্রশংসা

    সেবাভারতীর সদস্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভাইকার এফআর পিভি চেরিয়েন। তিনি বলেন, “সেবাভারতীর কর্মীদের অস্থায়ীভাবে গির্জায় রাখা হয়েছিল। ত্রাণসামগ্রী রাখার জন্য তারা ব্যবহার করেছিল গির্জার প্রাঙ্গণ। তারা খুবই শৃঙ্খলাপরায়ন। বিপর্যয়ের সময় সেবাভারতী প্রতিফলিত করে মাদার সংগঠনের অনুকরণীয় আচরণ।” তিনি বলেন, “সেবাভারতী পেশাদারিত্ব এবং মানবিকতার এক বিরল মিশ্রণের উদাহরণ।” জানা গিয়েছে, (Wayanad Landslide), ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়বাসীকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সেবাভারতীর দুই কর্মী।

    আরও পড়ুন: বালোচদের ওপর দমনপীড়ন, করাচির রাস্তায় প্রতিবাদ সমাজকর্মীদের

    সেবাভারতীর কর্মীরা মহৎ ও মানবিক। তাঁদের এই মহানুভবতা এবং মানবিকতার পরিচয় কেরলবাসী পেয়েছিলেন সেই ২০০৪ সালে। ওই বছর ডিসেম্বরে সুনামি হয়। ২০১৮ সালের ভয়াল বন্যায়ও কেরলবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেবাব্রতীরা। ২০১৬ সালে যখন পুট্টিনাল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১১ জনের মৃত্যু হয়, তখনও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেবাব্রতীরা। প্রতিটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই তাঁরা বিলি করেছেন ত্রাণসামগ্রী। মৃতদের সৎকার্যও করেছেন তাঁরা (Sevabharati)। যে কাজ সমাজকর্মীরাও করতে কিন্তু কিন্তু করেন, সেই কাজও হেলায় করেছেন সেবাব্রতীরা (Wayanad Landslide)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kanwariya Sachin Khandelwal: দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুণ্যার্থীর, কানারিয়া সচিনের দানে বাঁচল ৫ প্রাণ

    Kanwariya Sachin Khandelwal: দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুণ্যার্থীর, কানারিয়া সচিনের দানে বাঁচল ৫ প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনি। তবে মৃত্যুর পরেও তিনি রক্ষা করলেন পাঁচজনের জীবন। তাঁর দেওয়া অঙ্গে (Organ Donation) বাঁচল পাঁচ-পাঁচটি প্রাণ। তিনি বছর পঁচিশের কানারিয়া সচিন খাণ্ডেলওয়াল (Kanwariya Sachin Khandelwal)।

    কানারিয়া সচিনের দান (Kanwariya Sachin Khandelwal)

    গত ২২ জুলাই উত্তরাখণ্ডের রুরকি শহরে গাড়ির ধাক্কায় জখম হন সচিন। হরিদ্বারের গঙ্গা থেকে জল নিয়ে আসছিলেন তিনি। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঋষিকেশের এইমসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সচিনের অঙ্গ দান করে দেওয়ার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা। সচিনের পরিবার দ্রুত রাজি হয়ে যান। সিদ্ধান্ত নেন সচিনের অঙ্গদানের। তড়িঘড়ি সচিনের কিডনি, অগ্নাশয় এবং লিভার সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ এবং দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সে।

    অঙ্গ দান, জীবন দান

    সচিনের কর্নিয়ায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন উত্তরাখণ্ডের দুই দৃষ্টিহীন ব্যক্তি। সচিন ইহ-জগতে নেই। তবে তাঁর অঙ্গে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পাঁচজন। ঋষিকেশ এইমসের চিকিৎসক মিনু সিং বলেন, “সচিন (Kanwariya Sachin Khandelwal) অন্য অনেককে জীবন দান করেছেন। একজন নীরব হিরো হিসেবে এইমস তাঁকে চিরকাল মনে রাখবে।” কানারিয়া সচিনের ভাই পঙ্কজ খাণ্ডেলওয়াল বলেন, “সচিনের আরও কয়েক বছর বেঁচে থাকার এটাই একমাত্র পথ। আমি বিশ্বাস করি, যাঁদের এরকম অবস্থা হবে, তাঁদের পরিবারের উচিত প্রিয়জনের দেহ দান করে দেওয়া। তাতে অন্তত মৃত্যুর পরে তাঁদের প্রিয়জন আরও কয়েক বছর বাঁচবেন।” তিনি বলেন, “অঙ্গদানের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে আমার পরিবার। এইমস কর্তৃপক্ষ সচিনের দেহ মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: গণধর্ষণকাণ্ডে ডিএনএ টেস্ট চান, অখিলেশের মুসলিম তোষণে ক্ষুব্ধ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের প্রথম পনের দিন ধরে হরিদ্বারে হয় কানোয়ার মেলা। দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরা হরিদ্বারের বিভিন্ন এলাকা থেকে গঙ্গার জল সংগ্রহ করে ঢালেন কনখলে অবস্থিত দক্ষিণেশ্বর মহাদেব মন্দিরে শিবের মাথায়। লাখ লাখ পুণ্যার্থী এই সময় ভিড় জমান কনখলের মন্দিরে, জলাভিষেক করতে। এই পুণ্যার্থীদের দলেই ছিলেন (Organ Donation) সচিন। মৃত্যুর পরেও যিনি বেঁচে রইলেন পাঁচজনের শরীরে (Kanwariya Sachin Khandelwal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

        

LinkedIn
Share