Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Wayanad: মানা হয়নি সতর্কতা! অতিরিক্ত পর্যটনই কি দায়ী ওয়েনাড় বিপর্যয়ের জন্য? উঠছে প্রশ্ন

    Wayanad: মানা হয়নি সতর্কতা! অতিরিক্ত পর্যটনই কি দায়ী ওয়েনাড় বিপর্যয়ের জন্য? উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত পর্যটনের কারণেই কি ওয়েনাড়ে (Wayanad) ঘটল এমন বিপর্যয়? এই প্রশ্নই তুলছে কোনও কোনও মহল। তাঁরা মনে করছেন, অতিরিক্ত পর্যটনের কারণেই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে যার ফলেই ঘটেছে এমন বিপর্যয়। দক্ষিণ ভারতের কেরলে প্রাকৃতিক শোভার কারণে পর্যটন শিল্পের জন্য এক উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ওয়েনাড়ে (Wayanad) গত বছরে ১০ লাখেরও বেশি দেশী ও বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন বলে জানা যায়। ভূমিধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড়ের মুন্ডাকাইত এলাকা। জানা গিয়েছে, এই অঞ্চলে ৫০০ পরিবার বাস করতেন। পর্যটন শিল্পের জন্য, এর আশেপাশের গ্রামগুলিতে ৭০০ রিসর্ট, হোমস্টে প্রভৃতি গড়ে তোলা হয়েছিল। এখানে রয়েছে পাহাড়ের কোলে বিস্তৃত চা বাগান।

    মানা হয়নি সরকারি সতর্কতা (Landslide)

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিগত ১৩ বছর ধরে বেশ কয়েকটি সরকারি রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছিল যে পর্যটন শিল্পের জোয়ার আনতে গিয়ে প্রাকৃতিক জলের প্রবাহকে বাধা দেওয়ার ফলে ভূমিধস (Landslide) ও বন্যার মতো বিপর্যয় ঘটতে পারে। কিন্তু তারপরেও এই সমস্ত সর্তকতাকে উপেক্ষা করা হয়েছিল। ভারতের অন্যতম প্রযুক্তি কেন্দ্র বলে পরিচিত বেঙ্গালুরু থেকে ওয়েনাড় সড়ক পথে মাত্র ৬ ঘণ্টা দূরত্ব। বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মীরা সপ্তাহের শেষে ওয়েনাড়ে আসেন ছুটি কাটাতে। বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ তুলছেন যে অতিরিক্ত উন্নয়নের কারণে বেশ কিছু জায়গায় বনভূমিকেও ধ্বংস করা হয়েছে। সাধারণভাবে বনভূমি পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে এবং বন্যা প্রতিরোধ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়াতে প্রাকৃতিক যে জলপ্রবাহ তা শোষণ হয়নি।

    মৃত্যুপুরী ওয়েনাড় (Wayanad)

    বিগত কয়েক দিনের ভূমিধসে ওয়েনাড় যেন মৃত্যুপুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়েনাড় অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় রিসর্ট ছিল স্টোন হাউজ। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ভোরে পরপর দুটি ভূমিধসে (Landslide) এই বিল্ডিংটি একেবারে ভেসে গিয়েছে। আগেই অবশ্য পর্যটক ও কর্মচারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় মানুষজন থেকে বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেকেই এখন খুঁজছেন ওয়েনাড়ের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ এবং সেখানেই প্রশ্ন উঠছে যে অতিরিক্ত পর্যটনের জোর দেওয়ায় জন্যই এমন অবস্থা। প্রসঙ্গত, এর আগেই ২০১৮ সালে বন্যার কারণে কেরলে ৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন, তারপরে ওয়েনাড়ে ঘটল বিধ্বংসী ভূমিধস (Landslide)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF Chief: জঙ্গি অনুপ্রবেশের জের! বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে অপসারণ করল কেন্দ্র

    BSF Chief: জঙ্গি অনুপ্রবেশের জের! বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে অপসারণ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল (BSF Chief) নিতীন আগরওয়াল এবং তাঁর ডেপুটি স্পেশাল ডিজি (পশ্চিম) ওয়াই বি খুরানিয়াকে শুক্রবার পদ থেকে অপসারণ করল কেন্দ্র। পদস্থ এই দুই অফিসারকে অবিলম্বে তাদের রাজ্য ক্যাডারে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমানা (Border Security Force) পেরিয়ে বার বার জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং উপত্যকায় অশান্তির কারণে এই পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আবার অনেকের অনুমান বাহিনীর মধ্যে বোঝাপড়া ঘটাতে ব্যর্থ এই দুই অফিসার। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। দেশের নিরাপত্তা জোরদার করতে তাই এই পদক্ষেপ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    কেন অপসারণ (Border Security Force) 

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিএসএফ প্রধানের (BSF Chief) বিরুদ্ধে সমন্বয়ের অভাব সহ গুরুতর বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ এবং একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। মন্ত্রকের এক অফিসারের কথায়,”বাহিনীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই ওই দুই অফিসারকে পদ খোয়াতে হল।” বিএসএফের প্রায় ২.৬৫ লাখ কর্মী রয়েছেন যাঁরা পশ্চিমে পাকিস্তান এবং পূর্বে বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে সীমান্তে (Border Security Force) একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। এবার বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।  

    আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে রাহুল গান্ধী

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা

    বিএসএফের ডিজির (BSF Chief) পদে ছিলেন নীতিন আগরওয়াল। তিনি গত বছরের জুন মাসে ওই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সময়ের আগেই তাঁকে অপসারিত করে রাজ্য স্তরের ক্যাডারে ফেরত পাঠানো হল। অন্য দিকে, স্পেশাল ডিজি (পশ্চিম) পদে এত দিন ছিলেন ওয়াইবি খুরানিয়া। তাঁকেও রাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ১৯৮৯ সালের কেরল ক্যাডারের আধিকারিক ছিলেন নীতিন। খুরানিয়া ছিলেন ১৯৯০ সালের ওড়িশা ক্যাডারে। দু’জনকেই সময় শেষ হওয়ার আগেই পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। শুক্রবার পৃথক ভাবে দু’টি বিজ্ঞপ্তিতে সেই নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতেও বলা হয়েছে। তবে ওই দুই পদের দায়িত্বে কাদের আনা হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে রাহুল গান্ধী

    Rahul Gandhi: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে (Wayanad) গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সমাজ মাধ্যমে এবং সেখানে দেখা যায়, রাহুল গান্ধীর কনভয়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। তাঁকে গাড়ি থেকে নামার অনুরোধও করছেন স্থানীয়রা তবে নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়েছেন রাহুল। 

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর তোপ

    এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এবং তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সরকারকেই। অমিত মালব্য জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকারই পশ্চিমঘাট ইকোলজি এক্সপার্ট প্যানেল রিপোর্টকে খারিজ করেছিল। প্রসঙ্গত, এই রিপোর্টটি মেপাদ্দিতে পরিবেশ বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছেন অমিত মালব্য। বিপর্যয়ের দায় যে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এড়াতে পারেন না সে কথাও নিজের পোস্টে উল্লেখ করেছেন মালব্য।

    তিনি কেন এখানে এসেছেন (Rahul Gandhi)!

    প্রসঙ্গত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে স্থানীয়রা রাহুল গান্ধীকে গাড়ি থেকে নিচে নামতে বলছেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নিশ্চুপভাবে গাড়িতেই বসে আছেন। স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাঁদের সাংসদ জনগণের বিষয়ে একেবারেই উদ্বিগ্ন নন। একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘ওনাকে গাড়ি থামাতে বলো! আমরাই হলাম সেই সমস্ত ভোটার যাঁরা ওনাকে সাংসদ বানিয়েছি। তিনি এই কেন্দ্রের (Wayanad) এমপি ছিলেন। তিনি যদি গাড়ি থেকে না নামতে পারেন এবং কাদায় পা না দিতে পারেন, তাহলে তিনি কেন এখানে এসেছেন!’’ আরও একজন ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন যে রাহুল গান্ধীর সফরের জন্যই দোকান পাট সমস্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এই কারণে তাঁরা আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্ষুধার্ত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jamaat-e-Islami: জামাত-ই-ইসলামিকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল মুসলিম সংগঠন

    Jamaat-e-Islami: জামাত-ই-ইসলামিকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল মুসলিম সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৩১ জুলাই মুসলিম সংগঠন ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি (Indian Muslim Association-Noori) একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে এবং সেখানে দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে তারা, কট্টরপন্থী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামিকে। ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি আরও দাবি জানিয়েছে, জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) শুধুমাত্র কাশ্মীরেই সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে না উপরন্ত গোটা দেশে তারা জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং দেশজুড়ে ভারত বিরোধী ও জিহাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যুবসমাজকে নিজেদের সংগঠনে তারা জুড়ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে।

    ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরির সভাপতি কী বলছেন?

    ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি যার সংক্ষিপ্ত নাম হল ইমান (Indian Muslim Association-Noori), এই সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হামিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা শুধুমাত্র জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি না। এর পাশাপাশি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে, সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে, যেগুলি থেকে নিজেদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করছে জামাত। তাদের কর্মসূচিগুলিকেও চিহ্নিত করতে হবে।

    প্রেস বিবৃতি

    নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে ইমান বলেছে, ‘‘বিগত কয়েক মাসে জম্মু-কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। জঙ্গিরা আক্রমণ চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর ওপর। রাজৌরি, কুপওয়ারা, ডোডা প্রভৃতি জেলা থেকে মিলছে সন্ত্রাসবাদের একের পর এক খবর। এই ধরনের হামলাগুলিতে জয়শ-ঈ-মহম্মদ, কাশ্মীর টাইগার প্রভৃতি সংগঠনগুলির পাশাপাশি রয়েছে জামাত-ই-ইসলামিও। এদের লক্ষ্য হল ভারতকে অস্থির করে রাখা। সম্প্রতি জামাত-ই-ইসলামিকে (Jamaat-e-Islami) জম্মু-কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংগঠনকে সম্পূর্ণ দেশে নিষিদ্ধ করা হোক।’’

    জামাতের (Jamaat-e-Islami) ইতিহাস

    প্রসঙ্গত, জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৈয়দ-আবু-আল-মৌদাদী। কট্টরপন্থী ইসলামিক ভাবধারাকে বাস্তবায়িত করতে এই সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাকে সাহায্য করে এই সংগঠন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে হিন্দুদের ওপর চরম অত্যাচার চালায় জামাত। হাজার হাজার হিন্দুকে হত্যা করে তারা। মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। প্রসঙ্গত প্রথমদিকে অর্থাৎ ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানে জামাত-ই-ইসলামি একটা রাজনৈতিক দল ছিল এবং তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। পরবর্তীকালে তারা ছাত্র-যুবদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করে। যার নাম দেয় জামাত-ই-তালাবা। এই সংগঠন পাকিস্তানের বেশিরভাগ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের দখলে আনে ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে থাকে। সেই থেকেই শুরু হয় জামাতের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। আন্তর্জাতিক স্তরেও এই সংগঠন জাল বিছিয়েছে। প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিদের সঙ্গেও এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুড নামের সংগঠনের সঙ্গেও এদের যোগাযোগ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haj Committee: হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়া, অভিযোগ সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিরও

    Haj Committee: হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়া, অভিযোগ সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হজ কমিটির (Haj Committee) নামে মারাত্মক অভিযোগ করলেন এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অভিযোগ হায়দ্রাবাদের সাংসদের। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।

    ব্যবস্থাপনাতেও দুর্নীতির অভিযোগ (Asaduddin Owaisi)

    হজ কমিটির (Haj Committee) বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা অনেক দীর্ঘ। অভিযোগ হজ কমিটির বাবুরা হজ যাত্রীদের প্রাইভেট ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আর্থিক তছরূপের সঙ্গে লিপ্ত। শুধু তাই নয়, হজ কমিটির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে হজযাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবক সেজে বিনামূল্যে হজ যাত্রা করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি হজ যাত্রার আগে হজ যাত্রীদের থাকা খাওয়ার জন্য বরাদ্দ অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ রয়েছে হজ কমিটির বিরুদ্ধে। হজ কমিটি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। একদা এই কমিটির হাতে অনেক ক্ষমতা ছিল। মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি হচ্ছে আঁচ করতে পেরে সরকার এই কমিটির ডানা ছেঁটেছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের হজ কমিটি রয়েছে। তারাও একই পথের পথিক বলে অভিযোগ। বিশেষ করে হজ করতে গিয়ে সেখানেও নানান সমস্যায় পড়েন ভারতীয় মুসলিমরা। দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা অনেক গভীরে, অভিযোগ হজ যাত্রীদের।

    কংগ্রেস নেতার অভিযোগ (Haj Committee)

    প্রসঙ্গত, গতবছর কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন সংখ্যালঘু বিভাগের মন্ত্রী আরিফ নাসিম খান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হজ যাত্রার ব্যবস্থাপনায় বিরাট দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লেখেন। এমনকি হজ যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ জানান। সূত্রের খবর, প্রাইভেট ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে হজ কমিটির (Haj Committee) অবৈধ আঁতাত থাকে। প্রাইভেট ট্যুর অপারেটররা হজ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। সেই টাকার একটা অংশ হজ কমিটির বাবুদের পকেটে যায় বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছে। সংসদে এই একই বিষয়ে উপস্থাপন করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি (Asaduddin Owaisi) সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।

    আরও পড়ুন: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cashless Treatment: পথ দুর্ঘটনায় আহতরা পাবেন ‘ক্যাশলেস’ চিকিৎসা! আসছে কেন্দ্রের বিশেষ স্কিম

    Cashless Treatment: পথ দুর্ঘটনায় আহতরা পাবেন ‘ক্যাশলেস’ চিকিৎসা! আসছে কেন্দ্রের বিশেষ স্কিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য এবার নয়া প্রকল্প আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য় ক্যাশলেস চিকিৎসা (Cashless Treatment) ব্যবস্থা আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে সেটা আনা হবে এই নতুন প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে চণ্ডীগড় ও অসমে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে কোথায় সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সেটা বড় কথা নয়। এই ধরনের দুর্ঘটনা হলেই ক্যাশলেস চিকিৎসা প্রয়োগ করা হবে। 

    কী বললেন গড়কড়ি

    শুক্রবার লোকসভায় একটা লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, এই স্কিমের (Cashless Treatment) আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্যাকেজের ব্যবস্থা থাকবে। আয়ুস্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনার আওতায় প্যানেলভুক্ত হাসপাতালে ট্রমা ও পলিট্রমা কেয়ারের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা করা হবে। দুর্ঘটনার পর সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত এই সহায়তা করা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাস ব্রাদার্স’-এর তুঘলকি কাণ্ডে ৫০০ কোটির ক্ষতি টলিপাড়ার! তাও চুপ রাজ্য

    কীভাবে প্রকল্পের প্রয়োগ

    প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্য়ু হয় পথ দুর্ঘটনার কারণে। পথ দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটে চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে। এই বিষয়টির কথা মাথা রেখেই এবার সরকার শীঘ্রই পথ দুর্ঘটনায় ক্ষেত্রে ক্যাশলেস চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে পথ দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ক্যাশলেস (Cashless Treatment) হতে চলেছে গোটা দেশে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Nitin Gadkari) আরও জানিয়েছেন, এই প্রকল্প প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় পুলিশ, প্যানেলভুক্ত হাসপাতাল, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক এজেন্সি, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার, জেনারেল ইনস্যুরেন্স কাউন্সিল— সকলে মিলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gomti Nagar Incident: রাস্তায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি! যোগী-রাজ্যে সাসপেন্ড পুরো থানা, অপসৃত তিন পুলিশকর্তা

    Gomti Nagar Incident: রাস্তায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি! যোগী-রাজ্যে সাসপেন্ড পুরো থানা, অপসৃত তিন পুলিশকর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোমতি নগরের ঘটনায় (Gomti Nagar Incident) গোটা পুলিশ থানাকেই সাসপেন্ড করে দিল যোগী প্রশাসন। থানার পুলিশ কর্মী এবং পুলিশ আধিকারিকদের ছাড়াও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপারকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী হয়েছিল (Gomti Nagar Incident)

    গোমতিনগরে একটি প্লাবিত রাস্তায় দেখা যায়, জনা তিরিশ যুবক যাত্রীদের হয়রান করছে। কোনও গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে এগিয়ে গেলেই হামলা করছে। বাইক আরোহীদের গায়ে রাস্তার নোংরা জল (Gomti Nagar Incident) ছিটিয়ে দিচ্ছে। এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, এক বাইক আরোহী তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। তাঁরা ওই রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যেতেই ওই হুল্লোড়বাজরা প্রথমে রাস্তার নোংরা জল তাঁদের গায়ে ছিটিয়ে দেয়। এরপর তাঁদের বাইক টেনে হিঁচড়ে ওই জলের মধ্যে ফেলে দিয়ে। বাইকের পেছনে বসে থাকা তরুণী জলের পড়ে যান। তাঁর গায়েও হাত দেওয়া হয় বলে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়। অপর একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্তরা পাথর মেরে রাস্তার বাল্ব ভাঙছে, চারচাকা গাড়ির কাচ ইট মেরে ভাঙছে এবং যাকে ইচ্ছে গালিগালাজ করছে। বিশেষ করে মহিলাদের উদ্দেশ্য করে তাঁদের ভাষা শুনলে যে কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের মাথা গরম হতে বাধ্য। যদিও, ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে, ভিডিওগুলি ভাইরাল হতেই ময়দানে নামে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। 

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Yogi Adityanath)

    এ প্রসঙ্গে বিধানসভায় যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “যারা মহিলাকে নিগ্রহ করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মা, বোনেদের ইজ্জত নিয়ে যারা খেলবে, তাঁদের জীবন সুরক্ষিত থাকবে, এই গ্যারান্টি সরকার দেবে না। অনেকে বলছে সদভাবনা ট্রেন চালান, এদের জন্য বুলেট ট্রেন চালানো হবে। এক্ষেত্রে যোগী আদিত্যনাথ কী বলতে চেয়েছেন, তা সহজেই অনুমেয়। মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) আরও জানান, এই (Gomti Nagar Incident) ঘটনাকে তাঁর দফতর খুব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। এসপি, ডিসিপি সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। যারা অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তাঁদের ফল ভুগতে হবে। রাজ্যের সকলকে আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    অ্যাকশান মোডে যোগী প্রশাসন

    জানা গিয়েছে ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট ১৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যোগী (Yogi Adityanath) প্রশাসন গোটা থানার পুলিশকে সাসপেন্ড এবং পুলিশের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ আধিকারিকরা হলেন— ইন্সপেক্টর ইনচার্জ দীপক কুমার পান্ডে, ফাঁড়ি ইনচার্জ ঋষি বিবেক, সাব-ইন্সপেক্টর কপিল কুমার এবং কনস্টেবল ধর্মবীর ও বীরেন্দ্র কুমার।

    আরও পড়ুন: কুকি-মেইতেইদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত, শান্ত হওয়ার পথে মণিপুর

    এছাড়া, পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব লখনউ) প্রবাল প্রতাপ সিং, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অমিত কুমাওয়াত এবং পুলিশের সহকারী ডেপুটি কমিশনার আংশু জৈনকে (Gomti Nagar Incident) তাঁদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electoral Bonds Scheme: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি! সিট গঠনের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে

    Electoral Bonds Scheme: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি! সিট গঠনের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতির (Electoral Bonds Scheme) খোঁজে তদন্তে সিট গঠনের আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এর আগে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা করেছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিল।

    কী জানিয়েছে শীর্ষ আদালত?  

    এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds Scheme) সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুবিধে পাওয়ার জন্য বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। তাই নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তার তদন্ত হোক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে এবার শীর্ষ আদলত বলেছে, ”নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া এবং নেওয়ার সময় তা ‘কুইড প্রো কো’ (কোনও কিছুর বিনিময়ে কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া) বা ‘ক্ষতিকারক’ ছিল কি না, তা নিয়ে এখন তদন্ত হতে পারে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।”   

    আরও পড়ুন: ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের

    এর আগে কী হয়েছিল? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে বন্ড (Electoral Bonds Scheme) কেনাবেচা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই জনস্বার্থ আবেদনে বলা হয়, মূলত তিন ধরনের লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রথমত, কাজের বরাত, লাইসেন্স, কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য অনুদান। এই সব কাজের বরাতের মূল্য অনেক ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। দ্বিতীয়ত, ইডি, আয়কর দফতর বা সিবিআইয়ের অভিযানের ঠিক আগে বন্ডে অনুদান দিয়েছে অনেক সংস্থা। অনেক ক্ষেত্রে অনুদানের বিনিময়ে ড্রাগ কন্ট্রোলারের মতো সংস্থা উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণের কাজ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয়ত, সংস্থার পক্ষে অনুকূল নীতি তৈরির জন্য বন্ডে অনুদান দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। ফলে এই সমস্ত অভিযোগের ভত্তিতেই সিট গঠনের আবেদন জানিয়েছিল ওই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে, এদিন মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সেই আবেদন খারিজ করে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Peace Deal: কুকি-মেইতেইদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত, শান্ত হওয়ার পথে মণিপুর

    Manipur Peace Deal: কুকি-মেইতেইদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত, শান্ত হওয়ার পথে মণিপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের একটি জেলায় মেইতেই এবং কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি চুক্তি (Manipur Peace Deal) সম্পাদিত হল। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে অশান্ত মণিপুর। অবশেষে জিরিবাম জেলায় বিবাদমান ২ গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি চুক্তি (Manipur Update) সম্পাদিত হল। সরকারের তরফে এটিকে বড় সাফল্য দাবি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারের তরফে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছিল। শান্তি চুক্তিতে দুপক্ষই শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ নেবে এবং সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। একইসঙ্গে হিংসার পথ তারা এড়িয়ে চলবে বলে জানিয়েছে।

    মণিপুরে শান্তি চুক্তি সম্পাদিত (Manipur Peace Deal)

    এই শান্তি চুক্তি একটি জেলার জন্য হলেও, মনে করা হচ্ছে এরপর দুপক্ষই ধীরে ধীরে মনিপুর জুড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে উদ্যোগী হবে। দুপক্ষই স্বাধীনতা দিবসের পর ফের একত্রিত হবে এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে বলে জানা গিয়েছে। মেইতেই এবং কুকি-চিন দুই গোষ্ঠী সামরিক বাহিনীর সঙ্গেও সহযোগিতা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদিনের বৈঠকে (Manipur Peace Deal) বিবাদমান দুই গোষ্ঠী ছাড়াও থাদৌ, মিজো এবং পাইতে গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এদিনের শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। জিরিবাম জেলা মণিপুরের অন্যতম হিংসা কবলিত। গত বছরের মে মাস থেকে এই এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। ৫৯ বছর বয়সি মেইতেই চাষি শৈবাম শরৎকুমার সিং নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই এই এলাকা জ্বলতে শুরু করে। গত মাসেও জঙ্গি হানায় একজন সিআরপিএফ জওয়ান এই এলাকায় নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছিলেন। যদিও এ বছরের ৬ জুনের পর থেকে ধীরে ধীরে এলাকায় শান্তি ফিরছিল।

    এখনও বহু মানুষ ঘড়ছাড়া (Manipur Update)

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও বহু মেইতেই পরিবার ত্রাণশিবিরে বসবাস করছেন। তাঁরা এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি। বৃহস্পতিবার ইম্ফলে বাড়ি ফেরার দাবিতে মেইতেই গোষ্ঠীর লোকেরা একটি মিছিল আয়োজিত করেন। এদের মধ্যে অনেকেই ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী শহর মোরেহ এলাকার বাসিন্দা। সরকারি হিসেবে দুপক্ষের সংঘর্ষে (Manipur Update) ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৭০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছিলেন। যদিও তাঁদের একটা বড় অংশ বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দলিত মহিলাকে বিয়ে করে ধর্মান্তকরণ, পরে খুন, গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    প্রধানমন্ত্রী মণিপুর প্রসঙ্গে আগেই জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শান্তি ফেরানোর সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে সরকার। সব পক্ষের সঙ্গে (Manipur Peace Deal) আলোচনা চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই মণিপুরে এই প্রথম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Digitalisation: ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্য মুক্তি স্মার্টফোনেই! ডিজিটাল ভারতের প্রশংসায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    Digitalisation: ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্য মুক্তি স্মার্টফোনেই! ডিজিটাল ভারতের প্রশংসায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহার করেই দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভ! এও আবার সম্ভব নাকি? হ্যাঁ, গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে ভারত ৮০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য (India poverty) থেকে বের করে এনেছে “শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে”। সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা (UNGA)-র ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসের মুখে শোনা গেল এমনই বার্তা।

    ডেনিস ফ্রান্সিসের মন্তব্য 

    নিজের বক্তব্য পেশ করার সময়ে ডিজিটালাইজেশন (Digitalisation) নিয়ে ভারতের কাজের তুমুল প্রশংসা করেন ডেনিস ফ্রান্সিস। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের বিভিন্ন গ্রামে যাঁদের আগে ব্যাঙ্কিং পেমেন্ট সিস্টেমে অ্যাক্সেস ছিল না তাঁরা এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতে ডিজিটালাইজেশন নিয়ে যেভাবে কাজ হচ্ছে তাতে, গত ৫-৬ বছরে ৮০ কোটি নাগরিক দরিদ্রসীমা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    কীভাবে ঘটল দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভ? (India poverty)  

    কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডিজিটালাইজেশনের (Digitalisation) উপর জোর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। গত এক দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম ফোকাস এর উপরে রয়েছে। দেশে ইদানিং ডিজিটাল পেমেন্টও অনেকটাই বেড়েছে— ইউপিআই পেমেন্টেও জোয়ার এসেছে। ডেনিসের মতে, ভারতে ইন্টারনেট সহজলভ্য, সেই কারণেই এমন লাভ পেয়েছে ভারত। ডেনিস আরও বলেন, ”ভারতের গ্রামীণ ক্ষেত্রের কৃষকরা, যাঁদের এতদিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ ছিল  না, তাঁরাও এখন যাবতীয় লেনদেন স্মার্টফোনে করছেন। নিজেদের খরচ মেটাচ্ছেন, আবার নিজের অর্ডারও ওই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই পাচ্ছেন। কিন্তু, এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ-এর অধিকাংশ এলাকাতেই নেই।” 

    আরও পড়ুন: ”আগের সরকারের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে,” আদিত্যনাথ

    নোটবন্দির পর থেকেই দেশে ডিজিটাল পেমেন্টে জোয়ার

    প্রসঙ্গত, গত ১০ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটালাইজেশন (Digitalisation­)। ২০১৬ সালে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর থেকেই ডিজিটাল পেমেন্ট লেনদেনে অগ্রগতি আসে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর জন ধন, আধার এবং মোবাইল— সংক্ষেপে ‘জ্যাম’ (JAM) উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উদ্যোগের অধীনে, ভারতের বহু গ্রামের লক্ষ লক্ষ লোক তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে আধারের সঙ্গে যুক্ত করার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতেও সুবিধা হচ্ছে তাঁদের। এসব কারণেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্যমুক্তি ঘটেছে গত কয়েক বছরেই।   
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share