Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • BJP: এ বছরেও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি, শুরু ১১ অগাস্ট থেকে

    BJP: এ বছরেও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি, শুরু ১১ অগাস্ট থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছরের মতো চলতি বছরেও অনুষ্ঠিত বিজেপির (BJP) ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচি। দেশের স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের মুহূর্তে নাগরিকদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগানোর উদ্দেশ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচার অভিযান শুরু হচ্ছে ১১ অগাস্ট থেকে, এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি (BJP) সূত্রে। সারা দেশের মতো এই কর্মসূচি চলবে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও। 

    জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান

    জানা গিয়েছে, এই প্রচার অভিযানের মাধ্যমে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা ব্যাপকভাবে জনসংযোগ করবেন ১১ অগাস্ট থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা প্রত্যেক নাগরিকের বাড়িতে, দোকানে, অফিসে সর্বত্র পৌঁছাবেন। ১৩ থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে বাড়ি বা দোকানের ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানাবেন বিজেপি কর্মীরা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যাপক জনসংযোগও গড়ে তুলতে পারবে বিজেপি, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, এই সময় নিজের নিজের এলাকার সাফাই অভিযানেও নামবেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা।

    দেশভাগের যন্ত্রণাকেও স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর

    এর পাশাপাশি, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনও করা হবে। বিজেপির তরফ থেকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের ঠিক একদিন আগেই ১৪ অগাস্ট দেশ ভাগের যন্ত্রণা ও ভয়াবহ স্মৃতিকেও স্মরণ করা হবে দলের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, ১৪ অগাস্ট দেশভাগের দিনটি স্মরণ করার কথা প্রথম ২০২১ সালে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তিনি সেই সময় এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘‘দেশভাগের সময় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, যাঁদেরকে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হতে হয়েছে, তাঁদেরকে স্মরণ করার জন্য এই দিনটিকে উৎসর্গ করা হবে।’’

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বিজেপি (BJP) নেতা সিআর পাতিল প্রথম ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে, এটি সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত রবিবারও ‘মন কি বাত’-এর অনুষ্ঠানের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান সম্পর্কে ফের একবার সকলকে স্মরণ করান এবং তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান ব্যাপক সফল হয়েছে। তিরঙ্গা উত্তোলনের মাধ্যমে সকলেই গর্বিত হয়েছেন। এই গৌরবকে বজায় রাখার জন্য প্রতিবছরের মতো চলতি বছরেও আপনারা তিরঙ্গার সঙ্গে সেলফি তুলবেন এবং তা harghartiranga.com-এ আপলোড করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার

    Anurag Thakur: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সাংবাদিককে প্রশ্ন করেছিলেন “আপনার জাত কি?” জাত বিতর্ক (Caste Row) নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে, সেই সময় এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন হামিরপুরের সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। ভিডিওটি সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের। একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেউ কীভাবে জাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারে?” ভিডিওটিতে কোনও তারিখ দেখা যাচ্ছে না। তবে তাতে দেখা যাচ্ছে, অখিলেশ একজন সাংবাদিককে জাত নিয়ে প্রশ্ন করছেন।

    অনুরাগের বাক্য-বাণ (Anurag Thakur)

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। সংসদে চলছিল জাত গণনার দাবিতে আলোচনা। সেই সময় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অনুরাগ। বলেন, “কংগ্রেসের শাহজাদা আমাদের জ্ঞান দেবেন? বিরোধী দলনেতার পদ কী, তা আগে বুঝতে হবে ওঁকে। ওঁদের মিথ্যে ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। বারবার ওবিসিদের কথা বলা হয়। বারবার করে জাতিগণনার কথা বলা হয়।” এর পরেই প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “যাঁদের নিজেদের জাতের ঠিক নেই, তাঁরাই জাত গণনার দাবি করছেন।” অনুরাগের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো তথা সাংসদ অখিলেশ যাদবও। তিনি প্রশ্ন করেন, “কারও জাত কি জানতে চাওয়া যায়? কারও জাত জানতে হবে কেন? অখিলেশের এহেন প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই অনুরাগ পোস্ট করেন পুরানো ভিডিও। অনুরাগকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানান বিরোধীরা।

    মোদির কণ্ঠে অনুরাগ প্রশস্তি

    হামিরপুরের সাংসদের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। লোকসভার ভাষণ শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “আমার ছোট এবং উদ্যমী সহকর্মী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য অবশ্যই শুনতে হবে। ঘটনা এবং রসবোধের যথার্থ মিশ্রণ এটি। ‘ইন্ডি’ জোটের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) নোংরা রাজনীতির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তিনি।” কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুরের একটি বই থেকে উদ্ধৃতিও দিয়েছেন অনুরাগ। রাহুলকে দিয়েছেন এলওপি-র ব্যাখ্যা। অনুরাগ (Anurag Thakur) বলেন, “এই দলের শাহজাদার প্রথমে বোঝা উচিত এলওপি-র অর্থ কী। এর অর্থ হল ‘লিডার অফ অপোজিশন’, ‘লিডার অফ প্রোপাগান্ডা নয়’।”

    হালুয়া প্রসঙ্গ

    হালুয়া প্রসঙ্গ তুলেও এদিন রাহুলকে চাঁদমারি করেন অনুরাগ। বলেন, “রাহুলজি, আপনি হালুয়া নিয়ে বলছেন। বোফর্স দুর্নীতির হালুয়া কে খেয়েছিল? অন্তরীক্ষ দিবস (Caste Row) দুর্নীতি, কমনওয়েল্থ গেমস, ন্যাশনাল হেরাল্ড, সাবমেরিন, ২জি স্ক্যাম, কয়লা, ইউরিয়া ও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি থেকে কারা লাভ করেছিল? রাহুলজি ওই হালুয়াটা কি মিষ্টি ছিল নাকি বিস্বাদ? অনুরাগ বলেন, “কয়েকজন ওবিসি নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু তাদের কাছে ওবিসির অর্থ হল, ‘ব্রাদার ইন ল কমিশন’। এই দল কিনা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের নিয়ে কথা বলবে?

    বোমা ফাটালেন কঙ্গনা

    জাত নিয়ে কথা বলায় অনুরাগ যখন খুঁচিয়ে তুলেছেন অখিলেশের পুরানো ঘা, ঠিক তখনই পুরানো একটি ভিডিও শেয়ার করে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন গ্ল্যামার কুইন নায়িকা সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত। পুরানো ওই ভিডিওয় রাহুল গান্ধীকেও লোকের জাত নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভিডিও শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, “আপনি নিজের জাত সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আপনার দাদু মুসলিম, ঠাকুমা পার্সি, মা খ্রিস্টান। মনে হয় কেউ ভাত ও ডাল বানানোর জন্য কারিপাতা দিয়ে পাস্তা মেখেছেন। এদিকে উনি সবার জাত জানতে চান।” তিনি লিখেছেন, “কী করে তিনি প্রকাশ্যে মানুষকে তাঁদের জাত (Caste Row) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, এমন (Anurag Thakur) অভদ্রভাবে, ছিঃ লজ্জা, রাহুল গান্ধী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttar Pradesh News: বড় পদক্ষেপ যোগী সরকারের, বন্ধ হতে চলেছে ৯৪টি অবৈধ মাদ্রাসা

    Uttar Pradesh News: বড় পদক্ষেপ যোগী সরকারের, বন্ধ হতে চলেছে ৯৪টি অবৈধ মাদ্রাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগী রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে ৯৪টি অবৈধ মাদ্রাসা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh News) আলিগড় জেলাতে এই মাদ্রাসাগুলি অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে। মাদ্রাসা বন্ধ হতে চলার এই খবর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন আলিগড়ের (Aligarh) সংখ্যালঘু বিষয়ক আধিকারিক নিধি গোস্বামী।

    কী বললেন নিধি গোস্বামী? (Uttar Pradesh News)

    এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে নিধি গোস্বামী বলেন, ‘‘বর্তমানে ৯৪টি অবৈধ মাদ্রাসা চলছে আলিগড় জেলাতে (Aligarh) যা খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে। এই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের সরকার স্বীকৃত স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আলিগড়ের জেলাশাসক ইতিমধ্যে (Uttar Pradesh News) এই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি (জেলাশাসক) একটি কমিটি তৈরি করতে বলেছেন যে কমিটিতে থাকবেন, জেলার মাইনরিটি অফিসার, সমস্ত এসডিও এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। এই কমিটি তৈরি হওয়ার পরেই প্রশাসনের নির্দেশকে বাস্তবায়িত করা হবে।’’

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে চিঠি দেন নিধি

    জানা গিয়েছে, গত ২৬ জুন উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh News) আলিগড় জেলার সংখ্যালঘু বিষয়ক আধিকারিক উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি লিখে অবৈধ মাদ্রাসার বিষয়টি জানান। তারপরেই প্রশাসনেক তরফ থেকে পদক্ষেপ করা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ওই মাদ্রাসায় দু’হাজারেরও বেশি পড়ুয়া বর্তমানে পড়াশোনা করছেন এবং তাঁদেরকে উত্তরপ্রদেশের স্বীকৃত বোর্ডে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নিধি জানিয়েছেন, জেলাশাসকের তৈরি করা ওই কমিটি অবৈধ মাদ্রাসাগুলিকে পরিদর্শন করবে এবং সেখানকার পড়ুয়াদের তালিকাও তৈরি করা হবে। এর পরে সরকারকে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: যোগী রাজ্যে আরও কঠোর বেআইনি ধর্মান্তকরণ আইন, কী কী বদল এল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    Wayanad Landslide: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি। ভয়াবহ ভূমি ধসে (Wayanad Landslide) প্রাণহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাদা ও বালির স্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা (Indian Army)। এবার দুর্গতদের উদ্ধার করতে মানবসেতু তৈরি করলেন তাঁরা। কোলে করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিলেন শিশুদের।  

    সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের ভিডিও প্রকাশ্যে

    কাদা আর বালির স্তূপ ঘেঁটে ঘেঁটে এখনও প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সম্প্রতি ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, কীভাবে হাতে হাত ধরে মানবসেতু তৈরি করেছেন জওয়ানেরা (Indian Army)। ওয়েনাড়ের চূড়ামালা গ্রামে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন জওয়ানরা।

    প্রবল স্রোতে বইছে নদী। তার উপরে দুদিকের স্থলভাগে দড়ি টাঙিয়ে কোনও রকমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষকে। মাঝে সেনা জওয়ানেরা দুহাত বিছিয়ে দড়ি ধরে সংযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন। শিশুদের কোলে তুলে নিরাপদ স্থানে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছেন জাওয়ানরা। ১২ জন জওয়ান মিলে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামে।

    মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি

    এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Wayanad Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি। ২০০ জনেরও বেশি আহত গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ৷ তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এখনও পর্যন্ত ৩,০০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা৷ উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ইট, কাঠ বালি, কাদা সরিয়ে স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে কেরলের ওয়েনাড়ে ধস, মৃত্যু ৮০ পার! চাপা পড়ে শতাধিক

    তবে এখনই শেষ হচ্ছে না এলাকাবাসীর দুর্ভোগ (Wayanad Landslide)। আবহাওয়া দফতরের তরফে ওয়েনাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ অগাস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই সব স্থানে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, ২ অগাস্টও ওয়েনাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নতুন করে আবার চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সকলের কপালে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anti Conversion Law: যোগী রাজ্যে আরও কঠোর বেআইনি ধর্মান্তকরণ আইন, কী কী বদল এল?

    Anti Conversion Law: যোগী রাজ্যে আরও কঠোর বেআইনি ধর্মান্তকরণ আইন, কী কী বদল এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় পাশ হয়েছে বেআইনি ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধ আইন (সংশোধনী) ২০২৪। এই সংশোধনী বিলে (Anti Conversion Law) শাস্তির বিধানকে আরও কঠোর করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে, এখন সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পাশ করা বিলে এই বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে যা পূর্বের বেআইনি ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধ আইন ২০২১-এ ছিল না।

    দুর্বল জনগোষ্ঠীর রক্ষাকবচ নয়া বিল (Anti Conversion Law)

    উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের তরফে জানানো হয়েছে নতুন এই বিল আগের থেকে আরও কঠোর করা হয়েছে এবং তা রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে অপ্রাপ্তবয়স্ক, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, মহিলা, তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি সমেত সমাজের অন্যান্য দুর্বল বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে। এছাড়া যে কোনও রকমের গণ ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করবে এই বিল। আগের আইনে দুর্বল জনগোষ্ঠীর কোনও সদস্যকে বেআইনিভাবে ধর্মান্তকরণ করা হলে ১০ বছরের সাজার বিধান ছিল, বর্তমান বিলে তা বাড়িয়ে ১৪ বছর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, জরিমানার পরিমাণও ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে, গণ-ধর্মান্তকরণের ক্ষেত্রে আগের আইনের ৩ বছরের সাজার মেয়াদগুলি বেড়ে হয়েছে ১০ বছর ও ৭ বছরের সাজার মেয়াদগুলি বেড়ে হয়েছে ১৪ বছর। জরিমানার পরিমাণও আগের থেকে বেড়েছে, ৫০ হাজার থেকে বেড়ে তা হয়েছে ১ লাখ।

    আত্মীয় নয়, অভিযোগ জানাতে পারবেন যে কোনও ব্যক্তি

    পূর্বের ধর্মান্তকরণ (Anti Conversion Law) সংক্রান্ত যে আইন ছিল, সেখানে যাঁদেরকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হত তাঁদের আত্মীয়রাই শুধুমাত্র অভিযোগ দায়ের করতে পারতেন। আগে এই ধরনের মামলায় অভিযোগ নথিভুক্ত করাতে, নির্যাতিত বা নির্যাতিতা অথবা তাঁর মা-বাবা অথবা ভাই-বোনের উপস্থিত থাকাটা আবশ্যক ছিল। এঁদের উপস্থিতি ছাড়া, যে কেউ চাইলেই অভিযোগ জানাতে পারতেন না। তবে, সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে, ধর্মান্তকরণের অভিযোগের ক্ষেত্রে যে কোনও ব্যক্তি এফআইআর নথিভুক্ত করতে পারবেন। যে কেউ এই বিষয়ে পুলিশকে লিখিত তথ্য দিতে পারবেন। অর্থাৎ, সেই ব্যক্তি নির্যাতিত বা নির্যাতিতার নিকতাত্মীয় না হলেও চলবে। এই পরিবর্তনের ফলে আইনটি আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত হল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    বাড়ানো হয়েছে শাস্তির মেয়াদ

    এর পাশাপাশি নতুন বিলে শাস্তিও বাড়ানো হয়েছে। নতুন বিল অনুযায়ী যদি কোনও ব্যক্তি হুমকি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি বা অন্যান্য উপায়ের মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তিকে ধর্মান্তকরণ করতে বাধ্য করেন বা ধর্মান্তকরণ করতে প্ররোচনা দেন, তবে তাঁদের ন্যূনতম কুড়ি বছরের কারাদণ্ড হতে পারে যা আজীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়ানো (Anti Conversion Law) হতে পারে। এই একই শাস্তি তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যাঁরা নাবালিকা, নারী বা অন্যান্য পাচার কাজের সঙ্গে যুক্ত।

    বিদেশি বা অবৈধ উৎস থেকে ধর্মীয় কাজে ফান্ডিং রোধ

    নতুন যে বিল পাশ করা হয়েছে সেখানে বিদেশ থেকে বা অন্য কোন অবৈধ উৎস থেকে ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে আর্থিক ফান্ডিং রোধ করার বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে এবং এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ন্যূনতম সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বিলে। এর পাশাপাশি তা বেড়ে ১৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

    দায়রা আদালতের নীচে কোনও আদালতে এই ধরনের মামলার শুনানি নয়

    এই বিলে বলা হয়েছে, দায়রা আদালতের নীচে কোনও আদালতে এই ধরনের মামলার শুনানি করা যাবে না। এছাড়া, এই আইনের অধীনে সমস্ত অপরাধকেই জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার পক্ষের আইনজীবী তাঁর যুক্তি দেওয়ার আগে কোনও অভিযুক্তর জামিনের আবেদন বিবেচনা করা যাবে না।

    নির্যাতিত বা নির্যাতিতার যাবতীয় চিকিৎসার এবং পুনর্বাসনের খরচ বহন করবে অভিযুক্ত

    জানা গিয়েছে, নয়া বিল অনুযায়ী অভিযুক্তদের কাছ থেকেই নির্যাতিত বা নির্যাতিতার যাবতীয় চিকিৎসার এবং পুনর্বাসনের খরচ বহন করা হবে। অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণও দিতে হবে অভিযুক্তকে। যার পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, ক্ষতিপূরণের (Uttar Pradesh) এই টাকা অভিযুক্তদের দিতে হবে মূল জরিমানার বাইরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: আগাম সতর্ক করা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি কেরল, ওয়েনাড় নিয়ে বিস্ফোরক অমিত শাহ

    Amit Shah: আগাম সতর্ক করা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি কেরল, ওয়েনাড় নিয়ে বিস্ফোরক অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী ধসে তছনছ হয়ে গিয়েছে কেরলের ওয়েনাড় জেলা (Wayanad landslides)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৭৬। এর পাশাপাশি, ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মাটির নীচে আরও অনেকেই চাপা পড়ে রয়েছেন। এমন বিপর্যয়ের জন্য কেরলের বামপন্থী সরকারকেই দায়ী করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, কেরল সরকারকে আগাম সতর্ক করা হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বামপন্থী সরকারের কাছে এতজন মানুষের প্রাণের কি কোনও মূল্য নেই? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, এমন মহাবিপর্যয় যে হতে পারে তার আগাম সতর্কবার্তা ২৩ জুলাই কেরল সরকারকে জানানো হয়েছিল।

    ভূমিধস নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করার আহ্বান শাহের (Amit Shah)

    রাজ্যসভায় বুধবার অমিত শাহ (Amit Shah) নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই ভূমিধস নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করার আহ্বান জানান তিনি। রাজ্যসভায় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। ২৩ জুলাই, ঘটনার সাত দিন আগে কেরল সরকারকে (Wayanad landslides) একটি আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। তারপরে ২৪ এবং ২৫ জুলাই, আমরা আবার তাদের সতর্ক করেছিলাম। ২৬ জুলাইয়ে পাঠানো সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, ২০ সেন্টিমিটারের বেশি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেখানে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কমপক্ষে ৭ দিন আগে সর্তকতা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ভারতে

    রাজ্যসভায় অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার আরও জানিয়েছেন যে, বিশ্বের মধ্যে মাত্র চারটি দেশই রয়েছে, যারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কমপক্ষে ৭ দিন আগে সেই সংক্রান্ত সতর্কতা দিতে পারে। আমাদের দেশ তাদের মধ্যে একটি। অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, বিপদের আভাস পাওয়া মাত্রই কেরলে আগে থেকেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নয়টি দলকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের পাঠানো সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরায়নি কেরলের বামপন্থী সরকার। সেই কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    ১,২০০ উদ্ধারকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বলে জানা গিয়েছে

    অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার দাবি করেন, এনডিআরএফ দল আসার পরই কেরল সরকার সতর্ক হয়ে গেলে, ধসে এত মৃত্যু হত না। তবে, এখন ওয়েনাড় বিপর্যয় মোকাবিলায় কেরল সরকার এবং সেখানকার জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং একটি ডগ স্কোয়াডের নেতৃত্বে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত চুরমালা এলাকায় উদ্ধার অভিযান চলছে। বর্তমানে, ভারতীয় সেনাবাহিনী, ডিএসসি সেন্টার, টেরিটোরিয়াল আর্মি, এনডিআরএফ, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার অন্তত ১,২০০ উদ্ধারকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ফের আগুন, আবারও পুড়ল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাড়ি, নাশকতা?

    Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ফের আগুন, আবারও পুড়ল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাড়ি, নাশকতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে ভূস্বর্গে আগুন জ্বালানোর সুযোগ করে দিয়েছিল কংগ্রেস। যার জেরে ভিটেছাড়া হতে হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit)। তাঁদের ফেলে আসা (Jammu And Kashmir) জমি-জিরেত দখল করে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে কড়া হাতে জঙ্গি দমন করে উপত্যকায় অশান্তির আগুনে জল ঢালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে মোটামুটি শান্তই জম্মু-কাশ্মীর।

    পুড়ল পাঁচ বাড়ি (Jammu And Kashmir)

    মঙ্গলবার গভীর রাতে ফের অশান্তির আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গেল পাঁচ-পাঁচটি বাড়ি। সবগুলোই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার মাত্তান এলাকার ঘটনা। মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের অভিযোগ, তাঁদের হুমকি দিতেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়িগুলিতে। তাঁরা যাতে ভূস্বর্গে আর না ফেরেন, তাই নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে হুমকি দেওয়া হল ভিটে ছেড়ে আসা পণ্ডিতদের।

    নিভল আগুন 

    আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন মাত্তানের এসএইচও। পুলিশ ও দমকলকে সঙ্গে নিয়েই আসেন তিনি। ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে (Jammu And Kashmir)। এসএইচও-র আশ্বাস, তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। দমকলের আধিকারিক নাসির আহমেদ বলেন, “খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে চলে আসি। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই আগুন আয়ত্ত্বে আসে।”

    বুধবার গভীর রাতের এই আগুনের দিন দুয়েক আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল এই মাত্তান এলাকায়ই। সেদিন কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের তিনটি বাড়ি পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের অগ্নিকাণ্ড। এবং লক্ষ্যবস্তু পণ্ডিতদের বাড়িই।

    আরও পড়ুন: অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা, চোখ কপালে তুলবে পরিসংখ্যান

    কাশ্মীর সারদাপীঠ আস্থাপনের সভাপতি রবীন্দ্র পণ্ডিত জানান, এই বাড়িগুলির বাসিন্দারা সকলেই বাইরে থাকেন। তাঁরা কাশ্মীরি উদ্বাস্তু। বাড়িগুলিতে কেউ থাকেন না। তাই শর্ট সার্কিট কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্পষ্টতই এটা নাশকতার ঘটনা। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব জেলার ডেপুটি কমিশনারের। তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ করছেন না। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) ফেলে যাওয়া সম্পদ রক্ষায় সরকার পদক্ষেপ করুক।” পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানান তিনি (Jammu And Kashmir)।

    অল টেম্পলস অ্যান্ড শ্রাইনস ইন সাউথ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট অশোক কুমার বলেন, “আমরা এতে ভীত নয়, পরোয়াও করি না। ১৯৯০ সাল থেকে এই হুমকি আমরা পাচ্ছি। কিন্তু এটা আমাদের জন্মভূমি। আমরা আমাদের মন্দির ও বিল্ডিংগুলো সংস্কার করছি। ওদের কাজে আমরা পিছিয়ে আসব না। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সম্পত্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: কেরলের বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল আরএসএস, উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা

    RSS: কেরলের বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল আরএসএস, উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যে কোনও বড় ধরনের বিপর্যয় হলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে আরএসএস। কেরলের ওয়েনাড়ে (Wayanad) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮০ পার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ শতাধিক মানুষ। এমতাবস্থায় রাহুল গান্ধী তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাড়ে পৌঁছতে না পারলেও পৌঁছে গিয়েছেন আরএসএসের (RSS) শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকরা। রাহুল গান্ধী বৃষ্টির অজুহাত দিয়েছেন। যদিও সেই একই কঠিন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা। পাশাপাশি তাঁদের হাতে ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা।

    সেনার পাশাপাশি কাজ করছে আরএসএস (RSS)

    সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তা পরিষ্কার করার পাশাপাশি মানুষের উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সেনা এবং এনডিআরএফ-এর দল দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুর্গতদের খাবার সরবরাহ করছে আরএসএস (RSS) । এমনকি মৃতদেহও উদ্ধার করছে তাঁরা। সেনা এবং এনডিআরএফ-এর কাধে কাঁধ মিলিয়ে কয়েকশো স্বয়ংসেবক মানুষকে (Wayanad) নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিচ্ছেন। কেউ কোথাও যেতে চাইলে, সেখানে পৌঁছে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। যারা আহত হয়েছেন, তাদেরকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থাও করছে আরএসএস। ‘চিতাগ্নি’ নামে চুরালমলা এলাকায় একটি চলমান সৎকার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাঁরা মৃতদেহের সৎকার করছেন। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় এখনোও গাছের গুড়ি পড়ে আছে। কাদা জমে আছে। রাস্তা পরিষ্কার করার কাজেও সেনা ও এনডিআরএফ-এর পাশাপাশি হাত লাগিয়েছেন ওই স্বেচ্ছাসেবকরা।

    প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস (Wayanad)

    ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি জে পি নাড্ডাকেও পার্টির সদস্যদের (Wayanad) উদ্ধারকাজে হাত লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর তরফে নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ রাহুল গান্ধী এখনও ওয়েনাড়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি। নিজের কেন্দ্রের উপস্থিত হননি তিনি। সংসদীয় এলাকায় যাওয়ার বদলে সংসদে ভাষণ দেওয়াকে হয়ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তিনি। এই কেন্দ্রের দুবারের সাংসদ হিন্দু-মুসলিম, জাতিভিত্তিক জনগণনা সহ নানান বিষয়ে সংসদে কথা বললেও ওয়েনাড়ের জন্য সেভাবে শব্দ খরচ করেননি।

    আরও পড়ুন: আরএসএস সম্পর্কে কুকথা বরদাস্ত করলেন না ধনখড়, রাজ্যসভায় দিলেন যোগ্য জবাব

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “প্রিয়াঙ্কা এবং আমি ওয়েনাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। অথচ অতিভারী বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়ার জন্য প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে, আমরা ওখানে পৌঁছতে পারব না। আমি ওয়েনাড়ের মানুষকে আশ্বাস দিচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব আমি সেখানে পৌঁছে যাব। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে আরএসএসের (RSS) স্বেচ্ছাসেবক, সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ পৌঁছে গেলেও সাংসদের কি সদিচ্ছা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: আরএসএস সম্পর্কে কুকথা বরদাস্ত করলেন না ধনখড়, রাজ্যসভায় দিলেন যোগ্য জবাব

    RSS: আরএসএস সম্পর্কে কুকথা বরদাস্ত করলেন না ধনখড়, রাজ্যসভায় দিলেন যোগ্য জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নামে রাজ্যসভায় কুকথা বরদাস্ত করলেন না রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) । বুধবার সংসদে মাল্লিকার্জুন খড়গে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামলালজী সুমনের বক্তব্যকে সমর্থন করলে পাল্টা ধনখড় বলেন, “আরএসএসের সমালোচনা যারা করছেন তাঁরা সংবিধানের বিরোধিতা করছেন। আরএসএস দেশের সেবা করে। মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ ভাব নিয়ে কাজ করে। যারা দেশের কাজ করছেন, এমন সংগঠনের সমালোচনা করা সংবিধান বিরোধী। আরএসএসের মত সংগঠনের জন্য সকলের গর্ববোধ করা উচিত।

    সমাজবাদী সাংসদ রামলালজি সুমনের বক্তব্য (Jagdeep Dhankhar)

    প্রসঙ্গত সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাম লালজি সুমন এনটিএ-র অধ্যক্ষের আরএসএসের (RSS) সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেন। তিনি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, শাসক দল সবসময় এটা দেখে যে ব্যক্তি পদে আছে, সে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত কি না। এর পাল্টা বক্তব্য রাখতে গিয়েই জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) আরএসএস-এর পক্ষে দাঁড়ান।

    কংগ্রেসের নেতাদের টার্গেট আরএসএস (RSS)

    এদিন রাজ্যসভায় স্পষ্টভাবে জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) বলেন, আরএসএসের (RSS)  নামে কুমন্তব্য করলে তা রেকর্ডে রাখা হবে না। প্রসঙ্গত এর আগেও মাল্লিকার্জুন খড়গের বিরুদ্ধে আরএসএস সম্পর্কে কুমন্তব্য করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব এর আগেও আরএসএস সম্পর্কে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে কুমন্তব্য করেছেন। এর আগে সংসদে মালিকার্জুন খড়গে বলেছিলেন, “আরএসএস এবং বিজেপি সম্মিলিতভাবে দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে ভেঙে ফেলার কাজ করছে।

    আরও পড়ুন: এসসি, এসটি, ওবিসি প্রশ্নে রাহুলকে ধুয়ে দিলেন নির্মলা

    পাল্টা সে সময় ধনখড় বলেন, “আরএসএস বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক সংস্থা, যারা মানব কল্যাণ এবং দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে।” মল্লিকার্জুন খড়গের সেই মন্তব্যকে রেকর্ড থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Forced Conversion: হিন্দু স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনে চাপ! হুবলিতে গ্রেফতার মুজাহিদ খান

    Forced Conversion: হিন্দু স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনে চাপ! হুবলিতে গ্রেফতার মুজাহিদ খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক হিন্দু মহিলাকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত (Forced Conversion) করার অভিযোগে মুজাহিদ খান নামে এক ব্যকির বিরুদ্ধে কালঘাটগি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারী ধারওয়াড় জেলার কালঘাটগিতে তার দিদার সঙ্গে থাকেন। এর আগে তিনি বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেখানেই তাঁর পরিচয় হয় মুজাহিদ খানের সঙ্গে। মুজাহিদ এবং ওই মহিলা একই কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাদের পেশাগত সম্পর্ক ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে এবং পরে প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। ২০১৭ সালে দুজনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

    প্রতারণার শিকার 

    ওই মহিলা (Forced Conversion) পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, যে তিনি জানতেন না মুজাহিদ খান ইতিমধ্যেই বিবাহিত ছিলেন। তাঁর চার সন্তান ছিল। বিয়ের প্রথমে বেশ কিছু দিন ভালই কেটেছিল তাঁদের। পরে মুজাহিদ খান ওই মহিলাকে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ (Love Jihad) দিতে শুরু করেন, যার ফলে তাদের সম্পর্কে প্রায়ই ঝগড়া আরম্ভ হয়। ওই মহিলা মুজাহিদের পরিবার সম্পর্কেও জানতে পারেন। অবশেষে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। কিন্তু তারপর থেকে মুজাহিদ ক্রমাগত ওই মহিলাকে হুমকি দিতে থাকে। এমনকি খুনের হুমকিও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    শ্রী রাম সেনার সাহায্য প্রার্থনা

    আতঙ্কিত হয়ে ওই মহিলা (Forced Conversion)  কালঘাটগিতে তাঁর দিদার কাছে ফিরে আসেন। ওই মহিলা মুজাহিদের ভয়ে শ্রী রাম সেনা প্রতিষ্ঠিত জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে হেল্পলাইনে সাহায্য চান। শ্রী রাম সেনা সংগঠনের সহযোগিতায় ওই মহিলা কালঘাটগি থানায় মুজাহিদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের তরফে বলা হয়, অভিযোগের ভিত্তিতে (Love Jihad) ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি ১৮৬০) এর বিভিন্ন ধারায় মুজাহিদ খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, বিশেষ করে ধারা ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৩২৪ (বিপজ্জনক অস্ত্র বা উপকরণ দ্বারা স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৪৯৪ (স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিয়ে করা), ৫০৪ (শান্তি ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা) এবং ৫০৬ (ফৌজদারি ভয় দেখানোর শাস্তি)। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্রুত তলব করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share