Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Deendayal Upadhayay: ‘মাতা শব্দ সরালে, শুধু ভারত মাটির টুকরো’! আজ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন

    Deendayal Upadhayay: ‘মাতা শব্দ সরালে, শুধু ভারত মাটির টুকরো’! আজ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhayay) জন্মদিন। একাধারে তিনি ছিলেন সুলেখক, দার্শনিক অন্যদিকে রাজনীতিবিদ। একাত্ম মানববাদের প্রণেতা পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। একাত্ম মানববাদের মাধ্যমে তিনি একটি বিকল্প রাজনীতির সন্ধান দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর রচিত একাত্ম মানববাদের মাধ্যমেই তিনি ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের মধ্যে মেলবন্ধন স্থাপন করতে পেরেছিলেন। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় বলতেন, ‘‘ভারতবর্ষে জাতীয়তাবোধের ভিত্তি হল ভারত মাতা, যদি মাতা শব্দটা সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে শুধু ভারত, মাটির টুকরো হয়েই পড়ে থাকবে।’’ 

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhayay) মতে, ‘‘প্রতিটি মানুষের সম্পূর্ণ গঠন হয় চারটি উপাদানের ভিত্তিতে এগুলি হল শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মা। এই চারটি উপাদানের সঙ্গে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চারটি বিষয় সম্পর্কিত। ধর্ম হল ভিত্তি এবং মোক্ষ হল সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।’’ প্রসঙ্গত, অন্যান্য মতাদর্শ যেখানে শুধুমাত্র মন এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের কথা বলে সেখানে একাত্মমানববাদে ধর্ম এবং মোক্ষেরও ধারণা দিয়েছেন তিনি।

    মৌলিক অধিকার নিয়ে কী বলতেন তিনি?

    দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhayay) একাত্ম মানববাদের মাধ্যমে সমাজব্যবস্থায় সকলের সমান অধিকার এবং সমান সুযোগ-সুবিধার কথা বলেছেন। সামাজিক বিচার, শিক্ষা এসব কিছুকেই তিনি মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, ‘‘একটি সমাজের ও একটি দেশের অগ্রগতি তখনই সম্ভব যখন প্রত্যেকটি নাগরিক সুস্থ থাকেন।’’ প্রসঙ্গত ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম অধ্যায়ের ১৪ থেকে ৩৫ নম্বর ধারা পর্যন্ত মৌলিক অধিকারের কথা বলা রয়েছে। এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার- এই সমস্ত কিছুই। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতে, ‘‘জীবনের অধিকার ততক্ষণ পর্যন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সুস্থ জীবন যাপনের সুযোগ পাওয়া যায়।’’

    সংক্ষিপ্ত জীবনী (Deendayal Upadhayay)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhayay) শৈশবকালেই পিতৃমাতৃহীন হন। তাঁর পৈতৃক ভিটে উত্তরপ্রদেশের মথুরাতে হলেও স্কুলজীবনের বড় অংশ অতিবাহিত হয়েছিল রাজস্থানে। জাতীয়তাবাদী এই দেশনেতা অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন নিজের ছাত্রজীবনে। রাজস্থানের সিকার জেলা থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেন এবং প্রথমস্থান অধিকার করেন। তৎকালীন সিকারের মহারাজা কল্যাণ সিংয়ের কাছ থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। সনাতন ধর্ম কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াকালীন তাঁর বন্ধু বলবন্ত মহাশব্দের হাত ধরে ১৯৩৭ সালে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪২ সালে দেশ ও সমাজের কাজকে নিজের জীবনব্রত করার লক্ষ্যে সঙ্ঘের প্রচারক হন। ১৯৫১ সালে ভারতীয় জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পরে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি হন।

    নীতি নিষ্ঠ রাজনীতি

    ধর্ম সম্পর্কে তিনি বলতেন, ‘‘পাশ্চাত্যের রিলিজিয়ন এবং ভারতের ধর্ম এক নয়।’’ অর্থাৎ ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে ধর্ম হল ধর্ম, তার আলাদা কোনও নাম নেই, যেমন- ছাত্র ধর্ম, ক্ষত্রিয় ধর্ম, পিতৃ ধর্ম, মাতৃ ধর্ম এসব কিছুই ধর্মের মধ্যে পড়ে। তিনি আরও বলতেন, ‘‘ধর্ম হচ্ছে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। সমাজকে সংগঠিত করতে ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ নীতিনিষ্ঠ এবং মূল্যবোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখতেন পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়। তিনি মনে করতেন, সুযোগ সন্ধানী এবং সুবিধার রাজনীতি, দিনের পর দিন চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের রাজনীতির ওপরেই বিশ্বাসটা উঠে যায়। ১৯৬৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jammu Kashmir: সকাল থেকেই বুথে ভিড়, কড়া নিরাপত্তায় জম্মু-কাশ্মীরে চলছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

    Jammu Kashmir: সকাল থেকেই বুথে ভিড়, কড়া নিরাপত্তায় জম্মু-কাশ্মীরে চলছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই বুথের সামনে মানুষের লম্বা লাইন। সন্ত্রাস ভুলে গণতন্ত্রের উৎসবে মেতেছেন উপত্যকাবাসী। আজ বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন (Jammu Kashmir Assembly Election 2024) শুরু হয়েছে। নিয়ম মেনে সকাল ৭টা থেকে ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ (Vote) চলছে। এই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে।

    নিরাপত্তা বলয়ে উপত্যকা

    জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) মিলিয়ে ৬টি জেলার মোট ২৬টি আসনে এদিন ভোটগ্রহণ চলছে। দীর্ঘ ১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উপত্যকা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আধা সেনাও। বিভিন্ন কেন্দ্রে চলছে টহলদারি। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সব জায়গার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রইসি, রাজৌরি এবং পুঞ্চে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ, গত কয়েক মাস ধরে এই অঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপের নানা ঘটনা ঘটেছে। বুধবার যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে দিকে সজাগ নজর রেখেছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, গত বুধবার প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে আগামী ১ অক্টোবর। ভোটের ফলাফল ৮ অক্টোবর। ভোটকে কেন্দ্র করে উপত্যকায় অশান্তির চেষ্টা করেছিল সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গিরা। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।

    কোথায় কোথায় ভোটগ্রহণ

    বুধবার মধ্য-কাশ্মীরের তিন জেলা বদগাম, গান্ডেরবাল এবং শ্রীনগরে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। অন্যদিকে, জম্মুর তিন জেলা রইসি, রাজৌরি ও পুঞ্চে ভোট হচ্ছে। এগুলির মধ্যে শ্রীনগরে আটটি, বদগাম জেলায় পাঁচটি, রাজৌরিতে পাঁচটি, পুঞ্চে তিনটি, গান্ডেরবালে দু’টি এবং রইসিতে তিনটি বিধানসভা আসন রয়েছে। মোট ২৩৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে এই দ্বিতীয় দফা ভোটে। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় ২৫ লক্ষ ৭৮ হাজার মানুষ ভোট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: খাবারে মেশানো হচ্ছে মানব বর্জ্য, নয়া ফরমান যোগী রাজ্যে

    Yogi Adityanath: খাবারে মেশানো হচ্ছে মানব বর্জ্য, নয়া ফরমান যোগী রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবারে মেশানো হচ্ছিল থুতু। প্রস্রাবও মেশানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। না জেনে পয়সা দিয়ে সেগুলোই কিনে খাচ্ছিলেন খদ্দেররা (UP Eateries)। খাবারে এসব মেশানের অভিযোগ কানে যায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath)। তার পরেই নয়া ফরমান জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি খাবারের দোকানের নাম, অপারেটরের ঠিকানা, দোকানের মালিকের নাম এবং ম্যানেজারের নাম প্রদর্শন করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। শুধু তাই নয়, হোটেল-রেস্তরাঁর শেফ এবং ওয়েটারদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরতে হবে। নজরদারি চালানোর জন্য হোটেল-রেস্তরাঁয় বসাতে হবে সিসিটিভিও।

    রুটিতে থুতু! (Yogi Adityanath)

    ঘটনার সূত্রপাত একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে ঘিরে। ১২ সেপ্টেম্বর ভিডিওটি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, সাহারানপুরের একটি খাবারের দোকানে রুটি বানাচ্ছিল এক কিশোর। আটা মাখানোর সময় সে তাতে থুতু ফেলছিল। ভিডিওর সূত্রে গ্রেফতার করা হয় ওই কিশোরকে। সে কেন এমন করছিল, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। 

    ফলের রসে প্রস্রাব!

    কেবল ওই কিশোরই নয়, খাবারে মানব বর্জ্য ব্যবহারের অভিযোগে গত সপ্তাহে গাজিয়াবাদে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ফলের রস বিক্রেতাকে। অভিযোগ, সে ফলের রসের সঙ্গে প্রস্রাব মিশিয়েছিল। জুন মাসেও দুই ফলের রস বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছিল নয়ডার পুলিশ। অভিযোগ, ফলের রসে থুতু মিশিয়ে বিক্রি করছিল তারা।

    আরও পড়ুন: এবার যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে পেনশন, নিয়ম বদল ইপিএফও-র

    ধারাবাহিক এই ঘটনাপ্রবাহের পরেই নড়েচড়ে বসে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। লখনউয়ে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকে খাবারে মানব বর্জ্যের উপস্থিতিকে ঘৃণ্য বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদিত্যনাথ। বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের ধাবা, রেস্তরাঁ এবং খাবারের দোকানগুলিতে নিয়মিত তদন্ত করতে হবে। প্রতিটি কর্মীর পুলিশ ভেরিফিকেশনও করতে হবে। খাদ্যের গুণমান এবং পবিত্রতা যাতে বজায় থাকে, সেজন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই জাতীয় ঘটনা ঘৃণ্য। মানব শরীরে এর কুপ্রভাবও পড়ছে। তাই এসব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে পরেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের (UP Eateries) তরফে জারি হয়েছে নয়া ফরমান (Yogi Adityanath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat: মোদি সরকারের সাফল্য! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ বছরে কী পেলেন সুবিধাভোগীরা?

    Ayushman Bharat: মোদি সরকারের সাফল্য! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ বছরে কী পেলেন সুবিধাভোগীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হল আয়ুষ্মান ভারত যোজনা (Ayushman Bharat Scheme)। যা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামেও পরিচিত। ছ’বছর আগে মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু হয়। পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা মেলে এই প্রকল্পে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পলের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এখন এই বিমার মূল্য বাড়ানো সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখছে। ছয় বছরে ১২.৩৭ কোটি পরিবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। 

    কেন চালু করা হয়

    দেশের সমস্ত মানুষ যাতে চিকিৎসা করাতে পারেন এবং টাকার অভাবে যাতে কারোর চিকিৎসা ব্যাহত না হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প (Ayushman Bharat Scheme)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প চালু করেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের একেবার গরিব বা প্রান্তিক শ্রেণির পরিবারগুলিও যাতে চিকিৎসা পেতে পারেন সেই লক্ষ্য নিয়েই চালু করা হয় এই প্রকল্প। সম্প্রতি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর শুনিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সিরাও বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসবেন।

    বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প

    কেন্দ্রের দাবি, এটাই বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প (Ayushman Bharat Scheme)। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন দেশের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ। কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন তার হিসাব করেই এই কথা দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের ২৭ হাজার ৩৪৩টি হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। এই প্রকল্প চালু হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রকল্প জনপ্রিয় করতে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি অ্যাপ চালু করেছে কেন্দ্র। হয়েছে আয়ুষ্মান ভব্য অভিযানও। যার মাধ্যমে চারটি সহজ ধাপে আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা যায়। এই প্রকল্পে নাবালিকা, মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও উল্লেখ্য যে এই কার্ডটি তৈরির ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা ও তাঁদের বয়স নিয়ে কোনও বাধা নিষেধ নেই। 

    আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকলে সুবিধা

    আয়ুষ্মান ভারত কার্ড (Ayushman Bharat) থাকলে ক্যান্সার, কার্ডিয়াক সার্জারি ও অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা করাতে পারবেন সহজে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ ও পরিষেবা মিলবে বিনামূল্যে। এই কার্ড থাকলে সরকারি হাসপাতালে বাধ্য থাকবে চিকিৎসা করতে। যাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রয়োজন তাঁদের থেকে কোনওভাবে মুখ ঘুরিয়ে রাখা যাবে না। এই প্রকল্পের অধীনে থাকা পরিবারগুলি ভারতজুড়ে চিকিৎসা পরিবেষা পাবেন। আর তার জন্য পকেটে নগদ টাকা না থাকলেও কোনও সমস্যা নেই। সমস্ত সরকারি ও তালিকাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীদের থেকে কোনও অতিরিক্ত অর্থও দাবি করতে পারবে না।

    ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্য

    ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, দেশে প্রায় ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৫৩টি আয়ুষ্মান আরোগ্য (Ayushman Bharat) কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৬৫৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৩ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পাঁচ হাজার শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাড়ে ৫ হাজার শহুরে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র এবং ১২ হাজার ১৭৩টি আয়ুষ-সম্পর্কিত কেন্দ্র রয়েছে৷ নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের অধীনে ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি এখনও এই প্রকল্পে যোগ দেননি। তাই এখনও পর্যন্ত ৩৫.৩৬ কোটি মানুষকে ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • EPFO Update: এবার যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে পেনশন, নিয়ম বদল ইপিএফও-র

    EPFO Update: এবার যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে পেনশন, নিয়ম বদল ইপিএফও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রালাইজড পেনশন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। এই ব্যবস্থা চালু হলে যে কোনও ব্যাঙ্কের যে (EPS Pension) কোনও শাখা থেকে পেনশন তুলতে পারবেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ইপিএফও-র (EPFO Update) গ্রাহকরা। সরকারি সূত্রে খবর, এতে উপকৃত হবেন ৭৮ লাখ গ্রাহক।

    পেনশন তোলা যাবে যে কোনও ব্যাঙ্কে (EPFO Update)

    জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের যে কোনও ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে পেনশন তুলতে পারবেন পেনশনভোগীরা। অগ্রিম ক্লেমের জন্য অটো ক্লেম লিমিটও বাড়িয়ে দিয়েছে ইপিএফও। চলতি মাসেই সিপিপিএস চালু করার অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী পর্যায়ে লেনদেন আরও সহজ করতে আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে।’ আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে এটি চালু হবে বলে সূত্রের খবর।

    মোদি সরকারের পদক্ষেপ

    তৃতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পেনশনভোগীদের জন্য বহু নিয়ম প্রণয়ন করেছে। তাঁদের সুবিধার্থে নানা পদক্ষেপও করেছে। এর ফলে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্টার ও ইপিএস পেনশনভোগীদের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ইপিএফও-এর (EPFO Update) কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড কেন্দ্রীভূত পেনশন পেমেন্ট সিস্টেম প্রবর্তনের প্রস্তাব আনে। তাতে সবুজ সঙ্কেত মিলতেই প্রস্তাবটি শ্রম মন্ত্রকের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে ফের বৈঠকে মোদি-জেলেনস্কি, এবার কী নিয়ে কথা হল?

    সিপিপিএস চালু করা নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় বলেন, “ইপিএফওর পেনশনভোগীরা অনেক সময় এক জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যান। নতুন এলাকায় যাওয়ার পর পেনশন পেতে সমস্যা হয় তাঁদের। সিপিপিএস চালু হওয়ার পর এই সমস্যা আর থাকবে না। দেশের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও ব্যাঙ্কের শাখা থেকে পেনশন তুলতে পারবেন তাঁরা।”

    প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমানো টাকার আংশিক তোলার ক্ষেত্রে অগ্রিম ক্লেম লিমিটও বাড়ানো হয়েছে। আগে এই লিমিট ছিল ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে এটাই বাড়িয়ে করা হয়েছে এক লাখ টাকা। প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমানো টাকার ৬০ শতাংশ তোলার জন্য আগে যেখানে ১০ দিন (EPS Pension) সময় লাগত, এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৩-৪ দিন (EPFO Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্ট, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পদে নিয়োগে বাধা নেই

    Supreme Court: হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্ট, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পদে নিয়োগে বাধা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগে (SSC Upper Primary Recruitment) হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, এখনই হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করছে না শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ নতুন মেধাতালিকা প্রকাশে বাধা রইল না এসএসসি’র। 

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ

    উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের (SSC Upper Primary Recruitment) নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। এর ফলে ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে আবার তৈরি হয় জট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, নতুনদের আবেদন শোনা হবে না। হাইকোর্টে মামলাকারীদের বক্তব্য শুনবে উচ্চ আদালত। ২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ (SSC Upper Primary Recruitment) নিয়ে জটিলতায় আটকে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।  ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আবার ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, এসএসসি কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না।  

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু 

    সোমবারই উচ্চ প্রাথমিকের ২০১৬ সালের (SSC Upper Primary Recruitment) মেধাতালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকা। ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে অস্থায়ী শিক্ষকের জন্য। বাকি পদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলে হবে না, নিয়োগ প্রক্রিয়াও শীঘ্র শুরু করতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে একটাই বাধা ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মামলা। এবার সেখান থেকেও সবুজ সঙ্কেত মিলল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Police Encounter: পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে গুলি, পাল্টা গুলিতে নিহত বদলাপুর কাণ্ডের অভিযুক্ত

    Police Encounter: পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে গুলি, পাল্টা গুলিতে নিহত বদলাপুর কাণ্ডের অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই পুলিশেরই গুলিতে মৃত্যু (Police Encounter) হল মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের স্কুলে দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্তর (Badlapur Sexual Assault)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মুম্বরা বাইপাসের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মুম্বরা বাইপাসে যায় বিশেষ তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, ‘‘পুলিশ আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে৷’’

    আত্মরক্ষায় পুলিশের গুলি (Police Encounter)

    পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দায়ের করা বধূনির্যাতনের একটি পৃথক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বদলাপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে হেফাজতে নিতে সোমবার তালোজা জেলে গিয়েছিলেন পুলিশকর্তারা। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পথে মুম্বরা বাইপাসের কাছে অভিযুক্ত এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। ওই কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় অভিযুক্ত। এর পরেই পুলিশের পাল্টা গুলি তার গায়ে এসে বেঁধে (Police Encounter)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় মুম্বরা বাইপাসের কাছে এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত। তারপর কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন অন্য এক অফিসার অভিযুক্তকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালান। 

    ঘটনার সূত্রপাত

    ঘটনার সূত্রপাত গত ১৩ অগাস্ট। অভিযোগ, ওই দিন বদলাপুরের এক স্কুলে নার্সারির দুই পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহ করে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মী (Badlapur Sexual Assault)। ঘটনার তিন দিন পর, ১৬ অগাস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা। তদন্তের স্বার্থে গড়া হয় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ওই ঘটনায় ১৭ তারিখেই অক্ষয় শিন্ডেকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে বদলাপুর (Police Encounter)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siddaramaiah: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে’, কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার

    Siddaramaiah: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে’, কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলবে। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার তদন্ত করবে লোকায়ুক্ত। মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) এই রায়ে চাপ বাড়ল কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর। বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দুর্নীতির প্রত্যকে বিষয়ে তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সরকারি পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আরও আগে হওয়া উচিত। এনিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কোর্টের বক্তব্য তদন্ত হওয়া দরকার (Siddaramaiah)

    জানা গিয়েছে, গত ১৯ অগাস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার এখনও পর্যন্ত ৬টি শুনানি হয়েছে। তবে কোর্ট (Karnataka High Court) রায়দান স্থগিত রেখেছে। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) আবেদন খারিজ করে বলেন, “আবেদনে যে যে বিষয়গুলি এসেছে তার তদন্ত হওয়া দরকার। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই কর্মকাণ্ডের দ্বারা সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়েছেন, যাঁরা, তাঁরা হলেন মামলার আবেদনকারীর পরিবারের লোকজন। এখানে বাইরের কেউ নেই। আবেদন বাতিল করা হল।”

    আরও পড়ুনঃ তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    মুডা দুর্নীতির অভিযোগ

    কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলটের কাছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন টিজে আব্রাহাম, প্রদীপ এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা। মূল অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী নথিপত্র বদল করে স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ (মুডা) বা মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্প সস্তায় পাইয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মোট জমির পরিমাণ ছিল ৩.১৪ একর। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে উচ্চ আদলাতে গেলে মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। পরে মামলার কয়েকটি শুনানি হয়।

    রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন নয়। এই কারণেই গত মাসে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে কথা বলেন। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, আইনি লড়াই থেকে রেহাই না পেলে গদি ছাড়তে হতে পারে সিদ্দারামাইকে। সূত্রের খবর, আগে আদালতের রায় আসুক তারপর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকবেন কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী চান তদন্ত বহাল থাকলে তাঁর সরে যাওয়া দরকার। তবে সিদ্দারামাইয়া পদত্যাগ করলে ডিকে শিব কুমারের নাম উঠে আসছে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। এদিকে, গতবছর গতিতে বসার পর থেকে কংগ্রেসের অপর একগোষ্ঠী সিদ্দারামাইয়াকে অপসারণের অভিযোগও তুলেছে। পরবর্তীতে মামলার গতি কোনদিকে এগোয় তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati Laddu Controversy: তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    Tirupati Laddu Controversy: তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কে শোকজ নোটিশ পাঠানো হল ঘি সরবরাহকারী একটি সংস্থাকে। সোমবার ওই সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।  লাড্ডু বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা সচিব নিধি খারে সোমবার জানান, এফএসএসএআই-কে বাজার চলতি সব ঘিয়ের গুণমান পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে খারে বলেন, ‘এফএসএসএআই-এর রিপোর্ট আসার পরেই ঘি উৎপাদক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এরপর মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই ঘি সরবরাহকারী একটি সংস্থার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।

    কাকে পাঠানো হল নোটিশ

    তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্কের আবহে ঘি সরবরাহকারী চারটি সংস্থা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেগুলির গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল ল্যাবরেটরিতে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ওই চার সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থার ঘিয়ের নমুনার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ল্যাবরেটরির পরীক্ষায়। এর পরই ওই সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এ আর ডেয়ারির তরফেই তিরুমালার তিরুপতি মন্দিরে গত ৪ বছর ধরে ঘি সরবারহ করা হয়। সেই এ আর ডেয়ারিকেই তিরুপতি ইস্যুতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    মন্দির শুদ্ধিকরণ

    তিরুপতির (Tirupati) লাড্ডু (Laddu) নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। তিরুপতির লাড্ডু তৈরিতে যে ঘি ব্যবহার করা হয়, সেখানে গরু, শুয়োরের চর্বি এবং মাছের তেল ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। ল্যাব রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়। গুজরাটে এক সরকারি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে প্রথম এই দাবি করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটেছিল পূর্বের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির আমলে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জগনের দল। তবে বিতর্ক থামেনি। চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শুরু হয়েছে মন্দির শুদ্ধিকরণের কাজও। তিরুপতি মন্দিরের ‘পবিত্রতা’ রক্ষায় সোমবারই বিশেষ অনুষ্ঠান সেরেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল ছ’টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা ধরে ‘শান্তি হোম পঞ্চগব্য প্রক্ষণ’ পুজো অনুষ্ঠিত হয় তিরুমালা মন্দিরে। এই বিশেষ পুজোর কথা জানিয়েছেন মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি) বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসার জে শ্যামল রাও। তিনি বলেন, ‘অশুভ প্রভাব দূর করতে এবং লাড্ডুর পবিত্রতা রক্ষায় এই পুজো করা হয়েছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Onion Price Hike: পরিকল্পনা তৈরি, পেঁয়াজের দামে রাশ টানতে কোমর কষে নামছে মোদি সরকার

    Onion Price Hike: পরিকল্পনা তৈরি, পেঁয়াজের দামে রাশ টানতে কোমর কষে নামছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিমূল্য আনাজের দর। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো আগুনে-দর হয়েছে পেঁয়াজেরও (Onion Price Hike)। পেঁয়াজের দরে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, দ্রুত দাম কমাতে সরকারি মজুত ভান্ডার থেকে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার (Modi Government)। সামনেই কয়েকটি রাজ্যে হবে বিধানসভা নির্বাচন।

    মূল্যবৃদ্ধির আঁচে লাগামে উদ্যোগ (Onion Price Hike)

    মূল্যবৃদ্ধির আঁচের জের যাতে ভোটবাক্সে না পড়ে, তাই এখনই মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূল্যবৃদ্ধির কারণেই লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এবারও যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই আগেইভাগেই ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। সরকারি মজুত থেকে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হবে (Onion Price Hike) সরকারি সমবায় সংস্থার মাধ্যমে। সচিব নিধি খারে বলেন, “দিল্লি ও অন্যান্য বড়া শহরগুলির পাইকারি বাজারের বাফার স্টক থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ করা শুরু করেছে কেন্দ্র। সারা দেশে ভর্তুকিযুক্ত পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে সরকার। ফলে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।”

    ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ 

    সরকারি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে খুচরো বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা প্রতি কেজি। মুম্বইতেও একই দামে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। চেন্নাইতে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি দুটাকা বেশি দরে। সরকার চাইছে, কেজি প্রতি ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে। সরকারি পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে, গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৩৮ টাকা দরে (Onion Price Hike)। এ বছর এই দিনে বিক্রি হয়েছে কোথাও ৫৮, কোথাও বা ৬০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ গত এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    পেঁয়াজের দামের (Onion Price Hike) লাগাম যাতে মধ্যবিত্তের হাতের বাইরে চলে না যায়, তাই গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মোবাইল ভ্যানে করে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে সরকার। মোবাইল ভ্যানের পাশাপাশি এনসিসিএফ এবং এনএএফইডির বিভিন্ন আউটলেট থেকেও ওই দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এ বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হবে বলে আশাবাদী খারে (Modi Government)। তিনি বলেন, “আগামী মাস থেকে বাজারে পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। ফলন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও (Onions) কারণ নেই (Price Hike)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share