Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bharat 2047: স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে চাই আত্মনির্ভর ভারত, বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    Bharat 2047: স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে চাই আত্মনির্ভর ভারত, বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালের মধ্যে আত্মনির্ভর ভারত (Bharat 2047) গড়ার পরিকল্পনা ছকা হল স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের (Swadeshi Jagran Manch) বৃহত্তম কাউন্সিল বৈঠকে। রাষ্ট্রীয় পরিষদ বৈঠকে কেবল যে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা ছিলেন তাই নয়, কর্মীরাও ছিলেন যাঁরা আত্মনির্ভর ভারতের প্রচার কার্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ৩৪০জন কার্যকর্তা।

    মেগা বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ (Bharat 2047)

    দেশের ভালো কীভাবে করা যায়, তা ছকে ফেলতে যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে যোগ দেন ৪৭ জন মহিলাও। বৃহত্তম এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূতপূর্ব জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি তথা বর্তমান জাতীয় এক্সিকিউটিভ সদস্য ভি ভাগ্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন সংগঠনও। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, উদ্যোগ ভারতী, অখিল ভারতীয় গ্রাহক পঞ্চায়েত, সহকার ভারতী, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, এনভায়রনমেন্টাল অ্যাক্টিভিটি এবং অক্ষয় কৃষি পরিবার। গায়ত্রী পরিবারের মতো আরও কয়েকটি সংগঠনও যোগ দিয়েছিল এই বৈঠকে।

    আলোচনার বিষয়

    ন্যাশনাল কাউন্সিলের এই বৈঠকে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়েও আলোচনা হয়। তাতে মূলত তিনটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এগুলি হয়, স্বদেশি, আত্মনির্ভরতা এবং গবেষণা। দুটো তাৎপর্যপূর্ণ প্রস্তাবও গৃহীত হয়। এগুলি হল, ইমপ্যাক্ট অফ পপুলেশন অন দ্য ইকনোমি এবং প্রসপারাস অ্যান্ড গ্রেট ইন্ডিয়া বাই ২০৪৭। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ এবং আত্মনির্ভর ভারত ক্যাম্পেনের বিভিন্ন কোর বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। যেসব ভারতীয় জাতীয় (Bharat 2047) স্তরে বিকাশের সঙ্গে যুক্ত, অর্গানিক পাথ অফ এন্টারপ্রেনিউরশিপ এবং পঞ্চ ট্রানসফর্মেশনের ওপর জোর দিচ্ছেন, তাঁদের নিয়েও আলোচনা হয়। আদর্শায়ন এবং প্রশিক্ষণ, অল ইন্ডিয়া অফিসার ভিজিট, এন্টারপ্রেনিউরশিপ প্রমোশন কনফারেন্স, অর্গানিক এন্টারপ্রেনিউরশিপ নিয়ে গণসচেতনতার প্রসার এবং স্বদেশি মেলা আয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অলিম্পিক্সে দেশের ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করুন’’, ‘মন কী বাত’-এ বললেন মোদি

    বৈঠকের আগে অযোধ্যায় ভগবান রামলালার দর্শন সেরেছেন কার্যকর্তারা। এটা তাঁদের বাড়তি উৎসাহ জুগিয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিলের এই বৈঠকের পরে তিনদিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরও হয়। অংশ নিয়েছিলেন ৩৯ জন পূর্ণ সময়ের কর্মী। সংগঠনে তাঁদের (Swadeshi Jagran Manch) ভূমিকা কী, কীভাবে তাঁরা কর্মীদের উৎসাহিত করবেন, সেসব নিয়েও আলোচনা হয় (Bharat 2047)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPSC: ভগবান রামের সঙ্গে আকবরের তুলনা টেনে বিপাকে ইউপিএসসি শিক্ষিকা, চাপে পড়ে চাইলেন ক্ষমা

    UPSC: ভগবান রামের সঙ্গে আকবরের তুলনা টেনে বিপাকে ইউপিএসসি শিক্ষিকা, চাপে পড়ে চাইলেন ক্ষমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিল সার্ভিস (UPSC) পরীক্ষার অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষিকা শুভ্রা রঞ্জনের একটি বয়ানে বিতর্ক শুরু হয়। একটি ভিডিও বার্তায় ওই শিক্ষিকা ভগবান রামের (Lord Ram) সঙ্গে তুলনা টানেন আকবরের। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা করেন নেটিজেনরা। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হয় মামলাও। পরবর্তীকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন শুভ্রা রঞ্জন এবং তিনি বলেন, ‘‘আমার উদ্দেশ্য কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা ছিল না, যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে আমি ক্ষমা প্রার্থী।’’

    ইউপিএসসি শিক্ষিকার (UPSC) ওই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়

    প্রসঙ্গত, শুভ্রা রঞ্জনের ওই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রত্যেকেই দাবি করতে থাকেন, ওই বয়ানের মাধ্যমে শিক্ষিকা (UPSC) হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। এই ঘটনায় সাইবার ক্রাইমে মামলা দায়ের করেন এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। এর জবাবে শুভ্রা রঞ্জন বলেন, ‘‘যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তা একটি ছোট অংশ মাত্র। আপনারা যদি সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম ভগবান শ্রী রামের (Lord Ram) রাজ্য ছিল একটি আদর্শ রাজ্য।’’

    শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানান কেউ কেউ

    শিক্ষিকা আরও দাবি করেন, ‘‘আমার এই আলোচনা ছিল একটি তুলনামূলক অধ্যয়ন।’’ শিক্ষিকা আরও বলেন, ‘‘ভগবান রাম হলেন ভারতের-ঐতিহ্য-সভ্যতা-সংস্কৃতির প্রতীক। প্রভু শ্রী রামচন্দ্র এবং এবং তাঁর দেখানো পথের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রয়েছে।’’ বেশিরভাগ নেটাগরিক শুভ্রা রঞ্জনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং বলেন, ‘‘ভগবান রামের সঙ্গে আকবরের তুলনা করে ওই শিক্ষিকা ইউপিএসসি (UPSC) প্রার্থীদের মনকে কলুষিত করেছেন।’’ তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানান কেউ কেউ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন দুঃস্থ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন নয়ডার এই যুবক!

    Uttar Pradesh: মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন দুঃস্থ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন নয়ডার এই যুবক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন ৭০০ জনেরও বেশি লোকের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে নজির গড়লেন বিদিত শর্মা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নয়ডা জেলার ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক, নয়ডার সরকারি হাসপাতালের (Noida Hospital) বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীর পরিবার ও দুঃস্থ মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দেন প্রতিদিন।  

    মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে মিলছে অন্ন (Uttar Pradesh) 

    জানা গিয়েছে, মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে বাড়িতে তৈরি রান্না করা রাজমা চাওয়াল, ছোলে চাওয়াল এবং ডাল-ভাত সরবরাহ করেন বিদিত। যেসব দুঃস্থ মানুষেরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন, তাঁদের জন্যই মূলত এই ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এবার হয়তো কেউ ভাবতেই পারেন যে, মাত্র ৫ টাকাই বা নেওয়ার দরকার কি, বিনামূল্যে এই পরিষেবা দিতে পারতেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে বিদিত জানিয়েছেন, ”আমি কখণও চাইনি যে কোনও মানুষ মনে করুক যে সে বিনামূল্যে খাবার পাচ্ছে, তাই খুব সামান্য পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে হলেও তাঁরা যেন এটা বুঝতে পারেন যে, বিনামূল্যে নয় বরং অর্থের বিনিময়ে তাঁরা এই খাবার পাচ্ছেন।” 

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by The Better India (@thebetterindia)

    কী জানিয়েছেন বিদিত শর্মা? 

    বর্তমানে দশজনের একটি দল নিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার প্লেট পরিবেশন করা চিন্তাভাবনা করছেন বিদিত। তবে শুধু নয়ডার (Uttar Pradesh)  এই হাসপাতালই নয়, গোটা নয়ডা জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এই পরিষেবা দেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য একটাই, যাঁরা প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করেন এবং দুবেলা দুমুঠো অন্নর জোগান করতে পারেন না, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্যকর, বাড়িতে রান্না করা খাবার প্রদান করা। এ প্রসঙ্গে বিদিত বলেন, ” আমি যখন হাসপাতালের (Noida Hospital) বাইরে এই খাবার পরিবেশন করি, তখন সেই দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি এবং কৃতজ্ঞতা দেখে আনন্দে মন ভরে ওঠে। আমি সবসময় চাই আসলেই যারা দুঃস্থ তাদের মুখে যেন আমি অন্ন তুলে দিতে পারি।”

    আরও পড়ুন: আয়োজক শহর থেকে ১৬ হাজার কিলোমিটার দূরে হবে অলিম্পিক্সের এই ইভেন্ট! জানেন কারণ?

    জানা গিয়েছে, বিদিত একটি অটোমোবাইল কোম্পানিতে কাজ করেন। এই পরিষেবার পাশাপাশি তিনি একটি স্ট্রে ফাউন্ডেশনও চালান। যার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারেরও বেশি প্রাণীকে তিনি খাওয়ান এবং তাদের চিকিৎসা ভার বহন করেন। আসলে আমাদের সমাজে বিদিতের মতো মানুষেরই প্রয়োজন। এমন মনের মানুষই তো সমাজকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics: ‘‘অলিম্পিক্সে দেশের ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করুন’’, ‘মন কী বাত’-এ বললেন মোদি

    Paris Olympics: ‘‘অলিম্পিক্সে দেশের ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করুন’’, ‘মন কী বাত’-এ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে উঠে এল প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics) প্রসঙ্গ। রবিবারই ছিল ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানের ১১২তম এপিসোড। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কাছে আবেদন জানান যে তাঁরা যেন প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারী ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্বকারী ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করেন ও শুভেচ্ছা জানান। এদিন ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুরো বিশ্ব এখন প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics) মগ্ন। অলিম্পিক্সের এই বিশ্বমঞ্চে আমাদের দেশের ক্রীড়াবিদদের সুযোগ রয়েছে তেরঙ্গাকে উত্তোলন করার এবং দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু করারও সুযোগ দিয়েছে প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics)। আপনারাও দেশের ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করুন এবং তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানান।’’

    ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে (PM Modi) আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছুদিন আগেই গণিতের ক্ষেত্রে একটি অলিম্পিক্স হয়েছে, যার নাম- আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড। এই অলিম্পিয়াডে ভারতের পড়ুয়ারা খুবই ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা সেরা পারফরমেন্স উপহার দিয়েছেন এবং চারটি স্বর্ণপদক ও একটি রূপো জিততে সক্ষম হয়েছেন। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল এবং আমাদের দেশ সামগ্রিকভাবে শীর্ষ পাঁচে ছিল। দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন যাঁরা, তাঁরা হলেন, পুণের আদিত্য ভেন্তকা গণেশ ও সিদ্ধার্থ চোপড়া, দিল্লির অর্জুন গুপ্তা, গ্রেটার নয়ডার কানভ তালওয়ার, মুম্বইয়ের রুশিল মাথুর ও গুয়াহাটির আনন্দ ভাদুড়ি। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী গণিত অলিম্পিয়াডে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্বকারীদের ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ (PM Modi) জানিয়েছিলেন এবং তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা দেশের মানুষের সঙ্গে শেয়ারও করেন। পড়ুয়ারা এদিন জানান, গণিতের প্রতি আগ্রহতেই তাঁরা এমন পারফরম্যান্স করতে পেরেছেন। অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের মধ্যে অর্জুন গুপ্ত বলেন, ‘‘গণিতের অনুশীলন আমাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও অপরিহার্য।’’

    বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদির

    শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন বিজেপির শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, উন্নয়নমূলক নানা ইস্যু নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এই বৈঠকে জানিয়েছেন যে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের কাছেই যেন বিজেপি শাসিত সরকার পৌঁছাতে পারে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘আমাদের দল বিরামহীন ভাবে কাজ করে চলেছে, সুশাসনের লক্ষ্যে এবং জনগণের চাহিদাকে পূর্ণ করতে।’’ নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি বিজেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি সমেত অন্যান্যরা। এর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড, অরুণাচলপ্রদেশ, গোয়া, হরিয়ানা, মণিপুর ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন এই বৈঠকে।  
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Malhotra: পুরানো এবং নতুন আয়কর ব্যবস্থায় ছাড় ৫০ হাজার, জানালেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব

    Sanjay Malhotra: পুরানো এবং নতুন আয়কর ব্যবস্থায় ছাড় ৫০ হাজার, জানালেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়করে মধ্যবিত্তের আশা কতটা পূরণ হল? পুরনো কর কাঠামোর আয়ু কত দিনের? এই রকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা (Sanjay Malhotra)। তিনি বলেছেন, “সরকারের নীতি হল, নানা রকম কর ছাড়ের ব্যবস্থা থেকে সরে আসা। ফলে পুরনো আয়করে তেমন সুরাহা দেওয়া হচ্ছে না। তাই নতুন এই আয়কর ব্যবস্থায় যোগ দেবেন সকলে।”

    কী বললেন সঞ্জয় মলহোত্র (Sanjay Malhotra)?

    ভোটের আগে ও পরে বাজেটে আয়করে (Income Tax) ছাড় প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় মালহোত্রা বলেছেন, “গত বছরের কেন্দ্র সরকারের বাজেটে নতুন আয়কর ব্যবস্থায় (নিউ ট্যাক্স রেজিম) ৩৭,৫০০ টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ বছর বাজেটে ১৭,৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। দুই ক্ষেত্র মিলিয়ে দু’বছরে চাকরিজীবীদের মাথা পিছু প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয়করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন আয়কর রিটার্ন ফাইলের কাজ চলছে। আগামী ৩১ জুলাই হল শেষ তারিখ। ৪.৫ কোটি আয়করদাতার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ নতুন আয়কর নিয়মের মধ্যে এসে গিয়েছেন।” মধ্যবিত্তদের জন্য বাজেটে কতটা সুফল রয়েছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করতে তিনি আর বলেছেন, “বাজেটে কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামোতে যা খরচ করা হচ্ছে তার সুবিধা মধ্যবিত্তরা পাবেন। তবে এটা সরাসরি না হলেও পরোক্ষ ভাবে পাবেন। দেশের অর্থনীতির হাল ভালো হলে মানুষের আয় বাড়বে। আমদানি শুল্কে রদবদল হলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। সরাসরি আয় করের ছাড় অবশ্যই মিলবে। তবে একই সঙ্গে সরকার কোন প্রকল্পে খরচ করছে সেটাও দেখা প্রয়োজন। আয়করে ছাড়ের সঙ্গে প্রকল্পের খাতে খরচ কত হচ্ছে, এই ভাবনাও রাখা একান্ত প্রয়োজন। আয় বাড়লে আয়করের পরিমাণ বাড়ে। ধনীদের থেকে বেশি হারে কর আদায় হয়। একই ভাবে পিএম-কিষান থেকে আবাস যোজনা, বিনামূল্যে রেশনের মতো নানা কল্যাণকর জনমুখী প্রকল্পের দিকেও নজর রাখা দরকার।”

    আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশজুড়ে পালিত কালামের মৃত্যুবার্ষিকী

    কর্পোরেট কর আয়করের মতো প্রগতিশীল নয়

    আবার কর্পোরেট কর নিয়ে তিনি (Sanjay Malhotra) বলেছেন, “অনেক দেশেই কর্পোরেট করের হার আয়করের (Income Tax) হারের থেকে কম থাকে। ভারতে কর্পোরেট সংস্থাগুলির উপরে মাত্র ২৫% হারে কর ধার্য করা হয়েছে। আবার তার সাথে শিল্পপতিদের ডিভিডেন্ডের উপরে ৩৯% হারে আয়কর জমা করতে হয়। একই ভাবে শেয়ার বেচাকেনায় ১২.৫% হারে মূলধনী লাভকর দিতে হয়। তবে কর্পোরেট কর আয়করের মতো প্রগতিশীল নয়। কর্পোরেট সংস্থার আয় বৃদ্ধির সঙ্গে করের হার তেমন ভাবে বৃদ্ধি পায় না। তবে ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে যদি আয় বৃদ্ধি পায় তাহলে করের হারও বৃদ্ধি পায়। কারও বেতন ১০% বাড়লে এমন হতেই পারে তাঁর উপরে করের বোঝা অনেক বেশি বেড়ে গেল। ফলে সরকার ব্যবস্থার মোট কর বাবদ আয়ের ৫৭ শতাংশ ব্যক্তিগত আয়কর থেকে জমা হয়। বাকিটা সম্পূর্ণ আসে কর্পোরেট কর থেকে। আয়কর আইন যত সরল হবে, জমা করার কাজ আরও সহজ হবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • APJ Abdul Kalam: শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশজুড়ে পালিত কালামের মৃত্যুবার্ষিকী  

    APJ Abdul Kalam: শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশজুড়ে পালিত কালামের মৃত্যুবার্ষিকী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি (APJ Abdul Kalam)। বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানীও। আদর্শ শিক্ষকও। তিনি আবদুল পাকির জইনুলাবেদিন আবদুল কালাম। এহেন মহান মানুষটির নবম মৃত্যুবার্ষিকী (Death Anniversary) পালিত হল ২৭ জুলাই, শনিবার। কেবল দেশ নয়, বিদেশেও ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। কালাম নিজেকে বলতেন ‘জনগণের প্রেসিডেন্ট’। মহাকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর সব চেয়ে বড় অবদান ‘অগ্নি’ এবং ‘পৃথ্বী’ মিসাইলের বিকাশ সাধন। এই দুই ক্ষেপণাস্ত্র মজবুত করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষার ভিত্তি।

    বিজ্ঞানী কালাম (APJ Abdul Kalam)

    বিজ্ঞানী কালামকেই দেশের ১১তম প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়েছে দেশ। মহান এই মানুষটি রাষ্ট্রপতি পদ অলঙ্কৃত করেছেন ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতাও কালাম। তাঁর ‘উইংস অফ ফায়ার’, ‘ইগনাইটেড মাইন্ডস’ উল্লেখযোগ্য বইগুলির অন্যতম। এই দুই বই পড়ে লাখো লাখো মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন কালাম।

    রাষ্ট্রপতি কালাম

    রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও জানা যায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির এই বই থেকে। ভারতের তরুণ প্রজন্মের কাছে কালাম একটা সেনশেসনের নাম। তাঁর অমর কিছু উদ্ধৃতি প্রেরণা জোগায় তরুণদের। তাঁদের মনে রোপণ করেছেন স্বপ্ন দেখার বীজ। এহেন মহান মানুষটিরই নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হল দেশজুড়ে। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন কালাম। তার পর থেকে ফি বছর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হয় তাঁর মৃত্যু দিন।

    আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের নয়া নজির, অযোধ্যার রামলালার ছবি দিয়ে স্ট্যাম্প প্রকাশ লাওসের

    বিজেপির জাতীয় সংখ্যালঘু মোর্চাও শনিবার সব রাজ্যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করেছিল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যু বার্ষিকী পালন নিয়ে সংখ্যালঘু সেলের বক্তব্য, তিনি (APJ Abdul Kalam) ছিলেন দেশের পিছিয়ে পড়া অংশ থেকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো মানুষদের মধ্যে অন্যতম। তাই তাঁর জীবনের অবদান বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চায় মোর্চা।

    কালামকে বিশ্ব চেনে ‘মিসাইল ম্যান’ হিসেবে। তাঁর উদ্ধৃতি প্রেরণা জুগিয়েছে বিশ্ববাসীকে। তিনি বলতেন, “সমস্যার সম্মুখীন হওয়া মানুষের প্রয়োজন। কারণ তাহলেই সে সাফল্যের স্বাদ পেতে পারবে।” কালাম বলতেন, “মানুষ তখনই আমাদের মনে রাখবে, যখন আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধশালী ও সুরক্ষিত ভারত উপহার দিতে পারব। এই সমৃদ্ধির মধ্যে (Death Anniversary) যেমন থাকবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তেমনি থাকবে সভ্যতার ঐতিহ্যও (APJ Abdul Kalam)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi: কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের জমা জলে ডুবে মৃত্যু ৩ পড়ুয়ার, আপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বিজেপির

    Delhi: কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের জমা জলে ডুবে মৃত্যু ৩ পড়ুয়ার, আপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) রাজেন্দ্র নগরের কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের জমা জলে মৃত্যু হয়েছে ৩ পড়ুয়ার। জানা গিয়েছে, পড়ুয়ারা আইএএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের গ্রন্থাগারে পড়তে গিয়েছিলন তাঁরা। হঠাৎ বৃষ্টি নামলে ব্যাপক পরিমাণে জল ঢুকতে শুরু করে সেখানে। অনেকে বেরিয়ে যেতে পারলেও ওই তিন পড়ুয়া বের হতে পারেননি। ফলে বেসমেন্টের জলে ডুবে মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম হল, তানিয়া সোনি, শ্রেয়া যাদব এবং নেভিন দালউইন। এদিকে মৃত্যুর প্রতিবাদে কোচিং সেন্টারের সামনে বাকি পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে রবিবার সকাল থেকেই বিজেপি (BJP-AAP) সেন্টারের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে সামিল হয়। মৃত্যুর জন্য আপ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি।

    পড়ুয়াদের বক্তব্য (Delhi)

    পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বলেন, “অবৈধ ভাবে এখানে বেসমেন্টে কোচিং সেন্টার (Delhi) চলছিল। এই মৃত্যুর দায় এমসিডি এবং সেন্টারের নির্দেশকের। কীভাবে বৃষ্টির জল জমছে, তা নিয়ে দিল্লি নগর নিগমকে আরও নজর রাখতে হবে। আগেও অনেক বার জল জমার সমস্যা হয়েছিল এলাকায়। প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি। গত বছরও বৃষ্টির জলে গাড়ি ভেসে গিয়েছিল।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির (BJP-AAP) মুখপাত্র মনজিন্দর সিং সিরসা বলেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা, দিল্লি (Delhi) নগর নিগম আপের। এটি দিল্লি সরকার এবং দিল্লি কর্পোরেশনের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। দেশের জন্য সর্বকালের সব চেয়ে সংবেদনশীল ঘটনা। অত্যন্ত অমানবিক আপ দল। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।” আবার দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা অভিযোগ করেছেন আপ বিধায়কে দুর্গেশ পাঠকের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, “এই এলাকার বিধায়ক অত্যন্ত অপদার্থ। এলাকার মানুষ বার বার ড্রেন পরিষ্কার করার কথা জানালে গুরুত্ব দেননি। জল বোর্ডের মন্ত্রী অতিশী এবং বিধায়কের পদত্যাগ করা উচিত।”

    মেয়রের বক্তব্য

    দিল্লির (Delhi) মেয়র শেলি ওবেরয় ঘটনাটিকে “খুবই মর্মান্তিক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। দ্রুত সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।“ অপর দিকে আপ মন্ত্রী অতিশী ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আরও ২০০০ জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    দিল্লি (Delhi) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচিং সেন্টারে একটি গ্রন্থাগার ছিল। সেখানে শনিবার সন্ধ্যাবেলায় পড়তে গিয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী। আচমকা বৃষ্টির জলে ডুবতে বসে বেসমেন্ট। অনেকেই আটকে পড়েছিলেন। তবে কেউ কেউ উঠে আসতে পেরেছিলেন, আবার কয়েকজনকে দড়ির সাহায্যে তোলা হয়। কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট ৯ ফুট গভীর ছিল। তার বেশিরভাগ অংশ প্রায় ৭ ফুট জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এরপর ঘটনাস্থলে দমকল এবং পুলিশ পৌঁছে পাম্পের সাহায্যে জল বের করে প্রথমে দুই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। তারও পরে আরও এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। তবে কীভাবে এত জল ঢুকল, কেন পড়ুয়ারা বের হতে পারলেন না? একাধিক প্রশ্ন উঠেছে দিল্লি প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আরও ২০০০ জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

    Jammu and Kashmir: উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আরও ২০০০ জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বেশ কিছুদিন ধরে কোনও না কোনও জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। পাশাপাশি সীমান্ত টপকে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ক্রমাগত ঘটে চলেছে। উপত্যকার পরিস্থিতি দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সীমান্তকে সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একাধিক বড় পদক্ষেপ করেছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে বিএসএফ (BSF)-এর দুই হাজারের বেশি জওয়ান মোতায়েন করা হবে।

    ওড়িশা থেকে বিএসএফ নিয়ে যাওয়া হবে (Jammu and Kashmir)

    বিগত বেশ কিছুদিন জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। তাদের লক্ষ্যে থাকছে সেনাছাউনি বা সেনা কনভয়। ইতিমধ্যে জম্মুতে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে বেশ কিছু সেনাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কপালে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এই অবস্থায় কীভাবে জঙ্গি দমন করা যায় এবং নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করা যায়, তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে মূলত ওড়িশা থেকে বিএসএফ (BSF) কর্মীদের জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিক ভাবে রিয়াসি, কিশতওয়ার, কাঠুয়া জেলায় বিএসএফের দুটি ব্যাটালিয়ন পাঠানো হবে। এরপর কয়েক দিনের মধ্যেই জম্মুতে দুই হাজার সেনার ব্যাটালিয়ন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই ভাবে সৈন্যদের সাম্বা এবং জম্মু-পাঞ্জাব সীমান্তেও রাখা হবে। ভারতের পশ্চিম প্রান্তে জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট বরাবর ২২৮৯ কিলোমিটারের বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। জম্মুর সীমান্ত প্রায় ৪৮৫ কিলোমিটার, যার বেশিরভাগ অংশ ঘন বন এবং পাহাড়ি ভূখণ্ড দ্বারা বিভক্ত। এই আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় প্রায় এক ডজন বিএসএফ ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মহরমের মিছিল থেকে ছড়ায় হিংসা, উত্তরপ্রদেশে গণপিটুনিতে মৃত তেজরাম

    প্যারা স্পেশাল ফোর্সের ৫০০ কমান্ডো মোতায়েন

    মাত্র কয়েকদিন আগেই জম্মুর (Jammu and Kashmir) পাহাড়ি অঞ্চলে ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে এই অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা এলাকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে জানা গিয়েছে। তাদের সঙ্গে আধুনিক অস্ত্রও ছিল। এই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খতম করতে জম্মুতে প্যারা স্পেশাল ফোর্সের ৫০০ কমান্ডোকে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু জঙ্গিই লক্ষ্য নয়, যে সব এলাকায় এই জঙ্গি কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ মদত দেওয়া হয়, সেই সব জায়গায়ও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। ফলে এই বার পরিস্থিতিকে আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি মাত্রায় বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করতে চলেছে কেন্দ্র।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pervez Musharraf: কেরলে পারভেজ মোশারফকে নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করতে গিয়ে চরম বিপাকে বাম ইউনিয়ন

    Pervez Musharraf: কেরলে পারভেজ মোশারফকে নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করতে গিয়ে চরম বিপাকে বাম ইউনিয়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফকে (Pervez Musharraf) শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান! তাও আবার ভারতের মাটিতে। এমনই বেনজির চিত্র সামনে এসেছে, দেশের কমিউনিস্ট শাসিত রাজ্য কেরল থেকে। এই ঘটনাকে অনেকেই বাড়াবাড়ি বলছেন। সে রাজ্যের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মচারীদের একটি ইউনিয়ন সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হবে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয় ২৭ জুলাই। ঘটনাক্রমে, ২৬ জুলাই ছিল কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫তম বর্ষপূর্তি। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Bank of India) স্টাফ ইউনিয়ন আসলে বামপন্থী প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের একটি শাখা। পারভেজ মোশারফকে (Pervez Musharraf) শ্রদ্ধা জানানোর এই অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল শনিবার। 

    অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদও

    পরবর্তীকালে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জেরে এই কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয় বামপন্থী সংগঠন। প্রসঙ্গত, ২৭ জুলাই কেরলের পলি জর্জনগরে এই সম্মেলন (Bank of India) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, পারভেজ মোশারফকে (Pervez Musharraf) শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ কেসি বেনুগোপালও। জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অভিনেতা, গায়ক, নৃত্যশিল্পী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সামাজিক ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা জানানোরও কথা ছিল। এরই মাঝে কর্মচারী ইউনিয়নের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, নাম রয়েছে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টেরও। সেখানেই শুরু হয় বিতর্ক। আন্দোলনে নামে কেরলের রাজ্য বিজেপি।

    দেশদ্রোহী বামপন্থী সংগঠন

    সমাজ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। নেটাগরিকরা আওয়াজ  তুলতে থাকেন, একজন পাকিস্তানি ডিক্টেটর যিনি ভারতের ওপর আক্রমণ করেছিলেন, তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য (Pervez Musharraf) জানানো হবে! এর পাশাপাশি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স এবং ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ ব্যাঙ্ক অফিসার্সও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কার ভয়েস নামে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয় এবং সেখানে লেখা হয়, ‘‘ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ওই কর্মচারী ইউনিয়ন হল আসলে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন-এর একটি শাখা। এই অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্য়াসোসিয়েশন চিরকালই দেশদ্রোহী কাজের সঙ্গে যুক্ত। ইতিহাসে তার প্রমাণ বার বার মিলেছে। কখনও তারা হামাস জঙ্গিদের সমর্থন করেছে, কখনও বা ভারত-চিন সংঘাতে সেনাবাহিনীকে রক্তদানেরও বিরোধিতা করেছে।’’

     
     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mob Lynching: মহরমের মিছিল থেকে ছড়ায় হিংসা, উত্তরপ্রদেশে গণপিটুনিতে মৃত তেজরাম

    Mob Lynching: মহরমের মিছিল থেকে ছড়ায় হিংসা, উত্তরপ্রদেশে গণপিটুনিতে মৃত তেজরাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মহরমে (Muharram Violence) ভারতের বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর মিলেছে। ‘হিন্দুস্থান মে রেহনা হ্যায়, তো আল্লাহু আকবর কহেনা হ্যায়’-এর মতো স্লোগানও উঠেছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। ঘটেছে গণপিটুনিতে (Mob Lynching) হত্যার ঘটনাও। তবে ভারতের বেশির ভাগ মিডিয়া হাউসই এ ধরনের কোনও খবর প্রকাশ করেনি। মহরমের সময় উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলা থেকে একটি গণপিটুনিতে হত্যার কথা জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬ বছর বয়সি এক হিন্দু যুবক তেজরাম।

    বিবাদের (Mob Lynching) সূত্রপাত কীভাবে?

    গত ১৭ জুলাই ওই জেলার গৌসগঞ্জ এলাকায় মহররমের একটি মিছিল স্থানীয় হিন্দু মন্দিরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় পুজোর কারণে ওই মহরমের মিছিলের উদ্যোক্তাদের বাজনা বাজাতে নিষেধ করেন স্থানীয় হিন্দুরা। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৮ জুলাই স্থানীয় তেজরাম নামের ওই হিন্দু যুবককে মহরমের উদ্যোক্তারা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বলে জানা যায়। ১৭ জুলাই থেকেই বিবাদ শুরু হয়। ওই দিন থেকেই স্থানীয় হিন্দুদের ওপর হামলা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, হিন্দু বাড়িগুলিতে লুট চলে। স্থানীয় হিন্দু বাড়িগুলিতে পাথর ছোড়া হয় (Mob Lynching) এবং মহিলাদেরও কটূক্তি করা হয়। পুলিশ-প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে আসার পরেও ওই বিবাদ চলতেই থাকে বলে জানা যায়।

    গুরুতর আঘাতে মারা যান তেজরাম (Mob Lynching)

    বরেলি জেলার রামপুর, শিবগঞ্জ, দেবরানিয়া প্রভৃতি জায়গা থেকে ভিড় একত্রিত হতে থাকে। পাথর-লাঠি সহ স্থানীয় হিন্দু বাড়িগুলির ওপর হামলা চলতেই থাকে। জানা যায়, এই সময়ে তেজরাম বাড়িতে ছিলেন এবং তাঁকে ওই ভিড় টেনে স্থানীয় একটি মসজিদে নিয়ে যায় এবং সেখানেই তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। ১৮ জুলাই এই মারধরের (Muharram Violence) ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান তেজরাম। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জনের ভিড় তেজরামের বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় এক পুলিশকর্তা অমিত কুমার জানিয়েছেন, আহত তেজরাম চিকিৎসার সময় মারা যান। পরে তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত হয়। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে যে বর্বরভাবে হামলা চালানো হয় এবং মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

    গ্রেফতার ৩৫, অভিযুক্তদের ৯টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল যোগী সরকার

    এই ঘটনার পরেই পুলিশ (Mob Lynching) এখনও পর্যন্ত ৫০ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পেরেছে এবং তাদের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলি হল, আফসার আলি, ইমরান, মুখতিয়ার আলি, আবদুল সালাম ইত্যাদি। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের সময় কয়েকজন অভিযুক্ত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায়। আবার পাল্টা পুলিশও গুলি চালাতে থাকে। এই গুলি লেগে আলমগীর নামে এক অভিযুক্ত আহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়েছেন এক কনস্টেবলও। গত ২৩ জুলাই থেকে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে যোগী সরকার এবং সেদিনই অভিযুক্তদের নয়টি বাড়ি বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share