Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Vistara: বিমানে মুফতে ওয়াইফাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে ভিস্তারা, কেন জানেন?

    Vistara: বিমানে মুফতে ওয়াইফাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে ভিস্তারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের উপহার দেবে বিমান সংস্থা ভিস্তারা (Vistara)। শনিবার এই উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে আন্তর্জাতিক উড়ানে নিখরচায় ২০ মিনিটের জন্য ওয়াইফাই (Free WIFI) পরিষেবার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। অবশ্য ক্লাব ভিস্তারা সদস্য হলে গোটা যাত্রাপথেই পাবেন এই সুবিধা। ভিস্তারার এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক কোনও উড়ানে এই প্রথম।

    ভিস্তারার যৌথ উদ্যোগ (Vistara)

    ভিস্তারা টাটা-সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগ। সংস্থার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০ মিনিটের এই ওয়াইফাই পরিষেবা সমস্ত কেবিনের সব যাত্রীই পাবেন। প্রথম কোনও ভারতীয় বিমান সংস্থার তরফে এমন অফার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। যাঁরা ভারতীয় ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে ওয়াইফাই প্ল্যান কিনতে চান, তাঁরাও সুযোগ পাবেন। আমরা আত্মবিশ্বাসী যাত্রীরা এই নয়া অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানাবেন, যা তাঁদের ভিস্তারা যাত্রাকে আরও সুন্দর, সহজ, সৃষ্টিশীল করে তুলবে।”

    ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের বহর

    এই এয়ারলাইন্সে (Vistara) ৭০টি এয়ারক্র্যাফ্ট রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি এয়ারবাস এ৩২০এনইও, ১০ এয়ারবাস এ৩২১ এনইও এবং ৭টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার এয়ারক্র্যাফ্ট রয়েছে। মুফতের সময়টুকু বাদ দিয়ে যারা গোটা উড়ানেই চ্যাট করতে চান, তাঁদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। জিএসটি ছাড়া তাঁদের দিতে হবে ৩৭২.৭৪ টাকা। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট করার আনলিমিটেড ডেটা পাবেন তাঁরা। অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অডিও এবং ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য জিএসটি ছাড়া দিতে হবে ১৫৭৭.৫৪ পয়সা। যাঁরা বিঘ্নহীনভাবে স্ট্রিমিং করতে আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে চান, তাঁদের দিতে হবে ২৭০৭.০৪ টাকা। এর সঙ্গে দিতে হবে জিএসটি।

    আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের নয়া নজির, অযোধ্যার রামলালার ছবি দিয়ে স্ট্যাম্প প্রকাশ লাওসের

    ভিস্তারার চিফ কমার্সিয়াল অফিসার দীপক রাজাওয়াত বলেন, “যাত্রীরা আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে বলেই আশাবাদী আমরা। এতে তাঁদের ভিস্তারা জার্নি অনেক বেশি আরামদায়, সৃজনশীল এবং বিঘ্নহীন হবে।” উড়ান সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত ৫০ এমবি কমপ্লিমেন্টারি ওয়াইফাই (Free WIFI) দেওয়া হবে বিজনেস ক্লাসে। প্ল্যাটিনাম ভিস্তারা ক্লাবের সদস্যরাও এই সুবিধা পাবেন (Vistara)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: ডোডায় হামলাকারী জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে, প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা

    Terrorist Attack: ডোডায় হামলাকারী জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে, প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সেনার ওপর হামলায় (Terrorist Attack) জড়িত তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করল পুলিশ। প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার স্কেচ প্রকাশ করে পুলিশ জানিয়েছে, “ডোডা এবং ডেসরা এলাকায় এই তিনজন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। জঙ্গির কার্যকলাপের এই তিনজনই যুক্ত ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছে ওই জঙ্গিদের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজ নেওয়ার জন্য একটি ফোন নম্বর চালু করা হয়েছে।

    উর্দু ও পস্তো জানে জঙ্গিরা (Kupwara Encounter)

    জানা গিয়েছে জঙ্গিরা উর্দু এবং পাস্তো ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত এলাকা থেকে এই জঙ্গিদের নিয়োগ করা হয়েছে। জঙ্গিরা “জৈশ-এ-মোহাম্মদের” সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের হ্যান্ডেলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তাঁদের অবস্থান যাতে চিহ্নিত না করতে পারে সেনা এবং পুলিশ, সেই কারণে নিজেদের ফোন ব্যবহার না করে অনেক ক্ষেত্রে জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন এবং পাকিস্তানে যোগাযোগের জন্য হটস্পট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

    সেনার উপর ফের হামলা (Terrorist Attack)

    এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা (Kupwara Encounter) জেলার কুমকাডি ছাউনি লক্ষ্য করে পাক জঙ্গি ও সীমান্ত বাহিনীর যৌথ হামলায় (Terrorist Attack) এক ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। মেজর পর্যায়ের পদমর্যাদার এক অফিসার সহ আরও চারজন সেনা পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসা গুলিতে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে একজন পাক জঙ্গিও খতম হয়েছে বলে সেনা সুত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের খতম করতে অপারেশন সর্পবিনাশ শুরু করেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক পাকিস্তান-খালিস্তানিদের! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলঘেরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে, এমনই খবর পেয়েছে সেনাবাহিনী। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে তাঁদের ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক পাকিস্তান-খালিস্তানিদের! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক পাকিস্তান-খালিস্তানিদের! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রা ভণ্ডুল করতে চাইছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের তরফে এবার ময়দানে নামানো হয়েছে খালিস্তানি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালকে। অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) বড় কোনও নাশকতার ছক রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনের। অন্যদিকে পাকিস্তানের কোনও ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনকেও সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    গোয়েন্দা রিপোর্টে হামলার ইঙ্গিত (Amarnath Yatra)

    জানা গিয়েছে, অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra) বন্ধ করার জন্য পূর্ণ্যার্থীদের শিকার বানানোর চেষ্টা করছে আইএসআই (ISI) এবং খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই হামলায় পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার, মৌলবাদী সংগঠন এবং বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের আরও আশংকা খালিস্তানপন্থী সংগঠনকে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি অস্ত্রশস্ত্র এবং জঙ্গি ট্রেনিং দিয়ে করে সাহায্য করতে  পারে। রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, দিল্লির এক বিজেপি নেতা এবং হিন্দুত্ববাদী নেতাদের উপর হামলা হতে পারে।

    পাকিস্তানকে জবাব কবে? উঠছে প্রশ্ন (ISI)

    গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) ভিন্ন ঘটানোর জন্য ওত পেতে বসে আছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। প্রাথমিক টার্গেট পুণ্যার্থীরা। সম্প্রতি পাঠানকোটে সাতজন জঙ্গির অনুপ্রবেশ ঘিরে পাঞ্জাব ও জম্মুতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিমের তরফে বেশ কয়েক বছর পর এবার সরাসরি সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের (ISI) তরফে যে বৃহত্তর চক্রান্ত চলছে, তা ভালোভাবেই আঁচ করতে পেরেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হঠাৎ করে কেন মোদি প্রশাসন জঙ্গিদের বাড়বড়ন্ত হলেও পাকিস্তানের বিষয়ে রক্ষণাত্মক মেজাজে চলে গিয়েছেন। এর আগে পাক সাহায্যপ্রাপ্ত বড় ধরনের কোনও হামলা হলেই সার্জিক্যাল জবাব দিত ভারত। কিন্তু মোদি ৩.০ সরকারের আমলে পরপর হামলা হলেও, ভারতের তরফ থেকে কোনও সার্জিক্যাল জবাব আসেনি।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    যদিও অনেকে মনে করছেন, পাকিস্তানকে খুব শীঘ্রই ভারতের তরফে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “পাকিস্তান ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় নি। তাঁরা যে ভাষায় চাইছে, সেই ভাষায় জবাব দেওয়া হবে।”

    অমরনাথ যাত্রা ঠেকাতে ব্যর্থ জঙ্গিরা  

    প্রসঙ্গত ২৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। এই যাত্রা চলবে ৫২ দিন ধরে। ১৯ আগস্ট যাত্রা শেষ হবে। শেষ ২৮ দিন ধরে অমরনাথে (Amarnath Yatra) চার লক্ষের বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। পাকিস্তান আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলেও অমরনাথ যাত্রায় কোনও প্রভাব পড়েনি। এবং যাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেনি জঙ্গিরা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ হিন্দু বাবা অমরনাথের দর্শন করতে আসেন। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয়! তাই কি মাইক বন্ধের ‘নাটক’ মমতার?

    Mamata Banerjee: বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয়! তাই কি মাইক বন্ধের ‘নাটক’ মমতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শনিবার বসেছে নীতি আয়োগের (NITI Aayog) নবম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা। রাজ্যের প্রতিনিধিস্বরূপ ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু, বৈঠকের মাঝপথে তিনি ওয়াক-আউট করেন। বেরিয়ে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, তাঁকে নাকি বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর বলার সময় নাকি মাইক বন্ধ করা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি কতটা যুক্তিযোগ্য বা তাঁর এই দাবির গ্রহণযোগ্যতা কতটা, তা জানার চেষ্টা করেছিল মাধ্যম। সেখান থেকে যে তথ্য উঠে এল, তা এক কথায় চমকপ্রদ।

    মাইকের নিয়ন্ত্রণ বক্তার হাতেই…

    কেন্দ্র এবং রাজ্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যা জানা গেল, তা হল— যে হলে বা ঘরে এধরনের বৈঠক হয়, সেখানকার মাইকগুলি ‘সেল্ফ অপারেটড’। বক্তার মুখের কাছেই মাইক স্ট্যান্ড। সেই স্ট্যান্ডেই থাকে অন-অফ করার সুইচ। অর্থাৎ, মাইকের নিয়ন্ত্রণ বক্তার হাতেই থাকে। এই একই সিস্টেম সংসদ সহ যে কোনও কনফারেন্স রুমে এখন থাকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে যে তত্ত্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) খাড়া করেছেন, তা অসত্য এবং অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। তাঁদের আরও দাবি, এসব করে তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন মাত্র।

    বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক প্রশ্ন এড়ানোর কৌশল?

    এখন প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে কেন এমনটা করতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কী উদ্দেশ্য নিয়ে? এখানেই উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য ও তত্ত্ব। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতার করা মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে ঢাকা থেকে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ক্ষোভ প্রশমনে বাধ্য হয়ে ময়দানে নামতে হয় দিল্লিকে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার মমতাকে (Mamata Banerjee) কড়া কথা শোনায় কেন্দ্র। বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে, বিদেশনীতি নিয়ে কথা বলা রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। জানা গিয়েছে, গোটা বিষয় নিয়ে মমতাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে এদিন উদ্যোগ নিচ্ছিলেন বৈঠকের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকরা। মুখ্যমন্ত্রী তা আঁচ করে নেন আগেভাগেই। সে সব এড়াতেই অত্যন্ত সচেতনভাবে এমন একটা ইস্যু (পড়তে হবে নাটক) তৈরি করলেন, যা দিয়ে বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক প্রশ্ন পিছনের সারিতে চলে গেল। 

    আরও পড়ুন: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    প্রচারের আলো টানার চেষ্টা?

    এছাড়া, আরও একটা কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের মতে, লোকসভা ভোটের অব্যবহিত পরে ফের একবার বিরোধী শিবিরে ‘মধ্যমণি’ হয়ে উঠেছেন রাহুল গান্ধী। বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী ‘ইন্ডি’ ব্লকের সর্বগ্রহণযোগ্য মুখ হয়ে উঠছেন রাহুল। ফলত, ‘ইন্ডি’ জোটে অনেকাটই ম্লান মমতার (Mamata Banerjee) দখল। অন্য সময়ে মমতা দিল্লি যাত্রা করলে, যা আকর্ষণ হত কেন্দ্রীয় (পড়তে হবে বিরোধী) রাজনীতিতে, বর্তমানে তা অনেকটাই ফিকে। রাহুলকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রে বিজেপি-বিরোধী রাজনীতি গড়ে উঠছে। তা বুঝতে পেরেই, নিজের দিকে প্রচারের আলোর অভিমুখ ঘোরানোর উদ্দেশ্যেই মমতা এই মাইক-তত্ত্ব খাড়া করেছেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    কনস্ট্রাকটিভ পলিটিক্সে স্বাচ্ছন্দ্য নন…

    আরও একটা চমকপ্রদ তত্ত্ব উঠে এসেছে। যেটাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে। অনেকের মতে, মমতা বরাবরই বিরোধী-রাজনীতি করে এসেছেন। তিনি তাতেই অভ্যস্ত, সাবলীল। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা কোনওদিনই ডেভলেপমেন্টাল বা কনস্ট্রাকটিভ পলিটিক্স করেননি। ২০১১ সাল পর্যন্ত, উনি ছিলেন বাম-বিরোধী। এখন মোদি-বিরোধী। এমনকী, রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরও, তাঁর একাধিক কর্মকাণ্ড দেখেও বোঝা দায় ছিল যে তিনি শাসক না বিরোধী। সেখানে, নীতি আয়োগ (NITI Aayog) হল আদ্যান্ত উন্নয়নমূলক বিষয়বস্তু-কেন্দ্রিক আলোচনার মঞ্চ। এখানে রাজ্য-কেন্দ্র সমন্বয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়। মমতা (Mamata Banerjee) যে এধরনের বৈঠকে সাচ্ছন্দ্য নন, তা সহজেই অনুমেয়। ফলস্বরূপ, এদিনের এই ‘নাটক’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Singh: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    Sanjay Singh: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অন্তত জেলের বাজেট (Jail Budget) বাড়িয়ে দিন, কারণ নেতারা জেলে যাবেন। আজ হোক বা কাল সকলকে জেলে যেতে হবে। তাই অন্তন্ত জেলের বাজেট বাড়িয়ে দিন।” বক্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh) । সংসদের উচ্চ কক্ষে বাজেটের উপরে চর্চার সময় আপ সাংসদ বলেন, “জেলের বাজেট বাড়িয়ে দিন। কারণ এক না একদিন সকলকে জেলে যেতে হবে। আজ আমাদের অনেকে আছে। কাল আপনাদের (শাসক পক্ষের) যেতে হবে। ৩০০ কোটিতে কিছু হবে না। তাই জেলের বাজেট অন্তত বাড়িয়ে দেওয়া দরকার ছিল।” মজা করে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় শাসকপক্ষকে সঞ্জয় সিং-এর এর আবেদনের উপরে নজর দিতে বলেন।

    বিরোধীদের ঠিকানা জেল (Sanjay Singh)

    সঞ্জয় সিং অভিযোগের সুরে বলেন, “আপনারা (শাসক) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জেলবন্দী করে রেখেছেন। বাংলার তিনজন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। সাংসদের (Jail Budget) এই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে ধনখড় বলেন, “দেশ আইনের উপর নির্ভর করে চলে। পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালত অভিযুক্তকে জেলে পাঠায়। দেশের যে কোনও পদে, যে কেউ থাকুক না কেন, সে জেলে যাবে কিনা, নির্ভর করে আদালতের ওপর। আপনি (Sanjay Singh) জেলে গিয়েছিলেন, প্রথমে এজেন্সির জন্য। পরে যখন জেলে ছিলেন, সেখানে আদালতের নির্দেশ ছিল।”

    সঞ্জয়ের অভিযোগ (Jail Budget)

    সঞ্জয়ের (Sanjay Singh) অভিযোগ, মোদি সরকার কোনও সমস্যার সমাধান চায় না। ন্যায় বিচার চায় না। সরকার চায়, শুধু বিরোধীদের নানান অভিযোগে অভিযুক্ত করে জেলে ভরে রাখতে।”

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    তাঁর আরও অভিযোগ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল অসুস্থ। তা সত্ত্বেও তাঁকে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি একদা জামিন পেয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে চলে গিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। তাঁরা চাইছে, যে কোনও ভাবে তাঁকে জেলে রাখতে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত জওয়ান, খতম এক পাকিস্তানি

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত জওয়ান, খতম এক পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল বিজয় দিবসের পরের দিনই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হল কাশ্মীর উপত্যকায় (Jammu Kashmir)। শনিবার কুপওয়ারার (Kupwara) কামকারি এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত এক মেজর-সহ পাঁচ সেনা। ভারতীয় জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। 

    কী ঘটেছিল

    সেনা সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে এলওসি-তে ওই হামলার (Jammu Kashmir) ঘটনায় পাক সেনার নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রি এবং জঙ্গিদের যৌথবাহিনী ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (ব্যাট) জড়িত। শুক্রবার ওই এলাকায় জঙ্গিদের গতিবিধির ‘খবর’ এসেছিল। তারই ভিত্তিতে অভিযানে নেমে হামলার মুখোমুখি হয় সেনা।

    ব্যাট কি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা এই বাহিনীর সাহায্যেই উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে। এখন জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ভৌগোলিক অবস্থান জানার জন্য অত্যাধুনিক জিপিএস ব্যবহার করছে। তাদের মোকাবিলায় সেনাও উন্নততর প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে।

    পরপর সংঘর্ষ

    শুক্রবার কার্গিল বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী নেরন্দ্র মোদি জঙ্গিদমনে আরও কড়া হুঁশিয়ারি দেন। ঠিক তার পরের দিনই উপত্যকায় জঙ্গি হামলা (Kupwara)। এর আগে গত ২৪ জুলাই লোলাব এলাকায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক সেনার মৃত্যু হয়েছিল। সেনার তরফে জানানো হয়, ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি এখন কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Army: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    Indian Army: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় (Indian Army) সেনাবাহিনীর জন্য মোবাইল পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হল। ২৬ জুলাই ২০২৪ কার্গিল বিজয় দিবসের (Kargil Vijay Diwas) বিশেষ দিনে টেলিকম বিভাগের তরফে সামাজিক মাধ্যমে বরফের চাদর মোড়া পাহাড়ের উপর এক সেনা জওয়ানের ছবি পোস্ট করা হয়। এই পোস্টে লেখা ছিল, “কার্গিলে আমাদের সেনাদের জন্য মোবাইল পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হল। এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায়।”

    ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল নেটওয়ার্ক (Indian Army)

    ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) শেষ ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে এই দিনটিকে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কার্গিল এবং আশপাশের পাহাড়ে পাকিস্তানি সেনাকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার সেই উপলব্ধিকে প্রত্যেক বছর ভারত সরকার ধুমধাম করে পালন করে। এই যুদ্ধে ৫২৮ জন (Indian Army) জওয়ান নিজের জীবনের বলিদান দিয়েছিলেন। তাঁদের স্মৃতিতে সারা ভারত জুড়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার সেনার বলিদান স্মরণ করে তাঁদের একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করেছে টেলিকম বিভাগ। যে সময় যুদ্ধ হয়েছিল তখন এই অঞ্চলের মোবাইল পরিষেবা তো দূর অস্ত টেলিফোন পরিষেবাও ছিল না। যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন এবং সেনার নিজস্ব কিছু পদ্ধতির উপরে ভরসা করতে হত। কিন্তু এখন সারা বছর এই অঞ্চলে যারা মাইনাস তাপমাত্রায় তাদের কর্তব্য পালন করে, তাঁদের স্বাভাবিক জীবনের কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সেনা জওয়ানরা সহজে পরিবারের সঙ্গে শুধু কথা বলতে পারবে। এমনকি তাঁদের কাজের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।

    সেনাকে উপহার

    অন্যদিকে কার্গিল বিজয় দিবসকে (Kargil Vijay Diwas) একটু আরও বিশেষ করার উদ্দেশ্যে শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রার উদ্যোগে (Indian Army) সেনাবাহিনীকে উপহার পাঠানো হয়। শিল্পপতি নিজেই একটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে আপলোড করে লিখেছেন, “১৪০ কোটি ভারতবাসীর তরফে এই উপহার পাঠানো হয়েছে। ভারতবাসী শুধু সেনাকে ধন্যবাদ জানাতে চায়, এমন নয়। সেনাকে তাঁরা পরিবারের সদস্য মনে করে। কারণ তাঁরা নিজেদের জীবন বাজিয়ে রেখে আমাদের জীবন বাঁচান।”

    কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপট (Kargil War)

    কার্গিল যুদ্ধ ১৯৯৯ সালে মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত হয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল যখন শীতের সময় বরফের চাদরের আড়ালে পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল। তাঁরা নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ভারতীয় দিকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে। দখল করা এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনী (Indian Army) ‘অপারেশন বিজয়’ শুরু করেছিল।

    আরও পড়ূন: ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    ভারতীয় বাহিনী অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানীদের পিছু হটিয়ে যুদ্ধে (Kargil Vijay Diwas) জয়ী হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্টে ইউক্রেন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। তারপর এই প্রথম কিভ (ইউক্রেনের রাজধানী) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অগাস্টেই রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এই মাসেই স্বাধীনতা দিবস পালন করে ইউক্রেনও। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁকে আমন্ত্রণ জানায় ইউক্রেনও। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই কিভ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি! (PM Modi)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দাঁড়ি টানতে নানা সময় উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েও সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জড়িয়ে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। ২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। কূটনৈতিক কৌশলেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

    বাতাসে বারুদের গন্ধ

    জুন মাসে জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোদি। ইতালির ওই সম্মেলনে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেছিলেন মোদি। জাপানেও একান্তে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। ফোনেও কথা হয়েছে একাধিকবার। প্রত্যেকবারই উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তার পরেও যুদ্ধ চলছেই। মোদি-জেলেনস্কির এহেন কথোপকথনের আগে কিন্তু মোদি-পুতিনের আলিঙ্গনের সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে জৈব চাষ, বছরে ৪ কোটি আয় দিল্লির দীপকের

    জেলেনস্কি বলেছিলেন, “বৃহত্তম গণতন্ত্রের (PM Modi) প্রধানমন্ত্রী একজন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন। শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে এটা বিরাট একটা ধাক্কা।” উষ্মা প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, “আমরা ভারতকে বলছি, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের সমর্থন প্রয়োজন।”

    চলতি মাসেই ভারত-ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। ১৯ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে আলোচনা (Russia Ukraine War) হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gold Price: বাজেটের পর সোনার দামে বিরাট হ্রাস! প্রতি ১০ গ্রামে কমল ৫০০০ টাকা

    Gold Price: বাজেটের পর সোনার দামে বিরাট হ্রাস! প্রতি ১০ গ্রামে কমল ৫০০০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Budget 2024) সোনা-রুপোর (Gold Price) উপর শুল্ক কমানো ঘোষণার পর থেকে এই মূল্যবান ধাতুর দাম কমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই বুলিয়ান বাজারে সোনার দাম ১০০০ টাকা কমেছে। প্রতি ১০ গ্রাম ৭০,৬৫০ টাকায় নেমে এসেছে। সরকার সোনার উপর প্রতি ১০ গ্রামে ৭ শতাংশ অর্থাৎ ৫০০০ টাকা আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। একই ভাবে রুপোর দামও ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রতি কেজিতে ৩৫০০ টাকা কমে ৮৪০০০ হাজার দামে পৌঁছেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এবার লাভজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কেন কমে গেল সোনার মূল্য (Gold Price)?

    গত ২৩ জুলাই ২০২৪-এর বাজেটে (Budget 2024) দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারামণ সোনার (Gold Price) উপর শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। আর তাই সোনার দাম গত তিন দিনে ১০ গ্রাম প্রতি ৫০০০ টাকা কমে গিয়েছে। ২২ জুলাই বুলিয়ন বাজারে সোনা প্রতি ১০ গ্রাম ৭৫,৬৫০ টাকায় বন্ধ হয়েছিল। তারপর সোনার দাম কমেছে ৬.৬০ শতাংশ। একই ভাবে রুপোর দাম কেজি প্রতি ৯১ হাজার থেকে কমে ৮৪ হাজার টাকায় নেমেছে। ফলে গত তিন দিনে রুপোর দামও কমেছে ৭,০০০ টাকা।

    বিদেশের বাজারে সোনার দাম কমেছে

    শুল্ক কমানোর জন্য বিদেশের বাজারেও সোনা-রুপোর (Gold Price) দাম কমে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৪২.২০ ডলার কমে ২,৪২১.৮০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। একই ভাবে রুপো আউন্স প্রতি ২৮.০৪ ডলারে বন্ধ হয়েছে। এই বুলিয়ান বাজারে সোনা-রুপোর দাম কমে যাওয়ায় দেশের বাজারেও প্রভাব পড়েছে। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের সিনিয়র কমোডিটি অ্যানালিস্ট সৌমিত্র গান্ধী বলেছেন, “ইউরোপের বাজারে সোনার দামে পতন ঘটায় বৃহস্পতিবারে সোনার দাম কমেছে। এ ছাড়া মার্কিন অর্থনীতির তথ্য প্রকাশের আগে সোনার দাম কমিয়ে আনা হয়েছে।” তবে সোনার বাজার বিশেজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক কামানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এই প্রবাহ চলবে। আর তাই সোনা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন।

    সোনা ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া

    এলকেপি সিকিউরিটিজের কমোডিটি এবং কারেন্সির ভিপি রিসার্চ-এর বিশ্লেষক যতীন ত্রিবেদী বলেছেন, “সোনার দামে (Gold Price) মৌলিক শুল্ক কমায় হলদে এই ধাতুকে সস্তা করে তুলেছে। খুচরো বিনিয়োগকারীরা সোনার এই আকর্ষণীয় মূল্যের দ্বারা উপকৃত হবেন।” অনুরূপ ভাবে ইউনিমোনি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের নির্দেশক ও সিইও কৃষ্ণান আর বলেছেন, “দাম কমের ফলে আরও বেশি লোক সোনার গহনায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহ পাবেন। সোনা আর্থিক সম্পদ হিসেবে প্রায়শই মুদ্রাস্ফীতি এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সোনার দাম কম হওয়ায় গহনার চাহিদা পুনরুজ্জীবিত হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    পিসি জুয়েলারের বক্তব্য

    পিসি জুয়েলারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলরাম গর্গ বলেছেন, “সোনায় (Gold Price) শুল্ক হ্রাস হওয়ায় দেশীয় বাজারে গহনার চাহিদা এবং বিক্রির বাজার আরও চাঙ্গা হবে। বাজারে বিনিয়োগ বাড়বে। ক্রেতাদের কেনাকাটার উপর দারুণ প্রভাব ফেলবে।” আবার মালাবার গ্রুপের চেয়ারম্যান এমপি আহমেদ বলেছেন, “এই মূল্য হ্রাস সোনা ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। ভারতীয় অর্থনীতির জন্য সোনার চোরাচালান ব্যাপক হুমকি স্বরূপ ছিল। এবার সোনার চোরাচালান অনেকটা কম হবে বলে আমার মনে হয়।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন

    Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (U.P.) মেরঠ (Meerut Police) এলাকায় এক কিশোরীকে অপহরণ করে পরে গণধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটল। তাঁর মুখ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দুইদিন নিখোঁজ থাকার পর পর ওই কিশোরীর দেহ পাওয়া যায়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের পরিবার দেহ রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় হাসিন মূল অভিযুক্ত বলে জানা গেছে। হাসিন ওই কিশোরীকে পছন্দ করত বলে জানা যায়। কিন্তু কয়েকদিন ধরে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেল করছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার কয়েকদিন আগে ব্ল্যাকমেলের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ওই কিশোরী হাসিনকে চড় মারে। এর পর প্রতিশোধ নিতেই হাসিন বন্ধুদের সঙ্গে মিলে এই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ।

    পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (U.P.)

    পুলিশ (Meerut Police) সূত্রে খবর, মৃতের পরিবার তাঁদের কাছে ওই কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগ জানানোর কয়েক দিনের মধ্যেই নাবালিকার দেহ পাওয়া যায়। পরিবারের তরফেও ওই চার অভিযুক্তকেই সন্দেহ করা হচ্ছিল। এরপর (U.P.) পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে চাকু এবং একটি স্কুটি পাওয়া যায়। পুলিশের অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড এই ঘটনার পর বিভিন্ন স্কুলে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নাবালিকা ও তরুনীদের কীভাবে বিপদে পড়লে বাঁচতে হবে সেই কৌশল শেখায়।

    নির্ভয়া কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি (Meerut Police)

    স্থানীয়রা জানিয়েছে প্রথমে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। ঠিক যেভাবে দিল্লির নির্ভয়াকে যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ওই নাবালিকার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। জানাজানি আটকাতে তারপর ওই চারজনে মিলে নির্মমভাবে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে। এবং তার দেহ চাষের জমিতে ফেলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে গোপনাঙ্গ থেকে তীব্র রক্তক্ষরণের জেরে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিচয় লুকানোর জন্য মুখে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃতের পরিবার অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    ২০১২ সালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল দিল্লিতে। সেই নির্ভয়ার ঘটনাই যেন ফের পুনরাবৃত্তি হল ফের এক বার, এক দশক পর (U.P.) মেরঠে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share