Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির সঙ্গে যে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) কোনও সম্পর্ক নেই, বায়ুসেনার একটি পোস্টেই স্পষ্ট হয়ে গেল তা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও চলছে। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে বায়ুসেনা (IAF) জানিয়ে দিল, “অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে।” তবে এনিয়ে দেশবাসীকে কোনও রকম জল্পনা বা ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা।

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। যুদ্ধ বিরতি চললেও, সেই অভিযান যে জারি রয়েছে, এদিন তা জানিয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলার পরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দেয়, ওই অভিযান শুধুই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের আস্তানা লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু জঙ্গি নিহত হয়। সেই জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক সেনার উপস্থিতির ছবিও তামাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, “এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের (Operation Sindoor) পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ পায়নি ভারত। এই আবহেই শনিবার ঘোষণা হয় যুদ্ধবিরতি। তার জেরে দেশবাসীর একাংশের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারত যে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল, তার কী হবে? ভারতীয় বায়ুসেনার পোস্টে এর উত্তর পেয়ে গেলেন প্রশ্নকর্তারা। সেনা সাফ জানিয়ে (IAF) দিয়েছে, জঙ্গি দমনের জন্য তাদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলছে।

  • India Pakistan War: যুদ্ধ ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পেয়েই মোদিকে ফোন করেন ভ্যান্স

    India Pakistan War: যুদ্ধ ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পেয়েই মোদিকে ফোন করেন ভ্যান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan War) যুদ্ধ বিরতি ইস্যুতে সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-র এক প্রতিবেদন। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র থেকে এক ‘উদ্বেগজনক ও গোপন তথ্য’ পায়। এর ভিত্তিতেই মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা শুক্রবারই আলোচনায় বসেন। তার ঠিক একদিন পরেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স শুক্রবার দুপুরে সরাসরি ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)।

    সিএনএনের প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে

    সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘শুক্রবার সকালে ভারত-পাক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, বিদেশ সচিব ও অস্থায়ী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুজি ওয়াইলস। সেখানেই গুরুতর গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনা করে আমেরিকা। সেই গোয়েন্দা তথ্য মোতাবেক, ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan War) মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত ছিল।’’ সিএনএনের বক্তব্য অনুযায়ী সেই তথ্যের প্রকৃতি এখনও পর্যন্ত কেমন ছিল তারা তা জানতে পারেনি তারা। কারণ মার্কিন প্রশাসন গোপনীয়তার স্বার্থে তা জানায়নি। তবে মার্কিন প্রশাসনিক কর্তারা সিএনএন-কে জানিয়েছে, এই গোপন তথ্যই ছিল হস্তক্ষেপের একেবারে ‘টার্নিং পয়েন্ট’।

    কয়েকদিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারত যুদ্ধ পরিস্থিতি

    প্রসঙ্গত, মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি ভ্যান্স ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে এবং কয়েকদিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এরপরেই অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। মোদির সঙ্গে এই কথোপকথনের পরে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাতভর (India Pakistan War) কথা বলেন। রুবিও ফোন করেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে। তবে মার্কিন প্রশাসন সিএনএন-কে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করেনি, শুধু আলোচনা শুরু করিয়ে দেওয়াটাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, মোদি-ভ্যান্স ফোনালাপই ছিল পরিস্থিতি বদলের প্রধান মুহূর্ত।

  • India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই বিকেল পাঁচটায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার পরই ফের নিজেদের (India Pakistan War) আসল রূপ দেখাল পাকিস্তান। ফিরে এল পাকিস্তান। কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় লাগাতার গোলা-গুলি চালাতে থাকে তারা। সেসময় অবশ্য পাকিস্তানকে সঙ্গে সঙ্গে যোগ্য জবাবও দিতে শুরু করে বিএসএফ (BSF)। তবে বিএসএফ-এর জম্মু ডিভিশন থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোলায় মৃত্যু হয়েছে এক বিএসএফ আধিকারিকের। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে নির্বিচারে গোলাগুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তান। সেই সময়ই সামনে থেকে আধা সেনাকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর এমডি ইমতিয়াজ। তখনই পাকিস্তানের (India Pakistan War) ছোড়া গুলিতে শহিদ হন তিনি।

    শনিবারও রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে

    অন্যদিকে শনিবারই বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি করা হয়েছে। আপাতত আকাশ, স্থল, জল, কোনও পথেই সেনা ‘অ্যাকশন’ চালানো হবে না বলে জানান বিক্রম মিস্রি। তবে এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দেখা গেল উধমপুর, আখনুর, নৌসেরা, পুঞ্চ, রাজৌরি, জম্মু, আরএসপুরা সহ একাধিক জায়াগায় গোলা-গুলি চালাতে (India Pakistan War) শুরু করে পাকিস্তান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে। জয়সালমের, বারমের, পাঠানকোট সহ একাধিক জায়গা সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়।

    শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা পাহারার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, পাক হামলায় শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের। নিহত হয়েছেন রাজৌরির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারও। পাকিস্তানের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজ কুমার থাপা নামের ওই আধিকারিকের। ওই হামলার ঘটনায় সেসময় আহত হয়েছিলেন তিনজন । পরে মৃত্যু হয় ওই আধিকারিকের।

  • Kanthapuram: সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে আছি, মোদিকে বললেন শেখ আবুবকর আহমেদ

    Kanthapuram: সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে আছি, মোদিকে বললেন শেখ আবুবকর আহমেদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন কান্তাপুরম এপি আবু বকর মুসালিয়ার (Kanthapuram)। চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। দুজনকেই পাঠানো চিঠিতে তিনি জানায়েছেন, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দেশ যে লড়ছে, সেই লড়াইয়ের পাশে রয়েছেন তিনিও। ভারত সরকারের গৃহীত কঠোর অবস্থানকে নিঃসংশয়ে সমর্থন করেন তিনি। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি। আবু বকর মুসালিয়ারের মতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা কেবলমাত্র জাতীয় অখণ্ডতার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তির জন্যও এক গুরুত্ব অবদান।

    কী লিখেছেন চিঠিতে (Kanthapuram)

    প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, “সন্ত্রাসবাদ শুধু জাতীয় স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বৈশ্বিক শান্তি ও মানব মর্যাদার জন্যও একটি গুরুতর হুমকি। উগ্রপন্থী শক্তির কার্যকলাপ দমন করতে ভারতের সক্রিয় পদক্ষেপগুলি নিরীহ প্রাণ রক্ষায় এবং ন্যায় ও মানবতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। চরমপন্থী মতাদর্শের মোকাবিলায় ও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের কৌশলগত হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক নেতৃত্ব একটি রূপান্তরমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। নীতিনিষ্ঠ (Kanthapuram) কূটনীতিক দৃঢ় সংকল্প ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের দেশ এক অস্থির বিশ্বে স্থিতিশীলতার একটি বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।”

    দেশবাসীকে আহ্বান

    তিনি দেশের সকল নাগরিককে ধর্ম বা পটভূমি নির্বিশেষে এই জাতীয় উদ্যোগগুলির সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আমি সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি – এই জাতীয় প্রচেষ্টার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ান। আমরা সবাই বিশ্বাস বা পটভূমি নির্বিশেষে এমন মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে কাজ করব, যা আমাদের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ অথচ সঙ্গতিপূর্ণ জাতি হিসেবে একত্রিত করে। মহান সৃষ্টিকর্তা ভারতের নেতৃত্বকে শান্তি ও নিরাপত্তার এই মহৎ প্রচেষ্টায় দিকনির্দেশনা ও শক্তি দান করুন।”

    প্রসঙ্গত, মুসালিয়ার শেখ আবুবকর আহমেদ নামেও পরিচিত। তিনি ভারতের দশম ও বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি এবং সর্বভারতীয় সুন্নি জামিয়্যাতুল উলেমার সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপি সুন্নিদের সামস্থ কেরলের (PM Modi) জেম আইয়্যাতুল উলেমার সাধারণ সম্পাদকও (Kanthapuram)।

  • Ajit Doval: যুদ্ধ ভারতের পছন্দ নয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত, চিনকে সাফ জানালেন দোভাল

    Ajit Doval: যুদ্ধ ভারতের পছন্দ নয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত, চিনকে সাফ জানালেন দোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে চিন পাকিস্তানকে সবদিক থেকে সমর্থনের কথা বলছে, অন্যদিকে আবার ভারতের কাছে আবার পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দাও করছে। প্রসঙ্গত, শনিবার ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হয়। এর ঠিক ঘণ্টা খানেক বাদেই পাকিস্তান তা লঙ্ঘন করে। তারপরেই ময়দানে নামে চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (Ajit Doval) এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে (Ajit Doval) ফোন করে চিনা বিদেশমন্ত্রী পহেলগাঁও জঙ্গি হানার নিন্দা করেন। একইসঙ্গে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা রয়েছেন বলেই ভরসা জোগানোর চেষ্টা করেন। এই আবহে চিনের দ্বিচারিতার সামনে কোনওভাবেই মাথা নত করেনি ভারত। অজিত দোভাল (Ajit Doval) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত কখনও যুদ্ধ করতে চায় না। যুদ্ধ কারও স্বার্থেই ভালো নয়। তবে ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও জঙ্গি হানায় অনেক ভারতীয়দের প্রাণহানি হয়েছিল। ভারতকে সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত।

    চিনের চিরমিত্র পাকিস্তান

    এদিকে চিন (China) তাদের চিরমিত্র পাকিস্তানকে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের স্বাধীনতা, সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ইসলামাবাদের পাশে রয়েছে সবসময়। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই নিজের বিবৃতিতে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর করতে চিন সবসময় পাশে আছে।” চিন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, দুই দেশ অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নেয়। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার চেষ্টা করে।

    যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    এদিকে, যুদ্ধবিরতির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। শনিবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। বারামুল্লা ও অনন্তনাগ এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে একটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (UAV) নামিয়ে ফেলা হয়। এই আবহে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স -এ লেখেন, “এ কেমন যুদ্ধবিরতি?” এরপরেই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। আমাদের বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে কোনওরকম অনুপ্রবেশ বা উস্কানি হলে কড়া জবাব দেওয়া হয়।”

  • CM Dhami: “পড়ুয়াদের সুনাগরিক করতে উত্তরাখণ্ডের স্কুলে পড়ানো হবে গীতা”, বললেন ধামি

    CM Dhami: “পড়ুয়াদের সুনাগরিক করতে উত্তরাখণ্ডের স্কুলে পড়ানো হবে গীতা”, বললেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্কুল পাঠ্যক্রমে ঢুকে পড়ল গীতা (Gita)। শিক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়াদের যাতে নৈতিক মূল্যবোধের পাঠও দেওয়া যায়, তারা যাতে আরও ভালো নাগরিক ও সহানুভূতিশীল মানুষ হয়ে উঠতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (CM Dhami)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের সরকার শ্রীমদ্ভগবদ গীতাকে স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয়, বরং জীবনের কলা ও নৈতিকতার দর্শন।”

    মূল্যবোধের পাঠ (CM Dhami)

    তিনি বলেন, “এখন আমাদের সন্তানরা শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধের পাঠও পাবে, যা তাদের আরও ভালো নাগরিক ও সহানুভূতিশীল মানুষ করে তুলবে।” ওই বৈঠকে শিক্ষা বিভাগকে তিনি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সমস্ত কার্যকলাপের একটি রজত জয়ন্তী ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করতে বলেছেন। বর্ষার আগেই নাগরিক পরিকাঠামোর পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন করার কথাও বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্লাস্টার স্কুলগুলিতে আবাসিক হস্টেলের সুবিধার জন্য অন্যান্য রাজ্যের শ্রেষ্ঠ অনুশীলন মূল্যায়নের পর একটি প্রস্তাব তৈরি করা উচিত। আবাসিক হস্টেলগুলিতে শিশুদের জন্য আরও ভালো সুবিধা থাকা উচিত। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি জেলায় একটি করে আবাসিক হস্টেল নির্মাণ করা উচিত (CM Dhami)। ৫৫৯টি ক্লাস্টার স্কুলের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ছাত্রদের পরিবহণ ব্যবস্থার জন্যও একটি প্রস্তাব দ্রুত তৈরি করতে হবে।” পড়ুয়ারা যাতে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক পায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও এদিন কর্তাদের দিয়েছেন ধামি।

    বদলির প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা থাকা উচিত

    তিনি বলেন, “শিক্ষা বিভাগে বদলির প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা থাকা উচিত। এজন্য জেলা, বিভাগ এবং রাজ্যস্তরে সমস্ত দিক বিশদভাবে অধ্যয়ন করে একটি প্রস্তাব তৈরি করা উচিত। স্কুলগুলিতে এনসিসি এবং এনএসএস প্রচার করা উচিত। যেসব স্কুলে এই সুবিধা নেই, সেগুলিকে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন করা হবে।” শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকেও কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের মাধ্যমে সাহায্যের (Gita) অনুরোধও জানানো হবে বলে জানান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (CM Dhami)।

  • India Pakistan Conflict: যুদ্ধ বিরতিতে সায় ভারত-পাকিস্তানের, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় খুলল জট!

    India Pakistan Conflict: যুদ্ধ বিরতিতে সায় ভারত-পাকিস্তানের, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় খুলল জট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের আর্তনাদে মার্কিন হস্তক্ষেপ (India Pakistan Conflict)! তার জেরেই ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি। দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। শনিবারই পাক সেনা প্রধানের সঙ্গে কথা হয় মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবেয়ার। রাতভর আলোচনার পরে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ, দাবি আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্টের। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানালেনও সে কথা। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে। উভয় দেশকে অভিনন্দন।”

    সংঘর্ষ বিরতি (India Pakistan Conflict)

    এদিন বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর হয়েছে। সংঘর্ষ বিরতির কথা জানিয়েছে পাকিস্তানও। জল, স্থল কিংবা আকাশপথে আক্রমণ করবে না দুই দেশই। এদিন বিকেলে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ পাকিস্তানের ডিজিএমও-র তরফে ফোন করা হয় ভারতের ডিজিএমওকে। তখনই ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আর্জি জানায় পাকিস্তান।” তাতে সম্মতি জানায় ভারত। এর পরেই সিদ্ধান্ত হয় এদিন বিকেল ৫টা থেকে জল, স্থল, আকাশ সমস্ত পথে সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ফের ফোনে কথা বলবেন দুই দেশের ডিজিএমও-রা (India Pakistan Conflict)।

    জঙ্গি হামলাকে এবার যুদ্ধ হিসেবেই দেখবে ভারত

    এদিকে, জঙ্গি হামলাকে এবার যুদ্ধ হিসেবেই দেখবে ভারত। পাক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরও বড় লড়াইয়ের হুঙ্কার ভারতের। ভারতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে গণ্য হবে। পাকিস্তানকে এবার সবক শেখানোর কড়া বার্তাও দেওয়া হল ভারতের তরফে। এদিন তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এ কথা। অন্যদিকে, এদিন সকালে সেনার তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। বৈঠকে বিদেশ সচিব জানান, পাকিস্তান যে হামলা করছে, তারই জবাব দিচ্ছে ভারত। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “২৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় তা প্রতিহত করেছে ভারত। তবে উধমপুর, পাঠানকোট, ভাতিন্ডায় জখম হয়েছেন কয়েকজন সেনা (India Pakistan Conflict)।”

  • India Pakistan War: পাকিস্তানের ‘ফেক নিউজ ড্রোন’ আক্রমণের জবাবে ভারতের ‘ফ্যাক্ট-চেক মিসাইল’! কী বলছে পিআইবি?

    India Pakistan War: পাকিস্তানের ‘ফেক নিউজ ড্রোন’ আক্রমণের জবাবে ভারতের ‘ফ্যাক্ট-চেক মিসাইল’! কী বলছে পিআইবি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (India Pakistan War) পরিস্থিতিতে পাক নেটনাগরিকরা সমাজমাধ্যমজুড়ে একাধিক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনসাধারণের উদ্দেশে বার্তা দিল প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো (PIB)। ভারত-পাক অশান্তির আবহে পুরনো এবং অন্য জায়গার গন্ডগোল, বিস্ফোরণ এবং হতাহতের ছবি দিয়ে বলা হচ্ছে সেগুলো এখনকার। তা দিয়ে লেখালিখিও হচ্ছে বিস্তর। এই প্রেক্ষিতে পিআইবি ফ্যাক্ট চেক-এ রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

    মহিলা পাইলট শিবানী সিং বন্দি নন

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পাক নাগরিক একটি পোস্টে লেখেন, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানী সিং পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েছেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘যুদ্ধবিমান থেকে লাফিয়ে নামার সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানী পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বন্দি হয়েছেন।’ মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। সেই পোস্ট দেখে উদ্বেগ তৈরি হয় ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে। কিন্তু সেই পোস্ট যে একেবারে ভুয়ো তা শনিবার এক্স হ্যান্ডলে জানাল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-এর ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট। পিআইবি জানিয়েছে, ওই ভিডিও ২০১৪ সালের। যখন মহারাষ্ট্রের পুণে-আহমেদনগর হাইওয়ের কাছে কুলওয়াড়ি গ্রামে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সুখোই যুদ্ধবিমান এসইউ-৩০এমকেআই ভেঙে পড়ে। এক্সে একটি পোস্টে তারা জানিয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলটকে আটক করা হয়নি।’

    জেট ভেঙে পড়ার মিথ্যা প্রচার

    ভারতের আকাশে একের পর হানা পাকিস্তানের। ভারতও প্রত্যাঘাত হেনেছে কিন্তু এর মাঝেই ভুয়ো খবর ছড়াতে শুরু করেছে পাকিস্তান এবং চিন। এমনই একটি খবরের পর্দাফাঁস করল পিআইবি (PIB)। চিনের অন্যতম প্রধান সংবাদ সংস্থা চায়না ডেইলির একটি প্রতিবেদন অনুসারে বলা হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরে ভারতের তিনটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এই খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে ‘ফ্যাক্ট চেকে’ প্রমাণ করে পিআইবি। এক্ষেত্রে আল জাজিরার ইংরাজি সংস্করণের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন সামনে আনা হয়। সেখানেই জানানো হয় কীভাবে পাকিস্তান এবং চিন দুই পক্ষই একসঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুয়ো খবর প্রচার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পিআইবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখে, “চায়না ডেইলি মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে ভারতের তিনটি জেট কাশ্মীরে ভেঙে পড়েছে। এই ছবি ২০১৯ সালের।”

    ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি

    শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে ১০টি বিস্ফোরণের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অস্বীকার করেছে পিআইবি (PIB)। জয়পুর বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের খবরও মিথ্যা। বিমানবন্দর সচল রয়েছে। দিল্লি-মুম্বাই এয়ার রুট বন্ধ। এই খবরের কোনও যৌক্তিকতা নেই। বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নানকানা সাহিবে ড্রোন হামলা এই খবরও মিথ্যা। গুরু নানকের জন্মস্থান এই গুরুদ্বারে কোনও হামলা হয়নি। পাকিস্তানের সাইবার হামলায় ভারতের পাওয়ার গ্রিড ধ্বংস। বিদ্যুৎ মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে, পাওয়ার গ্রিড পুরোপুরি সচল।

    ভুয়ো ভিডিও প্রমাণিত

    পিআইবি (PIB) জানিয়েছে একটি ভিডিওয় জলন্ধরে পাকিস্তানের ড্রোন অ্যাটাকের কথা বলা হচ্ছে।  কিন্তু পিআইবি এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে, এটি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কহীন। নিছক একটি ‘ফার্ম ফায়ার’ ভিডিও। আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দাবি করা হয়, পাকিস্তানি সেনারা ভারতের একটি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। পিআইবি এই ভিডিওটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়ো বলে জানিয়েছে। বস্তুত, ভারতীয় সেনায় ‘২০ রাজ ব্যাটেলিয়ন’ নামে কোনও ঘাঁটি বা ইউনিট নেই। ওই ভিডিওটি ভারতীয়দের আতঙ্কিত করার জন্য প্রচার করা হয় বলে জানিয়েছে পিআইবি। আর একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়, তাতে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের উপরে প্রতিশোধ নিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। পিআইবি এই ভিডিওটিকেও ভুয়ো বলে চিহ্নিত করেছে। জানানো হয়েছে, যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে তা আদপে বেইরুট, লেবাননে ২০২০ সালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফুটেজ। আবার এমনই একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ভারতীয় সেনা অম্বলা বিমানঘাঁটিকে হাতিয়ার করে অমৃতসর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারতীয় নাগরিকদের উপরেই হামলা চালিয়েছে! পিআইবি তথ্য যাচাই করে দেখেছে যে, ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই প্রচার করা হয়েছে।

    ভুয়ো তথ্য যাচাই করতে নির্দেশ

    ভারত-পাক যুদ্ধের (India Pakistan War) আবহে ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। তাদর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বেশ কয়েকটি ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে যা প্রতিটিই সম্পূর্ণ মিথ্যে। এই ভুয়ো ভিডিও, ভুয়ো তথ্যের শিকার হওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পিআইবি। মিডিয়া চ্যানেলগুলি কোনও কিছু যাচাই না করে যাতে কোনও তথ্য প্রচার না করে সেই ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার স্বার্থে তথা দেশের জন্য ভুয়ো তথ্য এবং অপপ্রচার ঠেকাতে হলে, কোনও ভিডিও বা ছবি যাচাই করার জন্য হোয়াট্‌সঅ্যাপ করুন ৮৭৯৯৭১১৫৯ এই নম্বরে। এ ছাড়া Socialmedia@pib.gov.in-এ ইমেল করা যাবে।

    মন্ত্রকের সতর্কবার্তা ও জনগণের প্রতি আহ্বান

    ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক নাগরিকদের উদ্দেশে সাইবার সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলেছে, “অনলাইনে সতর্ক থাকুন, গুজবের ফাঁদে পা দেবেন না। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।” পিআইবি জনগণকে অনুরোধ করেছে যে, তারা যেন শুধুমাত্র সরকারি ও বিশ্বস্ত সোর্স থেকে খবর গ্রহণ করে এবং যাচাই না করে কোনও তথ্য শেয়ার না করে। এমন ভুয়ো তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা ও জনসাধারণের মানসিক স্থিতি বিঘ্নিত করতে পারে।

  • India Pakistan War: আকাশপথে পাকিস্তানের ৬টি এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত বিরাট কৌশলগত জয় ভারতের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    India Pakistan War: আকাশপথে পাকিস্তানের ৬টি এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত বিরাট কৌশলগত জয় ভারতের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া ভারতের ২৬টি জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তান। মূলত, ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে হামলা চালায় পাকিস্তান (India Pakistan War)। শুক্রবার সন্ধে পেরিয়ে রাত গড়াতেই জম্মু-কাশ্মীর-সহ পঞ্জাব ও রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলা চালায় পাক সেনা। হামলা চালানো হয় জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে অবস্থিত এয়ার বেস সহ বিভিন্ন সামরিক পরিকাঠামোকে লক্ষ্য করে। তবে, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব হামলাকে প্রতিহত করে। পাশাপাশি, জনবসতি লক্ষ্য করেও ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। তাতে নিহত হন কাশ্মীরের এক শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা। আহত হয় বেশ কয়েক জন ভারতীয় নাগরিকও।

    শনিতে প্রত্যাঘাত ভারতের, স্বীকার পাকিস্তানের

    এর পরই, শনিবার ভোরে প্রত্যাঘাত করে ভারত। আকাশপথে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সামরিক পরিকাঠামো। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে, ৬টি পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একসঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (India Airstrike Pak Bases)। এই অভিযানের কথা ভারত সরকার জানিয়েছে। এদিন প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত পাকিস্তানের ঠিক কোন কোন সামরিক অবকাঠামোয় আঘাত হেনেছে (India Pakistan War)। এদিন সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া জানিয়েছেন— যুদ্ধবিমান থেকে আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রফিকি, মুরিদ, চাকলালা (নূর খান) এবং রহিম ইয়ার খানে স্থিত পাক এয়ারবেসে ভারত অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া, সুক্কুর ও চুনিয়ায় পাক বায়ুঘাঁটি, পসরুর রেডার স্টেশন এবং শিয়ালকোটের ঘাঁটিতেও প্রত্যাঘাত হানা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই অভিযান সংগঠিত করা হয়েছে। ভারতের এই প্রত্যাঘাতের (India Airstrike Pak Bases) কথা স্বীকার করে নেওয়া হয় পাকিস্তানের তরফেও। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ বিভাগ ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স বা আইএসপিআর-এর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ চৌধুরি তাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছেন, নূর খান, মুরিদ ও রফিকি পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে ভারত।

    পাকিস্তানের এয়ারবেসে ভারতের এই প্রত্যাঘাত (India Pakistan War) ভীষণই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা পাকিস্তানের কাছে বড় ধাক্কা। শুধু তাই নয়, এর অভিযানের ফলে পাকিস্তান আরও দিশেহারা হয়ে পড়বে। কারণ, ভারত যে জায়গাগুলিতে বেছে বেছে আক্রমণ শানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য সেগুলির সামরিক ও কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই এয়ারবেসগুলিতে কী হয়? কেন ভারতের এই সামরিক অভিযান এত তাৎপর্যবহ।

    চাকলালা বা নূর খান এয়ারবেস (Chaklala/Noor Khan)

    ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাকলালা বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও উচ্চ-সুরক্ষিত সামরিক পরিকাঠামোগুলির মধ্যে একটি। পাক বায়ুসেনার বিভিন্ন অভিযান থেকে ভিআইপি পরিবহণ— উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাঁটি। এটি ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধ সহ অতীতের ভারত-পাক সংঘাতগুলিতে (India Pakistan War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মাঝ-আকাশে যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরা এবং সামরিক পরিবহণ মিশনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই ঘাঁটিতে। একইসঙ্গে, এটি শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের ব্যবহৃত বিমান সহ পাঁচ থেকে ছয়টি শীর্ষ সামরিক পণ্যবাহী স্কোয়াড্রনের ঘাঁটিও। ভবিষ্যতের অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য এখানে পাক বায়ুসেনার কলেজও রয়েছে। চাকলালায় আক্রমণ (India Airstrike Pak Bases) করে ভারত ইঙ্গিত দিয়েছে যে, পাকিস্তানের সবচেয়ে সুরক্ষিত সম্পদও নাগালের বাইরে নয়।

    মুরিদ (Murid) এয়ারবেস, চাকওয়াল

    গত দুই দিন ধরে ভারতকে লক্ষ্য করে ড্রোন অভিযানের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পাকিস্তানের চকওয়াল জেলায় অবস্থিত মুরিদ বিমানঘাঁটি। এখানে পাক বায়ুসেনার একাধিক স্কোয়াড্রন রয়েছে, যারা ‘শাহপার-১’ এবং তুরস্কের ‘বায়রাক্তার টিবি২’-এর মতো উন্নত ইউএভি (নজরদারি ড্রোন) এবং ইউসিএভি (হামলাকারী ও আত্মঘাতী ড্রোন) পরিচালনা করে। পাকিস্তানের ড্রোন যুদ্ধ কর্মসূচিতে এই ঘাঁটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সহায়তা থেকে শুরু করে হামলা— সব কিছুই সংগঠিত হয় এই এয়ারবস থেকে। ভারতের ওপর শয়ে শয়ে ড্রোন হামলাগুলি এখান থেকেই সংগঠিত করেছে পাকিস্তান। ফলে, এখানে প্রত্যাঘাত করে (India Airstrike Pak Bases) ভারত কড়া জবাব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রফিকি (Rafiqui) এয়ারবেস, শারকোট

    ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের (India Pakistan War) নায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সরফরাজ আহমেদ রফিকির নামে নামকরণ করা এই ঘাঁটিতে জেএফ-১৭ এবং মিরাজ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন এবং ইউটিলিটি হেলিকপ্টার রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের উপর সাম্প্রতিক আক্রমণে ব্যবহৃত প্রধান জেটগুলির তালিকার মধ্যে একটি ছিল জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। মধ্য পাঞ্জাবে এই বায়ুঘাঁটির অবস্থানের ফলে পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় ফ্রন্টে দ্রুত যুদ্ধবিমন মোতায়েন করতে পারে পাক বায়ুসেনা এবং পরিকাঠামোর দিক দিয়েও এই ঘাঁটি পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে, এখানে প্রত্যাঘাত বিরাট সাফল্যের।

    রহিম ইয়ার খান (Rahim Yaar Khan) এয়ারবেস, দক্ষিণ পাঞ্জাব

    রহিম ইয়ার খান ঘাঁটি দক্ষিণ পাক-পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খান শহরের কাছে অবস্থিত একটি পাক বায়ুসেনার অন্যতম বড় সামরিক পরিকাঠামো। এটি শেখ জায়েদ বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এটি ভারতের রাজস্থানের দিকে মুখ করে গড়ে ওঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরোয়ার্ড অপারেটিং ঘাঁটি। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে, দক্ষিণ ও পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে দ্রুত বাহিনী মোতায়েনের এবং অভিযানের জন্য এই ঘাঁটির কৌশলগত মূল্য রয়েছে। পাকিস্তানের হামলার মুখ ভোঁতা করতে এখানে প্রত্যাঘাত প্রয়োজন ছিল।

    সুক্কুর (Sukkur) এয়ারবেস / পিএএফ ঘাঁটি ভোলারি

    সিন্ধুর প্রদেশের জামশোরো জেলায় করাচি এবং পাক-হায়দরাবাদের মাঝামাঝি অবস্থিত সুক্কুর বায়ুঘাঁটি। এটি ভোলারি বেস নামেও পরিচিত। পাক বায়ুসেনার এই ঘাঁটি দক্ষিণ বায়ুসেনা কমান্ডের অধীনে পড়ে। এটি নতুন পরিকাঠামো, সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে পাক বায়ুসেনার ১৮ এবং ১৯ স্কোয়াড্রন, যা যথাক্রমে জেএফ-১৭ এ/বি ব্লক-২ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করে। এছাড়া, অপারেশনাল কনভার্সন ইউনিট (ওসিইউ) এর ঘাঁটিও হল সুক্কুর। এখানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রত্যাঘাত (India Airstrike Pak Bases) করে পাকিস্তানকে জোর ধাক্কা দিয়েছে ভারত।

    চুনিয়ান (Chunian) এয়ারবেস

    চুনিয়ান বায়ুঘাঁটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রাথমিক অপারেশনাল ঘাঁটিগুলির মধ্যে একটি। পাঞ্জাবের চুনিয়ান শহরের কাছে অবস্থিত। এটি লাহোর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত (India Pakistan War)।

  • India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। তারা অনবরত আগ্রাসী ভূমিকা বজায় রাখছে। শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয়েছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান বারবার হামলার চেষ্টা করছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি তাদের নিশানায়। পাক সেনাদের গোলাবর্ষণ চলছে, যদিও হামলার চেষ্টা প্রতিহত করছে ভারতীয় সেনা। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

    সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল পাকিস্তান

    সব সীমা ছাড়াচ্ছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। লাগাতার গোলাবর্ষণ তো করছিলই, এবার সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল। ভারত সরকারের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর প্রথম এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান চার রাজ্যে মোট ২৬টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। যদিও ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলিক নিষ্ক্রিয় করেছে। ভারতও পাল্টা জবাবে ৪টি পাকিস্তানি এয়ারবেসে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া হামলা চালানো হয়েছে আরও ২ পাক এয়ারবেস, একটি সেনা বেস ও একটি রেডার স্টেশনে। পাকিস্তান সেনা সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোনো শুরু করতেই ভারতও তাদের সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

    সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত পাকিস্তানের

    এ দিন উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তানের সেনা এগোনোর সিদ্ধান্ত তাদের আক্রমণাত্বক অভিপ্রায়কেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্নেল সোফিয়া বলেন, ‘‘পাকিস্তান মিলিটারি সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোচ্ছে। দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা। পাকিস্তান সেনা সীমান্তের দিকে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তা নিছক প্রতিরক্ষা কৌশল নয়—এটি সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনও আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে।”  উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং-ও এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে জানান যে, পাকিস্তান তাদের বাহিনী সীমান্ত বরাবর এগিয়ে এনে ভারতের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত হানতে চাইছে। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের পরিচয় বহন করে।” তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী (India-Pakistan War) সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভারতের তিন বাহিনী।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি সাধন 

    জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ভারী গোলাবর্ষণ করে চলেছে। এই ধরনের গোলাবর্ষণ যুদ্ধে কোনও অগ্রগতি এনে দেয় না। সীমান্তবর্তী সামরিক চৌকিতে উচ্চক্ষমতার আর্টিলারি গান (কামান) বসিয়ে সীমান্তের অন্য দিকে একনাগাড়ে গোলাবর্ষণ করাই যায়। যে কোনও দেশই সেটা করতে পারে। কিন্তু তাতে সীমান্ত এগোবে বা পিছোবে না। শত্রুপক্ষও খতম হবে না।পাকিস্তানের সামরিক কর্তারা সে কথা ভালই জানেন। তবু অনবরত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের সামরিক বাহিনীর দুর্ভেদ্য বর্মে পাকিস্তান এত জোরে ধাক্কা খাচ্ছে যে, অপমান ভুলতে লোকালয়ে গোলা ছুড়ছে, এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। প্রেস বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল সারা রাত ধরে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ, ভাটিন্ডা সহ ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পাকিস্তান হাই স্পিড মিসাইল দিয়ে পাঞ্জাবের একটি এয়ারবেসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। ভারত সেই হামলাও প্রতিহত করেছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একটানা ড্রোন, যুদ্ধবিমান, এমনকী লং রেঞ্জ মিসাইল দিয়েও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

    একটানা ড্রোন হামলা পাকিস্তানের

    দেশের পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন হামলাও চালাচ্ছে পাকিস্তান। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অমৃতসরের খাসা ক্যান্টের উপর শত্রুপক্ষের একাধিক সশস্ত্র ড্রোন দেখা উড়তে দেখা যায়। যা প্রতিহত করে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বিদেশ মন্ত্রক, সেনার সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকে পাকিস্তান সেনাকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। এই দাবিগুলি ভুয়ো বলে জানান বিদেশসচিব। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, তা–ও মিথ্যা বলে জানান তিনি। মিস্রি বলেন, ‘কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    এই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে (India-Pakistan War) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে আলোচনা করছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক (India-Pakistan Conflict) থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা এবং রণসজ্জা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এই ধরণের আচরণ করে (India-Pakistan Conflict) আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে চাইছে। এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম ও সমঝোতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

LinkedIn
Share