Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Supreme Court: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষমদের (Differently Abled People) অমর্যাদা করা যাবে না কোনও দৃশ্যমাধ্যমে। সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিশেষভাবে সক্ষমদের বর্ণনা দিতে গিয়ে ‘পঙ্গু’, ‘বিকলাঙ্গ’ কিংবা ‘জড়বুদ্ধি’-র মতো শব্দও প্রয়োগ করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের যুক্তি, এই শব্দগুলির অবমাননাকর অর্থ রয়েছে সাধারণ সামাজিক ধ্যানধারণায়।

    “শব্দ প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে” (Supreme Court)

    এই নির্দেশ দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থাকে বলেছেন, এই ধরনের যে কোনও ছবি প্রদর্শনের আগে জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থার উচিত বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া। সোমবার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “শব্দ অনেক সময়ই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে পঙ্গু, বিকলাঙ্গের মতো কিছু শব্দকে আমাদের সমাজে অবমাননাকর বলে মনে করা হয়।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    একটি হিন্দি ছবিতে বিশেষভাবে সক্ষমদের চিত্রায়ণ নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ মালহোত্র নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাটিই সোমবার ওঠে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। মামলায় নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “দৃশ্যমাধ্যমগুলির উচিত বিশেষভাবে সক্ষমদের জীবনের জন্য বৈচিত্রময় বাস্তবগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। তাঁদের সমস্যা বা অসুবিধার কথা না বলে তাঁদের সাফল্য, মেধা এবং সমাজে অবদানের কথা দর্শকদের জানানো।” তিনি বলেন, “তাঁদের পৌরাণিক কাহিনির ওপর ভিত্তি করে আলোকপাত করা উচিত নয়। আবার সুপার পঙ্গু হিসেবেও উপস্থাপন করা উচিত নয়।”

    আর পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    প্রসঙ্গত, বিশেষভাবে সক্ষমদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে গত বছরই পদক্ষেপ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে খোলা হয়েছে ক্যাফে। এই ক্যাফেটি চালান বিশেষভাবে সক্ষমরা। ক্যাফেটির উদ্বোধন করেছিলেন চন্দ্রচূড় স্বয়ং। সুপ্রিম কোর্টের সামনের এই ক্যাফেটির নাম ‘মিট্টি ক্যাফে’। ক্যাফেটি চালাচ্ছেন দৃষ্টিহীন, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্তরা। উদ্বোধনের পর সবাইকে ক্যাফেটিতে আসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। উল্লেখ্য, দু’জন বিশেষভাবে সক্ষম (Differently Abled People) মেয়েকে দত্তক নিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি (Supreme Court)। বাবার কর্মস্থল দেখাতে তাঁদের একদিন নিয়েও এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohua Moitra: রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কু-মন্তব্য, মহুয়া মৈত্রর নামে দিল্লি পুলিশে এফআইআর

    Mohua Moitra: রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কু-মন্তব্য, মহুয়া মৈত্রর নামে দিল্লি পুলিশে এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ। ফৌজদারি নয়া দণ্ডবিধি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আইএফএসও-এর সাইবার ইউনিট মহুয়ার নামে এফআইআর করেছে।

    কেন এফআইআর

    উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে আহত মহিলাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রেখা। ভিডিয়োতে দেখা যায়, কোনও এক জন তাঁর মাথায় ছাতা ধরে রয়েছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কেন নিজের ছাতা নিজে ধরেননি, তা নিয়ে সরব হয়েছিল নেট-পাড়া। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেছেন, ‘ছাতা ধরবেন কী করে, উনি তো ওঁর প্রভুর পাজামা ধরেছিলেন’! এই মন্তব্যকে রেখা অশালীন এবং তাঁর পদের মর্যাদাহানিকর বলে নিন্দা করেন। জাতীয় মহিলা কমিশন মহুয়ার (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশে এফআইআর দায়ের করে। দিল্লি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান রেখা।

    আরও পড়ুন: বর্ষাকালে চোখে সংক্রমণ! জানুন কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি

    কোন ধারায় এফআইআর (Mohua Moitra)

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সেকশন ৭৯ অনুসারে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। এই ধারা অনুসারে, মহিলাদের মর্যাদাহানি করে এমন ধরনের শব্দ, ইঙ্গিত বা কাজ অপরাধমূলক হিসেবে গণ্য করা হবে এবং দোষীকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।  এর আগেও বহুবার নিজের বেলাগাম মন্তব্যের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছেন মহুয়া। রেখার বিরুদ্ধে তাঁর এই মন্তব্য অবাঞ্ছিত বলে মনে করছেন অন্য বিরোধী দলের কয়েক জন নেতা। তাঁদের মতে, অন্যভাবেও আক্রমণ করা যেত। সমালোচনা করারও কৌশল রয়েছে। কিন্তু রেখার মন্তব্য একটি মহিলার সম্মানে আঘাত করেছে। তাই কথা বলার আগে রেখার একটু ভেবে বলা উচিত বলেই মত বিরোধী শিবিরের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Rain: ৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিমি বৃষ্টি! বানভাসি মুম্বই, ময়দানে নামল এনডিআরএফ

    Mumbai Rain: ৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিমি বৃষ্টি! বানভাসি মুম্বই, ময়দানে নামল এনডিআরএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পর এবার বানভাসি অবস্থা মুম্বইয়ের। ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি (Mumbai Rain) হয়েছে বাণিজ্য নগরীতে। জলমগ্ন গোটা শহর। যানবাহন, ঘরবাড়ি ডুবেছে জলের তলায়। থমকে গিয়েছে ট্রেন। বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল, কলেজ। ব্যাহত হয় ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা।

    বানভাসি মুম্বই (Mumbai Rain)

    বৃষ্টি বিধ্বস্ত মুম্বইয়ের বহু ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। কোথাও হাঁটু সমান জল, আবার কোথাও কোমর সমান জল জমেছে বাণিজ্য নগরীতে। রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন মুম্বইবাসী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি মুম্বইয়ের লাইফ লাইন বলে পরিচিত লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ট্রেনের লাইন বৃষ্টির জেরে (Mumbai Rain) ডুবে গিয়েছে জলের তলায়। ওরলি, বানতারা ভবন, কুরলা ইস্ট কিং সার্কেল, দাদর, বিদ্যা বিহার স্টেশনের ট্র্যাক জলের নিচে। প্রতিদিন ৩০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন মুম্বইয়ে। কিন্তু ট্রেনের ট্র্যাক জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে রেল যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল দফতর।  

    ময়দানে এনডিআরএফ

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, রাত একটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার (Mumbai Rain) বৃষ্টি হয়েছে। মুম্বইয়ে পালঘর এবং ঠাণে এলাকায় বৃষ্টির জেরে কমলা সর্তকতা জারি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বীর সাভরকর মার্গ এবং এমসি এমসিআর এলাকায় ৩১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পর সকালবেলায় পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ময়দানে নামেন বিএমসির কর্মীরা। নর্দমা মুখ পরিষ্কার করা হয়। কিছু কিছু জায়গায় পাম্প ব্যবহার করে জল সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। মুম্বই পুলিশও যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখা যায়।

    বিএমসির তরফে জানানো হয়েছে, ঘণ্টা দুয়েকের জন্য (Mumbai Weather) বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে জল নামানো সম্ভব হত। কিন্তু নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবারও দিনভর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুম্বই জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চট করে জলমগ্ন মুম্বইয়ের চিত্র বদলে যাবে, তা এখনই আশা করা যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: পুরীর সমুদ্র সৈকতে প্রাতর্ভ্রমণে রাষ্ট্রপতি, প্রকৃতির মাঝে খুঁজে পেলেন শান্তি

    উল্লেখ্য রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়ক কুরলা স্টেশনের কাছে আটকে রয়েছেন। এদিন ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবাও বহুক্ষণ খারাপ আবহাওয়া ও দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায়র ফলে বাধিত ছিল। ৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঠাণের কাছে এনডিআরএফ-এর দল মোতায়েন করা হয়েছে।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আজ রাশিয়া যাচ্ছেন মোদি, ‘‘ওরা হিংসায় জ্বলছে’’, পশ্চিমকে কটাক্ষ ক্রেমলিনের

    PM Modi: আজ রাশিয়া যাচ্ছেন মোদি, ‘‘ওরা হিংসায় জ্বলছে’’, পশ্চিমকে কটাক্ষ ক্রেমলিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছর পর ফের রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, সোমবারই দুই দিনের সফরে মস্কো উড়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ জুলাই সেখান থেকে দেশে ফিরবেন তিনি। ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও সারবেন মোদি। 

    মোদি-পুতিন আলোচনা (PM Modi)

    ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবসায়িক সম্পর্ক সুমধুর। তেল, কয়লা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম, রাশিয়া থেকে আমদানি করে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে মস্কোয় দু’দেশের বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সম্ভবনা রয়েছে৷ এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ তিনি বলেন, “বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার মতো কিছু সমস্যা আছে৷ সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের একে অপরের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ।” বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে প্রতিরক্ষা সমঝোতার বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে মোদি-পুতিনের আলোচনায়।

    মোদির সফর প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (PM Modi)

    জয়শঙ্কর গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ায় তাঁর শেষ সফরের কথাও এক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি বলেন, “গত বছরের শেষের দিকে আমি মস্কো গিয়েছিলাম৷ সেই সময়ে, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি বার্তা নিয়ে গিয়েছিলাম যে আমরা বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷” তিনি আরও যোগ করেছেন, বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন একটি নিয়মিত ঘটনা ৷ ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী৷

    আরও পড়ুন: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব

    ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে মোদিকে (PM Modi) রাশিয়া যেতে দেখা যায়নি। সে দিক থেকে এই সফর খুবই উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আমেরিকার চোখরাঙানি থাকার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে কখনওই বন্ধুত্ব নষ্ট করতে চায়নি ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে সে ভাবে সরব হয়নি ভারত। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেনি দিল্লি। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই প্রথম রাশিয়া সফর মোদির৷ শেষবার ২০১৯ সালে রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর রুশ সফর নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকোভ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির এই সফর দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মস্কোয় মোদির অনুষ্ঠান সাড়া ফেলবে।’’

    মোদির সফর নিয়ে কী বলছে ক্রেমলিন

    এই আবহে মোদি-পুতিনের এই বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ক্রেমলিন। রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন প্রশাসনের এক মুখপাত্র দাবি করেন, পশ্চিমী দেশগুলি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর রুশ সফর নিয়ে ‘ঈর্ষান্বিত’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই মস্কো সফরকে তারা ‘ঈর্ষার চোখে দেখছে’। দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পূর্ণাঙ্গ সফরের প্রত্যাশা করছি। রুশ-ভারত সম্পর্কের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ওরা (পশ্চিমী দেশগুলি) হিংসায় জ্বলছে। ওরা খুব কড়াভাবে নজর রাখছে। এর অর্থ, এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে ওরা। ভুল কিছু করছে না। এটা অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়ার মতোই হতে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • President Murmu: পুরীর সমুদ্র সৈকতে প্রাতর্ভ্রমণে রাষ্ট্রপতি, প্রকৃতির মাঝে খুঁজে পেলেন শান্তি

    President Murmu: পুরীর সমুদ্র সৈকতে প্রাতর্ভ্রমণে রাষ্ট্রপতি, প্রকৃতির মাঝে খুঁজে পেলেন শান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu), বর্তমানে রথযাত্রা এবং অন্যান্য কর্মসূচির জন্য ওড়িশায় (Odisha) চার দিনের সফরে রয়েছেন। রবিবার তিনি সফরের মাঝেই গিয়েছিলেন পুরীর সমুদ্র সৈকতে। সেই ছবি তিনি একাধিক পোস্টের মাধ্যমে ভাগ করে নিলেন দেশবাসীর সঙ্গে। নিজের ব্যস্ত সময় থেকে একটু সময় বের করে তিনি পুরীর গোল্ডেন বিচে গিয়েছিলেন।

    সমুদ্রের ধারে শান্তি পেলেন রাষ্ট্রপতি (President Murmu)

    “কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলি আমাদের জীবনের খুব কাছাকাছি এবং আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা প্রকৃতির একটি অংশ। পাহাড়, নদী, জঙ্গল এবং সমুদ্র মনের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতির সঞ্চার করে। আমি সমুদ্রের ধারে যখন হাঁটছিলাম তখন এ কথা বারংবার মনে আসছিল।” ছবিগুলি শেয়ার করে সামাজিক মাধ্যম এক্সে হ্যান্ডেলে কথাগুলি লেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। আসলে রাষ্ট্রপতি (President Murmu) সমুদ্রের পাড়ে শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন। প্রভু জগন্নাথ দেবের দর্শন করে তাঁর একই অনুভূতি হয়েছিল বলে জানান।

    মানুষ প্রকৃতির অঙ্গ

    তিনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির যোগাযোগের কথা মনে করিয়ে দেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, “আসলে দৈনন্দিন জীবনে আমরা ভুলে যাই, যে আমরা প্রকৃতির একটি অংশ। ভূপৃষ্ঠের ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ মহাসাগর, এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রের স্তর ক্রমাগত বাড়ছে। এতে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণে সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই প্রকৃতির বুকে বসবাসকারী মানুষদের অনুসরণীয় ঐতিহ্য এ ক্ষেত্রে আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা সমুদ্রের বাতাস এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের ভাষা বুঝতে পারে। তাদের পূর্বপুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তাঁরা সমুদ্রকে দেবতা হিসাবে পূজা করে।”

    আরও পড়ুন: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu) আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি পরিবেশ সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের কাছে দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমত, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই দিকে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে এবং দ্বিতীয়ত, আমরা নাগরিক হিসাবে স্থানীয় পর্যায়েও ছোট পদক্ষেপ নিতে পারি। অবশ্যই, এই দুটি ধাপ একে অপরের পরিপূরক। আসুন আমরা অঙ্গীকার করি যে আমরা ব্যক্তি হিসেবে, স্থানীয় পর্যায়ে, নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য যা করতে পারি তা যেন করি। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এটি করতেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Congress: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    Congress: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের নিয়ে সম্প্রতি পার্লামেন্টে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, “হিন্দুরা কেবল হিংসার কথা বলেন, বলেন ঘৃণার কথা, মিথ্যেও বলেন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল হিন্দুদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা নতুন কিছু নয়, বরং এটা কংগ্রেসের ঐতিহ্যের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। রাহুলের এহেন মন্তব্যে নিঃসন্দেহে আঘাত পেয়েছেন এ দেশের সংখ্যাগুরু হিন্দুরা (Hindu Bashing)।

    রাহুলের বেফাঁস মন্তব্য (Congress)

    তবে তাতে রাহুল কিংবা কংগ্রেস, কারও কিস্যু যায় আসে না! রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে অভ্যস্ত কংগ্রেসের কাছে এই জাতীয় মন্তব্যই কাঙ্খিত। এর আগেও রাহুলকে হিন্দু ধর্ম নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তিনি শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন। ‘শক্তি’ বলতে হিন্দু ধর্মে আদ্যাশক্তিকে বোঝায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কংগ্রেসের জন্ম ব্রিটিশদের হাতে, আর বর্তমানে তাকে চালনা করছেন ইটালিয়ানরা। তাই তাঁরা যে হিন্দু-বিরোধী হবেন, তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে? এ প্রসঙ্গে (Congress) পণ্ডিত জওহর লাল নেহরুর মন্তব্যটি প্রনিধানযোগ্য। ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত লাহোর কংগ্রেসে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি হিন্দু হয়ে জন্মেছিলাম। কিন্তু আমি জানি না, আমার নিজেকে কতটা হিন্দু বলে দাবি করা ঠিক হবে।”

    প্রসঙ্গ যখন সোমনাথ মন্দির

    বিধর্মীদের হাতে ধ্বংস হয়েছিল সোমনাথ মন্দির। সেই মন্দির পুনর্গঠন করতে যখন রাজেন্দ্রপ্রসাদ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, কেএম মুন্সি, এনভি গ্যাডগিলের মতো নেতারা জোট বাঁধছেন, তখন তার বিরোধিতা করেছিলেন নেহরু স্বয়ং। এই মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ। তাঁকে যেতে নিষেধ করেছিলেন নেহরু। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই সোমনাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। কংগ্রেসের সেই ‘মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা’র মুখোশ আমরা দেখলাম এই ২০২৪ সালেও। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এই অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ পেয়ে যাননি কংগ্রেসের কেউ। অথচ এসেছিলেন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা।

    নেহরুর দ্বিচারিতা

    স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু। তিনি প্রথমবার নির্বাচিত হন ১৯৫২ সালে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তার পরের লোকসভা নির্বাচনেও। যদিও ১৯৫৮ সালেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এর অন্যতম প্রধান কারণ হিন্দুত্ব নিয়ে তাঁর দ্বিচারিতা। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম দফায়ই তিনি বিরোধিতা করেছিলেন প্রো-হিন্দু নেতাদের (Congress)। পাকিস্তানে থেকে যাওয়া হিন্দুদের কী হবে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি এবং কংগ্রেসের অন্য প্রো-হিন্দু নেতারা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন ১৯৫০ সালের নেহেরু-লিয়াকত দিল্লি চুক্তি নিয়েও। এই চুক্তিতেই বলা ছিল, দুই দেশই তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করবে। পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে যা অকল্পনীয় বলেই ধারণা হিন্দুত্ববাদী নেতাদের সিংহভাগেরই। ১৯৫০ সালে অকালে প্রয়াত হন শ্যামাপ্রসাদ। বস্তুত তার পরেই খোলা মাঠ পেয়ে যান নেহরু। এই হিন্দুত্ব নিয়ে নেহরুর সঙ্গে মতদ্বৈততার কারণে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। নেহরুর হিন্দু কোড বিলের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন প্রো-হিন্দু নেতারা।

    নেহরু ‘সাম্প্রদায়িক’!

    পার্লামেন্টে তো নেহরুকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে দেগে দিয়েছিলেন জেবি কৃপালনী। সংবিধান রচয়িতা আম্বেডকর বলেছিলেন, যে দেশে যে ধর্মের প্রধান্য সেই ধর্মের লোকজন চলে যান সেই দেশে। এটাই স্থায়ী সমাধান। (সেই সূত্রে মেনেই বোধহয়) গিয়েছিলেন পূর্ব ভারতের দলিত নেতা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। পাকিস্তানে গিয়ে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তবে তিক্ত অভিজ্ঞতার জেরে আবারও ফিরে আসেন ভারতে। আম্বেডকর এবং মুখার্জি দুজনেই খোলাখুলি নেহরুর হিন্দু-বিরোধী অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। যার জেরে ১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন ইন্দিরা গান্ধীর বাবা জওহর লাল। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, মেকি-ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে নেহরু আসলে চিরকাল করে গিয়েছেন তুষ্টিকরণের রাজনীতি। নেহরু সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সীতারাম গোয়েল বলেছিলেন, “পণ্ডিত জওহর লাল নেহরু একজন গর্বিত বাদামি সাহেব। নেহরুর ফর্মুলা হল, প্রতিটি পরিস্থিতিতে হিন্দুদের দোষী করা উচিত, সে তাঁরা প্রকৃত দোষী হোন বা না হোন।”

    আর পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    বিলম্বিত বোধদয়

    নেহরুর সেই ধারা আজও বহমান কংগ্রেসে। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে দিনের পর দিন তারা দোষারোপ করে চলেছে হিন্দুদের। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল সংসদে রাহুল গান্ধীর হিন্দু বিরোধী মন্তব্য। রাহুলের আগে প্রো-মুসলিম মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও। তিনি বলেছিলেন, “এই দেশের সম্পদের ওপর সবার আগে অধিকার মুসলমানদের।” মৃত্যুর আগে বোধহয় চৈতন্যোদয় হয়েছিল (Hindu Bashing) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেহরুর। ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকদের। যে জনসংঘকে ১৯৪৮ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নেহরু, সেই জনসংঘকেই ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পর নেহরু বলেছিলেন, “জনসংঘ দেশপ্রেমিক একটি দল।”

    একেই বোধহয় বলে বিলম্বিত বোধদয় (Congress)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NEET UG 2024: নিট-ইউজির কাউন্সেলিং কবে শুরু জানেন?

    NEET UG 2024: নিট-ইউজির কাউন্সেলিং কবে শুরু জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট-ইউজির (NEET UG 2024) কাউন্সেলিং কবে হবে, তা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে। তবে এই কাউন্সেলিং (Counselling) কবে হবে জানানো হবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কটি আসন রয়েছে, তা জানানোর পর। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তারা এই ঘোষণা করবে। শনিবার এ খবর জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রথমে ঠিক ছিল, নিট ইউজি (NEET UG 2024) ২০২৪ সালের কাউন্সেলিং হবে ৬ জুলাই। সেটাই আপাতত স্থগিত হয়ে গিয়েছে। কতগুলি আসন রয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন তা জানালে তবেই শুরু হবে কাউন্সেলিং।

    নিট ইউজি পরীক্ষা (NEET UG 2024)

    নিট ইউজি পরীক্ষা নিয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। দেশের সব ধরনের বড় পরীক্ষাই নেয় এরা। তবে চলতি বছর এই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগও। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন। লিখিত পরীক্ষা নেয় এরাই। আর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার। শুক্রবার এই মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিট-ইউজি-র কাউন্সেলিংয়ের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এটি পিছিয়ে যাচ্ছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, সেটি ভুল।’

    আর পড়ুন: কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল রোবট!

    কী বলা হয়েছে বিবৃতিতে?

    এই বিবৃতিতেই আরও বলা হয়েছে, ‘মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটির অধীনে থাকা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেল্থ সার্ভিসের তরফে এখনও নিট ইউজি এবং পিজি ২০২৪ সালের কাউন্সেলিং সিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। নিট পিজি ২০২৪ পরীক্ষা জুন থেকে পিছিয়ে নিয়ে গিয়ে করা হয়েছে অগাস্টে।’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এমসিসি তাদের ওয়েবসাইটে নিট ইউজি এবং পিজির কাউন্সেলিংয়ের সিডিউল ঘোষণা করবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কতগুলি আসন রয়েছে তা জানাবে এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া (Counselling) সম্পূর্ণ হওয়ার পর এই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে (NEET UG 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hindus Under Attack: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    Hindus Under Attack: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে কি হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’ শুরু হয়ে গেল? গত এক সপ্তাহে ভারত (India) এবং বহির্ভারতে হিন্দুদের (Hindus Under Attack) ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উঠছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এই প্রশ্ন। কখনও জোর করে ধর্মান্তকরণ, কখনও আবার বেছে বেছে হিন্দুদের খুন-মারধর, কখনও আবার হিন্দুদের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, মন্দিরে ভাঙচুর, ঘৃণা ভাষণ এবং যৌন হিংসার ঘটনা শুরু হতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হিন্দু ধর্মের ওপর ফের নেমে এল অত্যাচারীদের খড়্গ-কৃপাণ? এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ৩০ জুন থেকে ৬ জুলাই- এই এক সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহ।

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ (Hindus Under Attack)

    মহারাষ্ট্রের ঠানেতে এক হিন্দু মহিলাকে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে এক মুসলমানের বিরুদ্ধে। আফসানা পারভিন এই মিথ্যে পরিচয়ে দিল্লির এক তরুণকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের সিএসআই ইমানুয়েল চার্চে রবিবারের প্রার্থনাসভায় হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে প্রিন্স কেলভিনের বিরুদ্ধে। প্রার্থনাসভাটি পরিচালনা করছিলেন তিনিই (Hindus Under Attack)। অসমের গুয়াহাটিতে এক কুখ্যাত যুবকের প্রেম-প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় অপহরণ করা হয় এক আইনের ছাত্রীকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আশরাফ জামান নামে এক যুবককে।

    তালিকায় হরিয়ানা, রাজস্থান…

    হরিয়ানার ফরিদাবাদে জনতা কলোনি এলাকার এক কালী মন্দিরের সামনে নিদারুণভাবে নির্যাতন করা হয় মন্দিরের পুরোহিত রবি কাশ্যপকে। জখম অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। রাজস্থানের মহাত্মা গান্ধী পার্ক এলাকায় কর্মসূচি পালন করছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা। অদূরেই ক্রিকেট খেলছিল কয়েকজন মুসলমান ছেলে। স্বয়ংসেবকদের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে ৬ জন ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে।

    আর পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে দুই মুসলিম যুবক তানিম এবং ফৈজান হিন্দুদের কয়েকটি দোকানে ঢুকে পড়ে মারধর করে দোকানদার ও তাঁদের কর্মীদের। কর্ণাটকের কালাবুর্গি এলাকায় ভীমশঙ্কর দাশারা নামে এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন মুসলমান যুবক। পাঞ্জাবে শিবসেনা প্রধান সন্দীপ থাপারের ওপর কয়েকজন শিখ তরোয়াল নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে এক মুসলমান ফল বিক্রেতা পাথরের আঘাতে একটি চোখ নষ্ট করে দেয় নিতু সিং নামে একজনের। কেবল ভারত নয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও এই জাতীয় ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে (India) বলে অভিযোগ।

    সনাতনীদের ওপর এহেন আক্রমণ কেন (Hindus Under Attack)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Brain Eating Amoeba: ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ বাড়ছে কেরলে, দুই মাসে মৃত ৩

    Brain Eating Amoeba: ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ বাড়ছে কেরলে, দুই মাসে মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুর বা নদীতে নেমে স্নান, এরপরেই শুরু হচ্ছে সংক্রমণ। শেষ পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু! কেরলে (Kerala) দিন দিন বাড়ছে ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba)। গত ৪ জুলাই ১৪ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর কারণও ছিল ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ। এখন আরও এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই বিরল সংক্রমণ বাড়ছে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আক্রান্তদের প্রাথমিকভাবে দেওয়া হয়, অ্যামফোটেরিসিন বি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ফ্লুকোনাজোল, রিফাম্পিন, মিল্টেফোসিন, ডেক্সামেথাসোন এই জাতীয় ওষুধ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba) বেশি হয়ে গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা খুব কমে আসে।

    মে মাস থেকে কেরলে আক্রান্ত  ৪, তারমধ্যে মৃত ৩ (Brain Eating Amoeba)

    জানা গিয়েছে, গত মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৪জন এমন রোগে আক্রান্ত হয়েছে কেরলে (Kerala)। তাদের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীর বয়সই ছিল ১৮ বছরের কম। বর্তমানে আরও এক ১৪ বছরের কিশোর সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু কেন আচমকা এই বিরল রোগের প্রকোপ বাড়ছে রাজ্যে তা বুঝে উঠতে পারছে না অনেকেই। তবে চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা, দূষিত জল থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

    দূষিত জলে থাকে এই অ্যামিবা (Brain Eating Amoeba) 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত দূষিত জলে থাকে এই অ্যামিবা। দেশের একাধিক নদী, পুকুরের জলে এই ধরনের অ্যামিবার খোঁজও মিলেছে। চিকিৎসকরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, কোনও জায়গায় স্নান করতে নামার আগে সতর্ক হতেই হবে। স্নানের সময়ই অজান্তে অ্যামিবা মানবশরীরে প্রবেশ করে। নাক বা কানের ফুটো দিয়ে প্রবেশ করে অ্যামিবা। তারপর তা সোজা মস্তিষ্কে গিয়ে ব্রেনের অংশ খেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, অ্যামিবা হল এককোষী প্রাণী। বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যামিবা হল থার্মোফিলিক। উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলেই প্রাণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যায় অ্যামিবাকে (Brain Eating Amoeba)। ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাল থাকে এই অ্যামিবারা। সে জন্য হট ওয়াটার লেকে এদের দেখা মেলে অনেক বেশি।

    কেরলের পুকুর জলাশয়গুলি পরিষ্কারের কাজ চলছে

    পরিস্থিতি এতটাই ভয়ের যে গত শুক্রবার এ নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সূত্রের খবর ওই বৈঠকের পরেই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে সমস্ত জায়গার পুকুর বা নদীর জল পরিষ্কার নয় সেখানে স্নান করা যাবেনা। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিধি নিষেধ না মানলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পুকুর বা জলাশয়গুলিকে দ্রুত পরিষ্কার করার কথাও বলা হয়েছে ওই বৈঠকে। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সুইমিং পুলের জলের দিকেও পর্যাপ্ত নজর দিতে বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বীর যোগেন্দ্র সিং যাদবকে চেনেন?

    Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বীর যোগেন্দ্র সিং যাদবকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগর থেকে কার্গিল এবং তার বাইরে ভ্রমণ করার সময় অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হল দ্রাস। এখানে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাঁদিকে দেখা যায় একটি উঁচু পাহাড়। এটাই টাইগার হিল। ২৫ বছর আগে কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) সময়, এই পর্বত এবং তার চারপাশে মাইলের পর মাইল বিস্তীর্ণ এলাকা তখন পরিণত হয়েছিল রণাঙ্গনে। এই কার্গিল যুদ্ধেরই অন্যতম নায়ক যোগেন্দ্র সিং যাদব। আসুন, জেনে নিই তাঁর টাইগার হিল জয়ের কাহিনি। 

    কার্গিল যুদ্ধ কেন প্রয়োজন ছিল? (Kargil War)

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য টাইগার হিল দখল করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এটি শ্রীনগর-কারগিল-লে লাদাখ মহাসড়কের জন্য সংযোগকারী একটি স্থান। এই রাস্তায় যানচলাচল, ওপর থেকে বোমাবর্ষণ এবং শত্রুদের ওপর নজর রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল টাইগার হিল। তখনকার লে-লাদাখের জন্য এই সড়ক একপ্রকার লাইফলাইন ছিল। কিন্তু তা পাকিস্তান জোর করে দখল করে নিয়েছিল। এই জায়গা ভারতের কাছে ফিরে পাওয়া ছিল একটি কঠিন কাজ। তাই ১৮ জনের একটি বাহিনীর ইউনিটকে এখানে বিশেষ অভিযানে পাঠানো হয়েছিল। ৩ জুলাই,, ১৯৯৯ সালে এই অপারেশন (Kargil War) শুরু হয়েছিল। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যোগেন্দ্র সিং যাদব।

    টাইগার হিল দখল ছিল মূল লক্ষ্য

    যাদবের অবদানের কথা মাথায় রেখে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান পরমবীর চক্র দেওয়া হয়েছিল। পুরস্কার দেওয়ার সময় ভুল করে বলা হয়েছিল, যোগেন্দ্রকে মরণোত্তর পরমবীর চক্র সম্মান দেওয়া হচ্ছে। সকলে তাই তাঁকে মৃত বলেই মনে করেছিলেন। পরে ভ্রম সংশোধন করা হয়। গুরুতর আঘাত পাওয়ায় একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদের জন্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। গ্রেনেডিয়ার যোগেন্দ্র ১৯৯৯ সালের ৩-৪ জুলাই রাতে টাইগার হিল দখলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল প্লাটুনের নেতৃত্বে ছিলেন। পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছানোর পথটি ছিল খাড়া, তুষারাবৃত, পাথুরে। গ্রেনেডিয়ার যোগেন্দ্র ঝুঁকি রয়েছে জেনেও পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বেই ওপরে ওঠার চেষ্টা করে বাহিনী। তাঁদের গতি রুদ্ধ করতে শত্রুরা (Kargil War) স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড, রকেট ও আর্টিলারি ফায়ার করে। শহিদ হন এক কমান্ডার সহ মোট তিনজন। এরপর প্লাটুনটি সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।

    পরমবীরচক্রের সর্বকনিষ্ঠ প্রাপক 

    পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে, গ্রেনাডিয়ার যাদব শত্রুদের মোকাবিলা করতে শত্রুরা যেখানে অবস্থান করছে, সেখান পর্যন্ত হামাগুড়ি দিয়ে ওপরে উঠেছিলেন। সেই সময়ই পান একাধিক আঘাত। শত্রুপক্ষ পাথর বর্ষণ করছিল ওপর থেকে। এমতাবস্থায় বন্দুক দিয়ে ক্রমাগত গুলি চালিয়ে চার শত্রু সৈন্যকে বধ করেছিলেন যোগেন্দ্র। একাধিক আঘাত সত্ত্বেও, রণক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তাঁর অসম সাহস এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্যই টাইগার হিল দখল মুক্ত (Kargil War) হয়েছিল। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাহস, অদম্য বীরত্ব, দৃঢ়তা এবং সংকল্পের প্রতি নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। যোগেন্দ্র এখনও পর্যন্ত পরমবীর চক্রের সর্বকনিষ্ঠ প্রাপক। তিনি যখন এই পুরস্কার পেয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯।

    যোগেন্দ্রের বাবাও সেনাকর্মী ছিলেন

    ২০২০ সালে, অমিতাভ বচ্চন কৌন বনেগা ক্রোড়পতির একটি বিশেষ শো হোস্ট করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যাদবকে। যাদব ওই শো-য়ে ২৫ লক্ষ টাকা জয়ী হয়েছিলেন। সেই অর্থ তিনি দান করেছিলেন সেনা কল্যাণ তহবিলে। কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) ঘটনা নিয়ে বলিউডে কয়েকটি সিনেমাও তৈরি হয়েছে। যাদবের জন্ম ১০ মে, ১৯৮০ সাল। উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর জেলার ঔরঙ্গাবাদের আহির এলাকায় তাঁর গ্রামের বাড়ি। তাঁর বাবা করণ সিং যাদব কাজ করেছিলেন কুমায়ুন রেজিমেন্টে। অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে গুলির লড়াই, খতম ৪ জঙ্গি, শহিদ ২ জওয়ান

    ৬০ ফুট উপরে উঠে যুদ্ধ করেছিলেন

    টাইগার হিলে তিনটি শত্রু বাঙ্কার দখলমুক্ত (Kargil War) করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যাদবের ইউনিট ১৮ গ্রেনেডিয়ারকে। এই বাঙ্কারগুলি ছিল ১০০০ ফুট (৩০০ মিটার) খাড়া পাহাড়ের ওপরে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যাদব। তিনিই প্রথম চড়েছিলেন খাড়া পাহাড়ে। দড়ি ফেলে উঠতে সাহায্য করেছিলেন সতীর্থদের। ওপরে ওঠা এবং শত্রু দমনে দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন যোগেন্দ্র। যুদ্ধের তাঁর কুঁচকি এবং কাঁধে একাধিক গুলি লাগে। সেই অবস্থায়ও পিছু না হটে পাহাড়ের ৬০ ফুট (১৮ মিটার) ওপরে উঠে শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। বাঙ্কারগুলি দখল করলে, হার স্বীকার করে পাক সেনা। ১২-১৩ জুন, ১৯৯৯ সালে টোলোলিং দখল করার পর টাইগার হিলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে শ্রীনগর-কারগিল সড়ককে আয়ত্তে আনে ভারতীয় সেনা। যোগেন্দ্রদের অদম্য সাহস এবং বীরত্বের কারণে ভারতীয় সেনা কার্গিল জয় করে। টাইগার হিলের দখল পায়। এই বছর, কার্গিল জয়ের ২৫ বছর পূর্তি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share