Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে। দেশটি অচিরেই পাঁচভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।” শুক্রবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রবীণ প্রচারক ইন্দ্রেশ কুমার। পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ (RSS)

    ইন্দোরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ‘জিএএফসিওএন-এবিসিআই নর্থ ইন্ডিয়া লিডারস কনফারেন্স’-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “আমরা জানি না পাকিস্তানের কী হবে। কিন্তু মানুষ বলছে এই দেশ পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।” ইন্দ্রেশ কুমার ব্যাখ্যা করেন, ‘কিছু লোক মনে করে পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের শিকার। তারা এও মনে করে যেহেতু দেশটি ইতিমধ্যেই ৮০ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে, তাই এর অস্তিত্বের সময় হয়তো শেষের পথে। কারণ প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুই এক সময় বিলুপ্ত হয় (RSS)।’

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারত সনাতন সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা দেশ যার কোনও নির্দিষ্ট জন্মতারিখ নেই। সেখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে নতুন রাষ্ট্র।” তিনি বলেন, “এই সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের যে নয়া রাষ্ট্রস্বত্ত্বা তার সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না।”

    অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমে প্রবীণ এই আরএসএস নেতা বলেন, “পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি উঠছে। সিন্ধু, বালুচিস্তান, পশতু অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের মতো এলাকাগুলো আলাদা হতে চাইছে। আর পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।” তাঁর মতে, এসব আন্দোলন পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনি দেশবাসীকে জাতপাত, দলীয় রাজনীতি, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও ভাষাভিত্তিক বিভাজন অতিক্রম করে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার আহ্বানও জানান। বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যের পার্থক্য ভুলে একত্রিতভাবে সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে হবে এবং পাকিস্তানকে শক্ত বার্তা দিতে হবে।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে জঙ্গি পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ গোটা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। এটি আদতে (Operation Sindoor) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স মনোভাবেরই প্রতিফলন (RSS)।

  • India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুতে (Jammu) জারি হল রেড অ্যালার্ট৷ শনিবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকেই জম্মুতে লাগাতার শেলিং শুরু করে পাকিস্তান (India Pakistan War) ৷ পাক হামলায় এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই, তিনজন আহত৷ গতকাল রাত থেকে জম্মু থেকে শুরু করে শ্রীনগর, এদিকে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে রাজস্থানের একাধিক এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েছে পাকিস্তান৷ জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার চলছে গোলাবর্ষণ ৷ তবে পাকিস্তানের হামলা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে ভারত। শনিবার সকালে জম্মুর শম্ভু মন্দিরে পাকিস্তানের গোলা এসে পড়েছে। মন্দির চত্বরে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।

    মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ

    উত্তর পশ্চিম সীমান্তে টানা গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ জম্মুর আপ শম্ভু মন্দিরের কাছে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সেই ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কাছে থাকা একটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলিরও ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে আপ শম্ভু মন্দিরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাকিস্তানের হামলায় রজৌরিতে সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের ছোড়া একটি গোলা গিয়ে পড়ে। তিনি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

    জম্মুতে লাগাতার হামলা পাকিস্তানের

    জম্মু (Jammu) উধমপুরে শোনা যাচ্ছে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ। শহরের মধ্যে আকাশ ঢেকে যাচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে। জম্মু, পাঠানকোট, শ্রীনগর, উধমপুর লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করছে পাকিস্তান। প্রায় প্রতি ২ মিনিট অন্তর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। জম্মুর পাশাপাশি ভারতের পশ্চিম সীমান্তে লাগাতার ড্রোন দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান (India Pakistan War)। সাধারণ নাগরিকদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চলছে। সেনা প্রতিহত করছে। পাল্টা জবাবও দেওয়া হচ্ছে, বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। শ্রীনগর, জম্মু, রজৌরিতে শোনা যাচ্ছে পর পর বিস্ফোরণের আওয়াজ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডির কাছে তিনটি এয়ারবেসে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির নুর খান, সিন্ধ প্রদেশের সুক্কুর, চাকওয়ালের মুরিদ এয়ারবেস ক্ষতিগ্রস্ত। পাকিস্তানের আকাশে আপাতত সমস্ত রকম বিমানের উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে। হরিয়ানার সিরসার আকাশে পাক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, উধমপুরে বায়ুসেনা চিকিৎসা কেন্দ্র ও স্কুলকে নিশানা করেছে পাকিস্তান। বারবার সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সেনা সূত্রে খবর, অন্তত ২৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা হয়েছে। দ্রুত জবাব দিয়েছে ভারত।

  • BSF: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে বিএসএফ, বাড়বে ১৭০০০ জওয়ান

    BSF: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে বিএসএফ, বাড়বে ১৭০০০ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের (Indo Pak War) আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ (BSF)। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ১৭০০০ জওয়ান বাড়তে চলেছে সব মিলিয়ে। একইসঙ্গে দুটি নতুন ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার বা অপারেশনাল কমান্ড সেন্টারও তৈরি হচ্ছে। নতুন দুটি ফিল্ড হেডকোয়ার্টার গড়ে উঠবে দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডে, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। জম্মু ও পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে জম্মুতে একটি সেক্টর তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তে আরও ভালো নজরদারির জন্য দ্বিতীয় সেক্টরটি (BSF) মিজোরামে তৈরি হবে।

    অপেক্ষা কেন্দ্রের চূড়ান্ত অনুমোদনের

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১৬টি নতুন ব্যাটেলিয়নের অনুমতি মিলেছে, আপাতত অপেক্ষা শুধু কেন্দ্রের চূড়ান্ত সম্মতির। আরও জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর ধাপে ধাপে এভাবেই বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হবে, খবর বিএসএফ সূত্রে। এই নতুন ব্যাটেলিয়নগুলি বিএসএফ-কে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেওয়ার কাজে সহায়তা করবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ছাড়পত্র মিললেই এর কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডের সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ-এর ১৯৩টি ব্যাটেলিয়ন

    একদিকে, পাকিস্তানের (Indo Pak War) সঙ্গে যুদ্ধের আবহ তো রয়েছে পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও বাড়ছে অনুপ্রবেশ। ২০২৪ সালে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ খুবই বেড়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি মডিউলগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বিএসএফে বাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডের সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ-এর ১৯৩টি ব্যাটেলিয়ন। এক একটি ব্যাটেলিয়নে থাকে ১০০০ জনেরও বেশি আধাসেনা। এরপর ১৬টি নতুন ব্যাটেলিয়ন (BSF) পাওয়া গেলে আধাসেনার সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজারের কাছাকাছি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আগামী ১৪ মে পর্যন্ত দেশের ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাক সীমান্তবর্তী উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিমানবন্দর গুলিতে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। ১৫ মে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ফের এখানে পরিষেবা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘোষিত এই সিদ্ধান্তটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অশান্তির আবহে নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।

    কোন কোন বিমানবন্দরকে নির্দেশ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) এবং সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ বিমানকর্মীদের (NOTAMs) জন্য একাধিক নোটিস জারি করেছে। যে ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে অমৃতসর, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, লুধিয়ানা, ভুন্টার, কিষেণগড়, পাটিয়ালা, সিমলা, কাংড়া-গগ্গল, ভাটিণ্ডা, জৈসলমের, জোধপুর, বিকানের, হলওয়ারা, পঠানকোট, জম্মু, লেহ্‌, মুন্দ্রা, জামনগর, হিরাসর, পোরবন্দর, কেশোড়, কান্দলা, ভূজ। ইতিমধ্যে এই ৩২টি বিমানবন্দরে ওঠানামা করার কথা ছিল যে সব বিমানের, সেগুলি বেশির ভাগই বাতিল করে দিয়েছে সংস্থাগুলি। এয়ার ইন্ডিয়া জম্মু, শ্রীনগর, লেহ্‌, জোধপুর, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, ভূজ, রামনগর, রাজকোটে যাতায়াতকারী তাদের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে। যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সংস্থা। বিমান সংস্থা ইন্ডিগোও বেশ কিছু বিমান বাতিল করেছে।

    কেন বন্ধ বিমান চলাচল

    অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। যার বেশিরভাগই মাঝ আকাশে নষ্ট করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই অবস্থায় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ১৪ মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

    কলকাতা বিমানবন্দরে জারি হাই অ্যালার্ট

    ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ আবহে কলকাতা বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের সমস্ত কর্মীদের ছুটি। যারা ছুটিতে ছিলেন, তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে অ্যারাইভাল, ডিপারচারে কোন গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের উড়ানের ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেড় ঘণ্টা আগেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

  • Indus Waters Treaty: বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা শুধু সাহায্যকারী হিসাবে, সিন্ধু চুক্তি নিয়ে বললেন অজয় বঙ্গা

    Indus Waters Treaty: বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা শুধু সাহায্যকারী হিসাবে, সিন্ধু চুক্তি নিয়ে বললেন অজয় বঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিত করা নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে একাধিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। এই আবহে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank President) প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গা। অত্যন্ত নির্দিষ্টভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গার মতে, ‘‘সাহায্যকারীর বাইরে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। মিডিয়াতে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে কীভাবে বিশ্বব্যাঙ্ক এনিয়ে পদক্ষেপ নেবে ও এই সমস্যাটা ঠিকঠাক করবে। কিন্তু এগুলি সব বাজে কথা। বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা কেবলমাত্র একজন সাহায্যকারী হিসাবে।’’

    পহেলগাঁও হামলার পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে ভারত

    এইভাবেই কার্যত নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল বিশ্বব্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হানার পরেই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করে ভারত। তারমধ্যে অন্যতম ছিল সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের ((Indus Waters Treaty) ) মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দুই দেশ ছাড়াও অতিরিক্ত স্বাক্ষরকারী ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রুর জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী – চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলামের জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল (Indus Waters Treaty)। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে একে অপরের নদী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু, জলসেচ ইত্যাদি কাজে।

    বৃহস্পতিবারই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এই সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন

    প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবারই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এই সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে কিছু ইস্যু আমি বলতে চাই। কিছু ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে এই ইস্যু সম্পর্কে। আসল বিষয়টি হল পরিস্থিতির মূলগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে যার জেরে সিন্ধু জলচুক্তিটা (Indus Waters Treaty) আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।’’

  • Vikram Misri: ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান’’, বললেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    Vikram Misri: ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান’’, বললেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিকালেই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। সেখানেই পাকিস্তানের তৈরি করা ভুয়ো খবর নিয়ে হাটে হাড়ি ভাঙলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। এদিন তিনি বলেন, ‘‘কোণঠাসা হয়ে গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান (India Pakistan War)।’’

    কী বললেন বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)?

    তিনি (Vikram Misri) আরও বলেন, ‘‘গত রাতে পাকিস্তান যে হামলা চালিয়েছে, সেই সম্পর্কে দেশের জনগণ জ্ঞাত। ভারতীয় সেনাও তাদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে। তবে পাকিস্তান বারংবার দাবি করেছে, ওরা কোনও ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ চালায়নি। উল্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দিকে অভিযোগ তুলে বলেছে, আমরা নাকি অমৃতসরের নানা জায়গায় হামলা চালিয়ে, ওদের দিকে দোষ ঠেলছি। কিন্তু গোটাটাই ভুয়ো। কাশ্মীরের পুঞ্জের একটি গুরুদ্বারে এই সময় হামলা চালায় পাকিস্তান। যার জেরে ওই ধর্মীয় স্থানের এক প্রধানের মৃত্য়ু হয়।’’ ভারতের বিদেশ সচিব আরও বলেন, ‘‘শুধুই পুঞ্চ নয়। ভারতের একাধিক এলাকাতেও হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। এমনকি, ওরা কোণঠাসা হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আরও একটি ভুয়ো অভিযোগ করে। পাকিস্তানের দাবি, ভারত নাকি তাদের দেশের অন্দরে থাকা গুরুদ্বারে হামলা চালিয়েছে। আসলে ওরা গোটা ব্যাপারটাকে একটা সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ দিতে চাইছে।’’

    ৩৬ জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলারও চেষ্টা করে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি ছাড়াও হাজির ছিলেন সেনার দুই মহিলা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। কর্নেল কুরেশি বলেন, ‘‘রাত আটটা থেকে ৯টার মধ্যেই সবথেকে বেশি হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। পশ্চিমী সেনা ঘাঁটিগুলিতে সবথেকে বেশি হামলার চেষ্টা। বারবার বায়ুসীমা পার করার চেষ্টা করে পাক বায়ু সেনা। ৩৬ জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলারও চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সমস্ত ড্রোনকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে সমর্থ হয় ভারতীয় সেনা।’’

  • India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার স্ট্রাইকের পাশাপাশি পাকিস্তানে ‘ওয়াটার স্ট্রাইক’ (India-Pakistan War)। খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে। ভারতের দিকে কুনজর দিলে, কী পরিণতি হতে পারে, তা জল-স্থল-আকাশপথে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের মিশাইল হানায় লন্ডভন্ড পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। এবার ভসে যেতে পারে চন্দ্রভাগার তীরবর্তী পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা।

    বন্যার আশঙ্কা শিয়ালকোটে

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবেই প্রথমে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত সরকার। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিন্ধু ও উপনদী চন্দ্রভাগা, ঝিলমের জল। পাকিস্তানের রাতারাতি শুকিয়ে মরার মতো অবস্থা হয়, কারণ এই নদীগুলির উপরই নির্ভরশীল পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ। এবার খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। রামবানসহ জম্মু-কাশ্মীরের অনেক স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে কয়েকদিন ধরে । পাশাপাশি রামবানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধ্বসের ঘটনাও ঘটেছে। এর ফলে জলের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাই বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। রামবানে সালাল বাঁধের চারটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল এই লকগেট। সেই লকগেটগুলো খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকগুন বেড়ে যায় চন্দ্রভাগার জল। যেকোনও মুহূর্তেই ভেসে যেতে পারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট। এই আশঙ্কায় সেখানকার শয়ে শয়ে মানুষ নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।

    চন্দ্রভাগা নদীতে বেড়েছে জলস্রোত

    দুই দিন আগে, চেনাব বা চন্দ্রভাগার বাগলিহার বাঁধ আটকে জলের মর্ম বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারত। কয়েক ঘণ্টা জল আটকে দেওয়ায় শুকিয়ে মরার আতঙ্কে হাহাকার করে উঠেছিল পাকিস্তান। সেদেশের কৃষি-শিল্পের অনেকটাই নির্ভর করে এই চেনাবের জলের উপর। এবার সেই চেনাবেরই চার চারটি লক গেট খুলে দিল ভারত। এর জেরে এবার বন্যায় ভাসতে পারে পাকিস্তান। জম্মুতে অতি ভারী বৃষ্টির পর পাকিস্তানে এখন বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চেনাব নদীতে নির্মিত বাগলিহার বাঁধের চারটি ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে শুক্রবারই। বৃহস্পতিবার এই চেনাব নদীতেই নির্মিত রিয়াসি সালাল বাঁধের ৩টি ফটকও খুলে দেওয়া হয়। বাঁধের ফাটক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল বের হচ্ছে। শুক্রবারের খবর অনুসারে, চন্দ্রভাগা নদীর উপর সালাল বাঁধের ৪টি লকগেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে চন্দ্রভাগা নদীতে একলাফে বেড়েছে জলস্রোত। ভারত জল ছাড়ায় এবার পাকিস্তানের শিয়ালকোটে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে হু হু করে। এমন চলতে থাকলে পাকিস্তানের ওই অঞ্চল বন্যায় ভেসে যেতেও পারে।

  • India Pakistan War: হার্পির আতঙ্কে হাসি উড়েছে পাকিস্তানের, ইহুদি ড্রোনে ছিন্নভিন্ন চিনা-কবচ

    India Pakistan War: হার্পির আতঙ্কে হাসি উড়েছে পাকিস্তানের, ইহুদি ড্রোনে ছিন্নভিন্ন চিনা-কবচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর’-এর এক দিনের মাথাতেই লাহোরের (India Pakistan War) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করল নয়াদিল্লি। ইসলামাবাদের দাবি, এতে ইজরায়েলি মানববিহীন উড়ুক্কু যান ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনা। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। সূত্রের খবর, লাহোরে সেনাছাউনি সংলগ্ন এলাকায় চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি নামের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ মোতায়েন রেখেছিলেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। পাক গণমাধ্যমগুলির দাবি, ইজরায়েলি ‘হার্পি’ দিয়ে সেটি উড়িয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানের আতঙ্ক

    পাক সেনার জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি জানিয়েছেন, ইজরায়েলে তৈরি ওই ড্রোন দিয়ে একাধিক শহরকে নিশানা করে ভারতীয় বাহিনী। সেই তালিকায় ছিল করাচি, বহাওয়ালপুর, শিয়ালকোট এবং রাওয়ালপিন্ডি। এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ আরও বলেন, ‘‘ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আগ্রাসন দেখিয়েছে ভারত। সেগুলির অধিকাংশকেই নিষ্ক্রিয় করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটি লাহোরের সেনাছাউনিতে ঢুকে পড়ে। সংশ্লিষ্ট ড্রোনটির বিস্ফোরণে চার জন সৈনিক আহত হন।’’

    হার্পির সুবিধা

    গত কয়েক বছর ধরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই হাতিয়ারটিকে সযত্নে অস্ত্রাগারে সাজিয়ে রেখেছিল নয়াদিল্লি। মোক্ষম সময়ে এর এক আঘাতেই দিশেহারা পাকিস্তান, মুখ পুড়েছে বেজিঙেরও। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, ‘হার্পি’ ড্রোনে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর। একটানা ন’ঘণ্টা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এর। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে বিশেষ একটি পদ্ধতিতে পরিকল্পনামাফিক বিভিন্ন কোণ থেকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম ইজরায়েলের তৈরি এই মানববিহীন উড়ুক্কু যান। শুধু তা-ই নয়, হামলার সময়ে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’-এর (জিএনএসএস) সাহায্যে একে নিষ্ক্রিয় করাও সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রতিকূল পরিবেশেও অপারেটরের সঙ্গে দিব্যি যোগাযোগ রেখে চলে ‘হার্পি’। একে যুদ্ধজাহাজ বা সামরিক ট্র্যাকের উপর বসানো লঞ্চার থেকে শত্রুর ঘাঁটির দিকে ছোড়া যায়। ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে নিখুঁত নিশানায় হামলা করতে সক্ষম ‘হার্পি’।

    হার্পির সংখ্যা এখন ১০০

    নির্মাণকারী সংস্থা হল ‘ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ’। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে মানববিহীন এই আত্মঘাতী উড়ুক্কু যানটিকে বহরে সামিল করার কথা ঘোষণা করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর জন্য ১০ কোটি ডলার খরচ করেছিল কেন্দ্র। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথমে ১০টি ‘হার্পি’ ড্রোন সরবরাহ করে ইজরায়েল। ২০২০ সালের মধ্যে ফৌজের অস্ত্রাগারে ইজরায়েলি ‘হার্পি’-র সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

  • RSS: ‘‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জরুরি ছিল অপারেশন সিঁদুর’’, মোদি সরকার ও সেনাকে অভিনন্দন জানাল আরএসএস

    RSS: ‘‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জরুরি ছিল অপারেশন সিঁদুর’’, মোদি সরকার ও সেনাকে অভিনন্দন জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সফল হওয়ার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। ৯ মে আরএসএস-র তরফে এই বিবৃতি সামনে এসেছে। এখানেই দেশের নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরএসএস বলেছে, ‘‘ অপারেশন সিঁদুর সত্যিই জরুরি ছিল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে এবং দেশের মনোবলকে অক্ষুণ্ণ রাখতে।’’ প্রসঙ্গত,  রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের তরফ থেকে এই বিবৃতি দেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত এবং সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। নিজেদের বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘‘আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং আমাদের সশস্ত্র সেনাবাহিনীকে। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল।’’

    সমগ্র ভারতবর্ষ সরকার এবং সেনার পক্ষে দাঁড়িয়েছে

    সশস্ত্র সেনা অভিযানকে সমর্থন করে আরএসএস-র দেওয়া ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আমরা (RSS) সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করছি এই সামরিক অভিযানের যা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে। পাকিস্তানে থাকা তাদের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করেছে এই অপারেশন। দেশের নিরাপত্তার জন্য এমন পদক্ষেপ খুবই জরুরি ছিল। বর্তমানে দেশের এমন পরিস্থিতিতে সমগ্র ভারতবর্ষ সরকার এবং সেনার পক্ষে দাঁড়িয়েছে (Operation Sindoor)।’’

    জম্মু-কাশ্মীর সীমানায় পাকিস্তান কর্তৃক হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস

    একইসঙ্গে পাকিস্তান যেভাবে হামলা চালিয়েছে নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের উপর তারও নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস (RSS)। আরএসএস-এর ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাক সেনাবাহিনী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং নিরীহ নাগরিকদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তা সত্যিই নিন্দনীয়। একইসঙ্গে আরএসএস সমগ্র দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রত্যেক নাগরিক যেন সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলেন। এর পাশাপাশি, নাগরিক কর্তব্য পালন করতেও অনুরোধ জানিয়েছে সংঘ। দেশের এমন পরিস্থিতিতে কোনও নাগরিক যেন ভারত বিরোধী চক্রান্তের ফাঁদে না পড়েন সে বিষয়েও দেশবাসীকে সতর্ক করেছে আরএসএস (RSS)। আরএসএস জানিয়েছে,  যুদ্ধের আবহে দেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে অনেক ফাঁদ পাতা হবে। সেবিষয়ে দেশবাসীকে সদা জাগ্রত থাকতে হবে দেশের ঐক্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে।

  • India Pakistan War: যুদ্ধের আবহে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম ৭ জইশ জঙ্গি

    India Pakistan War: যুদ্ধের আবহে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম ৭ জইশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি সেনার (India Pakistan War) গোলাবর্ষণের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্বা সেক্টরে বড়সড় জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো হয়। তবে তা ব্যর্থ করল বিএসএফ। একইসঙ্গে নিকেশ করা হয়েছে সাত জইশ জঙ্গিকে। বিএসএফে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ সাম্বা জেলার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল। তবে জওয়ানরা সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছেন।

    পহেলগাঁওয়ের পর থেকেই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার (India Pakistan War) পর থেকে সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেই চলেছে পাকিস্তানি সেনা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রয়োগ করে। এর পরেই পাকিস্তানি সেনা বিনা প্ররোচনায় গোলাবর্ষণও শুরু করে সীমান্তে। বৃহস্পতিবারও ফের সীমান্ত এলাকাগুলিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানি সেনা। ছু়ড়তে থাকে মিসাইল, চলে ড্রোন হামলা। তবে এসব কিছুই প্রতিহত করে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে শুধু জঙ্গিঘাঁটিতেই আঘাত হানা হয়

    প্রসঙ্গত, ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা শুধু জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে (India Pakistan War)। পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। কোনও সাধারণ নাগরিকের ওপর হামলা হয়নি। তারপরও পাকিস্তান সেনা ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। ভারতীয় সেনা অবশ্য তার যোগ্য জবাব দেয় বৃহস্পতিবার রাতেই। পাকিস্তানের প্রত্যেকটি হামলার চেষ্টা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। পাল্টা হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে পাক ভূখণ্ডের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। সেদেশের রাজধানী ইসলামাবাদেও অভিযান চালায় ভারতের বায়ুসেনা। প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠকে  আগেই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে প্রথম হামলা চলেছিল পাকিস্তানের মদতেই। ভারত কোনও হামলা চালায়নি। শুধুমাত্র জবাব দিয়েছে।

LinkedIn
Share