Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rajasthan News: হিন্দু সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, রাজস্থানে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

    Rajasthan News: হিন্দু সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, রাজস্থানে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের (Rajasthan News) উদয়পুরে নিজের হিন্দু সহপাঠীকেই ছুরি মারে দশম শ্রেণির এক মুসলিম ছাত্র। এর পরেই সেখানে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ (Udaipur Police)। শুক্রবারের এই ঘটনার পরে, ১৫ বছরের ওই অভিযুক্ত ছাত্রের বেআইনি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে শনিবারই গুঁড়িয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন। রাজস্থান পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনবিভাগ অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবারকে একটি নোটিশ পাঠায় শনিবার সকালেই এবং সেই নোটিশের ভিত্তিতে বাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায় তারা। কিন্তু অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবার বাড়ির মালিকানার কোনও রকমের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

    কী বলছেন উচ্ছপদস্থ পুলিশ আধিকারিক? 

    এর পরেই প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বুলডোজার অ্যাকশনের পরে উদয়পুর রেঞ্জের আইজি অজয় লাম্বা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অভিযুক্ত ছাত্র ও তার বাবাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী ওই অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে শনিবার প্রথমে বুলডোজারের মাধ্যমে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙার আগে এলাকাটি খালি করতে বলে পুলিশ। কিন্তু তখনই এলাকার মানুষজন পুলিশকে বাধা দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতিও তৈরি হয়। উদয়পুর জেলার (Rajasthan News) মধুবন এলাকায় ছুরি চালানোর ঘটনার পরেই সম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়ে যায় শুক্রবারে। সেখানকারই একটি সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় ওই অভিযুক্ত।

    অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশ হেফাজতে (Rajasthan News) 

    জানা গিয়েছে, আপাতত ওই অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশ (Udaipur Police) হেফাজতেই রয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা শহরে এবং তার জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই পুলিশ গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং যে কোনও ধরনের জমায়েতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুক্রবারই রাজস্থানের (Rajasthan News) উদয়পুর শহরের জেলা প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে, কারণ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে গুজব বেশি ছড়াচ্ছে বলে আশঙ্কা করে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • V Muraleedharan: “সিএএ-র প্রাসঙ্গিকতা মনে করাল বাংলাদেশের ঘটনা”, বললেন মুরলীধরণ

    V Muraleedharan: “সিএএ-র প্রাসঙ্গিকতা মনে করাল বাংলাদেশের ঘটনা”, বললেন মুরলীধরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ-র (CAA) তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা মনে করিয়ে দিল বাংলাদেশের হিংসার ঘটনা।” কথাগুলি বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ভি মুরলীধরণ (V Muraleedharan)। সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপক হিংসার সাক্ষী তামাম বিশ্ব। সেখানে নির্বিচারে চালানো হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সিএএ-র প্রসঙ্গ তোলেন বিজেপি নেতা মুরলীধরণ। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে প্রতিবেশী মুসলিম দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের আশ্রয় ও নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ এনেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    সিএএ (V Muraleedharan)

    ২০১৯ সালে সিএএ বিল সংসদে পাশ হলেও, লাগু হয়নি। সেই সময় বিলের ব্যাপক বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস এবং সিপিএম। এদিন তিরুবনন্তপুরমে ‘বাংলাদেশ বার্নিং’ শীর্ষক একটি সেমিনারে যোগ দেন মুরলীধরণ। সেখানেই আরও একবার সিএএ-র সপক্ষে সওয়াল করেন এই বিজেপি নেতা। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেল। মুরলীধরণের মতে, ভারতেও বাংলাদেশের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে, সেই সব মন্তব্যে ভারতের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। এই পদ্ম নেতা বলেন, “ভারত সব সময় একটা নীতি নিয়ে চলে। তার একটা লক্ষ্যও রয়েছে। রয়েছে স্থায়ী প্রশাসন, সরকার। ভারত কল্যাণকামী দেশ। সব সময় দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করে।” তিনি বলেন, “ভারত কখনও কোনও দেশের অনৈক্যকে প্রশ্রয় দেয় না। কোনও দেশের শান্তি আমরা কখনওই বিঘ্নিত করিনি।”

    আরও পড়ুন: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    রাহুল, পিনরাইকে নিশানা

    তিনি বলেন, “দেশে যদি হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন, তাহলে রাহুল গান্ধী এবং পিনরাই বিজয়ন মৌনীবাবা হয়ে পড়বেন।” মুরলীধরণের (V Muraleedharan) প্রশ্ন, “সিপিএম এবং কংগ্রেস বিশ্বাস করে হিন্দুদের কোথাও কোনও সংখ্যালঘুর অধিকার নেই।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভারত সব সময় চায় প্রতিবেশী দেশেও স্থায়ী গণতান্ত্রিক সরকার থাকুক। কিন্তু জামাত-ই-ইসলামি, যারা বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী হিংসা চালিয়েছিল, তাদের না আছে বাংলার প্রতি কোনও সেন্টিমেন্ট, না আছে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা। তাদের কেবল রয়েছে ধর্মীয় আবেগ। হিন্দুদের ওপর যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তাকে যারা উপেক্ষা করে, জনগণ তাদের হিপোক্রেসি ধরে ফেলবে।”

    তিনি বলেন, “দালাই লামা, শেখ হাসিনা এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। সনাতন ধর্মের পাঠ অনুসরণ করে আমরা তাঁদের আশ্রয় দিয়েছি।” মুরলীধরণ বলেন, “কোনও ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ নষ্ট করতে পারেনি (CAA) আমাদের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে (V Muraleedharan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar) পরেই নিরাপত্তার দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-কর্মবিরতির ডাক দেন ডাক্তাররা। বর্তমান সময়ে বারবার উঠেছে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন। ঠিক এই আবহে, আরজি কর কাণ্ডের জেরে একদা বাতিল হওয়া ‘দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ) বিল’কে পুনরুদ্ধার করতে উদ্যোগী হচ্ছে মোদি সরকার। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে যে কোনও হিংসাত্মক ঘটনা এবং হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সম্পত্তি ভাঙচুরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম এই বিলের ওপর খসড়া তৈরি করা হয়। সে সময় কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহম্মদ সৈয়দ নামের এক রোগীর আত্মীয় দুই চিকিৎসকের ওপর ভয়ঙ্কর হামলা ঘটায়। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে (Violence Aganist Doctors) নামেন ডাক্তাররা, তখনই এই আইনটিকে প্রস্তাব করা হয়েছিল (RG Kar)।

    হামলাকারীদের কঠোর সাজা এবং মোটা টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে

    এই বিলে হামলাকারীদের (Violence Aganist Doctors) কঠোর সাজা এবং মোটা টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এই বিলে বলা হয়েছে, ‘‘কোনও ব্যক্তি স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের হিংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে পারবেন না অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও সম্পত্তিরও ক্ষতি করতে পারবেন না।’’ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ কেউ ঘটালে তার জন্য এই বিল অনুযায়ী ছয় মাসের কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে যা বেড়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া কোনও চিকিৎসককে গুরুতর আঘাত করলে সাজার মেয়াদ থাকছে তিন বছর যা সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর বিধান রয়েছে। এছাড়াও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে কোনও হিংসাত্মক কার্যকলাপ কোনও ব্যক্তি করে থাকলে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করারও বিধান রয়েছে ওই বিলে। যদি গুরুতরভাবে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে আঘাত করা হয়, সেক্ষেত্রে অপরাধীর জরিমানা দুই লাখ টাকা থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়ে সম্পত্তির ক্ষতি করা- এ সমস্ত কিছুকেই এই বিলের আওতায় জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের ওপর হামলা বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সম্পত্তি ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ পদমর্যাদার অফিসার বা তার ঊর্ধ্বে কোনও অফিসারই করতে পারবেন কিন্তু এর নিচের পদমর্যাদাযুক্ত অফিসার করতে পারবেন না।

    জরিমানা হিসেবে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ ধার্য

    স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর যে কোনও হামলার ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাকে অবহিত করাবেন বাধ্যতামূলকভাবে, এমন কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবিত বিলে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের ওপর আঘাত করলেই এক লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে এবং গুরুতর আঘাতের জন্য পাঁচ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে পরিমাণ অর্থের সম্পত্তি ভাঙচুর হামলাকারীরা করবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থের তাঁদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হবে বলেও বিধান রয়েছে বিলে। ওই বিলে আরও বলা হয়েছে যদি কোনও দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি এই বিলের অধীনে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করেন, তাহলে তাঁর ক্ষতিপূরণের অর্থটি রাজস্ব পুনরুদ্ধার আইন (১৮৯০) অনুযায়ী, বকেয়া হিসেবে আদায় করা হবে।

    কোন কোন ধরনের হামলার কথা বলা হয়েছে বিলে

    স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ডাক্তারদের ওপরে ঠিক কী ধরনের হামলার কথা বলা হয়েছে এই বিলে? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চিকিৎসায় গাফিলতির মিথ্যা অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা অথবা ডাক্তারদেরকেও নিগৃহীত করা হয়। এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর যেকোনও ধরনের হামলা, স্বাস্থ্যকর্মীদের যেকোনও ধরনের ক্ষতি, আঘাত, গুরুতর আঘাত, হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো, জীবনহানির হুমকি প্রদর্শন করা বা এমন কোনও আঘাত করা যাতে স্বাস্থ্যকর্মী জীবনহানি হতে পারে, সরকারি চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, যেকোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সম্পত্তি ভাঙচুর করা, গুরুত্বপূর্ণ নথির ক্ষতি করা, নথি জ্বালিয়ে দেওয়া বা চুরি করা -এই সমস্ত কিছুই এই বিলের আওতায় পড়বে।

    করোনা অতিমারির সময় আনা আইন

    প্রসঙ্গত করোনা অতিমারি চলাকালীন লকডাউনের সময় নরেন্দ্র মোদি সরকার অতিমারি রোগ (সংশোধন) আইন-২০২০ পাশ করেছিল এবং এই আইনেও স্বাস্থ্যপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া যেকোনও ধরনের হামলা বা হিংসাত্মক কার্যকলাপকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি রিপোর্ট সামনে আসে যেখানে দেখা যায় যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ২০১৯ সালের প্রস্তাবিত ওই ‘দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ) বিল’কে বাতিল করেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছিলেন যে, ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য আলাদা কোনও আইন তৈরি করা হচ্ছে না।

    আরজি করকাণ্ডের জের (RG Kar)

    কিন্তু ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপরেই দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন ডাক্তার সংগঠন। ঠিক এই আবহে গত ১২ অগাস্ট ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি পেশ করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ)-এই আইনের অন্তর্ভুক্তি। সেই সময়ে আইএমএ-এর প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও ডাক্তারদের সংগঠনগুলিকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে চিকিৎসকদের ওপর যেকোনও ধরনের হামলা ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার (RG Kar)। এরপরে ২০১৯ সালের বাতিল হওয়া ওই বিলটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার একটি প্যানেল গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নতুন ওই প্যানেলে ডাক্তার, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও একাধিক মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    BJP: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি থেকে আরজি কর। দুরত্ব বিস্তর। তবে সে কামদুনিই হোক, কিংবা চোপড়া বা আরজি কর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শাসনে রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ‘নারী-শিকারে’র এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা। যার জেরে তোলপাড় রাজ্য। তৃণমূল-শাসনে রাজ্যে ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলে নারী নির্যাতনের কড়া সমালোচনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।

    কী বলছেন ত্রিবেদী (BJP)

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যে সংবেদনশীল আচরণ করছে, তা উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির আচরণের মতোই। কনৌজ থেকে কলকাতা পর্যন্ত ঘৃণা, নারীদের প্রতি অবজ্ঞা ও অপরাধীদের সুরক্ষার বিপজ্জনক মানসিকতা রয়েছে।” তিনি বলেন, “সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর জবাব দেওয়া উচিত যে তাঁদের ‘মহব্বত কি দুকান’ শুধুমাত্র অপরাধী, দুর্নীতিবাজ ও ধর্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয় কিনা।” ত্রিবেদী বলেন, “অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্বৈরশাসক, অপরাধীদের রক্ষা করছেন।” তাঁর প্রশ্ন, “কংগ্রেস পার্টি এখনও কীভাবে তাঁর সঙ্গে জোটে থাকতে পারেন?”

    মৃত্যু মিছিল

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) (কু)শাসনের জেরে বাংলা নারীদের জন্য বিপজ্জনক জায়গায় পরিণত হয়েছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বর্ধমানের একটি মাঠে মেলে এক যুবতীর গলাকাটা দেহ। শক্তিগড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক প্রতিবন্ধী কন্যা। বিজেপির (BJP) দাবি, এই সব ঘটনা-শৃঙ্খল প্রমাণ করে তৃণমূলের জমানায় ভালো নেই বাংলা। 

    নৈরাজ্যের ঘাঁটি বাংলা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুন্ডুপাত করেছেন সাংসদ বিজেপির দীনেশ শর্মা। তাঁর ভাষায়, “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি।” তিনি বলেন, “বাংলায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে। আর প্রকাশ্যে কাজ করে বেড়ায় অপরাধীরা।” তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যও। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোনও শাসন নেই। সম্প্রতি এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা জাতির জন্য গভীর লজ্জার।” মমতার সরকারের ব্যর্থতাকেও ইস্যু করেন তিনি। মৌর্য বলেন, “ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার বদলে রাম এবং বামকে দুষেই হাত ধুয়ে ফেলছেন তিনি।” উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধর্মীয় ও রাজনৈতিক লাভের জন্য বাংলাকে হিংসায় নিক্ষেপ করেছে তৃণমূল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কন্যাদের কল্যাণকে উপেক্ষা করেছেন। মহিলা চিকিৎসকের ওপর যে নিদারুণ অত্যাচার হয়েছে, তা মেলে কেবল তৃণমূল সরকার যেভাবে তাঁর মর্যদাহানি করেছে তার সঙ্গেই।”

    ক্ষমতার মোহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার মোহে এতটাই অন্ধ যে তিনি রামকেও গালি দিতে দ্বিধা করেন না। মনে হয়, তিনি মা-মাটি-মানুষ নীতি পরিত্যাগ করেছেন। শ্রী রাম যখন শান্তি-সম্প্রীতি ও প্রেমকে মূর্ত করে তোলেন, তখন অন্যায় বিরাজ করলে তিনিও তাড়কা দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা মন্দের মোকাবিলা করেন এবং নির্মূল করেন।” বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “বাংলায় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থ। এরকম ঘটনা (আরজি করকাণ্ডের মতো) ঘটলে উর্দি পরা কর্মীদের সাংবিধানিক নীতিগুলি উপেক্ষা করতে চাপ দেওয়া হয়। চাপ দেওয়া হয় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের রক্ষা করতে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    কেন চুপ রাহুল, প্রিয়ঙ্কা

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অজয় অলোক বলেন, “বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি বিরোধীরা। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যিনি ‘লাডকি হুঁ, লাড শক্তি হুঁ’ স্লোগানের পক্ষে ছিলেন, বাংলার ঘটনায় তিনি নীরব। চুপ করে রয়েছেন অখিলেশ যাদবও। কোনও কথা বলছেন না ইন্ডি জোটের নেতারা।” বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পুলিশকে বিশ্বাস করে না। তাই তদন্তটি সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “এই ঘটনার দায় নিয়ে কখন পদত্যাগ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)?”

    রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই!

    পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি বলেন, “সম্প্রতি সন্দেশখালি, চোপড়া এবং এখন কলকাতার মতো জায়গায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা তুলে ধরেছে। পুলিশ এই ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িতদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বললেই চলে।” বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি বলেন, “ইউপিএ সরকারের সময় দেশ নির্ভয়ার বিরুদ্ধে নৃশংসতা দেখেছিল। আর আজ কংগ্রেস বাংলার বিষয়ে নীরব রয়েছে।” তিনি বলেন, “সেই সময় জাতি যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, তেমনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে একত্রিত হচ্ছে (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Economy: ২০২৭-এর মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    Indian Economy: ২০২৭-এর মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় দেশের আর্থিক বৃদ্ধির (Indian Economy) হার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি! এমন কথাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা আইএমএফ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ হলেন গীতা গোপীনাথ। শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘‘২০২৭ সালের মধ্যেই ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy) বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হবে।’’ প্রসঙ্গত, গীতা গোপীনাথ হলেন আইএমএফ-এর প্রথম মহিলা মুখ্য অর্থনীতিবিদ। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, তিন বছরের মধ্যেই আমেরিকা এবং চিনের পরে ঠাঁই হবে ভারতের। অর্থাৎ মোদি জমানায় দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যে লক্ষ্যমাত্রা ও প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে, তাতেই এবার সিলমোহর দিতে দেখা গেল আইএমএফ-কে।

    ভারতীয়দের ব্যক্তিগত খরচের হার আবার বেড়ে গিয়েছে (Indian Economy)

    গীতা গোপীনাথ শুক্রবার আরও বলেন, ‘‘ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার গত অর্থবর্ষে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো ছিল। সেই প্রভাবগুলি এই অর্থবর্ষের জন্য আমাদের পূর্বাভাসকে (Third Largest Economy) প্রভাবিত করছে। অন্য কারণটি হল, আমরা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছি, ভারতীয়দের ব্যক্তিগত খরচের হার (ভোগ্যপণ্য কেনার নিরিখে) আবার বেড়ে গিয়েছে।’’ তবে শুধু আইএমএফ নয়, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ব্যাঙ্কিং বিনিয়োগ সংস্থা জেফ্রিসের একটি অর্থনীতি মূল্যায়নের রিপোর্ট সামনে আসে। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে জাপান এবং জার্মানিকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত।

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বারবার উঠে এসেছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কথা

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কথাতেও বারবার উঠে এসেছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কথা। গত বছর ২০২৩ সালেই লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘‘২০২৭-এর মধ্যেই জাপান এবং জার্মানিকে ছাড়িয়ে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তিতে (Indian Economy) পরিণত হবে ভারত। আমাদের লক্ষ্য, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে পদার্পনের আগে ৩৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠা।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে আইএমএফ (Third Largest Economy) প্রকাশ করে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতে জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছুঁতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sabarmati Express: ট্র্যাকে বোল্ডার! লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা, নাশকতার ছক?

    Sabarmati Express: ট্র্যাকে বোল্ডার! লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা, নাশকতার ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোররাত লাইনচ্যুত হয়ে গেল সবরমতী এক্সপ্রেস (Sabarmati Express)। অন্তত ২০টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ট্রেনে ছিলেন প্রায় ১৩০০ যাত্রী। রেলের দাবি, লাইনে রাখা বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগেই লাইনচ্যুত হয় সবরমতী এক্সপ্রেস। প্রশ্ন উঠছে রেল লাইনে বোল্ডার কীভাবে এল? এর পিছনে নাশকতার ছক থাকতে পারে বলে অনুমান। 

    উদ্ধারে রেল, হেল্পলাইন নম্বর

    শনিবার ভোররাতে উত্তর প্রদেশের কানপুর ও ভীমসেন স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়ে যায় সবরমতী এক্সপ্রেস (Sabarmati Express)। ট্রেনের নম্বর হল ১৯১৬৮। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। যাত্রীদের কানপুর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে রেল। ঝাঁসির দিকে যাওয়ার সময় ট্রেনটি আচমকা বোল্ডারে ধাক্কা খেয়ে বেলাইন হয়ে পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চালক। দুর্ঘটনার (Train Accident) ফলে সংশ্লিষ্ট লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বারাণসী থেকে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। গন্তব্য ছিল আমেদাবাদ। কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে রেলের তরফে। নম্বরগুলি হল- ০৫৩২-২৪০৮১২৮, ০৫৩২-২৪০৭৩৫৩, ০৫৩২-২৪০৮১৪৯।

    কী কারণে দুর্ঘটনা (Sabarmati Express)

    সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে বোল্ডারে ধাক্কা খায় চাকা। তাতেই ঘটে বিপত্তি।  উত্তর মধ্য রেলের তথ্য অনুযায়ী, গভীর রাতে রেললাইনের উপর থাকা বোল্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যাত্রিবাহী ট্রেনটির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রেনের প্রতিটি কামরা ঘুরে দেখেন পুলিশ এবং রেল আধিকারিকেরা। কোথাও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে রেল। দুর্ঘটনার (Train Accident) ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলছে না। একাধিক ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে।

    নাশকতার ইঙ্গিত রেলমন্ত্রীর

    এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হঠাত করে রেল লাইনের উপর বোল্ডার কীভাবে এল তা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে। রেলের এক আধিকারিক জানান, বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলে, ট্রেনের সামনে থাকা ক্যাটল গার্ডের ক্ষতি হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কথাতেও নাশকতার ইঙ্গিত। এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ভারী ধাক্কার চিহ্ন রয়েছে। তথ্য সংগ্রহ ও রক্ষা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: মোদিকে ফোন ইউনূসের, দিলেন বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস

    Bangladesh Crisis: মোদিকে ফোন ইউনূসের, দিলেন বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অবস্থিত হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ফোন করে বাংলাদেশি হিন্দুদের যথাযথ সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। এই ফোনালাপের কথা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    মোদিকে কী বার্তা ইউনূসের

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সঙ্গে যোগাযোগ করলেন নোবেলজয়ী ইউনূস। মোদি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। গণতান্ত্রিক, স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের জন্য ভারতের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উনি আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে।’’ প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে তিনি আশা করেন হিংসা-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কারণ ১৪০ কোটি ভারতীয়রা হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    মোদিকে পাশে থাকার আর্জি

    এর আগে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর শুভেচ্ছাবার্তাতেও ইউনূসকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছিলেন মোদি (PM Modi)। তারপরই গত মঙ্গলবার ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। এরপর বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। আওয়ামি লিগ তথা হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যে বা যারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।  গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন। বর্তমানে তিনি ভারতেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। তার পরই সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর গত কয়েক দিনে বার বার হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগেও তোলপাড় ভারতের পড়শি দেশ। এই আবহে মোদির সঙ্গে ফোনালাপ করলেন ইউনূস। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়। প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের আর্জি রেখেছেন ইউনূস। একইসঙ্গে মোদিকে আশ্বাস দিয়ে ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে সুরক্ষিত সংখ্যালঘুরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ ধাপে নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ফল প্রকাশ ৪ অক্টোবর

    Jammu Kashmir: ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ ধাপে নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ফল প্রকাশ ৪ অক্টোবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও নির্বাচন হবে হরিয়ানাতেও। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর অবশেষে জম্মু-কাশ্মীরে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Elections Commission of India) তরফে জানানো হয়েছে, তিন ধাপে নির্বাচন হবে জম্মু-কাশ্মীরে। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। পাশাপাশি হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ অক্টোবর। ভোটের ফলপ্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর।

    কমিশন যা বলল

    হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে যথাক্রমে ৩ নভেম্বর ও ২৬ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন (Elections Commission of India) ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছিল। কারণ কমিশনকে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “সম্প্রতিই আমরা জম্মু-কাশ্মীর পরিদর্শনে গিয়েছিলাম নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখার জন্য। অদ্ভুত উন্মাদনা দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ-সকলেই চান দ্রুত নির্বাচন হোক। লোকসভা ভোটের সময় জম্মু-কাশ্মীরে ভোটকেন্দ্রগুলিতে যে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল, তা শুধুমাত্র ভোটদানের জন্য নয়, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সাধারণ মানুষ শুধু পরিবর্তনই নয়, সেই পরিবর্তনের অংশ হতে চেয়েছিলেন। ‘ব্যালেট ওভার বুলেট’-এর স্বপ্নই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপত্য়কায় ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছিল।”

    আরও পড়ুন: আরজি করে হামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ, সন্দীপকে কড়া ধমক হাইকোর্টের

    শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা

    ২০১৪ সালের পরে আবার জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। এর মধ্যে অবশ্য পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল। সাবেক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়েছিল। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার (Elections Commission of India) রাজীব কুমার বলেন, “কাশ্মীরী পরিযায়ী ভোটারদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্পেশাল বুথ তৈরি করা হবে। ভোটারদের সুবিধার জন্য নাম নথিভুক্তকরণ ও ভোটদান প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদানের জন্য সবরম প্রস্তুতি নেবে কমিশন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Direct Action Day: ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট! পাশবিক অত্যাচার, গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুরা

    Direct Action Day: ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট! পাশবিক অত্যাচার, গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বলছে বাংলাদেশ। মনের হিংসা পুড়িয়ে দিচ্ছে সভ্যতার দলিল। উন্মত্ত জনতার হাতে বলি হচ্ছে বহু হিন্দু পরিবার। বলি হচ্ছে বিএনপি-জামাত বিরোধীরা। খুন করে উল্টে টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেহ। আজ যখন বাংলাদেশে এই অবস্থা, তখন আমরা একটু পিছন দিকে ফিরে দেখার চেষ্টা করব (Direct Action Day)।

    ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট…

    সময়টা ছিল ১৯৪৬। তখনও দেশ ভাগ হয়নি। তবে স্বাধীনতার তোড়জোড় চলছে। দেশে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করার জন্য ব্রিটেন থেকে পাঠানো হয়েছে ক্যাবিনেট মিশনকে। দিল্লিতে থেকে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন ভাইসরয় লর্ড ওয়েভেল। প্রায় প্রতিদিনই আলোচনা চলছে। মুসলিম লিগ আলাদা পাকিস্তানের দাবিতে অনড়।

    পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবি (Direct Action Day)

    ১৯৪০ সালের লাহোর অধিবেশন থেকেই মুসলিমদের আলাদা দেশ তৈরির জন্য উঠে পড়ে লাগেন মহম্মদ আলি জিন্না। চল্লিশের দশকের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে অশান্তির ঘটনা।অবিভক্ত বাংলায় তৈরি হয় সুরাবর্দীর সরকার। মনে রাখতে হবে, সেসময় অখন্ড বাংলায় মুসলিমদের সংখ্যা সামান্য বেশি ছিল। হিন্দুরা ছিল ৪৭ শতাংশ। মুসলিম প্রায় ৫২ শতাংশের ওপর। এই প্রেক্ষিতেই প্রাদেশিক সরকার তৈরি করে মুসলিম লিগ। যার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সুরাবর্দী। (সেই সময় বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছিল না। প্রদেশের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই উল্লেখ করা হত।)

    তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে। চার্চিলের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ক্লেমেন্ট অ্যাটলি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৯৪৮ সালের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে। কিন্তু কীভাবে এই কাজটা হবে, কতটা মসৃণভাবে করা যাবে, তার জন্যই চলছে আলোচনার পর আলোচনা। নেহরুর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে মুসলিম লিগ কখনও ঢুকছে, কখনও বেরোচ্ছে। বলা চলে, সরকার গঠন নিয়ে খেলা করছে। এই পরিস্থিতিতেই ১৯৪৬ সালের ৭ এপ্রিল দিল্লিতে ৩ দিনের কনভেনশনের ডাক দেন জিন্না। সেখানে ডাকা হয় লিগপন্থী সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রাদেশিক নেতাদের। বাংলা থেকে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য একটা গোটা ট্রেনেরই ব্যবস্থা করে ফেলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। তাতে অংশ নিয়েছিলেন শেখ মুজিবুরও। তিনি তখন কলকাতার কলেজের ছাত্র। 

    ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-র ডাক জিন্নার 

    এই কনভেনশন থেকেই ১৬ অগাস্ট দেশজুড়ে ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’ (Direct Action Day) বা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেন জিন্না। স্লোগান ওঠে, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান। মানে, যে কোনও ভাবেই হোক আদায় করতে হবে পাকিস্তান। হিসেব বলছে, দেশে তখন প্রায় ৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় দশ কোটি। এর মধ্যে বাংলা ও পাঞ্জাবে সংখ্যায় বেশি মুসলিমরাই। 

    ডায়রেক্ট অ্যাকশন প্ল্যান ডাক দেওয়াই নয়, সেই মতো প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে এর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৬ অগাস্ট সরকারি ভাবে ছুটি ঘোষণা করেন তৎকালীন অখণ্ড বাংলার প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র আজাদের সম্পাদকীয়তে লেখা হল, ১৬ অগাস্ট থেকে পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ শুরু হবে। মৌলানা আক্রম খান পবিত্র রমজান মাসে কাফেরদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার দায়িত্ব স্মরণ করালেন। আর শুক্রবার ময়দানে জমায়েতের ডাক দিল মুসলিম লিগ। 

    মুসলিম জনতাকে উত্তেজিত করে সুরাবর্দীর ভাষণ

    সেদিন দুপুর ২টোর দিকে সমাবেশ শুরু হয়, যদিও নামাজের পর থেকেই কলকাতার সব জায়গা থেকে মুসলমানদের মিছিল জড়ো হতে শুরু করে (The Great Calcutta Killing)। অংশগ্রহণকারীদের একটি বিশাল অংশের হাতে ছিল লোহার রড ও লাঠি। সমাবেশে হাজির ছিল বিপুল মানুষ। প্রধান বক্তা হিসাবে খোয়াজা নাজিমউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী হোসেন শাহিদ সুরাবর্দী ছিলেন। তাঁরা সেই অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মুসলিম জনতাকে যথেষ্ট উত্তেজিত করলেন, গর্জন উঠতে থাকল সভা থেকে। দীনেশ চন্দ্র সিনহা তাঁর ১৯৪৬ কলকাতা হত্যা বইতে লিখেছেন, সুরাবর্দী নাকি সেখানে বলেছিলেন, তোমাদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল, যা করার তাই করো। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে জানা যাচ্ছে, সোরাবর্দীর প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল – যাতে কোনও পুলিশ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। তিনি সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে আটকাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

    মৃত ২ হাজার, আহত ৮ হাজারের বেশি

    সেই সময়ের হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড কাগজের প্রথম পাতায় খবরে দেখা যাচ্ছে, তিন দিনের হিংসায় ২ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮ হাজার জন (Direct Action Day)। সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে কয়েক কোটি টাকার। হাসপাতালে যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছিলেন এবং রেড ক্রস সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, অনেকেই সেদিন হাসপাতালে যেতে পারেননি। রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। 

    ১৬ অগাস্ট সকাল দশটা পর্যন্ত সব কিছু শান্তই ছিল। ৩০ অগাস্টের পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে জানা যাচ্ছে, আড়াইশ-তিনশ জন মুসলিম আচমকা হামলা শুরু করে চোরবাগান এলাকায়। লাঠি, ছুরি, কুকরি নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই এলাকায়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ১৮ বছরের ছেলেকে কুপিয়ে মারে। এরপর এগিয়ে যায় মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের দিকে। সেখান থেকে ফিরে এসে একটি ধরমশালায় ঢুকে ৬ জনকে কুপিয়ে মারে। চলে নির্বিচারে লুঠপাট। 

    কিশোরীকে চৌরাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয় 

    হ্যারিসন রোড ও ধর্মতলা স্ট্রিটে কয়েক হাজার দোকান ও বাড়িতে লুঠপাট করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। সোনার দোকান থেকে সবকিছু লুঠ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবরের কাগজ থেকে জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার দোকান ও বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। ক্ষতি হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা (The Great Calcutta Killing)। 

    ১৬ অগাস্ট দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে মানিকতলা, টেরেটি বাজার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, বিডন স্ট্রিট এলাকায়। শিয়ালদা স্টেশনের কাছে এক হিন্দু পরিবারকে কোপানো হয়। ওই পরিবারের কিশোরী কন্যাকে চৌরাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয়। ধর্মতলা, রিপন স্ট্রিট, চাঁদনি চক, গরপার, হ্যারিসন স্ট্রিট, মল্লিক বাজার — এসব এলাকায় দাপাতে শুরু করে মুসলিম ন্যাশনাল গার্ডের দাঙ্গাকারীরা।

    শহরে রক্তগঙ্গা বয়েছিল, আকাশ ঢেকেছিল শকুনে

    ১৬ অগাস্ট নরসংহারের সবচেয়ে বড় ছবি পাওয়া যায় মেটিয়াবুরুজে (Direct Action Day)। সেখানে ৬০০ জন হিন্দু খুন হন। তাদের বেশিরভাগই ওড়িয়া। তাঁরা থাকতেন কেশোরাম কটন মিলের পিছনে। লিচুবাগানে। সকলেই শ্রমিক। এই হামলা চলাকালীন দিলখুশ স্ট্রিটে চলচ্চিত্র অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের বাড়ির ওপর আক্রমণ হয়। নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকারের বড় ছেলেকে। মৃত্যু হয় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ভীমচন্দ্র নাগের সন্তানের। বলা হয়, এত লাশ পড়েছিল সেদিন যে শহরে রক্তগঙ্গা বয়েছিল। কলকাতার আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল শকুনে।

    আজও বন্ধ ভিক্টোরিয়া কলেজের সেই হলঘর

    তবে, নৃশংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখা গিয়েছিল ভিক্টোরিয়া কলেজে। সেখানে ঢুকে একের পর এক হিন্দু মেয়েদের গণধর্ষণ করে লিগের গুন্ডারা।  তাদের জনপ্রিয় স্লোগান ছিল, ‘হাতে বিড়ি মুখে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান।’ শুধু তাই নয়, রাজাবাজারের মাংসের দোকানে হিন্দু মেয়েদের নগ্ন দেহ হত্যা করার পর টাঙিয়ে দেওয়া হয়। হত্যার পর কয়েকজনের বক্ষদেশ শরীর থেকে আলাদা করে কলেজের দেওয়ালে টাঙিয়ে দিয়েছিল গুন্ডারা। শোনা যায়, কলেজের যে হলে ওই নৃশংস কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল, তা সেদিন থেকে তালাবন্ধ অবস্থাতেই রয়েছে।

    গোপাল পাঁঠার নেতৃত্বে প্রতিরোধ হিন্দুদের (The Great Calcutta Killing)

    ক্রমশ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে হিন্দুরাও আত্মরক্ষার জন্য জায়গায় জায়গায় সঙ্ঘবদ্ধ হতে শুরু করে। এই সময় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। যিনি এলাকায় পরিচিত গোপাল পাঁঠা নামে। বউবাজার এলাকায় তাঁদের পারিবারিক মাংসের দোকান ছিল। তাই ওই নামেই সবাই তাঁকে চিনত। তাঁর কাকা ছিলেন বিপ্লবী বিপিন বিহারী গাঙ্গুলির অনুগামী অনুকূল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ছোটবেলা থেকেই নেতাজি সুভাষ, অরবিন্দ ঘোষের গুণমুগ্ধ ছিলেন গোপাল। শরীর গঠনের জন্য তাঁদের একটি দলও ছিল। নাম ভারত জাতীয় বাহিনী। তিনি যখন দেখেন, মুসলিম লিগের পোশা গুণ্ডা মীনা পেশোয়ারি, বোম্বাইয়ার মতো দাঙ্গাবাজরা এলাকায় হিন্দুদের কচুকাটা করছে, তখন দলবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোপাল। একজন হিন্দু মারা গেলে ১০ জন মুসলিমকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁকে নিরস্ত হওয়ার ডাক দেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু গোপাল বলেন, আগে দাঙ্গা বন্ধ হোক, তারপর তিনি চুপ করবেন। 

    গোপাল পাঁঠার কাছে হার মানে দাঙ্গাবাজরা

    তাঁর একরোখা মানসিকতার কাছেই হার মানে দাঙ্গাবাজরা (Direct Action Day)। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সেনা নামানোর জন্য আর্জি জানান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। তবে তার আগেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। কলকাতা ছাড়েন অসংখ্য লোক। এই দাঙ্গাকেই ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ (The Great Calcutta Killing) বলে অভিহিত করা হয়। মুলত তাঁদের এই রুখে দাঁড়ানোতেই থমকে যায় মুসলিম লিগ। থমকে যায় ইংরেজ সরকারও। কারণ, মুসলিম লিগ প্ল্যান করেছিল, কলকাতা সহ গোটা বাংলাকেই পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার। কিন্তু সেসময় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। হিন্দুদের জন্য আলাদা হোমল্যান্ডের দাবি করেছিলেন তিনি। এই উদ্যোগে সামিল হন অনেকেই। শেষে হিন্দু অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়। 

    বাঙালি হিন্দুদের কাছে এক অন্ধকার অধ্যায়

    তবে চিরকালের জন্য বাংলার বুকে ঘা রেখে যায় ১৬ অগাস্টের দাঙ্গা (The Great Calcutta Killing)। যেদিন মুসলিমদের জন্য পৃথক দেশের দাবি তুলে নিধন যজ্ঞে সামিল হয় এক শ্রেণির গুন্ডা। আর তাতে সরাসরি প্ররোচনা দেয় শাসক পক্ষ। নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে মানুষ খুন করতেও যারা পিছপা হয়নি। ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট (Direct Action Day), বাঙালি হিন্দুদের কাছে এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবেই থেকে যাবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Atal Bihari Vajpayee: ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Atal Bihari Vajpayee: ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) আজ ষষ্ঠ প্রয়াণ বার্ষিকী। অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত অন্যান্য বিজেপি নেতারা শুক্রবার দিল্লিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ‘সদয়েব অটল’ স্মৃতিসৌধে। এদিন শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও।

    শ্রদ্ধা জানালেন মোদি

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘দেশগঠনে তাঁর অবদান অসংখ্য মানুষ স্মরণ করে থাকেন, তাঁর স্বপ্ন আমরা পূরণ করব, তিনি নিজের জীবনকে দেশের কাজে উৎসর্গ করেছিলেন।’’

    শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি ভবনের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা। লেখা হয়, আজ সদয়েব অটল স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি।

    শ্রদ্ধা জানালেন উপরাষ্ট্রপতি

    এদিন সদয়েব অটল স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও।

     

    বঙ্গ বিজেপির শ্রদ্ধা

    ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির অসংখ্য কার্যকর্তার পথ প্রদর্শক, আমাদের প্রেরণা ভারত রত্ন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী জীর প্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম।’’

    শ্রদ্ধা নিবেদন যোগী আদিত্যনাথের

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অটল বিহারী বাজপেয়ীকে নিয়ে সমাজ মাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘তিনি ছিলেন সুশাসনের প্রতীক। আমাদের প্রত্যেকের প্রেরণার স্রোত। একাধারে তিনি ছিলেন রাজর্ষি অন্যদিকে অজাতশত্রু। দেশকে সবার আগে অগ্রাধিকার দিতেন তিনি। তাঁর সম্পূর্ণ জীবন প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির কাছে এক দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।’’

    প্রথম অকংগ্রেসী প্রধানমন্ত্রী (Atal Bihari Vajpayee), যিনি সম্পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee Death Anniversary)। তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন। তার মধ্যে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এর আগে, ১৯৯৬ সালে তাঁর সরকার মাত্র ১৩ দিন টিকে ছিল। অন্যদিকে, ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯-এর মধ্যে ১৩ মাসের সরকারেরও নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় ভারতবর্ষে এক উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সংস্কার দেখা যায়। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেক সাহসী সিদ্ধান্তও তিনি নিতে পেরেছিলেন। তিনিই ছিলেন প্রথম অকংগ্রেসী প্রধানমন্ত্রী, যিনি সম্পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন (Atal Bihari Vajpayee)।

    বিজেপির প্রথম সভাপতি বাজপেয়ী

    ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) ছিলেন দলের প্রথম সভাপতি। ১৯৫৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের জন্য লোকসভায় নির্বাচিত হন অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee Death Anniversary) জনসঙ্ঘের প্রতীকে। পরবর্তীকালে জনসঙ্ঘের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি পালন করেন। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীকালে যোগদেন ১৯৭৭ গঠিত হওয়া জনতা সরকারে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এক সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে সারা দেশ তাঁকে আজও শ্রদ্ধা জানায়।

    বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 

    ১৯৫১ সালে ভারতীয় জনসঙ্ঘে যোগ দেন তিনি। দলের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে তাঁর বিশেষ স্নেহভাজন হয়ে ওঠেন। ১৯৫৩ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাশ্মীর অভিযান করেন, বাজপেয়ীও (Atal Bihari Vajpayee) তাঁর সঙ্গী ছিলেন। সেসময় বাজপেয়ীকে দিল্লি ফিরে যেতে বলেন জনসঙ্ঘের তৎকালীন সভাপতি। শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্য়ুর পরে জনসঙ্ঘের প্রসারের কাজে নিজেকে সঁপে দেন বাজপেয়ী।

    স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান

    ১৯৫৭ সালে লোকসভার সদস্য হওয়ার সঙ্গেই, সেবছর জনসঙ্ঘের সভাপতিও হন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা সংগ্রামেও অংশগ্রহণ করেছিলেন অটল বিহারী (Atal Bihari Vajpayee)। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশের হাতে ধরা পড়েন, ২৪ দিনের সংক্ষিপ্ত হাজতবাসও হয়। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরে লখনউয়ে আইন পড়তেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু আরএসএসের পত্রিকা সম্পাদনার ডাক পেয়ে পড়ায় ইতি টানেন তিনি।

    অটলের বক্তৃতায় মুগ্ধ হতেন নেহরু 

    প্রথমবার যখন বাজপেয়ী লোকসভায় যান, সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু। জানা যায়, রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও মুগ্ধ হয়ে বাজপেয়ীর বক্তৃতা শুনতেন নেহরু। কখনও কোনও লিখিত বক্তৃতা পাঠ করতেন না বাজপেয়ী। তাঁর বক্তৃতা ছিল শ্রুতি মধুর, আলঙ্কারিক হিন্দি এবং নাটকীয় অঙ্গভঙ্গিতে ভরা। ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জে তাঁর হিন্দি ভাষণ দুনিয়ার নজর কাড়ে। সেবারই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় শোনা গিয়েছিল হিন্দি পাঠ। ২০১৫ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share