Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • RSS: ‘‘দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা মানুষ ও তাঁদের প্রবণতাগুলিকে মনে রাখা প্রয়োজন’’, বললেন সুনীল আম্বেকর

    RSS: ‘‘দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা মানুষ ও তাঁদের প্রবণতাগুলিকে মনে রাখা প্রয়োজন’’, বললেন সুনীল আম্বেকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে নাম না করে কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। শনিবার ইন্দ্রপ্রস্থে জরুরি অবস্থা নিয়ে একটি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন এমন মানুষ ও তাঁদের প্রবণতাগুলিকে মনে রাখা প্রয়োজন।’’

    ১৯৭৫ সালে যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল তা বিদেশ থেকে আসেনি 

    প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৫০ সালে ভারতে সংবিধান গৃহীত হয় এবং দেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়। এ নিয়ে সুনীল আম্বেকরের মত হল, ‘‘ভারত সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ার মাত্র ২৫ বছরের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি হয়। ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও জনগণের মৌলিক অধিকারকে সে সময় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল।’’ তিনি আরও (RSS) বলেন, ‘‘১৯৭৫ সালে যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল তা কোনও বিদেশ থেকে আসেনি। কোনও বিদেশী শক্তি এর জন্য দায়ী ছিল না। বরং তা আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা করেছে।’’ শনিবার তিনি বক্তব্য রাখেন ইন্দ্রপ্রস্থের বিশ্ব সংবাদ কেন্দ্রে এবং সেখানেই এমন মন্তব্য করেন।

    দেশের সংবিধান জনগণকে স্বাধীনতা ও সমতার সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার প্রদান করেছে (National Emergency)

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) এই প্রবীণ প্রচারক, তাঁর নিজের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থার সময় আমি খুব ছোট ছিলাম। বহুবছর বিদ্যার্থী পরিষদের সঙ্গে কাজ করেছি। দেশের ছাত্ররা, স্বয়ংসেবকরা ও সমাজের মানুষ সবাই একত্রিত হয়ে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’’ এদিন তিনি উল্লেখ করেন, জরুরি অবস্থার সময় জনগণকে নানাভাবে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। দেশের সংবিধান জনগণকে স্বাধীনতা ও সমতার সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার প্রদান করেছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর বর্তমানে ৭৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আমাদের অবশ্যই সংবিধানকে মনে রাখতে হবে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Statistics Day: ২৯ জুন পালিত হল জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস, থিম ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ডেটার ব্যবহার’

    Statistics Day: ২৯ জুন পালিত হল জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস, থিম ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ডেটার ব্যবহার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিসংখ্যান বা রাশি বিজ্ঞান, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় স্ট্যাটিসটিক্স। এটি এক ধরনের গাণিতিক বিজ্ঞান (Statistics Day) যা মূলত বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা সংক্রান্ত পরিবেশন নিয়ে কাজ করে। পরিসংখ্যানের ব্যবহার রয়েছে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান সমেত আরও অন্যান্য শাখায়। প্রতি বছর ২৯ জুন পালন করা হয় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস। প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট থিম বেছে নেওয়া হয় এই দিনটির জন্য। ২০২৪ সালে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের থিম হল, ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ডেটার ব্যবহার’।

    মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল নয়া দিল্লির মানেকশ সেন্টারে 

    ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান দিবসের (Statistics Day) মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল নয়া দিল্লির মানেকশ সেন্টারে। প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন ১৬ তম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া। এছাড়াও হাজির ছিলেন জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাজীব লক্ষ্মণ করন্দিকর। এদিন কেন্দ্রীয় সরকার একটি eSankhiki পোর্টালও চালু করেছে।

    জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের ইতিহাস

    ভারতীয় পরিসংখ্যানের জনক প্রশান্ত চন্দ্র মহলানোবিসের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর ২৯ জুন পালন করা হয় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস। ১৮৯৩ সালের ২৯ জুন তাঁর জন্ম হয়। প্রশান্তচন্দ্র ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং পরিসংখ্যানবিদ (Statistics Day)। ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১৯৩১ সালে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। পরিসংখ্যান গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের জন্য এটিই হল অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৭ সালে পাইলট সমীক্ষার মতো যুগান্তকারী সমীক্ষায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রশান্তবাবু, যা বড় আকারে ডাটা সংগ্রহের পথ প্রশস্ত করেছিল। পদ্মবিভূষণ পুরস্কার বিজয়ী প্রশান্ত মহলনোবিসের অপরিসীম অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ২০০৭ সালে ২৯ জুন দিনটিকে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস হিসাবে ঘোষণা করে ভারত সরকার। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি পরিসংখ্যান দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: সিপিএমের ৭৩ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, দলটা কি লাটেই উঠে যাবে?

    ED: সিপিএমের ৭৩ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, দলটা কি লাটেই উঠে যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাটে ওঠার জোগাড় সিপিএম দলটার! বাংলায় হাতে গোণা দু’একজন বাদে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল সব বামপ্রার্থীর। আর কেরলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল লালপার্টির।শুক্রবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কেরলে (ED) দলের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি এও বলেছিলেন, “দলের আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন কোনও কার্যকলাপ হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে।”

    কী বলছে সিপিএম? (ED)

    দিল্লিতে একে গোপালন ভবনে যখন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে চলছিল কাটাছেঁড়া, সেই সময়ই খবর আসে সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি মামলায় দলের ৭৩ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি (ED)। এদিন দুপুরে কেরল সিপিএমের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয় একটি বিবৃতি। যার সারাংশ হল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এহেন পদক্ষেপ।

    একাধিক কেলেঙ্কারিতে নাম সিপিএমের

    গত কয়েকবছরে নানা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে কেরল সিপিএমের অনেক নেতার। এই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের পলিটব্যুরোর সদস্য পিনরাই বিজয়নের নামও। অভিযোগ, সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করে মেয়ে টি বীণার সংস্থাকে কোচি মিনারেল-সহ বিভিন্ন সংস্থায় কাজের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যে কেলেঙ্কারির জেরে বাজেয়াপ্ত হয়েছে সম্পত্তি, সেটি ত্রিশূরের কারুভান্নুর সমবায় ব্যাঙ্কের। এই ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে ছিল সিপিএম। অভিযোগ, বহু মানুষকে ভুয়ো ঋণ দেওয়া হয়েছে ওই ব্যাঙ্কের তরফে। অভিযোগ ওঠায় গত বছর তদন্ত শুরু করে ইডি।

    আর পড়ুন: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    এ পর্যন্ত ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। এবার সিপিএমেরও স্থানীয় একটি কমিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত রয়েছে ৬০ লাখ টাকা। ১৩ লাখ টাকার একটি জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ৭৩ লাখ টাকা। এই ব্যাঙ্ক থেকে যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই পার্টি ফান্ডে টাকা জমা দিয়েছিলেন। ইডির দাবি, এর পরিবর্তে সিপিএমের ত্রিশূর জেলা কমিটি ডোনেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করেছিল। সুবিধাভোগীদের বেতন থেকেও টাকা কাটা হয়েছিল। সোসাইটি কমিটির সদস্যরা যে বেআইনিভাবে ওই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন, তার মাধ্যমেও সংগ্রহ করা হয়েছে অর্থ (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arvind Kejriwal: তিহাড়েই কেজরিওয়াল, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত

    Arvind Kejriwal: তিহাড়েই কেজরিওয়াল, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনই মুক্তি নয়, জেলেই ঠিকানা দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের  (Arvind Kejriwal)। সিবিআই-এর (CBI) আর্জি মেনে আবগারি দুর্নীতি মামলায় শনিবার তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।

    সিবিআই-এর যুক্তি

    এই মামলার তদন্তকারী দল সিবিআই (CBI) জানিয়েছে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) হেফাজতে থাকা তদন্তের স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপ। এর আগে তিনদিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছিল কেজরিওয়ালের। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তদন্তের স্বার্থে তাঁদের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিচ্ছেন না কেজরিওয়াল। সিবিআই আরও জানায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। সাক্ষী এবং প্রমাণ নষ্ট করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে জামিন না দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। জেলে থাকাকালীনই আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারর দাবি, নতুন আবগারি নীতিতে কেন হোলসেলারদের প্রফিট মার্জিন পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে তারও কোনও যথাযথ ব্যাখ্যা নেই।

    আরও পড়ুন: “প্রতিদিন গুম হয়ে যাচ্ছে সাধারণ বালোচ নাগরিকরা” দাবি মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীনের

    সিবিআই-এর আর্জিতে সম্মতি

    চলতি সপ্তাহের সোমবার তিহাড় জেলে গিয়ে কেজরিকে (Arvind Kejriwal) জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার হিসাবে দেখানো হয়। তার পর পাঁচ দিনের হেফাজত চেয়ে বুধবার সিবিআই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আদালতে পেশ করে। সেই সময় দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট কেজরিকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠায়। শনিবার সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদিন কেজরিওয়ালকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অবকাশকালীন বিচারক সুনেনা শর্মা কেজরিওয়ালকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।  গত ২০ মে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু তিহাড় থেকে তিনি বের হওয়ার আগেই ইডি দিল্লি হাইকোর্টে গিয়ে জামিনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করে। জামিন নিয়ে টালবাহানার মধ্যেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন কেজরি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghar Wapsi in Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ১৪ জন মহিলা সমেত ৩০ জন মুসলিম ফিরলেন হিন্দু ধর্মে

    Ghar Wapsi in Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ১৪ জন মহিলা সমেত ৩০ জন মুসলিম ফিরলেন হিন্দু ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Ghar Wapsi in Madhya Pradesh) ৩০ জন মুসলিম ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে সনাতনে ফিরে এলেন। ইন্দোরের সামাজিক সংগঠন ‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চ’- এর সভাপতি শ্যাম পাওয়ারি এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘৩০ জন মানুষ ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন স্বেচ্ছায়। সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন। ইসলামকে ত্যাগ করেছেন। তাঁদের সনাতন ধর্মে ফিরে আসাটা সম্পূর্ণ আইনিভাবে বৈধ এবং তা ‘মধ্যপ্রদেশ রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাক্ট-২০২১’ অনুসারে হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত ৩০ জনের মধ্যে ১৪ জন মহিলা রয়েছেন।

    অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় ইন্দোরের বিখ্যাত খরজানা গণেশ মন্দিরে

    ‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চে’র সভাপতি পাওয়ারি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা ইন্দোরে থাকতেন। কিছু জনের পূর্বপুরুষ পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে (Ghar Wapsi in Madhya Pradesh) বাস করতেন। তাঁরা সকলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। প্রসঙ্গত, সনাতন ধর্মে ফিরে আসার এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় ইন্দোরের বিখ্যাত খরজানা গণেশ মন্দিরে।

    অনুষ্ঠানটিতে হাজির ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারাও

    ইন্দোরের ওই গণেশ মন্দিরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হয়। রীতি মেনে প্রত্যেকে সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে ছিলেন ৩৪ বছর বয়সী নিলফার যিনি পরিচিত হলেন নিকিতা নামে। অন্যদিকে, ৩৪ বছর বয়সী আকসার তিনি পরিচিত হলেন আকাঙ্ক্ষা নামে। গোটা অনুষ্ঠানটিতে হাজির ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারাও। তাঁরা বলেন, ‘‘যাঁরা ইসলামকে পরিত্যাগ করে সনাতন ধর্মকে গ্রহণ করলেন, তাঁদের মধ্যে একটি বালক ছিল যার নাম রোহিত। কয়েক বছর আগেও সে হিন্দু ছিল। কিন্তু তাকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তকরণ করা হয়। পুনরায় সে সনাতন ধর্মে ফিরে এল।’’ তবে এটাই নতুন বা প্রথম নয়। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ওই একই মন্দিরে ৯ জন মুসলিম ইসলামকে পরিত্যাগ করে সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন।

    কী বলছে প্রশাসন? (Ghar Wapsi in Madhya Pradesh)

    ‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চে’র সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকেরই সনাতন ধর্মে ফিরে আসাটা আইনিভাবে বৈধ। তাঁরা কোর্টে এফিডেফিট জমা করেছেন। ৩০ জন মুসলিমের সনাতন ধর্মে ফিরে আসার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসনও। এর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন (Madhya Pradesh) আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি যেখানে বলা হচ্ছে, কোনও রকম চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ওই মুসলিমরা হিন্দু হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • FATF: মিউচুয়াল ইভলিউশনের ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং আউটকাম ভারতের, স্বীকৃতি এফএটিএফ-র

    FATF: মিউচুয়াল ইভলিউশনের ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং আউটকাম ভারতের, স্বীকৃতি এফএটিএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে মিউচুয়াল ইভলিউশনের ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং আউটকাম ভারতের। মিউচুয়াল ইভলিউশনের আয়োজন করেছিল ফাইনানসিয়াল অ্যাকশান টাস্ট ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)। ২৬ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে এফএটিএফ প্লেনারি হয়েছিল। সেখান থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেছে মিউচুয়াল ইভলিউশান।

    কোন ক্যাটেগরিতে ভারত (FATF)

    এই প্লেনারিতেই ‘রেগুলার ফলোআপ’ ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে ভারতকে। জি২০-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে মাত্র চারটি দেশকে এই ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে ভারত যে চেষ্টা করছে, সেই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইল ফলক। এই বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছে (FATF), অর্থ তছরুপ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রুখতে ভারত যে ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এফএটিএফ।

    ঝুঁকি কমেছে অর্গানাইজড ক্রাইমের ক্ষেত্রেও 

    প্রতারণা, দুর্নীতি এবং অর্গানাইজড ক্রাইমের ক্ষেত্রেও এতে কমেছে ঝুঁকি। বর্তমানে দেশ নগদ ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে। এর ফলেও অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি কমছে। জনধন, আধার এবং মোবাইল এই তিন মাধ্যমেও নগদের পরিবর্তে বাড়ছে ডিজিটাল লেনদেন। এর ফলেও হ্রাস পাচ্ছে অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি।এফএটিএফ মিউচুয়াল ইভলিউশনে ভারতের পারফরমেন্স দেশের গ্রোয়িং অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিরাট সুবিধা দিচ্ছে। এটা দেশের স্থায়ী এবং মজবুত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও হাইলাইট করছে। অর্থমন্ত্রকের মতে, এই উচ্চ হার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মার্কেট এবং প্রতিষ্ঠানের স্বরূপ চিনতে সাহায্য করে, বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ভারতের দ্রুত পেমেন্ট সিস্টেমে বৈশ্বিক প্রসারকে সমর্থন করে।

    আর পড়ুন: ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত, বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট

    এফএটিএফের এই স্বীকৃতি আদতে অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নে এতদিন পর্যন্ত ভারতের ওপর যে হুমকি ছিল, তার বিরুদ্ধে সরকার যে কঠোর এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে, তাকে সমর্থন করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির ক্ষেত্রেও এটা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কালো টাকা উদ্ধারে, অর্থ তছরুপ রুখতে এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে ২০১৪ সাল থেকে ভারত সরকার (মোদি জমানা) যে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে, এফএটিএফ আদতে তাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে বলেই ধারণা অর্থনীতিবিদদের (FATF)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: পরীক্ষায় গণ-টোকাটুকিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন অখিলেশ, স্বচ্ছতা এনেছে যোগী সরকার

    Yogi Adityanath: পরীক্ষায় গণ-টোকাটুকিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন অখিলেশ, স্বচ্ছতা এনেছে যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘পরীক্ষায় পাস করতে কে না টুকলি করে!’’ পাঠক বিশ্বাস করুন কি না করুন! ঠিক এটাই ছিল উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের বিবৃতি। তাঁর এই মন্তব্যেই প্রতিফলিত হয়, সমাজবাদী পার্টির আমলে রাজ্যের সংস্কৃতি ঠিক কেমন ছিল। উত্তরপ্রদেশে ঠিক এমন অপসংস্কৃতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন একদা মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) ও তাঁর পরিবার।

    পরীক্ষায় নকল, এমন সংস্কৃতি পিতার কাছেই শিখেছিলেন অখিলেশ

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে সমগ্র রাজ্যে পরীক্ষায় টুকলি করা এক প্রকার রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যে কোনও বোর্ডের পরীক্ষায় গণ-টোকাটুকির ছবিই ধরা পড়ত। তা ছিল সম্পূর্ণ বৈধ। অখিলেশ যাদব এবং তাঁর পিতা মুলায়ম সিং যাদব প্রকাশ্যেই মন্তব্য করতেন যে পরীক্ষা ব্যবস্থায় টুকলি করা কোনও অপরাধ নয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিজেদের বক্তব্য রাখার সময় প্রকাশ্যেই গণ-টোকাটুকিকে সমর্থন করতেন অখিলেশ। উত্তরপ্রদেশের একদা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমন সংস্কৃতি তাঁর পিতার কাছ থেকেই শিখেছিলেন। ১৯৯৩ সালে মুলায়ম সিং যাদব উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হলে তিনি পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের আনা পরীক্ষায় ‘নকল বিরোধী আইন’কে সরিয়ে দেন।

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) ক্ষমতায় আসার পরেই এমন চিত্র বদলে যেতে শুরু করে

    ১৯৯৩ সালে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে মুলায়ম সিং যাদব প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি জিতলে, প্রথম যেটা করবেন সেটা হচ্ছে ‘অ্যান্টি কপি ল’কে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দেবেন। তিনি এই কাজটাই করেছিলেন। শপথ নেওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত কার্যকরও করেন। পরীক্ষা ব্যবস্থায় নকলের কথা বলতে তাঁর এতটুকু লজ্জাবোধও হত না। উত্তরপ্রদেশে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কেউ এর প্রতিবাদও জানাননি। উত্তরপ্রদেশের নাম সারা ভারতেই খারাপ হয়ে গিয়েছিল সমাজবাদী পার্টির শাসনে। ছাত্রদেরও সারাদেশে নীচু চোখে দেখা হত। কারণ উত্তরপ্রদেশের টুকলি করা ছিল একেবারে বৈধ। এরপরে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পরে উত্তরপ্রদেশের টুকলি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হন। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশে পরীক্ষায় চিটিং-এর ওপর সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের পাশ করানো হত মোটা টাকার বিনিময়ে। সরবরাহ করা হত টুকলি। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পরেই এমন চিত্র বদলে যেতে শুরু করে।

    যোগী (Yogi Adityanath) রাজ্যে সব পরীক্ষা কেন্দ্রে বসেছে সিসিটিভি 

    এমন কিছু জায়গাকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বাছা হত সমাজবাদী পার্টির আমলে, যেখানে গণ টোকাটুকি চলত। যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতা আসার পরেই কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করেন। সেগুলিকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বাতিল বলে ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু হয়। যে সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কোনও সীমানা ছিল না, সেখানে দেওয়াল দেওয়ার কাজও শুরু হয়। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাও ঘটত, সমাজবাদী পার্টির আমলে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তা রোধ করা গিয়েছে।

    অখিলেশের ডিগ্রি কেলেঙ্কারী

    এর পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার উত্তরপ্রদেশে অভ্যুদয় প্রকল্প এনেছে। যেখানে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের সহজেই আইএএস, আইপিএস, বিসিএস, এনডিএস, নিট এবং জয়েন্ট এন্টাসের মতো পরীক্ষার কোচিং বিনামূল্যে দেওয়া হয়। নিজের ডিগ্রি হিসেবে অখিলেশ বারবার দাবি করতেন যে তিনি নাকি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে মনোনয়নের সময় এগুলোকে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। জানা যায়, অস্ট্রেলিয়া থেকে কোর্স সম্পূর্ণ না করেই তিনি ফিরে এসেছিলেন। অন্যদিকে এমনটাই দেখা যায় লালু প্রসাদ যাদবের ক্ষেত্রেও। তাঁর কন্যা মিশা ভারতী টাটা মেডিক্যাল কলেজের মতো একটা বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পান শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা হওয়ার সুবাদে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত, বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট

    Indian Economy: ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত, বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির যেখানে হাঁড়ির হাল, সেখানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্রমেই উন্নতির শিখরে উঠছ ভারত (Indian Economy)। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। দেশ যে অচিরেই জাপানকে সরিয়ে চতুর্থ স্থান দখল করবে, সে বিষয়ে আশাবাদী অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশ।

    কী বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট (Indian Economy)

    এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও জানিয়ে দিল ভারতের অর্থনীতি এবং ফাইনানসিয়াল সিস্টেম দাঁড়িয়ে রয়েছে মজবুত ভিতের ওপর। ভারতের এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২৭ জুন প্রকাশ করে ২৯তম ফাইনানসিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট (Indian Economy)। সেখানেই জানা যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতির ভিত্তি যথেষ্ঠ মজবুত। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই রিপোর্টেই প্রকাশ, ভারতের তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, বাড়ছে লভ্যাংশ। এর পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পেয়েছে নন পারফর্মিং অ্যাসেটসের পরিমাণ।

    ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অর্থনীতি

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির গ্রস নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও এবং নেট নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও একধাক্কায় কমে গিয়েছে অনেকখানি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হ্রাসের পরিমাণ যথাক্রমে ২.৮ এবং ০.৬ শতাংশ। যার জেরে মজবুত হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, ক্যাপিটেল টু রিস্ক-ওয়েট অ্যাসেটস রেসিও এবং কমন ইক্যুয়ালিটি টায়ার ওয়ান রেসিও দাঁড়িয়ে রয়েছে যথাক্রমে ১৬.৮ শতাংশ এবং ১৩.৯ শতাংশে।

    আর পড়ুন: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনানসিয়াল কোম্পানিগুলির পারফরম্যান্সও চোখ ধাঁধানো। এদের ক্যাপিটেল টু রিস্ক ওয়েড অ্যাসেটস রেসিও দাঁড়িয়েছে ২৬.৬ শতাংশে, গ্রস নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও দাঁড়িয়েছে ৪ শতাংশে। মার্চের শেষে রিটার্ন অন অ্যাসেটসের পরিমাণ হয়েছে ৩.৩ শতাংশ। এই সব পরিসংখ্যানই জানিয়ে দেয় ভারতীয় অর্থনীতির মজবুত ভিতের কথা।

    ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের চতুর্থ বা শেষ ত্রৈমাসিকে এই প্রথমবার ভারতের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস দাঁড়িয়েছে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার, যেটাকে অন্যভাবেও বলা যায় যে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস দাঁড়িয়েছে জিডিপির ০.৬ শতাংশ। এই বৃদ্ধি পূর্বতন ত্রৈমাসিকের তুলনায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ সেইসময়ে (Indian Economy) কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে ডেফিসিট ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kerala: কেরলের পালাক্কাদ উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি, কেমন হবে ভোটের সমীকরণ?

    Kerala: কেরলের পালাক্কাদ উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি, কেমন হবে ভোটের সমীকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে, কেরলের (Kerala) দুটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুটি কেন্দ্রের মধ্যে সকলের দৃষ্টি পালাক্কাদের দিকে। এই কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয়বারের মতো রাজ্যে বিধায়ক নির্বাচন করার একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেতে পারে। এর আগে, ২০১৬ সালে, দলের প্রবীণ নেতা ও রাজাগোপাল নেমোম থেকে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছিলেন। আসুন জেনে নিই কেমন অবস্থানে রয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির সম্ভাবনা (Kerala)

    পালাক্কাদে (Kerala) বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হয় কারণ বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর এখানে শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ফল বেশ ভালো ছিল। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভাদাকারা থেকে কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক শফি পারম্বিলের জয়ের কারণে এই উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। বিজেপি, ২০২১ এবং ২০১৬ উভয় ক্ষেত্রেই পালাক্কাদে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল। উল্লেখ্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছিল। আবার পারম্বিলে বিজেপির ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরনকে মাত্র ৩,৮৫৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল। কংগ্রেস ৩৮.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, যেখানে বিজেপি ৩৫.৩৪ শতাংশ এবং সিপিআই(এম) ২৫.৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আবার ২০১৬ সালে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এবং সিপিআই(এম)-এর মধ্যে ব্যবধান আরও কম ছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪১.৭৭ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেয়ছিল ২৯.০৮ শতাংশ এবং সিপিআই(এম) পেয়েছিল ২৮.০৭ শতাংশ ভোট।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেমন ফল ছিল?

    কেরলে (Kerala) ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি আবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কংগ্রেস প্রার্থী ভি কে শ্রীকন্দন পেয়েছেন ৫২৭৭৯ ভোট, আর বিজেপির সি কৃষ্ণকুমার পেয়েছেন ৪৩০৭২ ভোট। সিপিআই(এম) এর এ বিজয়রাঘবন পেয়েছেন ৩৪৬৪০ ভোট।

    উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী

    কেরল (Kerala) বিজেপি এখনও উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই করেনি, তবে দল সি কৃষ্ণকুমার বা শোভা সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। শোভা ২০১৬ সালে পালাক্কাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং আলাপ্পুঝাতে দলের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করিয়েছিলেন। কংগ্রেস নেতা কে মুরলীধরনের বোন এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের মেয়ে পদ্মজা ভেনুগোপালের নামও আলোচনায় রয়েছে। সম্প্রতি তিনিও বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

    চ্যালেঞ্জ ও কৌশল

    যদিও কেরলে (Kerala) বিজেপির অবস্থান ভালো মনে হচ্ছে, তবে সবকিছু সহজ নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সংখ্যালঘু ভোট, বিশেষ করে মুসলিম ভোট। গত নির্বাচনে, শ্রীধরনের ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে বিজেপি প্রচুর ভোট পেয়েছিল। তবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায়, এই ফ্যাক্টরটি এবার থাকবে না। অতএব, বিজেপিকে দ্বিতীয়স্থান থেকে বিজয়ী হতে গেলে সিপিআই(এম)-র হিন্দু ভোটের দিকে গুরুত্বপূর্ণ নজর দিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপর চিন্তা

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, “কেরলে (Kerala) বিজেপির পক্ষে একটি নতুন মুখ উপস্থাপন করা ভাল হবে। কারণ ভোটাররা কৃষ্ণকুমারকে নিয়ে ক্লান্ত। শোভা সুরেন্দ্রনের জন্য, আলাপুজায় ফোকাস করা পক্ষে ভাল হতে পারে। তিনি কায়মকুলাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, কারণ এখানে দল ভাল পারফর্ম করেছে। কংগ্রেস প্রার্থী করতে পারে রাহুল মামকুতাথিলকে, যিনি রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তবে, এমনও জল্পনা রয়েছে যে ভিটি বলরামকে প্রার্থী করা হতে পারে। তিনি অবশ্য পালাক্কাদ জেলার থ্রিথালা থেকে দুবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    Ladakh: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ি নদী পার হতে গিয়েই বিপত্তি। হড়পা বানে ভেসে গেলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক। ঘটনায় পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু। এঁদের মধ্যে একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার, বাকি চারজন জওয়ান। শুক্রবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী দৌলত বেগ ওল্ডি এলাকায়। মৃত জওয়ানদের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা।

    হড়পা বানে বিপত্তি (Ladakh)

    জানা গিয়েছে, এদিন টি-৭২ ট্যাঙ্কে চড়ে নদী পার হচ্ছিলেন ওই জওয়ানরা (Ladakh)। রাতের অন্ধকারে কীভাবে পাহাড়ি নদী পার হতে হয়, চলছিল তারই অনুশীলন। হঠাৎই নদীতে চলে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে যায় ট্যাঙ্কটি। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। একে একে উদ্ধার হয় পাঁচজনেরই দেহ। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটে লাদাখ থেকে ১৪৮ কিলোমিটার দূরে মন্দির মোড় এলাকায়।

    হড়পা বানে আগেও ভেসেছেন জওয়ান

    গত বছর জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই জওয়ানের। কাকতালীয়ভাবে সেই দিনটিও ছিল শনিবার। সেনা সূত্রে খবর, সেদিন সুরানকোট এলাকার দগরা নালা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন নায়েব সুবেদার কুলদীপ সিং এবং সিপাই তেলু রাম। সেই সময়ই চলে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে যান দুই জওয়ানই। পরে দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের।

    আর পড়ুন: সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    কৌশলগতভাবে লাদাখের গুরুত্ব ভারত এবং চিন দুই দেশের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বছরভর এখানকার তাপমাত্রার পারদ নীচের দিকে থাকলেও, শত্রুর চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। এজন্য তাঁদের পার হতে হয় কঠোর অনুশীলন-পর্ব। এই অনুশীলন-পর্বের মধ্যেই রয়েছে রাতের অন্ধকারের বুক চিরে কীভাবে চালাতে হয় ট্যাঙ্ক, কীভাবেই বা পার হতে হয় পাহাড়ি নদী। সমস্তরকমের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও শত্রুর মোকাবিলা কীভাবে করতে, তাও শেখানো হয় জওয়ানদের। এদিন গভীর রাতে সেরকমই এক প্রশিক্ষণ-পর্ব চলাকালীন ঘটে দুর্ঘটনা। যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জওয়ানের (Ladakh)।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share