Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Vrindavan: বৃন্দাবনে ২০০ বছরের পুরানো রাম-সীতার জরাজীর্ণ দোলনা সারাবেন মুসলিম কারিগর

    Vrindavan: বৃন্দাবনে ২০০ বছরের পুরানো রাম-সীতার জরাজীর্ণ দোলনা সারাবেন মুসলিম কারিগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ বছর পুরনো বৃন্দাবনের (Vrindavan) রাম সীতার দোলনা। দোলনায় লাগানো পুরনো কাঠের নকশা ও পালিশের মেরামত প্রয়োজন। জীর্ণ এই দোলনার সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই দোলনা সারানোর (Ram Sita Cradle) জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাহারানপুরে। রাম সীতার দোলনা সারাবেন কাঠমিস্ত্রি আসাদ খান। জরাজীর্ণ এই দোলনা সারানোর পর ভক্তরাও চাক্ষুষ করতে পারবেন এই দোলনা।

    পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী আসাদ

    কাঠের অসাধারণ কাজের কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী আসাদ খান। তিনি বহু ঐতিহ্যবাহী মন্দির ও মসজিদের দরজার প্রস্তুতির কাজও করেছেন। আসাদ জানিয়েছেন এই দোলনাটি মেরামত করলে আগামী ৫০০ বছর তা মন্দিরে এভাবেই থেকে যাবে। এই মুহূর্তে দোলনার সমস্ত অংশ খুলে আলাদা করে রাখা হয়েছে। সমস্ত অংশ মেরামত করে যখন দোলনাটি আগের রূপে ফিরিয়ে আনা হবে তখন দেখে সবাই চমকে যাবেন বলে তাঁর দাবি।

    পৌরাণিক কাহিনী

    জানা যায় হোলির পবিত্র উৎসবে প্রতি বছর সাজানো হয় রাম সীতার এই দোলনা। হোলির উৎসবে যখন গোটা বৃন্দাবন আবিরের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে তখন এই দোলনাটিকেও বিভিন্ন ফুলের দিয়ে সাজিয়ে করা হয় এবং তাতে বসানো হয় রাম সীতার বিগ্রহ। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এখানে হোলি উৎসব পালিত হয়। ভারতের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভক্তরা আসেন। মথুরা ও বৃন্দাবনের হোলি দেখার মত হয়। মথুরার হোলির নেপথ্যে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনী। কথিত আছে রাধারানির পিতা বৃষভানু শ্রীকৃষ্ণের পিতা নন্দ মহারাজকে হোলি খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রায় এআই ক্যামেরায় নজরদারি, সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ড

    বরসানার গোপীরা হোলির আমন্ত্রণ নিয়ে নন্দের গ্রামে যান। কৃষ্ণের বাবা নন্দলাল আনন্দে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে নেন। আমন্ত্রণ দিতে আসা সমস্ত মানুষকে লাড্ডু দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়। আর সেই থেকেই এখানকার হোলিকে লাড্ডু হোলিও বলা হয়। পৌরাণিক উপাখ্যান অনুসারে দ্বাপর যুগে হোলি খেলার প্রথা শুরু হয়েছিল। সেই সময় মথুরায় বসবাসকারী কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে রাধার গ্রাম বরসানায় যেতেন এবং গোপীদের সঙ্গে লীলা করতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Droupadi Murmu: কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই বুলেট ট্রেনের প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করবে, জানালেন দ্রৌপদী মুর্মু

    Droupadi Murmu: কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই বুলেট ট্রেনের প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করবে, জানালেন দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই ভারত জুড়ে বুলেট ট্রেনের প্রকল্পকে পর্যালোচনা করবে। একই সঙ্গে সেগুলিকে বাস্তবায়নের কাজে সবরকম সমীক্ষাকে দ্রুত গতি প্রদান করা হবে। সরকার দেশের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব প্রান্তে বুলেট ট্রেন করিডোরের জন্য সম্ভাব্য পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) ভাষণে উল্লেখ করে এই কথা বলেছেন। কীভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসাবে রেল পরিষেবাকে আরও গ্রহণযোগ্য, আধুনিক এবং নিরাপদ করা যায়, এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তিনি। উল্লেখ্য এদিন রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের পরে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় ১৯৭৫ সালের জাতীয় জরুরি অবস্থার কালা অধ্যায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

    কী বলেছেন রাষ্ট্রপতি (Droupadi Murmu)?

    দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) বলেছেন, “ভারত দ্রুত উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও দ্রুতগতি প্রদান করা হচ্ছে। আমার সরকার দেশের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বে বুলেট ট্রেন করিডোরের জন্য সম্ভাব্য সমীক্ষা এবং অধ্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলে আমেদাবাদ এবং মুম্বইয়ের মধ্যে চলমান হাই-স্পিড বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুই শহরের মধ্যে হাই-স্পিড রেলের পরিকাঠামোর কাজও দ্রুত গতিতে সম্পাদন করা হচ্ছে। ৫০৮ কিমি আমেদাবাদ-মুম্বই হাই-স্পিড করিডোরটি দেশের প্রথম একটি বুলেট ট্রেন হবে, যা ৩২০  কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলবে। পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ২ ঘন্টা ৭ মিনিট। মুম্বই থেকে আমেদাবাদের মধ্যে মধ্যবর্তী স্টপেজ হবে সুরাট, ভাদোদরা।”

    আরও পড়ুনঃ বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিল ভারত

    আর কী বললেন?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) এদিন আরও বলেছেন, “ন্যাশনাল হাই-স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড এই বুলেট ট্রেনের রেল প্রকল্পটি নির্মাণ করছে। ২০২৬ সালের অগাস্টের মধ্যে সুরাট এবং বিলিমোরার মধ্যে তার প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে বিশ্বের অন্যতম সেরা করার জন্য সরকারের এই প্রচেষ্টা। গত ১০ বছরে দেশের মোট ২১টি শহরে মেট্রো পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। বর্তমানে বন্দে মেট্রোর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিল ভারত

    India: বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও সামরিক সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিল ভারত। জানা গিয়েছে সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে এবার থেকে বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণের (Training of Foreign Military) ব্যবস্থা করছে ভারত (India)। নৌযান হোক কিংবা পদাতিক দক্ষতা। অস্ত্র চালোনা থেকে ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন কিংবা সুপারসনিক ফাইটার জেটের মত দায়িত্বগুলি পরিচালনা করার জন্যই মূলত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। 

    কীভাবে হবে প্রশিক্ষণ? (Training of Foreign Military) 

    উদাহরণ স্বরূপ বলা জেতে পারে যে, ঠিক যেভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কাতার এবং বাহরাইনের মতো উপসাগরীয় দেশগুলিতে চলমান সামরিক আউটরিচের অংশ হিসাবে ৭৬ জন সৌদি ক্যাডেট এখন কোচিতে সাউদার্ন নেভাল কমান্ডে (SNC) সমুদ্র প্রশিক্ষণ (Training of Foreign Military) শুরু করেছে, ঠিক সেভাবেই প্রশিক্ষণ দেবে ভারত (India)। জানা গিয়েছে, রয়্যাল সৌদি নেভাল ফোর্সেস (RSNF) এর কিং ফাহাদ নেভাল একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীরা চার সপ্তাহের জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম প্রশিক্ষণ স্কোয়াড্রনে যোগ দিয়েছে।  
    এ প্রসঙ্গে এক কর্মকর্তা বলেছেন, “পাঠ্যক্রমের একেবারে ভীত সীম্যানশিপ ক্রিয়াকলাপ থেকে শুরু করে হারবার পর্বের সিমুলেটর-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ পর্যন্ত সবই শেখানো হবে।” গত বছর মে-জুন মাসে প্রথম ৫৫ জন ক্যাডেটকে প্রশিক্ষন দেওয়ার পর এটি দ্বিতীয় আরএসএনএফ ব্যাচ। 

    আরও পড়ুন: ধূলোয় উড়ত সোনা! কোলারে ফের সোনার খনি চালুর চিন্তা কেন্দ্রের

    সামরিক সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে বিশেষ সিদ্ধান্ত ভারতের 

    এ প্রসঙ্গে অন্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতি বছর ১০০ টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ৩,১০০ জন বিদেশী কর্মীকে প্রশিক্ষণ (Training of Foreign Military) দেয়, যার মধ্যে আফ্রিকান দেশগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মিজোরামের প্রতিষ্ঠানগুলিকেও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে ভারত। আসলে এধরনের প্রশিক্ষণগুলি প্রদানের মাধ্যমেই ভারত (India) এশিয়ান দেশগুলির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক গভীরতর করে চলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • KGF: ধূলোয় উড়ত সোনা! কোলারে ফের সোনার খনি চালুর চিন্তা কেন্দ্রের

    KGF: ধূলোয় উড়ত সোনা! কোলারে ফের সোনার খনি চালুর চিন্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার ‘খনির শ্রমিক হয়েও কানাকড়ি নাই’! একদা সোনার আঁতুরঘর কর্নাটকের কোলার গোল্ড ফিল্ড (KGF) এখন শূন্য-মরুপ্রায়। যেখানে একদা সোনালি আভা চিকচিক করত সেখানে এখন শুধুই অন্ধকার। সোনার খনির লক্ষাধিক শ্রমিকের ঘরে এখন ‘নুন আন্তে পান্তা ফুরোয়’। কাজ নেই, খাবার নেই, জল নেই, জীবনধারণের নূন্যতম পরিষেবা পেতে তাঁদের যেতে হয় ১০০ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরুতে। ২০০১ সালে বন্ধ হয়েছিল সোনার খনি। কেটে গিয়েছে দু দশকের বেশি সময়। প্রতিদিন অবহেলাই সঙ্গী হয়েছে কোলারের। ক্ষমতায় এসেই কোলার নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। অবশেষে তা বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। কোলারে ফের সোনার খনি চালু করার কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কর্নাটক (Karnataka) সরকার।

    কোলারে সোনার খনি নিয়ে প্রস্তাব

    সুপারস্টার যশের কেজিএফ (KGF) সিরিজের দুটি ছবি কর্নাটকের কোলারে অবস্থিত সোনার খনির উপর ভিত্তি করে তৈরি। সেখানকার অতীত ও বর্তমানের কিছু অংশ ফুটে উঠেছিল সিনেমায়। বাস্তবের সেই ‘সোনার শহর’-কে ভুলতেই বসেছিল মানুষ। এবার তার পুনরুত্থানের স্বপ্ন দেখছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কোলারে সোনার খনি আবার নতুন করে চালু করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। গত সপ্তাহে কেজিএফ-এর খনি নতুন করে খোলার কেন্দ্রীয় প্রস্তাবে সায় মিলেছে কর্নাটক সরকারের তরফে। পাশাপাশি কেজিএফ-এর হাজার একর জুড়ে থাকা ১৩টি খনি বর্জ্যের পাহাড় নিলামে তোলার প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে ওই রাজ্যের সরকার। অনুমান করা হয়, কোলারে (KGF) এর ১৩টি বর্জ্য পাহাড়ে প্রায় ৩.৩০ কোটি টন নিষ্কাশিত বর্জ্য পড়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রতি এক হাজার বর্জ্যের পক্রিয়াকরণ করলে এক গ্রাম করে সোনা মিলবে।

    কোলার ঘিরে নতুন আশা

    কেজিএফের (KGF) খনিগুলি ‘ভারত গোল্ড মাইনস লিমিটেড’ (বিজিএমএল) সংস্থার মালিকানাধীন। বিজিএমএল একটি সরকারি সংস্থা, যা ১৯৭২ সালে কেজিএফে তৈরি করা হয়েছিল। তবে কেজিএফ খনির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই গুরুত্ব হারায় এই সংস্থা।সোনার অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সালে কেন্দ্রের তরফে বিজিএমএল-সহ পুরনো খনিগুলি আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সেই মতোই কেন্দ্রের তরফে কেজিএফ চালু করতে কর্নাটক সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্র। কর্নাটকের (Karnataka) আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এইচকে পাতিল জানিয়েছেন, কেজিএফ খনি নতুন করে চালু হলে বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরির সুযোগ পাবেন। 

    আরও পড়ুন: বালিকা বধূ রূপা এখন ডাক্তার! মাত্র ৮ বছরে বিয়ে, দুই সন্তানের মা অবশেষে স্বপ্নপূরণ

    কীভাবে বন্ধ হল কোলার

    ১৮৭৫ সালে কোলারে সোনার খনি (KGF) গড়ে তোলে ব্রিটিশরা। ১৯৩০ সালে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কোলার গোল্ড ফিল্ডে কাজ করতেন। ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতার পর কেন্দ্রীয় সরকার এটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সময়ে বেশির ভাগ খনির মালিকানা তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের হাতে। কিন্তু ব্রিটিশরা বিপুল পরিমাণ সোনা দ্রুত তুলে নেওয়ায় ধীরে ধীরে কোলারে সোনার পরিমাণ কমতে থাকে। এককালে যেখানে এক টন আকরিক থেকে অন্তত ৪৫ গ্রাম সোনা পাওয়া যেত, সেখানে প্রতি টনে তিন গ্রাম করে সোনা মেলে। পরিকল্পনার অভাবে বিপুল পরিমাণ লোকসানের পর কর্নাটকের (Karnataka) কোলার গোল্ড ফিল্ড ২০০১ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তরপর থেকে ভারতের উপর সোনার আমদানির বোঝাও বেড়ে যায়। এবার সেই খনির হৃত গৌরব ফেরানোর চেষ্টায় কেন্দ্র সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra 2024: পুরীর রথযাত্রায় এআই ক্যামেরায় নজরদারি, সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ড

    Rath Yatra 2024: পুরীর রথযাত্রায় এআই ক্যামেরায় নজরদারি, সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা। ৭ জুলাই রথযাত্রা। পুরীতে জোরকদমে চলছে রথ নির্মাণের (Rath Yatra 2024) কাজ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা উৎসবে হাজির হন। কাঠের রথ তৈরি করেন স্থানীয় শিল্পীরাই। জানা গিয়েছে, এবার রথযাত্রায় নিরাপত্তার স্বার্থে এআই ক্যামেরার মাধ্যমে চালানো হবে নজরদারি। পাশাপাশি সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ডও থাকছে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের সোমবারই পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ছত্তিষা নিজগ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৬ জুলাই মধ্যরাত থেকেই শুরু হয়ে যাবে মঙ্গলা-আরতি। রথের দিন ভোর ৪টে-তে হবে নেত্র বন্দোপনা। সকাল ১১টায় হবে রথ প্রতিষ্ঠা। এরপর প্রথা অনুযায়ী, পহন্দি প্রথা পালিত হবে ওইদিন দুপুর ১টা বেজে ১০ মিনিটে। ছেরাপহরা হবে বিকেল ৪টের সময়। ৭ জুলাই বিকাল ৫টা থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। ওই সময় থেকেই রথের রশিতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন ভক্তরা।

    পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

    পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে। যেকোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এআই-এনাবেল্ড সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি (Rath Yatra 2024) পুরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও এলাকায় বসানো থাকবে বলে জানা গিয়েছে। রথ উৎসবের সময় পকেটমারি সহ একাধিক ধরনের দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বেড়ে যায়। এআই-এনাবেল্ড সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ সহজ হবে বলে মনে করছে পুলিশ। প্রশাসনের তরফে এর জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করা হবে।

    সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ড

    এর পাশাপাশি উৎসবের সময় প্রবল গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য ১০০ অস্থায়ী বেডের ব্যবস্থা থাকবে পুরীতে। সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ড চালুর পরিকল্পনা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। আসল সেবায়িত ও সেবায়িতের বেশধারী ব্যক্তিদের আলাদা করতেই এই ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রথ নির্মাণে কাজে যক্ত দলের এক সদস্য বালকৃষ্ণ মোহরানা বলেন, ‘‘জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি রথ তৈরি করা হয়েছে (Rath Yatra 2024)। জগন্নাথের রথে ১৬টি চাকা, বলরামের রথে ১৪টি চাকা ও সুভদ্রার রথে ১২টি চাকা থাকে। নয়াগড়ের দাসপাল্লার জঙ্গল থেকে প্রতিবছর নতুন কাঠ নিয়ে আসা হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat Yojana: সত্তরোর্ধ্ব নাগরিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে, জানালেন রাষ্ট্রপতি

    Ayushman Bharat Yojana: সত্তরোর্ধ্ব নাগরিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে, জানালেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সংসদে যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নিজের ভাষণে রাষ্ট্রপতি সরকারের বিনামূল্যে দেওয়া স্বাস্থ্য পরিষেবার কথা উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, ৫৫ কোটি মানুষ আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা ইতিমধ্যে পান। এর সঙ্গে জুড়ছে সত্তরোর্ধ্ব মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা (Ayushman Bharat Yojana)। এদিন তাঁর ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বর্তমানে প্রায় ৫৫ কোটি ভারতবাসী আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পান। কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিসর আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এখন থেকে সত্তরোর্ধ্ব সকল ভারতবাসী এই যোজনার আওতায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন।”

    দেশ জুড়ে প্রায় ২৫ হাজার জনৌষধি কেন্দ্র খোলার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে 

    তিনি আরও জানান, দেশ জুড়ে প্রায় ২৫ হাজার জনৌষধি কেন্দ্র খোলার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, দেশের ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের মধ্যে মাত্র কুড়ি শতাংশ মানুষই বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিমার (Ayushman Bharat Yojana) সুবিধা পান। এই বিমাগুলির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের বিমা যোজনা। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা, কো-অপারেটিভ হেলথ ইন্সুরেন্সও রয়েছে।

    দেশের কয়েক কোটি গরিব মানুষ উপকৃত হবেন

    কিন্তু মোদি সরকারের আয়ুষ্মান ভারত যোজনার (Ayushman Bharat Yojana) ফলে দেশের কয়েক কোটি গরিব মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা হল সারা পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা। যেখানে প্রতি পরিবার সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা পান। প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রকল্প জনপ্রিয় করতে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি অ্যাপ চালু করেছে কেন্দ্র। হয়েছে আয়ুষ্মান ভব্য অভিযানও। যার মাধ্যমে চারটি সহজ ধাপে আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা যাবে।

    আরও পড়ুন: অক্ষর-কুলদীপ ঘূর্ণিতে বেসামাল ইংল্যান্ড, ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘রাষ্ট্রপতির ভাষণে রয়েছে সুশাসন ও উন্নয়নের দিশা’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: ‘‘রাষ্ট্রপতির ভাষণে রয়েছে সুশাসন ও উন্নয়নের দিশা’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির ভাষণে রয়েছে সুশাসন ও উন্নয়নের দিশা। ‘সংকল্প থেকে সিদ্ধি’তে উত্তরণের পথ তিনি আমাদের বাতলে দিয়েছেন।’’ রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির ভাষণে ভারতের অগ্রগতি এবং অভ্যন্তরীণ শক্তির কথা স্থান পেয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে আরও লেখেন, ‘‘ভারতীয়দের জন্য সেই সমস্ত বৃহৎ চ্যালেঞ্জেরও উল্লেখ রয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে যা আমাদের সমবেত প্রচেষ্টায় উতরাতে হবে, জীবনের গুণগত মানকে আরও বাড়ানোর জন্য।’’

    অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কী বললেন রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে? 

    অন্যদিকে যৌথ অধিবেশনের রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির ভাষণে স্পষ্ট বার্তা ছিল যে কীভাবে আমরা ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতবর্ষ গড়ে তুলতে পারি। সম্পূর্ণ সঠিক এবং স্পষ্ট দিশা দেখিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আমাদের দেশ একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের উদাহরণ এবং আমরা এ নিয়ে গর্বিত। আমরা বিশ্বাস রাখি গণতন্ত্রে।’’ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে বলেছেন, ‘‘ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলিকে। এ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা করার কোনও জায়গা নেই।’’

    অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই তাঁর বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘সংসদের চলতি অধিবেশনেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’’ ঐতিহাসিক পদক্ষেপের ঘোষণা সরকার করবে বাজেট পেশের সময়। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘এই সরকারের ওপর সাধারণ মানুষ পরপর তিনবার তাঁদের আস্থা দেখিয়েছেন। জনগণ এ বিষয়ে সদা জাগ্রত যে এই সরকারই একমাত্র তাঁদের চাহিদাগুলিকে পূরণ করতে পারে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিটের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার দুই, বিহারেই কি ঘুঘুর বাসা?

    CBI: নিটের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার দুই, বিহারেই কি ঘুঘুর বাসা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিটের প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে তদন্তে নেমে এবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হলেন দুজন। তদন্তে নেমে এটাই সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি। বৃহস্পতিবার বিহারের পাটনা থেকে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নাম মণীশ কুমার এবং আশুতোষ কুমার বলে জানা গিয়েছে।

    ময়দানে নেমেই সিবিআইয়ের সাফল্য (CBI)

    সিবিআই সূত্রে খবর মণীশ কুমার নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যেতেন। তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও করা হত। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন আশুতোষ। মূলত পরীক্ষার্থীদের গাড়ি করে নিয়ে আসার কাজ ছিল মণীশের। নিজের বাড়িতে পরীক্ষার্থীদের থাকা এবং খাবারের বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব ছিল আশুতোষের উপর। মনে করা হচ্ছে পরীক্ষার আগে একটি ফাঁকা স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। সেখানে ২৪ জন পরীক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষার আগের দিন তাঁদের নিটের প্রশ্ন দেওয়া হয়। সেগুলোর উত্তরও তৈরি করে দেওয়া হয়। নিট প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ছ’টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। রবিবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে নেট প্রশ্ন ফাঁস কান্ডের দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক। সেদিনই প্রথম এফআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এরপরই তদন্তে নামে তাঁরা।

    বাড়তি নম্বরের ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    সিবিআই (CBI) তদন্ত চালালেও সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের মামলাটি চলছে। নিটের পরীক্ষায় বাড়তি নম্বরের ব্যাখ্যা চেয়ে বৃহস্পতিবারই পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থাকে নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৮ জুলাই এর মধ্যে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত একটি লার্নিং অ্যাপের তরফে নিট দুর্নীতি এবং বাড়তি নম্বরের প্রসঙ্গ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত চার রাজ্যে এখন অবধি এই মামলায় ২৬ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর মধ্যে বিহারে ১৩, ঝাড়খণ্ডে ৬, গুজরাটে ৫ এবং মহারাষ্ট্র থেকে ২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিটে একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করার পরেই দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: লোক আদালত বসিয়ে ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

    এর পরেই প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ কিছু সমস্যার জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু র‍্যাংকিং নিয়ে বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতেই বাড়তি নম্বরে যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharatiya Nyaya Sanhita: ১ জুলাই থেকে চালু ন্যায় সংহিতা, সংসদে ঘোষণা রাষ্ট্রপতির

    Bharatiya Nyaya Sanhita: ১ জুলাই থেকে চালু ন্যায় সংহিতা, সংসদে ঘোষণা রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে ১ জুলাই থেকে চালু হবে ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)। বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় সভার যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। সেখানেই এই ঘোষণা করেন তিনি। অষ্টাদশ লোকসভা গঠনের পর এটিই সংসদে রাষ্ট্রপতির প্রথম ভাষণ। তিনি জানান, ব্রিটিশ শাসনে গোলামি ব্যবস্থায় যে শাস্তির বিধান ছিল এবার তা ঘুচবে। শাস্তির বদলে ন্যায়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।

    কী বললেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতির কথা অনুযায়ী,  আগামী জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হল ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দিয়ে এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’-এ। রাষ্ট্রপতি (Droupadi Murmu) এদিন বলেন, “১ জুলাই থেকে ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita) চালু হবে। ব্রিটিশরাজে গোলামি ব্যবস্থায় শাস্তির বিধান ছিল। সেই আইন বদলের সাহস দেখিয়েছে সরকার। এবার শাস্তির (New Criminal Law) বদলে ন্যায়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।”

    ন্যায় সংহিতা কী

    উল্লেখ্য, ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রবর্তন করেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর সেই আইনে বদল আনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দণ্ড সংহিতার এই নয়া আইন সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে আরও কড়া হতে চলেছে। এছাড়াও গণপিটুনি, জাতীয় সুরক্ষাকে লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি আসতে চলেছে এই নয়া আইনের হাত ধরে। এর ফলে ভারতীয় আইন ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি মুছে যাবে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া নিয়মগুলি।

    আরও পড়ুন: বালিকা বধূ রূপা এখন ডাক্তার! মাত্র ৮ বছরে বিয়ে, দুই সন্তানের মা অবশেষে স্বপ্নপূরণ

    নারী-সুরক্ষায় জোর 

    নতুন তিন আইনে (New Criminal Law) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। কিছু নিয়মে বদলও আনা হয়েছে। মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধগুলির ক্ষেত্রে আরও কঠোর সাজার বিধান থাকছে নতুন আইনে। নয়া আইনে ১৮ বছরের কমবয়সি মহিলাকে ধর্ষণের সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা আজীবন কারাদণ্ড। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছর থেকে আজীবন জেলের সাজার কথা বলা হয়েছে। এমনকি, মহিলাদের হার বা মোবাইল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার বিচারের জন্য রয়েছে নয়া আইন। যৌন হিংসার মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিত মহিলার বয়ান তাঁরই বাড়িতে এক জন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নথিবদ্ধ করার কথাও জানাচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)। বিয়ে বা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অপরাধের জন্য ১০ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে এতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: লোক আদালত বসিয়ে ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: লোক আদালত বসিয়ে ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বর্ষে অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত, ২৯ জুন থেকে ছ’দিনের বিশেষ লোক আদালতের আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে নিখরচায় নিষ্পত্তি করা হবে ১০ হাজার মামলার। বিচারপতির সংখ্যা কম-সহ নানা সমস্যার কারণে মামলার পাহাড় জমে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই সব মামলার মধ্যে থেকে নিষ্পত্তি করা হবে ১০ হাজার মামলার।

    লোক আদালত (Supreme Court)

    লোক আদালত ভারতের বিচারব্যবস্থার বিরোধ নিষ্পত্তির এক বিকল্প পদ্ধতি (Supreme Court)। এই আদালতে দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক বিবাদ, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ, পথ দুর্ঘটনা, বিমা সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন প্রভৃতি দেওয়ানি মামলার বিচার করা হয় কম খরচে। লোক আদালতে মামলার নিষ্পত্তিও হয় দ্রুত। স্বল্প সময় ও অল্প ব্যয়ে আমজনতার কাছে বিচারের সুবিধা পৌঁছে দিতেই তৈরি হয় লোক আদালতের। প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছ’দিনের এই লোক আদালতের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কী বলছেন চন্দ্রচূড়? 

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “বিশেষ লোক আদালতের ধারণা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সমাজের সমস্ত অংশকে আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রদান করে।” তিনি বলেন, “বিশেষ লোক আদালত সম্প্রীতি ও বোঝাপড়ার চেতনার মাধ্যমে দ্রুত ও সস্তায় বিচার প্রদান করে। তাই বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষই সন্তুষ্ট হয়। এটি আদালতের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়। ফলে আদালত গুরুতর বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করতে পারে। ন্যায়বিচার পেতে মামলাকারীদের যে দেরি হয়, সেই সময়সীমা কমিয়ে দেয়।”

    আর পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ৮৩ হাজার মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে ২৮ হাজার মামলার বয়স এক বছরেরও কম। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিরা এবং রেজিস্ট্রি গত তিন মাস ধরে প্রাণপাত করছেন ১০ হাজারেরও বেশি মামলা খুঁজে পেতে, যেগুলির সমাধান লোক আদালতে করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি জানিয়েছে, দেশের সব হাইকোর্টকে বলা হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করতে যাতে করে বাদী এবং বিবাদী পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে না ছুটেই যোগ দিতে পারেন বিশেষ লোক আদালতে (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share