Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Museum of Temples: ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে অযোধ্যায় নির্মিত হচ্ছে ‘মন্দির মিউজিয়াম’

    Museum of Temples: ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে অযোধ্যায় নির্মিত হচ্ছে ‘মন্দির মিউজিয়াম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে অযোধ্যায় নির্মিত হতে চলেছে মন্দির মিউজিয়াম (Museum of Temples)। ইতিমধ্যে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। টাটা সন্সকে ৯০ বছরের জন্য জমি লিজ দিয়ে দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের রূপায়ণে। উত্তরপ্রদেশের পর্যটন দফতর লিজের জন্য নিয়েছে মাত্র এক টাকা। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানিয়েছেন যোগী আদিতনাথ সরকারের পর্যটনমন্ত্রী জয় বীর সিং। মঙ্গলবারই লক্ষ্ণৌতে অনুষ্ঠিত হয় যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার বৈঠক। এর পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটন মন্ত্রী জয় বীর সিং বলেন, টাটা সন্স কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি করতে চেয়েছিল, আজকে তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    গত বছর থেকেই অযোধ্যায় মন্দিরের মিউজিয়াম নিয়ে কথা চলছে

    তবে এটাই প্রথম বা নতুন নয়, গত বছর থেকেই অযোধ্যায় মন্দির মিউজিয়াম নিয়ে কথা চলছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে মন্দির মিউজিয়ামের প্রকল্প উপস্থাপন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, তখনই মন্দির মিউজিয়ামের (Museum of Temples) ধারণাটি খুবই পছন্দ হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেসময় এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয় বলে জানা যায়।

    দেশের বিখ্যাত মন্দিরগুলির ইতিহাস ও স্থাপত্যকে প্রদর্শন করা হবে

    জানা গিয়েছে মন্দির মিউজিয়ামের (Museum of Temples) মধ্যে দেশের বিখ্যাত মন্দিরগুলির ইতিহাস ও স্থাপত্যকে প্রদর্শন করা হবে। এর পাশাপাশি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড-র মাধ্যমেও দেশের প্রাচীনতম মন্দিরগুলিকে প্রদর্শন করা হবে। যেমনটা, অযোধ্যায় সরযূ নদীর ধারে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড-র  মাধ্যমে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পুরো রামায়ণের প্রদর্শনী হয়। এর পাশাপাশি মঙ্গলবারের বৈঠকে আরও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, লক্ষ্ণৌ, মথুরা ও কানপুর- এই তিনটি জায়গাকে পর্যটন স্পট হিসেবে আরও কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় তা নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

    আর পড়ুন: ক্রমাগত হারের ধাক্কায় রাজনীতিতে থেকে বিদায় নিলেন বাইচুং

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Speaker: লোকসভায় টানা দ্বিতীয়বার স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা

    Lok Sabha Speaker: লোকসভায় টানা দ্বিতীয়বার স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বারের বিজেপি সাংসদ ওম বিড়লা আজ টানা দ্বিতীয়বারের জন্য লোকসভার স্পিকারের পদে (Lok Sabha Speaker) নির্বাচিত হয়েছেন। এনডিএ প্রার্থীদের ভোটে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী, তাঁর কাছে গিয়ে অভিনন্দন জানান। স্পিকারকে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে শাসক শিবির এবং বিরোধীদের মধ্যে বিরল বন্ধুত্বের একটি মুহূর্তের ছবি ধরা পড়েছে।

    মোদির অভিনন্দন (Lok Sabha Speaker)

    স্পিকার (Lok Sabha Speaker) পদে ওম বিড়লাকে নির্বাচনের পর, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিরোধী দলনেতা এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু একত্রিত হয়ে স্পিকারের চেয়ারে নিয়ে যান। নবনির্বাচিত লোকসভার স্পিকারকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেছেন, “তাঁর মিষ্টি হাসি পুরো হাউসকে খুশি রাখে। আমাদের কাছে এটি একটি সম্মানের বিষয় যে আপনি দ্বিতীয়বারের জন্য এই চেয়ারে নির্বাচিত হয়েছেন।”

    কী বলেন রাহুল গান্ধী

    বিরোধী দলের নেতারাও স্পিকারকে (Lok Sabha Speaker) অভিনন্দন জানিয়েছেন এদিন। তবে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের সঙ্গে একটি তীক্ষ্ণ বার্তাও যোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনি আমাদের কথা বলার অনুমতি দেবেন। অধিবেশন চালানো বড় কথা নয়, বড় প্রশ্ন হল কতটা দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতা থাকবে কাজে। বিরোধীদের কণ্ঠস্বর গণতন্ত্রের মূলস্তম্ভ। তাই আপনি নিরপেক্ষ হোন এবং সংবিধান রক্ষা করুন। এই নির্বাচন দেখিয়েছে যে ভারতের সংবিধানকে কীভাবে রক্ষা করতে হয়।”

    আরও পড়ুনঃ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের বাজারে উদীয়মান ভারত

    কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল

    স্বাধীনতার পর লোকসভা স্পিকারের (Lok Sabha Speaker) জন্য এটি ছিল তৃতীয় নির্বাচন। তবে কংগ্রেস জোর করে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আট বারের সাংসদ কে সুরেশকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে প্রার্থী করেছিল। অবশ্য সংখ্যা গরিষ্ঠতার বিচার স্পষ্টতই ওম বিড়লার পক্ষে ছিল। যদিও এনডিএ প্রার্থীর সমর্থন ছিল ২৯৭ জন সাংসদের। আর বিরোধীদের পক্ষে ছিল ২৩২ জন সাংসদ। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কংগ্রেসকে এদিন আক্রমণ করে বলেছেন, “আমরা তাঁদের কাছে স্পিকারের সমর্থনের জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু তাঁর বলেছিল যে সমর্থন করবে কিন্তু বিনিময়ে ডেপুটি স্পিকারের পদ চাই। এরপর আমরা বলেছিলাম যে উভয় পদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন। স্পিকার নির্বাচনের জন্য ডেপুটি স্পিকারের আগে কাজ করা হয়, তাই উভয়কে একত্রিত করা ঠিক হবে না।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সংসদীয় ইতিহাসের স্বর্ণালী সময়”, স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে স্বাগত মোদির

    PM Modi: “সংসদীয় ইতিহাসের স্বর্ণালী সময়”, স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে স্বাগত মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় ফের স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা৷ বুধবার তাঁকে স্পিকার পদে নির্বাচন করেন নতুন লোকসভার সদস্যরা৷ তাঁকে এই পদে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, ওম বিড়়লার সভাপতিত্বে সপ্তদশ লোকসভা বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। হাসিমুখে যেভাবে ওম বিড়লা (Om Birla) সংসদ সামলান হাসির ছলে সেই প্রশংসাও করেন মোদি (PM Modi)।

    কী বললেন মোদি

    স্পিকার নির্বাচনের পর অভিনন্দন-ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন,”এটা সংসদের সৌভাগ্য যে আপনি দ্বিতীয়বার এই আসনে বিরাজমান হচ্ছেন। আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। অমৃতকালের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দ্বিতীয়বার এই পদে বিরাজমান হওয়া মানে অনেক বড় দায়িত্ব। আপনার ৫ বছরের অভিজ্ঞতার সুফল পাবে সংসদ। আগামী ৫ বছর আমাদের মার্গদর্শন করবেন। এই সংসদ যাতে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে আপনার বড় ভূমিকা থাকবে।” স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে (Om Birla) শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদি বলেন, ‘বিনম্র ও ভদ্র ব্যবহারের ব্যক্তি সহজে সফল হন। সেই সঙ্গে আপনার তো মিটিমিটি হাসিও রয়েছে। যা গোটা সংসদকে প্রসন্ন রাখে। আমার বিশ্বাস আপনি প্রতিটি পদে নতুন কীর্তি গড়বেন।”

    আরও পড়ুন: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    স্বর্ণালী অধ্যায়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, অষ্টাদশ লোকসভায় দ্বিতীয়বার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করে নতুন রেকর্ড তৈরি করলেন ওম বিড়লা। এর আগে বলরাম ঝাখড় দ্বিতীয়বার স্পিকার হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন,”সপ্তদশ লোকসভা সংসদীয় ইতিহাসের স্বর্ণালী সময় ছিল। ওই সময় যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে, তা ঐতিহাসিক।” ওম বিড়লার উদ্দেশে মোদি বলেন, ” ভবিষ্যতে যখন বিশ্লেষণ হবে, তখন লেখা হবে আপনার নেতৃত্বে সপ্তদশ লোকসভা বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়েছে সপ্তদশ লোকসভায়। নারীশক্তি বন্দন, জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন, ভারতীয় দণ্ডবিধি, মুসলিম মহিলা বিবাহ অধিকার বিধি সহ বিভিন্ন বিল দেশের জন্য মজবুত ভিত তৈরি করেছে। ত ৭০ বছরে যা হয়নি আপনার কার্যকালে তা করে দেখানো হয়েছে। আমার বিশ্বাস দেশ এই নিয়ে গৌরব করবে। এই সংসদ ১৪০ কোটি দেশবাসীর আশার কেন্দ্র। করোনার সময় আপনি প্রতি সাংসদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছে তাদের স্বাস্থ্যের হালের খোঁজ নিয়েছেন। কেউ অসুস্থ হলে লাগাতার তার খোঁজ নিয়েছেন। করোনার সময় সংসদে ১০৭ শতাংশ প্রডাক্টিভিটি যা ইতিহাস রচনা করেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maruti Making: প্রসঙ্গ মারুতি তৈরি, কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

    Maruti Making: প্রসঙ্গ মারুতি তৈরি, কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর মা দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কেউই নন। তা সত্ত্বেও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় প্রশাসনে হয়ে উঠেছিলেন দু’নম্বর ব্যক্তিত্ব। অন্তত বিরোধীদের দাবি তা-ই (Maruti Making)। স্রেফ ইন্দিরার ছেলে হওয়ায় যুব কংগ্রেসের প্রধানের ভূমিকায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। ইন্দিরাই দেশে জারি করেছিলেন ২১ মাসের জরুরি অবস্থা। বেছে বেছে বিরোধীদের জেলে পুরে ছিলেন। কংগ্রেসের মধ্যেও যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদেরও রেহাই দেননি ‘স্বৈরাচারী’ (বিরোধীরা অন্তত তেমনই বলেন) ইন্দিরা।

    সঞ্জয় গান্ধী

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সরকারের অংশ না হয়েও, বকলমে সরকার পরিচালনা করতেন সঞ্জয়। মায়ের হাতে দেশের চূড়ান্ত ক্ষমতার রশি থাকায় আখের গুছিয়ে নিতে উদ্যোগী হন সঞ্জয়। ইন্টারমিডিয়েট (১০+২) যোগ্যতায় যেখানে ছোটখাট কোনও কোম্পানিতে চাকরি হওয়ার কথা, সেখানে সঞ্জয় চেয়েছিলেন অটোমোবাইল কারখানার মালিক হতে (Maruti Making)। গান্ধী পরিবারের এক বন্ধুর মারফত রোলসের লন্ডন প্ল্যান্টে সঞ্জয়ের তিন বছরের শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার ব্যবস্থা হয়। বছর দুয়েক পরেই ভারতে ফিরে আসেন ইন্দিরা-পুত্র। দেশে ফিরে সঞ্জয় যোগাযোগ করেন মেকানিক অর্জুন দাসের সঙ্গে। ইনিই হয়েছিলেন সঞ্জয়ের প্রাথমিক সহযোগী। দিল্লির সমস্ত চোরবাজার ছিল এঁর নখদর্পণে। সঞ্জয় এবং অর্জুনের যৌথ উদ্যোগে দ্রুত একটি গাড়ির প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়েছিল।

    লাইসেন্স দিয়েছিলেন ইন্দিরা স্বয়ং!

    ১৯৬৮ সালে আরও অনেকগুলি কোম্পানির সঙ্গে দরপত্র দেয় সঞ্জয়ের কোম্পানিও। সঞ্জয়ের প্রস্তাব ছিল আইএনআর ৬০০০ এর ইউনিট মূল্যে একটি গাড়ি তৈরি করা। সঞ্চয়কে এই গাড়ি তৈরির লাইসেন্স দিয়েছিলেন ইন্দিরা স্বয়ং। তার আগেই অবশ্য ইন্দিরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্সিং কমিটির সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ঘটনাটিকে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজয়েপী ‘নগ্ন দুর্নীতি’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

    ১৯৭১ সালের অগাস্ট মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় মারুতি মোটরস লিমিটেড। এর প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছিলেন সঞ্জয়। মারুতি কারখানা স্থাপনের জন্য গুরগাঁওয়ে ২৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল, হাজার আটেক টাকা মূল্যের দেশীয় গাড়ি তৈরি করা হবে এই কারখানায়। এর আগেই অবশ্য মারুতিকে ৫০ হাজারটি কম দামের গাড়ি তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।

    আর পড়ুন: ক্রমাগত হারের ধাক্কায় রাজনীতিতে থেকে বিদায় নিলেন বাইচুং

    জানা গিয়েছে, দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, সেই জমি কৃষি জমি নয় বলে দাবি করা হয়েছিল। যদিও পরে দেখা যায়, অধিগৃহীত জমির ৯০ শতাংশ অংশেই সেচের ব্যবস্থা ছিল। এলাকায় একটি এয়ারফোর্স গোলাবারুদ ডাম্প এবং এয়ারফিল্ড ছিল। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সেসবই সরানো হয়। জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল, তাও যৎসামান্য। একর প্রতি জমির মালিকদের ১২ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছিল।

    এমডি হিসেবে সঞ্জয় মারুতি লিমিটেডে (Maruti Making) দশ টাকার দশটি শেয়ার কিনেছিলেন। তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০ টাকা। দেশজুড়ে ৭৫ জন ডিলার নিয়োগ করে সঞ্জয়ের কোম্পানি। ডিলারশিপ ফি বাবদ আদায় করা হয় ২১৮ কোটি টাকা। সময়ে গাড়ি সরবরাহ না করায় প্রতিবাদ করেছিলেন কয়েকজন ডিলার। জরুরি অবস্থার সময় মিসা আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ১৯৭৭ সালে প্রথম গাড়ি লঞ্চ করছিল সঞ্জয়ের কোম্পানি। পরে এমটিএসের সহযোগী সংস্থা হিসেবে চালু হয় মারুতি হেভি ভেহিক্যালস (পি)। এই সংস্থা ১৬ লাখ এমএইচভি পারকিন্স ও ফোর্ড ইঞ্জিন আমদানি করেছিল। তাদের সঙ্গে পুরানো রোলারগুলিকে সংস্কার করে। পরে সেগুলিকে নতুন হিসেবে বিক্রি করে বলে অভিযোগ।

    অকালে প্রয়াত হন সঞ্জয়। তবে সেই স্বল্প জীবনে তিনি ভারতে রেখে গিয়েছেন কেলেঙ্কারির কালো দাগ (Maruti Making)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Baichung Bhutia: ক্রমাগত হারের ধাক্কায় রাজনীতিতে থেকে বিদায় নিলেন বাইচুং

    Baichung Bhutia: ক্রমাগত হারের ধাক্কায় রাজনীতিতে থেকে বিদায় নিলেন বাইচুং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত হারের ধাক্কা না সামলাতে পেরে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়ে নিলেন পাহাড়ি বিছে বাইচুং ভুটিয়া। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে (Baichung Bhutia) জানিয়ে দিলেন আর সংসদীয় রাজনীতিতে দেখা যাবে না তাঁকে। ফুটবল জীবন থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার পর রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। ফুটবল জীবনে তারকা হলেও অল্প সময়ের সংসদীয় রাজনৈতিক জীবনে দাগ কাটতে না পেরে বিদায় নিয়ে নিলেন।

    বাইচুঙের রাজনৈতিক জীবন

    বাইচুঙের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Baichung Bhutia) তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে জোড়া ফুল প্রতীকে দার্জিলিং বিধানসভা আসন থেকে জীবনের প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এস এস আলুওয়ালিয়ার কাছে পরাজিত হন। ২০১৬ সালে সিলিগুড়ি আসন থেকে ফের প্রার্থী করা হয় তাঁকে। সেবার সিপিআইএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য তাঁকে হারিয়ে দেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেই যে হারের যাত্রা শুরু রাজনৈতিক জীবনে সিকিমেও জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। সেখানে হামরো সিকিম পার্টি তৈরি করেন। ভোটেও লড়েন। সেখানেও পরাজিত হন। এরপর হামরো সিকিম পার্টিকে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এর সঙ্গে মিশিয়ে দেন। তাতেও জয় আসেনি। ২০২৪ এর বিধানসভা নির্বাচনে সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা ৩২ টির মধ্যে ৩১ টি আসনে জয়ী হয়। সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (SDF) পায় মাত্র ১টি আসন। বাইচুং ভুটিয়া এবার বারফাঙ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার প্রার্থী রিকসাল দর্জি ভুটিয়ার কাছে ৪,৩৪৬ ভোটে পরাজিত হন। ১০ বছরের ৬ বার হেরে (পড়ূন ৬ গোল খেয়ে) অবশেষে রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন বাইচুং।

    রাজনীতি থেকে বিদায় (Baichung Bhutia)

    সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট বলেন, “সংসদীয় রাজনীতি আমার জন্য নয়। আমি সিকিমের পর্যটন ও খেলার উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু ভেবেছিলাম। যদি জয়ী হতাম তাহলে সেগুলি করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি সেই সুযোগ পাইনি। আমার একমাত্র দুঃখ আমি রাজ্যের উন্নয়নে অংশ নিতে পারলাম না। তবে আশা করছি আরও বহু মানুষ আছেন, যারা রাজ্যের উন্নতির জন্য আরও ভালো ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসবেন। সিকিমের মানুষ সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চাকে (SKM) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছেন। আশা করব তাঁরা জনগণের জন্য কাজ করবেন এবং যা মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পূরণ করবেন।”  রাজনীতি ছাড়ার সময়ও পরাজিত বাইচুং (Baichung Bhutia) স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখালেন।

    আরও পড়ুন: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    নিজের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে গৌতম বুদ্ধের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। বলেন, “গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন মানুষের উদ্দেশ্য ভালো হওয়া উচিত। রাজনীতিতে আসার আমার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, মানুষের জন্য কাজ করা। রাজ্য ও দেশের উন্নতি করা। ফুটবল জীবনেও সৎ থেকেছি। রাজনৈতিক জীবনেও সৎ ছিলাম।” নিজের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বাইচুং বলেন দীর্ঘ সময় যারা পাশে ছিলেন, তাঁরা আজ ব্যথিত। তবে এখানেই সবকিছু শেষ হয় হয়ে যাবে না। আমি এখন নিজেকে সময় দিতে চাই। জীবনে আর কী কী করতে পারি, সেগুলি অন্বেষণ করব। নতুনভাবে আমার উদ্দেশ্য আবিষ্কার করতে চাই।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indias-emerging: বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের বাজারে উদীয়মান ভারত

    Indias-emerging: বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের বাজারে উদীয়মান ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল (Indias-emerging) দেশ ভারত। যাত্রী পরিষেবায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের বাজারে উঠে এসেছে ভারত। এখন চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহত্তম বিমান চলাচল বাজারের সাথে প্রতিযোগিতা করছে ভারত। আসুন আমরা দেখে নিই ভারতের বিমান চলাচলের যাত্রী বাজারের বর্তমান অবস্থা, মূল বৃদ্ধির চালক এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা কেমন।

    ডোমেস্টিক এভিয়েশন ক্যাপাসিটি দ্বিগুণ (Indias-emerging)

    ওএজি (OAG) ডেটার উপর ভিত্তি করে সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ প্রকাশ করায় জানা গিয়েছে যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমান চালানোর ক্ষমতা গত এক দশকে দ্বিগুণ (Indias-emerging) হয়েছে। এপ্রিল ২০১৪ সালে এই ক্ষমতা ছিল ৭.৯ মিলিয়ন, যা এপ্রিল ২০২৪ নাগাদ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ মিলিয়ন। বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানুয়ারিতে উল্লেখ করেছেন যে এই সংখ্যাটি আবার দ্বিগুণ হয়ে আগামী ছয় বছরের শেষ নাগাদ অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০০ মিলিয়নে উন্নীত হবে। বর্তমানে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের বাজার হিসাবে উঠে আসছে। অথচ গত এক দশক আগে ভারতের স্থান ছিল পঞ্চম।

    ব্রাজিল-ইন্দোনেশিয়াকে অতিক্রম করে গিয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো অন্যান্য দেশীয় বিমান চলাচলের বাজারের সাথে গত দশ বছরে ভারতের বৃদ্ধির (Indias-emerging) তুলনা করা হয়েছে। গত দশ বছর আগে ৮ মিলিয়ন আসন সহ এই দেশগুলির মধ্যে ভারতের সবচেয়ে ছোট বাজার ছিল। আজ, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের বাজার হিসাবে রয়ে গেছে, তখন ভারত, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়াকে অতিক্রম করে গিয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে ১৫.৬ মিলিয়ন আসনের ক্ষমতা সহ তৃতীয় বৃহত্তম দেশীয় বাজার হিসাবে ভারত তার অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে। গত এক দশকে ভারতের বৃদ্ধির হার বার্ষিক গড় ৬.৯%। যেখানে চীনের ৬.৩% এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২.৪%। ফলে ভারত অনেক এগিয়ে।

    মূল বৃদ্ধির চালক কী?

    বাণিজ্য বিষয়ে বিশ্লেষকরা ২০১৪ সাল থেকে এভিয়েশন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে মূল্য ক্যাপ অপসারণের মতো উন্নতি, যা প্রতিযোগিতামূলক গতিশীলতার (Indias-emerging) দিকগুলিকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে বিমান ভ্রমণের বিকল্পগুলিতে পরিষেবা বৃদ্ধি করেছে৷ গত এক দশকে তার বাজারের অংশীদারিত্ব ৩২% থেকে বেড়ে ৬২% হয়েছে৷ ইন্ডিগো-র পরে, এয়ার ইন্ডিয়া হল অভ্যন্তরীণ বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা। তাদের অংশীদারিত্ব ২৮%৷ একসাথে, এই দুটি এয়ারলাইন্স এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের ৯০% আসন নিয়ন্ত্রণ করেছে।

    আরও পড়ুনঃ স্পিকার পদে ভোটাভুটি আজ, জয় নিশ্চিত বিড়লার, অতীতে তিনবার এই পদে নির্বাচন হয়েছে

    ৯৮০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনার

    সরকার দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো উন্নয়নে তার আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে চলছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) এবং অন্যান্য বিমানবন্দর উন্নয়নে আগামী পাঁচ বছরে আনুমানিক ৯৮০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনার রূপরেখা ঠিক করেছে। ২০২৩-২৪-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ৩২২৪.৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বিমান পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ এবং জাতীয় স্তরে সংযোগ বাড়াতে। অভ্যন্তরীণ বাজারে পরিসেবা প্রদানকারী পরিচালন রুটের সংখ্যা ২০১৪ সালের এপ্রিলে ২১৫ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালের এপ্রিলে ৫৪০-তে উন্নীত (Indias-emerging) হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য ১০০০টি উড়ান রুট পরিচালনা করা। একই ভাবে ১০০টি অনুন্নত বিমানবন্দরগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে উদ্যোগী হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    Rahul Gandhi: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জল্পনা সত্যি করে এবারের লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নিযুক্ত হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে একথা জানালেন সি বেণুগোপাল। এদিন নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া ব্লকের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দুবার লোকসভা ভোটে ন্যূনতম ১০ শতাংশ আসনও কংগ্রেসের অধরা ছিল। ফলে লোকসভার বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি কংগ্রেস। তবে এবারের ছবিটা উল্টো। 

    লোকসভায় একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ কংগ্রেসের 

    ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। ইন্ডি জোটে যে সব দল রয়েছে তাদের মধ্যে কংগ্রেসই সর্বাধিক আসনে জিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবিরে এবার তাদের জোরও বেশি হওয়ার কথা, এমনই বলছে রাজনৈতিক মহল। তাছাড়া লোকসভা বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দলের ৫৫টির বেশি আসনে জয়লাভের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের (Rahul Gandhi) লোকসভা বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) পদে নিয়োগ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে কারণ হচ্ছে। কারণ, বুধবার লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই স্পিকার পদ নিতে বিস্তর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গেছে শাসক ও বিরোধী শিবিরের।  

    আরও পড়ুন: স্পিকার পদে ভোটাভুটি আজ, জয় নিশ্চিত বিড়লার, অতীতে তিনবার এই পদে নির্বাচন হয়েছে

    ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন

    উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে রাহুল গান্ধীকেই (Rahul Gandhi) বিরোধী দলনেতার করার দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। এমনকী, এই মর্মে প্রস্তাবও পাস করা হয় দলের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে বেনুগোপাল বলেছেন, “সিপিপি চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে একটি চিঠি লিখে লোকসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অন্যান্য পদাধিকারীদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এরপরে এদিন অধিবেশনের শেষদিকে রাহুলের নাম বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব। জানা গিয়েছে ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই রাহুলকে বিরোধী দলনেতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  
    প্রসঙ্গত, এবছর কেরলের ওয়ানাড থেকে ফের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। আবার সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলিতেও রেকর্ড  ৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্য দীনেশ প্রতাপ সিংকেও। পরে অবশ্য নিয়মাফিক ওয়ানাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনী কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Speaker: স্পিকার পদে ভোটাভুটি আজ, জয় নিশ্চিত বিড়লার, অতীতে তিনবার এই পদে নির্বাচন হয়েছে

    Speaker: স্পিকার পদে ভোটাভুটি আজ, জয় নিশ্চিত বিড়লার, অতীতে তিনবার এই পদে নির্বাচন হয়েছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই স্পিকার (Speaker) পদে ভোটাভুটি হবে লোকসভায়। এনডিএ জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ওম বিড়লা। অন্যদিকে কংগ্রেসের কে সুরেশকে ইন্ডি ব্লকের নেতারা মনোনয়ন দিয়েছেন। রাজস্থানের কোটা থেকে নির্বাচিত তিনবারের সাংসদ ওম বিড়লা। অন্যদিকে, কেরলের সাংসদ হলেন কে সুরেশ। বর্তমানে লোকসভায় নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা মোট ৫৪৩ জন। বাকি দুজন সদস্যকে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ২৯৩ সাংসদ রয়েছেন এনডিএ-র। অন্যদিকে, লোকসভায় ইন্ডি জোটের সাংসদ সংখ্যা ২৩৪। গতকালই অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস ইতিমধ্যেই এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে। সে দিক থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে ওম বিড়লার জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২০১৪ সালে প্রথমবার লোকসভায় নির্বাচিত হন বিড়লা। এটা দ্বিতীয়বার তিনি স্পিকার হতে চলেছেন। তবে স্পিকার পদে এমন ভোটাভুটি এই প্রথম নয়। এর আগেও তিনবার হয়েছে।

    ১৯৫২ সালে মালভাঙ্কার বনাম শঙ্কর শান্তারাম মোরে

    দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পরে সংসদে, প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু গুজরাটের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা কংগ্রেস নেতা মালভাঙ্কারকে স্পিকার (Speaker) পদে নির্বাচিত করার জন্য প্রস্তাব পেশ করেন। অন্যদিকে সে সময়ে কমিউনিস্ট পার্টির ১৬ জন এমপি ছিল লোকসভার ভিতরে। তারা শঙ্কর শান্তারাম মোরের সমর্থনে প্রস্তাব পেশ করে। দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর স্পিকার পদে ভোটাভুটি হয়। ৩৯৪টি ভোট পেয়ে মালভাঙ্কার স্পিকার হন এবং বামপন্থী সহ অন্যান্য দলের মাত্র ৫৫ জন এমপি শান্তারামের পক্ষে ভোট দেন।

    ১৯৬৭ সালের স্পিকার (Speaker) পদে নির্বাচন, নীলম সঞ্জীব রেড্ডি বনাম টেনেটি বিশ্বনাথম

    ১৯৬৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় ফের একবার স্পিকার (Speaker) পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়ে কংগ্রেস দল নীলম সঞ্জীব রেড্ডির নাম সমর্থন করে। অন্যদিকে বিরোধীরা টেনেটি বিশ্বনাথমের পক্ষে প্রস্তাব পাস করে। নীলম সঞ্জিব রেড্ডি ২৭৮টি ভোট পেয়ে স্পিকার পদে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে টেনেটি বিশ্বনাথম ভোট পান ২০৭টি।

    ১৯৭৬ সালে স্পিকার পদে নির্বাচন, বিআর ভগত বনাম জগন্নাথরাও যোশী

    ১৯৭৫ সালের জুন মাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরে, ১৯৭৬ সালে কংগ্রেস সাংসদ বিআর ভগতকে স্পিকার (Speaker) বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু এরই মধ্যে অন্য এক কংগ্রেস সাংসদ পিএম মেহতা, তৎকালীন ভারতীয় জনসংঘের সাংসদ জগন্নাথরাও যোশীকে স্পিকার করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। জগন্নাথরাও যোশীকে সমর্থন করেন হাজিপুরের কংগ্রেস (সংগঠন) সাংসদ ডিএন সিং। কিন্তু পরবর্তীকালে স্পিকার পদে জিতে যান বিআর ভগত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paper Leaks Ordinance: প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব যোগীর মন্ত্রিসভায়, শাস্তি কী জানেন?

    Paper Leaks Ordinance: প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব যোগীর মন্ত্রিসভায়, শাস্তি কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিট ইউজি’ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে ‘নেটে’রও। এমন অভিযোগ পেয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। এবার একই পথে হাঁটল উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারও। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে মঙ্গলবার অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব (Paper Leaks Ordinance) পাশ করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Paper Leaks Ordinance)

    এই অধ্যাদেশের বলে প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে দুই থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডিত করা হবে। কেবল তাই নয়, জরিমানা গুণতে হতে পারে এক কোটি টাকা পর্যন্ত। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং এজাতীয় ঘটনা রুখতেই এদিনের মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পেশ হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনও পাবে না। এই জাতীয় অপরাধের বিচার হবে দায়রা আদালতে (Paper Leaks Ordinance) এবং অ-কম্পাউন্ডেবল হবে। জামিনের ক্ষেত্রেও কঠোর বিধান রয়েছে। জেল ছাড়াও জরিমানারও ব্যবস্থা থাকবে। অভিযুক্তদের সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হবে।

    অর্ডিনেন্সের আওতায় কী কী পরীক্ষা?

    উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক মুখপাত্র জানান, এই অর্ডিনেন্সের আওতায় থাকবে উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন, ইউপি সাবর্ডিনেটস সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড, ইউপি বোর্ড, স্টেট ইউনিভার্সিটিজ এবং অথরিটি, বডিজ এবং এজেন্সি যাদের তারা নিয়োগ করবে। সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও এই অধ্যাদেশ কাজ করবে। অধ্যাদেশের আওতায় থাকবে জাল প্রশ্নপত্র বিলি, নকল নিয়োগ ওয়েবসাইট বানানোও। দোষী সাব্যস্ত হলে এরাও চলে আসবে শাস্তির আওতায়। যোগী সরকারের ওই মুখপাত্র জানান, যদি কোনও পরীক্ষায় এর (জালিয়াতির) প্রভাব পড়ে, তাহলে যারা টাকা নিয়ে এই কাণ্ডে জড়িত থাকবে, তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হবে। যেসব কোম্পানি এবং সার্ভিস প্রোভাইডার এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদেরও কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।

    আর পড়ুন: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন-পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই প্রশ্নপত্র ফাঁসে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে যোগী রাজ্যে ৬০ হাজারেরও বেশি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল (Paper Leaks Ordinance)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন, জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি। এদিন সাত সকালেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে একই উপলক্ষে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় নিষ্ঠুরভাবে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ভারতবাসীর ওপর।” ক্ষমতায় টিকে থাকতে তিনি যে সংবিধানের স্পিরিটকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিলেন, তাও বলেন মোদির সেনাপতি।

    শাহি তোপ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(Amit Shah) লিখেছেন, “কংগ্রেস বিভিন্ন সময় আমাদের সংবিধানের স্পিরিট ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। একটি বিশেষ পরিবারকে ক্ষমতায় রাখতে তারা এটা করেছিল।” এর পরেই তিনি লেখেন, “ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় নিষ্ঠুরভাবে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ভারতবাসীর ওপর।” শাহ বলেন, “কংগ্রেস পার্টির যুবরাজ (রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ) ভুলে গিয়েছেন যে তাঁর ঠাকুমা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। এবং তাঁর বাবা রাজীব গান্ধী ১৯৮৫ সালের ২৩ জুলাই লোকসভায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা (জরুরি অবস্থা) নিয়ে গর্ব বোধ করেছিলেন। বলেছিলেন, জরুরি অবস্থা জারিতে কোনও ভুল নেই।”

    তোপ কংগ্রেসকেও

    পোস্টে শাহ লিখেছেন, “রাজীব গান্ধী এও বলেছিলেন, এই দেশের যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী মনে করেন জরুরি অবস্থা প্রয়োজনীয়, এই পরিস্থিতিতে এবং জরুরি অবস্থা জারির আবেদন না করেন, তাহলে তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন।” তিনি বলেন, “স্বৈরতান্ত্রিক একটি কাজ নিয়ে এই যে গর্ব অনুভব করা এটা প্রমাণ করে একটি পরিবার এবং ক্ষমতা ছাড়া কংগ্রেসের কাছে আর প্রিয় কিছুই নয়।”

    আর পড়ুন: হাবিবুল্লার পর এবার হেরাজ, হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি

    এদিনই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার কোনও অধিকার তাদের নেই। এরা একাধিকবার দেশে ৩৫৬ ধারা জারি করেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিল এনেছে, সংবিধানের প্রতিটি দিক লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার কালো অতীত আমাদের স্মরণ করায় কীভাবে কংগ্রেস দল দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যে সংবিধানকে দেশবাসী সম্মান করে, তাকে পদদলিত করা হয়েছিল। কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে কার্যত মুছে দিয়ে গোটা দেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে একমত না হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ভয়ঙ্কর রকম নির্যাতন চালায় তৎকালীন সরকার (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share