Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পিকার নির্বাচনে (Lok Sabha Speaker) একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস, ঠিক এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকারের মনোনয়ন নিয়ে ইন্ডিজোটের মধ্যে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এনডিএ বিরোধীদের সমর্থন চাইলে, কংগ্রেস শর্ত দেয় ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু শাসক শিবিরের উত্তর না মেলায় কংগ্রেস একক ভাবে স্পিকারের পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দেয়। আর এই নিয়ে তৃণমূলের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফলে বিরোধী শিবির ইন্ডি জোটে ফাটল স্পষ্ট।

    কী বললেন অভিষেক (Lok Sabha Speaker)?

    মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার (Lok Sabha Speaker) পদে মনোনয়ন নিয়ে, ইন্ডিজোটের শরীকদের মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ কে. সুরেশকে স্পিকার পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। বলতে বাধ্য হয়েছি এই সিদ্ধান্ত এক তরফা ভাবে নেওয়া হয়েছে।” এই কথা বলার পর অভিষেককে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাহুল কোনও পাল্টা উত্তর দেননি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয় নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূল বৈঠকে বসেছে এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হবে।

    কংগ্রেসের প্রার্থী পদের আপত্তি

    লোকসভার ডেপুটি স্পিকার (Lok Sabha Speaker) চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এনডিএ মানতে নারাজ ছিল। আর এই জন্য এনডিএ-র মনোনীত স্পিকারকে স্বীকার করেনি ইন্ডিজোট। তখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মতান্তর হয়নি। কিন্তু আচমকা কংগ্রেস স্পিকারে পদের জন্য আলাদা করে প্রার্থী দেওয়ায় বিরোধ বাধে। এরপর শুরু হয় তৃণমূলের ক্ষোভ প্রকাশ।

    আরও পড়ুনঃ উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    স্পিকার নিয়ে রাহুলের বক্তব্য

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকাজির সঙ্গে রাজনাথ সিং কথা বলতে এসেছিলেন। বিরোধীদের শর্ত শোনার পর এই বিষয়ে কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এই বিষয়ে আর কোনও ফোন বিজেপির পক্ষ থেকে আসেনি।” পাল্টা রাজনাথ সিং অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এনডিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পিকার (Lok Sabha Speaker) নির্বাচনের পর ডেপুটি স্পিকার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mid Day: ইভিএম সংক্রান্ত খবর ভুল ছিল, ক্ষমা চাইল মিড ডে পত্রিকা

    Mid Day: ইভিএম সংক্রান্ত খবর ভুল ছিল, ক্ষমা চাইল মিড ডে পত্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রার্থীর আত্মীয়ের হাতে এমন মোবাইল ছিল, যার মাধ্যমে ইভিএম আনলক করা সম্ভব।’ গত ১৬ জুন এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মুম্বইয়ের মিড ডে (Mid Day) পত্রিকা। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল পত্রিকার ৬ নম্বর পাতায়। মিড ডে-র খবরে হইচই পড়ে যায় দেশজুড়ে। পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে নেন পত্রিকাগোষ্ঠী। ভুলের জন্য প্রার্থনাও করা হয় ক্ষমা। সেই সঙ্গে এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বক্তব্যও প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।

    মিড ডে-র প্রতিবেদন (Mid Day)

    মিড ডে পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, মুম্বইয়ের একটি গণনাকেন্দ্রে এক প্রার্থীর আত্মীয়ের কাছে এমন মোবাইল ছিল, যার মাধ্যমে ওটিপি দিয়ে ইভিএম খোলা যেত। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র ওয়াইকার গোটা ভোটিং প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন। তার জেরেই ওয়াইকার জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছিল প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে এও উল্লেখ করা হয়েছিল, শিবসেনা প্রার্থী জিতেছিলেন কারণ তাঁর আত্মীয় এমন ফোন ব্যবহার করেছিলেন যার মাধ্যমে ওটিপি জেনারেট করে ইভিএম খোলা হয়েছিল (Mid Day)।

    কী বলছেন রিটার্নিং অফিসার? 

    মুম্বই উত্তর-পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার বন্দনা সূর্যবংশী বলেন, “ইভিএম একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা, যা আনলক করতে ওটিপির প্রয়োজন হয় না।” ‘ভুল’ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘ওয়াইকারের আত্মীয়ের একটি ফোন ছিল, যেটি দিয়ে ইভিএম আনলক করা যায় অসাবধানবশত ভুলভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ইভিএম আনলক করতে মোবাইল ফোন দিয়ে ওটিপি জেনারেট করেছিল, এজন্য আমরা দুঃখিত।’

    আর পড়ুন: হাবিবুল্লার পর এবার হেরাজ, হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি

    ১৭ জুন সংবাদমাধ্যম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, রিপোর্টে ভুল ছিল। ক্ষমাও প্রার্থনা করেন এই দিন। নির্বাচন কমিশন যে বিবৃতি জারি করেছিল, তাকে একেবারে পেজ ওয়ানে ছাপিয়ে তার নীচে ভুল স্বীকার করে নেয় সংবাদপত্র গোষ্ঠী। বিজেপির দাবি, রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় বিশাল জায়গা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হল। আর ক্ষমা চাওয়ার বেলায় এই টুকু! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে এবং পত্রিকাটির পাঠক সংখ্যা বাড়াতে ভুল খবর ছেপেছিলেন কর্তৃপক্ষ। ভুল স্বীকারের আঁচ যাতে গায়ে না লাগে তাই ছোট্ট একটি জায়গা নিয়ে ছাপা হয়েছে ভুল স্বীকার (Mid Day)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rath Yatra 2024: ভক্তদের জন্য সুখবর! এবছর দুবার রথের দড়িতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন পূণ্যার্থীরা

    Rath Yatra 2024: ভক্তদের জন্য সুখবর! এবছর দুবার রথের দড়িতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন পূণ্যার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথযাত্রা মানেই বাঙালির দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় খুঁটি পুজো। আর এবারের রথ বাঙালীর কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। কারন এবছর রথের তিথি পড়েছে দুদিন। আগামী ৭ জুলাই, রবিবার পড়ছে জগন্নাথ রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এই শুভ সময় পড়ছে। জানা গিয়েছে ৭ জুলাই ভোর ৪ টা ২৬ মিনিট থেকে এই আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে। আর দ্বিতীয়া তিথি শেষ হচ্ছে ৮ জুলাই সোমবার ভোর ৪ টে ৫৯ মিনিটে। 

    রথযাত্রার নিয়মাবলী

    সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৭ জুলাই রথযাত্রার ভোররাত ২টো নাগাদ মঙ্গলারতি হবে জগন্নাথ মন্দিরে। এরপর ভোর ৪টে তে হবে নেত্র বন্দোপনা। সকাল ১১টায় হবে রথ প্রতিষ্ঠা। পহন্দি প্রথা পালিত হবে ওইদিন দুপুর ১টা বেজে ১০ মিনিটে। এরপর বিকেল ৪টের সময় ছেরাপহরা হবে। ৫টা থেকে শুরু হবে রথযাত্রা। ওই সময় থেকেই রথের রশিতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন ভক্তরা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৬ জুলাই পালিত হবে রথঅঙ্গনমালা বিজে। নবযৌবন দর্শন, নেত্র উৎসব এবং রথযাত্রা পালিত হবে ৭ জুলাই। ওইদিন কিছুটা দূরত্ব পর্যন্ত টানা হবে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার রথ। এর পরদিন অর্থাৎ ৮ জুলাই গুণ্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে তিন ভগবানকে। অর্থাৎ পরপর দুদিন ভক্তরা সুযোগ পাবেন পবিত্র রথের দড়ি স্পর্শ করার। প্রায় ৫৩ বছর পর রথযাত্রায় এই সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।    

    আরও পড়ুন: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যয় কমাতে এ বছরেই দেশে অনুষ্ঠিত হবে সৌর উৎসব!

    ছত্তিশা নিযোগের মন্তব্য 

    এবারের রথযাত্রা প্রসঙ্গে সোমবার শ্রীমন্দিরের ছত্তিশা নিযোগ বৈঠকে জানিয়েছেন, এ বছরের রথযাত্রা অনেকটা অভিনব। তাই ১৯৭১ সালের মহোৎসবের সূচিই এবার অনুসরণ করা হবে জগন্নাথধামে। এদিন দ্বৈতাপতি সেবায়েত বিনায়ক দশমহাপাত্র জানিয়েছেন, ৫৩ বছর পর নবযৌবন দর্শন, নেত্র উৎসব এবং রথযাত্রা একইদিনে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এ বছর নবযৌবন এবং রথযাত্রা একইদিনে পড়ায় সেবায়েতরা শৃঙ্গার সেবা, নেত্র উৎসবের সময় কম পাবেন। এবার আর নবযৌবন দর্শন হবে না।’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kumbh Mela 2025: মহাকুম্ভে ভিড় এড়াতে এআই প্রযুক্তি! মেলা প্রসঙ্গে কী বললেন যোগী? 

    Kumbh Mela 2025: মহাকুম্ভে ভিড় এড়াতে এআই প্রযুক্তি! মেলা প্রসঙ্গে কী বললেন যোগী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। কুম্ভ মেলা প্রতি চারবছর অন্তর পালন করা হলেও প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ। এছাড়া প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে পালিত হয় অর্ধকুম্ভ। ২০১৩ সালে মহাকুম্ভের (Kumbh Mela 2025) আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২৫ সালে ফের মহাকুম্ভের প্রস্তুতি চলছে। এবার মহাকুম্ভের আয়োজন করা হবে প্রয়াগরাজে। এই মেগা ইভেন্টকে অন্য রূপ দিতে চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাকুম্ভে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। তাই ভিড় এড়ানোর জন্য এখানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকা। সরকারি সূত্রে খবর এই মেলায় ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI Based Technology) সাহায্য নেওয়া হবে।

    মহাকুম্ভ নিয়ে যোগীর ভাবনা

    সরকারি সূত্রে খবর, আগামী বছর মহাকুম্ভের (Kumbh Mela 2025) জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি চলছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্য পুলিশ বিভাগকে মেগা ইভেন্টের জন্য এআই প্রযুক্তি গ্রহণের কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মহাকুম্ভের গুরুত্বের কথা বলেন। এই মহাযজ্ঞ সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠভাবে করতে বদ্ধপরিকর সরকার। এই মেলাকে বিশ্বের কাছে ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া হিসেবে গড়ে তুলতে আগ্রহী যোগী। এই মেলা চার হাজার হেক্টর অঞ্চল জুড়ে হবে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা তীর্থ যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য ২৪ ঘণ্টা মেলা প্রাঙ্গণে দক্ষ কর্মী থাকবে। ভিড় নজরে রাখতে ব্যবহৃত হবে এআই প্রযুক্তি (AI Based Technology)। গরোন্নয়ন দফতর জানিয়েছে, তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য মাটিতে দেড় লক্ষেরও বেশি টয়লেট তৈরি করা হবে। নিযুক্ত করা হবে ১০ হাজারেরও বেশি স্যানিটেশন কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী এই মেলা শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য পুলিশকে সংবেদনশীল ও মৃদুভাষী হতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অক্ষয় ভাট, সরস্বতী কুপ এবং পাতালপুরী মন্দিরের সঙ্গে সংযোগকারী করিডোরটি শীঘ্রই সম্পন্ন করবে সরকার। এই প্রকল্পের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়াগরাজে ভারতীয় সেনা ইউনিটেরও সাহায্য চাওয়া হতে পারে, বলে জানিয়েছেন আদিত্যনাথ।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ৩০০ কোটি আয়, বাছা হয়েছিল ৭০০ পরীক্ষার্থীকে! নিট প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে দাবি এক মাফিয়ার

    মহাকুম্ভের আয়োজন

    ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের (Kumbh Mela 2025) প্রথম শাহি স্নান পালিত হবে ১৩ জানুয়ারি। সেদিন আবার পৌষ পূর্ণিমাও পালিত হবে। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির শাহি স্নান পালিত হবে ২৯ জানুয়ারি। এছাড়া মৌনী অমাবস্যার শাহী স্নান পালিত হবে ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর শাহী স্নান ও তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি অচলা সপ্তমী, ১২ ফেব্রুয়ারি অচলা সপ্তমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘ পূর্ণিমা ও ৮ মার্চ মহাশিবরাত্রির শাহি স্নান পালিত হবে। মোট ২১টি শাহি স্নান পালিত হবে মহাকুম্ভের সময়। শাস্ত্র অনুসারে স্বর্গের ১২ দিন হল মর্ত্যের ১২ বছরের সমান। সেই কারণে মহাকুম্ভ প্রতি ১২ বছর অন্তর হয়। অমৃত নিয়ে দেব দানবের যুদ্ধের সময় তা অমৃতের কলসী থেকে অমৃত চলকে ১২টি স্থানে পড়েছিল। এর মধ্যে আটটি স্থান হল স্বর্গ্যে এবং চারটি স্থান মর্ত্যে। মর্ত্যের এই চার স্থান হল প্রয়াগ, হরিদ্বার,   উজ্জ্বয়িন ও নাসিক। এই চার স্থানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতি বারো বছর অন্তর কুম্ভ মেলা আয়োজিত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artificial Colour: কাবাব এবং মাছে রঙ মেশানোয় নিষাধাজ্ঞা কর্ণাটক সরকারের

    Artificial Colour: কাবাব এবং মাছে রঙ মেশানোয় নিষাধাজ্ঞা কর্ণাটক সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবারে কৃত্রিম রং মেশানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্ণাটক সরকার। কাবাব এবং মাছের বিভিন্ন পদে কৃত্রিম রং (Artificial Colour) মেশানোর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই সরকারের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে মেশানো রং খুবই নিম্নমানের বলে পাওয়া যায়।

    কাবাবে রঙ মেশানোয় নিষেধাজ্ঞা

    কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিনেশ গুণ্ডু রাও বলেন, “মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিম্নমানের রঙের জেরে মানব দেহে কী ক্ষতি হয় তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ ফুড সেফটি বিভাগের কমিশনারকে এ বিষয়ে তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।” জানা গিয়েছে কর্নাটকের ফুড সেফটি বিভাগের তরফে ৩৯ টি কাবাবের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং রাজ্যের ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সব কটি নমুনা খাদ্যের অযোগ্য বলে গণ্য করা হয়। মেশানো (Artificial Colour) রঙ বিশেষ করে সানসেট য়েলো এবং কার্মোইসাইন স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর বলে গণ্য করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

    খাবারে রঙ মেশালে যাবজ্জীবন জেল

    কর্ণাটক সরকারের তরফে জানা হয়েছে নতুন আইনের ফলে কাবাব বা মাছের পদে কৃত্রিম রং (Artificial Colour) মেশানে হলে কমপক্ষে ৭ বছরের জেল, এমনকি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন জেল হতে পারে। একই সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা সহ সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। জানা গিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আগেও রাজ্যে ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট ছিল। যে নমুনা গুলি সংগ্রহ

    আরও পড়ুন: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    করা হয়েছিল তা ওই অ্যাক্টের আওতায়ও খাদ্যের অযোগ্য বলে গণ্য হয়। ফুড সেফটি অ্যাক্ট-এর আওতায় খাবারের যে কোনও ক্ষতিকারক কৃত্রিম রং মেশানো নিষিদ্ধ ছিল। নতুন নিয়মে কোন রঙ মেশানো যাবে না। তা সত্ত্বেও রাজ্যজুড়ে চলছে খাবারে রং মেশানোর কাজ। মনে করা হয় কাবাব বা অন্য খাবারকে আরও সুন্দর দেখানোর জন্য রং-এর ব্যবহার করা হয়। এর আগে কর্ণাটক সরকার ক্যান্ডি কটন এবং গোভি মাঞ্চুরিয়ানেও রং মেশানো বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: সুপ্রিম দুয়ারই ভরসা কেজরিওয়ালের! আপ প্রধানের জামিন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট

    Arvind Kejriwal: সুপ্রিম দুয়ারই ভরসা কেজরিওয়ালের! আপ প্রধানের জামিন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিন পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আপাতত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। এবার কেজরির একমাত্র ভরসা সুপ্রিম কোর্টই। বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, নিম্ন আদালতের অবকাশকালীন বিচারক ন্যায় বিন্দু আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে তিহার থেকে কেজরিওয়াল ঘরে ফেরার আগেই আপ সুপ্রিমোর মুক্তি আটকাতে ২১ জুন সকালে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। শুক্রবারই তাঁর জামিনে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট (Delhi High Court)। মঙ্গলবার নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন খারিজই করে দিল হাইকোর্ট। 

    হাইকোর্টের অভিমত

    মঙ্গলবার বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় বলে, ‘‘ট্রায়াল কোর্টের এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া উচিত হয়নি, যা হাইকোর্টের রায়ের বিপরীত।’’ একই সঙ্গে উচ্চ আদালত এ-ও জানায়, নিম্ন আদালত নির্দেশ দেওয়ার সময় নথি এবং যুক্তি যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন করেনি। হাইকোর্ট আরও বলেছে, এক বার তাঁর (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলা হাইকোর্ট (Delhi High Court) খারিজ করে দিয়েছিল। ফলে এটা কখনই বলা যাবে না যে, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ৩০০ কোটি আয়, বাছা হয়েছিল ৭০০ পরীক্ষার্থীকে! নিট প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে দাবি এক মাফিয়ার

    সুপ্রিম দুয়ারে কেজরিওয়াল

    আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ আপ প্রধানকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) পদ থেকে ইস্তফা দেননি। পরে লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হলে আবার তিনি তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আম আদমি পার্টির প্রধানের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। তারপরই দিল্লি হাইকোর্টে কেজরির জামিনের বিরোধিতা করে মামলা করে ইডি। তখনই কেজরির জামিনে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেয় উচ্চ আদালত। এরপর রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সোমবার তাঁর সেই আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় শীর্ষ আদালত। এবার সুপ্রিম দুয়ারই শেষ ভরসা আপ প্রধানের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India first Solar Festival: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যয় কমাতে এ বছরেই দেশে অনুষ্ঠিত হবে সৌর উৎসব!

    India first Solar Festival: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যয় কমাতে এ বছরেই দেশে অনুষ্ঠিত হবে সৌর উৎসব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ভারতের মাটিতে পালন করা হবে সোলার ফেস্টিভ্যাল (India first Solar Festival)। সোমবার ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স নয়াদিল্লিতে (New Delhi) ঘোষণা করে জানিয়েছে যে, ভারত এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম আন্তর্জাতিক সৌর উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে। মূলত সারা পৃথিবী ব্যাপী চাহিদা মেটাতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সেক্টরকে উন্নত করার লক্ষ্যে নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক এই সৌর উৎসব শুরু হবে।   

    বিভিন্ন রাজ্যে সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশনের প্রস্তাবনা (India first Solar Festival)

    ইতিমধ্যেই ভারত সরকার বেশ কয়েকটি রাজ্যে সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশনের জন্য বিশাল ভর্তুকিও অফার করছে। জানা গিয়েছে এই সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশনের পর প্রতিটি পরিবার তাদের গড় বিদ্যুতের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারবে। দিল্লির (New Delhi) এই সৌর উৎসবে আফ্রিকা মহাদেশ ও পশ্চিমের দেশগুলি সহ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি আর্থিক সহায়তা দেবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির  

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    এ প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের ডিরেক্টর জেনারেল ড: অজয় ​​মাথুর বলেছেন যে, “বিশ্বব্যাপী সবুজ শক্তি সেক্টরের ক্ষমতায়নের সমস্ত সম্ভাবনা অন্বেষণ করার জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারকে এক প্ল্যাটফর্মে (India first Solar Festival) একত্রিত করার লক্ষ্যে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। কারণ সৌর বিদ্যুৎ হল দ্রুততম উদীয়মান শক্তিগুলির মধ্যে একটি। ফলে আন্তর্জাতিক সৌর উৎসবের এই অনুষ্ঠানে এলে সকলেরই এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ তৈরি হবে।  
    জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর বিরূপ প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে দৃশ্যমান। ফলে ভারতের পাশাপাশি জি২০ (G20)-এর মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলি বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানীর (fossil fuels) উপর নির্ভরতা কমাতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে স্যুইচ করার কথা ভাবছে। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET Scam: লক্ষ্য ৩০০ কোটি আয়, বাছা হয়েছিল ৭০০ পরীক্ষার্থীকে! নিট প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে দাবি এক মাফিয়ার

    NEET Scam: লক্ষ্য ৩০০ কোটি আয়, বাছা হয়েছিল ৭০০ পরীক্ষার্থীকে! নিট প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে দাবি এক মাফিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট-ইউজি ২০২৪ (NEET Scam) পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস (NEET Paper Leak) করে ৩০০ কোটি টাকা রোজগারের লক্ষ্য ছিল। এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল ৭০০ পরীক্ষার্থীকে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন। বিজেন্দর গুপ্তা নামে মাফিয়া চক্রের ওই পান্ডা এখনও পর্যন্ত ধৃত এবং পালিয়ে বেড়ানো সকলকেই চেনেন-জানেন। ইন্ডিয়া টুডে-র বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই কথা জানিয়েছেন বিজেন্দর। 

    কে এই বিজেন্দর

    সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজেন্দর নিজে একাধিক প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে জড়িত ও অভিযুক্ত। পুলিশ দুবার তাঁকে গ্রেফতার করলেও আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে গিয়েছেন সহজেই। ২০২৩ সালে ওড়িশা স্টাফ সিলেকশন কমিশন, বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বিজেন্দরের বিরুদ্ধে। এই কাজে তাঁর ২৪ বছরে অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত মার্চ মাস থেকে তাঁর একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তাতে বলা ছিল নিট-ইউজির প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে। ঘটনাচক্রে দেখা গিয়েছে, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড়। 

    আরও পড়ুন: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    কীভাবে ফাঁস হল প্রশ্ন

    প্রশ্ন ফাঁসের (NEET Paper Leak) জন্য একাধিক পদ্ধতি বা কৌশল ব্যবহার করা হয়। বিজেন্দর উদাহরণ দিয়ে বলেন, সরকারের ক্ষমতাশালী লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে হবে। ছাপাখানার সঙ্গে যোগসাজশ থাকতে হবে। বিজেন্দর জানান, এই ব্যবসায় নেটওয়ার্কই হল সবথেকে বড় হাতিয়ার। গোপন ক্যামেরার সামনে অকপট বিজেন্দর আরও জানান, কীভাবে প্রশ্ন পাঠানোর সময় তা বাক্স থেকে বের করা হয়। কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলি কীভাবে টেন্ডার হাতে পায়। নিট প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে মুখ্য অভিযুক্ত সঞ্জীব মুখিয়া এবং ধৃত বিশাল চৌরাসিয়াকেও চেনেন বলে জানান বিজেন্দর। ইন্ডিয়া টুডে-র কাছে বিজেন্দর দাবি করেছেন, নিটের (NEET Scam) প্রশ্ন ফাঁস করে ২০০-৩০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য ছিল চক্রীদের। এর জন্য বাছা হয়েছিল ৭০০ পরীক্ষার্থীকে। তিনি বলেন, “দিল্লি এবং পটনায় ৩০০ পরীক্ষার্থী ছিলেন। আরও কয়েক জায়গায় বাকি পরীক্ষার্থী। তাঁদের কাছে বিভিন্ন দলে ভাগ করে লোক পাঠানো হয়েছিল।” তাঁর দাবি, প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পৌঁছনোর আগে রাস্তাতেই কিছু প্রশ্ন সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যে গাড়ি করে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেখান থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Emergency: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি, অমলিন সংবিধানের গায়ে ইন্দিরার ‘কলঙ্কে’র স্মৃতি

    Emergency: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি, অমলিন সংবিধানের গায়ে ইন্দিরার ‘কলঙ্কে’র স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেছিল, সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার কোনও অধিকার তাদের নেই।” দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তিতে এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী (Emergency)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার কোনও অধিকার তাদের নেই। এরা একাধিকবার দেশে ৩৫৬ ধারা জারি করেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিল এনেছে, সংবিধানের প্রতিটি দিক লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার কালো অতীত আমাদের স্মরণ করায় কীভাবে কংগ্রেস দল দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যে সংবিধানকে দেশবাসী সম্মান করে, তাকে পদদলিত করা হয়েছিল। কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে কার্যত মুছে দিয়ে গোটা দেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে একমত না হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ভয়ঙ্কর রকম নির্যাতন চালায় তৎকালীন সরকার।”

    ‘অভিশপ্ত’ সেই দিন

    ফেরা যাক, ১৯৭৫ সালের ‘অভিশপ্ত’ সেই দিনটিতে। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ইন্দিরা গান্ধী। রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ। ২৫ জুন জারি হয় জরুরি অবস্থা। এই অবস্থা জারি ছিল ২১ মাস। এই সময় সংবিধান সংশোধন করে নিজেকে ডিক্রি দ্বারা শাসক করার ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন ইন্দিরা। ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধন হয়। অনেকে অবশ্য একে সংশোধনী না বলে ‘মিনি সংবিধান’ বলতেই পছন্দ করেন। এই সময় সংবিধান সংশোধন করতে গিয়ে বদল আনা হয় সংবিধানের প্রস্তাবনায়ও। ৪০ আর্টিকেল, ৭ শিডিউলের পাশাপাশি ১৪টি নতুন আর্টিকেলও যোগ করা হয়। সংবিধানে দুটি নতুন অংশও যোগ করা হয়।

    মৌলিক অধিকারে আঘাত

    সংবিধান সংশোধন করতে (Emergency) গিয়ে ইন্দিরা প্রথমেই আঘাত হেনেছিলেন দেশবাসীর মৌলিক অধিকারে। আক্রমণ করেছিলেন বিচারব্যবস্থাকেও। মূল আঘাত নেমে এসেছিল সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার এবং কনস্টিটিউশনাল রেমেডির অধিকারের ওপর। ডানা ছেঁটে দিয়েছিলেন জুডিশিয়াল রিভিউয়ের। ক্ষমতা খর্ব করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা এবং রিটের এক্তিয়ার হ্রাস করা হয়েছিল।   

    ক্ষমতার লোভ

    ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে আরও একটি কাজ করেছিলেন ইন্দিরা। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে রাশিয়ার ধাঁচে ছ’বছর করে ফেলেছিলেন। সংসদের কোরাম ব্যবস্থাও তুলে দিয়েছিলেন। কমিয়ে দিয়েছিলেন লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলির আসন সংখ্যা। জরুরি অবস্থায় সময় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে প্রাণপণ করেছিলেন ইন্দিরা। যাঁরাই জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে – তা তিনি কংগ্রেসই হোন কিংবা বিরোধী। এই সময়ই গ্রেফতার করা হয়েছিল মোরারজি দেশাই, জেপি নারায়ণ, চৌধুরী চরণ সিং, অটল বিহারী বাজপেয়ী, এলকে আডবাণী, আচার্য কৃপালনী-সহ বিরোধী নেতাদের। খর্ব করা হয়েছিল নাগরিক স্বাধীনতা।

    সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ

    ভারতের প্রতিরক্ষা বিধি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন কর্মী ও সাংবাদিককেও। কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল সংবাদপত্রের। গুরুত্বপূর্ণ কোনও খবর প্রকাশ করতে হলে তা পাশ করাতে হতে হত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে। এই সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরখাস্ত করা হয়েছিল অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকারগুলিকে। পুলিশ বিনা বিচারে গ্রেফতার করেছিল বহু নিরীহ নাগরিককে। জরুরি অবস্থার (Emergency) সময় দেশে সংসদকেই চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়। জুডিশিয়াল কোনও রিভিউ ছাড়াই সংবিধান সংশোধনের অধিকারও দেওয়া হয় সংসদকে। ইন্দিরার এই সংশোধনীর ফলে জরুরি অবস্থার সময় দুর্বল হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবস্থা।

    সংবিধানের প্রস্তাবনায় বদল

    সংবিধানের (Emergency) প্রস্তাবনায় তিনটি নতুন শব্দ ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘অখণ্ডতা’ যোগ করা হয়। ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ শব্দবন্ধের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ শব্দগুলি। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলা হলেও, কী ধরনের সমাজতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে, তার কোনও দিক নির্দেশ ছিল না। ‘জাতির ঐক্য’ শব্দবন্ধের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছিল ‘জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতা’ শব্দবন্ধ। নাগরিকদের জন্য ১০টি মৌলিক কর্তব্য যোগ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে যখন সংবিধান কার্যকর হয়েছিল, তখন তাতে ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

    এই সংশোধনীতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল এবং অন্যান্য বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল যোগ করা হয়। নির্দেশমূলক নীতি বাস্তবায়নের জন্য প্রণীত আইনগুলি কিছু মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের কারণে আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা যাবে না বলেও বলা হয়। লোকসভার স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ বিবেচনার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছিল। সংসদ আইনটি মন্ত্রিসভার পরামর্শের মধ্যেই বেঁধে দেয় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে। সংঘাতপূর্ণ কিংবা দাঙ্গা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনের অনুমতিও দেয় সংবিধানের ৪২ তম সংশোধনী।

    আর পড়ুন: চাবাহার-সিটওয়ের পর এবার ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর, কেন জানেন?

    বিরোধীদের মতে, সংবিধান সংশোধনের নামে ইন্দিরা আদতে ধ্বংস করেছিলেন ভারতের সংবিধানকে। ছুরিকাঘাত করেছিলেন আম্বেডকরের ভাষায়। প্রয়াত হয়েছেন ইন্দিরা। অতীত হয়েছে তাঁর জমানা। তবে রয়ে গিয়েছে সংবিধানের গায়ে তাঁর লাগানো ‘কালো দাগ’। এই সংবিধানকে রক্ষা করতে পেরেই তৃপ্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর অঙ্গীকার, “আমরা গৌরবের সঙ্গে সংবিধান রক্ষা করতে পেরেছি। দেশবাসী সঙ্কল্প নেবে যে ভবিষ্যতে আর কেউ এই কালো দিন আনার সাহস দেখাতে পারবে না (Emergency)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার ২৫ জুন। ১৯৭৫ সালের এই ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের জন্য কংগ্রেস দ্বারা জারি করা জাতীয় জরুরি (Emergency) অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপি কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে সমস্ত আন্দোলনকারীদের এই দিনটিকে স্মরণ করে গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন বলেছে। বিজেপি আরও বলেছে, “ভারতীয় গণতন্ত্র ও রাজনীতির অন্ধকারতম অধ্যায় ছিল এই দিনটি। জরুরি অবস্থা বিরোধী সকল সত্যাগ্রহীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অভিবাদন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য কুর্নিস জানাই।” সংসদে শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।

    কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (Emergency)

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার সংসদে সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সাথে সাথে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার স্মৃতি তুলে ধরেন। দেশের তৎকালীন নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বয়ং এই ঘোষণা করেছিলেন। মোদি বলেছেন, “আগামীকাল সেই কালাদিন। তরুণ প্রজন্ম কখনই ভুলবে না যে কীভাবে গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছিল। কীভাবে গোটা দেশকে একটি কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানকে কীভাবে পরিত্যাগ করা হয়েছিল তা দেখে ছিলেন মানুষ। ৫০ বছর পূর্তিতে দেশ প্রতিশ্রুতি দেবে যে এই দিনটি আর কখনই দেখবে না। সংসদের অধিবেশনে কাজে ব্যাঘাত এবং বিশৃঙ্খলা দেখতে চান না সাধারণ মানুষ। কাজের বিষয়ে আলোচনা ও প্রচেষ্টার বিষয়বস্তুকেই মানুষ পছন্দ করেন বেশি। আমি আশা করছি বিরোধী দল জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ করবে।”

    আরও পড়ুনঃ “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    কেন জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা?

    তৎকালীন সরকার ছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ঘটছে বলে কারণে দেখিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। এরপর জাতীয় জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেন। তিনি ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারার অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। এই জরুরি অবস্থা স্থায়ী হয়েছিল ২৫ জুন, ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। আবার এই জরুরি অবস্থার মধ্যে ছিল দেশের গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যহার করা এবং নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিসীমাকে সীমিত করা। ফলে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা একক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পুত্র সঞ্জয় গান্ধীও মানুষের মানবাধিকারকে কেড়ে নিয়ে ব্যাপক অত্যাচার করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share