Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NEET Scam: অপসারিত এনটিএ-র ডিজি, নয়া ডিজি হলেন প্রদীপ সিংহ খারোলা

    NEET Scam: অপসারিত এনটিএ-র ডিজি, নয়া ডিজি হলেন প্রদীপ সিংহ খারোলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধ কুমার সিংকে অপসারিত করা হল। প্রবল ‘নিট প্রশ্ন ফাঁস’ (NEET Scam) বিতর্কের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডিজি পদে আসীন হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক প্রদীপ সিংহ খারোলা। শনিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি নতুন উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে এনটিএ-তে যাতে অবাধ এবং স্বচ্ছ পরীক্ষা নিতে পারে ওই সংস্থা। এবিষয় খতিয়ে দেখবে সদ্যনিযুক্ত ওই কমিটি।

    কম্পালসারি ওয়েটিং-এ এনটিএ-র ডিজি সুবোধ কুমার সিং

    জানা গিয়েছে সুবোধ কুমার সিংকে পার্সোনেল এন্ড ট্রেনিং বিভাগে কম্পালসারি ওয়েটিং-এ পাঠানো হয়েছে। দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলনের মধ্যেই এই নয়া সিদ্ধান্ত এসেছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। এমনকি নিট পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ২০২৪ পরীক্ষা যা ২৩ জুন হওয়ার কথা ছিল সেটিকে রদ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত নিট (NEET UG) পরীক্ষায় ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ফুল মার্ক্স ৭২০ পাওয়ার পরেই গোটা বিষয়টি সন্দেহের আওতায় আসে। এমনকি কিছু পরীক্ষার্থী এমন নম্বর পান যার নিটের বিধানেই নেই। প্রায় দেড় হাজার পড়ুয়াকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়। তারপরেই (NEET Scam) সন্দেহ জোরালো হতেই ধীরে ধীরে এই ঘটনার এক একটি পরত সামনে আসে।

    প্রাক্তন ইসরো প্রধানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন

    ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) ইউজিসি নেট (UGC NET) পরীক্ষাও বাতিল করেছে। ১৮ জুন ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী নিয়েছিলেন। সেই প্রশ্নপত্র ডার্কওয়েবে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে যারা ভবিষ্যতে গবেষণা করবেন ভেবেছিলেন তাঁদের ভাগ্যও প্রশ্নফাঁস বিতর্কের জেরে ঝুলে রয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন (NEET Scam) এই ঘটনা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির সাংগঠনিক দুর্বলতার জেরে হয়েছে। প্রসঙ্গত এনটিএ দেশের বড় মাপের প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করে। ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার জেরে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির মান ও কর্ম্পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমতাবস্থায় শনিবার সরকার ইসরোর প্রাক্তন প্রধান ডক্টর কে আর রাধাকৃষ্ণের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের

    আরও পড়ুন: নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসে গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড রবি, অতুল কোথায়?

    কমিটি গঠন করেছে যা এনটিএ-র কর্মপদ্ধতিতে কোথায় গলদ হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে। সাত সদস্যের ওই কমিটি পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি, প্রশ্নপত্র তৈরি করার পদ্ধতি, তথ্যের সুরক্ষা এবং সংস্থার কর্মপদ্ধতি খতিয়ে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করবে। এই কমিটিকে দু মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

    সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক (NEET Scam)

    অন্যদিকে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যতদিন না পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশ আসছে ততদিনই ততদিন প্রদীপ খারোলা এনটিএর দায়িত্ব সামলাবেন। এখন অবধি নিট কেলেঙ্কারি (NEET Scam) মামলায় ১৯ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এমনকি এই অনিয়মের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET Scam: নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসে গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড রবি, অতুল কোথায়?

    NEET Scam: নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসে গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড রবি, অতুল কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসে (NEET Scam) গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড রবি অত্রি। শনিবার গ্রেটার নয়ডার নিমকা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের নেপথ্যে রয়েছে ‘সলভার গ্যাং’। এই গ্যাংয়েরই অন্যতম মাথা রবি। সব মিলিয়ে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার ১৯।

    অতুল কোথায়? (NEET Scam)

    শুক্রবারই ঝাড়খণ্ডের দেওঘর থেকে সিকন্দার যাদবেন্দ্র নামে এক সন্দেহভাজন সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও ১৩ জনকে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে নিজের সলভার গ্যাংকে কাজে লাগিয়েছিল রবি। ওই কেলেঙ্কারিতে অতুল বৎস, সিকন্দর যাদবেন্দ্র, সঞ্জীব মুখিয়ার পাশাপাশি উঠে এসেছিল রবির নামও। সিকন্দর, সঞ্জীব এবং রবিকে গ্রেফতার করা গেলেও, এদিন সন্ধে পর্যন্তও নাগাল পাওয়া যায়নি অতুলকে।

    রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আগেও

    এই প্রথম নয়, রবির বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের (NEET Scam) অভিযোগ উঠেছে আগেও। ২০১২ সালেই মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিজ্ঞতা রয়েছে অতুল এবং সঞ্জীবেরও। তারা বিহারের পাটনা ও নালন্দায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল বলে দাবি পুলিশের।

    মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ২০০৭ সালে রাজস্থানের কোটায় গিয়েছিল রবি। পরীক্ষা প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ই ‘সলভার গ্যাং’য়ের সংস্পর্শে আসে সে। ২০১২ সালে নিট পাশ করে সে ভর্তি হয়েছিল হরিয়ানার রোহতক পিজিআইতে। মাঝপথে পড়া ছেড়ে দিয়ে সে অন্যের হয়ে পরীক্ষায় বসতে শুরু করে বলে অভিযোগ। পরে জড়িয়ে পড়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে। তার পর থেকে ক্রমেই দুর্নীতির জাল বিস্তার করেছিল সে।

    আর পড়ুন: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে প্রাক্তন ইসরো প্রধানের নেতৃত্বে কমিটি

    পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগাম পেয়ে যেত রবির গ্যাং। পরে প্রশ্নগুলির উত্তর লিখে আপলোড করা হত সোশ্যাল মিডিয়ায়। এজন্য যে নেটওয়ার্ক রবি তৈরি করেছিল, তারই নাম ‘সলভার গ্যাং’।প্রসঙ্গত, এবার নিট পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৭ জন ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় ফুল মার্কস পেয়েছেন। গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৫৬৩জনকে। অনিয়মের অভিযোগে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (NEET Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET NET Row: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে প্রাক্তন ইসরো প্রধানের নেতৃত্বে কমিটি

    NEET NET Row: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে প্রাক্তন ইসরো প্রধানের নেতৃত্বে কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ফাঁস করা হয়েছে প্রশ্নপত্র। নিট কিংবা নেট (NEET NET Row) পরীক্ষাকে ঘিরে গুচ্ছের অভিযোগ। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া দাওয়াইয়ের পথে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রবেশিকা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনিয়ম ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে নয়া আইন কার্যকর করবে সরকার।

    অনিয়ম রুখতে কমিটি

    গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংসদে পাশ হয়েছিল পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪ (NEET NET Row)। পরে তা আইনেও পরিণত হয়। সেই আইনই লাগু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতেও সংস্কার ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করতে গড়া হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে কী কী সংস্কার ঘটানো যেতে পারে তা নিয়ে মতামত জানাবে ওই কমিটি। দু’মাসের মধ্যে জমা দেবে রিপোর্ট।

    কারা রয়েছেন কমিটিতে

    কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণণ। রাধাকৃষ্ণণ আইআইটি কানপুরের বোর্ড অফ গভর্নর্সের চেয়ারপার্সনও। কমিটির সদস্যরা হলেন, এইমসের প্রাক্তন ডিরেক্টর রণদীপ গুরেরিয়া, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ হায়দ্রাবাদের উপাচার্য বিজে রাও, আইআইটি দিল্লির ডিন অফ স্টুডেন্টস  অ্যাফেয়ার্স আদিত্য মিত্তল, আইআইটি মাদ্রাজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক রামামূর্তি কে, শিক্ষামন্ত্রকের যুগ্মসচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল এবং কর্মযোগী ভারতের বোর্ড সদস্য পঙ্কজ বনসল। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কর্মপদ্ধতিতে সংশোধন ঘটাতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের কথা বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেই মতো গড়া হয়েছে কমিটি।

    আর পড়ুন: বাম দুর্গেও ফুটল পদ্ম, কেরল পদ্মময় হতে কত দেরি?

    শনিবারই কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এনটিএ পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে কী কী সংশোধন ঘটানো যায়, তথ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা, পরীক্ষার সমগ্র পরিকাঠামোয় কী কী পরিবর্তন আনা যায়, তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি। প্রসঙ্গত, পাবলিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতি রুখতে পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪ লাগু করে কেন্দ্র। এই আইনের আওতায় দোষী ব্যক্তির ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। দুর্নীতি রুখতে তিন থেকে পাঁচ বছরের সাজার বিধানও রয়েছে আইনে। সংগঠিতভাবে নকল করার অপরাধে যুক্ত থাকলে হতে পারে পাঁচ থেকে ১০ বছরের জেল এবং ন্যূনতম ১ কোটি টাকা জরিমানা (NEET NET Row)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kerala Lok Sabha Election: বাম দুর্গেও ফুটল পদ্ম, কেরল পদ্মময় হতে কত দেরি?

    Kerala Lok Sabha Election: বাম দুর্গেও ফুটল পদ্ম, কেরল পদ্মময় হতে কত দেরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার কেন্দ্রে সরকার গড়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (Kerala Lok Sabha Election)। অষ্টাদশ লোকসভায় নির্বাচন হয়েছিল ৫৪৩টি আসনে। তার মধ্যে এনডিএর ঝুলিতে পড়েছে ২৯৩টি আসন। এর মধ্যে আবার বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি কেন্দ্রের রাশ। অথচ এনডিএকে মাত দিতে কীই না করেছেন বিরোধীরা!

    মোদির রেকর্ড (Kerala Lok Sabha Election)

    পদ্ম বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। জোটের নাম ‘ইন্ডি’। তার পরেও বল্গাহীনভাবে এগিয়েছে এনডিএর জয়যাত্রা। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি (Kerala Lok Sabha Election)। যে রেকর্ড ছিল কেবলমাত্র দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর। আজ পদ্ম পার্টি যে রেকর্ড গড়েছে, তা ছুঁতে পারেননি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও। কংগ্রেস তাঁকে সব চেয়ে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করত। মোদির এই সাফল্যকে অবশ্য ছোট করে দেখছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টিগুলি।

    বামদুর্গেও পদ্ম

    ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর এবার এই ২০২৪ সালের নির্বাচনে আরও একটি রেকর্ড গড়েছে গেরুয়া পার্টি। সেটি হল বামদুর্গ বলে খ্যাত কেরলেও এবার ফুটেছে পদ্ম। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যে লোকসভা আসন রয়েছে ২০টি। এই আসনগুলির মধ্যে একটিতে এবার পদ্ম ফুটিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুরেশ গোপী। কেরলে দীর্ঘকাল যাবৎ বিজেপি- বিরোধী প্রচার চালিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট। তার পরেও সুরেশ পেয়েছেন চার লাখের কিছু বেশি ভোট। তিনি জয়ী হয়েছেন ৭৪ হাজার ভোটে। ত্রিশূর কেন্দ্রে জিতেছেন তিনি। তিনি পেয়েছেন ৩৭.৮ শতাংশ ভোট। ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন বাম প্রার্থী। কংগ্রেস পেয়েছে ৩০.১ শতাংশ ভোট। ২০০৪ সালে কেরলে জিতেছিলেন এনডিএ পার্টি। তখন কেরল কংগ্রেস ছিল এনডিএতে। তার পর এতদিন পরে রাজ্যে ফের ফুটল পদ্ম।

    আর পড়ুন: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    বামদুর্গ কেরলে ক্রমেই বাড়ছে বিজেপির ভোট। ত্রিশূরে যে কেবল বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, তাই নয়, থিরুভানন্তপুরমে দ্বিতীয় হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের শশী থারুরের বিরুদ্ধে লড়ে মাত্র ১৬ হাজার ৭৭ ভোটে হেরেছেন বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেরলে বিজেপি পেয়েছিল ১৫.৫৬ শতাংশ ভোট। পাঁচ বছর পরে এবার সেই ভোটের হার বেড়ে হয়েছে ১৯.২৪ শতাংশ। ভোট কমেছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টের। লোকসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কেরলের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের আটটি কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গেরুয়া পার্টি।

    আরব সাগরের তীরের এই রাজ্য পদ্মময় হতে কী খুব বেশি দেরি আছে (Kerala Lok Sabha Election)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা! রিজার্ভেশন সিট দখল করলে টিটিই এসে খালি করে দেবে, জানুন নিয়ম

    Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা! রিজার্ভেশন সিট দখল করলে টিটিই এসে খালি করে দেবে, জানুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুবিধার্থে এবার এক দারুন উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে আর ট্রেনে নিজের সংরক্ষিত সিটে (Reservation Seat) বসা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। সম্প্রতি রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কারও কনফার্ম রিজার্ভেশন টিকিটে অন্য কেউ এসে বসে, তাহলে একেবারে টিটিই(TTE) এসে ওই সিট খালি করে দেবেন। কেবল আপনাকে একটি মেসেজ করতে হবে। মেসেজে কীভাবে করতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    কী জানিয়েছে রেল? (Indian Railways)

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কারও কনফার্ম রিজার্ভেশন টিকিটে (Reservation Seat) অন্য কেউ এসে বসে, তাহলে মেসেজে ইংরেজি বড় অক্ষরে কেবল SEAT লিখুন। কিছুটা স্পেস দিয়ে PNR নম্বর, স্পেস কোচ নম্বর, সিট নম্বর এবং তারপর OCCUPIED BY UNKNPWN PASSENGER লিখে পাঠিয়ে দিন ১৩৯ নম্বরে। ১৩৯ নম্বরে মেসেজ পাঠানোর পরই টিই নিজে আসবেন এবং আপনার সিট খালি করে দেবেন। এরপর আপনি আপনার সিটে বসে স্বচ্ছন্দে যেতে পারবেন। এছাড়া ট্রেনে অন্য কোনও সমস্যা বা সাহায্যের প্রয়োজন হলেও এই নম্বরে মেসেজ করে জানাতে পারেন বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। 
    তবে কেবল মেসেজ নয়, ১৩৯ নম্বরে ফোনও করেও ট্রেন সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য, পিএনআর স্টেটাস এবং টিকিট মিলছে কি না, তাও জানা যাবে। এছাড়া ট্রেন কোন স্টেশনে রয়েছে, কখন কোন স্টেশনে ঢুকবে, পিএনআর নম্বর দিয়ে সেটাও জানা যাবে। এমনকি রিজার্ভেশন সম্পর্কিত তথ্যও পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    মাঝেমধ্যেই রেলের (Indian Railways) যাত্রীদের একাংশ অভিযোগ করেন যে তাঁদের রিজার্ভ করা সিটে অন্য কোনও ব্যক্তি জবরদখল করে বসে রয়েছেন। সেই যাত্রীকে সেখান থেকে তুলতে গিয়ে গন্ডগোল, হাতাহাতি-মারামারিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ার খবর মেলে। কনফার্ম টিকিট (Reservation Seat) থাকা সত্বেও প্রায়শই এই প্রকট সমস্যার সম্মুখীন হন একটি বড় অংশের যাত্রী। তাই এবার যাত্রী সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandrababu Naidu: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    Chandrababu Naidu: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারকে অপমান করার অভিযোগে বিধানসভা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)। সেদিনই বলেছিলেন, যেদিন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেদিন ফিরবেন এই ভবনে। ‘কথা’ রাখলেন তিনি। বিধানসভায় ফিরলেন শুক্রবার, ৩১ মাস পরে এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়েই। আড়াই বছরেরও বেশি সময় বিধানসভার বাইরে থাকার পর এদিন সভায় পা রেখেই খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন চন্দ্রবাবু। বিধানসভায় তাঁকে স্বাগত জানান তেলগু দেশম পার্টির বিধায়ক এবং জোটসঙ্গীরা।

    চন্দ্রবাবুর ‘প্রতিজ্ঞা’

    ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা চলছিল অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায়। এই সময় তৎকালীন শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন চন্দ্রবাবু। সেই সময় আচমকাই জগন্মোহন রেড্ডির দলের বিধায়করা চন্দ্রবাবুর স্ত্রীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ (Chandrababu Naidu)। প্রতিবাদে বিধানসভা ছেড়ে চলে যান। সজল চক্ষে বলে যান, “এর পর আমি আর কোনও অধিবেশনে যোগ দেব না। আবার যখন মুখ্যমন্ত্রী হব, তখন বিধানসভায় পা রাখব।” তৎকালীন বিধানসভাকে ‘কৌরবদের সভা’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।

    প্রতিজ্ঞা পূরণ হওয়ায় বিধানসভায়

    উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্সিতে বসেছিলেন জগন্মোহন। চব্বিশের ভোটে পাশা উলটেছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। বিজেপি এবং জনসেনা পার্টির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই নির্বাচনে লড়েছিল টিডিপি। তাতেই উলটে যায় পাশার দান। ১৭৫ আসনের অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ১৩৫ আসনে জয়ী হয় টিডিপি। ২১টি আসনে জেতে জন সেনা পার্টি। রাজ্যের আটটি বিধানসভা কেন্দ্রে ফোটে পদ্ম। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন টিডিপি সুপ্রিমো। এই নিয়ে চতুর্থবার। শুক্রবার পা রাখেন বিধানসভায়।

    আর পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    প্রসঙ্গত, ১২ জুন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন চন্দ্রবাবু। সেদিন কৃষ্ণা জেলার গান্নাভারম বিমানবন্দরের কাছে কেসারাপল্লি আইটি পার্কে বিশাল মঞ্চে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আগামিদিনে অমরাবতীকেই রাজ্যের রাজধানী করা হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী (Chandrababu Naidu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Madras High Court: দুই পার্টনারের একজন বিবাহিত হলে, সেই লিভ-ইন বৈধ নয়, জানাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    Madras High Court: দুই পার্টনারের একজন বিবাহিত হলে, সেই লিভ-ইন বৈধ নয়, জানাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিতে গিয়ে সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) জানিয়েছে, একজন বিবাহিত পুরুষ অপর মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে তাকে কখনও লিভ-ইন বলা যাবে না এবং ওই মহিলাকে উপপত্নী হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কগুলির বৈশিষ্ট্য, বিবাহের যে বৈশিষ্ট্য তার সঙ্গে মেলে না। তা একমাত্র মেলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে। এই ধরনের সম্পর্ক হল পুরুষ ও তার উপপত্নীর সম্পর্ক। সম্প্রতি এই রায় দিয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি আরএমটি টীকা রমন।

    মামলাটি হল ২০১৬ সালের

    জানা গিয়েছে মামলাটি হল ২০১৬ সালের। মামলার একপক্ষ হলেন জয়চন্দ্রন। জয়চন্দ্রনের বিবাহ হয় স্টেলা নামের একজন মহিলার সঙ্গে। দম্পতির ৫টি সন্তানও রয়েছে। পরবর্তীকালে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জয়াচন্দ্রন প্রবেশ করেন। জনৈকা মার্গারেট আরুলমোঝির সঙ্গে জয়চন্দ্রন লিভ-ইন শুরু করেন। মার্গারেট ছিলেন ছিলেন মামলাকারী (Madras High Court) ইসুরান্থিনামের কন্যা। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাকালীন ২০১০ সালে জয়চন্দ্রন তাঁর সম্পত্তির বড় অংশ প্রদান করেন মার্গারেটকে। একটি ডিড তৈরি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে মার্গারেটই হল তার পত্নী। পরবর্তীকালে দেখা যায় মার্গারেটের মৃত্যু হয় ২০১৩ সালে। মৃত্যুর পরে তাঁর পিতা ইসুরান্থিনাম একটি মামলা দায়ের করেন এবং সেখানে ঘোষণা করেন যে সম্পত্তির উপর তাঁর কন্যারই অধিকার। ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী ওই সম্পত্তি তাঁর কন্যা পেয়েছেন বলে দাবি করেন মার্গারেটের বাবা।

    লিভ-ইন-সম্পর্ককে কখনও বিবাহের মতো সম্পর্কে আনা যায় না

    যদিও এখানে মাদ্রাজ হাইকোর্ট স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, জয়চন্দ্রনের সঙ্গে স্টেলার বিবাহ একমাত্র বৈধ এবং মার্গারেটের সঙ্গে সম্পর্ক কখনও বৈধ নয়। তাকে লিভ-ইনও বলা যায় না। এদিন মামলার রায় প্রদানের সময় মাদ্রাজ হাইকোর্ট উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী একটি মামলার (Madras High Court) রায়েরও। যেখানে বলা হয়েছিল যে সমস্ত লিভ-ইন সম্পর্ককে কখনও বিবাহের মতো সম্পর্কে আনা যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Neet Paper Leak: নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস! গ্রেফতার ১৮, মূল মাথা হিসেবে উঠে আসছে বিহারের সঞ্জীব মুখিয়ার নাম

    Neet Paper Leak: নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস! গ্রেফতার ১৮, মূল মাথা হিসেবে উঠে আসছে বিহারের সঞ্জীব মুখিয়ার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের (Neet Paper Leak) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব থেকে চমকপ্রদ তথ্য হল, বিহার থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার মধ্যে একজন রয়েছে ছাত্র, তার কাকা এবং দুজন দালাল। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে অভিযুক্তরা জানিয়েছে, তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল এবং চার প্রার্থীকে সেই প্রশ্নপত্র এবং তার উত্তর মুখস্ত করিয়েছিল।  নিট পরীক্ষার জন্য প্রতি প্রার্থীপিছু রেট ছিল ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু কে ছিল এই গোটা প্রক্রিয়ার মাস্টারমাইন্ড? বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স শাখা ইতিমধ্যেই নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত শুরু করেছে। সেখানে উঠে এসেছে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সঞ্জীব মুখিয়ার নাম।

    মাস্টার মাইন্ড বিহারের কলেজ কর্মী সঞ্জীব মুখিয়া

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সঞ্জীব মুখিয়া (Neet Paper Leak) হল বিহারের নালন্দা জেলার বাসিন্দা। তার প্রকৃত নাম আসলে সঞ্জীব সিং এবং তার স্ত্রী মমতাদেবী হল স্থানীয় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা মুখিয়া। তাই সঞ্জীব সিংকে, সঞ্জীব মুখিয়া নামে সম্বোধন করা হয়। তার স্ত্রী বর্তমানে লোক জনশক্তি পার্টির নেত্রী। ২০২০ সালে ওই দল থেকে তিনি বিধানসভা বিধানসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বলে জানা যায়। তবে হেরে যান। পুলিশ সূত্রের দাবি, সঞ্জীবই প্রথমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে এবং তা তুলে দেয় জনৈক রকি নামে আরেকজনের হাতে। রকি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

    সঞ্জীব এর আগেও একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় জড়িত

    এটাও তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব এর আগেও একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় জড়িত। প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় সে জেলও খেটেছে। জানা গিয়েছে সঞ্জীবের ছেলে বর্তমানে পেশায় একজন ডাক্তার। এর আগে বিহারের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় তাকেও গ্রেফতার করা হয় এবং বর্তমানে সে জেলেই রয়েছে। একসঙ্গে এই পিতা-পুত্র জুটি নিট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র জালিয়াতিতে যুক্ত ছিল বলে দাবি পুলিশের। পেশার দিক থেকে সঞ্জীব নালন্দা কলেজের একজন টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।

    প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছিল

    তদন্তকারী আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা (Neet Paper Leak) নেওয়া হয়েছিল। লজে তাদেরকে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। এ নিয়ে এক নিট পরীক্ষার্থীর স্বীকারোক্তি, ৫ মে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার একদিন আগেই সে প্রশ্নপত্র পেয়েছিল। তার আরও দাবি তার মত আরও ২৫ জন প্রার্থীকে এই প্রশ্নপত্রগুলি দেওয়া হয়েছিল।

    হাজারিবাগের একটি সেন্টার থেকে নিটের প্রশ্নপত্র প্রথম ফাঁস হয়েছিল?

    অন্যদিকে, শুক্রবারে ঝাড়খণ্ডের দেওঘর থেকে সিকন্দর সমেত আরও চারজনকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি হাজারিবাগের একটি সেন্টার থেকে নিটের প্রশ্নপত্র প্রথম ফাঁস হয়েছিল এবং সিকন্দর এই কেলেঙ্কারির অন্যতম মাথা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে সিকন্দর ছাড়াও রয়েছেন নিট পরীক্ষার্থী (Neet Paper Leak) অনুরাগ যাদব, নীতীশ কুমার এবং অমিত আনন্দ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করেছেন যে পরীক্ষার আগের দিন তাঁরা প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন এবং সেই প্রশ্নের উত্তরও মুখস্থ করানো হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Govt Employees: ১৫ মিনিটের বেশি দেরি হলেই অর্ধদিবস ছুটি কাটা! সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নিয়ম কেন্দ্রের

    Central Govt Employees: ১৫ মিনিটের বেশি দেরি হলেই অর্ধদিবস ছুটি কাটা! সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নিয়ম কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীদের (Central Govt Employees) আরামে থাকার দিন শেষ। এবার থেকে অফিসে ১৫ মিনিট দেরিতে ঢুকলেই আধা দিনের জন্য ‘অনুপস্থিত’ ঘোষণা করা হবে সরকারি কর্মীদের। এই মর্মে নয়া নির্দেশিকা ( New Rule) জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের হাফ ডে-র ক্যাজুয়াল লিভ কাটা যাবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। সম্প্রতি এক অর্ডার জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা (Central Govt Employees) দেরি করে অফিসে ঢুকছেন এবং যাঁরা নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থাৎ এবার থেকে নিজের সময় মতো অফিসের ঢোকার দিন শেষ। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে একাধিক বিষয়ে কর্মচারীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

    কী কী বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র? ( New Rule) 

    কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। রিপোর্ট বলছে, এবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে সরকারি কর্মচারী (Central Govt Employees) এবং আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট দফতরে ঢুকতে বলা হয়েছে। ১৫ মিনিট দেওয়া হয়েছে ‘গ্রেস টাইম’ হিসাবে। অর্থাৎ, দফতরে প্রবেশের সরকারি সময় সকাল ৯টা। সব চেয়ে দেরি হলে ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁরা দফতরে ঢুকতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি দেরি করা যাবে না। কর্মীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি নথিভুক্ত করাতে হবে নির্দিষ্ট দফতরে। অর্থাৎ, নিজ নিজ পরিচয়পত্র দফতরে ঢোকার সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে ‘পাঞ্চ’ করাতে হবে। তাতেই উপস্থিতি নথিভুক্ত হবে। ৯টা ১৫ মিনিটের পর কেউ নিজের কার্ড ‘পাঞ্চ’ করালে তাঁর পৌঁছতে দেরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
    এছাড়াও জারি করা নির্দেশিকায় ( New Rule) বলা হয়েছে, নিয়মিত হাজিরা পোর্টাল থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার থেকে সরকারি কর্মীরা (Central Govt Employees) অফিসে আসতে দেরি করলে তাদের আর্ধেক দিনের ক্যাজুয়াল লিভ কেটে নেওয়া হবে। মাসে দুবার দেরি করে আসার পরে ফের যদি দেরি হয়, তাহলে তখন থেকে এই সিএল কাটা শুরু হবে। তবে বৈধ কারণ দেখালে এক ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বকে ছুট দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! দক্ষিণবঙ্গে আগমন বর্ষার, ভারী বৃষ্টি কবে থেকে?

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    আসলে সরকারি কর্মীদের (Central Govt Employees) অফিসে দেরি করে ঢোকা কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। ম্যানেজাররা একাধিকবার কর্মীদের সতর্ক করলেও কে কার কথা শোনে! কোনও না কোনও অজুহাত লেগেই রয়েছে। আর এরফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কর্মীদের দেরিতে আসা ও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাওয়া অভ্যাসে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেক কাজও বাকি রয়ে যাচ্ছে। তাই এবার অফিসে দেরি করে ঢোকা বন্ধ করতে এই কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: “সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি”, যৌথ বিবৃতিতে বললেন মোদি-হাসিনা

    India Bangladesh Relation: “সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি”, যৌথ বিবৃতিতে বললেন মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি।” শনিবার যৌথ বিবৃতিতে (Modi Hasina Joint Statement) একথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (India Bangladesh Relation)।

    যৌথ বিবৃতি মোদি-হাসিনার

    তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই ইটালি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জি৭ সম্মেলন শেষে ফিরেছেন দেশে। তাঁরই আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন হাসিনা। শুক্রবার বিকেলেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার পড়শি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেন দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে (India Bangladesh Relation)। তার আগে এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে সংবর্ধনা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুপুর দুটো নাগাদ শেষ হয় সেই বৈঠক। তার পরেই যৌথ বিবৃতি দেন ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে?

    প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর এই প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কূটনৈতিক মহলের মতে, চিন ও পাকিস্তানের সাঁড়াশি আক্রমণ প্রতিহত করতেই ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই প্রথমে আমন্ত্রণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা, নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নয়ন ও নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর। এই বৈঠকে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় ও পারস্পরিক বৃদ্ধির ওপরও নজর করা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতাই গুচ্ছ যৌথ উদ্যোগ এবং চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন বৈঠকে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমাদের নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিসান সাগর এবং ইন্দো প্যাসিফিক ভিশনের সঙ্গমস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। গত এক বছরে জনকল্যাণে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ শেষ করেছি। দুই দেশের মধ্যে চালু হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য। গঙ্গায় বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ সফরও সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।”

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    এদিনের বৈঠক শেষে ভারতকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বলেও সম্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান তিনি। হাসিনা বলেন, “গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন যুদ্ধের আবহ, তখন নজির গড়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডাল পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ (Modi Hasina Joint Statement) ফ্রেন্ডশিপ স্যাটেলাইট দুই দেশের সম্পর্ককে নয়া উচ্চতা দেবে।” তিনি জানান, ভারত ও বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে ৫৪টি অভিন্ন নদী (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share