Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত হয়েছে, তা লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক। রাষ্ট্রসংঘের (UNSC) ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের এ কথা জানান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে ২৮ জন নিহত হয়েছেন গত ২২ এপ্রিল, তা আমাদের কাছে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী ছিল।” তাঁর ইঙ্গিত, লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও, পরে সুরক্ষার অজুহাতে পিছিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আদায়ে জোর চেষ্টা করে চলেছে জানিয়ে মিস্রি ওই রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের জানান, এ থেকে স্পষ্ট এখানে কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতেই পরিমিত এবং অনুত্তেজক স্ট্রাইকের মধ্যেই ছিল।”

    বর্বরোচিত সন্ত্রাসী আক্রমণ (UNSC)

    এদিকে, পাকিস্তান কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় বেসরকারি পরিকাঠামোগুলিতে নিরন্তর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলাকে বর্বরোচিত আক্রমণ আখ্যা দিয়ে মিস্রি বলেন, “বিশ্ববাসী এর প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের পদক্ষেপ কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” মিস্রি বুধবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি জবাব দেয়, তাহলে ভারতও জবাব দেবে। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর গোলাবর্ষণ চলছে। তিনি জানান, ভারত পাকিস্তানের কোনও সামরিক কাঠামোয় আঘাত করেনি, আঘাত করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির ৯টি ঘাঁটিতে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যদি অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা করে, তাহলে ভারতও জবাব দেবে।

    ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে

    বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মিস্রি বলেন, “ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, তারা যে ৯টি জায়গায় আঘাত হেনেছে, সেগুলি ব্যবহৃত হত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অভিযানের ঘাঁটি হিসেবে।” জানা গিয়েছে, জঙ্গি পরিকাঠামোটি এমন একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত যেখানে মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলার মাঠ, ছাত্রাবাস ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার এলাকা রয়েছে। ভারত এই কমপ্লেক্সগুলিকে আঘাত করেছে, যা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। মিস্রি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মিশন সমস্ত ইউএনএসসি (UNSC) সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। মিস্রি (Vikram Misri) বলেন, ‘‘হত্যার পদ্ধতির মাধ্যমে নিহতদের পরিবারবর্গকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানসিক আঘাত দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে তারা যেন এই সংবাদ পৌঁছে দেয়। এই হামলার পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরে আসাকে ব্যাহত করা।’’

    ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ’’

    ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করছে এবং ভারতে আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে জানা গিয়েছে যে ভারতে আরও হামলা হতে পারে। তাই, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য বাধ্য হয়েই ভারত সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের পদক্ষেপগুলি পরিমিত, উত্তেজনা না বাড়ানো, সমানুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলি কেবল জঙ্গিদের পরিকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল (UNSC)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পরেই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নামও ঠিক করে দেন তিনি – ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সূত্রের খরব (Vikram Misri)। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় সেনার তরফে। সেখানে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান,  মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অসামরিক মানুষ ও তাঁদের পরিকাঠামোর ক্ষতি যাতে না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহতদের ও তাঁদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ৯টি জঙ্গি শিবির সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। বেসামরিক পরিকাঠামোর ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়াতেই এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল (UNSC)।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশিও। তিনি জঙ্গি শিবির ধ্বংসের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সরকার জানিয়েছিল, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে (Vikram Misri)।

  • Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। প্রয়োগ করা হয়েছে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপক বেড়েছে এরপরেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারতের সীমান্তবর্তী ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মূলত, নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমানা রয়েছে সেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই বৈঠক করেন শান। তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও।

    পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোন কোন রাজ্য ছিল বৈঠকে?

    এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি এবং সচিবরাও হাজির ছিলেন। কেন এই বৈঠক আয়োজিত হল? জানা যাচ্ছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পরেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তান সেনা ক্রমাগত গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এমন সময় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে আনার নির্দেশ দেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাই ভারতের কাছে অগ্রাধিকার জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন এই সময় সমাজমাধ্যমে দেশবিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই তার বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী, বিএসএফ প্রধান, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অমিত শাহ

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) নিয়মিত ভাবেই বিএসএফ-র প্রধান দলজিৎ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবারই ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে তিনি জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার পরও পাকিস্তান জঙ্গি দমনের কোনওরকমের চেষ্টাই করেনি। সেই কারণেই প্রয়োগ করা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ওই সাংবাদিক বৈঠকে এও জানানো হয়, এই অভিযানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি।

  • Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে।” কথাগুলি বললেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির (Colonel Sofiya Qureshi) মা হালিমা কুরেশি। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। বুধবার সকালে ভারতীয় সেনার এ সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কীভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে করে ধ্বংস করা হয়েছে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সোফিয়াও। ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন হালিমা (Operation Sindoor)

    মেয়ের কাজে গর্বিত হালিমা। তিনি বলেন, “সোফিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ও জেঠুর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চেয়েছিল। তারা দুজনেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছে। ও (সোফিয়া) ছোট থেকেই বলত বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। দেশের সেবা করবে।” মেয়ের সাফল্যে খুশি সোফিয়ার বাবা তাজ মহম্মদ কুরেশিও। তিনি বলেন, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের মেয়ে আমাদের দেশের জন্য একটি মহান কাজ করেছে। পাকিস্তানের ধ্বংস হওয়াই উচিত। আমার দাদা, আমার বাবা এবং আমি – আমরা সবাই সেনাবাহিনীতে ছিলাম। এখন আমার মেয়ে আছে।”

    ‘এমন প্রতিশোধ আশা করিনি’

    সোফিয়ার ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে গোটা দেশ অপেক্ষা করছিল, কবে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তবে এভাবে যে প্রতিশোধ নেওয়া হবে, তা কখনওই আশা করিনি (Operation Sindoor)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ও (সোফিয়া) আমার আদর্শ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমরা কখনওই এমন প্রতিশোধ আশা করিনি বা প্রেস কনফারেন্সটি একটি পরিবারের সদস্য কর্তৃক পরিচালিত হবে, তাও আশা করিনি। আমাদের পরিবারকে এমন একটি বড় সুযোগ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও। এই জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই বুধবার ভোরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম (Colonel Sofiya Qureshi) ছিল “অপারেশন সিঁদুর”। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোফিয়ার পরিবার (Operation Sindoor)।

  • Supreme Court: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন,” বিচারপতি ভার্মাকে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন,” বিচারপতি ভার্মাকে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন।” বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার (Justice Yashwant Varma) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অভ্যন্তরীণ প্যানেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একথা বললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এলাহাবাদ হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তকারী তিন সদস্যের কমিটি রবিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

    ভার্মার বাসভবনে অগ্নিকাণ্ড (Supreme Court)

    ১৪ মার্চ হোলির সন্ধ্যায় দিল্লিতে দুর্ঘটনাক্রমে অগ্নিকাণ্ডের সময় বিচারপতি ভার্মার বাসভবনে প্রচুর পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগ ওঠায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। চলতি বছরের ২২ মার্চ গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটির দায়িত্ব ছিল ভার্মার সরকারি বাসভবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অণু শিবরামের সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটি ২৫ মার্চ তদন্ত শুরু করে। ৪ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সূত্রের খবর, কমিটি বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে এবং উক্ত নগদ টাকার উৎস ও উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে

    বিচারপতি ভার্মার দাবি, আগুন লাগার সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভোপালে ছিলেন। তাই নগদ টাকার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। পুরো ঘটনাটিকে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ফ্রেম করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন (Supreme Court)। বার অ্যান্ড বেঞ্চের একটি সূত্রের খবর, “প্রতিবেদনে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে তলব করেছেন (Justice Yashwant Varma)। তাঁকে প্রথম যে বিকল্প দেওয়া হয়েছে তা হল পদত্যাগ করতে হবে। যদি তিনি পদত্যাগ করেন, তাহলে ভালো। যদি না করেন, তাহলে ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করে রিপোর্ট পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।” এজন্য বিচারপতি ভার্মাকে ৯ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে (Supreme Court)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক ভূমে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের থেকে কোনও প্ররোচনামূলক বা প্রতিহিংসাস্বরূপ হামলার সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বুধবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তর ভারতের বহু বিমান চলাচল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমানবন্দরও (Airport Shut)। ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানও। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিবৃতি জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৮টি বিমানবন্দর।

    ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত (Operation Sindoor)

    প্রধান কয়েকটি বিমানবন্দর যার মধ্যে ধর্মশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসর রয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলিতে ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সারাদিনের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে পাঠানকোট, জয়শলমীর, সিমলা, পাঠানকোট এবং জামনগর বিমানবন্দর। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে কিনা, বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এদিন সব মিলিয়ে বাতিল হয়েছে ২০০-র বেশি বিমান।

    কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই বিমানবন্দরগুলির মাধ্যমে সমস্ত ডিপার্চার এবং অ্যারাইভাল ও কানেক্টিং ফ্লাইট প্রভাবিত হতে পারে। নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যাত্রীদের তাঁদের ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রা পরিকল্পনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর ভিত্তি করে আরও নতুন নতুন তথ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর বুধবার বন্ধ থাকায় সেখান থেকে কোনও বেসামরিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না।

    কী বলছে এয়ার ইন্ডিয়া 

    এক্স হ্যান্ডেলে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে যেসব বিমানের নামার কথা ছিল, সেগুলিও (Operation Sindoor) আপাতত বাতিল করা হয়েছে। অমৃতসরগামী দু’টি আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণ করানো হবে দিল্লিতে। যাত্রীদের সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত।” সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের কর্তারা জানিয়েছেন, এটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি, যাত্রী সুরক্ষাই সর্বাগ্রে। ডিজিসিএ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

    স্পাইসজেট-ইন্ডিগোর পোস্ট

    স্পাইসজেট জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ধর্মশালা, লেহ, শ্রীনগর, অমৃতসর-সহ উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই বিমানবন্দরগুলিতে বিমানের ওঠানামা প্রভাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে সকলকে যাত্রার পরিকল্পনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’ ইন্ডিগোর পোস্টে বলা হয়েছে, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধর্মাশালা থেকে আমাদের সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে আমাদের কোনও বিমান নামবেও না। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগে আপনারা বিমান সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিন।’ ইন্ডিগো এও জানিয়েছে, জোধপুর এবং বিকানেরের বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে (Operation Sindoor)। ভারতের বন্ধ থাকায় কাতার এয়ারওয়েজ সাময়িকভাবে পাকিস্তানের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।

    হিন্দু পর্যটককে হত্যা

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার বদলা হিসেবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। এই অভিযানের নামই দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। অপারেশনের নাম দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং (Airport Shut)।

    জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    এই অপারেশনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেট ধ্বংস করতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের শক্তঘাঁটি বাহাওয়ালপুরও। বাহওয়ালপুরের মর্কাজ সুভান আল্লায় নামক জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মুরিদকে-র মর্কাজ তৈবায় লস্কর-ই-তৈবার ২০০ একর জায়গার উপর স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ‘আমাদের পদক্ষেপ ছিল মাপা, নির্দিষ্ট এবং কোনওভাবেই উস্কানিমূলক নয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনও ব্যবস্থাকেই নিশানা করা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন এবং হামলা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।’

  • Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার জবাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। প্রায় ২৫ মিনিটের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেটকে ধ্বংস করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা অপারেশন শেষ। আর জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে রাফালে চাপিয়ে পাঠানো হয় বিশেষ কয়েকটি মিসাইল ও বম্ব (Special Weapons)। গোটা অভিযানের পরিচালন তিন বাহিনীর সমন্বয়ে সংগঠিত হয়। তবে, বম্ব নিক্ষেপ করার কাজ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্যবহার করা হয়েছে হ্যামার বোমা, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং লয়টারিং মিউনিশন। মূলত নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম, দূরপাল্লার এই বিশেষ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই অস্ত্রগুলির বিশেষত্ব—

    স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল (Scalp Cruise Missile)—

    এটি স্টর্ম শ্যাডো নামেও পরিচিত। এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার আকাশ থেকে ভূমি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে (Operation Sindoor) আঘাত হানতে সক্ষম। দিনে হোক বা রাতে, যে কোনও মরসুমে এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। যে কারণে, বিশ্বের সব সামরিক বাহিনীর কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয়।

    হ্যামার স্মার্ট বম্ব (Hammer Smart Bomb)—

    পুরো নাম হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিটন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ। শক্তিশালী পরিকাঠামো যেমন রিইনফোর্সড বাঙ্কার বা বহুতল বিল্ডিং অথবা অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ হ্যামার স্মার্ট বোমা। ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হ্যামার। কত উঁচু থেকে ছোড়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতা। এই অভিযানে (Operation Sindoor) হ্যামার দিয়ে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    লয়টারিং মিউনিশন (Loitering Munition)—

    এগুলি কামিকাজে বা আত্মঘাতী ড্রোন হিসেবেও পরিচিত। মূলত লুকিয়ে এলাকার পর নজরদারি চালানোর জন্য, কোথায় জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে, তাতে কী কী রয়েছে বা কারা-কতজন রয়েছে, তা জানতে এই যন্ত্র ব্যবহার করে সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্য নির্ধারণ হচ্ছে, তত ক্ষণ উড়ে বেড়ায় এই ড্রোন। স্বয়ংক্রিয় ভাবেও উড়তে পারে এই ড্রোন, আবার রিমোটের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় (Special Weapons)। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি, এই ড্রোনে বিস্ফোরক বা পেলোডও বসানো যায়। ড্রোনের মাধ্যমেই আঘাত হানা যায় লক্ষ্যে।

  • RSS: “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে,” বলছে আরএসএস

    RSS: “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে,” বলছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে। পাকভূমে ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাব দিতে গিয়ে একথাই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর।

    আরএসএসের বক্তব্য (RSS)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “পহেলগাঁওয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়ের সূচনা — ‘অপারেশন সিঁদুর’, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত। জাতি সমর্থন জানায়।” তিনি আরও লেখেন, “জয় হিন্দ। মাতৃভূমি ভারত দীর্ঘজীবী হোক।” দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এগুলির মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা এবং মুরিদেকতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে এই সামরিক হামলা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই অপারেশন চালানো হয়। তার পরেই সেনার এক কর্তা জানান, অপারেশন সিঁদুরের অধীনে আঘাত করা হয়েছে ৯টি লক্ষ্যস্থলে। এর মধ্যে চারটি পাকিস্তানে এবং পাঁচটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এই সব জায়গায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছদ্মবেশে জঙ্গি শিবির পরিচালনার গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী লক্ষ্যগুলি বেছে নেয়। এগুলিকে শনাক্ত করা থেকে এড়াতে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি এই কৌশল নিয়েছিল বলে জানানো হযেছে।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আরএসএসের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “এটি ধর্ম ও অধর্মের লড়াই। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রথমে তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। একজন হিন্দু কখনও এটি করবে না। কারণ সে ধৈর্যশীল।” এর পরেই তিনি দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন, ভারতকে শক্তিশালী করতে হবে যাতে এটি এই ধরনের রাক্ষসদের ধ্বংস করতে পারে। তিনি বলেছিলেন, “দেশকে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের আট-বাহু শক্তি দ্বারা রাক্ষসদের ধ্বংস করতে হবে।” পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে পরে আম্বেকরও বলেছিলেন, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা (Operation Sindoor)। আমি নিশ্চিত যে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RSS)।”

  • Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারগুলি অপারেশন সিঁদুরকে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ করার জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শহিদ পরিবারগুলি। তাঁরা আরও বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর তাঁদের ভরসা ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহতদের পরিবারগুলি ভারত সরকারের প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। সবমিলিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন।’’

    প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বলছেন পহেলগাঁওয়ে নিহতের কন্যা

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হন সন্তোষ জগদল। তাঁরই মেয়ে আশাভরি জগদল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) অনেকেই নিজেদের স্বামী এবং তাঁদের বাবাকে হারিয়েছেন। কিন্তু তা বৃথা যায়নি, ভারত নিহতদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর নাম শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আশাভরি জগদল

    আশাভরি জগদল আরও বলেন, ‘‘ভারত পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিশোধ নিতে পেরেছে। এই মিশনের নাম অপারেশন সিঁদুর শুনে আমি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে এসেছিলেন নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেসময় দেখেছিলাম স্বামীহারা মহিলার কান্নাকাটি করছিলেন। হাহাকার করছিলেন। আমার মনে হয় এই কারণেই অভিযানের সঙ্গে এমন নাম যুক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৫ দিনের মধ্যে এই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’ প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের পরে ভারত-পাকিস্তানের এতটা ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন সন্তান হারা পিতা

    অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় এক নিহতের পিতা মনোজ দ্বিবেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অবশেষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। ২২ এপ্রিল যখন আমাদের সন্তানের (Pahalgam Attack) জীবন যায়, তখনই আমরা বলেছিলাম যে প্রত্যাঘাত আসতে চলেছে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে কঠোরতম পদক্ষেপ করবেন। আজ সেনাবাহিনী আমাদের সন্তানকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং তার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’

    পহেলগাঁওয়ে নিহত লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়ালের মা কী বলছেন?

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী (Pahalgam Attack) হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে এই অভিযানের মাধ্যমে।’’

    মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন, আমরা চুপ করে বসে থাকব না

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সন্তোষ জগদলের দলের স্ত্রী প্রগতি জগদল বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। আমার মনে হয় অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাবেন।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে। তারা জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করার জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কোনও রকমের পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি।

    সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি

    বুধবার সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দারা ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয় প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা দেশের সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সত্যি কৃতজ্ঞ।’’ বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর-এ অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে দেখান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়, যাতে এখনও পর্যন্ত ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই হামলার পর থেকে ফের পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।

    পুরনো ছবি ব্যবহার করে প্রচার

    পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন যে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব বিমান আকাশে সক্রিয় রয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব হামলা ভারতের নিজস্ব আকাশসীমা থেকেই পরিচালিত হয়েছে। ভারতের সামরিক অভিযানে তাদের য মুখ পুড়েছে, সেই লজ্জা ঢাকতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো নানা মিথ্যা প্রচার চলছেই, পাক সরকার ঘেঁষা সংবাদমাধ্যমগুলিও একই প্রচার করে চলেছে। কোথাও কোথাও রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, অপারেশন সিন্দুর-এর পাল্টা নাকি পাকিস্তান শ্রীনগর এয়ারবেসকে টার্গেট করেছে। কিন্তু, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘একটা ভিডিয়ো একাধিক পাকিস্তানপন্থী হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করছিলেন। মিথ্যে করে বলা হচ্ছিল পাক বিমানবাহনী শ্রীনগর এয়ারবেসকে নিশানা করেছে। কিন্তু পিআইবি জানিয়েছে, এই ভিডিও ভারতের নয়। এটি ২০২৪ সালের পাকিস্তানের খাইবারপাখতুনখাওয়ার একটা সংঘর্ষের ভিডিও।

    পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ টিভি’ জানিয়েছে, “ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী এবং দুইটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।” একইভাবে, পাকিস্তানের ‘এআরওয়াই নিউজ’ পুরনো ছবি ব্যবহার করে সেগুলোকে বর্তমান ঘটনার ছবি বলে প্রচার করছে। আবার, পাকিস্তানি সোশ্যাল হ্যান্ডলে এও দাবি করা হয়, ভারতের মধ্যে ১৫টি জায়গায় পাল্টা আঘাত হেনেছে পাকিস্তানি সেনারা। এমনকী এর সঙ্গে ভারতীয় সেনার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করেছে পাকিস্তানি সেনারা। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। পিআইবি জানিয়েছে যে, এই ধরনের যাচাই না করা তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে, সঠিক তথ্যের জন্য শুধুমাত্র ভারত সরকারের সরকারি উৎসের উপরে নির্ভর করা দরকার।

    রাফাল নয় মিগ ২৯ 

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার আবহে এক ভুয়ো ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তুমুল হারে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান একটি ভারতীয় রাফাল জেট ভেঙে ফেলেছে পুঞ্চ সেক্টরের কাছে। কিন্তু এই দাবি একেবারেই মিথ্যা। ভারতীয় সেনা প্রমাণ করে দিয়েছে, এটি রাজস্থানের বারমের জেলায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্ঘটনায় পড়া একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের ছবি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম এটিকে বর্তমান অভিযানের ছবি হিসেবে ভুলভাবে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের দাবি বর্তমান ভারতীয় অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এয়ারস্ট্রাইকটি ছিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তরে একটি জবাব, যা মূলত সীমান্তপারে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হয়।

    বিভ্রান্তি ছড়ানোই লক্ষ্য

    পাকিস্তানের অনেক সাংবাদিক ভারতের বিমান হামলার পর ইয়েমেনের সানায় হওয়া বিমান হামলা, গাজায় ইজরায়েলি হামলা এবং সিরিয়ায় হওয়া ধ্বংসযজ্ঞের ছবি শেয়ার করছেন। পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় কান্নারত শিশু এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের ছবি শেয়ার করা হচ্ছে, যারও কোনও ভিত্তি নেই। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে এবং অকারণে আতঙ্ক ছড়ায়। সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে—যে কোনো ভিডিও বা তথ্য যাচাই করে তবেই শেয়ার করুন।

  • FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) সই করল ভারত ও ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের পরেই এই পদক্ষেপ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “এই চুক্তি আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং আমাদের উভয় অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনকে অনুঘটক করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (FTA)

    তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ভারত এবং ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে দু’দেশের অবদান অনস্বীকার্য। এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াবে। আমি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাঁকে স্বাগত জানাতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

    খুশির খবর

    সংবাদ সংস্থা আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ২০৪৭’ সম্মেলনের মঞ্চে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ ভারতের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। এখানে আসার কিছু আগেই আমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা আপনাদের জানাতে পেরে আমি খুশি হচ্ছি যে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের দুটি বড় এবং খোলা বাজারের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতার এই সমঝোতা দুই দেশের বিকাশে নতুন অধ্যায় জুড়বে। এটা আমাদের দেশের যুবকদের জন্য খুব বড় একটা খুশির খবর। এতে ভারতের আর্থিক কার্যকলাপ উজ্জীবিত হবে (PM Modi)।”

    সরকারের তরফে বিবৃতি

    সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির সঙ্গে জোট জোরদার করা এবং বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা তাদের পরিকল্পনার অংশ, যাতে একটি শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ অর্থনীতি দেওয়া যায়। একটি সুষম, ন্যায়সঙ্গত ও উচ্চাভিলাষী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করবে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, কর্মসংস্থানের নয়া সুযোগ তৈরি করবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং দুই দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক কল্যাণ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাজারের জন্য যৌথভাবে পণ্য ও পরিষেবার উন্নয়নে দুই দেশে নয়া সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।’ প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের (FTA) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমল থেকেই দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চালু করতে কাজ করে আসছে।

    চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত শুক্রবার লন্ডনে এ বিষয়ে বৈঠক করেন দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই বাস্তবে পরিণত হল এই চুক্তি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটাই ব্রিটেনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য (PM Modi)। ব্রিটেনে বসবাস করেন কমপক্ষে ১৯ লাখ ভারতীয়। বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও উন্নত হবে। বস্ত্র, সমুদ্রজাত পণ্য, লেদার, জুতো, রত্ন ও অলঙ্কার, খেলার সরঞ্জাম ও খেলনা রফতানিতে সুবিধা পাবে ভারত। আইটি, শিক্ষা ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিও এই চুক্তিতে উপকৃত হবে।

    ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জেরে ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। অটোমোবাইল, অ্যালকোহল-সহ বহু পণ্যে শুল্ক কমবে। হিসেব বলছে, চুক্তি চালু হলে শুল্ক বাবদ ৪০ কোটি পাউন্ড ছাড় দেবে ভারত। একই সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাসকারী অস্থায়ী ভারতীয় কর্মীদের তিন বছর সামাজিক সুরক্ষার জন্য (FTA) কোনও টাকা দিতে হবে না। দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিআইআই প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য দুই দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যেক অংশীদারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করব।” তিনি বলেন, “২০৩০ রোডম্যাপের নির্দেশনায় এই সময়োপযোগী চুক্তি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে পরিচালিত করবে।” ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মণ্ডলী (ফিকি)র দাবি, শ্রম-নিবিড় খাতসমূহ যেমন টেক্সটাইল, সমুদ্রজাত পণ্য, চামড়া, ফুটওয়্যার, ক্রীড়া সামগ্রী, খেলনা এবং রত্ন ও অলঙ্কারের জন্য বৃহৎ রফতানি সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বলছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা

    বহু প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় খুশি দুই দেশই। ব্রিটেনের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জনাথন রেনল্ডস বলেন, “অনিশ্চয়তার এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে এমন বাস্তববাদী পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “দুই বৃহত্তর অর্থনীতির মধ্যে সম পরিমাণ বাণিজ্যের ভিত তৈরি করবে এই চুক্তি।”

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, ভারত এখন ব্রিটেনের আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশের ওপর শুল্ক হ্রাস করবে, যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত হুইস্কি এবং জিনের শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে (PM Modi) এবং কোটা ব্যবস্থার অধীনে গাড়ি শুল্ক ১০ শতাংশে হ্রাস করবে (FTA)।

     

LinkedIn
Share