Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার জবাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। প্রায় ২৫ মিনিটের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেটকে ধ্বংস করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা অপারেশন শেষ। আর জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে রাফালে চাপিয়ে পাঠানো হয় বিশেষ কয়েকটি মিসাইল ও বম্ব (Special Weapons)। গোটা অভিযানের পরিচালন তিন বাহিনীর সমন্বয়ে সংগঠিত হয়। তবে, বম্ব নিক্ষেপ করার কাজ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্যবহার করা হয়েছে হ্যামার বোমা, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং লয়টারিং মিউনিশন। মূলত নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম, দূরপাল্লার এই বিশেষ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই অস্ত্রগুলির বিশেষত্ব—

    স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল (Scalp Cruise Missile)—

    এটি স্টর্ম শ্যাডো নামেও পরিচিত। এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার আকাশ থেকে ভূমি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে (Operation Sindoor) আঘাত হানতে সক্ষম। দিনে হোক বা রাতে, যে কোনও মরসুমে এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। যে কারণে, বিশ্বের সব সামরিক বাহিনীর কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয়।

    হ্যামার স্মার্ট বম্ব (Hammer Smart Bomb)—

    পুরো নাম হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিটন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ। শক্তিশালী পরিকাঠামো যেমন রিইনফোর্সড বাঙ্কার বা বহুতল বিল্ডিং অথবা অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ হ্যামার স্মার্ট বোমা। ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হ্যামার। কত উঁচু থেকে ছোড়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতা। এই অভিযানে (Operation Sindoor) হ্যামার দিয়ে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    লয়টারিং মিউনিশন (Loitering Munition)—

    এগুলি কামিকাজে বা আত্মঘাতী ড্রোন হিসেবেও পরিচিত। মূলত লুকিয়ে এলাকার পর নজরদারি চালানোর জন্য, কোথায় জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে, তাতে কী কী রয়েছে বা কারা-কতজন রয়েছে, তা জানতে এই যন্ত্র ব্যবহার করে সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্য নির্ধারণ হচ্ছে, তত ক্ষণ উড়ে বেড়ায় এই ড্রোন। স্বয়ংক্রিয় ভাবেও উড়তে পারে এই ড্রোন, আবার রিমোটের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় (Special Weapons)। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি, এই ড্রোনে বিস্ফোরক বা পেলোডও বসানো যায়। ড্রোনের মাধ্যমেই আঘাত হানা যায় লক্ষ্যে।

  • RSS: “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে,” বলছে আরএসএস

    RSS: “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে,” বলছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে। পাকভূমে ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাব দিতে গিয়ে একথাই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর।

    আরএসএসের বক্তব্য (RSS)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “পহেলগাঁওয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়ের সূচনা — ‘অপারেশন সিঁদুর’, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত। জাতি সমর্থন জানায়।” তিনি আরও লেখেন, “জয় হিন্দ। মাতৃভূমি ভারত দীর্ঘজীবী হোক।” দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এগুলির মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা এবং মুরিদেকতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে এই সামরিক হামলা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই অপারেশন চালানো হয়। তার পরেই সেনার এক কর্তা জানান, অপারেশন সিঁদুরের অধীনে আঘাত করা হয়েছে ৯টি লক্ষ্যস্থলে। এর মধ্যে চারটি পাকিস্তানে এবং পাঁচটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এই সব জায়গায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছদ্মবেশে জঙ্গি শিবির পরিচালনার গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী লক্ষ্যগুলি বেছে নেয়। এগুলিকে শনাক্ত করা থেকে এড়াতে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি এই কৌশল নিয়েছিল বলে জানানো হযেছে।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আরএসএসের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “এটি ধর্ম ও অধর্মের লড়াই। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রথমে তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। একজন হিন্দু কখনও এটি করবে না। কারণ সে ধৈর্যশীল।” এর পরেই তিনি দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন, ভারতকে শক্তিশালী করতে হবে যাতে এটি এই ধরনের রাক্ষসদের ধ্বংস করতে পারে। তিনি বলেছিলেন, “দেশকে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের আট-বাহু শক্তি দ্বারা রাক্ষসদের ধ্বংস করতে হবে।” পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে পরে আম্বেকরও বলেছিলেন, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা (Operation Sindoor)। আমি নিশ্চিত যে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RSS)।”

  • Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারগুলি অপারেশন সিঁদুরকে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ করার জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শহিদ পরিবারগুলি। তাঁরা আরও বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর তাঁদের ভরসা ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহতদের পরিবারগুলি ভারত সরকারের প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। সবমিলিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন।’’

    প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বলছেন পহেলগাঁওয়ে নিহতের কন্যা

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হন সন্তোষ জগদল। তাঁরই মেয়ে আশাভরি জগদল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) অনেকেই নিজেদের স্বামী এবং তাঁদের বাবাকে হারিয়েছেন। কিন্তু তা বৃথা যায়নি, ভারত নিহতদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর নাম শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আশাভরি জগদল

    আশাভরি জগদল আরও বলেন, ‘‘ভারত পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিশোধ নিতে পেরেছে। এই মিশনের নাম অপারেশন সিঁদুর শুনে আমি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে এসেছিলেন নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেসময় দেখেছিলাম স্বামীহারা মহিলার কান্নাকাটি করছিলেন। হাহাকার করছিলেন। আমার মনে হয় এই কারণেই অভিযানের সঙ্গে এমন নাম যুক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৫ দিনের মধ্যে এই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’ প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের পরে ভারত-পাকিস্তানের এতটা ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন সন্তান হারা পিতা

    অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় এক নিহতের পিতা মনোজ দ্বিবেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অবশেষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। ২২ এপ্রিল যখন আমাদের সন্তানের (Pahalgam Attack) জীবন যায়, তখনই আমরা বলেছিলাম যে প্রত্যাঘাত আসতে চলেছে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে কঠোরতম পদক্ষেপ করবেন। আজ সেনাবাহিনী আমাদের সন্তানকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং তার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’

    পহেলগাঁওয়ে নিহত লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়ালের মা কী বলছেন?

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী (Pahalgam Attack) হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে এই অভিযানের মাধ্যমে।’’

    মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন, আমরা চুপ করে বসে থাকব না

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সন্তোষ জগদলের দলের স্ত্রী প্রগতি জগদল বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। আমার মনে হয় অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাবেন।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে। তারা জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করার জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কোনও রকমের পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি।

    সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি

    বুধবার সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দারা ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয় প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা দেশের সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সত্যি কৃতজ্ঞ।’’ বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর-এ অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে দেখান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়, যাতে এখনও পর্যন্ত ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই হামলার পর থেকে ফের পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।

    পুরনো ছবি ব্যবহার করে প্রচার

    পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন যে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব বিমান আকাশে সক্রিয় রয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব হামলা ভারতের নিজস্ব আকাশসীমা থেকেই পরিচালিত হয়েছে। ভারতের সামরিক অভিযানে তাদের য মুখ পুড়েছে, সেই লজ্জা ঢাকতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো নানা মিথ্যা প্রচার চলছেই, পাক সরকার ঘেঁষা সংবাদমাধ্যমগুলিও একই প্রচার করে চলেছে। কোথাও কোথাও রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, অপারেশন সিন্দুর-এর পাল্টা নাকি পাকিস্তান শ্রীনগর এয়ারবেসকে টার্গেট করেছে। কিন্তু, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘একটা ভিডিয়ো একাধিক পাকিস্তানপন্থী হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করছিলেন। মিথ্যে করে বলা হচ্ছিল পাক বিমানবাহনী শ্রীনগর এয়ারবেসকে নিশানা করেছে। কিন্তু পিআইবি জানিয়েছে, এই ভিডিও ভারতের নয়। এটি ২০২৪ সালের পাকিস্তানের খাইবারপাখতুনখাওয়ার একটা সংঘর্ষের ভিডিও।

    পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ টিভি’ জানিয়েছে, “ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী এবং দুইটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।” একইভাবে, পাকিস্তানের ‘এআরওয়াই নিউজ’ পুরনো ছবি ব্যবহার করে সেগুলোকে বর্তমান ঘটনার ছবি বলে প্রচার করছে। আবার, পাকিস্তানি সোশ্যাল হ্যান্ডলে এও দাবি করা হয়, ভারতের মধ্যে ১৫টি জায়গায় পাল্টা আঘাত হেনেছে পাকিস্তানি সেনারা। এমনকী এর সঙ্গে ভারতীয় সেনার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করেছে পাকিস্তানি সেনারা। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। পিআইবি জানিয়েছে যে, এই ধরনের যাচাই না করা তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে, সঠিক তথ্যের জন্য শুধুমাত্র ভারত সরকারের সরকারি উৎসের উপরে নির্ভর করা দরকার।

    রাফাল নয় মিগ ২৯ 

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার আবহে এক ভুয়ো ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তুমুল হারে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান একটি ভারতীয় রাফাল জেট ভেঙে ফেলেছে পুঞ্চ সেক্টরের কাছে। কিন্তু এই দাবি একেবারেই মিথ্যা। ভারতীয় সেনা প্রমাণ করে দিয়েছে, এটি রাজস্থানের বারমের জেলায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্ঘটনায় পড়া একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের ছবি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম এটিকে বর্তমান অভিযানের ছবি হিসেবে ভুলভাবে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের দাবি বর্তমান ভারতীয় অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এয়ারস্ট্রাইকটি ছিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তরে একটি জবাব, যা মূলত সীমান্তপারে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হয়।

    বিভ্রান্তি ছড়ানোই লক্ষ্য

    পাকিস্তানের অনেক সাংবাদিক ভারতের বিমান হামলার পর ইয়েমেনের সানায় হওয়া বিমান হামলা, গাজায় ইজরায়েলি হামলা এবং সিরিয়ায় হওয়া ধ্বংসযজ্ঞের ছবি শেয়ার করছেন। পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় কান্নারত শিশু এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের ছবি শেয়ার করা হচ্ছে, যারও কোনও ভিত্তি নেই। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে এবং অকারণে আতঙ্ক ছড়ায়। সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে—যে কোনো ভিডিও বা তথ্য যাচাই করে তবেই শেয়ার করুন।

  • FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) সই করল ভারত ও ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের পরেই এই পদক্ষেপ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “এই চুক্তি আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং আমাদের উভয় অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনকে অনুঘটক করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (FTA)

    তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ভারত এবং ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে দু’দেশের অবদান অনস্বীকার্য। এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াবে। আমি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাঁকে স্বাগত জানাতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

    খুশির খবর

    সংবাদ সংস্থা আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ২০৪৭’ সম্মেলনের মঞ্চে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ ভারতের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। এখানে আসার কিছু আগেই আমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা আপনাদের জানাতে পেরে আমি খুশি হচ্ছি যে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের দুটি বড় এবং খোলা বাজারের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতার এই সমঝোতা দুই দেশের বিকাশে নতুন অধ্যায় জুড়বে। এটা আমাদের দেশের যুবকদের জন্য খুব বড় একটা খুশির খবর। এতে ভারতের আর্থিক কার্যকলাপ উজ্জীবিত হবে (PM Modi)।”

    সরকারের তরফে বিবৃতি

    সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির সঙ্গে জোট জোরদার করা এবং বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা তাদের পরিকল্পনার অংশ, যাতে একটি শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ অর্থনীতি দেওয়া যায়। একটি সুষম, ন্যায়সঙ্গত ও উচ্চাভিলাষী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করবে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, কর্মসংস্থানের নয়া সুযোগ তৈরি করবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং দুই দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক কল্যাণ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাজারের জন্য যৌথভাবে পণ্য ও পরিষেবার উন্নয়নে দুই দেশে নয়া সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।’ প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের (FTA) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমল থেকেই দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চালু করতে কাজ করে আসছে।

    চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত শুক্রবার লন্ডনে এ বিষয়ে বৈঠক করেন দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই বাস্তবে পরিণত হল এই চুক্তি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটাই ব্রিটেনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য (PM Modi)। ব্রিটেনে বসবাস করেন কমপক্ষে ১৯ লাখ ভারতীয়। বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও উন্নত হবে। বস্ত্র, সমুদ্রজাত পণ্য, লেদার, জুতো, রত্ন ও অলঙ্কার, খেলার সরঞ্জাম ও খেলনা রফতানিতে সুবিধা পাবে ভারত। আইটি, শিক্ষা ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিও এই চুক্তিতে উপকৃত হবে।

    ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জেরে ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। অটোমোবাইল, অ্যালকোহল-সহ বহু পণ্যে শুল্ক কমবে। হিসেব বলছে, চুক্তি চালু হলে শুল্ক বাবদ ৪০ কোটি পাউন্ড ছাড় দেবে ভারত। একই সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাসকারী অস্থায়ী ভারতীয় কর্মীদের তিন বছর সামাজিক সুরক্ষার জন্য (FTA) কোনও টাকা দিতে হবে না। দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিআইআই প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য দুই দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যেক অংশীদারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করব।” তিনি বলেন, “২০৩০ রোডম্যাপের নির্দেশনায় এই সময়োপযোগী চুক্তি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে পরিচালিত করবে।” ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মণ্ডলী (ফিকি)র দাবি, শ্রম-নিবিড় খাতসমূহ যেমন টেক্সটাইল, সমুদ্রজাত পণ্য, চামড়া, ফুটওয়্যার, ক্রীড়া সামগ্রী, খেলনা এবং রত্ন ও অলঙ্কারের জন্য বৃহৎ রফতানি সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বলছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা

    বহু প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় খুশি দুই দেশই। ব্রিটেনের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জনাথন রেনল্ডস বলেন, “অনিশ্চয়তার এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে এমন বাস্তববাদী পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “দুই বৃহত্তর অর্থনীতির মধ্যে সম পরিমাণ বাণিজ্যের ভিত তৈরি করবে এই চুক্তি।”

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, ভারত এখন ব্রিটেনের আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশের ওপর শুল্ক হ্রাস করবে, যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত হুইস্কি এবং জিনের শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে (PM Modi) এবং কোটা ব্যবস্থার অধীনে গাড়ি শুল্ক ১০ শতাংশে হ্রাস করবে (FTA)।

     

  • Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিন পর প্রত্যাঘাত ভারতের। পহেলগঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপরেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ভারতীয় সেনা, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান। ভারতের উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করতে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো হয়, বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরই পরিকল্পিতভাবে মিডনাইট স্ট্রাইক ভারতের। তিনি যোগ করেন, এই ঘাঁটি থেকে আরও হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তাই এগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

    সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলার তদন্তে পাকিস্তানের যোগসূত্র সামনে এসেছে। ২২ এপ্রিলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করা। এই হামলা ছিল অমানবিক এবং নির্মম। এর মাধ্যমে কাশ্মীরের শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা হয়েছে। হামলার ধরন স্পষ্টভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত। এটি শুধুই একটি প্রাণঘাতী আক্রমণ নয়, বরং বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাধ্যমে এক আতঙ্কের বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা।’’ বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িতদের এবং পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করেছে। ভারত সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস করার জন্য তার অধিকার প্রয়োগ করেছে।’’

    কোথায় কোথায় হামলা

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের ২টি জায়গা, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ, কোটলি এবং ভীমবের। এছাড়াও গুলপুর ও চক আমরুতে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি, সারজালে জইশ ঘাঁটি, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, বারনালায় লস্করের ঘাঁটি, কোটলিতে জইশ ও হিজবুলের ঘাঁটি, মুজফ্ফরাবাদে লস্কর ও জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিচালিত এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য দেন ভারতীয় স্থলসেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তানের যে কোনও প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, বলে জানান সোফিয়া। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি দেখানো হয় সাংবাদিক বৈঠকে। এরপর তাঁরা বলেন, “কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৬ দিন আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। হাতে মেহেন্দি, মাথায় সিঁদুর নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বৈসরণে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন হিমাংশী নরওয়াল। হঠাতই চোখের সামনে স্বামীকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। নাম, পরিচয় জানার পরই গুলি চালানো হয়। ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান নৌসেনার অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নরওয়াল। হাতের মেহন্দি ওঠার আগেই সিঁথির সিঁদুর মুছে যায় হিমাংশীর। কয়েকদিন পর স্বামীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর সময় তাঁর সিঁথি ফাঁকা ছিল। সেই সিঁদুরেরই মূল্য চোকাতে হল পাকিস্তানকে। নির্ভুল প্রত্যাঘাত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখার জন্য বলেন। সেইমতো ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)।

    সিঁদুর বিবাহিত হিন্দু নারীর সম্মানের প্রতীক

    ‘সিঁদুর’ শব্দটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গভীর তাৎপর্য বহন করে। হিন্দু ঐতিহ্যে সিঁদুর বিবাহিত নারীর সৌভাগ্য ও সম্মানের প্রতীক। এটি রক্তের সঙ্গেও যুক্ত, যা সাহস, ত্যাগ এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতি তাদের অটল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে ৷ ‘সিঁদুর’ নামটি শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানই নয়, বরং জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও কাজ করছে।

    সিঁদুর বীরত্বের প্রতীক

    হিন্দু মহিলাদের কাছে সিঁদুরের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার সিঁদুরের তিলক বীরত্বেরও প্রতীক। ভারতের যোদ্ধারা শত্রুকে নিধনে যাওয়ার সময় এই সিঁদুরের তিলক পরেন। মারাঠা ও রাজপুত যোদ্ধারা কপালে সিঁদুরের তিলক নিয়েই যুদ্ধে যেতেন। বিজয়ী হয়ে ফিরলেও তাঁদের এই তিলকে বরণ করা হতো। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) রাখার জন্য বলেন। সেইমতো এই অভিযানের নাম রাখা হয় অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখা নিয়ে নিহতদের পরিজনরা বলছেন, ভারতীয় সেনা মহিলাদের সম্মান জানাল। জঙ্গি হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ায়ও খুশি তাঁরা এছাড়া, ‘সিঁদুর’ শব্দটি সিন্ধু নদীর সঙ্গেও সাংস্কৃতিকভাবে সম্পৃক্ত। সিন্ধু নদী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

  • PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইচ্ছাতেই নদীর জল বইবে এবং থামবে। ভারতের স্বার্থেই ব্যবহৃত হবে সেই জল। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল (PM Modi on Indus Water Treaty) করা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ভারতের জল বইবে ভারতের স্বার্থেই। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তান শুকিয়ে মরলেও সিন্ধুর জল নিয়ে আগে দেশবাসীর কথা ভাববে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ চাপানউতর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহল।

    প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে নদী সংযুক্তিকরণ শুরু করেছে। কেন-বেতোয়া সংযুক্তিকরণ, পার্বতী-কালীসিন্ধ-চম্বল সংযুক্তিরণের কাজ চলছে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজকাল তো সংবাদমাধ্যমে জল নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। আপনারা খুব দ্রুত বিষয়টি বুঝে ফেলেছেন। আগে ভারতের হকের জল বাইরে যেত। কিন্তু এখন ভারতের জল ভারতের কথায় বইবে। যদি কোথাও থামাতে হয়, সেটাও দেশের স্বার্থে থামানো হবে। ভারতের জল শুধু ভারতেরই কাজে লাগবে।’’ পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম প্রত্যাঘাত হিসাবে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। আগামী দিনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে যে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসবে না নয়াদিল্লি, সেটা মোদির কথাতেই স্পষ্ট। পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি ভারত মানছে না। ভারতের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, চুক্তির উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ইসলামাবাদ। সেকারণেই এই চুক্তি বাতিল করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছেন জলশক্তি মন্ত্রী

    ভারতের জল যাবে না পাকিস্তানে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বিস্তারিত রোড ম্যাপ তৈরির পরই এই ঘোষণা করেছেন জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল (CR Patil)। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী দিনে ভারত থেকে এক ফোঁটা জল পাবে না পাকিস্তান। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিআর পাটিল বলেন, ‘‘হোম মিনিস্টারের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান যাতে ভারতের থেকে এক ফোঁটা জল না পায়, সেই জন্য কম, মাঝারি ও দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই নদীর পলি তোলার কাজ শুরু করে গতিপথ পরিবর্তন করা হবে।’’

    সিন্ধু জলচুক্তি কী

    ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৬০ সালের চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লির দাবি ছিল, সিন্ধু জলচুক্তিতে সংশোধন করতে হবে। কারণ ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়ে বরাবর ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও এই চুক্তিতে সংশোধন চেয়ে ইসলামাদকে কড়া নোটিসও পাঠায় ভারত। এবার পহেলগাঁও হামলার পরে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত চরম পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছে কাশ্মীর

    সিন্ধু জল চুক্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘১৯৬০ সালের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি কাশ্মীরের জন্য সবথেকে বৈষম্য়মূলক একটি নথি। অবশেষে ভারত সরকার পদক্ষেপ করল। আমরা কখনওই এই চুক্তির সঙ্গে সহমত ছিলাম না। কাশ্মীরবাসী বরাবর এই চুক্তির বিরোধিতাই করেছে। এক্ষেত্রে আমরা মোদি সরকারের পাশ আছি।’’

    দেশবাসীর স্বার্থই সবার আগে

    এদিনের অনুষ্ঠানে সরকারের ব্যর্থতা এবং তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগের সরকার বড় পদক্ষেপ করতে পারত না। চিন্তা করত দুনিয়া কী ভাববে? ভোট পাওয়া যাবে কি যাবে না? কুর্সি থাকবে কি থাকবে না? ভোট ব্যাঙ্ক ধসে যাবে না তো? কিন্তু আমরা সংস্কার করেছি, নানা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই তিন তালাক প্রথা রদ করার কথা উল্লেখ করেন মোদি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের সরকারি সিদ্ধান্তও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে অন্যেরা ভারতকে কেবল একটি বাজার হিসাবে দেখত। কিন্তু এখন ভারত প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে। তা কেনে অন্য দেশ। নিজের জোরে ভারতের কাছে এখন রয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত, আইএনএস নীলগিরির মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ।’’ তিনি আরও দাবি করেন, গত এক দশকে ২৫ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের সীমার বাইরে আনা হয়েছে। ‘মুদ্রা যোজনা’র মাধ্যমে ছোট উদ্যোক্তারা সরকারী ঋণ পেয়ে নিজেদের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, যা গণতন্ত্রের কার্যকারিতার দৃষ্টান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় একমাত্র নীতি হওয়া উচিত দেশ সবার আগে।’’

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাব দিল ভারত। মঙ্গলবার মধ্য রাতেই প্রত্যাঘাত করল ভারতীয় সেনা। রাফালের হানায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, খতম প্রায় ৯০০ জঙ্গি। জয়শ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর ৪টি ঘাঁটি, হিজবুল-মুজাহিদিনের ২টি ও লস্কর-ই-তৈবার ৩টি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে দুটো নাগাদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) শুরু করেছে। পাকিস্তান (Pakistan) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানে এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গায় শুধু মাত্র জঙ্গি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে।

    ‘‘সুবিচার হয়েছে, জয় হিন্দ’’, পোস্ট সেনার (Operation Sindoor)

    জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর, মুজফফরাবাদে লস্কর-ই-তইবার ট্রেনিং সেন্টার সহ মোট নটি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। এই প্রত্যাঘাতের পরেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ভারতীয় সেনা। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সুবিচার হয়েছে। জয় হিন্দ।’’ সেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের কোনও মিলিটারির কোনও ক্যাম্পকে এক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ নির্দিষ্ট, পরিমিত বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতের কথা রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেনকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের (Operation Sindoor) বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথাও বলেছেন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের একটি ফাইটার জেট জেএফ১৭-কে গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে সফল ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন। ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকের কথা স্বীকারও করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের এই অভিযানের জেরে একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে তারা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ইতিমধ্যেই ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে লাহোর- শিয়ালকোট বিমানবন্দর।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল?

    জানা যাচ্ছে, ভারতের এই বিমান হানায় (Operation Sindoor) মুজফফরবাদে লস্করের ট্রেনিং ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাহাওয়ালপুরে মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে। পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশের সদর দফতরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ট্রেনিং সেন্টারেও করা হয়েছে হামলা । যে জায়গাগুলিতে হামলা চলেছে, এর প্রতিটি ঘাঁটি থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে বলে খবর। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এর পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    ভারতের হাতে থাপ্পড় খেয়ে বদলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত মাতা কী জয়!’ এদিকে মঙ্গলবার রাতেই হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতের এই জঙ্গি দমন অভিযানকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে তোপ দাগা হয়েছে। ভারতের হাতে এমন বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় খেয়ে রেগে কাঁই হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এই হামলার বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই হামলায় ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধেরও অভিযোগ তুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সময়মতো এর যোগ্য জবাব দেবে পাকিস্তান। এদিকে, প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    কেন নামকরণ অপারেশন সিঁদুর?

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোটা সন্ত্রাসী হামলার তদারকি করা হয় পাকিস্তানে বসেই। ২৫ হিন্দু মহিলার স্বামীকে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। এঁদের মধ্যে একজনের স্বামীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা বলেছিল, ‘‘মোদিকে গিয়ে বলো’’! এবার হিন্দু মহিলাদের সিঁদুর মোছার বদলা নিল ভারত।

  • Mizoram: রেলওয়ে মানচিত্ৰে মিজোরামের রাজধানী, আইজলের সাইরাং পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান

    Mizoram: রেলওয়ে মানচিত্ৰে মিজোরামের রাজধানী, আইজলের সাইরাং পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের রেল মানচিত্রে যুক্ত হল মিজোরামের (Mizoram) রাজধানী আইজল। এখানকার সাইরাং পর্যন্ত প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান সফলভাবে সম্পন্ন করে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (NF Railways)। উত্তরপূর্ব রাজ্যের সাথে রেল সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। মিজোরাম হল উত্তর-পূর্বের চতুর্থ রাজ্য যা ভারতের রল-ম্যাপে নিজেদের জায়গা পাকা করল।

    কঠিন ভূখণ্ড ভেদ করে রেল সংযোগ

    উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা সম্প্রতি এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (নির্মাণ) অরুণকুমার চৌধুরী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন রেলকর্মীদের উপস্থিতিতে গত ২ মে, বৃহস্পতিবার এই ঐতিহাসিক ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হয়েছে। কঠিন ভূখণ্ড ও লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে এই রেল যাত্রা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নিষ্ঠার প্রতিফলন। সাইরাঙে সফল পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর পর অরুণকুমার চৌধারী মিজোরামের রাজ্যপাল অবসরপ্ৰাপ্ত জেনারেল (ড.) বিজয়কুমার সিং এবং মিজোরামের (Mizoram) মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমাকে ভৈরবী-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পের পরিধি, অগ্রগতি এবং কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নানান কথা জানান।

    ভারতীয় রেলের বিস্ময়

    অরুণকুমার চৌধারী বলেন, প্রকল্পের নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, জুনের শুরুতে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার এই প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ১৭ জুনের পর ভৈরবী-সাইরাং রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেলওয়ে প্রকল্পটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি প্রকৌশল বিস্ময়। এই প্রকল্পে ৪৮টি টানেল, ৫৫টি প্রধান সেতু এবং ৮৭টি ছোট সেতু রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট টানেলের দৈর্ঘ্য ১২,৮৫৩ মিটার। ১৯৬ নম্বর সেতুর উচ্চতা ১০৪ মিটার, যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার বেশি। এই প্রকল্পে পাঁচটি রোড ওভারব্রিজ এবং ছয়টি রোড আন্ডার ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নতুন এই লাইন প্রকল্পকে চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলি ভৈরবী-হরতকি, হরতকি-কাউনপুই, কাউনপুই-মুয়ালখাং এবং মুয়ালখাং-সাইরাং।

    এক নতুন দিগন্ত

    প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নতুন রেল প্রকল্পের দ্রুত সমাপ্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মিজোরামে সংযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য স্থানীয় পর্যটন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র শিল্পকে সহায়তা করা এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ খরচ কমানো। এটি মিজোরামের (Mizoram) রাজধানী থেকে দেশের অন্যান্য অংশের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে। এই প্রকল্পটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share