Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lok Sabha Election Result: রেকর্ড গড়ল বিজেপি, বিরোধীশূন্য মধ্যপ্রদেশ পদ্মময়

    Lok Sabha Election Result: রেকর্ড গড়ল বিজেপি, বিরোধীশূন্য মধ্যপ্রদেশ পদ্মময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে ঐতিহাসিক জয় বিজেপির। মঙ্গলবার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election Result) ফল বের হলে দেখা যায়, এ রাজ্যের সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি ছিন্দেওয়াড়াও। মধ্যপ্রদেশে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ২৯টি। সবক’টিতেই বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন বিরোধীরা। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ফগ্গন সিংহ কুলাস্তে এবং বীরেন্দ্র কুমার।

    বিপুল ভোটে জয় (Lok Sabha Election Result)

    অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশে এরকম ফল হয়েছিল চল্লিশ বছর আগে, ১৯৮৪ সালে। সেবার ৪০টি আসনেই জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্দিরা হত্যার সহানুভূতির হাওয়ায় জিতেছিল কংগ্রেস (Lok Sabha Election Result)। পরে ভাগ হয় মধ্যপ্রদেশ। তার পর এই প্রথম রাজ্যের ২৯টি আসনেই ফুটেছে পদ্ম। এ রাজ্যে ১ থেকে ৫ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছেন ২৬টি আসনে। ভিন্দ, গ্বয়ালিয়র এবং মোরেনা কেন্দ্রে পদ্ম ফুটেছে এক লাখের কিছু কম ভোটে। এ রাজ্যে চমকে দেওয়ার মতো ফল করেছেন ইন্দোরের শঙ্কর লালওয়ানি। তিনি জয়ী হয়েছেন ১১ লাখ ৭৫ হাজার ০৯২টি ভোটে।

    চোখ ধাঁধানো ফল বিদিশায়ও

    বিজেপি চোখ ধাঁধানো ফল হয়েছে বিদিশায়ও। এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পদ্ম-প্রার্থী শিবরাজ সিংহ চৌহান জিতেছেন ৮ লাখ ২১ হাজার ভোটে। খাজুরাহো, গুণা, ভোপাল এবং মান্দসাউরে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন পাঁচ লাখেরও বেশি ভোটে। এ রাজ্যে বিজেপির আরও একটি চোখ ধাঁধানো সাফল্য হল ছিন্দওয়াড়ার রাশ হাতে নেওয়া। ১৯৯৭ সালের পর এবার এই কেন্দ্রে ফুটল পদ্ম।

    এখানে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বান্টি বিবেক সাহু। তিনি বিদায়ী সাংসদ নকুল নাথকে হারিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৬১৮ ভোটে। দীর্ঘদিন এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন কংগ্রেসের কমল নাথ। এবার দল প্রার্থী করেছিল তাঁর ছেলে নকুলকে। সেই নকুলকেই গোহারা হারিয়ে ছিন্দওয়াড়ার রাশ হাতে নিয়ে নিল বিজেপি।

    আর পড়ুন: দিল্লিতে বৈঠকে বসছে এনডিএ, কারা উপস্থিত থাকছেন জানেন?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং ফগ্গন সিংহ কুলাস্তেও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে গুণা ও মান্ডলায়। রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বহু শোভাযাত্রা-প্রচার-সমাবেশ এবং কৌশলের কাছে এ রাজ্যে পরাস্ত হয়েছেন বিরোধীরা (Lok Sabha Election Result)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suresh Gopi: সুরেশ গোপীর হাত ধরে কেরলে খাতা খুলল বিজেপি, জানুন এই ব্যক্তি সম্পর্কে

    Suresh Gopi: সুরেশ গোপীর হাত ধরে কেরলে খাতা খুলল বিজেপি, জানুন এই ব্যক্তি সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম কেরলের কোনও লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হল বিজেপি (BJP)। ত্রিশুর (Thrissur) লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুরেশ গোপী (Suresh Gopi)। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল দীর্ঘদিন ধরে কেরলে চেষ্টা করেও পা জমাতে পারছিল না গেরুয়া শিবির। সঙ্ঘ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মাটি তৈরি করার কাজ করলেও এই প্রথম তারকা প্রার্থী সুরেশ গোপি ৭৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে তাঁর নিকটতম বাম দলের (CPI) প্রার্থী বিএস সুনীল কুমারকে পরাজিত করেছেন। এর আগে ২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু দুবারই জয় অধরা থেকে গিয়েছিল এই দক্ষিণী তারকার। শেষ পর্যন্ত ২৪-এর নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) শেষ হাসি হাসলেন তিনিই।

    কে এই সুরেশ গোপী ?

    ১৯৫৮ সালের ২৬ জুন কেরলের আলাপুজায় জন্মগ্রহণ করেন সুরেশ। ৬৫ বছর বয়সে বিজেপি প্রার্থী ১৯৬৫ সাল থেকে শিশু শিল্পী হিসেবে নিজের অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। তিনি ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতক করেছেন। বহু দক্ষিনী সিনেমায় তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকের। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হলফনামাতেও পেশা হিসেবে অভিনয়ের কথাই উল্লেখ করেছেন ওই বিজেপি নেতা (Suরesh Gopi) । ২০১৬ সালের অক্টোবরে, গোপীকে বিজেপি সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় মনোনীত করেছিল। পার্টিতে যোগদানের পর, গোপী কেরলের তারকা প্রচারক হয়েছেন।

    ত্রিশুরে ত্রিমুখী লড়াইয়ে জয়ী সুরেশ (Suresh Gopi)

    এবার ত্রিশুরে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছিল বিজেপি কংগ্রেস-সিপিআই-এর মধ্যে (Lok Sabha Election 2024)। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন স্থানীয় নেতারা হুংকার দিয়েছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন এনডিএ কেরলে একটিও আসন পাবে না। অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ সুরেশ গোপী (Suresh Gopi) অবশেষে কেরলে পদ্ম ফুটিয়েই ছাড়লেন। অন্যদিকে হারতে হারতে বেঁচেছেন তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস প্রার্থী শশী তারুর। সেখানেও বিজেপির জেতার সম্ভাবনা ছিল।

    আরও পড়ুন: নীতীশ এনডিএতেই, বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন দিল্লিও, জানিয়ে দিল দল

    শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসলেন অভিনেতা

    জয়ী (Lok Sabha Election 2024) হওয়ার পর মালয়লাম অভিনেতা মামুট্টি এবং মোহনলাল তাঁদের সহ অভিনেতা সুরেশ গোপীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সুরেশ গোপীর এই জয়ের সঙ্গে বিজেপি (BJP) অবশেষে কেরল রাজ্যে খাতা খুলেছে। তিনি এখন সংসদে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি অনেক সেলিব্রিটি এবং তার উৎসাহী ভক্তদের থেকে (Suresh Gopi) অভিনন্দনও পেয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Lok sabha election: দিল্লিতে ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!

    Delhi Lok sabha election: দিল্লিতে ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে লোকসভা (Delhi Lok sabha election) আসনের সংখ্যা মাত্র সাতটি। কিন্তু দেশের ক্ষমতায় থাকার জন্য রাজধানীতে নিজেদের অবস্থান ভালো রাখতে চায় যে কোনও রাজনৈতিক দলই। সে ধারাবাহিকতায় কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির (আপ) জোটকে পেছনে ফেলে এবারের লোকসভা ভোটে দিল্লির ৭ আসনেই জয়ী হল বিজেপি। দেশের বেশির ভাগ রাজ্যে ইন্ডি জোট ভালো ফল করলেও দিল্লিতে (Delhi) কিন্তু দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। ফলাফল এতটাই হতাশা জনক হয় যে ৯১ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ রাজধানীতে অবস্থান ধরে রাখার লড়াইয়ে এবার এগিয়ে গেল বিজেপি।  
    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনের ১৬২ জনের মধ্যে ১৪৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত (security deposits) হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদনি চক থেকে ২৩ জন, নিউ দিল্লি থেকে ১৫ জন, দক্ষিণ দিল্লি থেকে ২০ জন, পূর্ব দিল্লি থেকে ১৮ জন, পশ্চিম দিল্লি থেকে ২২ জন, উত্তর পূর্ব দিল্লি থেকে ২৬ জন এবং উত্তর পশ্চিম দিল্লি থেকে ২৪ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।    

    কী কারনে এই সিদ্ধান্ত? (Delhi Lok sabha election)  

    নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে, একজন প্রার্থীকে তাঁর জামানত রক্ষার জন্য নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটের কমপক্ষে এক-ষষ্ঠাংশ অর্থাৎ ১৬.৬৭ শতাংশ ভোট অর্জন করতে হবে। তা না হলে সাধারণের জন্য ২৫,০০০টাকা এবং তফসিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য ১২,৫০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। আসলে নির্বাচনী আইনে প্রার্থী হওয়াতে কোনও সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই। তবে ইচ্ছামতো বা সখে প্রার্থী হওয়া আটকানোর একমাত্র উপায় হল, জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা অর্থ ফেরত না পাওয়া। এবার নির্বাচন কমিশনের সেই আইনেই দিল্লির ৯১ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: উত্তরে ভারী বৃষ্টি আর দক্ষিণে চরম অস্বস্তি! আবারও ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ

    সাত আসনেই জয়ের ধারা অব্যাহত বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এ বার দিল্লিতে (Delhi) ৪-৩ সমীকরণে আসন সমঝোতা হয়েছিল আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে। তা-ও আবার একেবারে শেষ মুহূর্তে। ছাড়বে না, ছাড়বে না করেও আপ শেষমেশ কংগ্রেসকে ৩টি আসন দিয়েছিল। আপ লড়েছিল ৪টি আসনে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল আপ এবং কংগ্রেস কেউই খাতা খুলতে পারল না। সবকটি আসনে (Delhi Lok sabha election) জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপিই।
    উল্লেখ্য, সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের (Delhi Lok sabha election) মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজেপি, দ্বিতীয় স্থানে ইন্ডি জোট আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বিএসপির প্রার্থীরা। ১৪ জন বিজয়ী এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের কেউই ২০,০০০ ভোটের সংখ্যা অতিক্রম করতে পারেনি। চাঁদনি চক থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অশোক কুমার গুপ্ত মাত্র ১৪০ ভোট পান, যা সাতটি আসনে ভোটের সংখ্যার মধ্যে সর্বনিম্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election Result: দিল্লিতে বৈঠকে বসছে এনডিএ, কারা উপস্থিত থাকছেন জানেন?

    Lok Sabha Election Result: দিল্লিতে বৈঠকে বসছে এনডিএ, কারা উপস্থিত থাকছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গিয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election Result) ফল। এবার সরকার গড়ার তোড়জোড় করছে এনডিএ। আজ, বুধবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত থাকবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জনতা দল ইউনাইটেডের নীতীশ কুমারও। বিহারে লোকসভার আসন ৪০টি।

    কী বলছেন এনডিএ-র শরিকরা?

    তার মধ্যে নীতীশের দলের ঝুলিতে গিয়েছে ১২টি। পদ্ম ফুটেছে ১২টি কেন্দ্রে। রামবিলাস পাশোয়ানের লোক জনশক্তি দলের প্রধান চিরাগ পাশোয়ান জানান, তাঁর দলও যোগ দেবেন দিল্লিতে আয়োজিত এনডিএর বৈঠকে (Lok Sabha Election Result)। তিনি বলেন, “তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। তিনি দেশকে নিয়ে যাবেন এক নয়া উচ্চতায়। উন্নয়ন নিয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন, তা-ও পূরণ করবেন।” জন সেনা পার্টি সুপ্রিমো পবন কল্যাণ বলেন, “আমরা এনডিএ-র প্রতি পুরোপুরি দায়বদ্ধ। চন্দ্রবাবু নাইডু এনডিএতে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবনা চিন্তা করার জায়গাই নেই।”

    টিডিপির জয়জয়কার

    অন্ধ্রপ্রদেশে টিডিপির ঝুলিতে গিয়েছে ১৬টি আসন। জন সেনা পার্টির হাতে রয়েছে দুই কেন্দ্রের রশি। পদ্ম ফুটেছে তিনটি কেন্দ্রে। গত বার ওয়াইএসআর কংগ্রেস পেয়েছিল ২২টি আসন। এবার সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪টিতে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানেও জয়জয়কার টিডিপির। চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের ঝুলিতে এসেছে ১৩৫টি আসন। পবন কল্যাণের জন সেনা পেয়েছে ২১টি আসন। বাকিরা পেয়েছে ১৭৫টি কেন্দ্রের রাশ। এই বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝুলিতে গিয়েছে ৮টি আসন।

    আর পড়ুন: নীতীশ এনডিএতেই, বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন দিল্লিও, জানিয়ে দিল দল

    এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। জেডিইউ, টিডিপি এবং জন সেনা-সহ এনডিএ-র বাকি দলগুলি মিলিয়ে এনডিএ-র ঝুলিতে গিয়েছে ২৯২টি আসন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই জিতেছিল ৩০৩টি আসনে। সেবার বিজেপি এবং এনডিএ-র সম্মিলিত আসন সংখ্যা ছিল ৩৫৩টি। ২০১৪ সালে বিজেপি এককভাবে পেয়েছিল ২৮২টি আসন। এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন (Lok Sabha Election Result)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • World Environment Day: আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস, কেন ৫ জুন পালিত হয় এই দিন? জানুন তাৎপর্য

    World Environment Day: আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস, কেন ৫ জুন পালিত হয় এই দিন? জানুন তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day)। ১৯৭২ সাল থেকে এই দিনটিকে উদযাপন করা হয়। সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত ভারতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। চলতি বছর যেভাবে সারা বিশ্বে তাপপ্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাতে পরিবেশ দিবসের গুরুত্ব অনেকটাই। ভারতের প্রতিটি রাজ্যে পালিত হচ্ছে পরিবেশ দিবস। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নিজে গাছ লাগিয়ে অপরকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করেছেন। উষ্ণায়ণ কমাতে মুখে পদক্ষেপের কথা বলা হলেও বাস্তবে কতটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।

    পরিবেশ দিবসের ইতিহাস

    ১৯৬৮ সালের ২০ মে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনীতি এবং সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল সুইডেন সরকার। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি এবং পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগের কথা। সে বছরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরের বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষায় বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের উপায় খুঁজতে বলা হয়। তখনই সদস্য দেশগুলির সম্মতিতে সুইডেনের (Sweden) রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালের ৫ জুন শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন। এই সম্মেলন চলেছিল ১৬ জুন পর্যন্ত। এই সম্মেলন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি পায়। পরে ১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

    বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অঙ্গীকার (World Environment Day)

    বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে একদিকে। হিমবাহ গলছে, অন্যদিকে বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। বহু জায়গায় ভূগর্ভস্থ জল শুকিয়ে আসছে। পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন শহরে। আগামী কয়েক দশকে পৃথিবীর বহু অঞ্চল জলশূন্য হয়ে পড়বে এই আশঙ্কা রয়েছে। এমনিতেই সারা বিশ্বে সমুদ্রে জলের প্রচুর ভান্ডার রয়েছে, কিন্তু সেটা পানীয় নয়। পানীয় জলের ভান্ডার সীমিত। 

    আরও পড়ুন: উত্তরে ভারী বৃষ্টি আর দক্ষিণে চরম অস্বস্তি! আবারও ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ

    অন্যদিকে বন জঙ্গলে আগুন লেগেই চলেছে। এই যে বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। বায়ুদূষণ, জলদূষণের পাশাপাশি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে প্লাস্টিকের দূষণ। সমুদ্রের তলদেশে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের পাহাড়। বাসযোগ্য ভূমির মধ্যেও ঢুকে পড়ছে ক্ষতিকারক প্লাস্টিক। শুধু মানবদেহে নয়, অন্যান্য প্রাণীদের দেহেও মিলছে প্লাস্টিকের টুকরো। পৃথিবীর বুক থেকে বহু প্রজাতি অস্তিত্ব সঙ্কটের সম্মুখীন হলেও  তা নিয়ে আমরা উদাসীন। এমতাবস্থায় পৃথিবীর জৈব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে গেলে তার প্রভাব মানুষের উপরেও পড়বে। যেভাবে পৃথিবী ধীরে ধীরে বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে, তাতে একদিন মানব সভ্যতাও হুমকির মুখে পড়বেই। তা রুখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারের দিন বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: নীতীশ এনডিএতেই, বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন দিল্লিও, জানিয়ে দিল দল

    Nitish Kumar: নীতীশ এনডিএতেই, বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন দিল্লিও, জানিয়ে দিল দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ-র সঙ্গেই থাকছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের তরফেই একথা জানানো হয়েছে। কেবল তা-ই নয়, বুধবার দিল্লিতে রয়েছে এনডিএর বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দেবেন নীতীশ স্বয়ং। ৪ জুন ঘোষণা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ফল। তাতেই জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ।

    এনডিএ শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ (Nitish Kumar)

    লোকসভা নির্বাচনের মাস কয়েক আগেই কংগ্রেস-আরজেডি-র সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করে এনডিএ শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ভালো ফল করলেও, খুব বেশি পিছিয়ে নেই বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, ফের একবার ভোল বদলে ‘ইন্ডি’ জোটে ফিরে যেতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। শেষমেশ সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন (Nitish Kumar) জেডিইউ নেতৃত্ব। নীতীশের দলের মুখপাত্র কেসি ত্যাগী বলেন, “আমরা আমাদের পূর্বনির্ধারিত অবস্থান অনুযায়ীই চলব। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে জেডিইউ আরও একবার এনডিএকে সমর্থন করবে। আমরা এনডিএ-র সঙ্গেই রয়েছি, এনডিএ-র সঙ্গেই থাকব।” 

    কী বললেন নীতীশের মন্ত্রী?

    জেডিইউ-এর মন্ত্রী জামা খান বলেন, “যেহেতু নীতীশ কুমার সব সময় বিহারবাসীর কথা ভাবেন, তাই এ বিষয়ে (শিবির বদলানো) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই। আমাদের নেতা যা সিদ্ধান্ত নেন, আমরা তা সমর্থন করি এবং শ্রদ্ধা করি।” নীতীশের আর এক সতীর্থ মন্ত্রী মদন সাহনি বলেন, “আমরা এনডিএ-র সঙ্গেই রয়েছি। কেন্দ্রে আমরাই সরকার গড়ব।” প্রসঙ্গত, বিহারে লোকসভার আসন রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে, ১০টিতে বিরোধীরা এগিয়ে বা জয় পেয়েছেন। বাকি ৩০টি আসনেই জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা। বিজেিপি ও জেডিইউ ১২টি করে আসন পেয়েছে। শরিক এলজেপি ৫টি এবং জিতনরাম মাজির হাম পার্টি একটি আসন দখল করেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষাও জানিয়েছিল, বিহারে এনডিএ পেতে পারে ৩০টি আসন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩৯টি কেন্দ্রে।

    আর পড়ুন: পর পর তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে মোদি, বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা

    আসন বণ্টন ফর্মুলা মেনে বিহারে বিজেপি লড়েছিল ১৭টি আসনে, নীতীশের দল জেডিইউ লড়েছিল ১৬টি আসনে, পাঁচটি আসনে লড়েছিলেন রামবিলাস পাশোয়ানের লোক জনশক্তি। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা প্রত্যেকে পেয়েছে একটি করে কেন্দ্রের রাশ। এদিকে, ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক আরজেডি প্রার্থী দিয়েছিল ২৩টি আসনে, ভিআইপি (রাজনৈতিক দল) দিয়েছিল পাঁচটি কেন্দ্রে প্রার্থী, ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস এবং বাকি পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন বামেরা (Nitish Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: পর পর তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে মোদি, বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা

    PM Modi: পর পর তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে মোদি, বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোটসঙ্গীদের সঙ্গে মিলে কেন্দ্রে ফের সরকার গড়তে চলেছে বিজেপিই। আরও একবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল সামনে আসতেই মোদিকে শুভেচ্ছা জানালেন সারা বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। এক্স হ্যান্ডলে মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেপাল, মরিশাস, ভুটান, মলদ্বীপের রাষ্ট্র প্রধানেরা।

    নেপালের বার্তা

    মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য শুভেচ্ছা। তৃতীয়বার আপনার নেতৃত্বে, বৃহত্তম গণতন্ত্র এগিয়ে যাবে। মরিশাস-ভারত বিশেষ সম্পর্ক দীর্ঘজীবী হোক।”  অভিনন্দন জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। তাঁর কথায়, “টানা তৃতীয়বার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং এনডিএ-র সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন। আমরা ভারতের জনগণের উৎসাহী অংশগ্রহণের সাথে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক অনুশীলনের সফল সমাপ্তি লক্ষ্য করতে পেরে আনন্দিত।”

    ভুটানের বার্তা

    ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বলেছেন, তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছেন। “বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচনে ঐতিহাসিক টানা তৃতীয় জয়ের জন্য আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-জি এবং এনডিএ-কে অভিনন্দন। যেহেতু তিনি ভারতকে মহান উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন, আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও প্রত্যেক শুভেচ্ছা বার্তার জবাব দিয়েছেন।

    মলদ্বীপের অভিনন্দন

    অভিনন্দন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টও। এমনকি সম্প্রতি যে মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের কুটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েন চলছিল, সেখানকার প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুও মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারত মলদ্বীপ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি উৎসাহী বলে অভিমত মুইজ্জুর।

    ইটালির শুভেচ্ছা

    ইটালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি লিখেছেন, ‘নির্বাচনে জয়ের শুভেচ্ছা। এবং আরও ভালো কাজ করার জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। আমরা একসঙ্গে কাজ করে বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করব যাতে ইটালি ও ভারত ঐক্যবদ্ধ থাকে। আমাদের জাতি এবং আমাদের জনগণের মঙ্গলের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে যা আমাদের আরও বন্ধনে আবদ্ধ রাখবে।’ মেলোনির (Giorgia Meloni) বার্তা পেয়ে আপ্লুত মোদিও (PM Modi)। তিনি সেই পোস্টটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনার সহৃদয় বার্তার জন্য ধন্যবাদ মেলোনি। আমরা ভারত-ইটালি কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি। বিশ্বকল্যাণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘দেশবাসীর কাছে আমি ঋণী’’, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, জয়ের পর বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘দেশবাসীর কাছে আমি ঋণী’’, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, জয়ের পর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের হ্যাটট্রিক। পরপর তিনবার। ১৪, ১৯-এর পর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) জয়কে ‘মানুষের আশীর্বাদ’ বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার গণনার শেষ আপডেট অনুযায়ী, ২৯৩ আসনে এগিয়ে এনডিএ। বিজেপি এগিয়ে ২৪১ আসনে। সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যা ২৭২ পেরিয়েছে এনডিএ। সেখানে ইন্ডি জোট ২৩৩-এ আটকে। টানা তিন বার ক্ষমতা দখলের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, “গণতন্ত্রের জয় হল, এই সরকার সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য কল্যানমূলক কাজ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ।”

    দেশবাসীর কাছে ঋণী

    নয়াদিল্লিতে দলীয় সদর দফতর থেকে সফল নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন এবং নিরাপত্তা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “দেশের জনগণ এনডিএ-কে তিন বার সরকার গড়ার রায় দিয়েছে। এর জন্য দেশবাসীর কাছে আমি ঋণী। এটা দুনিয়ার সবথেকে বড় গণতন্ত্রের জয়। এটা ভারতের সংবিধানের জয়। এটা বিকশিত ভারতের জয়। এটা ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্রের জয়। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের জয়।” মোদির কথায়, “২০১৪ সালে দেশবাসী পরিবর্তনের জন্য ভোট দিয়েছিল। সেইসময় নিত্যদিন খবরের শিরোনামে উঠে আসছিল দুর্নীতি এবং কেলেঙ্কারি। ২০১৯ সালে জয় এল। ২০২৪ সালে, এই গ্যারান্টি নিয়ে আমরা জনগণের কাছে গিয়েছিলাম। এনডিএ-র প্রতি দেশবাসীর আশীর্বাদের জন্য আমি জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।”

    দেশের সেবা করার অঙ্গীকার

    ১৯৬২ সালের পর প্রথমবারের মত কোনও সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে। জয়ের পর মোদি (PM Modi) বলেন, “আগামী বছর সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি হবে। এই সন্ধিক্ষণে দেশের সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে এগিয়ে যাবে এনডিএ সরকার। বিভিন্ন রাজ্যে যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, তাতে কিছু এসে যায় না। আমরা এক সঙ্গে কাজ করে দেশের সেবা করব। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এটা গণতন্ত্রের শক্তি। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে চাই।” ওড়িশা, কেরলে ভাল ফলের জন্য মোদি বলেন, “জগন্নাথদেবের আশীর্বাদে এবার ওডিশায় বিজেপির সরকার হবে। কেরলেও আমরা আসন জিতেছি। অসংখ্য কেরলবাসীর বলিদানের ফলে এটা হয়েছে।” চন্দ্রবাবু নাইডু আর নীতীশের প্রশংসাও করেন নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুন: বার বার তিনবার! বারাণসীতে ফের জিতলেন মোদি

    বিকশিত ভারতের স্বপ্ন

    মায়ের মৃত্যুর পর মোদির (PM Modi) এটি প্রথম নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। মোদির কথায়, “জনগণ আমায় মায়ের অভাব বুঝতেই দেননি।” তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে বিকশিত ভারতের কাজ সম্পন্ন করার কথা বলেছেন। ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি বানানোর সংকল্পের কথা জানিয়েছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এনডিএ সরকার দৃঢ় থাকবে সেই বার্তাও দিয়েছেন মোদি। বলেছেন, “সরকার আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে অবিচল থাকবে, ততদিন থামবে না যতদিন না দেশের প্রতিরক্ষা সেক্টর সম্পূর্ন স্বনির্ভর হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Results 2024: বার বার তিনবার! বারাণসীতে ফের জিতলেন মোদি

    Lok Sabha Results 2024: বার বার তিনবার! বারাণসীতে ফের জিতলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার তিনবার! ফের বারাণসী কেন্দ্রে (Lok Sabha Results 2024) জয়ী হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি পেয়েছেন ৬ লাখ ১২ হাজার ৯৭০টি ভোট। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের অজয় রাই। তিনি রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান। অজয় পেয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ ভোট। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কংগ্রেস প্রার্থী পিছিয়েছিলেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ ভোটে। এনিয়ে পর পর তিনবারই প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন অজয়।

    মোদির জয় (Lok Sabha Results 2024)

    ২০১৪ সালে (Lok Sabha Results 2024) এই কেন্দ্রে প্রথমবার প্রার্থী হন মোদি। ২০১৯ সালে সমাজবাদী পার্টির শালীনি যাদবকে প্রধানমন্ত্রী পরাস্ত করেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৫ ভোটে। সেবার মোদি পেয়েছিলেন ৬৩.৬ শতাংশ ভোট। উত্তরপ্রদেশের আরও একটি কেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে দেশবাসীর। এই কেন্দ্রটি হল রায়বরেলি। এখানে বিজেপির প্রার্থী দিনেশ প্রতাপ সিংহকে ধরাশায়ী করেছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। এই কেন্দ্রে রাহুল এগিয়ে রয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ ভোটে। 

    কিশোরীর কাছে হার স্মৃতির

    উত্তরপ্রদেশেরই আমেঠিতে দেড় লাখের বেশি ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন কিশোরী লাল শর্মা। তিনি এগিয়ে রয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪০ ভোটে। অথচ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই আসনেই কংগ্রেসকে গোহারা হারিয়েছিলেন স্মৃতি। মৈনপুরে জয়ী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব। এক সময় এই কেন্দ্রে জয়ী হতেন মুলায়ম সিংহ যাদব। বিজেপির ঠাকুর জয়বীর সিংহকে ডিম্পল পরাস্ত করেছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৬৩৯ ভোটে।

    আর পড়ুন: পদ্মময় জগন্নাথের রাজ্য, ভেঙে চুরমার নবীনের স্বপ্ন?

    মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, অযোধ্যা লোকসভা কেন্দ্রে পিছিয়ে রয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী লাল্লু সিংহ। সমাজবাদী পার্টির আদেশ প্রসাদ এগিয়ে রয়েছেন ৪৯ হাজার ২৩৩ ভোটে।বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র। এগুলি হল, রোহানিয়া, বারাণসী উত্তর, বারাণসী দক্ষিণ, বারাণসী ক্যান্ট এবং সেবাপুরী। বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায়। ভোট পড়েছে ৫৬.৩৫ শতাংশ। এই দফায় সব মিলিয়ে নির্বাচন হয়েছে দেশের ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে।

    প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি জয়ী হয়েছেন তাঁর সেনাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। গুজরাটের গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সোনাল রামভাই প্যাটেলকে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী করেছেন শাহ (Lok Sabha Results 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Tripura BJP Win: ত্রিপুরার দুটি আসনে জয়ী বিজেপি, জোট করেও পরাজিত সিপিএম 

    Tripura BJP Win: ত্রিপুরার দুটি আসনে জয়ী বিজেপি, জোট করেও পরাজিত সিপিএম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার দুটি আসন থেকেই জয়ী হল (Tripura BJP Win) বিজেপি। বিপ্লব কুমার দেব পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ৬১১,৫৭৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্ডিয়া ব্লকের কংগ্রেস প্রার্থী আশিস কুমার সাহার বিরুদ্ধে। তিনি ২,৬৯,৭৬৩ ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে ত্রিপুরা পূর্ব (Tripura East)থেকে জয়ী হয়েছেন কীর্তি দেবী দেব্বর্মণ ৪,৮৬,৮১৯ ভোটের ব্যবধানে তাঁর নিকটতম সিপিআইএম (CPIM) প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াংকে হারিয়ে দিয়েছেন। 

    ত্রিপুরাতে রেকর্ড ভোটে জয়ী বিজেপি (Tripura BJP Win)

    দিল্লিতে ১৬ বছর কাটিয়ে, বিপ্লব দেব ২০১৫ সালে বিজেপির জনসংযোগ অভিযানের ইনচার্জ হিসাবে ত্রিপুরায় ফিরে আসেন। এক বছর পরে, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন, এবং ২০১৮ সালে, তাঁর দল একটি আঞ্চলিক আদিবাসী রাজনৈতিক দল ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি) এর সাথ জোট করে প্রথমবারের মতো রাজ্যে (Tripura BJP Win) ক্ষমতায় আসে। পরে ২০২২ সালে সমালোচনার মুখে দেব মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরে ত্রিপুরা থেকে একমাত্র রাজ্যসভা সাংসদ নির্বাচিত হন।২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দু’টি আসনেই সিপিএম ছিল তৃতীয় স্থানে। তার পাঁচ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৪ সালে দুই আসনেই সিপিএমের ভোট ছিল ৬০ শতাংশের বেশি। ২০১৯ সালে সেটাই নেমে আসে ১৫ এবং ১৯ শতাংশে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের মধ্যে কমবেশি সময়ে ৪৫ শতাংশ ভোট হ্রাস পায়। ২০১৯ সালে দুই আসনেই কংগ্রেস ছিল দ্বিতীয়। তাদের ভোট ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ। ৬ শতাংশ থেকে বিজেপির ভোট ২০১৯ সালে পৌঁছেছিল পূর্ব ত্রিপুরায় ৪৬ শতাংশে এবং পশ্চিম কেন্দ্রে ৫১ শতাংশে। এ বার বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোট দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। বিজেপি পেয়েছে ৭১ শতাংশ ভোট।

    অরুণাচল প্রদেশের দুটি আসনেই ফুটেছে পদ্ম

    অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশের দুটি আসনেই ফুটেছে পদ্ম। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন কিরেন রিজিজু এবং তাপির গাও। উল্লেখ্য, অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছিল। দুদিন আগে ভোট গণনার ফলাফলে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তৃতীয়বারের মতো রাজ্যে ক্ষমতাসীন।

    আরও পড়ুন : অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরছে তেলুগু দেশম, চন্দ্রবাবুকে অভিনন্দন মোদি-শাহের

    ৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ৪৬ আসনে বিজয় হাসিল করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে রাজনৈতিক মহল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, লোকসভা নির্বাচনেও মোট দুটি আসনেও জিতবে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share