Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Heat Wave: গরমের দাপটে দেশে মৃত ৮৭, উদ্বেগ প্রকাশ রাজস্থানের আদালতের

    Heat Wave: গরমের দাপটে দেশে মৃত ৮৭, উদ্বেগ প্রকাশ রাজস্থানের আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহের তাণ্ডব (Heat Wave)। ইতিমধ্যে ব্যাপক গরমের দাপটে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। সবথেকে আশ্চর্যজনক তথ্য, গত ৩৬ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫-এ। এরমধ্যে পশ্চিম ওড়িশাতে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। উত্তরপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ১৬। বিহারে ৫, রাজস্থানের ৪ এবং পাঞ্জাবে তাপপ্রবাহে মারা গিয়েছেন একজন। তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যুর ইস্যু পৌঁছে গেল আদালতেও। রাজস্থানের আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ‘‘গরম থেকে মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। তাপপ্রবাহের আকারে আবহাওয়ার এই চূড়ান্ত পরিস্থিতির কারণে, এই মাসে প্রায় একশো মানুষ মারা গেছে। আমাদের কোনও প্ল্যানেট B নেই, যেখানে আমরা স্থানান্তর হতে পারি। এখনই আমরা কোনও কড়া ব্যবস্থা না নিলে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ফুটে উঠতে দেখার সুযোগ হারাব।’’

    নাগপুরের পারদ গতকাল পৌঁছায় ৫৬ ডিগ্রিতে

    ইতিমধ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে কেরলে। তবুও অসহ্য গরমে ঝলসে যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ রাজ্য। সম্প্রতি দিল্লিতে তাপমাত্রা পারদ চড়েছিল ৫২.৯ ডিগ্রিতে। সেই রেকর্ডকেও ভেঙে দেয় শুক্রবার নাগপুরের তাপমাত্রা। সেখানে গতকাল তাপমাত্রার পারদ পৌঁছায় ৫৬ ডিগ্রিতে। তবে গত বুধবার দিল্লির তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রির ওপরে (Heat Wave) পৌঁছানোর পরেই বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ দেখা দেয়। সেই সময়ে আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটা হতে পারে। কারণ অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশনগুলি ৩৮ ডিগ্রি ওপরে তাপমাত্রা চলে গেলে ঠিকমতো কাজ করে না তাই তথ্য বিকৃতি হতেই পারে।

    কেন ভুল তথ্য দেখাতে পারে মেশিন

    এক্ষেত্রে হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, যে মেশিন ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ AWS sensor, তা ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে আমদানি করা হয়। সেখানকার তাপমাত্রা এতটা ওপরে ওঠে না। তাই স্বাভাবিকভাবে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই মেশিন ভুলভাল তথ্য দেখাতে (Heat Wave) থাকে।

    ১০ জুনের মধ্যে বাংলায় পা রাখতে চলেছে বর্ষা

    জুন মাসের প্রথম চারদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস আগেই মিলেছিল। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার, কোথাও ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার হলুদ সতর্কতাও রয়েছে। আজ শনিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি, এই ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জানা গিয়েছে, ১০ জুনের মধ্যে বাংলায় পা রাখতে চলেছে বর্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gratuity Limit Hike: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাসি আরও চওড়া হল, বাড়ল গ্র্যাচুইটির পরিমাণ

    Gratuity Limit Hike: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাসি আরও চওড়া হল, বাড়ল গ্র্যাচুইটির পরিমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ্য ভাতার (DA) পর এবার গ্রাচুইটি (Gratuity) নিয়ে সুখবর দিল কেন্দ্র সরকার। এখন অবসর ও মৃত্যুজনিত গ্রাচুইটির (Death Gratuity) সীমা ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা করা হল। বর্ধিত এই লাভ ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।

    কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের গ্র্যাচুইটির পরিমাণ বাড়ল

    লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এর জেরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা ৫০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ মে জারি হওয়া অফিস মেমোরেন্ডামে (OM) বলা হয়েছে, “সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস পেনশন বিধি, ২০২১ বা কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (জাতীয় পেনশন সিস্টেমের অধীনে গ্র্যাচুইটির অর্থ প্রদান) নিয়ম ২০২১-এর অধীনে, ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে অর্থাৎ ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের (Office Memorendum) পর থেকেই অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্রাচুইটি সহ অন্যান্য ভাতা দ্রুত বৃদ্ধি হবে এমনটাই আশা করা হচ্ছিল। অবশেষে সেই সুখবর এল কেন্দ্র সরকারের তরফে। যদিও কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতার ফারাক এখনও অনেকটাই। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও পিছিয়ে রয়েছে রাজ্য সরকার।

    টানা পাঁচ বছর চাকরি করলেই মিলবে গ্র্যাচুইটি

    প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষাধিক কর্মচারী এবং পেনশন ভগিরা স্বস্তি পেয়েছিলেন। নিয়ম অনুসারে একজন কর্মচারী অন্তত পাঁচ বছর যদি একটানা কাজ করেন তাহলে তিনি গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য। পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, মৃত্যু বা পদত্যাগের সময় পর্যন্ত প্রদেয় অর্থ পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: কন্যাকুমারীতে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রী, আজ মোদি-গড় সামলাচ্ছেন বিশ্বস্ত অমিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ডিয়ারনেস রিলিফ (Dearness Relief) এবং মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness Allowance) ৪ শতাংশ বাড়িয়েছে। কয়েক লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য এটি একটি বিশাল স্বস্তির খবর ছিল। ডিএ ৫০ শতাংশে বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের বেতনের অন্যান্য অংশগুলিও বৃদ্ধি পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Energy Security: প্রচলিত শক্তি উৎসের বিকল্প হতে পারে ‘হাইড্রোজেন’! উৎপাদন বাড়ছে ভারতেও

    Energy Security: প্রচলিত শক্তি উৎসের বিকল্প হতে পারে ‘হাইড্রোজেন’! উৎপাদন বাড়ছে ভারতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশকে যদি বাঁচানো যায় তবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তা পৃথিবীর জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মনুষ্যজনিত কাজেই পরিবেশের ভারসাম্য সবথেকে বেশি বিঘ্নিত হয়। এই আবহে প্রচলিত শক্তির নিরাপত্তাও (Energy Security) প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। ক্রমশই তা ফুরিয়ে আসছে বলে উদ্বেগ প্রকাশও করছেন বিজ্ঞানীরা। আবার প্রচলিত শক্তির বিপুল ব্যবহারের ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে দূষণ। দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে আবার প্রচলিত শক্তির অভাব ব্যাপক দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, সারা বিশ্বজুড়ে এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৬৭ কোটি মানুষ রয়েছেন যাঁদের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশ ভারত আগামী কুড়ি বছরের বিশ্বব্যাপী শক্তির চাহিদা ২৫ শতাংশ মেটাতে সক্ষম হবে। প্রচলিত শক্তির নিরাপত্তা যখন চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি অনেক বেশি ভরসার জায়গা দেখাচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এখন পরিবেশের ভারসাম্যকে বজায় রাখতে যতটা সম্ভব পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আজকের আমাদের প্রতিবেদনে শক্তি নিরাপত্তা, শক্তি নিরাপত্তায় হাইড্রোজেনের ভূমিকা এবং ভারতের প্রচেষ্টা এই নিয়ে আলোচনা করব।

    শক্তি নিরাপত্তা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট জিনিস নয় তবে তা অন্য সমস্ত জিনিসের একটি মৌলিক উপাদানও বটে। অর্থাৎ বায়ু, জল, মাটি- এ সমস্ত কিছুরই মৌলিক উপাদান হল শক্তি। জোরের সঙ্গে বলা যায় যে মানব সভ্যতার বিকাশের লক্ষ্যে শক্তি নিরাপত্তা একটা মৌলিক প্রয়োজন। ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি’ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, শক্তির উৎসকে অত্যন্ত সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা। অর্থাৎ সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে শক্তিকে। এমন অবস্থায় সম্পূর্ণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে শক্তির উৎসগুলি। ঠিক এই কারণেই সূর্য শক্তি, বায়ু শক্তি, জৈব বস্তু, হাইড্রোজেন ইত্যাদির মতো পুনর্নবীকরণ শক্তিগুলির ওপরে জোর দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পুনর্নবীকরণ শক্তি অত্যন্ত সাশ্রয়ী। এই শক্তিগুলি পরিবেশবান্ধবও হয়। 

    বিশ্বে শক্তির ৮৪ শতাংশ আসে খনিজ তেল-কয়লা-গ্যাস থেকে 

    একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে , এখনও সারা বিশ্বে শক্তির ৮৪ শতাংশ আসে খনিজ তেল, কয়লা এবং গ্যাস থেকে। তবে একথা ঠিক শক্তির উৎস সব দেশে সমান নয় এবং এক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দেশে আলাদা আলাদা রকমের শক্তির উৎস রয়েছে। কোনওটাতে খুব বেশি, কোনওটাতে একেবারেই নেই। ঠিক এই কারণেই শক্তি সম্পদের অসম বন্টন হয়। পৃথিবীব্যাপী কয়েকটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলেই খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির উৎস হিসেবে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সর্বোচ্চ খনিজ তেল উৎপাদনকারী দেশ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ইরাক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। কয়লা উৎপাদনে চিন শীর্ষস্থান অধিকার করে। গ্যাসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী দেশ হল রাশিয়া। বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন, জ্বালানি নিরাপত্তাকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।

    হাইড্রোজেন কি আমাদের শক্তি নিরাপত্তা দিতে পারে?

    বিজ্ঞানীরা হাইড্রোজেনকেই ভবিষ্যতের জ্বালানি (Energy Security) হিসেবে দেখছেন। হাইড্রোজেনের ব্যবহার বাড়লে জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক শক্তি ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতা অনেকটাই কমবে। জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক শক্তির ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য সর্বদা বিঘ্নিত হয়। পরিবেশ দূষিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের মত বিষয়গুলিও এর সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু হাইড্রোজেনের ব্যবহারের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তনের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে বেশিরভাগ হাইড্রোজেনে জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিলেই জল তৈরি হয়। এভাবে জলকে বিশ্লেষণ করে হাইড্রোজেন তৈরি হতে পারে। হাইড্রোজেনকে আলাদাভাবে বিচ্ছিন্ন করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ইলেকট্রোলাইসিস, গ্যাসিফিকেশন ইত্যাদি। গঠনের ওপর ভিত্তি করে হাইড্রোজেনকে ধূসর, বাদামী, নীল এবং সবুজ এই হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

    পৃথিবীর সব দেশেই সম্ভব হাইড্রোজেনের উৎপাদন 

    পৃথিবীর সব দেশেই হাইড্রোজেন উৎপাদিত (Energy Security) হতে পারে। পৃথিবীজুড়ে খনিজ তেল, গ্যাস ও কয়লা উৎপাদনে যে নির্দিষ্ট কিছু ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে সে প্রভাব থেকে হাইড্রোজেন মুক্ত। এর ফলে লাভবান হতে পারে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলি। এতে শক্তি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না। তার কারণ হাইড্রোজেন উৎপাদিত বস্তু এবং তা জল থেকেই বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিশ্লিষ্ট হয়ে পাওয়ার যাবে। পাশাপাশি সূর্য শক্তি, বায়ু শক্তি, বায়োমাসের মতো পুনর্নবীকরণ শক্তির সাহায্যে উৎপাদিত হলে প্রকৃতিতে দূষণও ছড়াবে না হাইড্রোজেন। উৎপাদিত হাইড্রোজেনকে সাধারণভাবে সবুজ হাইড্রোজেন বলা হয়। হাইড্রোজেনের উৎপাদনের ফলে তা কাজে লাগবে পরিবহন ব্যবস্থার জ্বালানিরূপে ও শিল্পের কাজে।

    ভারত ও হাইড্রোজেন (Energy Security)

    সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অর্থাৎ মোদি জমানায় ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ব্যাপক হয়েছে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দিক থেকে ভারত পিছনে ফেলে দিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকেও। সাধারণভাবে ভারতে যে সমস্ত শক্তির চাহিদা রয়েছে তার ৮০ শতাংশ মেটে তিনটি জ্বালানি থেকে। এগুলি, কয়লা, তেল ও বায়োমাস। এছাড়াও ভারতে ক্রমবর্ধমান যেভাবে পরিবহন চাহিদা বেড়ে চলেছে সে কারণে খনিজ তেলের ব্যবহার (Energy Security) এবং আমদানি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত বছরগুলিতে প্রচলিত শক্তির ব্যবহার থেকে ভারত পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহারে অনেক বেশি ঝুঁকেছে। সবুজ হাইড্রোজেন ও বৈদ্যুতিক যানবাহনও বহুল পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। ভারতে চালু হয়েছে ১৯ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন’। এর ফলে প্রতি বছর 5MMT হাইড্রোজেন উৎপাদন হবে। সবুজ হাইড্রোজেনকে বাণিজ্যিকভাবে আরও বেশি জনপ্রিয় করাই এই মিশনের লক্ষ্য। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে ভারতকে। কারণ দেশে হাইড্রোজেন ইকোসিস্টেম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ হাইড্রোজেন উৎপাদনের যে পরিকাঠামো তা আরও বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় হাইড্রোজেন মিশন, এই দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮তম জি২০ সম্মেলন। সেখানেই একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যার নাম ছিল ‘গ্রীন হাইড্রোজেন পাইলটস ইন ইন্ডিয়া’, এখানেই ভারতের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়িত নানা গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্পগুলিকে প্রদর্শন করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prajwal Revanna: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার রেভান্না, ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত, পরীক্ষা হবে যৌন ক্ষমতা

    Prajwal Revanna: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার রেভান্না, ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত, পরীক্ষা হবে যৌন ক্ষমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার নাতি তথা কর্নাটকের হাসানের জেডিএস প্রার্থী প্রোজ্জ্বল রেভান্নাকে (Prajwal Revanna) গ্রেফতারের পরে শুক্রবারই আদালতে তোলা হয়। প্রসঙ্গত, প্রোজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। কর্নাটক পুলিশের সম্পূর্ণ মহিলা অফিসার নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ তদন্তকারী দল প্রোজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুরে আদালতে তোলার আগে তাঁকে বাউরিং হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। বিদায়ী সাংসদের যৌন ক্ষমতা নির্ধারণ পরীক্ষাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যৌন ক্ষমতা পরীক্ষায় একজন ব্যক্তির শুক্রাণু গণনা, তার কার্যক্ষমতা ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করা হয়। ৩৩ বছর বয়সী প্রোজ্জ্বলের যৌন সক্ষমতা ঠিক কতটা, তা পরীক্ষা করতে চাইছে সিট।

    প্রোজ্জ্বলের মা ভবানী রেভান্নাকে এদিন সিটের সামনে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ ধরানো হয়েছে

    এর পাশাপাশি প্রোজ্জ্বলের (Prajwal Revanna) মা ভবানী রেভান্নাকে এদিন সিটের সামনে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ ধরানো হয়েছে। শনিবার তাঁকে বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, জার্মানি থেকে প্রোজ্জ্বল এর আগে দুবার বেঙ্গালুরুর বিমানের টিকিট কেটেও বাতিল করেছিলেন। এবারও তিনি দেশে ফিরবেন কিনা সে নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছিল। অনেকেই ভাবছিলেন ভোটের ফলপ্রকাশের পর হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। কিন্তু সপ্তম দফা ভোটের আগেই দেশে ফিরলেন তিনি। অন্যদিকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, রেভান্নার বিরুদ্ধে ২৩ মে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে ৷ এমনকী, তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার করার পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।

    মহিলা পুলিশের একটি বাহিনী প্রোজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে

    দুই মহিলা আইপিএস অফিসার সুমন ডি পেনেকার ও সীমা লাটকারের  নেতৃত্বে মহিলা পুলিশের একটি বাহিনী প্রোজ্জ্বলকে (Prajwal Revanna) গ্রেফতার করে। এর পরই তাঁকে বেঙ্গালুরু সিআইডি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এই নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, অসংখ্য মহিলার সঙ্গে যে ধরনের যৌন নির্যাতন প্রোজ্জ্বল রেভান্না চালিয়েছে, তাঁকে বার্তা দেওয়ার জন্যই শুধুমাত্র মহিলা পুলিশের দল গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করল। যাতে প্রমাণ করা যায় যে মহিলাদের গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।

    অশ্লীল ভিডিও

    প্রোজ্জ্বলের (Prajwal Revanna) বিরুদ্ধে একাধিক নারী নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আসে। শুধু তাই নয়, মহিলাদের যৌন নির্যাতন করে তা ভিডিও শ্যুট করে রাখত প্রোজ্জ্বল। এমনই একটি পেনড্রাইভ বিশেষ তদন্তকারী দল উদ্ধার করতে পেরেছে বলে তাদের দাবি। যেখানে ৩ হাজারটিরও বেশি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। এই ঘটনায় নবীন গৌরা ও চেতন নামের দুই ব্যক্তিকে হাসান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Air Hostess Arrested: পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার তাল তাল সোনা! কেরল থেকে গ্রেফতার কলকাতার বিমানসেবিকা

    Air Hostess Arrested: পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার তাল তাল সোনা! কেরল থেকে গ্রেফতার কলকাতার বিমানসেবিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানসেবিকার পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার হল তাল তাল সোনা। দুই-পাঁচগ্রাম সোনা নয় উদ্ধার হল প্রায় এক কেজি সোনা। অভিযোগ, পায়ুদ্বারের মধ্যে লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিলেন কলকাতার বিমানসেবিকা (Air Hostess Arrested) সুরভি খাতুন। এর আগে যাত্রীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার সোনা পাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এবার সোনা পাচারের অভিযোগ উঠল বিমানসেবিকার বিরুদ্ধে। কেরল (Kerala) থেকে গ্রেফতারির পর বিমানসেবিকাকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করা হয়েছে। আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে কান্নুরের মহিলা জেলে রয়েছেন তিনি।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Air Hostess Arrested)

    ভেবেছিলেন কেউ কিচ্ছুটি ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না। বিমান সংস্থার পোশাকে গটগট হেঁটে যাচ্ছিলেন। পেশায় বিমানসেবিকা হওয়ায় যাত্রীদের চেকিং হলেও তাঁকে কখনও এক মুহূর্তের জন্যও লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। ভেবেছিলেন এটাই তো সুযোগ। তবে কপাল সঙ্গ দিলনা। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও বিমানবন্দর আধিকারিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে যেতে পারলেন না সুরভি। তল্লাশি চলল আলাদা ঘরে ডেকে। আর তাতে যা বেরিয়ে এল তা দেখে চোখ কপালে উঠল পুলিশ থেকে শুরু করে উপস্থিত সকলের। বিমানসেবিকার পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার হল ৯৬০ গ্রাম সোনা। 

    এ যেন সিনেমারই মতো

    এ ঘটনা যেন সিনেমারই মতো। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের ছবি ‘ক্রু’। করিনা কাপুর খান, তব্বু এবং কৃতী শ্যানন অভিনীত এই ছবিতে সোনা পাচারের ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছিল। ছবিতে করিনা, তব্বু, এবং কৃতী বিমানসেবিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে দেখানো হয়েছে, যে বিমান সংস্থায় তাঁরা কাজ করছেন, সেটি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সেই বিমান সংস্থার মালিক সোনা পাচারে যুক্ত। রুজিরুটি চালাতে ওই তিন চরিত্র শেষে সোনা পাচারে যুক্ত হয়। তবে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান সেবিকা যেভাবে সোনা পাচার করেছেন, তার সঙ্গে ছবির সেভাবে কোনও মিল নেই। মিল একটাই যে, ছবিতে বিমানসেবিকারা সোনা পাচার করেছিলেন, আর এক্ষেত্রেও সোনা পাচারে নাম জড়াল বিমানসেবিকার।  

    আরও পড়ুন: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    মাসকট থেকে কন্নুরে সোনা পাচারের চেষ্টা 

    জানা গিয়েছে, মাসকট থেকে কন্নুরে সোনা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। গত ২৮ মে কোচি বিমানবন্দরে সাধারণ মানুষের ভিড়ে ছদ্মবেশে ছিলেন ডিআরআই আধিকারিকরা। তাঁদের কাছে খবর ছিল, সোনা পাচারের উদ্দেশ্য নিয়ে এক বিমানসেবিকা সেই বিমানবন্দরে নামবেন। এরপর সুরভিকে দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। সোনা উদ্ধারের পর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেফতার (Air Hostess Arrested) করে পাঠানো হয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। 

    তদন্ত শুরু পুলিশের 

    ডিআরআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এটাই প্রথমবার নয় এর আগেও একাধিকবার এই বিমানসেবিকা সোনা পাচার (Air Hostess Arrested) করেছেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, সুরভি কেরলের (Kerala) একটি সোনা পাচার গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার পরেই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কন্যাকুমারীতে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রী, আজ মোদি-গড় সামলাচ্ছেন বিশ্বস্ত অমিত

    Lok Sabha Election 2024: কন্যাকুমারীতে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রী, আজ মোদি-গড় সামলাচ্ছেন বিশ্বস্ত অমিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধ্যানে বসেছেন মোদি (PM Modi Meditation)। তাঁর হয়ে ভোট সামলাচ্ছেন অতি বিশ্বস্ত অমিত শাহ। শনিবার শেষ দফায় বারাণসী (Varanasi) কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছেন। শনিবারও যখন ভোট (Lok Sabha Election 2024) হবে, তখন তিনি ধ্যানমগ্ন থাকবেন। ভোটের দিন নিজের কেন্দ্র নিয়ে মাতামাতি নেই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। তাঁর কেন্দ্র বারাণসীতে ভোটের লড়াইয়ের দেখভাল করবেন শাহ। যেহেতু বারাণসীর ভোটার নন শাহ (Amit Shah), তাই বারাণসী কেন্দ্রের আশেপাশে যেখানে ভোট নেই এমন কোনও জায়গায় ক্যাম্প করবেন তিনি।

    মোদির দুর্গ সামলাবেন শাহ

    দলীয় সূত্রে খবর শনিবার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) সময় বিজেপির দিল্লির সদর দফতরে হাজির থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল, সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকরি এবং বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁরা শাহের কাছে থেকে বারাণসীর ভোটের হালচাল জানাবেন। প্রসঙ্গত বারাণসীতে এখন তীব্র গরম। গরম উপেক্ষা করে মানুষকে কীভাবে ভোটমুখী করা যায় তা নিয়ে এই চিন্তায় সমস্ত রাজনৈতিক দল। দলের অনুগত ভোটারদের যাতে বুথমুখী করা যায়, তার জন্য নানান চেষ্টা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই বারাণসী জেলায় শুক্রবার ৩৪ জন গরমে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। শতাধিক মানুষ গরমের কারণে নানান অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফলে তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ভোটাররা কীভাবে লাইনে দাঁড়াবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে রাজনৈতিক  দলগুলি।

    প্রধানমন্ত্রীর জয় নিয়ে সংশয় নেই বিজেপি শিবিরে (PM Modi Meditation)

    প্রধানমন্ত্রী জয় নিয়ে বিজেপি শিবিরে কোনও সংশয় নেই। তবে মার্জিন বিজেপির কাছে মান রক্ষার বিষয় হতে পারে। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে দাঁড়ানো প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মার্জিন কমে গেলে সেটা কেও তাঁর হার হিসেবে গণ্য করা হবে। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজারের ব্যবধানে জিতেছিলেন। এবার ৫ লক্ষের মার্জিন আশা করছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    কিন্তু এই মার্জিনে জিততে গেলে রেকর্ড সংখ্যায় ভোটারদের বুথমুখী করতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে ব্যস্ততার কারণে ১৬ দিনের মাত্র দুবার বারাণসী গিয়েছেন। একটি জনসভা ও একটি রোড শো করেছেন। তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়েছেন দলের কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী বারাণসী থেকে দাঁড়াচ্ছেন এটা বারাণসী কেন্দ্রের ভোটারদের কাছে একটি বাড়তি পাওনা (Lok Sabha Election 2024)। প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে ৪ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ৩৬ জন মন্ত্রী বারাণসীতে প্রচার চালিয়েছেন। প্রচারে নিরিখে বিজেপির ধারে কাছে পৌঁছতে পারেননি কংগ্রেস প্রার্থী। মার্জিন বাড়াতে এবার চোখ ধাঁধানো প্রচারের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে জোর দিয়েছিল বিজেপি। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই নিশ্চিন্ত মনে ধ্যানে গিয়েছেন মোদি (PM Modi Meditation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় মোদির বারাণসী কেন্দ্র সহ দেশের ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ আজ

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় মোদির বারাণসী কেন্দ্র সহ দেশের ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ আজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ মার্চ দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়েছিল কমিশন। ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল। তারপর থেকে ৬ দফায় ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আজ শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। এই দিন ভোট হবে সাতটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে। রাজ্যগুলির মধ্যে, উত্তরপ্রদেশে ১৩টি আসনে ভোট চলছে। এর পাশাপাশি, পাঞ্জাবে ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গের ৯টি, বিহারে ৮টি, ওড়িশায় ৬টি, হিমাচল প্রদেশে ৮টি, ঝাড়খণ্ডে ৩টি এবং চণ্ডীগড়ের একটি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। অর্থাৎ মোট ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে আজ। নির্বাচনের ফলাফল বের হবে আগামী ৪ জুন। প্রসঙ্গত, বারাণসী লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই কেন্দ্রেও ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলছে আজকে। অন্যান্য দফার মতো সপ্তম দফাতেও সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।

    ৬ দফায় ভোটদানের হার

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম দফায় (Lok Sabha Election 2024) দেশে ভোট পড়েছিল ৬৬.১৪ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছিল ৬৬. ৭১ শতাংশ, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৬৫.৬৮ শতাংশ, ৬৯.১৬ শতাংশ, ৬২.২০ শতাংশ ও ৬৩.৩৭ শতাংশ।

    কোন কোন আসনে ভোট আজ (Lok Sabha Election 2024)

    বিহার: নালন্দা, পাটনা সাহেব, পাটলিপুত্র, আররাহ, বক্সার, সাসারাম, কারাকাট, জাহানাবাদ

    হিমাচল প্রদেশ: কাংড়া, মান্ডি, হামিরপুর, সিমলা

    ঝাড়খণ্ড: রাজমহল, দুমকা, গোড্ডা

    ওড়িশা: ময়ূরভঞ্জ, বালাসোর, ভদ্রক, জাজপুর, কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর

    পাঞ্জাব: গুরুদাসপুর, অমৃতসর, খাদুর সাহেব, জলন্ধর, হোশিয়ারপুর, আনন্দপুর সাহেব, লুধিয়ানা, ফতেহগড় সাহেব, ফরিদকোট, ফিরোজপুর, বাথিন্দা, সাংগুর, পাতিয়ালা

    উত্তরপ্রদেশ: মহারাজগঞ্জ, গোরখপুর, কুশি নগর, দেওরিয়া, বাঁশগাঁও, ঘোসি, সালেমপুর, বালিয়া, গাজিপুর, চান্দৌলি, বারাণসী, মির্জাপুর, রবার্টসগঞ্জ

    পশ্চিমবঙ্গ: দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর

    চণ্ডীগড়: চণ্ডীগড় আসনে ভোট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP slams INDI Alliance: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    BJP slams INDI Alliance: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে (PM Modi’s meditation) বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই ঘটনাকে ইস্যু তৈরি করেছে কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোট। আর এবার কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোটের এই আচরণের নিন্দা (BJP slams INDI Alliance) করলেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কংগ্রেস এবং ইন্ডি-জোটের সমস্যাটা কি? প্রধানমন্ত্রী যদি কিছু বলেন, তাতে তাদের সমস্যা হয়। তিনি যদি কিছু না বলে ধ্যানের জন্য বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে যান, তাহলেও তাদের সমস্যা হয়।” 

    ইন্ডি-জোটের অভিযোগ 

    আসলে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের ৫৭ আসনের ভোট রয়েছে আগামী ১ জুন। আর তার আগে লোকসভা ভোটের প্রচারপর্ব শেষ করে কন্যাকুমারীতে ধ্যানে (PM Modi’s meditation) বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীরা মনে করছেন, ভেবেচিন্তেই মোদি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে শেষ পর্বের ভোট গ্রহণের সময়ও তিনি প্রচারের আলোয় থাকতে পারেন। কংগ্রেস মনে করছে, এটা হলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন (BJP slams INDI Alliance)। কারণ, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ মে সন্ধ্যা থেকেই শুরু হচ্ছে নীরবতা পর্ব বা সাইলেন্স পিরিয়ড। ওই সময়টুকু দেওয়া হয় প্রচার শেষে ভোটাররা যাতে ভোটদান নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ইন্ডি জোটের দাবি,  মোদি ধ্যান বসলে দেশের সব টেলিভিশন তা নিয়ে হইচই করবে। প্রত্যক্ষ না হলেও সেটা হবে পরোক্ষ প্রচার। তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হবেন। চিন্তা করার অবকাশ পাবেন না। উল্লেখ্য মোদি নিজেই এবারের পর্বে বারানসিতে প্রার্থী। সেখানকার ভোটও হবে শেষ দফায়। কাজেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হবেন। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ২৮ জন বিজেপি নেতাকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা! অনুমোদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    পুনাওয়ালার মন্তব্য

    আর ইন্ডি-জোটের এই মন্তব্যের পরেই এদিন পুনাওয়ালা বলেন, “এটি বিরোধীদের হতাশা এবং “সনাতন বিরোধী” (BJP slams INDI Alliance) মানসিকতার পরিচয়। এই বিরোধীরা রাম মন্দিরেরও বিরোধিতা করেছিল, বলেছিল যে এখানে ভগবান রামের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।” পাশাপাশি এদিন তিনি আরও জানান যে, প্রধানমন্ত্রী কেবলমাত্র ধ্যানেই (PM Modi’s meditation) বসেছেন। না তো কোনও রাজনৈতিক প্রচার করছেন না তো জনসংযোগ করছেন। সুতরাং তাঁর এই ধ্যানে বসাকে কেন্দ্র করে ইন্ডি-জোটের দাবিগুলি স্পষ্টতই “সনাতন বিরোধী” মানসিকতার পরিচয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Border: হাসিমারা থেকে ২৯০ কিমি দূরে ‘স্টেলথ’ যুদ্ধবিমান মোতায়েন চিনের! কী প্রস্তুতি ভারতের?

    India China Border: হাসিমারা থেকে ২৯০ কিমি দূরে ‘স্টেলথ’ যুদ্ধবিমান মোতায়েন চিনের! কী প্রস্তুতি ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা (Hasimara Airbase) থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার এবং সিকিম থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের শিগাৎসে বিমানবন্দরে নিজেদের অত্যাধুনিক জে-২০ যুদ্ধবিমান (J-20 Stealth Fighter Jet) মোতায়েন করেছে চিন (India China Border)। 

    উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল কোন ছবি

    ‘অল সোর্স অ্যানালিসিস’ (All Source Analysis) নামক একটি সংস্থা সম্প্রতি নিজেদের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে। ২৭ মে তোলা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিমানবন্দরে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে অনেক যুদ্ধবিমান। প্রকাশিত ছবিতে চিহ্নিত করে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বাঁদিকে একটু বড় আকারের ৬টি যুদ্ধবিমান সারি দিয়ে রয়েছে। তার পাশেই তুলনামূলকভাবে ছোট আকারে আরও ৮টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। ছবির ডানদিকে, একটি বড় আকারের সামরিক নজরদারি বিমানও দেখা গিয়েছে।

    কে এই ‘অল সোর্স অ্যানালিসিস’?

    ‘অল সোর্স অ্যানালিসিস’ জানিয়েছে, ছবিটি ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা (India China Border) চিন-পরিচালিত তিব্বতের শিগাৎসে বিমানবন্দরের। সংস্থার দাবি, প্রকাশিত ছবির বাঁদিকে রাখা ৬টি হল চিনা বায়ুসেনার (পিএলএএএফ) অত্যাধুনিক জে-২০ যুদ্ধবিমান (J-20 Stealth Fighter Jet)। পাশে রয়েছে ৮টি জে-১০ যুদ্ধবিমান। একেবারে ডানদিকে রয়েছে চিনা বায়ুসেনার কেজে-৫০০ অ্যাওয়াক্স নজরদারি বিমান। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ‘অল সোর্স অ্যানালিসিস’ হল একটি ভূ-মহাকাশীয় নজরদারি (Geo-spatial intelligence) সংস্থা। পৃথিবীর কক্ষপথে মোতায়েন কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবি ব্যবহার করে ভূ-মহাকাশীয় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করাই এই সংস্থার কাজ। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই কাজ করে চলেছে। ফলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে, এই সংস্থার প্রকাশিত ছবি ও তথ্য সত্যি ও নির্ভরযোগ্য।

    জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন তাৎপর্যপূর্ণ

    শিগাৎসে হল তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। ১২,৪০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই বিমানবন্দরটি বিশ্বের উচ্চতম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি। একাধারে অসামরিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এই বিমানবন্দর (Shigatse Airbase)। সাধারণত, এই বিমানবন্দরে সারা বছর জে-১০ এবং কেজে-৫০০ মোতায়েন থাকে। এতে নতুনত্বের কিছু নেই। কিন্তু, এখন ৬টি ‘স্টেলথ’ (চিনের দাবি তেমনটাই) জে-২০ যুদ্ধবিমান (J-20 Stealth Fighter Jet) মোতায়েন হওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বটে। কারণ, সাধারণত চিন তাদের সবচেয়ে আধুনিক এই বিমানগুলিকে পূর্ব সীমান্তে, তথা পূর্ব চিন সাগরের দিকে মোতায়েন করে রাখে। সেখান থেকে ভারতের সীমান্ত (India China Border) ঘেঁষে তিব্বতে এই বিমানগুলিকে কেন চিন এখন মোতায়েন করেছে, সেই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মনে প্রশ্ন উঠছে। 

    রাফাল রয়েছে, তাই চিন্তিত নয় ভারত

    এই নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্যে নারাজ ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে, সূত্রের খবর, ভারত এই নিয়ে বেশি চিন্তিত নয়। কারণ, হাসিমারায় ডগ-ফাইটে পারদর্শী অত্যাধুনিক ১৮টি ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমানের একটি গোটা স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে রেখেছে ভারত। ফলে, চিন কোনও কিছু হঠকারিতা করলে, তার সমুচিত জবাব দিতে তৈরি ভারত ও ভারতীয় বায়ুসেনা। ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। এর মধ্যে একটি স্কোয়াড্রন বিশিষ্ট ১৮টি যুদ্ধবিমান রয়েছে পাক-সীমান্ত লাগোয়া আম্বালা বায়ু-ঘাঁটিতে। বাকি ১৮টিকে নিয়ে গঠিত দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন রয়েছে হাসিমারা বেসে। তবে, বর্তমানে দুই বেস থেকে চারটি করে বিমান রয়েছে আলাস্কায়। সেখানে মার্কিন বায়ুসেনার সঙ্গে যৌথ মহড়া চলছে।

    তিব্বতে বিপুল পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন

    এমন এই প্রথম নয় যে চিন তিব্বতে জে-২০ যুদ্ধবিমান (J-20 Stealth Fighter Jet) মোতায়েন করল। এর আগেও করেছিল, তবে সংখ্যায় কম। অল সোর্স অ্যানালিসিস-এর আরও দাবি, গত ৫ বছর ধরে ভারত-সীমান্ত (India China Border) লাগোয়া তিব্বতে প্রতিনিয়ত বায়ুসেনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছে চিন। নতুন নতুন বায়ু ঘাঁটি নির্মাণ থেকে শুরু করে বর্তমান ঘাঁটিগুলির পরিকাঠামো বৃদ্ধি করছে বেজিং। পাশাপাশি, এই সব ঘাঁটিগুলিতে জে-২০ ফাইটার এবং এইচ-৬ বোমারু বিমান এখন মোতায়েন করা শুরু করেছে। 

    জে ২০-র জবাবে এস-৪০০ রয়েছে ভারতের

    তবে, পিছিয়ে নেই ভারতও। ড্রাগনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিন-সীমান্তে নিজেদের সামরিক পরিকাঠামো কয়েকগুণ বাড়িয়ে নিয়েছে ভারত। বিমান ঘাঁটিগুলিকে আরও মজবুত ও সুরক্ষিত করা হয়েছে। বিমান সুরক্ষিত রাখার জন্য শক্তিশালী শেল্টার নির্মাণ, ঘাঁটির নিরাপত্তায় চারদিকে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (Surface-To-Air Missile) মোতায়েন করা হয়েছে। চিন লাগোয়া পূর্ব সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় রুশ নির্মিত এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা দূরপাল্লার সারফেস-টু-এয়ার এস-৪০০ মিসাইল মোতায়েন রয়েছে। এই মিসাইল যে কোনও স্টেলথ বিমানকে ট্র্যাক করে ধ্বংস করতে পারদর্শী। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (India China Border) চিন জে-২০ (J-20 Stealth Fighter Jet) নিয়ে আগ্রাসী হলেই ভারত সঙ্গে সঙ্গে এস-৪০০ (S-400) নিক্ষেপ করে জবাব দিতে প্রস্তুত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naveen Patnaik: ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতিতে আমলার হাত! মারাত্মক অভিযোগ মোদির

    Naveen Patnaik: ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতিতে আমলার হাত! মারাত্মক অভিযোগ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশায় ভোট প্রচারে গিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের স্বাস্থ্য (PM Modi on Naveen Patnaik) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতির পিছনে অন্তর্ঘাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ছবিতে দেখা গেছে তাঁর হাত ভয়ংকরভাবে কাঁপছে, তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি অস্বীকার করে নবীন পট্টনায়ক বলেন, “বিগত ১০ বছর ধরে বিজেপি আমার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যাচার করছে। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। আমার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে।”

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট ঘিরে তোলপাড়

    প্রসঙ্গত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সামাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায় বক্তব্য রাখার সময় উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রীর হাত কাঁপছে। বিষয়টি লক্ষ্য করে বিজেপি নেতা প্রাক্তন আমলা ভি কার্তিয়ান পান্ডিয়ান তার হাত সরিয়ে ক্যামেরা থেকে আড়াল করে দিচ্ছেন। সামাজ মাধ্যমে হিমন্ত বিশ্বশর্মা লেখেন, “খুবই বেদনাদায়ক ভিডিও। এখন ভিকে পান্ডিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর হাতের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করছেন। ভেবে অবাক লাগছে কীভাবে একজন প্রাক্তন আমলা যিনি তামিলনাডু থেকে এসেছেন, তিনি উড়িষ্যার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিষয়টি উদ্বেগ জনক। বিজেপি উড়িষ্যার মানুষের ভাগ্য সেই রাজ্যের মানুষের হাতেই রাখতে বদ্ধপরিকর।”

    ভিকে পান্ডিয়ানের দিকে অভিযোগের তীর

    ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর প্রাক্তন আমলা ভিকে পান্ডিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ। বিজেডি নেতাদের একাংশের অভিযোগ আমলার সঙ্গে বিজেডি নেতাদের দূরত্ব সৃষ্টি চেষ্টা সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন নবীন পট্টনায়ক। প্রসঙ্গত এর আগেও ওড়িশায় প্রচারে গিয়ে পান্ডিয়ানের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় দখলের অভিযোগ করেছিলেন মোদি। এবারও বিজেপির সভা থেকে পান্ডিয়ানের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসছেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন বিবেকানন্দ রক সম্পর্কে

    প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “নবীন বাবুর শুভাকাঙ্ক্ষীরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। গত এক বছর ধরে তার স্বাস্থ্যের ক্রবাগত অবনতি হয়ে চলেছে। বর্তমানে তিনি নিজে কিছুই করতে পারছেন না। নবীন বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতির পিছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তার খতিয়ে দেখবে। নবীন বাবুর নামে ওড়িশায় পর্দার আড়ালে থেকে ক্ষমতা ভোগ করা গোষ্ঠীর কোন হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।”

    নবীনের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ (PM Modi on Naveen Patnaik)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে, নবীন পট্টনায়কের কাছের লোকেরা যখনই আমার সাথে দেখা করে, তাঁরা অবশ্যই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করে। তাঁরা আমাকে বলে যে নবীন বাবু আর নিজের থেকে কিছু করতে সক্ষম নন।  একটি “লবি” যেটি পট্টনায়কের নামে ওড়িশা সরকার পরিচালনা করছিল, তাঁরা স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী কিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেন মোদি। ওড়িশার বারিপোডায় একটি সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Modi on Naveen Patnaik) বলেছেন যে বিজেডি সুপ্রিমোর “স্বাস্থ্যের অবনতি” এর পিছনে একটি ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share