Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: বিরোধীদের ‘ব্রহ্মাস্ত্রে’ই তাঁদের ঘায়েল করলেন প্রধানমন্ত্রী, কীভাবে জানেন?

    PM Modi: বিরোধীদের ‘ব্রহ্মাস্ত্রে’ই তাঁদের ঘায়েল করলেন প্রধানমন্ত্রী, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করেছিলেন বিরোধীরা। তবে অস্ত্র প্রয়োগের সঠিক কৌশল না জানলে যে সেটি বুমেরাং হয়ে ফিরতে পারে, তা বোধহয় জানা ছিল না ইন্ডি জোটের নেতাদের! বিরোধীদের সেই ব্রহ্মাস্ত্রকেই হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু হাতিয়ারই করলেন না, বিধোধীদের অস্ত্রেই কুপোকাত করলেন তাঁদের। হেঁয়ালি ছেড়ে আসা যাক খবরে।

    ‘ইন্ডি’র হাতিয়ার (PM Modi)

    দেশে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ-পর্ব। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম ‘ইন্ডি’। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই জোটের নেতারাই বিভিন্ন জনসভায় দাবি করেছেন, কেন্দ্রে ফের মোদি সরকার এলে বিপন্ন হবে সংবিধান। এই সংবিধান রক্ষার্থেই ইন্ডিয়া ব্লককে ভোট দেওয়া প্রয়োজন বলে গলা ফাটিয়েছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইন্ডি জোটের বিভিন্ন নেতা।

    পাল্টা বাণ মোদির

    বিরোধীদের এই ব্রহ্মাস্ত্রকেই হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সেটি পাল্টা ছুড়েছেন বিরোধীদের দিকেই। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আপনারা যদি প্রকৃতই সংবিধান বাঁচাতে চান, গণতন্ত্র রক্ষা করতে চান, চান ওবিসিদের সংরক্ষণ, তাহলে আপনাদের উচিত বিজেপিকে ভোট দেওয়া।” কর্নাটকে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, “কীভাবে সংবিধানের বিধি লঙ্ঘন করে ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমানদের সংরক্ষণের আওতায় আনা হল?”

    কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বড় খোলসা

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মেলে কলকাতা হাইকোর্কের রায়েই। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই ২০১০ সালের পর পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলিকে ‘অবৈধ’ তকমা সেঁটে দিয়ে তা বাতিল করে দেয় উচ্চতর আদালত। আদালতের এই রায়কেও হাতিয়ার করে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেসের চেয়ারম্যান হংসরাজ আহির জানান, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় ১৭৯টি শ্রেণির নাম রয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি শ্রেণিই মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত।

    আর পড়ুন: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    রাহুল যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধানকে দুর্বল করে দেওয়ার কথা বলছেন, তখনও তাকেই ‘বাণ’ হিসেবে বিরোধীদের দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ওরা (কংগ্রেস) ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে সংবিধানকে অপমান করতে চায়। কিন্তু আমি তাদের বলতে চাই, যতদিন আমি বেঁচে থাকব, আমি তাদের দলিত, এসসি-এসটি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণের ভাগ কমিয়ে মুসলমানদের দিতে দেব না। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করতে দেব না।”

    উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক জনসভায়ও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিরোধীরা মুসলমানদের সংরক্ষণের আওতায় আনতে সংবিধান বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” অন্যত্র তিনি বলেছিলেন, “ইন্ডি জোটের নেতারা সংবিধান বদলে দেবে। তারা আবার নতুন করে সংবিধান লিখবে। ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon 2024: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    Monsoon 2024: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কেরলে বর্ষা প্রবেশ করল। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD) জানিয়েছে, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতেও মৌসুমী বায়ু (Monsoon 2024) ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে টানা বৃষ্টিপাতের (Heavy Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ মে পর্যন্ত বৃষ্টি দক্ষিণ আরব সাগর এবং মালদ্বীপ অঞ্চলে পৌঁছেছিল।

    যেসব অঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হবে (Monsoon 2024)

    “বর্ষার (Monsoon 2024) অনুকূল পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ আরব সাগরের আরও বেশি এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতি, মালদ্বীপের অবশিষ্ট অংশ এবং কমোরিন অঞ্চল, লক্ষদ্বীপ এলাকার কিছু অংশ, কেরালা, দক্ষিণ-পশ্চিমের অতিরিক্ত অঞ্চল এবং আগামী তিন বা চার দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির কিছু অংশে টানা বর্ষা হবে” আইএমডি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেরলে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে রাস্তাগুলি প্লাবিত হয়। যার ফলে স্থানীয়দের বাড়ির বাইরে পা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

    আরও পড়ুন: হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    কাক্কানাদ-ইনফোপার্ক এবং আলুভা-এডাপ্পল্লি এলাকায় ব্যাপক জলমগ্ন ছিল। সোমবার রাত থেকে তিরুবনন্তপুরম জেলায় প্রবল বর্ষণ চলছে। বর্তমানে, মধ্যম ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তরে একটি ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ তামিলনাড়ু এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে অবস্থান করছে। এর ফলে কেরল, লক্ষদ্বীপ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড়, বজ্রপাত এবং দমকা হাওয়া (৩০-৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা) সহ বিস্তৃত এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকাল, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, রায়ালসীমা এবং কর্নাটকের মত রাজ্যগুলিতেও আগামী সাত দিন বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    বহু অংশে বৃষ্টি কম হবে

    আইএমডি-র পূর্বাভাস, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত (Monsoon 2024) প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সারা দেশে মৌসুমী বৃষ্টিপাত গড় বৃষ্টিপাতের ১০৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে উত্তর-পশ্চিম ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারত, মধ্য ভারতের পূর্ব অংশ এবং পূর্ব ভারতের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অনেক জায়গায় স্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকের কম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri Chandan Yatra:  হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    Puri Chandan Yatra:  হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই রথযাত্রা। সেজে উঠছে পুরী। কিন্তু রথযাত্রার আগেই ঘটল বিপত্তি। জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় (Puri Chandan Yatra) ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাজি ফেটে ঝলসে গেলেন বহু ভক্ত। বুধবার রাতে ওড়িশার (Odisha) পুরীতে চন্দন যাত্রা উপলক্ষে  জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০ জনেরও বেশি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আতশবাজি থেকেই আগুন লেগেছিল। ঘটনার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশাসন। অ্যাম্বুল্যান্সে করে জখমদের নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা।   

    কী করে ঘটল এই দুর্ঘটনা? (Puri Chandan Yatra) 

    জগন্নাথদেবের চন্দন যাত্রা উপলক্ষে পুরীর নরেন্দ্র পুষ্করিণী এলাকায় কয়েক’শ পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। আসলে এই দিনে রথযাত্রা উৎসবের জন্য পুরীতে রথ নির্মাণ শুরু হয়ে থাকে। তাই এই উৎসবে অনেকে সেখানে বাজি পুড়িয়ে আনন্দ করছিলেন। সেই সমস্ত বাজি ওখানেই জড়ো রাখা ছিল। আর তার থেকেই বাধে বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজি পোড়ানোর সময় আগুনের ফুলকি ছিটকে এসে লাগে বাজির স্তূপে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। একের পর এক বাজি ফাটতে শুরু করে। 

    যেখানে বাজি রাখা ছিল, তার আশেপাশে যারা ছিলেন, তারা অগ্নিদ্বগ্ধ হন। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে সরোবরে ঝাঁপ দেন। জানা গিয়েছে হটাৎ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন জখম হয়েছেন। সকলেই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।  

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর 

    এই ঘটনায় (Puri Chandan Yatra) শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসার খরচ ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মেটানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    অন্যদিকে এ ঘটনায় (Puri Chandan Yatra) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমার প্রার্থনা ভগবানের আশীর্বাদে যেন আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kaushik Basu: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    Kaushik Basu: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে গত দশ বছরে। মোদি জমানায় ভারতের অর্থনীতির লেখচিত্র যে ঊর্ধ্বগামী, তাও মেনে নিয়েছেন বিশ্বের অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগই। দেশ এগোচ্ছে উন্নত ভারতের স্বপ্ন বুকে নিয়ে। এহেন আবহে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেকারত্বকেই হাতিয়ার করছেন বিরোধীরা। এবার তাতে ইন্ধন জোগালেন প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুও (Kaushik Basu)।

    নেটিজেনদের নিশানায় অর্থনীতিবিদ (Kaushik Basu)

    তার পরেই তাঁকে নিশানা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তাঁরা বলছেন, “ভুল তথ্য দেবেন না, বিপথে চালিত করবেন না। দেশে বেকারত্বের হার মাত্রই দু’শতাংশ।” বুধবার কৌশিক সরকারকে অনুরোধ করেছেন ভারতে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বে রাশ টানতে। তিনি বলেন, “সিএমআইই-র সাম্প্রতিক ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতের যুব বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছে অ্যালার্মিং লেভেলে। বর্তমানে এর হার ৪৫.৪ শতাংশ, বিশ্বের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।”

    কী বলেছেন কৌশিক বসু?

    কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন অর্থনীতির পাঠ দেন কৌশিক (Kaushik Basu)। তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থে আমরা অবশ্যই স্লোগানের আড়ালে লুকিয়ে যাব না। রাজনীতিকে সরিয়ে রাখব এক পাশে। এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করব।” কৌশিকের মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে সমালোচনার ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার সাথী বেল্লাম লিখেছেন, “যে ৪৫ শতাংশ বেকারত্বের কথা আপনি বলছেন, এরা ২০-২৪ বছর বয়সী। এদের অধিকাংশই এখনও পড়াশোনা করছেন। ৩০ এর ওপরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার মাত্র ২ শতাংশ। এর অর্থ হল, পড়াশোনা শেষ করে অধিকাংশই কাজ পেয়ে যাচ্ছেন।”

    কৌশিকের ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব তত্ত্বের দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন এক প্রবীণ টেকনোক্র্যাট অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও। সাথীর মতো তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন যে ৪৫ শতাংশ বেকারত্বের কথা বলা হচ্ছে, তারা সবাই ২০-২৪ বছর বয়সী। যাঁদের সিংহভাগই পড়াশোনা করছেন। তিনি লিখেছেন, “৩০ বছর এবং তার ওপরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার মাত্র ২ শতাংশ। এই একই রিপোর্ট অনুযায়ী, আপনি উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। অপপ্রচারের চূড়ান্ত (Kaushik Basu)।”

    আর পড়ুন: ভারতীয় অর্থনীতি পজিটিভ, জানিয়ে দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S&P Global Rating: ভারতীয় অর্থনীতি পজিটিভ, জানিয়ে দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং

    S&P Global Rating: ভারতীয় অর্থনীতি পজিটিভ, জানিয়ে দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্টেবল’ তকমা আগেই জুটেছিল। এবার মিলল ‘পজিটিভ’ ছাপও। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংয়ের (S&P Global Rating) তরফে এভাবেই ‘গুণকীর্তন’ করা হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির। ভারতীয় অর্থনীতির এই বদল যে আসলে দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করে, তাও জানানো হয়েছে ওই রেটিং সংস্থার তরফে। বুধবার সংস্থার তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ভারতের ক্রেডিট রেটিং উল্লেখ করা হয়েছে ‘বিবিবি-’। ‘বিবিবি মাইনাস’ হল সর্বনিম্ন বিনিয়োগ গ্রেড রেটিং দেওয়া।

    কী বলছে রেটিং সংস্থা? (S&P Global Rating)

    সংস্থার (S&P Global Rating) তরফে বলা হয়েছে, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই আমূল বদলে যাবে ভারতীয় অর্থনীতির হাল। গত দশ বছরে ভারত সরকার যে অর্থনৈতিক সংস্কার করে চলেছে, তার জেরেই ক্রমেই উন্নত হচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। রেটিং ওই সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির দৃঢ় প্রবৃদ্ধি, তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরকারি ব্যয়ে নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের অর্থনীতি মজবুত করার যে দৃঢ় অঙ্গীকার করেছে সরকার, তার জেরেই দেশের অর্থনীতির এই উৎকর্ষ সাধন। এস অ্যান্ড পি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, “আমরা বিশ্বাস করি এই ফ্যাক্টরগুলি এবং ক্রেডিট মেরিটের সুফলই পাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।” রেটিং সংস্থার মূল্যায়নকে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ‘‘এস অ্যান্ড পি-র সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আগামী বছরগুলিতে ভারতের মজবুত বৃদ্ধির হার এবং দেশের অর্থনৈতিক রূপরেখা প্রতিফলিত হচ্ছে।’’ 

    আউটলুক পরিবর্তনের অর্থ

    এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং (S&P Global Rating) হল একটি মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা। এটি এস অ্যান্ড পি গ্লোবালের একটি বিভাগ যা স্টক, বন্ড এবং পণ্যের ওপর আর্থিক গবেষণা ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।আউটলুক পরিবর্তন মানে আগামী দু’বছরে রেটিং আপগ্রেড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “বর্তমানে ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আর্থিক ঘাটতি, উচ্চ ঋণপত্র এবং করের বোঝা। তা সত্ত্বেও, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি অটূট।” সংস্থার আশা, আর্থিক ঘাটতির হার চলতি অর্থবর্ষে ৭.৯ শতাংশ থেকে কমে  ২০২৮ অর্থবর্ষ নাগাদ ৬.৮ শতংশ হতে পারে। সংস্থাটির মতে, আগামী তিন বছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার যদি ৭ শতাংশ থাকে, তাহলে অচিরেই জিডিপি ও ঘাটতির অনুপাত কমে আসবে। এস অ্যান্ড পি তাদের রিপোর্টে বলেছে, “ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী প্রতিফলিত করে যে অব্যাহত নীতিগত স্থিতিশীলতা, গভীরতর অর্থনৈতিক সংস্কার এবং উচ্চ পরিকাঠামো বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বজায় রাখবে।”

    আর পড়ুন: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    ভারতের অর্থনীতির ভিত যে ক্রমেই মজবুত হচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে মোদি সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির অবস্থানেই। ২০১৪ সালের আগে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত ছিল ১০ নম্বরে। মোদি সরকারের দশ বছরের রাজত্বে ওই তালিকায় ভারতের জায়গা হয়েছে পাঁচ নম্বরে। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, আগামী এক বছরের মধ্যেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার চার নম্বরে। তার আগে থাকবে কেবলই আমেরিকা, চিন এবং জাপান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ (CAA) অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির স্থান-কাল জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আপাতত এই শংসাপত্র বিলি হবে পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে প্রথমবার তিনশো জন আবেদনকারীকে সিএএ-র শংসাপত্র বিলি করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে এই শংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং।

    সিএএ শংসাপত্র বিলি শুরু (CAA)

    বুধ-সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০২৪ এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব শংসাপত্র মঞ্জুরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ প্রথম দফার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে পশ্চিমবঙ্গের এমপাওয়ার্ড কমিটি। একইভাবে হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডেও বুধবার থেকে প্রথম দফার আবেদনপত্রগুলির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এমপাওয়ার্ড কমিটি।

    সিএএ

    গত ১১ মার্চ, দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ। যদিও ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। বিলটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সব অ-মুসলিম মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে বাস করছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    সিএএ আইনের ব্যাখ্যায় যাঁরা পাঁচ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদেরও আবেদনের কথা ভাবতে হতে পারে। এই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যাঁদের ভারতে জন্ম, তাঁদের বাবা-মা দুজনেই ভারতীয় হলে, তিনিও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজন ভারতীয় নাগরিক না হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে তাঁদের সন্তানের নাগরিকত্ব (CAA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Highest Temperature: ৫২.৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলল দিল্লি, দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

    Highest Temperature: ৫২.৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলল দিল্লি, দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপপ্রবাহে রেকর্ড গড়ল দিল্লি, বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছায় রাজধানীতে (Highest Temperature) ৫২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস । ভারতে এর আগে কোথাও এত বেশি তাপমাত্রা কখনও দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শেষের দিকেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর যে রাজধানীতে তীব্র তাপপ্রবাহ হতে চলেছে। সেই মতো আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল যে বুধবার দিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪৫ ডিগ্রির থেকে সামান্য বেশি। কিন্তু সেই যাবতীয় পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে ৫২ ডিগ্রির বেশি ছুঁয়েছে তাপমাত্রা।

    এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল

    এর আগে ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই বছরের ১৯ মে রাজস্থানের ফলোদি শহরে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, কিন্তু বুধবার সেই সমস্ত কিছুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে দিল্লি। ঘটনাক্রমে বুধবার ফালোদির তাপমাত্রা ছিল ৫১° সেলসিয়াস। হরিয়ানার সিরসায় এদিন তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান, কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “দিল্লিতে আগেই তীব্র গরম আবহাওয়া ছিল। রাজস্থান থেকে আসা গরম বাতাসের কারণে রাজধানীর কিছু বিশেষ অংশের আবহাওয়া আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। মুঙ্গেশপুর, নারেলা এবং নজফগড়ের মতো অঞ্চলগুলিতে (Highest Temperature) এই গরম বাতাসের পূর্ণ শক্তি দেখা যাচ্ছে।”

    জল নষ্ট করলেই নাগরিকদের দিতে হবে জরিমানা  

    অন্যদিকে এই সময়ে দিল্লি সরকার ঘোষণা করেছে যে জল নষ্ট করলেই নাগরিকদের দিতে হবে জরিমানা। জল অপচয় করতে দেখা গেলেই দু হাজার টাকা করে জরিমানা নেওয়া হবে। কারণ প্রচণ্ড গরমে ইতিমধ্যে রাজধানীতে জল সংকট দেখা দিয়েছে। ওই নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনও বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে জল উপচে পড়লে, ব্যক্তিগত গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহন ধোয়া নির্মাণ ও বাণিজ্যিক কারণে পানীয় জল (Highest Temperature) ব্যবহার করলে জরিমানা গুনতে হবে। কোথাও কোনও জল অপচয় হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ২০০টি দল মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলেই দিতে হবে জরিমানা। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে এই ২০০টি দল কাজ শুরু করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ECI: ভোটে নাক গলানোয় ওড়িশায় সাসপেন্ড আইপিএস অফিসার

    ECI: ভোটে নাক গলানোয় ওড়িশায় সাসপেন্ড আইপিএস অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে একশো শতাংশ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন (ECI)। অযাচিতভাবে নির্বাচনে নাক গলানোয় এবার সাসপেন্ড করা হল এক আইপিএস অফিসারকে। এই আধিকারিকের নাম ডিএস কুট্টে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কুট্টে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের স্পেশাল সেক্রেটারি। তিনি ১৯৯৭ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। অ্যাডিশনাল ডিজি পদমর্যাদার অফিসার তিনি।

    কমিশনের নির্দেশ (ECI) 

    কমিশনের (ECI) নির্দেশে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ ব্যাচের আইপিএস তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সচিব ডিএস কুট্টেকে নির্বাচন পরিচালনায় অযথা হস্তক্ষেপের জন্য প্রাসঙ্গিক পরিষেবা বিধির আওতায় সাসপেন্ড করা হবে। কমিশন জানিয়েছে, কুট্টের সদর দফতর ওড়িশার রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসে ২৯ মে বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। কমিশনের তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, ওড়িশার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কুট্টেকে চার্জশিটের খসড়া সরবরাহ করবেন এবং ওড়িশার মুখ্যসচিব ৩০ মে বিকেল পাঁচটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিষেবা বিধি অনুসারে চার্জশিটের ব্যবস্থা করবেন।

    কুট্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, গত মাসে কুট্টের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে বসে বিজু জনতা দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। দ্রুত তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি কল ডিটেলস রেকর্ড পুনরুদ্ধার করার দাবি জানানো হয়। এদিকে, আর এক আইপিএস অফিসার আশিস সিংহকেও মেডিক্যাল টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। গত ৪ মে থেকে মেডিক্যাল লিভে রয়েছেন তিনি। ৩০ মে-র মধ্যে তাঁকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য হাজিরা দিতে হবে। ভুবনেশ্বরের এইমসে এই পরীক্ষা হবে, পরীক্ষার জন্য বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। আশিস ২০১০ ব্যাচের আইপিএস।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    কমিশন সূত্রে খবর, গত ২৭ মে সিইওর তরফে অভিযোগ পেয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে এই দুই আইপিএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, খোরধা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রার্থী প্রশান্ত জগদেবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার একটি বুথে ইভিএম ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে (ECI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rafale Marine Jet Deal: ভারতে এসেছে ফরাসি দল, ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান নিয়ে আজ শুরু আলোচনা

    Rafale Marine Jet Deal: ভারতে এসেছে ফরাসি দল, ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান নিয়ে আজ শুরু আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে লোকসভা ভোটের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান কেনার দর কষাকষি-পর্ব (Rafale Marine Jet Deal)। নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কিনতে মনস্থির করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চুক্তির মূল্য হতে পারে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। এবার সেই চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলতে ভারতে এসে পৌঁছেছে ফ্রান্সের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। সূত্রের খবর, আজই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। খুব শীঘ্রই হয়ত দু’পক্ষের তরফে যৌথ ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কারা থাকবেন বৈঠকে?

    সূত্রের খবর, ফরাসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চুক্তি-মূল্য ও আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা (Rafale Marine Jet Deal)। ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানগুলি ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) দুই বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত-এর ওপর মোতায়েন থাকবে। ২৬টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে, ২২টি সিঙ্গেল সিটার বা এক আসন-বিশিষ্ট এবং ৪টি ডবল সিটার (দুই-আসন বিশিষ্ট) বিমান কেনা হবে। প্রশিক্ষণের জন্য ডাবল সিটার জেটগুলি ব্যবহার করা হবে। এর পাশাপাশি থাকবে, বর্তমানে ব্যবহৃত রুশ-নির্মিত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলিও। যা জানা যাচ্ছে, ফরাসি প্রতিনিধিদলে থাকবেন সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা। বৈঠকে থাকবেন রাফালের উৎপাদনকারী সংস্থা দাসো এভিয়েশন এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা তালে-র শীর্ষ আধিকারিকরাও। অন্যদিকে, ভারতীয় প্রতিনিধিদলে থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সরঞ্জাম ক্রয় বিভাগ এবং ভারতীয় নৌসেনার শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা।

    চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাফাল-আলোচনায় (Rafale Marine Jet Deal) মূলত তিনটি বিষয় উঠে আসবে। এক, ২৬টি রাফাল মেরিনের দাম। দুই, আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রসম্ভার। তিন, চুক্তি স্বাক্ষর ইস্তক বিমান হস্তান্তরের সময়সীমা। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে ভারত। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের বিষয়টি মাথায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব রাফাল-এম যুদ্ধবিমান হাতে পেতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। চুক্তি হওয়ার পর অন্তত ২ বছরের মধ্যে ২৬টি বিমানের প্রথম ব্যাচ হয়ত ভারতীয় নৌসেনার হাতে আসবে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। দেশের পূর্ব উপকূল ও পশ্চিম উপকূলে একটি করে বিমানবাহীন রণতরী মোতায়েন করতে তৎপর নৌসেনা। সেই লক্ষ্যে, বুড়ো হয়ে যাওয়া মিগ-২৯কে-র পরিবর্তে অত্যাধুনিক রাফাল-এম যুদ্ধবিমানই যে প্রথম পছন্দ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট চুক্তি

    দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নৌসেনার (Indian Navy) দুটি বিমানবাহী রণতরীর জন্য ফ্রান্সের রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ২৬টি রাফাল এম যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। এরপর ফ্রান্সের তরফে প্রস্তাব চেয়ে পাঠোনা হয় (রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল)। ফ্রান্স গত ডিসেম্বরে ভারতীয় টেন্ডারে সাড়া দিয়েছিল। ফ্রান্সের পাঠানো প্রস্তাব পর্যালোচনা করার পর তা গৃহীত হলে ভারতের তরফে লেটার অফ অ্যাকসেপটেন্স পাঠানো হয়। যার স্বীকৃতিস্বরূপ জবাবও দেয় মাক্রঁ প্রশাসন। এবার চূড়ান্ত আলোচনায় (Rafale Marine Jet Deal) বসবে দুই পক্ষ। তারপরই চুক্তি সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে, বায়ুসেনার জন্য কেনা ৩৬টি রাফাল বিমানের মতোই, রাফাল-এম বিমান কিনতে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট চুক্তি হবে। অর্থাৎ, সরাসরি দুই সরকারের মধ্যে চুক্তি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফল পছন্দ না হলে ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা। তবে সবাই নন, কেবল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীরা কমিশনের (Lok Sabha Election 2024) কাছে এই আবেদন করতে পারবেন। গণনা শেষের সাত দিনের মধ্যেই আবেদন জানাতে হবে ক্রস-ভেরিফিকেশনের। এজন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ও অভিযোগের বয়ান জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। ইভিএমে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আবেদনকারীকে ফেরত দেওয়া হবে তাঁর জমা দেওয়া টাকা। কমিশনের এহেন যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া শাসক-বিরোধী সব শিবিরেই।

    ইভিএম পরীক্ষার সুযোগ (Lok Sabha Election 2024)

    নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election 2024) সূত্রে খবর, ফল ঘোষণার পর আবেদন করলে ইভিএমের মাইক্রো-কন্ট্রোলারের (যার মাধ্যমে ভিভিপ্যাট স্লিপ মেলে) বার্নট মেমরি পরীক্ষার সুযোগ পাবেন পরাজিত প্রার্থীরা। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবেন ইভিএম প্রস্তুতকারী সংস্থা ইসিআইএলের ইঞ্জিনিয়ররা। জানা গিয়েছে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ শতাংশ বুথে এই পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ দেওয়া হবে। কোনও একটি ইভিএমে কোন প্রতীকের পাশের বোতাম কতবার টেপা হয়েছে, ভিভিপ্যাটে তার ক’বার প্রতিফলন ঘটেছে, সেগুলি খতিয়ে দেখবেন মেশিন প্রস্তুতকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়ররা।

    ইভিএমে কারচুপি সম্ভব নয়

    কমিশন জানিয়েছে, ভোট গণনায় জড়িত আধিকারিকদের কর্মশালায় বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনও নির্দেশিকা জারি করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, “নির্দেশিকা প্রকাশের জন্য এখনও অনেক সময় রয়েছে।” প্রসঙ্গত, ইভিএমের ক্ষেত্রে সেমি-কন্ডাক্টর যন্ত্রটি পরীক্ষা করলেই বোঝা যায়, ইভিএমে কারচুপি হয়েছে কিনা। নির্বাচন কমিশন বারংবার দাবি করেছে, ইভিএমে কোনওভাবেই কারচুপি করা সম্ভব নয়। কিন্তু ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    আর পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেজরির আবেদন, আপ সুপ্রিমো ফিরছেন তিহাড়েই!

    এঁদেরই কেউ কেউ আবার ব্যালট পেপারের যুগে ফিরে যাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন নানা সময়। তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ব্যালটে ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একাধিকবার। বিরোধীদের এই সব অভিযোগে সন্দেহ দানা বাঁধতে পারে ভোটারদের মনেও। হেরো প্রার্থীর পাশাপাশি ভোটারদের মনে জন্ম নেওয়া সেই সন্দেহ নিরসনেরই ইভিএম পরীক্ষা করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কমিশনের (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share