Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যান-ইন্ডিয়া বা দেশব্যাপী একটি জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস (Terrorists Arrested) করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। অভিযোগ, পাকিস্তান-ভিত্তিক (Khilafat Model) হ্যান্ডলারের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছিল এই মডিউল। লক্ষ্য ভারতে খিলাফত শৈলীর শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই অভিযোগে দেশের চার রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। এরা হল আশহার দানিশ, সুফিয়ান আবুবকর খান, আফতাব আনসারি, হুজাইফা ইয়ামান এবং কামরান কুরেশি।

    খিলাফত-শৈলীর গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা (Terrorists Arrested)

    অতিরিক্ত কমিশনার (স্পেশাল সেল) প্রমোদ কুশওয়াহা জানান, এই গোষ্ঠী একটি দুই পর্বের পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমত, ‘লস্কর’ নামে একটি খিলাফত-শৈলীর সংগঠন গঠন করা, এবং পরবর্তী কালে ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে ‘গাজওয়া-এ-হিন্দ’-এর অনুপ্রেরণায় ভারতে জিহাদ শুরু করা। তিনি বলেন, “তারা প্রথম ধাপে নিজেদের খিলাফত-শৈলীর একটি গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা করছিল। এরপর তারা গাজওয়া-এ-হিন্দ ধারণা অনুসরণ করে জিহাদ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল, যার মধ্যে লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।” পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে সন্দেহজনক ও বিপজ্জনক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গন্ধক গুঁড়ো, গন্ধক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, পিএইচ লেভেল চেকার, বল বিয়ারিংস এবং ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে তার, মাদারবোর্ড, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজও।

    ১১ জন আটক

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল আশহার দানিশ। সে রাঁচির বাসিন্দা। সে নিজেকে একজন পেশাদার কোম্পানি পরিচালনা করা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিত। জনসমক্ষে সে নিজেকে ‘সিইও’ হিসেবেও পরিচয় দিত। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে সে পরিচিত ছিল ‘গাজওয়া নেতা’ নামে। এই গোষ্ঠী একটি এনজিও পরিচালনার অছিলায় জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছিল। কুশওয়াহা বলেন, “এরা অত্যন্ত উগ্রপন্থী ব্যক্তি যারা একটি ঘনিষ্ঠ অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করত।”  সূত্রের খবর (Khilafat Model), রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আশহার দানিশকে। সুফিয়ান আবুবকর খান এবং আফতাব আনসারিকে ধরা হয়েছে দিল্লি থেকে। তেলঙ্গানার নিয়াজাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুজাইফা ইয়ামানকে। আর মধ্যপ্রদেশের রাজগড় থেকে পাকড়াও করা হয়েছে কামরান কুরেশিকে (Terrorists Arrested)।

    ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি মায় কার্তুজ তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছে। তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে কিছু ‘অপরাধমূলক ছবি’-ও উদ্ধার করেছে। পুলিশের মতে, দলটি স্বীকার করেছে যে তাদের হ্যান্ডলার অনলাইনে আইইডি তৈরির নির্দেশ দিচ্ছিল এবং বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক এবং উপাদান সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছিল (Terrorists Arrested)। কুশওয়াহা বলেন, “এটি একটি দেশীয় অভিযান ছিল।” ধৃতদের স্বাধীনভাবে অস্ত্র সংগ্রহ এবং আইইডি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল (Khilafat Model)। দেওয়া হয়েছিল কার্তুজ তৈরির নির্দেশও। তাদের কাছ থেকে কিছু সন্দেহজনক স্কেচও উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সাম্প্রদায়িক প্রচার, ধর্মীয় বৈষম্য উস্কে দেওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল ডিভাইসগুলি বিশ্লেষণ করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক শনাক্ত করতে এবং সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতেই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া ডিজিটাল ডিভাইসগুলি (Terrorists Arrested)। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের গ্রেফতারের ফলে দেশে একটি বড়সড় জঙ্গি হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।

    আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃতেরা পরস্পরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা থেকে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দলটিকে পরিচালনা করছিল দানিশ। পাকিস্তানের হ্যান্ডলাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করত ধৃতেরা। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গি দলে নিয়োগের দায়িত্বও ছিল ধৃতদের ওপর। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ এও জেনেছে, দিল্লি এবং এনসিআর-সহ দেশের নানা জায়গায় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল (Terrorists Arrested)। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট মডিউলের সঙ্গে জড়িত (Khilafat Model)।

  • CP Radhakrishnan: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন

    CP Radhakrishnan: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হিসেবে শপথ নিলেন চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। শুক্রবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ সরকারের শীর্ষ স্তরের নেতামন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন এনডিএর জোটসঙ্গী বিভিন্ন দলের নেতারাও। উপরাষ্ট্রপতি পদে রাধাকৃষ্ণনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং আরও এক প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েনও উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে।

    রাধাকৃষ্ণনের জয় (CP Radhakrishnan)

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই রাতে আচমকাই উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দেন ধনখড়। তার পরেই শুরু হয় উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়া। নির্বাচন হয় মঙ্গলবার। রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে ইন্ডি জোটের প্রার্থী ছিলেন সুদর্শন রেড্ডি। এই নির্বাচনে রেড্ডিকে পরাস্ত করেন রাধাকৃষ্ণন। তাঁর জয় নিয়ে অবশ্য প্রথম থেকেই কোনও সংশয় ছিল না। খাতায়-কলমে এনডিএর পক্ষে ছিল ৪২৭টি ভোট। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১টি ভোটও পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। সব মিলিয়ে তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৪৩৮টি ভোট। যদিও ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় তিনি পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি ভোট। অথচ তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৩২১টি ভোট। প্রত্যাশিতভাবেই এসেছে ক্রস ভোটিংয়ের অনুষঙ্গ।

    রাধাকৃষ্ণনের রাজনৈতিক যাত্রা

    রাধাকৃষ্ণন তামিলনাড়ুর নেতা। তামিলনাড়ু থেকে এর আগে দুজন উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং আর বেঙ্কটরামন। সিপি রাধাকৃষ্ণন হলেন তামিলনাড়ু থেকে তৃতীয় উপরাষ্ট্রপতি। রাধাকৃষ্ণন ছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবক। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রথমবার জয়ী হন কোয়েম্বাটোর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পরের বছরই আবারও ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়ে লোকসভায় পা রাখেন দ্বিতীয়বারের জন্য। ২০২৩ সালে তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। পরের বছরই তাঁকে (Vice President) পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করে। এবার তিনিই হলেন দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি (CP Radhakrishnan)।

  • Maoist Killed in Chhattisgarh: আগামী মার্চেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ, ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সাফল্যকে কুর্নিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের

    Maoist Killed in Chhattisgarh: আগামী মার্চেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ, ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সাফল্যকে কুর্নিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনে ফের বড় সাফল্য় পেল নিরাপত্তা বাহিনী ৷ গুলির লড়াইয়ে নিহত মাওবাদী (Maoist Killed in Chhattisgarh) কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মনোজ। বৃহস্পতিবার, ছত্তিশগড়ের গারিয়াবন্দ জেলায় একটি অভিযানে আরও ৯ জন নকশালপন্থীকে খতম করেছে পুলিশ। মাওবাদী নেতা মনোজ অনেকের কাছে মোডেম বালাকৃষ্ণ নামেও পরিচিত ছিল। তার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, মনোজ থেকে শুরু করে বালানা, রামচন্দর ও ভাস্কর-সহ একাধিক নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল বালাকৃষ্ণ৷ তাকে খতম করা অবশ্য়ই নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে একটি বড় সাফল্য ৷ নিরপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)৷

    নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে খবর মেলে মইনপুর জঙ্গলে মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে। রাতেই অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাওবাদীদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। তখনই মোট ১০ জন মাওবাদী নিহত হয়। তার মধ্যেই অনেকেই প্রবীণ নেতা। যাদের অন্যতম হল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মনোজ ওরফে মোডেম বালাকৃষ্ণ। যার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এদিনই খবর এসেছে যে ছত্তিশগড়ের বস্তারে আত্মসমর্পণ করেছে ১৬ মাওবাদী। বুধবার রাতে বস্তারের নারায়ণপুরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা।

    শাহি ফরমান

    নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী আবারও একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে ৷ কোবরা কমান্ডোদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন ছত্তিশগড় পুলিশের কর্মীরা ৷ তাতে ১০ জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ এই তালিকায় ছিল মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় মডেম বালাকৃষ্ণ ওরফে মনোজ ৷ তার মাথার দাম ছিল কোটি টাকা !’’ অমিত শাহ মনে করেন, এখনও যে সমস্ত মাওবাদীরা সন্ত্রাসের পথে আছে তাদের আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসা উচিত ৷ এদিন আরও একবার ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের সম্পূর্ণরূপে নিকেশ করার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি ৷

    মাও দমনে তৎপর কেন্দ্র

    দেশে মাওবাদী কার্যকলাপ সম্পর্ণরূপে বন্ধ করতে ইতিমধ্য়েই তৎপরতা দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতীক অতীতেও একাধিকবার জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত থেকে মাওবাদীদের অস্বিত্ব মুছে দেওয়া তাঁদের লক্ষ্য ৷ ঘোষণার পর থেকেই ছত্তিশগড় থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের মতো জায়গায় আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে বাহিনী ৷ কখনও অভিযান করে মাওবাদীদের নিকেশ করা হচ্ছে, কখনও আবার তাঁদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে ৷ বহু মাওবদী ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছে ৷ বাকিরাও যাতে দ্রুত এই পথে হাঁটে তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার ৷

  • PM Modi: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, সংঘ প্রধানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন মোদি

    PM Modi: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, সংঘ প্রধানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, ৭৫তম জন্মদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), আরএসএসের সর সংঘচালককে নিয়ে একটি লেখা লেখেন। নিজের লেখায় প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন মোহন ভাগবতের জীবন ও ব্যক্তিত্বের নানা দিক।

    অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের ৭৫তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেছেন— মোহন ভাগবত একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাজীবন সমাজ পরিবর্তন, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা শক্তিশালী করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

    জ্ঞানী ও পরিশ্রমী সরসংঘচালক বলে প্রশংসা

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একটি প্রবন্ধে তাঁকে জ্ঞানী ও পরিশ্রমী সরসংঘচালক বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন— “মোহনজি (Mohan Bhagwat) তাঁর কাজের ধারা ও মননে দুটি বিষয় সবসময় ধরে রেখেছেন— ধারাবাহিকতা ও অভিযোজনক্ষমতা। সংঘকে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তবুও কখনও মূল আদর্শে আপস করেননি। একইসঙ্গে সমাজের পরিবর্তিত চাহিদার প্রতিও সাড়া দিয়েছেন। যুবসমাজের সঙ্গে তাঁর সহজ যোগাযোগ আছে, তাই তিনি সবসময় বেশি সংখ্যক তরুণকে সংঘ পরিবারে যুক্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি নিয়মিত আলোচনা ও মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, যা আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল যুগে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।”

    ভারতের এক অন্ধকার সময়ে সংঘকাজে যোগ দেন মোহন ভাগবত

    মোদির (PM Modi) বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, মোহন ভাগবতের সংঘজীবনের শুরু হয়েছিল ভারতের এক অন্ধকার সময়ে—জরুরি অবস্থার সময়। মোদি লিখছেন, “তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল দেশের উপর। যাঁরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করতেন, তাঁদের কাছে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে শক্তিশালী করার কাজ মোহনজি এবং অসংখ্য স্বয়ংসেবক করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ ও অনুন্নত অঞ্চল, বিদর্ভে অনেক কাজ করেছেন তিনি। এতে তিনি গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষের সমস্যাগুলো গভীরভাবে বুঝতে শিখেছিলেন।”

    মোহন ভাগবতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) তাঁর ও মোহন ভাগবতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমি সৌভাগ্যবান যে মোহনজির বাবা, প্রয়াত মধুকররাও ভাগবতজির সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। দেশ গঠনের কাজে তিনি নিজের ছেলেকে নিবেদিত করেছিলেন। যেন এক পরশপাথর আরেকটি পরশপাথর গড়ে তুলেছিলেন।”

    সরসংঘচালকের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    প্রসঙ্গত, মোহন ভাগবত (PM Modi) গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘের দিশারি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আরএসএস-এর ইতিহাসে তিনি তৃতীয় দীর্ঘতম সময়ের প্রধান। তাঁর আগে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন বালাসাহেব দেওরস ও এম এস গোলওয়ালকর। মোহন ভাগবতের বাবা মধুকর রাও ভাগবত ছিলেন একনিষ্ঠ স্বয়ংসেবক এবং আরএসএস-এর প্রচারক। মোহন ভাগবত তাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর আরও দুই ভাই ও এক বোন আছে। প্রথমে তিনি ‘লোকমান্য তিলক বিদ্যালয়’-এ পড়াশোনা করেন। এরপর চন্দ্রপুরের জনতা কলেজে পড়েন। পরে আকোলার ‘পাঞ্জাবরাও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পশুচিকিৎসা ও পশুপালনে স্নাতক ডিগ্রি নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে তিনি পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে আরএসএস-এর প্রচারক হন। সেই সময় দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।

    ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের কঠোর দমননীতির বিরুদ্ধে তিনি আত্মগোপনে থেকে কাজ করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মোহন ভাগবত ‘অখিল ভারতীয় শারীরিক প্রধান’ ছিলেন (আরএসএস-এর শারীরিক প্রশিক্ষণের জাতীয় দায়িত্বে)। পরে তিনি ‘অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান’ হন, যেখানে পূর্ণকালীন কর্মীদের দায়িত্ব তাঁর হাতে ছিল। ২০০০ সালে তিনি আরএসএস-এর সরকার্যবাহ (সাধারণ সম্পাদক) নিযুক্ত হন। এরপর ২০০৯ সালের ২১ মার্চ মোহন ভাগবত আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ষষ্ঠ সরসংঘচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    তিনি আরএসএস-এর ইতিহাসে অন্যতম কনিষ্ঠ প্রধান। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, কার্যকর্তাদের প্রতি আন্তরিকতা এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁকে আলাদা মর্যাদা এনে দেয়। লক্ষ লক্ষ স্বয়ংসেবক, অসংখ্য শাখা এবং নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে একসঙ্গে চালানোই সরসংঘচালকের প্রধান দায়িত্ব। মোহন ভাগবত দক্ষতার সঙ্গে এই কাজ সামলাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস শুধু ঐতিহ্য ধরে রাখেনি, বরং সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন দিশাও খুঁজে পেয়েছে। তিনি যুবসমাজের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্মকে সংঘের কাজে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সম্প্রীতি, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কাজের বিস্তার ঘটিয়েছে। শুধু সংগঠন বিস্তার নয়, সমাজে সংঘের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী করা এবং বৃহত্তর জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোও তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব।

  • Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মঙ্গলবারই। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু অসমে শুরু হয়ে গেল অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (Declared Foreigners) বিতাড়নের কাজ। অসমের (Assam Govt) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার শুরু করেছে ১ লাখ ৬৮ হাজার বাংলাদেশিকে, যাদের ট্রাইব্যুনাল অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করেছে, শনাক্ত করার প্রক্রিয়া। এই ঘোষিত বিদেশিদের প্রায় ৯০ শতাংশই এই মুহূর্তে নিখোঁজ। বহু শুনানির পর অসমে বসবাসকারী এই অনুপ্রবেশকারীদের বিদেশি ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু অধিকাংশই আদালতের রায়ের পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার কেউ কেউ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও আপিল করেছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Assam Govt)

    প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “নয়া ‘অসম অভিবাসী নির্বাসন বিধিমালা, ১৯৫০’-এর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, রাজ্য সরকার নির্বাসনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে।” তিনি বলেছিলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত ৩০হাজার ১২৬ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছি। কিন্তু নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর প্রণয়ন হলে সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ট্রাইব্যুনাল দ্বারা ঘোষিত ১ লাখ ৬৮ হাজার বিদেশিকে নির্বাসিত করতে পারবে। যাঁরা আদালতে মামলা করেছেন কিংবা যেসব মামলায় স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাঁদের ছাড়া। এই মামলাগুলি আর ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে না। বরং সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য জেলাশাসকের সামনে ১০ দিনের মধ্যে হাজির হবেন। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে জেলাশাসক নির্বাসনের নির্দেশ জারি করবেন।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়

    উল্লেখ্য যে, যখন সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে সর্বানন্দ সোনোয়াল বনাম ভারত সরকার মামলায় বিতর্কিত আইএমডিটি (অবৈধ অভিবাসী নির্ধারণ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আইন) বাতিল করে, তখন কংগ্রেস সরকার অসমে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা চালু করে। এটি প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে (Assam Govt)। সম্প্রতি এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাজ্য সরকার অসম থেকে অভিবাসী নির্বাসন আইন, ১৯৫০ প্রয়োগ করে (Declared Foreigners) শনাক্ত হওয়া অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে বিতাড়িত করতে পারে। হিমন্ত বলেন, “এখন এটি দেশের আইন। কারণ এটি সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানিক বেঞ্চ দ্বারা অনুমোদিত এবং রাজ্য সরকার এই আইন অনুযায়ীই কাজ করবে।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অসমে বসবাসকারী বাঙালি হিন্দু জনগণ আত্মবিশ্বাসী কারণ তাঁদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের আগে এ রাজ্যে এসেছেন। শুধুমাত্র ১২ জন বাঙালি হিন্দু অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তাই অসমে এই আইনের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই (Assam Govt)।

  • Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে বিয়ের অনুষ্ঠানে উত্যক্ত ও আক্রমণ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হল পাঞ্জাবের (Punjab) আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক (AAP MLA) মনজিন্দর সিং লালপুর এবং আরও ১১জনকে। বুধবার তরণ তারণ অ্যাডিশনাল সেশনস জজ প্রেম কুমার খাদুর সাহিব তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলাটি ১২ বছর আগের। ১২ সেপ্টেম্বর দোষীদের সাজা ঘোষণা করবে আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর  পুলিশ মনজিন্দর সিং লালপুরা সহ সকলকে হেফাজতে নিয়েছে। তবে লালপুরার আইনজীবীরা বলেন, “আমাদের আইনি লড়াই চলবে”।

    ভিডিও প্রমাণ-সহ থানায় তরুণী (Punjab)

    মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩ মার্চ। লালপুরা-সহ দোষীরা তরণ তারণের উস্মা এলাকার গোবিন্দওয়াল রোডের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। ওই তরুণীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই তরুণীও। সেখানে কয়েকজন ট্যাক্সি চালক তাঁকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করায় তাঁর পরিবারকে আক্রমণ ও মারধর করা হয়। পুরো ঘটনাটি একজন ফটোগ্রাফার ভিডিও করেছিলেন। পরের দিন ওই তরুণীর পরিবার ভিডিও প্রমাণ-সহ সিটি পুলিশ স্টেশন, তরণ তারণে পৌঁছয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশ গ্রহণ করে এবং ওই তরুণীর বাড়ির সামনে প্যারামিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে সিটি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়। ট্যাক্সি চালক হরবিন্দর সিং শোশি এবং সাহবা বর্তমানে খাদুর সাহিব বিধায়ক মনজিন্দর সিং লালপুরার নামে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আটজন পুলিশকর্মীও। তাঁদের মধ্যে একজন হেড কনস্টেবল পরমজিৎ সিংয়ের মৃত্যু হয় বিচার চলাকালীনই (Punjab)।

    কাঠগড়ায় আপের ৫ বিধায়ক

    প্রসঙ্গত, খাদুর সাহিবের বিধায়ক হলেন পাঞ্জাবে আটক হওয়া আপের পঞ্চম বিধায়ক, যাঁকে রাজ্য পুলিশ ও ভিজিল্যান্স ব্যুরো গ্রেফতার করেছে। এর আগে ভিজিল্যান্স ব্যুরো মানসা এমএলএ এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিজয় সিঙ্গলাকে ২০২২ সালের মে মাসে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। বাথিন্দা রুরালের আপ বিধায়ক অমিত রতন কোটফাট্টাকে ২০২৩ সালের (AAP MLA) ২৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল ভিজিল্যান্স ব্যুরো। গত ২৪ মে ভিজিল্যান্স ব্যুরো জলন্ধর সেন্ট্রালের বিধায়ক রামন অরোরাকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি মামলায়। সনাউরের আপ বিধায়ক হারমীত সিং পথানমজরাও গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন ধর্ষণের অভিযোগে। যদিও পরে তিনি পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান (Punjab)।

  • ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নাশকতার জাল বিছাচ্ছে ইসলামিক স্টেট! ভারতে বসেই সন্ত্রাসের ছক কষছে ইসলামিক স্টেট! দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে দুই আইএস জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

    বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস

    ভারতে বড়সড় নাশকতামূলক হামলা হওয়ার আগেই বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস করল দেশের গোয়েন্দাবাহিনী। খবরে প্রকাশে, বিশেষ সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে দেশের দুটি শহরের দুটি ডেরায় হানা দেয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। একদিকে, ঝাড়খণ্ড সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড (এটিএস) এবং রাঁচি পুলিশের যৌথ সহায়তায় রাঁচির ইসলামনগর এলাকা থেকে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম আজহার দানিশ। আদতে সে বোকারো জেলার পেটওয়ারের বাসিন্দা। অন্যদিকে, রাজধানী অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় আফতাব নামে আর এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, এই দুই যুবক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।

    আইএস-এর এজেন্ট আজহার-আফতাব

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ধৃত আফতাব ও দানিশের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে পুরনো এক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে দানিশকে খুঁজছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই মতো, তদন্তে নামে পুলিশ। তাতেই আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে স্পষ্ট যোগ পাওয়া যায় দানিশের। সঙ্গে আফতাবরও। দিল্লি পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আইএসআইএস-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করত অভিযুক্তরা। ফলে, এই দুজনের গ্রেফতারি সন্ত্রাসদমন অভিযানে বড় সাফল্য। সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে জেরা করে ভারতে আইসিস নেটওয়ার্কের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    মাথাচাড়া দিচ্ছে আইএস

    ইরাক ও সিরিয়া থেকে কার্যত মুছে যাওয়ার পর ইসলামিক স্টেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এশিয়ার নানা প্রান্তে। তবে হারলেও এখনও যথেষ্ট শক্তি ধরে সংগঠনটি। সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের বহু সন্ত্রাসী ভারতে প্রবেশ করছে। পূর্বে ভারতের কেরল-সহ আরও একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনের তৎপরতা নজরে এসেছে।
    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Infiltrators) ফের একবার কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। এর ঠিক আগের দিনই অসম স্টেট ক্যাবিনেট “ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০”-এর আওতায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (SOP) প্রণয়নের অনুমোদন দেয়। এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর জেলা কমিশনার এবং সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশকে অসম থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আসতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মোকাবিলা করার নির্দেশ দেবে।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা (Himanta Biswa Sarma)

    এক্স হ্যান্ডেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সতর্ক থাকুন! ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০ সম্পূর্ণ কার্যকর রয়েছে এবং আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে।” শর্মা জানান, আরও কড়াকড়ি পদক্ষেপ করা হবে, কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি জানান, যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী জিরো লাইনের কাছে বা অবৈধ প্রবেশের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ে, তবে তাকে তৎক্ষণাৎ ফেরত পাঠানো হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, সমস্ত শনাক্ত হওয়া অভিবাসীর বায়োমেট্রিক্স বা ডেমোগ্রাফিক ডিটেলস পুশব্যাক করার আগে নিয়ে নিতে হবে।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গুয়াহাটির লোকসেবা ভবনে আয়োজিত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা স্বয়ং (Himanta Biswa Sarma)। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানিক বেঞ্চের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে অসম সরকার ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ প্রয়োগ করে বিদেশিদের শনাক্তকরণ ও বিতাড়ন করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এই আইন অনুসারে, ডেপুটি কমিশনারকে কেন্দ্রীয় সরকার এই ক্ষমতা দিয়েছে যে, যে কোনও ব্যক্তি যিনি ডেপুটি কমিশনারের মতে বিদেশি বলে বিবেচিত হবে, তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।”

    আইনটি যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ঘোষণা করেছে। নতুন এসওপির আওতায়, ডেপুটি কমিশনার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য ১০ দিন সময় দেবেন। এই পর্বে শুনানির পরে যদি তিনি নির্ধারণ করেন যে ওই ব্যক্তি একজন বিদেশি, তাহলে তিনি অবিলম্বে তাকে (Illegal Infiltrators) স্বদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেবেন (Himanta Biswa Sarma)।

  • GST Reform: জিএসটি সংস্কারের সুফল তুলে ধরতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গ সফরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা

    GST Reform: জিএসটি সংস্কারের সুফল তুলে ধরতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গ সফরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। জানা গিয়েছে, তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পৌঁছবেন। তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত এবং তার সুফল (GST Reform) সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা।

    মোদির নির্দেশ

    সম্প্রতি এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন, কর সংস্কার (GST Reform) নিয়ে ইতিবাচক বার্তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষত, নতুন জিএসটি হার কীভাবে সাধারণ মানুষের আর্থিক চাপ কমিয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে। এই নির্দেশ অনুযায়ীই অর্থমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের বার্তা পৌঁছে দেবেন। পশ্চিমবঙ্গ তাঁর সফরের সূচিতে প্রথম দিকেই রয়েছে।

    ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করহার কার্যকর হতে চলেছে

    গত ৪ সেপ্টেম্বর জিএসটি (GST Reform) পরিষদের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করহার কার্যকর হতে চলেছে। এবার থেকে ১২ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ করহার বাতিল করা হচ্ছে। পরিবর্তে তিনটি স্তর রাখা হচ্ছে— ৫ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ (সিন ট্যাক্স)। একে বলা হচ্ছে ‘নতুন প্রজন্মের কর সংস্কার’। এই ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমার উপর থেকে পুরোপুরি কর তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব জিনিসে আগে ৫ শতাংশ কর ছিল, তার মধ্যে বহু জিনিসে আর কর দিতে হবে না। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং পাউরুটি। রুটি, পরোটা ও পনিরের উপর থেকেও কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বলেন—“যারা একসময় এই কর ব্যবস্থাকে বিদ্রূপ করে ‘গব্বর সিং কর’ বলেছিল, আজ তারাই আবার সংস্কারের (GST Reform) কৃতিত্ব দাবি করছে।” তাঁর মতে, কর ব্যবস্থার প্রথম ধাপ ছিল ‘ঐক্যের জন্য’, দ্বিতীয় ধাপ ছিল ‘সরলতার জন্য’, আর এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে এটি আরও সহজবোধ্য করা।

    পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ

    বিজেপি নেতৃত্বের দৃষ্টি এখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। দুর্গাপুজো ও কালীপুজো মিটে গেলে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে অর্থমন্ত্রীর সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বাংলায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি কলকাতা ও আশপাশের অন্তত দুটি দুর্গাপূজার উদ্বোধনে যোগ দিতে পারেন। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডারও পশ্চিমবঙ্গ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।

LinkedIn
Share