Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    PM Modi: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে জনসভা করেন বারুইপুরে। সন্ধেয় কলকাতায় রোড-শো করার কথা। তার আগে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এক পেশে লড়াই হচ্ছে। এই লড়াই তৃণমূল লড়ছে স্রেফ অস্তিত্ব রক্ষার জন্য।”

    টিকে থাকার লড়াই তৃণমূলের! (PM Modi)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে এখনও ভোট হয়নি ৯টি কেন্দ্রে। পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে এই কেন্দ্রগুলিতে। তার আগে দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলার ভোটে তৃণমূল দল কেবল টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন বাংলায় বিজেপির তিনটি আসন ছিল। সেখান থেকে বেড়ে ৮০টি (আসলে ৭৭টি) হয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা প্রচুর সমর্থন পেয়েছিলাম।”

    বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য

    এর পরেই তিনি বলেন, “গোটা দেশের মধ্যে বাংলা হবে বিজেপির বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে সব চেয়ে বেশি সাফল্য পাবে বিজেপি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় লাগাতার খুন আর হামলার ঘটনা ঘটছে। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এই সব অত্যাচার সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন।” সাক্ষাৎকারে প্রত্যাশিতভাবেই ওঠে ওবিসিদের শংসাপত্র বাতিলের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনিভাবে দেওয়া ওবিসি সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূল এখন উচ্চ আদালতকে আক্রমণ করছে। বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে।”

    আর পড়ুন: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসও। তিনি বলেন, “ওদের একটা সুনির্দিষ্ট ছক রয়েছে। প্রথম পাপ ওরা করেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানে মুসলমানদের সংরক্ষণ দেওয়ার পাপ করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও বিধান নেই সংবিধানে। তাই সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। এবার ওরা পিছনের দরজা দিয়ে মুসলমানদের ওবিসির তালিকায় সংরক্ষণ দিতে চাইছে। কেড়ে নিতে চাইছে ওবিসিদের অধিকার।” নাম না করে ‘ইন্ডি’ জোটকেও আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “যাঁরা নতুন স্বপ্ন দেখে নতুন দৌড় শুরু করেছিলেন, তাঁদের কাছেও এটা শেষ দৌড়। কেবল নির্বাচনের নয়, ওদের অস্তিত্বেরই শেষ দৌড় (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mizoram Landslides: মিজোরামে পাথর খাদানে ধস, মৃত অন্তত ১৫, বৃষ্টিতে ব্যাহত উদ্ধারকাজ

    Mizoram Landslides: মিজোরামে পাথর খাদানে ধস, মৃত অন্তত ১৫, বৃষ্টিতে ব্যাহত উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে পাথর খাদানে ধস (Mizoram Landslides) নেমে মৃত্যু হল অন্তত ১৫ জনের। আরও অনেকে ওই খাদানে আটকে পড়েছেন বলে খবর। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে রেমালের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে মিজোরামে। এর কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। 

    বিপর্যস্ত মিজোরাম

    ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি খুইয়ে বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও তার প্রভাবে ভারী বর্ষণ হচ্ছে মিজোরামে। এর প্রভাবেই রাজধানী আইজলের একটি পাথর খাদানে হঠাতই ধস (Mizoram Landslides) নামে। ভূমিধসের কারণে রাজ্যের একাধিক ছোটবড় রাস্তায় গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বন্ধ করে দিতে হয়েছে স্কুল। এমনকি সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ধস নামার কারণে মিজোরামের উপর দিয়ে যাওয়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে স্থলপথে বাকি ভারতের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা।

    মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ আইজল শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠে মেলথুম এবং হ্লিমেনের মধ্যবর্তী একটি এলাকায় পাথর খাদানে ধস (Mizoram Landslides) নামে। সে সময় সেখানে কাজ চলছিল। ডিজিপি অনিল শুক্লা বলেছেন, “অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে মিজোরামের আইজলে পাথর খনি ধসে অনেকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে ৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছেন বলে খবর। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে ৷ তবে ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে ।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে ৷ হুন্টারে ৬ নং জাতীয় সড়কে ভূমিধসের কারণে আইজল দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৷ এছাড়াও বেশ কয়েকটি আন্তঃরাজ্য মহাসড়কেও ভূমিধসের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। মিজোরাম সরকার মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া ধসে যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ১৫ কোটি টাকা খরচ করার কথা বলেছে মিজোরাম সরকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Veer Savarkar jayanti 2024: “তুষ্টিকরণের বিরোধী ছিলেন সাভারকর”, বললেন শাহ

    Veer Savarkar jayanti 2024: “তুষ্টিকরণের বিরোধী ছিলেন সাভারকর”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাতৃভূমির প্রতি সাভারকরের কর্তব্যের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর প্রতি ছবিতে মাল্যদানের  পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাভারকরের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮৮৩ সালে এদিনই জন্ম নিয়েছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Veer Savarkar jayanti 2024)।

    “তুষ্টিকরণ নীতির বিরোধিতা করেছিলেন” বললেন শাহ

    অন্য কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীকে নিয়ে এতটা বিতর্ক হয়নি যতটা তাঁকে নিয়ে। কারণ সাভারকর স্বাধীনতা সংগ্রামের পাশাপাশি হিন্দুদের অধিকার রক্ষা সরব ছিলেন। সেই কারণে কংগ্রেস ও কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে অন্য দলে তৈরি করা নেতাদের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং বিজেপির মতাদর্শগত সান্নিধ্যের কারণে সাভারকর থেকে অনুপ্রাণিত হন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও অমিত শাহ সাভারকরের প্রশংসা করেন। “বীর সাভারকর জি, (Veer Savarkar) তাঁর শক্তিশালী চিন্তাধারা দিয়ে, কোটি যুবকদের মধ্যে দেশপ্রেমের শিখা জ্বালিয়েছিলেন এবং এক জাতি, এক সংস্কৃতির অনুভূতিকে শক্তিশালী করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    তিনি জাতীয়তাবাদের মন্ত্রকে আত্মস্থ করেছিলেন এবং তুষ্টিকরণ নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা আন্দোলন করার সময় অসংখ্য অত্যাচারের শিকার হন। তাঁর কালাপানির সাজা হয়। বন্দি ছিলেন আন্দমানের সেল্যুলার জেলে। ব্রিটিশরা তাঁর মাতৃভূমির প্রতি সংকল্পকে টলাতে পারেনি। যিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন, একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এবং একজন মহান স্বপ্নদর্শী বীর সাভারকরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন” অমিত শাহ (Amit Shah) এক্স- হ্যান্ডেলে লেখেন।

    “স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক” সাভরকর

    বিনায়ক দামোদর সাভারকর, যিনি বীর সাভারকর নামে পরিচিত, ১৮৮৩ সালের ২৮ মে নাসিকে জন্মগ্রহণ (Veer Savarkar jayanti 2024) করেন। সাভারকর ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক এবং ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটি জনপ্রিয় করার কাজ শুরু করেছিলেন তিনিই। ‘হিন্দু মহাসভা’-তেও সাভারকর ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীনই সাভারকর স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ শুরু করেন এবং পুনের ফার্গুসন কলেজে পড়ার সময়ও তিনি তা চালিয়ে যান। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী লোকমান্য তিলক দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিলেন। ব্রিটেনে আইনের পড়াশুনা করার সময় তিনি ইন্ডিয়া হাউস এবং ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটির মত স্বাধীনতাকামী দলগুলির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি এমন বইও প্রকাশ করেছিলেন যা সমগ্র ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বিপ্লবী পদ্ধতির প্রচার করেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China War: সেনাপ্রধান পদে থাপারের নিয়োগ, নেহরুর সিদ্ধান্তে চিনের কাছে ভারত খুইয়েছে ভূখণ্ড!

    India China War: সেনাপ্রধান পদে থাপারের নিয়োগ, নেহরুর সিদ্ধান্তে চিনের কাছে ভারত খুইয়েছে ভূখণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৬১ সাল। দেশের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। চিফ আর্মি স্টাফ পদে নিয়োগ করলেন প্রাণনাথ থাপারকে (India China War)। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত আজও ইতিহাসের আতশ কাচের তলায়। এখনও তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়। ঐতিহাসিক রোমিলা থাপারের কাকা এই প্রাণনাথ। তাঁর ছেলে করণ থাপার নাম করা জার্নালিস্ট। সেনা প্রধান পদে প্রাণনাথকে নিয়োগ করেছিলেন জওহরলাল। নেহরুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের খাতিরেও ওই পদে বসানো হয় তাঁকে।

    প্রাণনাথ থাপার (India China War)

    প্রাণনাথের জন্ম ঝিলামে। বর্তমানে এটি পাকিস্তানে। নাম করা ডালি কলেজের পাঠ চুকিয়ে প্রাণনাথ চলে যান ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি (India China War)। বর্মায়(অধুনা মায়ানমার) ফোর্থ ইন্ডিয়ান ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কমান্ডার ছিলেন তিনি। ভারতীয় সেনার পরিকাঠামোকে আধুনিক করে তুলতে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। পুণের খাদাখাওসলায় তিনি স্থাপন করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি। এই প্রতিষ্ঠানে আজও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ভবিষ্যতের সেনানায়কদের।

    সেনা প্রধান পদে নিয়োগ

    এহেন প্রাণনাথের সেনা প্রধান পদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ছিল। লেজেন্ডারি জেনারেল কেএম কেরিয়াপ্পা অবশ্য সেনাপ্রধান পদে চেয়েছিলেন জেনারেল থোরাটকে। তাঁর যুক্তি ছিল, চিন সীমান্ত নিয়ে থোরাটের অভিজ্ঞতা বিস্তর। সেনাবাহিনীকে ফরওয়ার্ড পজিশনে মোতায়েন করার কথা বলায় তখন তিনি প্রাণনাথের চেয়ে ঢের বেশি যোগ্য বলেই দাবি করেছিলেন কেরিয়াপ্পা। কিন্তু পারিবারিক যোগাযোগ থাকায় কেরিয়াপ্পার কথা কানে তোলেননি নেহরু। সেনা প্রধান পদে বসিয়ে দেন থাপারকে।

    আর পড়ুন: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    সাইনো-ইন্ডিয়ান যুদ্ধ

    ১৯৬২ সালে হয় সাইনো-ইন্ডিয়ান যুদ্ধ। এই সময় সেনা প্রধান পদে ছিলেন থাপার। তখনই ধরা পড়ে যুদ্ধের জন্য আগাম কোনও প্রস্তুতিই ছিল না ভারতীয় সেনার। ভারতীয় সেনার দুর্বলতাও প্রকাশ্যে চলে আসে। চিন সীমান্ত সম্পর্কে থাপারের জ্ঞান ছিল খুবই কম। সেই কারণেই ওই যুদ্ধের মোকাবিলা করতে গিয়ে সমলোচনার তিরে বিদ্ধ হন তিনি। থাপারের নির্দেশের জেরেই চিনের কাছে ভারতকে খোয়াতে হয় ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা। হাজার হাজার ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ভারতীয় সেনার ইতিহাসে আজও লেগে রয়েছে যে রক্তের দাগ। দেশ হারতেই থাপার সেনা প্রধান পদে ইস্তফা দিতে চান। অনেকের মতে, এটা ছিল লোক দেখানো। জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে এই সময় নেহরু তাঁকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করেন। ভিন দেশে সেই পদেই অবসর নেন তিনি (India China War)।

    আগুনে ঘি পড়ে

    তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে যেন আগুনে ঘি পড়ে। সেনাপ্রধান পদে ব্যর্থতার কারণে যাঁর মূল্য চোকানোর প্রয়োজন ছিল, তাঁকেই কিনা রাষ্ট্রদূতের পদ উপহার! যদিও চিনের কাছে দেশ যে ভূখণ্ড খুইয়েছে, সংসদে সে দাবি অস্বীকার করেছিলেন নেহরু। তার জেরে আরও খেপে যান বিরোধীরা। অনেকের মতে, থাপারের বদলে ওই সময় জেনারেল থোরাটকে সেনা প্রধান পদে নিয়োগ করা হলে চিনের কাছে হারতে হত না ভারতকে, খোয়াতে হত না ভূখণ্ডও। থোরাটকে টপকে থাপারকে সেনা প্রধান পদে বসানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, ভারতীয় সেনার ইতিহাসে আজও তা একটি বিতর্কিত অধ্যায়। সেনা প্রধান পদে রাজনৈতিক প্রভাবের পরিণাম কী হতে পারে, তা নিয়ে আজও আলোচনা হয় সেনার অন্দরে।

    সেনাবাহিনীর ইতিহাসে থাপারের অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি তাঁকে নিয়ে রয়েছে বিস্তর বিতর্কও। এখনও তাঁর নিয়োগ নিয়ে চর্চা হলে তুফান ওঠে চায়ের কাপে। থাপারের নিয়োগ প্রমাণ করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এক, আর মিলিটারি স্ট্র্যাটেজি আর এক। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যেমন খুশি হলে তার খেসারত দিতে হয় দেশকে। আর সেনার ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজিই শেষ কথা। যে দেশের যুদ্ধ কৌশল যত প্রাসঙ্গিক হবে, সেই দেশের জয় ততই নিশ্চিত হবে। রক্তও ঝরবে কম। প্রাণবলির আশঙ্কাও থাকে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিন সীমান্ত সম্পর্কে খুব কম ধারণা থাকায় থাপার ঠিক মতো ঘুঁটি সাজাতে পারেননি। যার জেরে ভারতের একটি বিরাট অংশ দখল করে ফেলেছিল চিন। সেদিন থাপারকে ওই পদে বসানোর সিদ্ধান্ত যদি নেহরু না নিতেন, তাহলে ভারতকে জমি খুইয়ে চোকাতে হত না মূল্য (India China War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Bomb Hoax: অভিনব কায়দায় বোমাতঙ্ক ছড়াল ইন্ডিগোর বিমানে, কীভাবে জানেন?

    Bomb Hoax: অভিনব কায়দায় বোমাতঙ্ক ছড়াল ইন্ডিগোর বিমানে, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে বারাণসীগামী ইন্ডিগো বিমানের বোমাতঙ্ক (Bomb Hoax)। এই বিমানটি ভোর ৫টা ৩৫ নাগাদ ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু বোমাতঙ্কের কারণে বিমানটিকে ‘আইসোলেশন বে’তে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যাত্রীদের সুরক্ষিত নামিয়ে আনার পর বম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড, এবং এভিয়েশন সিকিউরিটি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফ্লাইটে বোমা সন্ধানে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করে যদিও ওই বিমানে কোন বোমা বা সন্দেহজনক কোন বস্তু খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

    যাত্রীরা সুরক্ষিত রয়েছেন

    বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমার (Bomb Hoax) হুমকির খবর মেলার পরেই ওই বিমান সংস্থার (Indigo) কর্মীরা বিষয়টি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়। তড়িঘড়ি অ্যালার্ট জারি করে যাত্রীদের এমার্জেন্সি গেট থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই বিমানের নম্বর ছিল ৬ই-২২১১। এরই মাঝে একজন যাত্রী ভয়ে মেনগেট থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন। তিনি সামন্য আহত হয়েছেন। দিল্লি ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে তাঁদের কুইক রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

    বিমানের শৌচাগারে কাগজে লেখা ‘বোমা’  

    বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানান বিমানটি ওড়ার আগে বিমানের কর্মী শৌচাগারের টয়লেট পেপারের উপর ‘বোমা’ শব্দটি লেখা আছে দেখতে পান। ততক্ষণে যাত্রীরা বিমানে উঠতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ওই বিমানের কর্মী ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের বিষয়টি জানান। এর পর বিমানটিকে আইসোলেশন বে-তে নিয়ে যাওয়া হয়।এবং বিমান খালি করে গোটা প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: : “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    প্রসঙ্গত এদিন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দর ছাড়াও মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল এবং ছত্রপতি শিবাজী বিমানবন্দরে বোমা (Bomb Hoax) রাখা আছে বলে এহেন উড়ো ফোন আসে মুম্বাই পুলিশের কাছে। যদিও তল্লাশি অভিযানের পর সেখানেও কিছু মেলেনি। এমনকি কিছু দিন আসে দিল্লির একাধিক স্কুলে বোমা রাখা আছে খবর আসে পুলিশের কাছেও। যদিও তদন্তে সব ক্ষেত্রেই প্রমাণিত সেগুলি ভুয়া ছিল। তবে কী কারণে পর পর বোমাতঙ্কের খবর ছড়ানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    Nirmala Sitharaman: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দশ বছরে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় বাজেটের পুনঃসংস্কার করেছে। এতদিন বাজেট বলতে ছিল কেবল খরচের খতিয়ান। মোদি সরকার তাকে পরিণত করেছে সমবণ্টনের ব্লপ্রিন্টে। ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে করা হয়েছে এই সংস্কারের পদক্ষেপ।” সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। তিনি জানান, মোদি সরকার করদাতাদের কষ্টার্জিত প্রতিটি পাই পয়সার মূল্য যাতে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগানো যায়, নিরন্তর সেই চেষ্টাই করে চলেছে। সরকারের সেই কাজের সুফলও যাতে সকলের কাছে পৌঁছায়, সেই ব্যবস্থাও করছে। বাজেটে স্বচ্ছতাই যে মোদি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, তা-ও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

    কী বললেন সীতারামণ? (Nirmala Sitharaman)

    তিনি বলেন, “দেশে যে স্বচ্ছ বাজেট পেশ করা হচ্ছে গত দশ বছর ধরে, তার প্রশংসা শোনা গিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের কণ্ঠে। এর ফলে দেশ তামাম বিশ্বের বিশ্বাস অর্জন করতে পারছে।” এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, “ইন্ডিয়ান জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার বারংবার বাজেট পরবর্তীকালে ধার করে বাজেটের ঘাটতি লুকিয়ে রাখত। তারা ওয়েল বন্ড ইস্যু করত। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে চাপত ঋণের বোঝা। আমাদের আমলে এসব হয় না। বাজেট কীভাবে ফেভারেবল হয় ইউপিএ সরকার সর্বদাই তার চেষ্টা করত’।

    বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা

    তিনি বলেন, “গত দশক দেখেছে কেন্দ্রীয় বাজেটের পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। অতীতের ধারা বদলে এই নয়া ট্রেন্ড শুরু করেছে মোদি সরকার।” এর পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার বাজেটের পুনঃসংস্কার করেছে। বাজেটে বজায় রাখা হচ্ছে স্বচ্ছতা। বাজেটে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে বাজেটারি প্রসেসেও।” তিনি জানান, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষ থেকে বাজেট পেশ হয়ে আসছে পয়লা ফেব্রুয়ারি। তার আগে বাজেট পেশ হত ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে। এতে ব্যয়-চক্র (এক্সপেন্ডিচার সাইকেল) দু’মাস এগিয়ে এসেছে। ট্রেজারি সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট (টিএসএ) নিয়ে এসে সরকার ব্যয়ে সংস্কার সাধন করেছে বলেও জানান সীতারামণ। তিনি (Nirmala Sitharaman) জানান, টিএসএ চালু হওয়ায় আজ পর্যন্ত বেঁচেছে ১৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা।

    আর পড়ুন: ১১৩ পাতার চার্জশিট! জমি দখল করে কত কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Prajwal Revanna: “দেশে ফিরছি, হাজিরা দেব সিটের সামনেও”, বললেন অশ্লীল ভিডিওকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রোজ্জ্বল

    Prajwal Revanna: “দেশে ফিরছি, হাজিরা দেব সিটের সামনেও”, বললেন অশ্লীল ভিডিওকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রোজ্জ্বল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশ্লীল ভিডিওকাণ্ডের জেরে দেশছাড়া হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া নাতি প্রোজ্জ্বল রেভান্না (Prajwal Revanna)। তাঁকে দেশে ফেরাতে নানা পদক্ষেপ করেছে কর্নাটক সরকার। তাঁর কূটনৈতিক পাশপোর্ট বাতিলের আবেদনও জানানো হয়েছিল। তার পরেও খোঁজ মিলছিল না তাঁর। শেষমেশ প্রোজ্জ্বল নিজেই জানালেন অবিলম্বে দেশে ফিরছেন তিনি। মুখোমুখি হবেন বিশেষ তদন্তকারী দলেরও(সিট)। ‘ধরা দেওয়া’র কথা জানানোর পাশাপাশি তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।

    নাতিকে দেশে ফেরানোর বার্তা দেবগৌড়ার (Prajwal Revanna)

    নাতিকে দেশে ফেরাতে বার্তা দিয়েছিলেন দেবগৌড়া স্বয়ং। জেডিএস সাংসদ জানিয়েছিলেন, তদন্তে যদি প্রোজ্জ্বল দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। দেশে ফিরে প্রোজ্জ্বলকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেন তিনি। দেশ ছাড়ার কারণও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রোজ্জ্বল। ভিডিও-বার্তায় তিনি বলেন, “আমি ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম। তাই নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমার রাজনৈতিক উত্থান সহ্য করতে না পেরে হাসনেরই (এই কেন্দ্রেরই সাংসদ প্রোজ্জ্বল) কিছু শক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।”

    “সিটের সামনে হাজিরা দেব”

    তিনি (Prajwal Revanna) বলেন, “দয়া করে আমায় ভুল বুঝবেন না। ৩১ মে সকাল ১০টায় আমি সিটের সামনে হাজিরা দেব। পুলিশের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করব। বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার আস্থা রয়েছে।” প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পৌত্র বলেন, “ঈশ্বর, জনগণ ও পরিবারের আশীর্বাদ আমার মাথার ওপর সব সময় থাকুক, আমি চাই। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, দেশে ফিরে তা মিথ্যা প্রমাণ করতে পারব বলে আশা। আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন।”

    আর পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে বারাণসীতে বিজেপির তারকা প্রচারকের ভিড়

    প্রসঙ্গত, গত মাসে এক গৃহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে। কেবল তাই নয়, একাধিক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগও ওঠে। সেই দুষ্কর্ম মোবাইলবন্দিও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। অশ্লীল ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। রাতারাতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফ্রুটের উদ্দেশে তিনি রওনা দেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।

    প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করে কর্নাটক সরকার। জারি করা হয় ব্লু কর্নার নোটিশও। কয়েকদিন আগেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত। এই মামলায় পদক্ষেপ করে কেন্দ্রও। প্রোজ্জ্বলকে (Prajwal Revanna) কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে বিদেশমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: প্রধানমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে বারাণসীতে বিজেপির তারকা প্রচারকের ভিড়

    Lok Sabha Elections 2024: প্রধানমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে বারাণসীতে বিজেপির তারকা প্রচারকের ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বারাণসীর দু’বারের সাংসদ। এবারও বিশ্বনাথ ‘ধামে’ বিজেপির প্রার্থী তিনিই। সেই নরেন্দ্র মোদিকে বারাণসী কেন্দ্রে রেকর্ড ভোটে জেতাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপির তারকা প্রচারকের দল (Lok Sabha Elections 2024)। পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে বারাণসীতে। সোমবার বিশ্বনাথের রাজ্য জয়ে বারাণসীতে ভিড় গেরুয়া পার্টির হেভিওয়েট নেতাদের। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (Lok Sabha Elections 2024)

    এদিন তামিল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মত বিনিময় করেন জয়শঙ্কর। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী বলেন (Lok Sabha Elections 2024), “বিশ্ব দেখবে, আগামী ৪ জুন ভারতে মোদি ৩.০ সরকার গঠন হবে। বারাণসী নিজেই দেশের পুরো জনগণকে একটি বার্তা দিচ্ছে যে আগামী ৪ জুন তৃতীয়বারের মতো একটি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গঠিত হবে মোদি সরকার।” তিনি বলেন, “আজ সারা বিশ্ব ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে আলোচনা করছে, যা দেশবাসীর জন্য গর্বের। আজ ভারতের ছবি ও সুনাম সারা বিশ্বে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে, মোদির দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে।”

    বিদেশনীতিতে নয়া দিগন্ত

    জয়শঙ্কর বলেন, “মোদির নেতৃত্বে ভারত তার বিদেশনীতিতে নয়া দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে এবং গতিশীল হয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।” জয়শঙ্কর যখন বারাণসীর তামিল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মত বিনিময় করছিলেন, তখন যাদব অধ্যুষিত সীর গোবর্ধনপুর এলাকায় জনসভা করছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক নানা কাজকর্মের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।

    আর পড়ুন: “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    এই সময়সীমায় দেশ কীভাবে এগিয়েছে, কীভাবেইবা বিশ্বের দরবারে ভারতের স্থান উঁচুতে হয়েছে, তা-ও জানান মোহন। এদিনই সিটি সাউথ বিধানসভা এলাকায় বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় বক্তৃতা দেন ব্রজেশ। মোদি সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কাজকর্মের ফিরিস্তিও দেন তিনি। পরে বিজেপির এই তারকা প্রচারক দল বারাণসীর বিভিন্ন অংশে গিয়ে মত বিনিময় করেন ভোটারদের সঙ্গে।

    এদিকে, রবিবারই বারাণসীতে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং জয়শঙ্কর। নাড্ডা বলেন, “বারাণসী মোদির পরিবার। বারাণসীর বাসিন্দারা দেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেছেন (Lok Sabha Elections 2024)।” আজ, সোমবার বারাণসীতে বিশাল শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • JP Nadda: “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    JP Nadda: “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যত দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হবে না।” বারাণসীতে সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। বিজেপি বিরোধীরা ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করেন নাড্ডা। বলেন, “সংবিধানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চলবে না।” তার পরেই তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হবে না।

    কী বললেন নাড্ডা? (JP Nadda)

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, “আমাদের দলিত, উপজাতি, পিছড়েবর্গ এবং একেবারে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণে কাউকেই আমরা অনধিকার প্রবেশ করতে দেব না। আপনারা দেখবেন, ৪ জুন কী হয় (এদিনই ফল প্রকাশ হবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের)।” নাড্ডা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি মানে ছিল ডিভাইড অ্যান্ড রুল। কিন্তু এখন দেশে চলছে উন্নয়নের রাজনীতি।” দশ বছর আগে দেশের রাজনৈতিক অবস্থান কি ছিল, সে প্রশ্নও তোলেন নাড্ডা।

    গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক!

    তিনি বলেন, “ওই সময় ভারতকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে গণ্য করা হত। কিন্তু বড় সমস্যা ছিল রাজনীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ উদাসীন থাকতেন। রাজনীতির প্রতি তাঁদের বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছিল। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। কিন্তু গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে পেরেছেন। দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন।” বিরোধীরা যে বর্ণ বিভাজনের রাজনীতি করতেন, তা-ও মনে করিয়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বলেন, “বিরোধীরা ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করত, কাস্টইজমে ইন্ধন জোগাত। এই সংস্কৃতির বিলোপ ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ দেশে চলছে উন্নয়নের রাজনীতি। এর ভিত্তিই হল, সবকা সাথ, সবকা প্রয়াস আউর সবকা বিশ্বাস।”

    আর পড়ুন: ইউপিএ জমানায় ৩৫ মুসলিম শ্রেণি ওবিসি তালিকাভুক্ত হয়েছিল মমতার সুপারিশে!

    এদিন কালভৈরব মন্দিরে পুজোও দেন না্ড্ডা। বলেন, “যখনই আমি বারণসীতে আসি, কালভৈরব মন্দিরে পুজো দিই। পুজো দিই সঙ্কটমোচন এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও।” তিনি বলেন, “কাশীকে আমরা ধর্মীয় নগরী বলেই জানি। এই শহরই সনাতন ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এখানে এলে আমি নতুন করে শক্তি নিয়ে ফিরি (JP Nadda)।” প্রসঙ্গত, এই বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপির বাজি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এই কেন্দ্রের দু’বারের সাংসদ। পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে এখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ghar Wapsi: বাংলা ও অসমে ‘ঘর ওয়াপসি’, হিন্দু ধর্মে ফিরে এলেন তিন কন্যা

    Ghar Wapsi: বাংলা ও অসমে ‘ঘর ওয়াপসি’, হিন্দু ধর্মে ফিরে এলেন তিন কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মুসলিমরা ধর্মান্তকরণের মাধ্যমেই হিন্দু থেকে ইসলামকে গ্রহণ করেছেন – এ তত্ত্ব আজ প্রতিষ্ঠিত। হিন্দু সংস্কৃতিকে ভালোবেসে তাই অনেকেই ফিরে আসছেন সনাতন ধর্মে। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই ঘটনা দেখা দেল পূর্ব ভারতের অসম ও পশ্চিমবঙ্গে। ‘ঘর ওয়াপসি’-র পরে মুসলিম মেয়েদের নামকরণও বদলে গেল (Ghar Wapsi)। বিবাহ বন্ধনে প্রত্যেকেই আবদ্ধ হলেন হিন্দু ছেলের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের বানু খাতুন হলেন অনু এবং অনীশা খাতুন হলেন অন্বেষা। অন্যদিকে অসম রাজ্যের আমিনা হলেন রাধা রবিদাস।

    পশ্চিমবঙ্গের ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi)

    তবে ‘ঘর ওয়াপসি’-র এই কাজ যে খুব সহজে হয়েছে এমনটা নয়। তাঁদেরকে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়। কোনও ভাবেই দুই কন্যার বাড়ির লোকজন চায়নি এমন সম্পর্ক মেনে নিতে। এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংহতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রীতিমতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে তাঁদেরকে হিন্দু সমাজে স্বাগত জানানো হয়। ‘ঘর ওয়াপসি’-র মাধ্যমে হিন্দু ধর্মে ফিরে আসা প্রত্যেকেই মনে করছেন, এই ধর্মে মেয়েদের জন্য রয়েছে ব্যাপক স্বাধীনতা ও সম্মান। ‘ঘর ওয়াপসি’-র পরপরই প্রত্যেকে নিজেদের পরিচয়কে গোপন রেখেছিলেন তাঁদের নিজস্ব নিরাপত্তার কারণেই। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি ‘ঘর ওয়াপসি’র ঘটনা সামনে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার লুৎফন্নেসা খাতুন হিন্দু ধর্মকে গ্রহণ করেছেন।

    অসমের ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi)

    অন্যদিকে অসমের ‘ঘর ওয়াপসি’-র (Ghar Wapsi) ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার করিমগঞ্জ জেলাতে। সেখানে নতুনভাবে ঘর বেঁধেছেন ইসলাম ত্যাগ করে আসা আমিনা। তাঁকেও স্বাগত জানাতে রীতিমতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ২৬ মে আমিনাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা যায়, ২০২০ সালেই প্রেমিক শ্যাম রবিদাসকে বিয়ে করেন আমিনা। জানা গিয়েছে, শ্যামের পরিবার আমিনার পরিবারের সঙ্গে বিবাদে যেতে চায়নি। তাই তারা মানেনি এই বিয়ে। কিন্তু দম্পতি বিশেষ বিবাহ আইনে স্বামী-স্ত্রী হয়ে যায়, তাই তাদের পরিবার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতেও পারেনি। চার বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে থাকে তারা। এই সময়ের মধ্যে আমিনা একটি সন্তানের মা হয়। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে শ্যাম এবং আমিনা ফিরে আসার কথা চিন্তা করে। এরপরেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদে এগিয়ে আসে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share