Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Population Day: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব

    World Population Day: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১১ জুলাই ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ডে বা বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)। সারা পৃথিবীতে প্রায় প্রতিনিয়তই দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। এর ফলে একদিকে যেমন স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে তেমনই বাড়ছে উদ্বেগ। এর ভালো মন্দ দু’রকমের প্রভাবই পড়ছে। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই পালিত হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।

    বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের ইতিহাস (World Population Day)

    এই দিনটি পালন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ড. কিসী। ১০০০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৪০ কোটি এবং ১৮০৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পৌঁছেছিল ১ বিলিয়নে। এরপর ১৯৬০ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৩ বিলিয়ন এবং ১৯৮৭ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৫ বিলিয়নে। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নেরও বেশি। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তৎকালীন গভর্নিং কাউন্সিল এই দিনটি পালন করার কথা বিবেচনা করেন। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম বছরই বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশ এই দিনটি পালন করে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)।

    কেন পালন করা হয় (World Population Day)

    এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রভাব পরছে পরিবেশের ওপর। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার কারণে দ্রুত পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে এবং যার ফলে প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষার ওপর। এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়।

    আরও পড়ুন: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    ভারতে এর গুরুত্ব (World Population Day)

    বিশ্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যার দিকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত (India), জনসংখ্যা প্রায় ১৪১.৭২ কোটি। সব থেকে কম জনসংখ্যা রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির, জনসংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। তবে প্রতিবছর দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। এর ভালো মন্দ দুইই রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, ২০৫০ সালে চিনের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হবে ১৩১ কোটিরও বেশি। ওই সময়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারত সম্ভাব্য জনসংখ্যা ১৬৬ কোটিরও বেশি। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের মনে। এক্ষেত্রে দেশে পরিবার পরিকল্পনা বা জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রকল্প আবশ্যিক ভাবে কার্যকর করা উচিত বলে অভিমত অনেকের। খাদ্য, বাসস্থান এবং কর্মসংস্থান নিয়ে এমনিতেই রয়েছে নানা সমস্যা। দেশে কমছে চাষযোগ্য জমির পরিমাণও। জন বিস্ফোরণ হলে, সেক্ষেত্রে খাদ্য সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মোহন ভাগবতের মত

    এ বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জনসংখ্যার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে কথা বলেন। তিনি জানান, জনসংখ্যার ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের সকলের জন্য জনসংখ্যা নীতি প্রযোজ্য হওয়া উচিত, বলে মনে করেন তিনি। জনসংখ্যা (India) ভারসাম্য হারালে ভৌগলিক সীমারেখার ওপর প্রভাব পড়বে। ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এই বিষয়টি আর অগ্রাহ্য করা উচিত হবে না বলেও তাঁর মত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Om Birla: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার

    Om Birla: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে (BRICS Forum) ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। ১১-১২ জুলাই রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত হবে ১০তম ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরাম। এই ফোরামেই যোগ দেবে ভারতীয় সংসদীয় দল, যার নেতৃত্ব দেবেন লোকসভার স্পিকার।

    প্রতিনিধি দলে কারা থাকবেন? (Om Birla)

    ভারতীয় সংসদীয় এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ, রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পিসি মোদি, রাজ্যসভার সাংসদ শম্ভুশরণ প্যাটেল, লোকসভার মহাসচিব উৎপল কুমার সিং, লোকসভা সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব অঞ্জনি কুমার-সহ আরও কয়েকজন। ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ফি বছর একটি করে বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়। এবারের থিম হল, ‘রোল অফ পার্লামেন্টস ইন স্ট্রেনদেনিং মাল্টিল্যাটারালিজম ফর জাস্ট গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি’। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

    কী বললেন লোকসভার স্পিকার?

    এক্স হ্যান্ডেলে লোকসভার স্পিকার লিখেছেন, “সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত দশম ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে আইপিডির নেতৃত্ব দিচ্ছি। ব্রিকস এবং আমন্ত্রিত দেশগুলির সঙ্গে ইন্টার পার্লামেন্টারি সহযোগিতা মজবুত করতে মুখিয়ে রয়েছি। এই সফরে ভাইব্র্যান্ট ইন্ডিয়ান প্রবাসীদের সঙ্গে কখন সাক্ষাৎ করতে পারব, সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছি।” এই ফোরামে (Om Birla) গিয়ে লোকসভার স্পিকার বিভিন্ন দেশের স্পিকারদের সঙ্গে যোগ দেবে পার্শ্ববৈঠকে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করবেন তিনি। মস্কোয় ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

    আর পড়ুন: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    এই ফোরামে মূলত দু’টি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পেশ করবেন লোকসভার স্পিকার। একটি হল, ‘ব্রিকস পার্লামেন্টারি ডাইমেনশন – পসিবিলিটিজ অফ স্ট্রেনদেনিং ইন্টার পার্লামেন্টারি কো-অপারেশন’ এবং ‘রোল অফ পার্লামেন্টস ইন ওভারকামিং থ্রেটস রিলেটেড টু ফ্র্যাগমেন্টেশন অফ দ্য মিউচুয়াল ট্রেডিং সিস্টেম অ্যান্ড দ্য কনসিকোয়েন্সেস অফ গ্লোবাল ক্রাইসিস’। ব্রিকস সম্মেলনের শেষে পাশ হবে জয়েন্ট স্টেটমেন্ট।

    প্রসঙ্গত, এবারের ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Forum) আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কিরগিজ রিপাবলিক, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কিমেনিস্তানের প্রতিনিধিরাও (Om Birla)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • SSS Defence: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    SSS Defence: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ফের মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য। দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিশানা করতে সক্ষম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifles) তৈরি হচ্ছে ভারতে। শুধু তৈরিই নয় বেঙ্গালুরুর ছোট অস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্স তা রফতানিও শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এসএসএস ডিফেন্স (SSS Defence) বিদেশে স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেয়েছে বলে খবর। যার অঙ্ক ৫ কোটি ডলার (প্রায় ২১৭ কোটি টাকা)।

    স্নাইপার রাইফেল কী (Sniper Rifles)

    এই রাইফেল প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে। এক গুলিতেই করতে পারে ধরাশায়ী। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে প্রায় এক দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifles) ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা এই রাইফেল ব্যবহার করে। ভারতীয় সেনা রুশ ড্রাগোনভ, ইজরায়েলের আইএমআই গালিল, জার্মান সংস্থা ‘হেকলার অ্যান্ড কখ্’ নির্মিত পিএসজি১, জার্মানির মাউসার সংস্থার এসপি৬৬-র পাশাপাশি ব্যবহার করে এসএসএস ডিফেন্সের .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম।

    আরও পড়ুন: আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক আয়ুর্বেদ! পেশির জোর বাড়ায় প্রকৃতির যে যে উপাদান

    মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত (SSS Defence)

    প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, স্নাইপার রাইফেলের (Sniper Rifles) পাশাপাশি এসএসএস ডিফেন্স (SSS Defence) বিদেশ থেকে অন্য অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহের বরাত পেয়েছে। বেঙ্গালুরুর ওই সংস্থা প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। এর ফলে মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প সাড়া ফেলেছে। ভারতের বার্ষিক প্রতিরক্ষা উৎপাদন ২০২৩-২৪ সালে প্রায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাবে, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম থেকে এমনই আশা করছে মোদি সরকার। একটি সূত্র জানিয়েছে, “ভারত এখন বন্দুক থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং ছোট অস্ত্রের মতো বিপুল সংখ্যক সরঞ্জাম তৈরি ও রফতানি করছে। এতদিন ভারত এই সিস্টেমগুলির আমদানিকারক ছিল, কিন্তু এখন আমরা সেগুলি রফতানি শুরু করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Delhi News: চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান, হল যমজ কন্যাসন্তান, দু’জনকেই খুন করে গ্রেফতার ‘কীর্তিমান’ পিতা

    Delhi News: চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান, হল যমজ কন্যাসন্তান, দু’জনকেই খুন করে গ্রেফতার ‘কীর্তিমান’ পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দুই যমজ সদ্যজাত কন্যাকে হত্যা (Murder) করে কবর দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির (Delhi News) সুলতানপুরী এলাকায়। অভিযোগ, গত ৩ জুন নিজের হাতে দুই নবজাতক কন্যাকে হত্যা করে নীরজ সোলাঙ্কি নামে এক ব্যাক্তি। নবজাতকদের খুন করে দেহ মাটি চাপা দিয়ে দেয় সে। অবশেষে হরিয়ানা (Haryana) থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police) ।

    যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম নেওয়ায় অখুশি পিতা

    পুলিশ জানিয়েছে, নীরজ সোলঙ্কি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি পুত্র সন্তান আশা করেছিলেন। এবং যমজ কন্যার জন্ম নিয়ে বিরক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ৩ জুন কথিত খুনের পর থেকে তিনি পলাতক (Delhi News) ছিলেন। তাঁকে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নীরজ সোলঙ্কির সঙ্গে দিল্লির সুলতানপুরীতে বসবাস করতেন তাঁর স্ত্রী পূজা সোলঙ্কি। ৩০ মে হরিয়ানার রোহতকের একটি হাসপাতালে যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পূজা।

    নিজের হাতেই দুই সদ্যজাতকে খুন (Delhi News)

    “সদ্যজাতদের কন্যা সন্তানদের খুন করে অভিযুক্ত নীরজ তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করে দিল্লি এবং হরিয়ানায় বিভিন্ন ঠিকানায় লুকিয়ে গ্রেফতার এড়াচ্ছিলেন,” পুলিশ একটি আধিকারিক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে। নীরজ সোলঙ্কির (৩২) শ্যালক পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পর থেকেই তাঁকে পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছিল। পুলিশকে ফোন করে নীরজের শ্যালক জানান, “নীরজ ৩ দিন বয়সী যমজ মেয়েকে (Delhi News) হত্যা (Murder) করেছে এবং একটি শ্মশানে কবর দিয়েছেন। এরপর, শ্মশানে পুলিশ যায়, যেখানে শিশুদের কবর দেওয়া হয়েছিল এবং মৃতদেহগুলি উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট এসডিএম (সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট) এর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। ৫ জুন, মঙ্গলপুরীর একটি মর্গে মৃতদেহগুলি উত্তোলন করে সংরক্ষণ করা হয়। ৬ জুন, পুলিশ ময়নাতদন্ত করিয়ে মৃতদের পূজার ভাইয়ের হাতে তুলে দেয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: এবার খোরপোশ দাবি করতে পারবেন ডিভোর্সি মুসলিম মহিলারাও, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: এবার খোরপোশ দাবি করতে পারবেন ডিভোর্সি মুসলিম মহিলারাও, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধ-সকালে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। এবার থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে খোরপোশ দাবি করতে পারবেন মুসলিম মহিলারাও (Divorced Muslim Women)। এদিন এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি অগাস্টাইন জর্জ মাসিহ-র ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের জেরে এতদিন যে সুযোগ-সুবিধা পেতেন হিন্দু বিবাহবিচ্ছিন্ন মহিলারা, এবার থেকে সেই একই সুযোগ পাবেন মুসলমান ডিভোর্সি মহিলারাও।

    ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চ জানায়, মুসলিম মহিলা (বিবাহ বিচ্ছেদ অধিকার সংরক্ষণ) আইন, ১৯৮৬ সেকুলার আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সব বিবাহিত মহিলাই খোরপোশের দাবি করতে পারেন, তা তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, “কিছু স্বামী এটা বুঝতেই পারেন না যে তাঁর স্ত্রী, যিনি গৃহবধূ, তিনি মানসিক ও অন্যান্য দিক থেকে তাঁর ওপরে নির্ভরশীল। তাই সময় এসেছে, ভারতীয় পুরুষদের গৃহবধূদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগকে স্বীকার করে নেওয়ার।”

    ‘অনুচ্ছেদ ১২৫ প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রেই কার্যকর’

    বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে অস্বীকার করেছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। নিম্ন আদালতের খোরপোশের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। এদিন তাঁর সেই পিটিশন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ফৌজদারি আইনের ১২৫ নম্বর ধারায় বিবাহ বিচ্ছিন্ন মুসলিম মহিলারাও খোরপোশ দাবি করতে পারেন তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে।

    আর পড়ুন: দেশে নয়া কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ, বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, “অনুচ্ছেদ ১২৫ প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রেই কার্যকর। কেবলমাত্র বিবাহিত হিন্দু মহিলাই নন, প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রেই কার্যকর।” আদালত (Supreme Court) এ-ও জানিয়েছে, খোরপোশ কোনও দান-খয়রাত নয়। প্রত্যেক বিবাহিত মহিলার অধিকার। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, খোরপোশের আবেদন মুলতুবি থাকাকালীনও যদি বিবাহ বিচ্ছেদে সিলমোহর পড়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী এগোতে (Divorced Muslim Women) পারবেন সংশ্লিষ্ট মহিলা। সেক্ষেত্রেও ১২৫ নম্বর ধারায় রয়েছে প্রতিকারের ব্যবস্থা (Supreme Court)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala: কেরলে ৩৫৩৩৬ জন মহিলা নিখোঁজ! প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ

    Kerala: কেরলে ৩৫৩৩৬ জন মহিলা নিখোঁজ! প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কেরল রাজ্যে ৩৫৩৩৬ জন নিখোঁজ মহিলাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। পরিসংখ্যান এবং তদন্ত নিয়ে দারুণ চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের কপালে। নারী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি একেবারে মর্মান্তিক গল্পের মতো সামনে উঠে এসেছে। বাম শাসিত এই রাজ্যের সামাজিক দুর্বলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলি আরও একবার প্রকাশিত হয়েছে। আসুন দেখে নিই একটি পরিসংখ্যান কী বলছে?

    মহিলার দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলা হয় (Kerala)

    আশ্চর্যজনকভাবে, প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এই মহিলাদের মধ্যে ১৭০ জনের কেস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এই রাজ্যে (Kerala)। তাঁদের মামলাগুলি প্রায়ই অধিকাংশ স্বেচ্ছায় তুলে নেওয়া হয়েছে বা নিখোঁজ হওয়ার অনুমানে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তবে নিখোঁজ মহিলাদের একটা বড় অংশ অন্য দেশে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কেরলের আলাপ্পুঝা জেলার মান্নার থেকে একজন মহিলার নিখোঁজ সহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দ্বারা এই সমস্যাটি এখন আলোচনা মূল ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ উঠে এসেছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এবং দেহাবশেষ একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ মহিলাদের মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) পুলিশের জেলা সি শাখাকে। একই ভাবে রাজ্যের উদ্বেগজনক কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে কোল্লামে ২৪টি কেস, পাথানামথিট্টা ১২টি কেস এবং কাসারগোডে ৬টি কেস। মোট এই ৪২ জন মহিলা নিখোঁজের সন্ধানে তদন্ত চলছে। এই মামলাগুলির মধ্যে অনেকগুলি প্রেমের সম্পর্ক এবং পালিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলির সঙ্গেও যুক্ত।

    কী কী কারণে নিখোঁজ?

    সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অপহরণের ঘটনা জটিল করে তুলেছে রাজ্যের (Kerala) নারী সুরক্ষার বিষয়টি। ২০১৬ সালে ১৫৫০টি এবং এই বছর এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৮টি রিপোর্ট করা হয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তির অসাধুচক্র এবং শরীরের অঙ্গ পাচারের মতো কার্যকলাপে জড়িত নানান নেটওয়ার্কের সংযোগগুলিকে নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নারী (Women) নিখোঁজের কিছু কারণ যেমন–সমাজ বিরোধী পুরুষের সঙ্গে নারীদের পলায়ন, স্বামী বা আত্মীয়দের দ্বারা সংগঠিত হত্যাচারের শিকার মহিলাদের, দূরবর্তী জায়গায় চাকরি বা কাজের খোঁজ, সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গোষ্ঠীতে মগজ ধোলাই করে নিয়োগ এবং মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়া সহ আরও একাধিক কারণ রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ দুধের গাড়িতে ধাক্কা, উল্টে গেল বাস, উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ১৮

    গত ৫ বছরের পরিসংখ্যান

    কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গিয়েছে কেরলে (Kerala) ৫ বছরে নারী নিখোঁজের সংখ্যা ৩৫৩৩৬। যার প্রতিবছর সংখ্যা হল, ২০১৭ সালে ৬০৭৬ জন, ২০১৮ সালে ৭৮৩৯ জন, ২০১৯ সালে ৮৮৪৩ জন, ২০২০ সালে ৬৩৯৫ জন, ২০২১ সালে ৬১৮৩ জন। আবার নারী অপহরণের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে, ২০১৬ সয়ালে ১৬৬ জন, ২০১৭ সালে ১৮৪ জন, ২০১৮ সালে ১৭৩ জন, ২০১৯ সালে ২২৭ জন, ২০২০ সালে ১৫১, ২০২১ সালে ১৭৯ জন, ২০২২ সালে ২৪১ জন, ২০২২ সালে ২৪১, ২০২৩ সালে ১৯১ জন এবং ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৩৮ জন মহিলা। এই পরিসংখ্যান অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।

    রাজ্যে ক্রমবর্ধমান জনরোষ এবং আন্দোলনের চাপে রাজ্যের পুলিশ প্রধান ডিজি, মহিলা (Women) ও শিশু নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগগুলিকে অস্বীকার করতে পারেনি। তাই রাজ্য সরকারের উপর বেশ চাপ তৈরি হয়েছে। সরকারের জবাবদিহি এবং তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপের উপর জোর দিয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যানকে অস্থির করে তুলেছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা সুরক্ষার বিষয়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorists Attacked: দেশের সেবায় ২ মাসে শহিদ ২ ভাই! শোকে পাথর উত্তরাখণ্ডের নেগি পরিবার

    Terrorists Attacked: দেশের সেবায় ২ মাসে শহিদ ২ ভাই! শোকে পাথর উত্তরাখণ্ডের নেগি পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জঙ্গি হামলা জম্মু-কাশ্মিরে (Jammu and Kashmir)। ৩০ এপ্রিলের পর ৭ জুলাই। প্রথম শোক সামলে উঠতে না উঠতেই এল দ্বিতীয় দুঃসংবাদ। দু’মাসের ব্যবধানে শহিদ হলেন একই পরিবারের দুই সন্তান। ঘটনার জেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে সমগ্র পরিবার। শোকে কার্যত পাথর হয়ে গিয়েছেন বাবা-মা।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Terrorists Attacked)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে কাঠুয়া (Kathua) জেলার মাছেদি এলাকায় রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল সেনাবাহিনী। ঠিক সেই সময় সেনার কনভয় লক্ষ্য করে অতর্কিতে হামলা (Terrorists Attacked) চালায় একদল জঙ্গি। এই হামলায় শহিদ হন ৫ সেনা জওয়ান। তাঁদেরই একজন ২৬ বছরের আদর্শ নেগি। 
    আর এর আগে ৩০ এপ্রিল রাতে উত্তরাখণ্ডের গ্রামের বাড়িতে এসেছিল এই একই দুঃসংবাদ। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল নেগি পরিবার। আদর্শর খুড়তুতো দাদা অর্থাৎ পরিবারের বড় সন্তান ৩৩ বছরের মেজর প্রণয় নেগি আর নেই। লেহতে ডিউটি করার সময় অক্সিজেনের অভাবে শহিদ (Terrorists Attacked) হয়েছিলেন তিনি। আর তাঁর মৃত্যুর দুমাসের মধ্যেই ফের দুঃসংবাদ পেল নেগি পরিবার।

    বিএসসি পাশ করে সেনায় যোগ 

    ২০১৮ সালে গারওয়াল রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন আদর্শ। তাঁর বাবা কৃষক। পরিবারে রয়েছে মা, ভাই ও দিদি। পরিবার তরফে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন তিনি। গারওয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাশ করে সেনায় যোগ দেন রাইফেলম্যান হিসেবে। শারীরিক দিক থেকেও ছিলেন দারুণ ফিট। এবার সেই তরুণের আকস্মিক শহিদ (Terrorists Attacked) হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছে গোটা নেগি পরিবার। 

    আরও পড়ুন: দুধের গাড়িতে ধাক্কা, উল্টে গেল বাস, উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ১৮

    শোকে পাথর পরিবার (Terrorists Attacked) 

    এদিন আদর্শর মৃত্যুর খবর তাঁর উত্তরাখণ্ডের গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নেগি পরিবার। দু’মাসের ব্যবধানে দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার থাটি দেগার গ্রাম। এ প্রসঙ্গে আদর্শের কাকা বলবন্ত সিং নেগি বলেন, ”মাত্র দু’মাস আগে দেশ রক্ষায় নিয়োজিত পরিবারের এক সন্তানকে হারিয়েছি। সে ছিল মেজর। আর সোমবার আদর্শকে হারালাম।”
    অন্যদিকে, আদর্শ নেগির বাবা দলবীর সিং নেগি বলেন, “গত রবিবার ওর সঙ্গে কথা বললাম। ও তখন খাচ্ছিল। বলল-এখনই দৌড়তে হবে। বিয়েবাড়ির জন্য শেষবার ছুটি নিয়ে গ্রামে এসেছিল ছেলে। যদিও মার্চ মাসে বিয়ে মিটলে ও আবার সেনাবাহিনীতে ফিরে গিয়েছিল।”  তিনি আরও বলেন, ”দু’মাসের ব্যবধানে দুই সন্তানকে হারালাম। গাড়ওয়াল এবং কুমায়ুন থেকে যাঁরা সেনায় কাজ করতে যান, তাঁরা প্রায়ই শহিদ হন। সরকারকে বলব এই নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Accident in Unnao: দুধের গাড়িতে ধাক্কা, উল্টে গেল বাস, উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ১৮

    Accident in Unnao: দুধের গাড়িতে ধাক্কা, উল্টে গেল বাস, উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ১৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোরবেলায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে (Accident in Unnao)। প্রাণ গেল অন্তত ১৮ জনের। তাঁদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। বুধবার ভোররাতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উন্নাওয়ের লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে একটি দোতলা বাস দুধবাহী ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বহু যাত্রীর। জখম হয়েছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। পুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রীবাহী দোতলা বাসটি বিহার থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। 

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা (Accident in Unnao)

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দূরপাল্লার বাসটি মঙ্গলবার রাতে বিহার থেকে ছাড়ে। ভোরবেলা লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে (Uttar Pradesh) দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ই বাসটি দুর্ঘটনার (Accident in Unnao) কবলে পড়ে। বেহতা মুজাওয়ার এলাকায় এসে একটি দুধের ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারে বাসটি। ট্যাঙ্কার এবং বাস, দুটোই উল্টে যায় রাস্তার উপর। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় মানুষও। প্রথমে স্থানীয়রাই নীয়েরা। তাঁরাই প্রথম উদ্ধারকাজে হাত লাগান। বাসের জানলা ভেঙে যাত্রীদের বার করার কাজ শুরু করা হয়।

    মৃত ও আহতরা অধিকাংশই বিহারের (Accident in Unnao)

    ঘটনাস্থলে আসেন এসডিএম নম্রতা সিং। দুর্ঘটনাস্থলে (Accident in Unnao) পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের উন্নাওয়ের জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকার সমস্ত হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে। ট্রমা কেয়ার সেন্টারগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। মৃত ও আহতদের অধিকাংশই বিহারের বাসিন্দা। সেই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। নম্রতা জানান, কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে। যাত্রীদের উদ্ধার করাই এখন প্রাথমিক কাজ। তিনি বলেন, ‘‘বিহার থেকে দিল্লি যাচ্ছিল বাসটি। বাসে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, বাস চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চালক। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত এবং আহতদের পরিচয় জানার চেষ্টাও চলছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi In Russia: ভারতে আরও ৬টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র গড়বে রাশিয়া!

    PM Modi In Russia: ভারতে আরও ৬টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র গড়বে রাশিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে পারমাণবিক শক্তিতে (nuclear power units) সমৃদ্ধ করতে চায় রাশিয়া! অন্তত এমনই ইঙ্গিত মিলল মঙ্গলবার, রাশিয়ান স্টেট নিউক্লিয়ার এনার্জি কোম্পানি রোসাটমের কথায়। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে আরও ছ’টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে তারা। সোমবারই দু’দিনের সফরে রাশিয়ায় গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Russia)।

    পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার (PM Modi In Russia)

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণেই রাশিয়ায় গিয়েছেন মোদি। সেখানে মোদি-পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। এই বৈঠকেই সস্তায় শক্তি সরবরাহ রবহার এবং অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। লো-কার্বন শক্তির উৎস হিসেবে বিশ্বে ক্রমেই বাড়ছে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার। ২০২৯ সালের মধ্যে এর ব্যবহার আরও বাড়বে। ইউরেনিয়ামের চেয়েও সস্তা হওয়ায় তামাম বিশ্ব ঝুঁকছে পারমাণবিক শক্তির দিকে।

    ভারতে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে দুটি ইউনিট

    মোদির এই সফর ভারত-রাশিয়ার ২২তম শীর্ষ সম্মেলন। ১৯তম দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত চুক্তি মোতাবেক ২০১৮ সালেই ভারতে ছ’টি নয়া পারমাণবিক কেন্দ্র (PM Modi In Russia) নিয়ে চলছে আলোচনা। ভারতকে ১০০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন মডিউলার রিঅ্যাক্টর দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে পুতিনের দেশ। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সাহায্য করছে রাশিয়া। ভারতে প্রথম দু’টি ইউনিট চালু হয় যথাক্রমে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে। দু’টি কেন্দ্রই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। শেষের পথে আরও দু’টি ইউনিট নির্মাণের কাজ। ২০২১ সালেও শুরু হয়েছে আরও দু’টি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ।

    আর পড়ুন: ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে ঘুরছে পাকিস্তান, অথচ ভিক্ষুকদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত!

    ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগেই বলেছিলেন, “কুদানকুলাম পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিট এক এবং দুই ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে। ইউনিট তিন এবং ছয়ের কাজও চলছে জোরকদমে।” তিনি বলেন, “ভারতের শক্তি সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়া বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।” প্রসঙ্গত, ২০২২ ও ২০২৩ সালে রাসাটম কুদানকুলামে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করেছিল। তবে শক্তির জন্য ভারত কেবল রাশিয়ার ওপরই নির্ভর করে (nuclear power units) নেই। জ্বালানি সংগ্রহের জন্য নয়াদিল্লি স্পট চুক্তি করেছে কাজাখস্তান, ফ্রান্স, উজবেকিস্তান এবং কানাডার সঙ্গেও (PM Modi In Russia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kathua Terror Attack: সেনার উপর ফের হামলা, জবাব দেওয়া হবে হুংকার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    Kathua Terror Attack: সেনার উপর ফের হামলা, জবাব দেওয়া হবে হুংকার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) সেনার কনভয়ে হামলাকে (Kathua Terror Attack) কাপুরুষোচিত বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর প্রতিক্রিয়া পাল্টা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমাজ মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ভবনের এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, “কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এর পাল্টা যোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সমস্ত বীর সেনারা লড়াই করে নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের সমবেদনা রয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত সুস্থতার কামনা করি।”

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বয়ান (Kathua Terror Attack)

    প্রসঙ্গত সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) কঠুয়ার বদনোটা এলাকায় সেনার কনভয়ের উপরে অতর্কিত আক্রমণ করে জঙ্গিরা। এই হামলায় ৫ সেনাবাহিনীর জওয়ান নিহত হয়েছেন। এবছর এ নিয়ে মোট দশটি জঙ্গি হামলার সাক্ষী হয়েছে এই কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল। এক মাসের মধ্যেই শেষ পাঁচটি হামলা হয়েছে। জৈশ-এ-মোহম্মদের শাখা সংগঠন ‘কাশ্মীর টাইগার্স’ এই হামলার দায়িত্ব নিয়েছে। হামলার পর কড়া বয়ান এসেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “যে সমস্ত বীর জওয়ানরা তাঁদের সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে আমরা আছি। তাঁদের এই বলিদান দেশ ভুলবে না। এবং দুষ্ট শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। এই কাপুরুষোচিত হামলার জবাব দেওয়া হবে।”

    পাল্টা জবাব দেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে

    দেশে সরকার গঠনের আগে জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir)  তীর্থ যাত্রীদের উপর হামলা হয়েছিল। এরপর ঘাটি জুড়ে সার্চ অপারেশন শুরু হয়। বহু জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু তারপরও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা যেভাবে একের পর এক আক্রমণ চালাচ্ছে, তাতে দেশবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। দাবি উঠছে, যেভাবে অতীতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইকের মাধ্যমে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পর দীর্ঘদিন জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ ছিল, সরকার ঠিক সেভাবেই পাকিস্তানকে তার ভাষাতেই যোগ্য জবাব দিক।

    সেনার বিবৃতি

    সেনার তরফে জানানো হয়েছে, “হেলিকপ্টার এবং ইউএভি নজরদারির পাশাপাশি গ্রাউন্ড সার্চ দলগুলি অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। এতে স্নিফার ডগ ও মেটাল ডিটেক্টরেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই এলাকার ঘন জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: বঙ্গের ৪ সহ সাত রাজ্যের ১৩ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন বুধবার, লড়াইয়ে কারা?

    সেনাবাহিনী, (Kashmir) পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) মাচেদি, বদনোট, কিন্ডলি এবং লোহাই মালহার এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং (Kathua Terror Attack) অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছে। ”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share