Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Himanta Biswa Sarma: ৪০০ পেলেই কাশী-মথুরায় বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণ, দাবি হিমন্তের

    Himanta Biswa Sarma: ৪০০ পেলেই কাশী-মথুরায় বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণ, দাবি হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারে ফের একবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma) কন্ঠে উঠে এল কাশী এবং মথুরার বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণের কথা। ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় বিজেপির ভোটপ্রচারে তিনি বলেন,‘‘মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব বারাণসী এবং মথুরায় মন্দির ভেঙে মসজিদ বানিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটে আমাদের ৪০০ আসন দিন। আমরা বারাণসীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মন্দির নির্মাণ করব।’’

    ১৫ মে দিল্লিতে একই কথা বলেছিলেন

    প্রসঙ্গত হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma) এমন দাবি প্রথম বা নতুন কিছু নয়। বেশ কয়েকদিন আগেই ১৫ মে দিল্লিতে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিমন্ত বলেন, ‘‘গত বার লোকসভা ভোটে আমরা ৩০০ আসন জিতে অযোধ্যায় রামমন্দির বানিয়েছি। এ বার ৪০০ আসনে জিতে বারাণসীর এবং মথুরায় মন্দির বানাব।’’

    জ্ঞানবাপীর প্রসঙ্গ উঠে এল লোকসভা ভোটের প্রচারে 

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই অযোধ্যার মতো বারাণসী এবং মথুরাতেও হিন্দুদের মন্দির ভেঙে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মসজিদ বানিয়েছিলেন এমনটা নিয়ে বিতর্ক চলছে। সাম্প্রতিক অতীতে, জ্ঞানবাপী মসজিদে শুরু হয়েছে পূজা অর্চনা, এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে। পরবর্তীকালে মুসলিম পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে গেলে, শীর্ষ আদালত এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে। এই আবহে ফের একবার জ্ঞানবাপীর প্রসঙ্গ উঠে এল লোকসভা ভোটের প্রচারে।

    মথুরা নিয়ে বিবাদ

    অন্যদিকে মথুরাতে কৃষ্ণ জন্মভূমিতেও প্রাচীন কাটরা স্তুপ এলাকায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দু পক্ষের দীর্ঘদিনের দাবি, ইদগাহের ওই জমিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান ছিল এবং তা ছিল কেশব দাস মন্দির। অভিযোগ, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের মতো, মথুরার ওই মন্দিরও ধ্বংস করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। তাঁর নির্দেশে ১৬৬৯ থেকে ১৬৭০ সালের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছিল মসজিদ ১৩.৩৭১ একর জমিতে। এই জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ হাইকোর্টে আজও বিচারাধীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Loksabha Election 2024: প্রতি বুথে ভোটদানের হার প্রকাশে বিভ্রান্তি বাড়বে, সুপ্রিম কোর্টে কমিশন

    Loksabha Election 2024: প্রতি বুথে ভোটদানের হার প্রকাশে বিভ্রান্তি বাড়বে, সুপ্রিম কোর্টে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুটি দফা শেষ হলেই এবারের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভোট শেষ হতে গেলেও ভোট দানের হার নিয়ে রয়েছে বিরোধীদের মধ্যে অসন্তোষ এবং কিছুক্ষেত্রে শাসকদলের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এমনকি অনেক রাজ্যে বিজেপিও কমিশনের ভূমিকা সন্দেহের উর্ধ্বে রাখেনি। ভোট দানের হার জানানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে হয়েছে মামলা। এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “বুথে ভোটার টার্ন আউট অর্থাৎ কোন বুথে কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য প্রার্থী বা তাঁর এজেন্টকে ছাড়া অন্য কাউকে জানানোর কোনও আইন বা নির্দেশ নেই। কোন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে সেই তথ্য সকলকে জানাতে হবে এমন কোন আইনি বিধান নেই।” সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত ফর্ম ১৭(সি) ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (ADR)। এরই উত্তরে কমিশন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ২২৫ পাতার হলফনামায় জানিয়েছে, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোট গ্রহণের পর শুধুমাত্র প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্টকেই এই তথ্য সম্বলিত ফর্ম ১৭ (সি) দেওয়ার আইনি বিধান রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছায় ভোটার টার্ন আউট আউট নিজেদের অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে, দাবি পিকে-র

    নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মহেন্দ্র সিং ও অমিত শর্মা আরও জানান, “ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশনের তরফে দুই ঘন্টার ব্যবধানে প্রাপ্ত ভোটের তথ্য জানানো হয়। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, টিভি চ্যানেল যে তথ্য প্রকাশ করে তা অনেক সময়ই কমিশনের তথ্যের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।” নির্বাচন কমিশনের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। যদি ফর্ম ১৭ (সি) প্রকাশ্যে চলে আসে, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে তথ্য বিকৃত হওয়া থেকে শুরু করে প্রার্থীর নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এমনকি নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবার সম্ভাবনাও থাকে।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    নির্বাচন কমিশনের অবস্থানকে কড়া আক্রমণ করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রধান মুখপাত্র জয রাম রমেশ বলেছেন, “যে সমস্ত রাজ্যের বিজেপি খারাপ ফল করতে পারে কিংবা আসন হারানোর ভয় রয়েছে, সেখানে প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত ভোটের হারের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। অন্যদিকে দলের আরও এক প্রবীণ নেতা তথা পেশায় আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেছেন, “যদি কত ভোট গণনা হয়েছে সেই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে জানানো যায়, তাহলে কত ভোট পড়েছে তা কেন জানানো যাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে, দাবি পিকে-র

    Lok Sabha Election 2024: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে, দাবি পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে (Lok Sabha Election 2024)। অন্তত এমনই দাবি করলেন ভোট কুশলী তথা ‘জন সুরাজ পার্টি’র প্রধান প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। কেবল তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশে যে কোনও ক্ষোভ নেই, তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন পিকে।

    কী বলছেন পিকে? (Lok Sabha Election 2024)

    দিন দুই আগেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও একই কথা বলেছিলেন পিকে। তিনি এও বলেছিলেন, “বিজেপি যে জিতবে, তা আমি গত পাঁচ মাস ধরে বলে আসছি।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই ভোট কুশলী বলেন, “রাহুল গান্ধী ক্ষমতায় এলে সোনা ফলবে, এমন কথা আমরা শুনিনি। তাঁর সমর্থকরা তা বলতে পারেন, কিন্তু আমি বলছি বৃহত্তর পরিসর সম্পর্কে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই, নেই তাঁর প্রতিস্পর্ধীকে নিয়ে বিরাট কিছু মাতামাতিও।” প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে না পারায় বিজেপি-বিরোধী দলের জোটের সমালোচনাও করেন পিকে।

    বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী কে?

    প্রসঙ্গত, ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’ যে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে ব্যর্থ, সেকথা নানা জনসভায় বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। শাসক দলের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও ইস্যু কিংবা বিশ্বস্ত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে না পারাটা বিরোধীদের দুর্বলতা বলেও মনে করেন ‘জন সুরাজ পার্টি’ সুপ্রিমো। তিনি বলেন (Lok Sabha Election 2024), “ভোটারদের একটা অংশের চাহিদা পূরণ করতে পারেনি মোদি সরকার। তাই তাঁদের মধ্যে হতাশা ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বিরোধীরা। নানা সময় আসা সুযোগগুলো কাজে লাগালে অতীতে দুর্বল করে দেওয়া যেত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে, নড়বড়ে করে দেওয়া যেত বিজেপির অবস্থানকে।”

    আর পড়ুন: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    পিকে বলেন, “গত জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময়ই কার্যত বিরোধীরা হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে যখন তারা গা ঝাড়া দিয়ে উঠল, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তার আগেই বিজেপি তার হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে নিয়েছে (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “তোমরা ওখানেও নিরাপদ নও”! উরি-পুলওয়ামা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “তোমরা ওখানেও নিরাপদ নও”! উরি-পুলওয়ামা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তপারের সন্ত্রাস কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। যদি কেউ বা কারা ভাবে ভারতে সন্ত্রাস চালিয়ে কাঁটাতারের ওপারে পালিয়ে গিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যাবে তারা ভুল ভাবছে উরি, বা পুলওয়ামা (Uri and Pulwama Attacks) এর প্রমাণ, বলে দাবি বিদেশমন্ত্রীর। জয়শঙ্কর জানান, সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের আমলে যে স্টান্স নেওয়া হয়েছে, তা ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার সময় থেকে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে।

    কড়া জবাব জয়শঙ্করের

    ভারতের মতো বিশাল দেশে নিরাপত্তা যে কতবড় চ্যালেঞ্জ সেই প্রসঙ্গ ধরেই নাম না করে ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। নয়া দিল্লির এক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন,  “সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের আমলে যে স্টান্স নেওয়া হয়েছে, তা ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার সময় থেকে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। উরি হামলার পর পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। আগে ভারত সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ সহ্য করত। ওই যুগটা পিছনে রয়েছে। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে আমরা কোনও বড় সন্ত্রাসবাদ হামলা দেখিনি দেশে। আজকের ভারতে যেকোনও সন্ত্রাসবাদই হোক..আমাদের জবাব বালাকোট.. উরি (হামলার পাল্টা হামলা)।’

    বোঝানোর জন্যই উরি-বালাকোট

    এদিন, কার্যত নাম না করে পাক সন্ত্রাসবাদীদের নিশানা করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তোমরা ওখানেও নিরাপদ নও। উরি আর বালাকোট করাই হয়েছিল বোঝানোর জন্য যে, না এভাবে জীবন কেটে যেতে পারে না,… মূল্য চোকাতে হবে। আর ভেবোনা যে তুমি কিছু করেছ বলে, আর ওই প্রান্তে পালিয়ে গিয়েছ বলে তুমি নিরাপদে রয়েছ। তুমি ওই প্রান্তেও নিরাপদ নও। তুমি সীমান্তের কাছেও নিরাপদ নও, তুমি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করেও নিরাপদ নও। ফলে স্পষ্ট ও সরাসরি বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদের , যাদের বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, আর তারা তা বুঝেছে।” এর ফল স্বরূপ (Uri and Pulwama Attacks) দেশে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা কমেছে বলে দাবি জয়শঙ্করের। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুনের হুমকি-ফোন! চেন্নাইয়ে সতর্ক এনআইএ আধিকারিকরা

    নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী পদ

    এদিন  রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে সম্ভাবনার কথাও বলেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সবকিছু ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে  রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য ১৫ টি দেশ। আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইউকে সহ একাধিক দেশ রয়েছে সেখানে। স্থায়ী পদ পাওয়ার লড়াইতে রয়েছে ভারতও। অচিরেই তা মিলবে বলে মনে করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুনের হুমকি-ফোন! চেন্নাইয়ে সতর্ক এনআইএ আধিকারিকরা

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুনের হুমকি-ফোন! চেন্নাইয়ে সতর্ক এনআইএ আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির নর্থ ব্লকে বিস্ফোরণের হুমকির পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) মেরে ফেলার হুমকি ফোন পেল এনআইএ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের (Chennai) পুরশৈবকমে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র কার্যালয়ে এই ফোন আসে ৷ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এনআইএ-র কন্ট্রোল রুমে ফোন করে হিন্দি ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে খুন করার হুমকি দেয় ৷

    প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি ফোন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) মেরে ফেলার হুমকি শুনেই সতর্ক হয়ে যায় এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে চেন্নাই পুলিশে খবর দেয় ৷ যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেই নম্বরটিও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে ৷ চেন্নাইয়ের সাইবার ক্রাইম পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ৷ কোথা থেকে এই ফোন এসেছিল ? ফোন করতে কোন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে ? সাইবার ক্রাইম পুলিশ এই তথ্যগুলির সন্ধান করছে ৷ তবে মনে করা হচ্ছে বিষয়টি পুরোপুরি ভুয়ো। ভয় দেখানোর জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবুও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে চায় না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই সব দিক খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শ্বাসরোধ করেই খুন বাংলাদেশি সাংসদকে, টুকরো করে লোপাট করা হয় দেহাংশ!

    বোমা হামলার হুমকি

    এর আগে বধুবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লির নর্থ ব্লকে বোমা হুমকির মেল আসে ৷ সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কার্যালয় রয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, কুকুরের স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াড ৷ তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি ৷ পরে এই মেলকে ভুয়ো মেল বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ দেশ এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এসময় এরকম অনেক হুমকি আসে।  এর আগে দিল্লির কিছু হাসপাতালে ও ৭০ এর বেশি দিল্লি ও নয়ডার স্কুলে বোমা হামলার হুমকি এসেছিল। কলকাতাতেও কিছুদিন আগে এরকম এক উড়ো মেলের খবর রটেছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    Lok Sabha Elections 2024: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক।” উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Lok Sabha Elections 2024)। এদিনের জনসভায় আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি বিরোধী জোটকে। বলেন, “তারা (ইন্ডি) যদি ছড়িয়ে পড়ে, তবে গোটা ভারতকে ধ্বংস করে দেবে। ক্যান্সারের চেয়েও তিনটি রোগ দেশের পক্ষে মারাত্মক। এই রোগগুলি হল, এই লোকগুলো দারুণভাবে সাম্প্রদায়িক, এরা ভীষণভাবে বর্ণবাদী, এরা ভয়ঙ্করভাবে পরিবারবাদী।”

    বন্ধ করে দেবে জনধন অ্যাকাউন্ট! (Lok Sabha Elections 2024)

    প্রসঙ্গত, অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন হবে ২৫ মে, শনিবার। দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ৪৩০টি আসনে (Lok Sabha Elections 2024)। শ্রাবস্তীর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “শ্রাবস্তীর একটি সমৃদ্ধশালী এবং পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে। সারা বিশ্বের পর্যটকরা এই জায়গা দর্শন করতে আসেন। তা সত্ত্বেও পূর্বতন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস কখনও এখানকার উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়নি।” জনধন প্রকল্পে দেশে ৫০ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও দাবি প্রধানমন্ত্রীর। বলেন, “মোদি ৫০ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষকে খুলে দিয়েছে জনধন অ্যাকাউন্ট। তারা (বিরোধীরা) আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে। আপনার টাকা ছিনিয়ে নেবে।”

    আর পড়ুন: স্বাতীর পাশে নির্ভয়ার মা, আপকে নিশানা ‘নির্যাতিতা’ সাংসদের

    দুই ছেলের জুটি

    তিনি যে সামান্য একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মোদি কোনও রাজ পরিবার থেকে আসেনি। আমি এই মায়েদের মতো এক গরিব মায়ের সন্তান। আমি কারও জন্য কিছু অর্জন করতে চাই না। তবে আমি দেশকে এমন শক্তিশালী করতে চাই যে বংশবাদী দলগুলি যেন আর দেশকে ধ্বংস করতে না পারে। এজন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই।” কংগ্রেস-সমাজবাদী দলের জোটকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউপিতে ফের চালু হয়েছে দুই ছেলের (রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব) জুটি। একই পুরানো ফ্লপ ছবি, একই পুরানো চরিত্র, একই পুরানো সংলাপ। পুরো নির্বাচন শেষ হতে চলেছে, কিন্তু আপনি কী এই লোকদের কাছ থেকে একটিও নতুন কথা শুনেছেন (Lok Sabha Elections 2024)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Swati Maliwal: স্বাতীর পাশে নির্ভয়ার মা, আপকে নিশানা ‘নির্যাতিতা’ সাংসদের

    Swati Maliwal: স্বাতীর পাশে নির্ভয়ার মা, আপকে নিশানা ‘নির্যাতিতা’ সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে স্বাতী মালিওয়ালকাণ্ডের (Swati Maliwal) মেঘ! এবার আম আদমি পার্টির (আপ) এই সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন দিল্লিতে গণধর্ষণের জেরে মৃত নির্ভয়ার মা আশা দেবী।

    স্বাতীর পাশে নির্ভয়ার মা (Swati Maliwal)

    আশা বলেন, “নির্ভয়ার বিরুদ্ধে আম জনতার ক্ষোভের আগুন থেকেই দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছিল আপ।” তিনি বলেন, “রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালই যদি নিরাপদ না হন, তাহলে এই সরকারের কাছ থেকে সাধারণ মহিলারা কী ধরনের নিরাপত্তা আশা করতে পারেন?” তিনি বলেন, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি নিজেকে দিল্লিবাসীর ভাই ও ছেলে হিসেবে পরিচয় দেন। সেটা মাথায় রেখেই বলছি, তাঁর এ ব্যাপারে মুখ খোলা উচিত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নেওয়া উচিত উপযুক্ত ব্যবস্থা।”

    নির্ভয়ার মা পাশে দাঁড়ানোয় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্বাতী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “নির্ভয়ার মা বিচারের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছিলেন। এমনকি আমি যখন ওই নাবালিকার ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে অনশন করছি, তিনি আমার পাশে ছিলেন। আজ তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।”

    রূপকের মৃত্যু!

    দিল্লির (Swati Maliwal) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রাক্তন সহায়ক বিভব কুমারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন স্বাতী। সে প্রসঙ্গে বুধবার কেজরিওয়াল বলেন, “আমি আশা করি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। উপযুক্ত বিচারই হবে।” আপ সুপ্রিমোর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আরও একটি ট্যুইট করেছেন স্বাতী। লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে দলীয় নেতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের ছড়িয়ে দিয়ে, আমাকে বিজেপির এজেন্ট বলা হচ্ছে, আমার চরিত্রে কালি ছেটানো হচ্ছে, এডিট করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত আমার পাশে পাশেই ঘুরছে, প্রমাণ বিকৃত করছে। তাঁরা (দলীয় নেতারা) অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। যে মুখ্যমন্ত্রীর ড্রয়িং রুমে আমায় মারধর করা হল, তিনি কিনা বলছেন নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। রূপকের মৃত্যু হয়েছে হাজারবার।”

    কটু কথা বলতে দলীয় নেতাদের চাপ!

    তাঁর বিরুদ্ধে কটু কথা বলতে দলের তরফে নেতাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি স্বাতীর। তাঁর লড়াইয়ের জেদ ভেঙে দিতে তাঁর ব্যক্তিগত ছবিও প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “দলের এক প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন স্বাতীর সম্পর্কে বাজে কথা বলার জন্য ভীষণ চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। আমার ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ্যে আনতেও বলা হচ্ছে।… কোনও কোনও রিপোর্টারকে জাল স্টিং অপারেশনও চালাতে বলা হচ্ছে (Swati Maliwal)।”

  • Oldest Operational Dam: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    Oldest Operational Dam: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষ ইতিহাসের দেশ। এমন কত ঐতিহাসিক স্থাপত্য আজও জমা রয়েছে ভারতবর্ষের (India) বুকেই। তেমনি এক ঐতিহাসিক নিদর্শন হল কাল্লানাই বাঁধ। ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত তামিলনাড়ু শুধুমাত্র তার প্রাচীন প্রকৌশল কিংবা প্রাচীন মন্দিরের জন্য বিখ্যাত নয় বরং এইখানে রয়েছে এমন এক স্থাপত্য যার জন্য সারা ভারত তথা বিশ্বের মধ্যে বিখ্যাত এ রাজ্য। তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায় ১৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত একটি বাঁধ রয়েছে। যা ভারতের প্রাচীনতম বাঁধ (Oldest Operational Dam) এবং বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম জল নিয়ন্ত্রক কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হয়।  কাবেরী নদীর উপর নির্মিত এই কাল্লানাই বাঁধ চোল রাজবংশের রাজা কারিকালা চোলের রাজত্বকালে নির্মিত হয়। রাজা কারিকালা প্রাচীন তামিলনাড়ুতে শাসনকারী সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাটদের মধ্যে একজন ছিলেন। 

    কেন তৈরি হয়েছিল এই বাঁধ? (Oldest Operational Dam)

    জানা গিয়েছে, এই বাঁধ নির্মাণের পেছনে প্রধান কারণ ছিল নদীর জলকে  ধরে রেখে তা কৃষি কাজে ব্যবহার করা এবং পরোক্ষ ভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা। কারিকালা চোল বুঝতে পেরেছিলেন যে কাবেরী ঘন ঘন প্লাবিত হয়। ফলে প্রতি বছর ওই এলাকার বাসিন্দাদের বন্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই প্রজাদের রক্ষা করতে তিনি কাবেরীর উপর এই বিশাল বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।     

    এই বাঁধের বিশেষত্ব 

    প্রতি সেকেন্ডে দুই লক্ষ ঘনফুট জল প্রবাহিত কাবেরীর উপর নির্মিত এই বাঁধটি ২১০০ বছর ধরে একইরকম ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার প্রধান কারণ হল প্রাচীন তামিলদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান। সে সময় বাঁধ (Oldest Operational Dam) নির্মাণের জন্য প্রথমে নদীতে বড় বড় পাথর বসানো হয়েছিল। কিন্তু জলের স্রোতে ক্ষয়ের কারণে পাথরগুলো ভেঙে মাটিতে মিশে গিয়েছিল। এরপর ওই পাথরের স্তরগুলির উপর স্থাপন করা হয়েছিল এক ধরনের কাদামাটির মিশ্রণ যা জলে দ্রবণীয় ছিল না। বরং সেই মিশ্রণ একটি আঠালো পদার্থে পরিণত হয়েছিল যাতে পাথরগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বছরের পর বছর ধরে।   

    আরও পড়ুন: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    আজও সমান সচল এই বাঁধ

    জানা গিয়েছে, এরপর ১৯ শতকে ব্রিটিশরা এই বাঁধটির সংস্কার করে। ১৮০৪ সালে, ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন ক্যাল্ডওয়েল, একজন সামরিক প্রকৌশলীকে কাবেরী নদী এবং ব-দ্বীপ অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় সেচ ব্যবস্থার উন্নতি করার দায়িত্ব দেয়। সেই সময় ক্যাল্ডওয়েল বাঁধটিকে (Oldest Operational Dam) উঁচু করার পরামর্শ দেন এবং তিনি বাঁধের পাথর ৬৯ সেন্টিমিটার বাড়িয়ে দেন, যার ফলে বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পায়। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই ২১০০ বছরের পুরনো বাঁধটি (Oldest Operational Dam) এখনও সফলভাবে কাবেরীর জল ধরে রেখে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে চলেছে। তাই সারা বিশ্ব থেকে বহু পর্যটক এই বাঁধ দেখতে হাজির হন তামিলনাড়ুতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ ‘ইন্ডি’ জোটকে একটা বড় থাপ্পড় মেরেছে কলকাতা হাইকোর্ট।” ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে বুধবার এক নির্বাচনী জনসভায় এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০১০ সালের পর থেকে জারি হওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য যাচাই না করেই তাঁদের ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আজ আদালত থাপ্পড় মেরেছে।” কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডি জোটকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন (PM Modi), “এরাই বলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার মুসলমানদের। এরাই লাগাতার সরকারি জমি ওয়াকফ বোর্ডকে দিচ্ছে, পরিবর্তে ভোট চাইছে। এরা ধর্মের ভিত্তিতে সরকারি টেন্ডার দিতে চাইছে।”

    কী বললেন শাহ?

    কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুসলমানদের ওবিসি সংরক্ষণ দিতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের রায় মানেন না। বাংলার মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন, এমন কোনও মুখ্যমন্ত্রী কি হতে পারেন, যিনি বলেন আদালতের নির্দেশ মানেন না? এতেই স্পষ্ট, বাংলায় গণতন্ত্র কী অবস্থায় রয়েছে!” এনিয়ে একটি ট্যুইটও করেন শাহ।

    আর পড়ুন: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    বিজেপি যে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চায় না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “হাইকোর্টের রায় যাতে কার্যকর হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করব। যাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির, তাঁরা যাতে নিজেদের অধিকার পান, তা আমরা নিশ্চিত করব। যাঁরা ওবিসি নন, তুষ্টিকরণের নীতি ও ভোটব্যাঙ্কের নীতির জন্য তাঁদের ওবিসির সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী নতুন করে তালিকা তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pawan Singh Expelled: জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি

    Pawan Singh Expelled: জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একেবারে প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল তাঁর। বেশ চর্চায় ছিলেন এই ভোজপুরি গায়ক। পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল কেন্দ্র থেকে হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। প্রার্থী হয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে সেই পবন সিং আসানসোল থেকে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছিলেন। পরে দেখা যায় তিনি বিজেপির টিকিট প্রত্যাখ্যান করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিহারের ৩৫ নম্বর কারাকাট লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। NDA-র শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার (RLM) প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন পবন। তাই দল বিরোধী কাজের অভিযোগে জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ককে বহিষ্কার করল বিজেপি।  

    বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত পবন সিং (Pawan Singh Expelled)

    বিজেপির বিহার শাখার পক্ষ থেকে পবন সিংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, “আপনি এনডিএ-র প্রার্থীর বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আপনার এই কাজ দলীয় শৃঙ্খলার বিরোধী। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।” এই চিঠিতে সই রয়েছে বিহার বিজেপির সভাপতি সম্রাট চৌধুরীর। আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এরপর পবন সিং-এর কয়েকটি গানের পোস্টার দেখিয়ে তাঁকে নারী বিদ্বেষী প্রমাণ করার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল। সমালোচনা শুরু হতেই হঠাৎ করেই নিজের সামাজিক মাধ্যমে একাউন্টে পোস্ট করে পবন সিং আসানসোল থেকে লড়বেন না বলে জানিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে তৃণমূল জমানায় দেওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! বড় রায় হাইকোর্টের

    এরপর ১৩ই মার্চ কারাকাট থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেন। তার মা প্রতিমা সিংও এই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। সেই সময় সামাজিক মাধ্যমে এই ভোজপুরি গায়ক নায়ক লিখেছিলেন, তিনি তাঁর মা, সমাজ এবং জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করতেই লোকসভা নির্বাচন লড়ছেন। তবে হঠাৎ করেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব হল কী কারণে তা এখনও প্রকাশ পায়নি।

    ‘কাঁচি’ প্রতীক চিহ্নে লড়বেন পবন

    নির্দল প্রার্থী হয়ে পবন সিং ‘কাঁচি’ চিহ্ন প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন। তবে এই কাঁচি দিয়ে তিনি এনডিএ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ কেটে ফেলতে পারেন কি না তা জানা যাবে ৪ জুন। যদিও বিজেপির থেকে তার ভবিষ্যৎ যে ‘কাঁচি’ (Pawan Singh Expelled) হয়ে গিয়েছে তা এদিনের সম্রাট চৌধুরীর বহিষ্কারের চিঠি থেকেই বোঝা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share