Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ ‘ইন্ডি’ জোটকে একটা বড় থাপ্পড় মেরেছে কলকাতা হাইকোর্ট।” ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে বুধবার এক নির্বাচনী জনসভায় এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০১০ সালের পর থেকে জারি হওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য যাচাই না করেই তাঁদের ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আজ আদালত থাপ্পড় মেরেছে।” কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডি জোটকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন (PM Modi), “এরাই বলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার মুসলমানদের। এরাই লাগাতার সরকারি জমি ওয়াকফ বোর্ডকে দিচ্ছে, পরিবর্তে ভোট চাইছে। এরা ধর্মের ভিত্তিতে সরকারি টেন্ডার দিতে চাইছে।”

    কী বললেন শাহ?

    কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুসলমানদের ওবিসি সংরক্ষণ দিতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের রায় মানেন না। বাংলার মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন, এমন কোনও মুখ্যমন্ত্রী কি হতে পারেন, যিনি বলেন আদালতের নির্দেশ মানেন না? এতেই স্পষ্ট, বাংলায় গণতন্ত্র কী অবস্থায় রয়েছে!” এনিয়ে একটি ট্যুইটও করেন শাহ।

    আর পড়ুন: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    বিজেপি যে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চায় না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “হাইকোর্টের রায় যাতে কার্যকর হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করব। যাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির, তাঁরা যাতে নিজেদের অধিকার পান, তা আমরা নিশ্চিত করব। যাঁরা ওবিসি নন, তুষ্টিকরণের নীতি ও ভোটব্যাঙ্কের নীতির জন্য তাঁদের ওবিসির সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী নতুন করে তালিকা তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pawan Singh Expelled: জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি

    Pawan Singh Expelled: জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একেবারে প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল তাঁর। বেশ চর্চায় ছিলেন এই ভোজপুরি গায়ক। পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল কেন্দ্র থেকে হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। প্রার্থী হয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে সেই পবন সিং আসানসোল থেকে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছিলেন। পরে দেখা যায় তিনি বিজেপির টিকিট প্রত্যাখ্যান করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিহারের ৩৫ নম্বর কারাকাট লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। NDA-র শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার (RLM) প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন পবন। তাই দল বিরোধী কাজের অভিযোগে জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ককে বহিষ্কার করল বিজেপি।  

    বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত পবন সিং (Pawan Singh Expelled)

    বিজেপির বিহার শাখার পক্ষ থেকে পবন সিংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, “আপনি এনডিএ-র প্রার্থীর বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আপনার এই কাজ দলীয় শৃঙ্খলার বিরোধী। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।” এই চিঠিতে সই রয়েছে বিহার বিজেপির সভাপতি সম্রাট চৌধুরীর। আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এরপর পবন সিং-এর কয়েকটি গানের পোস্টার দেখিয়ে তাঁকে নারী বিদ্বেষী প্রমাণ করার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল। সমালোচনা শুরু হতেই হঠাৎ করেই নিজের সামাজিক মাধ্যমে একাউন্টে পোস্ট করে পবন সিং আসানসোল থেকে লড়বেন না বলে জানিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে তৃণমূল জমানায় দেওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! বড় রায় হাইকোর্টের

    এরপর ১৩ই মার্চ কারাকাট থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেন। তার মা প্রতিমা সিংও এই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। সেই সময় সামাজিক মাধ্যমে এই ভোজপুরি গায়ক নায়ক লিখেছিলেন, তিনি তাঁর মা, সমাজ এবং জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করতেই লোকসভা নির্বাচন লড়ছেন। তবে হঠাৎ করেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব হল কী কারণে তা এখনও প্রকাশ পায়নি।

    ‘কাঁচি’ প্রতীক চিহ্নে লড়বেন পবন

    নির্দল প্রার্থী হয়ে পবন সিং ‘কাঁচি’ চিহ্ন প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন। তবে এই কাঁচি দিয়ে তিনি এনডিএ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ কেটে ফেলতে পারেন কি না তা জানা যাবে ৪ জুন। যদিও বিজেপির থেকে তার ভবিষ্যৎ যে ‘কাঁচি’ (Pawan Singh Expelled) হয়ে গিয়েছে তা এদিনের সম্রাট চৌধুরীর বহিষ্কারের চিঠি থেকেই বোঝা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঠ-মিশন-সংঘের সাধু-সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে বেঁফাস মন্তব্য করে বিপাকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মুখ্যমন্ত্রীর বেলাগাম মন্তব্যে সন্ন্যাসী ও আশ্রমের ওপর হামলার ঘটনা বাড়বে বলেই মনে করেন বিভিন্ন মঠ-মিশন কর্তৃপক্ষ। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। মামালার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে।

    কী বলেছিলেন মমতা? (Viswa Hindu Parishad)

    সন্ন্যাসী বিতর্কের জল এতদূর গড়ানোর কারণ শনিবার আরামবাগের এক জনসভায় করা তৃণমূল নেত্রীর একটি মন্তব্য। ওই সভায় মমতা রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েকজন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার কার্তিক মহারাজের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সব সাধু সামান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ রয়েছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই (Viswa Hindu Parishad) মন্তব্যের পরে পরেই শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আর পড়ুন: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজ্যও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজ। চিঠিতে চার দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। চার দিনের মধ্যে জবাব না মিললে মহারাজ আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। মহারাজের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। তাঁর সম্মানহানির চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী অসত্য ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ ওই সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর। সাধুদের নিশানা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন মঠ-মিশন-আশ্রমের সাধু-সন্তরা। এহেন আবহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Prashant Kishor: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    Prashant Kishor: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসতে চলেছে, সে ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে (Prashant Kishor)।

    পেট্রোল-ডিজেল আসবে জিএসটির আওতায়! (Prashant Kishor)

    এবার তিনি জানালেন, এনডিএ ফের ক্ষমতায় এলে পেট্রোল-ডিজেল চলে আসতে পারে জিএসটির আওতায়। পরিকাঠামোগত এবং প্রশাসনিক নানা পরিবর্তনও হাতে পারে। পিকে বলেন, “মোদি ফের একবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলে ক্ষমতা ও সম্পদ আরও বেশি করে কেন্দ্রের অধীনস্থ থাকবে। রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করা হতে পারে।” ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এই ভোট কুশলী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ‘কাজ করেছিলেন’ তৃণমূলের হয়ে। পিকে বলেন, “বর্তমানে দেশের প্রতিটি রাজ্য তিনভাবে আয় করতে পারে। পেট্রোলিয়াম, আবগারি ও জমি।” তিনি বলেন, “আমি অবাক হব না যদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার পেট্রোলিয়ামকেও জিএসটির আওতায় নিয়ে আসে।” প্রসঙ্গত, পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি এই ইন্ডাস্ট্রির দীর্ঘ দিনের। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে এ ব্যাপারেই পদক্ষেপ করতে পারে মোদি সরকার।

    আর পড়ুন: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    কী বললেন পিকে?

    পিকে (Prashant Kishor) বলেন, “উনিশের নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৩০৩টি আসনে। এবারও তাদের আসন সংখ্যা থাকবে এর আশপাশেই। ৩০৩ ছাড়িয়েও যেতে পারে। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিই যে ক্ষমতায় ফিরবে, সে কথা আমি বলে এসেছি। এখনও তাই বলছি।” ‘জন সুরাজ পার্টি’র সুপ্রিমো পিকে বলেন, “মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের কোনও ক্ষোভ রয়েছে, এমন কথা দেশের কোনও প্রান্তেই শুনিনি।” তিনি বলেন, “সাধারণভাবে সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে জনগণের প্রচণ্ড ক্ষোভ, হতাশা, অপূর্ণ আকাঙ্খার বহিঃপ্রকাশ না থাকলে ভোটের ফল শাসকের অনুকূলেই যায়।” সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিকে দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের এক নম্বর দল হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে তাদের সংগঠন বাড়াতে যে কঠোর পরিশ্রম করেছে, তার ফলেই এমনটা হতে পারে বলেই দাবি পিকের (Prashant Kishor)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Online Fraud: নয়া ব্যাঙ্কিং প্রতারণার ফাঁদ! বাঁচার উপায় কী? জানুন এবং সুরক্ষিত থাকুন

    Online Fraud: নয়া ব্যাঙ্কিং প্রতারণার ফাঁদ! বাঁচার উপায় কী? জানুন এবং সুরক্ষিত থাকুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সঙ্গে বেড়েছে প্রতারণা। পারম্পরিক চুরি ডাকাতির জায়গা নিয়েছে অনলাইন চুরি (Online Fraud)।  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একেবারে পুরো টাকা হাপিস করার নতুন উপায় নিয়ে আসছে হ্যাকাররা। গ্রাহকরা এখন সময় বাঁচাতে অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা গ্রহণ করছে এবং প্রতারকরা তাদের কেলেঙ্কারি চালাতে এখন ব্যবহার করছে ফাইল ডাউনলোড জালিয়াতি। দেশের প্রধান ব্যাঙ্কগুলি, যেমন AU Bank, SBI, PNB, Axis Bank, এবং অন্যান্যগুলি গ্রাহকদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশগুলি প্রদান করেছে। APK ফাইল ডাউনলোড স্ক্যাম এখন OTP স্ক্যামের জায়গা নিয়েছে। আসুন এই নতুন স্ক্যাম কৌশলগুলি সম্পর্কে জেনে নিন। ব্যাঙ্কগুলি তাদের ক্লায়েন্টদের স্ক্যামারদের ফাঁদে পড়া থেকে সতর্ক করছে।

    APK ফাইল ডাউনলোড স্ক্যাম

    ইতিমধ্যেই দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক SBI ফাইল জালিয়াতির বিষয়ে সতর্ক করেছে। যে কোন পরিচিত থার্ড পার্টি অ্যাপ বা অ্যাপের APK ফাইল যা আপনার সমস্ত তথ্য অ্যাক্সেস করতে চায় এমন অ্যাপ বা APK ফাইল ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ হ্যাকাররা সহজেই আপনার সমস্ত তথ্য পেয়ে যেতে পারে এবং জালিয়াতি করতে পারে। এর আগে, এসবিআই নিজের গ্রাহকদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, জালিয়াতি রোধ করতে হোয়াটসঅ্যাপ বা বার্তার মাধ্যমে প্রাপ্ত কোনও লিঙ্ক না খুলতে বলেছিল। প্রথমে হ্যাকাররা গ্রাহককে মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক পাঠায়। গ্রাহক যখন APK ফাইলে ক্লিক করেন এবং এটি ইনস্টল করেন, তখন তাদের স্ক্রিনে বিভিন্ন সতর্কবার্তা দেখা যায়। এর পরে, হ্যাকার তাদের হ্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল ফোনের অ্যাক্সেস লাভ করে, যা প্রতারণার দিকে পরিচালিত করে।

    প্রতারণা থেকে বাঁচতে

    APK ফাইলের আকার মাত্র কয়েক KB হলে কখনই লিঙ্ক ক্লিক বা ডাউনলোড করবেন না। যদি একটি ইনস্টল করা APK ফাইল ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, জিপিএস, পরিচিতি, এসএমএস ইত্যাদির জন্য অনুমতির অনুরোধ করে, তাহলে অবিলম্বে আপনার ফোন থেকে সেই অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন।

    আরও পড়ুন: Lok Sabha Elections 2024: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    আপনার ফোনে যদি অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে, এটি অবিলম্বে বিপদ সনাক্ত করবে, এটি নির্দেশ দেবে যে APK ফাইলটি নিরাপদ নয়। ব্যবহারকারীদের গুগল প্লে স্টোর থেকে সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত। পর্যায়ক্রমে আপনার ফোন রিবুট করুন।

    অন্যান্য বেসরকারি ব্যাঙ্কের সাবধান বাণী (Online Fraud)

    এটি উল্লেখ করার মত যে ICICI ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং AU ব্যাঙ্কও তাদের গ্রাহকদের অনলাইন জালিয়াতি (Online Fraud) থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করেছে। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক কোনও অনলাইন তথ্য শেয়ার করার আগে তার গ্রাহকদের উৎস যাচাই করার জন্য অনুরোধ করে। যেই ব্যাঙ্কে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে তাঁদের গাইডলাইন মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Driving License New Rules: লাইসেন্সের জন্য আরটিওতে দিতে হবেনা ড্রাইভিং টেস্ট! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম

    Driving License New Rules: লাইসেন্সের জন্য আরটিওতে দিতে হবেনা ড্রাইভিং টেস্ট! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বদলে যাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License New Rules) পাওয়ার নিয়ম। সম্প্রতি ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিরাট ঘোষণা করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক (Ministry of Road Transport and Highways)। জানা নিয়েছে এবার থেকে লাইসেন্স পেতে আর ছুটতে হবে না রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (RTO) । ১ জুন থেকে এমনই নিয়ম চালু হচ্ছে দেশে। 

    ঠিক কী ঘোষণা করেছে সরকার? (Driving License New Rules) 

    নতুন নিয়মে (Driving License Rules 2024) বলা হয়েছে, এবার থেকে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আঞ্চলিক পরিবহন অফিস বা আরটিও-তে গিয়ে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হবে না। বরং আগামী ১ জুন থেকে, সরকারি আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসের পরিবর্তে, বেসরকারি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই ড্রাইভিং পরীক্ষা দেওয়া যাবে। লাইসেন্সের যোগ্যতার জন্য পরীক্ষা পরিচালনা এবং সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য সরকারি অনুমোদন দেওয়া হবে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে। 
    তবে এই অনুমোদন পাওয়ার জন্য বেসরকারি ড্রাইভিং স্কুলগুলির জন্য কিছু নতুন নিয়ম জারি করেছে মন্ত্রক –
    ১) ড্রাইভিং স্কুলগুলিতে ন্যূনতম ১ একর জমি থাকতে হবে। চার চাকার গাড়ির প্রশিক্ষণের জন্য ন্যূনতম ২ একর জমি থাকা বাধ্যতামূলক। 
    ২)প্রশিক্ষকদের অবশ্যই কোনও হাইস্কুলের ডিপ্লোমা বা তার সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে, তার কমপক্ষে ৫ বছরের ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া, বায়োমেট্রিক্স এবং আইটি সিস্টেমের পরিচয় থাকা আবশ্যক।
    ৩)স্কুলগুলিকে অবশ্যই উপযুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
    ৪)হালকা মোটরগাড়ির জন্য ৪ সপ্তাহে ২৯ ঘন্টার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর মধ্যে ৮ ঘন্টা থাকবে তত্ত্বের জন্য এবং বাকি ২১ ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য। অন্যদিকে ভারী মোটরগাড়ির জন্য ৬ সপ্তাহে অন্তত ৩৮ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর মধ্যে ৮ ঘণ্টা থাকবে তত্ত্বের জন্য, এবং ৩০ ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য।

    নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তি

    নিয়মের (Driving License New Rules) বাইরে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালালে জরিমানা বাবদ  ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা জরিমানা হবে। আর যদি একজন নাবালক ড্রাইভিং সিটে ধরা পড়ে তবে তাকে ২৫০০০ টাকার মোটা জরিমানা করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, গাড়ির মালিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে ওই নাবালক ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত লাইসেন্সের জন্য অযোগ্য হবে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    আসলে বর্তমান সময়ে ভারতে ক্রমশ বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। বিশেষ করে কোভিড লকডাউনের সময়, অনেকেই মোটরবাইক বা গাড়ি কেনার দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু প্রত্যেকেই যে দায়িত্ব নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন, তা নয়। হামেশাই রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। এই পরিস্থিতিতে, ১ জুন থেকে ড্রাইভিং লাইন্সের নতুন নিয়ম (Driving License New Rules) কার্যকর করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    প্রসঙ্গত, লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আগের মতোই আছে। বিশেষ পরিবর্তন করা হয়নি। https://parivahan.gov.in-এই লিঙ্কে গিয়ে অনলাইন বা অফলাইনে আবেদন করা যাবে। তবে, নতুন লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার পদ্ধতি আগের তুলনায় সরল করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    Lok Sabha Elections 2024: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাটে উঠেছে ব্যালট। এখন ভোটগ্রহণ হয় ইভিএমে। কেবল বোতাম টিপেই পছন্দের প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের পক্ষে মতদান করা যায় (Lok Sabha Elections 2024)। প্রার্থী পছন্দ না হলে নোটা বোতামে চাপ দেন অনেকেই। এবার আসুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কাজ করে ভোট নেওয়ার এই যন্ত্র।

    ইভিএম (Lok Sabha Elections 2024)

    ‘ইভিএম’ হল ‘ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন’। এর তিনটি ইউনিট থাকে। প্রথমটি ভোটিং ইউনিট বা ব্যালট ইউনিট। দ্বিতীয় ইউনিটটি হল ভিভি প্যাট মেশিন বা ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেইল। আর তিন নম্বর ইউনিটটি হল কন্ট্রোল ইউনিট। এই তিনটি ইউনিটের মধ্যে ব্যালট ইউনিট ও ভিভি প্যাট বসানো থাকে ভোট কেন্দ্রের ভিতর যে অংশটি চট দিয়ে ঘেরা থাকে, সেখানে। এই ঘেরাটোপের ভিতরে ঢুকেই ভোট দেন ভোটার। কন্ট্রোল ইউনিটটি থাকে পোলিং অফিসারের কাছে (Lok Sabha Elections 2024)।

    জ্বলবে আলো

    ভোটারের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করার পর পোলিং অফিসার বা প্রিসাইডিং অফিসার একটি বোতাম টিপলে ব্যালট ইউনিটটি অ্যাক্টিভেট হয়। অর্থাৎ ভোট গ্রহণের জন্য মেশিন প্রস্তুত। ভোটারকে এটা জানান দিতে একটা আলো জ্বলবে। এবার ভোটার তাঁর পছন্দের প্রার্থী ও তাঁর প্রতীকের পাশের বোতাম টিপবেন। পাশের ভিভি প্যাটের ভিতরে থাকা একটি কাগজে ওই প্রতীক ও প্রার্থীর নাম ফুটে উঠবে। এটি দেখার জন্য ভোটার সময় পাবেন মাত্র সাত সেকেন্ড। তার পর ফের ভিভি প্যাট এবং ব্যালট ইউনিট অন্ধকার হয়ে যাবে। অর্থাৎ স্লিপিং মোডে চলে যাবে মেশিন। পরের ভোটার এলে এবং পোলিং অফিসার বা প্রিসাইডিং অফিসার একটি বোতাম টিপলে আবারও সক্রিয় হবে মেশিন।

    একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিতে পারেন না

    মনে রাখতে হবে, ভোটার একবার কোনও বোতামে চাপ দেওয়ার পর আর যতবারই অন্য যে কোনও বোতামই টিপুন না কেন, মেশিন আর কাজ করবে না। কারণ ব্যালট ইউনিট ও ভিভিপ্যাটের জিয়ন কাঠি রয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে থাকা কন্ট্রোল ইউনিটের একটি বোতামেই। তাই বুথে ঢোকার আগেই ভোটারকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে তিনি কোন প্রার্থীকে ভোট দিতে চান, নাকি নোটার বোতাম টিপতে চান। ইভিএম চলে ব্যাটারিতে। তাই হঠাৎ করে পাওয়ার কাট কিংবা লোডশেডিং হলেও, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে না। ইভিএমে যে ডেটা জমা হয়েছে, তাও নষ্ট হবে না। এই ইভিএমের সঙ্গে ব্লু-টুথ, পেন ড্রাইভ, ইউএসবি পোর্ট বা ওয়াইফাই কানেকশনও করা যাবে না ইভিএমের কোনও ইউনিটের সঙ্গেই। অর্থাৎ ভোটারের ভোট সুরক্ষিত।

    কীভাবে জানবেন কোথায় পড়ল আপনার ভোট

    মনে রাখতে হবে, ইভিএমের তিনটি ইউনিট ইন্টার-কানেক্টেড থাকে ইভিএমের নিজস্ব পোর্ট দিয়ে। ইউনিটের পিছনে থাকে অন-অফ সুইচ। পোর্টেবল মোড আর ওয়ার্কিং মোড বাটন। কন্ট্রোল ইউনিটে বোতাম টিপলে সেখানে লাল আলো জ্বলবে। ব্যালট ইউনিটে জ্বলবে সবুজ আলো। ভোট দেওয়া হয়ে গেলে একটি শব্দ শুনতে পাবেন। ভিভিপ্যাটে চোখ রাখলেই দেখবেন সেখানেও জ্বলেছে আলো। একটি এটিএম কাগজের মতো কাগজ ঝুলছে, সেখানে ছাপা হয়েছে কোথায় পড়ল আপনার ভোট। ভোটার জানতে পারলেন, যে প্রার্থীর পক্ষে মতদান করেছেন তিনি, সেখানেই ভোট পড়েছে।

    মক পোল পর্ব

    নির্বাচন শুরু হয় সকাল সাতটায়। তার আগে চলে মক ভোট পর্ব। ইভিএম যে ঠিকঠাক আছে, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয় প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদেরও। সমস্ত প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরা অন্তত ৫০টি ভোটের একটি মক পোলিং করেন। প্রত্যেকে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্দিষ্ট সংখ্যাক ভোট দেন। নির্দল প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট না থাকলেও প্রিসাইডিং অফিসার পোলিং অফিসার নির্দল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেখে নেন। সব শেষে হিসেব মিলিয়ে দেখে নেওয়া হয় মোট পোলড ভোট আর প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মিলছে কিনা। ইভিএমে কোনও ত্রুটি থাকলে, বদলে ফেলা হয় মেশিন।

    আর পড়ুন: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    প্রশ্ন হল, এই নির্বাচনী মহাযজ্ঞের খরচ কত? একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। একটা ব্যালট ইউনিটের দাম ৭ হাজার ৯০০ টাকা, কন্ট্রোল ইউনিটের দাম ৯ হাজার ৮০০ টাকা, ভিভিপ্যাটের দাম ১৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে নির্বাচন হবে ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে। ভোটার রয়েছেন ৯৭ কোটি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, এবার লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন করতে খরচ হবে ১ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ একটি ভোটের মূল্য ১ হাজার ৩১ টাকা। বিপুল পরিমাণ এই খরচ বহন করেন দেশবাসীই, ট্যাক্সের মাধ্যমে। তাই ভোট (Lok Sabha Elections 2024) না দেওয়াটা কোনও কৃতিত্বের কথা নয়। বুথে গিয়ে ভোট দিন পছন্দের প্রার্থীকে। মজবুত করুন বিশ্বের বহত্তম গণতন্ত্রের ভিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Halal Certificate: পণ্যের গায়ে ‘হালাল’ স্টিকার সেঁটে চলছে অর্থ পাচার!

    Halal Certificate: পণ্যের গায়ে ‘হালাল’ স্টিকার সেঁটে চলছে অর্থ পাচার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হালাল’ প্রোডাক্ট (Halal Certificate) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। গত নভেম্বেরর ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, হালাল সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত যে কোনও পণ্য উৎপাদন, মজুত, বণ্টন ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সে রাজ্যে। সরকার এও জানিয়েছিল, যদি কোনও ফার্ম কিংবা কোনও ব্যক্তিকে হালাল শংসাপত্রপ্রাপ্ত ওষুধ, কসমেটিক প্রস্তুত করতে, মজুত করতে কিংবা কেনাবেচা করতে দেখা যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ফার্মের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এসটিএফের তদন্ত (Halal Certificate)

    তবে হালাল শংসাপত্র পাওয়া পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে যোগী সরকার। যোগী সরকারের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল হালাল ট্রাস্ট। হালাল শংসাপত্র (Halal Certificate) দেওয়ার নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে উত্তরপ্রদেশের এসটিএফ। আলাদা করে তদন্ত শুরু করে ইডিও। প্রাথমিক কিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পর এবার অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করতে চলেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।

    তদন্তকারীদের প্রশ্ন

    অর্থ পাচারের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সম্পদ লুকানো এবং অবৈধ কাজে সেই সম্পদ ব্যবহার করা। মাদক পাচার, অস্ত্র কেনা, সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন জোগানো এবং অন্যান্য দুষ্কর্মে অর্থায়নের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে ওই টাকা। ‘হালাল’ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ, ‘অনুমোদিত’। কোনও পণ্যের গায়ে যদি হালাল স্টিকার সাঁটা থাকে, তার অর্থ মুসলমানেরা এটা ব্যবহার করতে পারেন। জানা গিয়েছে, ভেজিটেরিয়ান বিভিন্ন আইটেমের ওপরও হালাল স্টিকার সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। মাংসের মতো প্রোডাক্টে হালাল স্টিকার দেওয়ার একটা অর্থ রয়েছে। কিন্ত ভেজিটেরিয়ান আইটেমে কেন হালাল স্টিকার সাঁটানো হচ্ছে, এই প্রশ্নই ভাবিয়ে তুলেছিল তদন্তকারীদের।

    আর পড়ুন: “টার্গেটে ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস” জেরায় স্বীকার করল জঙ্গিরা

    এ থেকেই তাঁদের অনুমান, ভেজিটেরিয়ান বিভিন্ন পণ্যের গায়ে হালাল স্টিকার লাগিয়ে দিয়ে আসলে চলছে অর্থ পাচার। সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে বছরের পর বছর ধরে এই কারবার করে চলেছে হালাল সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। এই কারবারের মূলেই কুঠারাঘাত করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কোন মাণদণ্ডের ভিত্তিতে কোনও পণ্যের গায়ে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে হালাল লেবেল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন এসটিএফের তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, এভাবে পাচার হয়েছে বহু কোটি টাকা। এই জায়গাটায় এবার উঁকি মারতে চলেছে ইডিও। তোড়জোড় চলছে মামলা দায়েরের (Halal Certificate)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Al Sham Padgha: মুম্বইয়ের অদূরের এই গ্রামেরই পরিচয় ভারতের জঙ্গি হাব হিসেবে, কেন জানেন?

    Al Sham Padgha: মুম্বইয়ের অদূরের এই গ্রামেরই পরিচয় ভারতের জঙ্গি হাব হিসেবে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য নগরী মুম্বই। দেশ তো বটেই, বিদেশেরও অনেকেই রয়েছেন এই টিনসেল টাউনে। নিত্যদিন যেখানে লেনদেন হয় কয়েকশো কোটি টাকা, জীবন যেখানে বর্ণিল, তারই অদূরে সবার অগোচরে গড়ে উঠেছিল আইএসআইএসের নার্ভ সেন্টার (Al Sham Padgha)। সম্প্রতি এমনই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ের ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ব্যাকওয়াটার টাউন পাদঘা। সেখানকারই একটি গ্রামে তৈরি হয়েছে ভারতের ‘আইএসআইএসের হাব’।

    কুখ্যাত জঙ্গি শাকিব নাচান (Al Sham Padgha)

    এই গ্রামকে জঙ্গি হাবে পরিণত করার নেপথ্য কারিগর কুখ্যাত জঙ্গি শাকিব নাচান। তারই নির্দেশে পাদগার নাম বদলে হয়েছিল অল সাম (Al Sham Padgha)। এলাকায় লাগু হয়েছিল শরিয়া শাসন। চলছিল সমান্তরাল প্রশাসনও। এই শাকিবই পাদঘাকে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। এক সময় শান্ত এই গ্রামেই একে একে ভিড় করতে থাকে অচেনা কিছু মুখ। তাদের কর্তাবার্তায়, চালচলনে সন্দেহও হয়েছিল স্থানীয়দের। তবে তাঁরা যতক্ষণে পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছিলেন, তার ঢের আগেই এলাকায় মাথাচাড়া দিয়েছে মৌলবাদ। ভয়ে আর মুখ খোলার সাহস দেখাননি স্থানীয়রা। এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে আস্ত একটি গ্রাম পরিণত হয়েছিল ভারতে জঙ্গিদের নার্ভ সেন্টারে।

    এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান

    গত বছর পাদঘায় তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। উদ্ধার হয় ৪৪টি ড্রোন, বাণিজ্য নগরীতে হামলা চালানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেগুলি। এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বাইরে থেকে সাহায্য পাচ্ছিল জঙ্গিরা। কেবল ড্রোন নয়, লুকানো কিছু অস্ত্রও সেই অভিযানে খুঁজে পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিদের ডেরায় মিলেছিল ইজরায়েলি পতাকাও। তা থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল, কেবল মুম্বই নয়, জঙ্গিদের নজর আরও উঁচুতে। দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি, বড় ধরণের কোনও অশান্তি পাকানোর ছক কষেছিল এই গ্রামে ডেরা বাঁধা সন্ত্রাসবাদীরা।

    আর পড়ুন: “টার্গেটে ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস” জেরায় স্বীকার করল জঙ্গিরা

    মুম্বইয়ে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের নেপথ্যে শাকিবের হাত ছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। মুম্বই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে বিস্ফরণেও অভিযুক্ত সে। ২০০২ সালের ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন ২৫ জন। ভিলে পার্লে এলাকায় বিস্ফোরণেও হাত ছিল তার। মুলুন্দ স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠে এসেছিল শাকিবের নাম। ২০০৩ সালে গ্রেফতার হয়ে সাত বছর জেল খেটেছিল এই কুখ্যাত জঙ্গি। গত ডিসেম্বরের ওই অভিযানে ১৫ জন জঙ্গি গ্রেফতার হয় এই গ্রাম থেকে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে জঙ্গি ডেরার এই গাঁয়ের কথা (Al Sham Padgha)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISIS: “টার্গেটে ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস” জেরায় স্বীকার করল জঙ্গিরা

    ISIS: “টার্গেটে ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস” জেরায় স্বীকার করল জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস-এর নেতারা ছিল আইসিস (ISIS) জঙ্গিদের টার্গেটে। এমনটাই জানাল গুজরাট এটিএস। সম্প্রতি যে চারজন আইসিস জঙ্গিকে আহমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করে গুজরাট এটিএস তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

    ইহুদি, খ্রিষ্টান, বিজেপি ও আরএসএস নেতারা টার্গেটে ছিল

    গুজরাতে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীলংকা থেকে ভারতে ঢুকে পড়া ওই চার আইসিস (ISIS) জঙ্গির কাছ থেকে যে সমস্ত কাগজপত্র এবং তথ্য উদ্ধার হয়েছে তা থেকে জানা যায় আত্মঘাতী জিহাদি জঙ্গিতে পরিণত হয়েছিল তাঁরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি গোলাপি রঙের পার্সেল পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে থেকে পাকিস্তানের তৈরি তিনটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড কারতুজ এবং কালো রঙের আইসিসের পতাকা মিলেছে। গুজরাটের ডিজিপি বিকাশ সহায় প্রেস কনফারেন্স করে জানান, “আমেদাবাদ থেকে তাঁদের গ্রেফতার করার পর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছে পাকিস্তানের এক জঙ্গির কাছ থেকে নির্দেশ আসত। নির্দেশ ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি এবং আরএসএসের নেতাদের টার্গেট করতে হবে। তাঁদের মগজ ধোলাই করে শেখানো হয়েছিল এরা নাকি মুসলিমদের উপর অত্যাচার করে।”  

    পাকিস্তানি পিস্তল ও গুলি বাজেয়াপ্ত

    গুজরাট এটিএস জানিয়েছে ধৃতরা হল মোহাম্মদ নুসরত, মোহাম্মদ ফারিস, মোহাম্মদ রাসদিন এবং মোহাম্মদ নাফরান। এরা সকলেই শ্রীলংকার নাগরিক। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর মুহাম্মদ নুসরাতের কাছে পাকিস্তানি ভিসা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত চার জঙ্গি পাকিস্তানের যেই হ্যান্ডলারের যোগাযোগে ছিল তাঁর নাম আবু। আবু একজন আইসিস জঙ্গি এবং পাকিস্তানে থাকে সামাজিক মাধ্যমে আবুর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল শ্রীলংকার জঙ্গিদের। তাঁদের একাধিক টার্গেটকে গুলি করা ও আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য মগজ ধোলাই করা হচ্ছিল। এদের এই কাজ করার জন্য প্রাথমিকভাবে ৪ লক্ষ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: আইপিএল চলাকালীন হামলার ছক? চার সন্দেহভাজন আইসিস জঙ্গি গ্রেফতার

    ধৃতদের মোবাইল থেকে অনেকগুলি আইসিস (ISIS) জঙ্গিদের ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে এদের মোবাইল ফোনে আমেদাবাদের কাছে নানা চিরোদা বলে একটি এলাকার অনেকগুলি ছবি ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই এলাকায় হানা দিয়ে গোয়েন্দারা সেখান থেকে পাকিস্তানের তৈরি তিনটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড কারতুজ ও আইসিস পতাকা বাজেয়াপ্ত করে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share