Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rajnath Singh: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার ডাক ভারত-অস্ট্রেলিয়ার

    Rajnath Singh: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার ডাক ভারত-অস্ট্রেলিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বৈঠক করেন অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মারলেসের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। প্রতিরক্ষার বিষয়ে দুই দেশ কীভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে, সে নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) লেখেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মারলেসের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা প্রতিরক্ষা বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সমেত সব ক্ষেত্রেই পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি কমবে

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের দাদাগির কমাতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া পারস্পরিক বোঝাপড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ এর আগে গত বছরেই ভারতে এসে চিনকে তোপ দেগেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার উপ- প্রধানমন্ত্রী (Australian Deputy PM)। গত নভেম্বর মাসেই অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সেসময় ‘টু প্লাস টু’ কাঠামোয় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস সেসময় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দুই দেশেরই সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চিন। আবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ চিন।’’

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অভিনন্দনও জানান অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী (Australian Deputy PM) 

    গত নভেম্বরে মারলেস আরও বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দু’দেশেরই (ভারত ও অস্ট্রেলিয়া) কাছে একটি মহাসাগর। সে অর্থে আমরা প্রতিবেশী। এখন দুই দেশের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।’’ প্রসঙ্গত, এর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মারলেস রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh) অভিনন্দন জানান দ্বিতীয়বারের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য। টিম ইন্ডিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যও অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saradha Chit Fund Scam: সারদা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রী

    Saradha Chit Fund Scam: সারদা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা মামলায় (Saradha Chit Fund Scam) অভিযুক্ত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরম। সারদা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। সূত্রের খবর ৬৫ পাতার চার্জশিটে নলিনি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ‘প্রোটেকশন মানি’ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এবং সেই অভিযোগের সবিস্তার বর্ণনাও রয়েছে।

    প্রোটেকশন মানি নেওয়ার অভিযোগ (Saradha Chit Fund Scam)

    ইডি সূত্রে খবর, নলিনী চিদম্বরম দেড় কোটি টাকা নিয়েছিলেন সারদা কর্তা এবং এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে। তবে এ বিষয়ে নলিনীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একজন আইনজীবী হিসেবে পরামর্শ দেওয়ার জন্য (Saradha Chit Fund Scam) এই অর্থ নেওয়া হয়েছিল। যদিও ইডি সূত্রের দাবি, গোয়েন্দারা মনে করছেন ওই অর্থ নলিনী চিদম্বরামকে (Nalini Chidambaram) সেই সময় ‘প্রোটেকশন মানি’ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। কারণ নলিনী অর্থ নিয়েছিলেন ২০১১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। সেই সময় তাঁর স্বামী পি চিদম্বরম ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে ওই টাকা আইনজীবী নলিনীকে নয়, দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীকে।

    সারদা কর্তার সঙ্গে নলিনীর যোগাযোগ (Nalini Chidambaram)

    প্রসঙ্গত ওই সময় বাংলা সহ দেশের একাধিক রাজ্যের ব্যবসা ছড়ানোর চেষ্টা করছিলেন সুদীপ্ত সেন। উত্তরপূর্ব ভারতে ‘ফ্রন্টিয়ার নিউজ’ চ্যানেল নামের একটি সংবাদ চ্যানেলের সঙ্গে ২০১২ সালের ৪২ কোটি টাকার চুক্তি (Saradha Chit Fund Scam) হয়েছিল সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের। জানা গিয়েছে ওই ‘ফ্রন্টিয়ার নিউজ’ চ্যানেলের এডিটর মনোরঞ্জনা সিং আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন সুদীপ্ত এবং নালিনীর। পরে সম্ভবত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরমের (Nalini Chidambaram) সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের পরিচয় আরও বাড়ে। সেই কারণে ওই সময়ই দুপক্ষের কথা এবং আর্থিক লেনদেন হয়। এই প্রমাণ ইডি পেয়েছে। যদিও নলিনী ওই অর্থ আইনজীবীর পরামর্শ মূল্য হিসেবে নেওয়ার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

    ৬৫ পাতার চার্জশিটের সঙ্গে ১১০০ পাতার তথ্য দিচ্ছে ইডি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এর আগে এই মামলায় ৩৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ডেকে পাঠিয়ে বহু অভিযুক্ত ও সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে নলিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। কারণ নলিনীকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা যাবে না। নলিনীর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমেইল করেছিল ইডি। তাঁর তরফে একটি তারিখও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ হয়ে ওঠেনি। এবার সেই নলিনীর বিরুদ্ধে (Saradha Chit Fund Scam) চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: কেরলের সরকারি চাকরিতে দ্রুত সংখ্যা বাড়ছে সংখ্যালঘুদের, বলছে পরিসংখ্যান

    প্রসঙ্গত ৬৫ পাতার ঐ চার্জশিটে নলিনীর (Nalini Chidambaram) ভূমিকার পাশাপাশি ১১০০ পাতার বিভিন্ন প্রমাণ ও নথিপত্র জুড়তে চলেছে ইডি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NEET-PG 2024: একই দিনে দুই শিফটে পরীক্ষা নিট-পিজির! দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    NEET-PG 2024: একই দিনে দুই শিফটে পরীক্ষা নিট-পিজির! দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে ফের আয়োজন করা হবে নিট-পিজি পরীক্ষা। ডাক্তারির স্নাতকোত্তর স্তরের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-পিজির নতুন দিনক্ষণ (New Exam Date) প্রকাশ করল কেন্দ্র। নিট-পিজির (NEET-PG 2024) আয়োজক প্যানেল ‘দ্য ন্যাশনাল বোর্ড অফ এগজামিনেশন ইন মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ জানিয়েছে, আগামী ১১ অগাস্ট দুই শিফটে ওই পরীক্ষা হবে। পাশাপাশি, প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি এড়াতে এবার এক অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নিট-পিজি পরীক্ষায়।

    প্রশ্নপত্র ফাঁসের জেরে পরীক্ষা বাতিল (NEET-PG 2024) 

    এমনিতে গত ২৩ জুন নিট-পিজি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্নাতক স্তরের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-UG) এবং ইউজিসি-নেট (UGC-NET) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার জেরে পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নিট-পিজি পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। ২৩ তারিখ পরীক্ষা ছিল আর ২২ জুন রাত ১০ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল যে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাচ্ছে। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়, প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষা প্রক্রিয়ার কোনও স্তরে যাতে কোনওরকম ফাঁক না থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্যই একেবারে শেষমুহূর্তে নিট-পিজি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয় হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ন্যাশনাল বোর্ড এফ এক্সামিনেশনস ইন মেডিক্যাল সায়েন্সসের সভাপতি।

    আরও পড়ুন: বিলাসবহুল আশ্রমে প্রাইভেট রুম-ক্যাফে! কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভোলে বাবা

    প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকি এড়াতে নয়া সিদ্ধান্ত 

    এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এনবিই (দ্য ন্যাশনাল বোর্ড অফ এডুকেশন)-এর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের বারের মত আর যাতে প্রশ্ন ফাঁস না হয় তাই, প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকি এড়াতে পরীক্ষার দুঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। সূত্রের খবর, কীভাবে একেবারে নিখুঁতভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে পড়ুয়াদের এরকম অবস্থার মধ্যে না পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। নিট-পিজি পরীক্ষা (NEET-PG 2024) আয়োজন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রক, আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল বোর্ড এফ এক্সামিনেশনস ইন মেডিক্যাল সায়েন্সস, টেকনিকাল পার্টনার টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস), ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন এবং সাইবার সেলের আধিকারিকরা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra 2024: পুরীর রথযাত্রায় তিন দেবদেবীর রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    Rath Yatra 2024: পুরীর রথযাত্রায় তিন দেবদেবীর রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কৃত ভাষায় রথ (Rath Yatra 2024) মানে গাড়ি এবং যাত্রা মানে মিছিল। ক্ষণিকের জন্য জগন্নাথদেবকে রথের উপর দর্শন করাকে বহু পুণ্য কর্মের ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস, এই রথযাত্রা এতটাই পবিত্র যে, কেউ যদি এই দিনে রথ অথবা রথের রশি স্পর্শ করেন, তাহলে বহু পুণ্য কর্মের ফল লাভ করতে পারেন।

    পুরীর রথযাত্রার বিশেষত্ব

    জগন্নাথদেবের রথযাত্রায় আজও আমরা দেখে থাকি, প্রতিবছর রথযাত্রার উদ্বোধন করেন সেখানকার রাজা। রাজত্ব না থাকলেও বংশ পরম্পরাক্রমে পুরীর রাজপরিবারের নিয়মানুযায়ী, যিনি রাজা উপাধিপ্রাপ্ত হন, তিনিই এই যাত্রার সূচনা করেন। জগন্নাথ, বলরাম ও দেবী সুভদ্রার পরপর তিনটি রথের সামনে এসে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথের সম্মুখভাগ ঝাঁট দেওয়ার পরই পুরীর রথের রশিতে টান পড়ে। শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা (Rath Yatra Chariots)।

    পুরীর রথযাত্রা (Rath Yatra 2024) উৎসব হচ্ছে, বড় ভাই বলরাম বা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন যাত্রার স্মারক। তিন জনের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি রথ। রথযাত্রা উৎসবের মূল দর্শনীয় জিনিস হল এই রথ তিনটি। প্রথমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাই বলভদ্রের রথ। তারপর সুভদ্রা এবং শেষে জগন্নাথ।

    পুরীর এই রথ তিনটির আলাদা আলাদা নাম। জগন্নাথ দেবের রথ — নন্দী ঘোষ, বলরামের রথ — তালধ্বজ ও সুভদ্রার রথ — দর্পদলন নামে পরিচিত। প্রতি বছর উল্টোরথের পর রথ তিনটি ভেঙে ফেললেও রথের পার্শ্বদেবদেবীর মূর্তি, সারথি ও ঘোড়াগুলিকে সযত্নে তুলে রাখা হয়। 

    এক নজরে রথ তিনটির (Rath Yatra Chariots) পরিচয়…

    নন্দীঘোষ (জগন্নাথ): কথিত আছে, এই রথটি (Rath Yatra 2024) দেবরাজ ইন্দ্র শ্রীজগন্নাথদেবকে প্রদান করেছিলেন। এই রথ নির্মাণে ছোট বড় ৮৩২টি কাঠের টুকরো লাগে। উচ্চতা ৪৪’২” বা ১৩.৫ মিটার। দৈর্ঘ্য ৩৪’৬” এবং প্রস্থ ৩৪’৬”। আগে ১৮টি চাকা থাকলেও, বর্তমানে ১৬টি থাকে। রথের ধ্বজার নাম ত্রৈলোক্যমোহিনী ও রশির নাম শঙ্খচূড় নাগিনী। দ্বারপাল ব্রহ্মা ও ইন্দ্র। রথে উপস্থিত নয় জন পার্শ্ব দেবগণ হলেন — বরাহ, গোবর্ধন, কৃষ্ণ/গোপীকৃষ্ণ, নৃসিংহ, রাম, নারায়ণ, ত্রিবিক্রম, হনুমান ও রুদ্র। এঁদের সঙ্গে রয়েছেন ধ্যানমগ্ন ঋষিরা — নারদ, দেবল, ব্যাসদেব, শুক, পরাশর, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র ও মরীচি। লাল ও হলুদ কাপড়ে মোড়া এই রথে (Jagannath Chariot) কালো রঙের চারটি ঘোড়া হল— শঙ্খ, বলাহক, শ্বেত ও হরিদাক্ষ। রথের সারথি দ্বারুজ ও রক্ষক গরুড়। রথের কলসের নাম হিরন্ময়। রথের দ্বারপাল জয়, বিজয়। রথের রজ্জুর নাম শঙ্খচূড়। রথের নেত্রর নাম তৈলক্ষ মোহিনী। রথের অধীশ্বর প্রভু জগন্নাথ।

    তালধ্বজ (বলভদ্র/বলরাম): ৭৬৩টি ছোট বড় কাঠের টুকরো দিয়ে নির্মিত এই রথ। এই রথের (Rath Yatra 2024) উচ্চতা ৪৪’ বা ১৩.২ মিটার। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৩৩’ x ৩৩’। আগে ১৬টি থাকলেও এখন চাকার সংখ্যা ১৪টি। ধ্বজার নাম উন্মনী এবং রশির নাম বাসুকী নাগ। ন’জন পার্শ্বদেবতা হলেন — গণেশ, কার্তিক, সর্বমঙ্গলা, প্রলম্ব, হলায়ুধ, মৃত্যুঞ্জয়, নাটেশ্বর, মহেশ্বর ও শেষদেব। দ্বারপাল রুদ্র ও সাত্যকি। সারথি মাতলি এবং রক্ষক বাসুদেব। রথের শ্বেতবর্ণের চারটি ঘোড়ার নাম তীব্র, ঘোর, শ্রম (স্বর্ণনাভ) ও দীর্ঘ (দীর্ঘশর্মা)। সুদর্শন চক্রের পাশে দুটি পাখির (কাকাতুয়া) নাম স্বধা ও বিশ্বাস। রথটি সবুজ ও লাল কাপড়ে মোড়া। রথের ধ্বজার/পতাকার নাম উন্মনী। 

    দর্পদলন (সুভদ্রা): ৫৯৩টি টুকরো কাঠ দিয়ে তৈরি এই রথের (Rath Yatra 2024) উচ্চতা ৪২’৩” বা ১২.৯ মিটার এবং দৈর্ঘ্য – প্রস্থ ৩১’৬” x ৩১’৬”। চাকার সংখ্যা ১২। ধ্বজার নাম নাদম্বিক এবং রশির নাম স্বর্ণচূড় নাগ। ধ্বজার পাশের পাখি দুটির নাম শ্রুতি ও স্মৃতি। রথটি (Rath Yatra Chariots) লাল ও কালো কাপড়ে ঢাকা। ন’জন পার্শ্বদেবী হলেন — চণ্ডী, চামুণ্ডা, মঙ্গলা, উগ্রতারা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, শ্যামাকালী, বিমলা ও বরাহি। দ্বারপালিকা — ভূদেবী ও শ্রীদেবী। সারথি অর্জুন আর রক্ষক জয়দুর্গা। লাল রঙের ঘোড়া চারটির নাম রচিকা, মোচিকা, জিতা ও অপরাজিতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hathras Stampede: বিলাসবহুল আশ্রমে প্রাইভেট রুম-ক্যাফে! কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভোলে বাবা

    Hathras Stampede: বিলাসবহুল আশ্রমে প্রাইভেট রুম-ক্যাফে! কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভোলে বাবা

    নিউজ ডেস্ক: হাথরসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার (Hathras Stampede) পর থেকেই বেপাত্তা স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ ভোলে বাবা এবং অনু্ষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতেই ভোলে বাবার বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেইসব নথি ও তথ্য দেখেই চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। সম্প্রতি হাথরসের সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর পর ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ হরি সরকার ওরফে সুরজ পালের নামে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। আর তদন্তের মধ্যেই এবার মিলল তাঁর বিপুল সম্পত্তির (Bhole Baba assets) হদিশ। 

    কত টাকার মালিক ভোলে বাবা? (Hathras Stampede) 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাজেয়াপ্ত হওয়া নথিগুলি থেকে প্রমাণ মিলেছে, ভোলে বাবা বিপুল সম্পত্তির (Bhole Baba assets) অধিকারী। উত্তর প্রদেশের মইনপুরীতে তাঁর একটি ১৩ একরের পাঁচতারা আশ্রম রয়েছে। যার বাজারদর বর্তমানে ৪ কোটি টাকা। যে আশ্রমের খোঁজ পুলিশ পেয়েছে তাতে অন্তত ১৫-২০টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি ঘর শুধুমাত্র ভোলে বাবার নিজস্ব কাজের জন্য ছিল। বাকি ৬-৭টি ঘর বরাদ্দ ছিল আশ্রমের কমিটির সদস্য এবং ভলেন্টিয়ারদের জন্য। ভোলে বাবার লাক্সারি লাইফ এখানেই শেষ হচ্ছে না। এই আশ্রমে আসার জন্য একটি প্রাইভেট রাস্তাও ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাহি এক ক্যাফিটেরিয়াও রয়েছে আশ্রমে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এমন আরও একাধিক সম্পত্তি দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভোলে বাবার নামে। তাদের দাম অন্তত কোটি টাকার কাছাকাছি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, ‘ভোলে বাবা রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ২৪টি আশ্রমের তত্ত্বাবধান করেন। যদিও তাঁর মূল বাসস্থান মইনপুরীর এই আশ্রমই।’
    হাথরাসের ঘটনা (Hathras Stampede) নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক মহল আন্দোলিত। ওই ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই হলেন শিশু এবং মহিলা। ইতিমধ্যেই কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে? তা নিয়ে উঠে আসছে নানান তত্ত্ব। কীভাবে একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু এমন অনু্ষ্ঠান করার অনুমতি পেলেন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে বারবার।

    আরও পড়ুন: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    যৌন হেনস্তার অভিযোগও রয়েছে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে

    যদিও শুরু থেকেই সাধু ছিলেন না সুরজ পাল। তাঁর দাবি, একটা সময় পর্যন্ত তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে চাকরি করতেন। ধর্মীয় উপদেশ দেওয়ার জন্য তিনি নাকি চাকরি ছেড়ে দেন। ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এর আগে যৌন হেনস্তার অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু তখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। এখন হাথরাসের এই ঘটনার (Hathras Stampede) পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরনো মামলাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala: কেরলের সরকারি চাকরিতে দ্রুত সংখ্যা বাড়ছে সংখ্যালঘুদের, বলছে পরিসংখ্যান

    Kerala: কেরলের সরকারি চাকরিতে দ্রুত সংখ্যা বাড়ছে সংখ্যালঘুদের, বলছে পরিসংখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলে ৩১.৫% সরকারি চাকরি রয়েছে মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের হাতে। বিধানসভায় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ৫,৪৫,৪২৩ জন সরকারি কর্মচারী (Govt Jobs) কাজ করেন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী (Kerala) রাজ্যে ৭৩,৭৭৪ জন মুসলিম সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যে ৭৩,৭১৪ জন উচ্চ বর্ণের খ্রিস্টান সরকারি কর্মচারী রয়েছেন।

    কেরলে সরকারি চাকরি কাদের হাতে (Kerala)

    জানা গিয়েছে ল্যাটিন চর্চার সদস্য ২২,৪৫২ জন কর্মী কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরে (Govt Jobs) কাজ করছেন। এদের মধ্যে ২৩৯৯ জন খুব অল্প সময়ে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। ৯২৯ জন কর্মীকে নাদার খ্রিস্টান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট ৯৯,৪৯৯ জন খ্রিস্টান কেরলের (Kerala) বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের মধ্যে ১৮.২৫% খ্রিস্টান সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত। বাইবেল না কুরান অনুসারে খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মে বর্ণবৈষম্য না থাকলেও কেরলে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের মধ্যে চরম বর্ণ বৈষম্য রয়েছে। মুসলিম ও খ্রিস্টান মিলিয়ে সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত ১,৭৩,২৬৮ জন কর্মী অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের ৩১.৫% ব্যক্তি এই দুই ধর্মের সঙ্গে যুক্ত। জৈন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা মাত্র ২৭। তফসিলি জনজাতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১০,৫১৩। তফসিলি জাতির সরকারি কর্মীদের সংখ্যা ৫১,৭৮৩। এই রাজ্যে ৭,১১৩ জন ব্রাহ্মণ সরকারি কর্মী রয়েছেন। অর্থাৎ তাদের সংখ্যা মাত্র ১.৫%। এই রাজ্যের যাদব ২৬ জন এবং ২৮ জন ক্ষত্রিয় সরকারি কর্মী রয়েছেন। প্রায় ১,১৫,০০০ এঝাভা জাতির যুক্ত সরকারী কর্মী রয়েছেন। এই জাতি এই রাজ্যে দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত। এবং নায়ের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রায় ১,০৮,০০০।

    কেরলে বাড়ছে ধর্মপরিবর্তন

    প্রসঙ্গত কেরলে ৪৯ শতাংশ মানুষ এব্রাহিমিক ধর্মে বিশ্বাস করেন। এদের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ২৭ শতাংশ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। প্রসঙ্গত কেরলে বিরোধীরা বাম-কংগ্রেস জোট সরকারকে তাদের রাজ্যের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য নিয়মিত বিধানসভায় আক্রমণ করে। প্রসঙ্গত কেরলে শিক্ষিতদের সংখ্যা বেশি হলেও ধর্ম পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা হতে দাঁড়িয়েছে। খ্রিস্টান মিশনারি এবং বেশ কিছু তাবলিগ ইসলামী সংস্থা নিম্ন বর্ণের মানুষদের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য প্রলোভন ও চাপ দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে এই ধরনের বহু ঘটনা সামনে এসেছে।

    আরও পড়ুন: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    এমনকি কেরলের (Kerala) একটি অংশের মানুষের মস্তিষ্কে উগ্রপন্থাও ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বহু সংগঠন। এ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Infiltrators: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    Bangladeshi Infiltrators: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল ঝাড়খণ্ড আদালত। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand Highcourt) রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, যে বাংলাদেশিরা (Bangladeshi Infiltrators) অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, যত দ্রুত সম্ভব তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সুজিত নারায়ণ প্রসাদ ও বিচারপতি এ কে রাইয়ের বেঞ্চ ড্যানিয়েল ড্যানিশের আবেদনের শুনানির পর ৩ জুলাই এই রায় দেন, যেখানে আদালতকে বলা হয়েছিল যে, বাংলাদেশ সংলগ্ন সাঁওতাল পরগনা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশের নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো এসটি (তফসিলি উপজাতি)-দের ধর্মান্তরিত করছে। রাজ্যের মেয়েদের ইসলামের নামে বিয়ে করে নিজেদের ধর্মে রূপান্তরিত করছে। এরম ঘটনা একটা নয় একাধিক। ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাই যত দ্রুত সম্ভব এগুলির অবসান ঘটানো জরুরি।    

    ঠিক কী জানিয়েছে আদালত? (Bangladeshi Infiltrators)

    আদালত তরফে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনার জেলাগুলিতে হঠাৎ করেই উল্লেখযোগ্যভাবে মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে সেখানে ৪৬টি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। আর নবনির্মিত সেই মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য। এছাড়াও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা স্থানীয় নারীদের শোষণের পাশাপাশি জমিও দখল করছে। তাই এবার পরিস্থিতি এর থেকে খারাপ হওয়ার আগে আদালত (Jharkhand Highcourt) সরকারকে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চার্জশিট জমা দিতে বলেছে, যেখানে বাংলাদেশের কতজন অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাদের কতজনকে আটকানো হয়েছে এবং কতজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে।  

    একইসঙ্গে এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি (Bangladeshi Infiltrators) নিষিদ্ধ সংগঠনটি সাঁওতাল পরগনার অনেক অংশে স্থানীয় আদিবাসী মেয়েদের ফাঁদে ফেলে ‘লাভ-জিহাদ’-এর অধীনে বিয়ে করছে। বিয়ের পরে, তারা মেয়েদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে তাদের মাধ্যমে সরকারী তহবিল বন্ধ করে দেশবিরোধী কার্যকলাপ প্রচার করে।

    আরও পড়ুন: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য! ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ

    ভারতীয়দের ধর্মান্তরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত

    যদিও এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ধর্মান্তরের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে সতর্ক করেছিল যে, এইভাবে ধর্মান্তরিত হলে জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দিতে জানিয়েছিল যে, ‘ভারতীয়দের ধর্মান্তরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য। দূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতি বছর ভারতে মৃত্যু হচ্ছে ৩৩ হাজার মানুষের। সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দূষণ সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে (Indian Cities) প্রতি বছর বায়ুদূষণের বলি হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তাই দূষিত বায়ুর (Air Pollution) বিপদ থেকে নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য অবশ্যই হু-র দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত ভারতের, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গবেষণাটি সাসটেইনেবল ফিউচার কোলাবোরেটিভ, অশোকা ইউনিভার্সিটি, সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল, সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড এবং বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

    ঠিক কী জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে? 

    সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে বায়ুদূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতিবছর ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বায়ুদূষণের কারণে দৈনিক মৃত্যুর হার ৭ শতাংশেরও বেশি। এই শহরগুলির (Indian Cities) তালিকায় রয়েছে কলকাতা, আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই, পুণে, সিমলা, এবং বারাণসী। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি, যেখানে প্রতি বছর ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বই। এখানে মৃত্যু সংখ্যা ৫ হাজার ১০০। আর কলকাতায় সেই সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। অন্যদিকে,  চেন্নাইয়ে বায়ুদূষণের কারণে বছরে ২ হাজার ৯০০ জন মানুষ মারা যান। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২ হাজার ১০০ এবং বারাণসীতে ৮৩০। মৃত্যুর নিরিখে তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে সিমলা, যেখানে বছরে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৯।  

    আরও পড়ুন: শিবের মাথায় জল দেবেন ভক্তরা, কানওয়ার যাত্রার রাস্তায় মাংস বিক্রি বন্ধ করলেন যোগী

    এর থেকে বাঁচার উপায় কী? (Air Pollution) 

    এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সহ-লেখক জোয়েল শোয়ার্টজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতের যা পরিস্থিতি সেখানে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণই একমাত্র পথ। একমাত্র বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই প্রতি বছর কয়েক হাজার জীবন বাঁচাতে পারে। অন্যান্য দেশে যেভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ হয়, সে সব পদ্ধতিগুলি ভারতে জরুরীভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে যে, পৃথিবীতে প্রায় সকলেই বায়ুদূষণের (Air Pollution) প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, যা স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: শিবের মাথায় জল দেবেন ভক্তরা, কানওয়ার যাত্রার রাস্তায় মাংস বিক্রি বন্ধ করলেন যোগী

    Yogi Adityanath: শিবের মাথায় জল দেবেন ভক্তরা, কানওয়ার যাত্রার রাস্তায় মাংস বিক্রি বন্ধ করলেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় যাতে ভক্তরা নির্বিঘ্নে জল ঢালতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ করল যোগী সরকার (Yogi Adityanath)। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য কানওয়ার যাত্রার (জল নিয়ে হাঁটা) রাস্তায় সমস্ত মাংসের দোকানের প্রকাশ্যে বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থাকছে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহিলা শিবভক্তদের নিরাপত্তায় আলাদা করে জোর দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রচুর মহিলা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। চলতি বছরের কানওয়ার যাত্রা (Kanwar Yatra) শুরু হচ্ছে ২২ জুলাই।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

    সম্প্রতি, মন্ত্রিসভার বৈঠকে কানওয়ার যাত্রার পথে মাংস বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার। শ্রাবণ মাস শুরু হচ্ছে ২২ জুলাই। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি ঘোষণা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রাবণী শিবরাত্রি, নাগপঞ্চমী, রাখী বন্ধন চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি হবে চিরাচরিত কানওয়ার যাত্রাও। জগন্নাথের রথযাত্রা রয়েছে ৭ থেকে ৯ জুলাই। মহরম রয়েছে ১৭-১৮ জুলাই। গুরু পূর্ণিমা রয়েছে ২১ জুলাই। তাই এই উৎসবগুলিকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সমস্ত প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।

    সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশকে (Kanwar Yatra)

    এর পাশাপাশি পুলিশকে সদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। জানা গিয়েছে, যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও জানিয়েছেন, কানওয়ারযাত্রা যে রাস্তাগুলির উপর দিয়ে যায় যথা গাজিয়াবাদ, মিরাট, অযোধ্যা, বরেলী, প্রয়াগরাজ, বারাণসী- এই সমস্ত জায়গাগুলিতে বেশি করে নজরদারি চালাতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি (Yogi Adityanath) আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে মহরমের শোভাযাত্রায় বড় বড় তাজিয়াগুলি যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে সেগুলিকে অনুমতি দেওয়া যাবে না।

     

    আরও পড়ুনঃ হাথরস কাণ্ডে গ্রেফতার ৬, মধুকরকে ধরতে লাখ টাকার পুরষ্কার
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  Assam-Manipur floods: অসম-মণিপুরের বন্যা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক, মৃত বেড়ে ৪৮

     Assam-Manipur floods: অসম-মণিপুরের বন্যা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক, মৃত বেড়ে ৪৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম ও মণিপুরের (Assam-Manipur floods) বন্যা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক! লাগাতার ভারী বর্ষণে উত্তর-পূর্বের এই দুটি রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮। এই দুই রাজ্যে মানুষ প্রাণ যেমন হারিয়েছে, তেমনি বন্যায় ঘরবাড়ি, চাষের জমি এবং গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজে নেমেছে প্রশাসন। 

    উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে লাল সতর্কতা (Assam-Manipur floods)!

    অসমএবং মণিপুর (Assam-Manipur floods) উভয় রাজ্যের নানা জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) এই সপ্তাহে সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে৷ ইতিমধ্যে নৌকায় করে সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস, রাজ্য পুলিশ, মণিপুর ফায়ার সার্ভিস, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কর্মীরা সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বন্যা-দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করার পাশাপাশি প্যাকেটজাত পানীয় জলের বোতল এবং খাবার বিতরণ করছে।

    ১৬ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ!

    এখনও পর্যন্ত অসমে (Assam-Manipur floods) ৪৬ জন এবং মণিপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার অসমে বন্যায় ডুবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। অসমের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক, কারণ ২৯টি জেলার ১৬.২৫ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে, মণিপুরের ২০০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২৮০০টি গ্রাম এখনও প্লাবিত হয়েছে এবং বন্যার জলে (Heavy Rain) ৩৯৪৫১.৫১ হেক্টর চাষের জমি প্লাবিত হয়ে রয়েছে। আসামে ৩.৮৬ লাখেরও বেশি মানুষকে, ২৪টি বন্যা কবলিত জেলায় প্রশাসনের দ্বারা নির্মিত ৫১৫টি ত্রাণ শিবির কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ হাথরস কাণ্ডে গ্রেফতার ৬, মধুকরকে ধরতে লাখ টাকার পুরষ্কার

    ইম্ফল নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে

    গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার জল (Heavy Rain) মণিপুর ও অসম (Assam-Manipur floods) উভয় রাজ্যে শতাধিক রাস্তা, কয়েক ডজন সেতু এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর উপনদীর জলের স্তর এই সপ্তাহে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে, যার ফলে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। ইম্ফল নদীর পশ্চিমের সিংজামেই ওইনাম থিঙ্গেলে তার বাঁধ ভেঙ্গেছে। বৃষ্টির মধ্যে কংবা ইরং এবং ইম্ফল পূর্বের কেইরাওয়ের কিছু অংশে কংবা নদী বন্যার জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একই ভাবে উত্তর-পূর্ব রাজ্য যেমন মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশও ত্রাণ পাঠিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share