Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jammu and Kashmir: বন্দি হাইপ্রোফাইল জঙ্গিরা, জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

    Jammu and Kashmir: বন্দি হাইপ্রোফাইল জঙ্গিরা, জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জঙ্গিদের টার্গেট (Terror Alert) কি জেল? জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শ্রীনগর ও কোট বালওয়াল কেন্দ্রীয় কারাগারে বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এই দুই জেলেই বর্তমানে বন্দি রয়েছে বহু হাই-প্রোফাইল জঙ্গি এবং ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার বা সন্ত্রাসীদের সাহায্যকারীরা। জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা, তাদের লজিস্টিক সহায়তা করেছে, এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে এই দুই জেলে। এই কারণেই হামলা করে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    রবিবারই এনিয়ে অনুষ্ঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (Terror Alert)

    সম্প্রতি, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জম্মুর শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেল ও কোট বালওয়াল জেল- এই দুই কারাগারে (Jammu and Kashmir) জঙ্গিরা হামলার ছক কষছে। এরপরেই দুই জেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রবিবারই শ্রীনগরে সিআইএসএফ-এর ডিজির নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয়। বহু শীর্ষ আধিকারিক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এখানেই নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হয়। এরপরেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ২০২৩ সাল থেকে সিআইএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের কারাগারগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে

    প্রসঙ্গত, দেড় বছর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিআইএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কারাগারগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফের কাছ থেকে গ্রহণ করে। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই অঞ্চলগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিস পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে পর্যটকদের হত্যা করা হয়। এরপরেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে জঙ্গি নিকেশ অভিযান তীব্র করে প্রশাসন। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। ভাঙা হয় জঙ্গিদের বাড়ি। এরই মধ্যে জম্মুর দুই জেলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার খবর সামনে এল।

  • Jammu And Kashmir: সেনাকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি চেনানোর সময় পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ, মৃত্যু জঙ্গি-আশ্রয়দাতার

    Jammu And Kashmir: সেনাকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি চেনানোর সময় পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ, মৃত্যু জঙ্গি-আশ্রয়দাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ সে জানে। এমনটাই পুলিশকে বলেছিল জঙ্গিদের সাহায্যকারী এক যুবক (Terrorist)। তার দাবি ছিল, ঘন জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে। একই সঙ্গে পুলিশের সামনে তার আরও স্বীকারোক্তি ছিল, জঙ্গিদের কাছে সে খাবার এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়েছে। এরপরেই জঙ্গিদের ঘাঁটি চেনাতে পুলিশ ও সেনাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে থাকে সে (Jammu And Kashmir)। আচমকাই পথের মাঝে নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই যুবক। এরপরেই ভেসে যায় জঙ্গিদের সাহায্যকারী ওই যুবক। শনিবারই ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গিদের সাহায্যকারী ওই যুবকের নাম ইমতিয়াজ আহমেদ মাগরে

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ইমতিয়াজ আহমেদ মাগরে (Jammu And Kashmir)। তার বয়স ২৩ বছর। জানা যাচ্ছে, জঙ্গিদের সাহায্যকারী ওই যুবকের বাড়ি কুলগাঁওয়ের বাসিন্দা। জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে ওই যুবককে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে জেরার মুখে তার বিরুদ্ধে ওঠা জঙ্গি যোগের যাবতীয় অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিল ওই যুবক। নিরাপত্তা বাহিনীকে সে জানিয়েছিল, পাহাড়ের ওপরেই ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। একইসঙ্গে জঙ্গিদের জন্য সে কী কী করেছে, তাও নিরাপত্তা বাহিনীকে (Jammu And Kashmir) জানায় ওই যুবক। খাবার সমেত এবং অন্য দরকারি জিনিস পৌঁছে দিয়ে আসার কথা বলে সে। এর পরেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পথ চিনিয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সে। কিন্তু সেই সময়েই আচমকাই নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই যুবক। মনে করা হচ্ছে, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সাঁতরে পালানোর ফন্দি এঁটেছিল ওই যুবক। তবে শেষ রক্ষা হল না।

    ঝাঁপ দেওয়ার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল

    ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। উঁচু থেকে ড্রোন ক্যামেরায় বন্দি করা হয়েছে গোটা ঘটনাটি। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যুবকের আশপাশে কোনও পুলিশ কর্মী ছিলেন না। জঙ্গিদের সাহায্যকারী ইমতিয়াজ একা হেঁটেই যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই ঘন জঙ্গলের দিকে এক বার তাকিয়ে আচমকা নদীত ঝাঁপ দেয় সে (Terrorist)। সাঁতার কাটার চেষ্টা করতেও দেখা যায় তাকে। তবে স্রোতের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারেনি সে কোনওভাবেই। জলের তোড় তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় (Jammu And Kashmir)। গোটা ঘটনাই ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

    মেহবুবার মুফতির দাবি খারিজ পুলিশের

    জঙ্গিদের সাহায্যকারী এই যুবকের মৃত্যু নিয়ে আবার প্রশ্নও তুলেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর দাবি, হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। মেহবুবার এমন দাবিকে নস্যাৎ করে পাল্টা বিবৃতি দেয় পুলিশ। শুধু তাই নয়, ড্রোনের ফুটেজও সামনে এনেছে পুলিশ। ওই যুবকের পরিবারও ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু, ওই যুবক যে পালাতে গিয়ে নিজেই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে পুলিশ।

    সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে জঙ্গি ডেরা ধ্বংস করল সেনা, উদ্ধার ৫টি আইইডি

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পরেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ করতে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, সোমবার ভারতীয় সেনার রোমিও ফোর্স এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সে রাজ্যের পুঞ্চ জেলাতে অভিযান চালায়। এই জেলায় অবস্থিত সুরানকোটে একটি জঙ্গি ডেরাকে ধ্বংস করে বাহিনী। শুধু তাই নয় এখান থেকে পাঁচটি আইইডি উদ্ধার করতেও সমর্থ হয়েছে ভারতীয় সেনা। একই সঙ্গে সেখান থেকে মিলেছে রেডিও সেট, দূরবীন এবং কম্বল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বাইশে এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরেই উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর জুড়ে। ২৬ জন পর্যটককে ধর্ম বেছে বেছে যারা হত্যা করল সেই সন্ত্রাসীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে। একাধিক জঙ্গির বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোথাও বুলডোজার তো কোথাও বিস্ফোরকের মাধ্যমে। নৃশংস হামলায় যে সমস্ত জঙ্গি জড়িত তাদের খুঁজে বের করার জন্য তীব্র অভিযান চলছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ভিকে বির্দি সম্প্রতি একটি উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা, সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ। এই নিরাপত্তা বৈঠকের পরেই পুঞ্চ জেলায় ওই জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে বাহিনী।

  • S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়।” রবিবার ঠিক এই ভাষায় ইউরোপের (Europe) দেশগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার জেরে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। জয়শঙ্করের মতে, ইউরোপকে এখন বাস্তবে ফিরে আসতে হবে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে তাদেরও কিছু সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন। শুধুই পরামর্শ দিলে হবে না। আদর্শগত মতাপর্থক্য সরিয়ে পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমেই আমেরিকার সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখা যাবে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা (S Jaishankar)

    সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সংঘাত মেটাতে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক পথে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই জয়শঙ্করের এদিনের বক্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে বলি না, এটা করো বা ওটা করো না। এটাই স্বাভাবিক সৌজন্য। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হয় না। তাই আমাদের কী করা উচিত, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “যখন আমরা বিশ্বের দিকে তাকাই, আমরা অংশীদার খুঁজি। আমরা পরামর্শদাতা খুঁজি না। বিশেষ করে সেই সব পরামর্শদাতা যারা নিজের দেশে আচরণ না করে বিদেশকে উপদেশ দেয়। আমার মনে হয়, ইউরোপের কিছু অংশ এখনও সেই সমস্যার সঙ্গে সংগ্রাম করছে। এর কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি বলেন, “ইউরোপ বাস্তবতা যাচাইয়ের একটি পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এখন তারা এটির মুখোমুখি হতে পারবে কিনা, সেটা আমাদের দেখতে হবে।” জয়শঙ্কর বলেন, “কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যদি আমরা একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অবশ্যই কিছু বোঝাপড়া থাকতে হবে, সংবেদনশীলতা থাকতে হবে, পারস্পরিক স্বার্থ থাকতে হবে এবং বিশ্ব কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে উপলব্ধি থাকতে হবে। আমার মনে হয়, ইউরোপের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে এই বিষয়গুলো বিভিন্ন মাত্রায় অগ্রগতি হচ্ছে। তাই কেউ কেউ বেশি এগিয়েছে, কেউ বা কিছুটা কম (Europe)।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারতের রাশিয়া বাস্তববাদের প্রতি ধারাবাহিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতার দিকটি তুলে ধরেন, যেখানে একপক্ষ সম্পদের জোগানদার এবং অন্যপক্ষ ভোক্তা হিসেবে কাজ করছে। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব সমাধানে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই পশ্চিমি বিশ্বের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেন। যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের পদ্ধতি বাস্তববাদের মৌলিক নীতিকেই চ্যালেঞ্জ করেছিল।” জয়শঙ্কর বলেন, “যেভাবে আমি রাশিয়ান বাস্তববাদের পক্ষে, সেভাবেই আমেরিকান বাস্তববাদেরও পক্ষপাতী। বর্তমান সময়ে আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোত্তম উপায় হল মতাদর্শগত পার্থক্যকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং সাধারণ স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা, যা একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনাকে ম্লান হতে দেয় না।”

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “সম্পদ প্রদানকারী ও ভোক্তা হিসেবে দু’দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতা রয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সবসময়ই রাশিয়া বাস্তববাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি (Europe)। ২০২২-২০২৩ সালের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী ও পরিস্থিতি কল্পনা করা হয়েছিল, যা সময়ের পরীক্ষায় সঠিক বলে প্রমাণিত হয়নি।” এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত মেটাতে আলোচনার ওপরই জোর দিয়েছে রাশিয়া। পহেলগাঁওয়ে হামলার বিষয়ে গত শুক্রবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি লাভরভকে জানান, পহেলগাঁও হামলায় ষড়যন্ত্রকারী, সাহায্যকারী, সাহায্যকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতেই হবে। লাভরভ তাঁকে অনুরোধ করেন, যুদ্ধের বদলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথেই ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে সংঘাত মিটিয়ে নিক। এই প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক নিয়েও লাভরভ ও জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনা হয়।

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতি

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে (S Jaishankar), দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে রাশিয়া ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার (Europe) পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে দুজনে কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা অনুসরণ করে দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন লাভরভ (S Jaishankar)।

  • Chenab: জলসঙ্কট পাকিস্তানে! চেনাব নদীর ওপর জোড়া বাঁধ বন্ধ করল ভারত, চলছে পলি সরানোর কাজ

    Chenab: জলসঙ্কট পাকিস্তানে! চেনাব নদীর ওপর জোড়া বাঁধ বন্ধ করল ভারত, চলছে পলি সরানোর কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত স্থগিত করেছে সিন্ধু জলচুক্তি। এই আবহে ফের কড়া পদক্ষেপ করল দিল্লি। ভারত চেনাব নদীর (Chenab) বাগলিহার বাঁধ বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে পাকিস্তানে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে ভারত সরকার ঝিলম নদীর উপর নির্মিত কিষাণগঙ্গা প্রকল্পেরও জলপ্রবাহ কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ সিন্ধু নদের জল একফোঁটাও যাতে পাকিস্তান না পায় সেদিকেই এগিয়ে চলেছে ভারত সরকার। চেনাব নদীর বাঁধ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বেশ বিপাকে পড়ল পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    পাকিস্তানে প্রবাহিত জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে

    জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নানা আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ভারত বাগলিহার ও সালাল বাঁধের পলি অপসারণের কাজ শুরু করেছে ভারত। এর ফলেই পাকিস্তানে (Pakistan) প্রবাহিত জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতে এমন আরও ৬টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। সেগুলিতেও পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু হবে। জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক রবিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায়, ভারত নির্দ্বিধায় এই বাঁধগুলিতে ‘ডি-সিলটেশন’ কাজ করতে পারে। কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই। আপত্তিও টিকবে না। তিনি আরও জানান, কিষাণগঙ্গা প্রকল্পের জন্যও একই ধরনের অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, এভাবেই ধীরে ধীরে কিষাণগঙ্গার বাঁধ থেকেও পাকিস্তানের জল সরবরাহ (Chenab) একেবারে বন্ধ করা হবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে সবদিক থেকেই তেড়েফুঁড়ে নেমেছে নয়াদিল্লি।

    জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের আধিকারিককী বলছেন?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা বাগলিহার ও সালাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের যে গেটগুলি তা বন্ধ করে দিয়েছি (Chenab)। বর্তমানে আমরা জলাধার থেকে পলী অপসারণ কাজ শুরু করেছি। শনিবার থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ জানা যাচ্ছে, শনিবারই পাকিস্তানের মাটিতে পরীক্ষা করা হয়, ব্যালিস্টিক মিসাইল। পাক ভূমে এমন পরীক্ষা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত এমন পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি দেশের সমস্ত বন্দরে পাকিস্তানের (Pakistan) পতাকা বহনকারী জাহাজের ডকিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লখ করা দরকার, পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত রকমের কূটনৈতিক সম্পর্কই প্রায় শেষ করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। বাণিজ্য থেকে জলচুক্তি সবকিছুই।

    দেশের নাগরিকদের সুবিধায় ব্যবহার করা হবে সিন্ধুর জল

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার জম্মু-কাশ্মীরের গুরেজ উপত্যকার উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত হল কিষাণগঙ্গা বাঁধ। এটি একটি বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কেন্দ্র সরকার এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গেটগুলিকে বন্ধ করে নদীর প্রবাহ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এই জঙ্গি হামলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের রুখতে গিয়ে নিহত হন এক স্থানীয় মুসলিম যুবক। এরপরেই দীর্ঘ ৬০ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। এ নিয়েই জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘যেহেতু আমাদের দেশ সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে রেখেছে, তাই আমরা স্বাভাবিকভাবে এবার থেকে আমাদের নাগরিকদের সুবিধা মতো  নদীর জল ব্যবহার করতেই পারি। সে বিষয়ে সকল সম্ভাব্য প্রচেষ্টা আমরা শুরু করেছি।’’

    উত্তর ভারতে জল সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল

    শনিবারই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক সিন্ধু প্রণালীর নদীগুলি থেকে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে আরও জল সরবরাহ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছে। সংশ্লিষ্ট বৈঠকের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। এনিয়ে জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন,‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি এবং জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের (Chenab) প্রায় ৫০ জন অধিকর্তা ইতি মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে এ নিয়ে কাজ করছেন।’’

    কোন কোন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে?

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারত চেনাব নদী এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীগুলির ওপর চারটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৭ ও ২০২৮ সালের মধ্যে এই প্রত্যেকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি হল – পাকাল দুল (১,০০০ মেগাওয়াট), কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট) এবং রাটল (৮৫০ মেগাওয়াট) – এনএইচপিসি এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্পোরেশন (জেকেএসপিডিসি) এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেছিলেন।

  • Shimla Court: ‘‘সম্পূর্ণ কাঠামো অবৈধ’’, সানজৌলি মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ শিমলা আদালতের

    Shimla Court: ‘‘সম্পূর্ণ কাঠামো অবৈধ’’, সানজৌলি মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ শিমলা আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলার সানজৌলি অঞ্চলে (Shimla Court) অবস্থিত মসজিদের সম্পূর্ণ কাঠামো অবৈধ (Sanjauli Mosque)। তাই এটি ভেঙে ফেলতে হবে। এমনই রায় দিয়েছে শিমলার পুর আদালত। শিমলা পুর কমিশনার ভূপিন্দর আত্রীর নেতৃত্বে আদালত বিস্তারিত শুনানির পর এই রায় দেয়। মসজিদটি যে জমিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার মালিকানার যথাযথ প্রমাণ আদালতে জমা দিতে পারেনি ওয়াকফ বোর্ড। নির্মাণ সংক্রান্ত অনুমোদিত নকশা বা পুর অনুমোদনের কোনও প্রমাণপত্রও দাখিল করতে পারেনি ওয়াকফ বোর্ড। তার জেরেই সম্পূর্ণ মসজিদটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মসজিদ কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি (Shimla Court)

    এর আগে ২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর আদালত মসজিদের শীর্ষ তিন তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নির্দেশের দু’মাসের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মসজিদ কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। দুটি অতিরিক্ত সময়সীমা দেওয়া সত্ত্বেও কমিটি অবৈধ নির্মাণ সম্পূর্ণ ধ্বংস করার কাজ করেনি। যার ফলে মসজিদটির একটি তলা ও বেশ কয়েকটি স্তম্ভ-সহ কাঠামোর কিছু অংশ অক্ষত রয়ে যায়।

    মসজিদের সম্পূর্ণ কাঠামোটিই অবৈধ

    সম্প্রতি শুনানিতে আদালত কঠোর অবস্থান নিয়ে অবশিষ্ট দুটি তলা — গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ফার্স্ট ফ্লোর-সহ — অবৈধ বলে ঘোষণা করে। ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী যুক্তি দেন যে মসজিদটি ১৯৪৭ সালের আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল এবং বর্তমান ভবনটি কেবল একটি পুনর্নির্মাণ। আদালত প্রশ্ন তোলে, যদি এটি সত্যিই পূর্ববর্তী কাঠামোর সংস্কার হয়, তবে সঠিক পদ্ধতিতে পুরসভার অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি। ৪৫ মিনিটের বিতর্কের পর আদালত তাদের সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করে এবং শেষে বিকাল ১টার পর রায় ঘোষণা করে। কমিশনার ভূপিন্দর আত্রি রায় দেন, মসজিদের সম্পূর্ণ কাঠামোটিই অবৈধ (Shimla Court) এবং এটি ভেঙে ফেলতে হবে।

    প্রসঙ্গত, শিমলার মালিয়ানা অঞ্চলে ২০২৪ সালের ২৯ অগাস্ট দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পর সানজৌলি মসজিদ মামলাটি জনসাধারণের নজর কাড়ে। ওই সংঘর্ষে এক ব্যক্তি জখম হন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ১ সেপ্টেম্বর, যখন সানজৌলি মসজিদের (Sanjauli Mosque) বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। এদিন সেই নির্মাণই ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত (Shimla Court)।

  • India Pakistan Conflict: ভারতীয় মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্যানেলিস্টদের আমন্ত্রণ নয়, বড় নির্দেশ তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের

    India Pakistan Conflict: ভারতীয় মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্যানেলিস্টদের আমন্ত্রণ নয়, বড় নির্দেশ তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তান থেকে ভারত বিরোধী (India Pakistan Conflict) মন্তব্য করা প্যানেলিস্টদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে কড়া বার্তা দিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। দেশের বিভিন্ন বৈদ্যুতিন এবং ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে রবিবার মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করা হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যমে ‘ভারত-বিরোধী’ পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশন (NBDA)। এই নির্দেশিকায় এনবিডিএ সদস্য চ্যানেলগুলিকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এমন কোনও বক্তা বা বিশ্লেষককে আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে যারা ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য পরিচিত।

    ভারতবিরোধী মিথ্যা প্রচার নয়

    নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশন তাদের সদস্য চ্যানেলগুলির সম্পাদকদের উদ্দেশ্যে পাঠানো বার্তায় বলেছে, “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যে কিছু চ্যানেল পাকিস্তানের এমন বক্তাদের তাদের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে যারা ভারত-বিরোধী মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন।” অ্যাসোসিয়েশনের মতে, যে কোনও বিদেশি বক্তা, বিশেষ করে পাকিস্তানি প্যানেলিস্টদের নির্বাচন করার সময় সংবাদমাধ্যমকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যেন ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তার পরিপন্থী কোনও বক্তব্য না রাখেন। সংগঠনটি চ্যানেলগুলিকে আরও আহ্বান জানিয়েছে যে, তারা যেন প্রচারের ক্ষেত্রে “উচ্চমাত্রার সম্পাদকীয় বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা” প্রয়োগ করে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগ

    সূত্র অনুসারে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে আগেই নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনকে জানানো হয় যে, পাকিস্তানি বিশ্লেষকরা ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলিকে “মিথ্যা প্রচারের প্ল্যাটফর্ম” হিসেবে ব্যবহার করছেন। সরকারি ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু চ্যানেল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এমন ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যারা পাকিস্তান থেকে এসে ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকদের উদ্দেশে মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের প্যানেলিস্টদের আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে। যেসব ব্যক্তি অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন বা ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করেন, তাঁদের কোনওভাবেই চ্যানেল বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত সংশ্লিষ্ট সম্পাদকীয় কর্মীদের মধ্যে যাতে এই বার্তা পৌঁছে যায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন একটা বিষয় নিশ্চিত করেন যে কোনও সম্প্রচার বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভারত-বিরোধী মিথ্যা প্রচারের মঞ্চ হয়ে না ওঠে।

    কোণঠাসা পাকিস্তান

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পাকিস্তানকে কার্যত কোণঠাসা করে দিয়েছে ভারত (India Pakistan Conflict)। একের পর এক চালে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। পাকিস্তানকে ভাতে মারতে পহেলগাঁও হামলার পরই সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা করেছিল ভারত। যা নিয়ে উত্তেজনা চরমে। এর মধ্যেই আরও এক মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে দিল্লি। সিন্ধু প্রবাহের দিক বদলের আগেই ভারত চন্দ্রভাগা বা চেনাব নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রভাগার উপর দেওয়া হয়েছে বাগলিহার বাঁধ। এছাড়া, সিন্ধুর আরেক শাখা নদী ঝিলামের উপর কিষাণগঙ্গা বাঁধেও একই পরিকল্পনা করেছে মোদি সরকার। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হত্যালীলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জনই ছিলেন পর্যটক। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ওই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। বাতিল করা হয়েছে পাকিস্তানিদের ভিসা, পাকিস্তানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া-সহ একের পর এক পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অটারী সীমান্তও।

    জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক

    পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) থেকে ডাকযোগে আর কোনও চিঠি বা পার্সেল ভারতে পাঠানো যাবে না। শনিবার ভারতীয় যোগাযোগ মন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আকাশপথে বা স্থলপথে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের চিঠি এবং পার্সেলের এ দেশে ঢুকতে দেওয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাকিস্তানি পণ্য আর আমদানি করা যাবে না এ দেশে। শনিবার সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও পণ্যবাহী জাহাজ ভারতীয় বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। পহেলগাঁও কাণ্ড পরবর্তী উত্তেজনার মাঝে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এবার আরও এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করল ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যেন কোনওভাবে দেশের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর প্ল্যাটফর্ম না হয়ে ওঠে, সেদিকে দৃষ্টি দিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। পাকিস্তান থেকে আগত বিতর্কিত বিশ্লেষকদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপ সেই কূটনৈতিক কৌশলেরই একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিদেশি বক্তাদের ভূমিকা নিয়ে সরকার এবং শিল্প মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে যখন তা জাতীয় নিরাপত্তা ও জনসচেতনতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

  • Puri: জগন্নাথ ধাম একটাই! দিঘার মন্দিরের নাম বিতর্কে এবার আইনি পদক্ষেপের দাবি পুরীর ধর্মীয় সংগঠনের

    Puri: জগন্নাথ ধাম একটাই! দিঘার মন্দিরের নাম বিতর্কে এবার আইনি পদক্ষেপের দাবি পুরীর ধর্মীয় সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই এই মন্দিরকে ঘিরে শুরু হয়েছে একাধিক বিতর্ক। মন্দিরের নামকরণকে ঘিরে চলছে প্রবল বিতর্ক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দিঘার এই মন্দিরের নাম রেখেছেন ‘জগন্নাথ ধাম’। এরপরেই ওড়িশার একাধিক আধ্যাত্মিক-ধর্মীয় সংগঠন তথা রাজনৈতিক নেতারা এমনটার বিরোধিতা শুরু করেছেন। পুরীর (Puri) শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা হল ছাতিশা নিযোগ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দেখভালের ক্ষেত্রে এই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারাই এবার দিঘার মন্দিরের এমন নামকরণের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার দাবি তুলল।

    শনিবার অনুষ্ঠিত হয় বৈঠক, জগন্নাথ ধাম নামকরণের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ

    তারাই দিঘার মন্দিরের এই নাম বিতর্কে কড়া সমালোচনা করেছে মমতা সরকারের। শুধু তাই নয় গত শনিবারই সংস্থার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দিঘার মন্দিরের এমন নামকরণের জন্য এর বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাশ করানো হয়। ওড়িশা সরকারের কাছে এই সংস্থা আবেদন জানিয়েছে নাম বিতর্কের এই ইস্যুতে যেন তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কথা বলে। একই সঙ্গে ওই সংস্থা শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল এডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান প্রশাসকরে সঙ্গে আলোচনাও সেরেছে (Jagannath Dham)। মমতা সরকারের এমন নামকরণের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করারও দাবি রেখেছে তারা। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে যে পুরীর (Puri) জগন্নাথ ধামের পবিত্রতা এবং মর্যাদা- এই দুটোই বজায় রাখতে যে কোনও মূল্যে।

    পুরীর (Puri) নিমকাঠ কীভাবে গেল দিঘায়? উঠছে প্রশ্ন

    ওই ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, দিঘার মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) রাখা একেবারেই নিন্দনীয় এবং তা বিভ্রান্তিকর। তাঁরা আরও বলছেন, পুরীর (Puri) একটি ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য রয়েছে। পুরীর মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম, এটা শতাব্দী ধরেই চলে আসছে। হিন্দুদের বিশ্বাস-আস্থা-প্রতীক-আবেগ জড়িয়ে রয়েছে পুরীর মন্দিরের সঙ্গে। একইসঙ্গে ওই ধর্মীয় সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে, পুরীর মন্দিরের দারু অর্থাৎ দৈবিক নিমকাঠ কীভাবে গেল দিঘায়। প্রসঙ্গত, পুরীর মন্দিরের নব কলেবর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে কাজে লাগে দৈবিক নিমকাঠ। জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে নবকলেবর অনুষ্ঠানেরই বাড়তি নিমকাঠ আসে দিঘায়। কীভাবে পুরীর মন্দিরের এই কাঠ এল দিঘায়, সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    তদন্তের নির্দেশ ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দনের

    ছাতিশা নিযোগের একজন সদস্য বলেন, এই পবিত্র দারু বা কাঠ শুধুমাত্র একটি কাঠ নয়। এর মধ্যে আমাদের ধর্ম এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্য মিশে রয়েছে। এই কাঠকে সর্বদা আমরা মর্যাদা দিয়ে চলি। ওই ধর্মীয় সংগঠনের অভিযোগ এভাবে পুরীর (Puri) মন্দির থেকে নবকলেবরের কাঠ নিয়ে প্রটোকলকে ভেঙেছে মমতা সরকার এবং এভাবে বিভ্রান্ত তৈরি হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনাতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান কর্ণধারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যে কিভাবে ওই কাঠ দিঘায় গেল!

    বিরোধিতায় শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক

    অন্যদিকে, বিখ্যাত বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক জগন্নাথ ধাম- এই নামকরণের বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে এভাবে জগন্নাথ ধাম নামকরণ করে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ভক্তের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে সারা পৃথিবীতে একটিই জগন্নাথ ধাম রয়েছে এবং সেটা পুরীতে। এই আবহে পুরীর (Puri) বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্রের মন্তব্য সামনে এসেছে। তিনিও দিঘার মন্দিরকে জগন্নাথ ধাম বলায় প্রবল আপত্তি তুলেছেন। নিজের বিবৃতিতে সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, পুরীর সাংসদ হিসেবে আমি অপেক্ষা করছি তদন্তের রিপোর্টের। বিজেপি সূত্রের দাবি, পুরীর মন্দিরে জগন্নাথের নবকলেবরের উদ্বৃত্ত কাঠ এনে যে দিঘার বিগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা রাজেশ দয়িতাপতি নিজেই বলেছেন। তাই ওই বিষয় নিয়ে তদন্তের আর কোনও প্রয়োজন নেই। ওই দয়িতাপতি-সহ পুরীর মন্দিরের আর কারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেটাই তদন্ত করে দেখবে মন্দির প্রশাসন। যাঁরা জড়িত, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তিও হবে বলে ওড়িশা সরকার সূত্রের খবর।

    চিঠিতে কী লিখলেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী?

    এই ইস্যুতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে, সমস্ত সংবাদমাধ্যমে ভগবান জগন্নাথের মন্দির এবং জগন্নাথের সংস্কৃতি সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। দিঘায় ভগবান জগন্নাথের মন্দির থাকা, মন্দিরের নাম পরিবর্তন করে জগন্নাথ ধাম রাখা, এখানকার সেবকদের মন্দির নির্মাণে যোগদান এবং কাঠ দিয়ে মূর্তি তৈরি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। এই ধরণের বিষয় জগন্নাথপ্রেমী ভক্ত সম্প্রদায় এবং ওড়িশার সাড়ে চার কোটি মানুষের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে।’’ পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ যদি তদন্ত শুরু করেন এবং পদক্ষেপ করেন, তা হলে পুরীর ওই দয়িতাপতি সমস‍্যায় পড়তে পারেন বলেই মনে করছে বিজেপি।

    কী বলছেন ওড়িশার উপ-মুখ্যমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, দিঘা জগন্নাথ মন্দির ইস্যুতে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কনক বর্ধন সিং দেও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মতো আমার অত জ্ঞান নেই। আমার সীমিত জ্ঞান থেকে আমি জানি যে, দেশে চারটি ধাম রয়েছে। চারটি ধামের প্রতিটিতে একজন শঙ্করাচার্য আছেন। কেউই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু একে জগন্নাথধাম বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত? জগন্নাথধাম একটিই। সেটা হল পুরী। দ্বিতীয় জগন্নাথধাম কোথায় হতে পারে? আমি সেবা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করব না। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে অবগত আছেন। রাজ্য সরকার যেটা ঠিক সেই মতোই পদক্ষেপ করবে। এর জন্য অপেক্ষা করুন।’’

  • Waqf Act: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’, সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Waqf Act: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’, সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের (Waqf Act) প্রতিবাদে এবার সারা দেশে বিক্ষোভে নামছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এমন ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনের তরফ থেকে। এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দেশের সংসদে যে আইন পাশ হল ওয়াকফ সম্পত্তিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে, সেটাই নাকি সংবিধান বিরোধী মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কাছে (AIMPLB)। শুধু তাই নয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আরও দাবি, মোদি সরকারের পাশ করা এই আইন নাকি ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে সরাসরি হুমকি। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকারও খর্ব হচ্ছে বলেও দাবি তাদের।

    ৭ জুলাই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (Waqf Act)

    আন্দোলনের দিনক্ষণও স্থির করেছে তারা (Waqf Act)। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ৭ জুলাই দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এই বোর্ডের একজন সদস্য মৌলানা গয়াস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন একথা। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধন আইন পাশের আগে দেশের দশটি বড় শহরে আলোচনায় মতামত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় ৯৭ লাখ ব্যক্তির মতামত নেওয়া হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতেই তৈরি হয় ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Act)। যেখানে দরিদ্র মুসলিমদের সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা যায় মোদি সরকারকে।

    ৭০ বছরের পুরনো আইনে বদল

    নয়া সংশোধনী আইন পাশ হওয়াতে বদলে গিয়েছে ৭০ বছরের পুরনো আইন। ১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে সিলমোহর দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার খোলনলচে বদলে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ ওয়াকফ বোর্ড পেতে চলেছে দেশ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াও ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act ) সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই আইন গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে তাঁদেরই ধনী অংশের হাত থেকে। ন্যায়ের স্বার্থে এই নতুন আইন আমাদের সংবিধানের বুনিয়াদি নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’’

  • CRPF Jawan Sacked: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন, চাকরি খোয়ালেন সিআরপিএফের জওয়ান

    CRPF Jawan Sacked: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন, চাকরি খোয়ালেন সিআরপিএফের জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন করা এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও স্ত্রীকে ভারতে থাকতে সাহায্য করার অভিযোগে সিআরপিএফের এক জওয়ানকে বরখাস্ত (CRPF Jawan Sacked) করা হল। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অভিযুক্ত জওয়ান মুনির আহমেদ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাঁর কার্যকলাপে (Pakistani Woman) দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    পাকিস্তানে বিয়ে (CRPF Jawan Sacked)

    জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা মিনাল খানের আলাপ হয় অনলাইনে। গত বছর মে মাসে বিয়ে করেন তাঁরা। অনলাইনে ভার্চুয়াল বিয়ে করেন মুনির ও মিনাল। গত মার্চে ভারতে আসেন মিনাল। ওই মাসেরই ২২ তারিখে শেষ হয়ে যায় তাঁর ভিসার মেয়াদ। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়তে বলা হয়। বাধ্য হয়ে অটারি-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফিরছিলেন মিনাল। তবে শেষ মুহূর্তে আদালতের নির্দেশে ভারতে থাকার অনুমতি পান তিনি।

    বরখাস্ত করার কারণ

    সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, পাক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের বিষয়টা চেপে গিয়েছিলেন ওই জওয়ান। চেপে গিয়েছিলেন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর ভারতে থেকে যাওয়ার বিষয়টি। এই ধরনের কার্যকলাপ সন্দেহজনক। তাই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে (CRPF Jawan Sacked)। এদিকে মুনিরের দাবি, সদর দফতর থেকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরেই তিনি বিয়ে করেন পাক তরুণীকে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

    মুনির বলেন, “আমি ন্যায়বিচার পাবই।” মুনির আরও বলেন, “তাঁকে যে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা তিনি প্রথম জানতে পারেন সংবাদ মাধ্যম থেকে। তার কিছু পরেই চিঠি এসে পৌঁছয় সিআরপিএফের সদর দফতর থেকে।” তিনি বলেন, “ভাবতে পারছি না, আমার বিরুদ্ধে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল।” জম্মুর ঘরোটা এলাকার বাসিন্দা মুনির। ২০১৭ সালে যোগ দেন সিআরপিএফে। মুনিরের পাকিস্তানি স্ত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২২ মার্চ। তার পরেও তিনি ছিলেন ভারতেই। পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আগেই আদালত থেকে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ মেলে (Pakistani Woman)। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি (CRPF Jawan Sacked)।

  • Swami Sivananda: ১২৯ বছর বয়সে প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা

    Swami Sivananda: ১২৯ বছর বয়সে প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত যোগগুরু স্বামী শিবানন্দ বাবা (Swami Sivananda)। শনিবার রাতে ১২৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ (Yoga Guru) করেন তিনি। ভুগছিলেন নিউমোনিয়ায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও ছিল। গত কয়েকদিন ধরে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সেখানেই রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। সোমবার হতে পারে তাঁর শেষকৃত্য।

    ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)

    দেশে তো বটেই, বিদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন স্বামী শিবানন্দ। সূত্রের খবর, তাঁর পার্থিব শরীর রেখে দেওয়া হবে দুর্গাকুণ্ডের আশ্রমে। ভক্তরা যাতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। বয়স ১২৯ হলেও, শেষ জীবনেও যথেষ্ট সক্ষম ছিলেন স্বামী শিবানন্দ। প্রতিদিন ভোরে কয়েক ঘণ্টা ধরে যোগব্যায়াম করতেন তিনি। এটাই তাঁর সুদীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি।

    শিবানন্দের জীবনকথা

    সরকারি নথি অনুযায়ী, ১৮৯৬ সালের ৮ অগাস্ট জন্ম হয় শিবানন্দের। অবিভক্ত ভারতের সিলেটে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সংসার চালাতে তাঁর মা-বাবা ভিক্ষে করতেন। মাত্র ছ’বছর বয়সে একই মাসে মা-বাবা এবং বোনকে হারান শিবানন্দ। বেড়ে ওঠেন আত্মীয়-স্বজনের কাছে। পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপেও কাটিয়েছেন বেশ কয়েক বছর। ছিলেন বৃন্দাবনেও। ১৯৭৯ সালে চলে আসেন বারাণসীতে। যোগ শিক্ষা লাভ করেন গুরু ওঁকারনন্দের কাছে। সেখানকার দুর্গাকুণ্ডেই আশ্রম রয়েছে শিবানন্দের। গত একশো বছর ধরে প্রয়াগরাজ, নাসিক, উজ্জ্বয়ন এবং হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় অংশ নিতেন তিনি। ২০২২ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। তাঁর হাতে সম্মননা তুলে দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যোগরত্ন, বসুন্ধরারত্ন পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

    স্বামী শিবানন্দের (Swami Sivananda) শিষ্য সঞ্জয় সর্বজ্ঞ জানান, শনিবার রাত ৯টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যোগগুরু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাও ছিল। ৩০ এপ্রিল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত তিন দিন ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তার পরেই আর ফেরানো যায়নি শিবানন্দকে।

    দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা শিবানন্দ নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন দরিদ্রদের সেবায়। কুষ্ঠরোগীদের সেবায়ও নিজেকে উৎসর্গ (Yoga Guru) করেছিলেন তিনি। পুরীর প্রায় ৫০০ কুষ্ঠরোগীর সেবা করতেন স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)।

LinkedIn
Share