Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • GST Reform: জিএসটি সংস্কারের সুফল তুলে ধরতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গ সফরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা

    GST Reform: জিএসটি সংস্কারের সুফল তুলে ধরতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গ সফরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। জানা গিয়েছে, তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পৌঁছবেন। তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত এবং তার সুফল (GST Reform) সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা।

    মোদির নির্দেশ

    সম্প্রতি এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন, কর সংস্কার (GST Reform) নিয়ে ইতিবাচক বার্তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষত, নতুন জিএসটি হার কীভাবে সাধারণ মানুষের আর্থিক চাপ কমিয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে। এই নির্দেশ অনুযায়ীই অর্থমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের বার্তা পৌঁছে দেবেন। পশ্চিমবঙ্গ তাঁর সফরের সূচিতে প্রথম দিকেই রয়েছে।

    ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করহার কার্যকর হতে চলেছে

    গত ৪ সেপ্টেম্বর জিএসটি (GST Reform) পরিষদের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করহার কার্যকর হতে চলেছে। এবার থেকে ১২ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ করহার বাতিল করা হচ্ছে। পরিবর্তে তিনটি স্তর রাখা হচ্ছে— ৫ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ (সিন ট্যাক্স)। একে বলা হচ্ছে ‘নতুন প্রজন্মের কর সংস্কার’। এই ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমার উপর থেকে পুরোপুরি কর তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব জিনিসে আগে ৫ শতাংশ কর ছিল, তার মধ্যে বহু জিনিসে আর কর দিতে হবে না। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং পাউরুটি। রুটি, পরোটা ও পনিরের উপর থেকেও কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বলেন—“যারা একসময় এই কর ব্যবস্থাকে বিদ্রূপ করে ‘গব্বর সিং কর’ বলেছিল, আজ তারাই আবার সংস্কারের (GST Reform) কৃতিত্ব দাবি করছে।” তাঁর মতে, কর ব্যবস্থার প্রথম ধাপ ছিল ‘ঐক্যের জন্য’, দ্বিতীয় ধাপ ছিল ‘সরলতার জন্য’, আর এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে এটি আরও সহজবোধ্য করা।

    পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ

    বিজেপি নেতৃত্বের দৃষ্টি এখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। দুর্গাপুজো ও কালীপুজো মিটে গেলে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে অর্থমন্ত্রীর সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বাংলায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি কলকাতা ও আশপাশের অন্তত দুটি দুর্গাপূজার উদ্বোধনে যোগ দিতে পারেন। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডারও পশ্চিমবঙ্গ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।

  • Vice President: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন, গোহারা বিরোধীরা

    Vice President: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন, গোহারা বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি হচ্ছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন (Vice President)। তিনি এনডিএর প্রার্থী হিসেবে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে বসবেন। মঙ্গলবার অনায়াসে জয়ী হন বছর আটষট্টির রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। ৪৫২টি প্রথম পছন্দের ভোট পেয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুধেরশন রেড্ডিকে ৩০০টি প্রথম পছন্দের ভোটে হারিয়ে দেন।

    গোহারা বিরোধীরা (Vice President)

    মোট ভোট পড়েছিল ৭৫৪টি। তার মধ্যে ১৫টি অবৈধ বলে গণ্য হয়। বৈধ ভোটের মধ্যে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার পিভি মোদি জানান, রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি প্রথম পছন্দের ভোট, বিচারপতি রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি। তবে ১৫০ ভোটের ব্যবধানটি উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মধ্যে অন্যতম কম ব্যবধান। ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড় প্রতিপক্ষের প্রার্থী মার্গারেট আলভার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ৫২৮ ভোট পেয়েছিলেন, যেখানে মার্গারেট আলভা পেয়েছিলেন ১৮২টি ভোট।

    ক্রস-ভোটিং

    প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা থেকে এটাও স্পষ্ট যে ক্রস-ভোটিং হয়েছে। অনুমান, বিরোধী দলের অন্তত ১৫ জন সাংসদ এনডিএ প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ৩১৫ জন বিরোধী সাংসদ একজোট ছিলেন (Vice President)। এনডিএর ভোট সংখ্যা ছিল ৪২৭। এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১ জন সাংসদ। সুতরাং এনডিএর মোট ভোট হওয়া উচিত ছিল ৪৩৮। কিন্তু রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২ ভোট। অর্থাৎ ১৪টি বেশি ভোট। ১৫টি ভোট বাতিল হওয়ায় বিরোধী পক্ষের ভোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের দাবি, তাদের ছিল ৩১৫ ভোট। যদিও বিরোধী প্রার্থী রেড্ডি পেয়েছেন মাত্র ৩০০ ভোট।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির নিশিকান্ত দুবে লেখেন, “কোন ১৫ জন লোক পালিয়ে গিয়ে আমাদের জন্য ভোট দিলেন?” তিনি লিখেছেন, “আপনাদের নেতারা এবং সাধারণ মানুষও আপনাদের থেকে পালিয়ে গিয়েছে… তাছাড়া রাহুল গান্ধীজি, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সত্যিই ব্যালট পেপারে হয়েছে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে নয়।” এক্স হ্যান্ডেলে নয়া উপরাষ্ট্রপতিকে (CP Radhakrishnan) অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি লিখেছেন, “আমরা আশা করি নতুন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ব্যক্তি সংসদীয় ঐতিহ্যের সর্বোচ্চ নীতিমালা অক্ষুণ্ণ রাখবেন, বিরোধীদের সমান জায়গা ও মর্যাদা নিশ্চিত করবেন এবং শাসক দলের চাপে আঘাতপ্রাপ্ত হবেন না।” তিনি আরও লিখেছেন, “উপ-রাষ্ট্রপতি, যা সাংবিধানিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ, তাঁকে স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে (Vice President)।”

  • Nepal Unrest: গণবিদ্রোহের জেরে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াল ভারত, জারি হাই অ্যালার্ট

    Nepal Unrest: গণবিদ্রোহের জেরে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াল ভারত, জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নেপালে (Nepal Unrest)। প্রবল চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বাংলাদেশ মডেলেই নেপালে ওলি সরকারের পতন হল। সংসদ ভবনে ঢুকে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। উপ প্রধানমন্ত্রী-সহ একের পর মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। মন্ত্রীদের সেনা হেলিকপ্টারে দ্রুত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্ধ বিমানবন্দর। বাতিল সমস্ত উড়ান। এই আবহে পড়শি দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল ভারত। মঙ্গলবার সকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে নেপালে বসবাস করা ভারতীয়দের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    ভারতের সতর্কবার্তা

    নেপালকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী’ বলে উল্লেখ করে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান হবে বলে ভারত আশাবাদী। ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা নেপালের পরিস্থিতির উপর নিবিড় ভাবে নজর রেখেছি। বহু তরতাজা প্রাণের মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশে নয়াদিল্লির বার্তায় বলা হয়েছে, “কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডু এবং আরও কয়েকটি শহরে অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি করেছেন। নেপালে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং নেপাল প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে বলা হচ্ছে।”

    পানিট্যাঙ্কিতে সীমান্ত বন্ধ

    নেপালে হিংসায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ভারতীয় ট্রাকচালক। গুলিবিদ্ধ সেই ট্রাকচালক নেপালে ট্রাক ফেলে ভারতে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে পানিট্যাঙ্কিতে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে অশান্তির জেরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে নেপাল সীমান্তে কয়েকশো ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে ওপারের অশান্তির জন্য। এদিকে পানিট্যাঙ্কিতেও দোকানপাট বন্ধ। এদিকে সীমান্তে সোমবার দুপুর থেকেই কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। পরিচয়পত্র পরীক্ষা ছাড়া সীমান্ত পারাপার কঠিন। এপাশে এসএসবি, ওপাশে নেপালি সেনা সতর্ক রয়েছে। রাজ্যের তরফেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জানানো হয়েছে, সামনে দুর্গা পুজো নেপালের পরিস্থিতি অস্থির থাকলে পর্যটনে বড় প্রভাব পড়বে, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

    ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া প্রহরা

    নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্য নেপালের সীমান্তবর্তী। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পাঁচ রাজ্যেই সীমান্তে তৎপরতা বেড়েছে। বিহারের নেপাল সীমান্তবর্তী সাতটি জেলায় নজরদারি বাড়িয়েছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এবং বিহার পুলিশ। পশ্চিম চম্পারণ, সীতামারি, মধুবনী, আরারিয়া, সুপৌল, পূর্ব চম্পারণ এবং কিষাণগঞ্জে টহলদারি বেড়েছে। পাশাপাশি, আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও রাখা হচ্ছে কড়া নজর। সূত্রের খবর, এরই মধ্যে সীমান্তে যৌথ টহলদারি শুরু করেছে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের  ‘হাই অ্যালার্ট’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’। ভারতের তরফে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বেশির ভাগ সীমান্তে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কিতেও থমথমে পরিবেশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেখানে নাকাতল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে দিনে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার মানুষ পারাপার করত, সেখানে এদিন যেন থমথমে পরিবেশ। হাতেগোনা দু-একটি গাড়ি পারাপার করছে। প্রত্যেক গাড়ির চালকের নাম, যাত্রীর নাম-সহ অন্যান্য তথ্যসংগ্রহ করছে পুলিশ। নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড। সীমান্তের দু’পারেই আটকে রয়েছে শয়ে শয়ে ট্রাক। ভারতের প্রায় শতাধিক ট্রাক চালক নেপাল সীমান্তে আটকে রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা সচল কন্ট্রোল রুম

    নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য ২৪ ঘণ্টা সচল কন্ট্রোল রুমও চালু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। ওপার থেকে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে ভারতীয়দের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। আন্দোলনকারীদের চাপ, পুলিশের গোলাগুলি, লাঠিচার্জ, জলকামান এসব উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখে যতদ্রুত সম্ভব নেপাল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছেন সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়রা। মঙ্গলবার সকালে পানিট্যাঙ্কি সীমান্তের পরিস্থিতি যাচাই করেন দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সীমান্তে নাকাতল্লাশি শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত এ পারে কোনও অশান্তি নেই। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি৷ নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’ এসএসবি-র মুখপাত্র ডিসি অমিত কুশওয়াহা বলেন, ‘‘আপাতত সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগের কিছু নেই। এসএসবি সর্বক্ষণ সজাগ রয়েছে এবং নেপালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। আমরা আশা করি, শীঘ্রই সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।’’ নেপাল যে যুবদের আন্দোলনে জ্বলছে, তা সীমান্ত থেকেই স্পষ্ট। নেপালের বিরতামোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। যে কারণে কোনরকম ঝুঁকি না-নিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়েছে।

  • Aadhaar Card: অন্যান্য নথির সঙ্গে মিললে তবেই বিহারের ভোটার তালিকায় বৈধ আধার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Aadhaar Card: অন্যান্য নথির সঙ্গে মিললে তবেই বিহারের ভোটার তালিকায় বৈধ আধার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় পরিচয়ের প্রামাণ্য নথি হিসেবে আধার কার্ড (Aadhaar Card) ব্যবহার করা যাবে। সোমবার এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এমন নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ, ভোটার তালিকার নথিতে আধার কার্ড অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত, তবে তা অন্যান্য নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। এই নিয়ম আপাতত শুধুমাত্র বিহারের জন্য প্রযোজ্য। তবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট করেছে, আধার কার্ড কখনও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এটি শুধুমাত্র ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য পরিচয় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দিয়েছে যে, আধার কার্ডের বৈধতা যাচাই করার পূর্ণ অধিকার তাদের থাকবে। আদালত জানিয়েছে, কেবল প্রকৃত নাগরিকরাই ভোট দিতে পারবেন। যারা জাল নথি দেখিয়ে ভোটারের দাবি করেন, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, কেউই চাইবে না যে নির্বাচন কমিশন অবৈধ অভিবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুক।

    একক নথি হিসেবে নয়, অন্যান্য নথির সঙ্গে মিলিয়ে প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে

    বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ আগেই জানিয়েছিল , ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অন্যান্য নথির সঙ্গে আধার কার্ডও (Aadhaar Card) পরিচয়পত্র হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। তবে এতদিন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশ দেয়নি। সোমবার আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল, ভোটাররা পরিচয়পত্র হিসেবে আধার ব্যবহার করতে পারবেন এবং আধারকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে হবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আধার একক নথি হিসেবে নয়, অন্যান্য নথির সঙ্গে মিলিয়ে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

    আধার কার্ড (Aadhaar Card) নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পুত্তস্বামী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আধার কারও নাগরিকত্ব প্রমাণের অধিকার তৈরি করতে পারে না। সোমবারের শুনানিতে সেই একই বিষয় বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত আরও জানিয়েছে, আধার আসল নাকি ভুয়ো, অন্য নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো অনুসরণ করা হয়, একইভাবে আধারের ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, তারা আইনি বিধি মেনে আধারকে পরিচয়পত্রের প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিবেচনা করবে। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে, আধার কার্ড (Aadhaar Card) নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কেউ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আধার দাখিল করতে পারবেন না।

  • BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭২ হাজার কোটি টাকার গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসের করা সমালোচনার জবাব দিল বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ করেছেন। অনিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে। এক্স হ্যান্ডেলে অনিল বলেন (Great Nicobar Project), “এই দ্বীপগুলি ইন্দোনেশিয়ার মাত্র ১৫০ মাইল দূরে অবস্থিত, মালাক্কা প্রণালীর পশ্চিম প্রবেশদ্বারের কাছে, যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।”

    বিজেপির বক্তব্য (BJP)

    তিনি বলেন, “ক্যাম্পবেল বে-তে অবস্থিত নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি আইএনএস বাজ ২০১২ সালে কমিশন করা হয়েছিল। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন ইউপিএর চেয়ারপার্সন।” বিজেপির এই নেতার প্রশ্ন, “কোন ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পার্টি এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।” তিনি বলেন, “দশ বছরেরও বেশি সময় পরে কোন ভিত্তিতে এবং কার পক্ষে আপনি, আপনার পরিবার এবং আপনার দল এখন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্পকে ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন (BJP)?”

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প একটি সরকারি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দ্বীপটিতে একটি ট্রানশিপমেন্ট পোর্ট, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি আধুনিক টাউনশিপ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে উন্নয়নকে কৌশলগত অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্রকল্প বিস্তৃত। এর মধ্যে ১৩০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলে নিকোবরিজ ও শোম্পেন সম্প্রদায় বসবাস করে। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “গ্রেট নিকোবার দ্বীপ প্রকল্প একটি মিসঅ্যাডভেঞ্চার, যা উপজাতির অধিকারকে পা দিয়ে দখল করছে এবং আইনি ও বিবেচনামূলক প্রক্রিয়ার অমর্যাদা করছে। এই প্রবন্ধে কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী নিকোবারের (Great Nicobar Project) মানুষ এবং তাদের সংবেদনশীল পরিবেশে এই প্রকল্পের দ্বারা যে অন্যায় সংঘটিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছেন।” এরই উত্তর দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

     

  • Vice President Election 2025: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের আশায় এনডিএ প্রার্থী, ঐক্য বজায় রাখার লড়াই বিরোধীদের

    Vice President Election 2025: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের আশায় এনডিএ প্রার্থী, ঐক্য বজায় রাখার লড়াই বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদীপ ধনখড়ের আচমকা ইস্তফার পর দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন এনডিএ (NDA) প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণনই (CP Radhakrishnan। অঙ্কের হিসেব অন্তত তেমনটাই বলছে। অসম্ভব কিছু না হলে এনডিএ প্রার্থীর জয় এখন খালি সময়ের অপেক্ষা৷ তবে শুধু জয় নয়, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের মার্জিন যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিয়ে বিরোধীদের বার্তা দিতে চায় বিজেপি৷ অন্যদিকে, ঐক্য ধরে রাখার লড়াই বিরোধী জোটের কাছে। ইন্ডি (INDIA) জোটের প্রার্থী বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি (Justice B Sudershan Reddy) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন। বিহার-সহ (2025 Bihar Legislative Assembly election) বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ বিরোধীদের।

    ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার অপেক্ষা

    মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সংসদে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। প্রথম ভোট দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) এরপরেই তিনি বন্যাবিধ্বস্ত পাঞ্জাব (Punjab) ও হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সন্ধে ৬টায় শুরু হবে ভোটগণনা। মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই জানা যাবে কে ভারতের ১৪-তম উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হতে চলেছেন।

    কী বলছে অঙ্কের হিসেব?

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদরা। লোকসভার সাংসদ সংখ্যা ৫৪২ এবং রাজ্যসভার সাংসদ সংখ্যা ২৩৮। ফলে মোট ৭৮১ জন সাংসদের ভোট দেওয়ার কথা। তবে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (Bharat Rashtra Samithi) ও বিজু জনতা দলের (Biju Janata Dal) সাংসদরা ভোট দেবেন না। শিরোমণি আকালি দলও ভোটে অংশ নিচ্ছে না। ফলে মোট ৭৬৭ জন সাংসদের ভোট দেওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ৩৮৬ জনের ভোট পেলেই জয় পাবেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থী। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে এনডিএ-র হাতে ৪০০-র বেশি সাংসদ রয়েছেন৷ এর বাইরে জগনের দলের ১১ জন সাংসদ এনডিএ প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেবেন৷ হিসেব অনুযায়ী ভোটদান হলে, এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন ৪৩৬টি ভোট পেতে পারেন৷ যেখানে ম্যাজিক ফিগার ৩৮৬৷ এনডিএ প্রার্থী এর চেয়ে বেশি ভোট পেলেই ইন্ডি শিবিরে চিন্তা তৈরি হতে পারে।

    ১৭তম উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

    সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তবে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে ভারতের ১৭তম উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যজনিত কারণে হঠাৎ পদত্যাগ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। তার পরই এই নির্বাচন। সংসদ ভবনের রুম নম্বর এফ-১০১, বসুধায় ভোটিং হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকাল ১০টাতেই ভোট দেবেন বলে জানা গিয়েছে। ভোট শুরু হওয়ার আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ব্রেকফাস্ট মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে এনডিএ সাংসদদের।

    প্রার্থী পরিচিতি

    সিপি রাধাকৃষ্ণন: এনডিএ প্রার্থী হলেন বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। গৌন্ডার-কোঙ্গু ভেল্লালার সম্প্রদায়ের ওবিসি প্রার্থী। ৬৮ বছর বয়সি বিজেপি নেতা রাধাকৃষ্ণনের শিকড় রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে। মিষ্টভাষী, অবিতর্কিত মানুষ রাধাকৃষ্ণনকে তামিল রাজনীতিতে অজাতশত্রু হিসেবে ডাকা হয়। এই রাজ্য থেকে বিজেপির হয়ে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি দুবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    বি সুদর্শন রেড্ডি: সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডির বয়স ৭৯ বছর। ২০১১ সালের জুলাইয়ে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। কালো টাকা নিয়ে সরকারি তদন্তের গাছাড়া মনোভাব প্রসঙ্গে তৎকালীন সরকারকে তুলোধনা করেছিলেন। এমনকী ছত্তীসগড়ে নকশাল দমনে সরকারের সালওয়া জুড়ুমকে তিনি অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিলেন।

    ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা

    ভোট হবে একক ক্রম আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে। সাংসদরা সাদা ব্যালট পেপারে নির্দিষ্ট কালি দিয়ে প্রার্থীর নামের সামনে ক্রম (১, ২, ৩) লিখবেন। অর্থাৎ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দ। এভাবে সবার প্রথম পছন্দ কে, সেটা গণনা করা হবে। কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ফার্স্ট ভোট পেলে সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচিত হয়ে যাবেন। অন্যথায় যিনি সর্বনিম্ন ভোট পেয়েছেন, তাঁকে বাদ দেওয়া হবে এবং সেক্ষেত্রে সেকেন্ড চয়েসের সঙ্গে ফার্স্ট চয়েসের ভোটের হার তুলনা করে দেখা হবে। রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও দলীয় প্রতীক থাকে না। তাই হুইপ জারি হয় না। সাংসদরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন। এই কারণে ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ভোট কেবল নতুন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নয়, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণেরও ইঙ্গিত বহন করতে পারে।

  • Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচনকে বয়কট করল বিজেডি-বিআরএস

    Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচনকে বয়কট করল বিজেডি-বিআরএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice President Election) উপস্থিত না থাকার কথা জানিয়েছে ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানার দুই রাজনৈতিক দল। ভোটের ঠিক একদিন আগে সোমবারেই এই বয়কটের কথা ঘোষণা করেছে ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক দল বিজেডি এবং তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্র শেখর রাও-এর দল বিআরএস। শারীরিক অসুস্থার কারণে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা করেছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। এরপর নতুন উপরাষ্ট্রপতি (C. P. Radhakrishnan) নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    কেন নির্বাচনে (Vice President Election) নেই বিজেডি?

    দলের পক্ষ থেকে বিজেডির অবস্থান স্পষ্ট করে দলীয় মুখপাত্র বলেন, “রাজনৈতিক কারণে বিজেডি বিজেপির এনডিএ এবং ইন্ডিজোট উভয়ের কাছ থেকেই দূরত্ব বজায় রাখছে। আমাদের সম্পূর্ণ লক্ষ্য ওড়িশার উন্নয়নের দিকেই। রাজ্যে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ রয়েছেন। তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথাই আমাদের কাছে প্রধান।”

    অপর দিকে বিআরএস নেতা চন্দ্র শেখর রাও-এর পুত্র রামা রাও এদিন সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “আমাদের রাজ্যে কৃষকদের পরিস্থিতি ভীষণ খারাপ। কংগ্রেস সরকার ইউরিয়ার চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। তাই একমাত্র কৃষকদের কথা ভেবেই আমরা ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন (Vice President Election) থেকে বিরত থাকছি।”

    এনডিএ জোট জয় নিয়ে আশাবাদী

    নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (Vice President Election) হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন (C. P. Radhakrishnan)। তিনি সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অপর দিকে ইন্ডিজোটের প্রার্থী হলেন বি সুদর্শন রেড্ডি। তিনি প্রাক্তন বিচারপতি। এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন রাজ্যসভা এবং লোকসভার সদস্যরাই। প্রত্যেক সদস্যকে প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রার্থীদের ভোট দিতে হয়। প্রথম পছন্দের বেশি ভোটেই নির্বাচিত হন উপরাষ্ট্রপতি। তবে রাজনীতির একাংশ মনে করছেন, সিপি রাধাকৃষ্ণনের পাল্লাই বেশি ভারি। তাই নির্বাচনে এনডিএ জোট জয় নিয়ে তাঁরা দারুণ আশাবাদী।

  • PM Narendra Modi: ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের মোদি, যোগ দেবেন সেনার অনুষ্ঠানে

    PM Narendra Modi: ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের মোদি, যোগ দেবেন সেনার অনুষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের পর এই নিয়ে রাজ্যে চতুর্থবার আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তবে হ্যাঁ, এইবার কোনও রাজনৈতিক সভা বা কর্মসূচিতে নয়। ইস্টার্ন কমান্ডের সেনাবাহিনীর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রধান অজিত ডোভাল এবং দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রী আসবেন ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে এবং ওই দিন রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর ফোর্ট উইলিয়মে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের (Eastern Command) অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন এবং এরপর আবার ওই দিনই দুপুরে দিল্লি ফিরে যাবেন।

    থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধান (PM Narendra Modi)

    অপারেশন সিঁদুরের পর পূর্ব ভারতে সেনার এবং কমান্ডারদের (Eastern Command) নিয়ে কলকাতায় বিরাট বৈঠক হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ডের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়মে সম্মিলিত কমান্ড কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৫ সেপ্টেম্বর ওই কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধান ও ভারতীয় সেনার চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান। সেইসঙ্গে থাকবেন আরও প্রমুখ সেনা আধিকারিকরা। আরও জানা গিয়েছে, আগামীদিনে দেশের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ব্যবস্থা, সীমান্ত সমস্যা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার কৌশল কেমন হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে অনুষ্ঠানে।

    অস্থির পূর্ব-উত্তরপূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি

    গত একবছরের বেশি সময় ধরে পূর্ব-উত্তরপূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ভীষণ ভাবে অস্থির। ওই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কট্টর মোল্লা-মৌলবিদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা, অনুপ্রবেশ ভারতের অভ্যন্তরে প্রভাব ফেলছে। আবার বাংলাদেশ-পাকিস্তানের গোপন সামরিক চুক্তিও উদ্বেগের কারণ। এবার আরেক পরিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতে। আর তার উপর রয়েছে চিনের আগ্রাসন নীতি। সব মিলিয়ে ভারতকে পূর্ব এবং উত্তর ভারতের সমীকরণ নিয়ে ভাবতেই হবে। সেই সঙ্গে ভারতের দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে অনুষ্ঠানে। তাই ভারতীয় সেনাকে মোদি (PM Narendra Modi) কী বিশেষ বার্তা দেন তাও দেখার বিষয়।

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু, কানপুরে শিয়া-সুন্নি বিরোধ

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু, কানপুরে শিয়া-সুন্নি বিরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। সকাল সকাল গুলির লড়াই শুরু হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কুলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর তিন জওয়ান জখম হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ওই এলাকায় আরও কেউ লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে কানপুরের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা পাতকাপুরে আবারও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত এক যুবকের সামাজিক মাধ্যমে করা একটি পোস্ট সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ পোস্টটিকে “অত্যন্ত আপত্তিকর” বলে বর্ণনা করেছে।

    সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

    গোপন সূত্রে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সোমবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও (Jammu and Kashmir) কুলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর তিন জওয়ান জখম হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ওই এলাকায় আরও কেউ লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়ে জেলার গুদারের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। তখনই আচমকা সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি ছোড়েন জওয়ানেরাও। তাতেই এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন তিন জওয়ান। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযান এখনও চলছে। চিনার কর্পস টুইটারে এক পোস্টে জানিয়েছে, সুর্নিদিষ্ট ইনপুটের ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে। প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু হয়। তাতেই এক জঙ্গির মৃত্যু হয়।

    শিয়া-সুন্নি বিরোধে উত্তপ্ত কানপুর

    কানপুরের (Shia-Sunni clash in Kanpur) অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা পাতকাপুরে ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনাটি শিয়া-সুন্নি সাম্প্রদায়িক বিরোধ থেকেই সূত্রপাত। অভিযুক্ত সোজাফের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুন্নি সম্প্রদায়কে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, “আমরা পোস্টটির বিষয়বস্তু যাচাই করছি। সামাজিক মাধ্যম অনেক সময়ই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের উৎস হয়ে ওঠে, এবং আমরা নিশ্চিত করছি যেন এর অপব্যবহার আর না ছড়ায়।” পুলিশ সোজাফকে হেফাজতে নিয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পাথর ছোঁড়া ও উসকানিমূলক স্লোগানের অভিযোগে জনতার মধ্য থেকে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। “শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইলে যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

  • Akhil Bharatiya Samanvay Baithak: দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরে জোর, অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা

    Akhil Bharatiya Samanvay Baithak: দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরে জোর, অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (Rashtriya Swayamsevak Sangh)-এর অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak) উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা। রবিবার সমন্বয় বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মলনে সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রধান সুনীল আম্বেকর জানান পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ও নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় আরএসএস-এর সভায়। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হিংসা হ্রাস ও উন্নয়নের ধারাকে ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মণিপুরে সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনাগুলিতে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষা, সমাজ ও জাতীয় জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় এই সভায়।

    দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা

    শুক্রবার রাজস্থানের যোধপুরে আরএসএস-এর তিন দিনের সমন্বয় বৈঠক শুরু হয়, চলে রবিবার পর্যন্ত। এখানে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়৷ দেশজুড়ে সঙ্ঘ পরিবারের যে ৩২টি শাখা রয়েছে, সেখানকার শীর্ষ পদাধিকারীরাও এই বৈঠকে এসেছিলেন। বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত৷ বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা–সহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রথম সারির বিজেপি নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনেই মোদি সরকারের কার্যকাল এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে জনজাতি অঞ্চল উন্নয়নের বিষয়ও উঠে আসে আরএসএসের সভায়।

    দশমীর দিন শতবর্ষে পা আরএসএস-এর

    এই বছর দশমীর দিন শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস৷ কী কী ভাবে তা দেশজুড়ে পালন করা হবে, তার রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয় এই বৈঠকে। দশমীর সকালে নাগপুরে সংঘের সদর দফতরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের৷ শতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো হবে। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের সংগঠন আরও মজবুত করার লক্ষ্যে অল আউট ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত নিল আরএসএস৷ রাজস্থানের যোধপুরে চলতে থাকা আরএসএস-র সমন্বয় বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংঘ পরিবার সূত্রে খবর৷ রাজ্যে আরএসএস-এর সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গকে৷ দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে আরও দক্ষ ও মজবুত সংগঠন প্রয়োজন বলেই মনে করছে সংঘ। পাশাপাশি রাজ্যের যে সব জেলায় সংঘের শাখা সব থেকে কম আছে, সেখানে অবিলম্বে শাখার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরএসএস৷

    বাংলায় আরএসএস-এর প্রচার

    গত ১০০ বছরে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে সঙ্ঘ পরিবার কী ভাবে দেশ গড়ার কাজ করে গিয়েছে লাগাতার, তার বিবরণ তুলে ধরে সারা দেশে চালানো হবে বিশেষ প্রচার৷ দিল্লিতে দিন কয়েক আগেই সঙ্ঘের তরফে আয়োজিত ব্যাখ্যানমালার মাধ্যমে আরএসএস-র মত ও পথ তুলে ধরেছেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত৷ আগামী দিনে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘের মতাদর্শ তুলে ধরার লক্ষ্যে নির্ধারিত প্রচারাভিযানে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গ৷ সূত্রের দাবি, সরসংঘচালক ভাগবত নিজেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে সংঘের মতাদর্শ নিয়ে আয়োজিত বিশেষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন৷ তার আগে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামবেন আরএসএস-এর প্রচারকরা৷ সূত্রের দাবি, মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের শুরুতেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হবে প্রচারাভিযান৷ এর সঙ্গেই চালানো হবে নাগরিক সম্মেলন এবং গৃহ সম্পর্ক অভিযান৷ এই দু’টি প্রকল্পের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংঘ পরিবারের মতাদর্শ তুলে ধরবেন আরএসএস প্রচারকরা৷ প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারিতে উত্তর এবং দক্ষিণ— দুই বঙ্গে আলাদা ভাবে আয়োজিত হবে হিন্দু সম্মেলন, যেখানে অংশগ্রহণ করবেন সংঘের সর্বভারতীয় পদাধিকারীরা৷

    শিক্ষাক্ষেত্রকে গুরুত্ব

    ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত তিন দিনের এই বৈঠকে বিশেষভাবে শিক্ষাক্ষেত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ, বিদ্যা ভারতী, শিক্ষা সংস্কৃতি উন্নয়ন ন্যাস, ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডল ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদসহ একাধিক সংগঠন জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। সুনীল আম্বেকর জানান, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাদানে উৎসাহিত করতে ভারতীয় ভাষাগুলোর প্রসারে ইতিবাচক প্রচেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তক পুনর্লিখন ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভারতীয় জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার ভারতীয়করণের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চলছে। ইংরেজির বিরোধিতা নয়, তবে ভারতীয় ভাষাগুলিকে শিক্ষা ও প্রশাসনে সম্মানজনক স্থান দিতে চায় আরএসএস। প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত, এবং সমস্ত ভারতীয় ভাষার প্রতি সমান সম্মান থাকা উচিত, বলে মনে কর সংঘ।

    দেশের সামাজিক পরিস্থিতি

    সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। পাঞ্জাবে যুবসমাজের মধ্যে মাদকাসক্তি ও ধর্মান্তর প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেবা ভারতী ও বিদ্যার্থী পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত সচেতনতা ও পুনর্বাসন অভিযান সম্পর্কে তথ্য জানানো হয়। নারীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুনীল আম্বেকর বলেন, ক্রীড়া ভারতী নারী খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগবিদ্যা ও অধ্যয়নের প্রসার ঘটাচ্ছে। তিনি জানান, অপারেশন সিন্দুর কর্মসূচির অধীনে ৮৮৭টি নারী-কেন্দ্রিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা সংঘের কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। ধর্মান্তর, অনুপ্রবেশ ও কাশী-মথুরা ইস্যুতেও আলোচনা হয়। জানানো হয়, এ বিষয়গুলির সমাধান সংঘাত বা আন্দোলনের মাধ্যমে নয়, বরং আইনি প্রক্রিয়া ও পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে খোঁজা হবে। উপজাতি অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। বলা হয়, নকশাল ও মাওবাদী হিংসা অনেকটাই কমেছে, কিন্তু সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা এখনো চলমান। বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের হোস্টেল নির্মাণ ও উপজাতি অধিকার নিয়ে কাজ প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়। ভারতীয় সংস্কৃতি ও জাতীয় ভাবনাকে উপজাতি সমাজে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়। সংঘের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ, পারিবারিক সচেতনতা, ও নাগরিক কর্তব্য নিয়ে বিশেষ কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share