Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sikkim History: ১৯৭৫ সালে আজকের দিনে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সিকিম, এর নেপথ্যে ছিল যে কারণ…

    Sikkim History: ১৯৭৫ সালে আজকের দিনে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সিকিম, এর নেপথ্যে ছিল যে কারণ…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ১৬ মে রাজনৈতিক টানপোড়েনের শেষে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। চিনের আক্রমণ থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে সিকিমের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভারতের অন্তর্ভুক্তি প্রার্থনা করে। সংবিধানে সংশোধন এনে সিকিমকে (Sikkim) ভারতের ২২তম রাজ্যে পরিণত করা হয়। কিন্তু কীভাবে সিকিম ভারতের (Sikkim History) অন্তর্ভুক্ত হল দেখে নিন এক নজরে।

    সিকিমের ইতিহাস (Sikkim History)

    অতীতে সিকিমে নামগ্যাল পরিবারের শাসক ছিল। স্থানীয় রাজাকে সিকিমে চোগিয়াল বলা হত। সিকিমে সাংস্কৃতিকভাবে তিব্বতি বৌদ্ধ ধারার প্রভাব ছিল। একসময় সিকিমের লড়াকু চোগিয়ালরা নেপাল ও তিব্বতের কিছু অংশ দখল করে নিয়েছিল। তাঁদের রাজত্ব ছিল চুম্বি ভ্যালি পর্যন্ত। কিন্তু ব্রিটিশরা (East India Company) তাঁদের ক্ষমতা খর্ব করে দেয়। ১৮ শতকের মাঝামাঝি প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার নেপালি সিকিমে চলে আসে। ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে সিকিমে নেপালের প্রভাব বিস্তার হয়। নেপালের আক্রমণের ফলে সিকিমের রাজ্য অনেকটা ছোট হয়ে যায়। ব্রিটিশদের সঙ্গে নরমে গরমে সম্পর্ক ছিল সিকিমের রাজাদের। তেতালিয়া চুক্তির পর ব্রিটিশদের দার্জিলিং হস্তান্তর করে দেওয়ায় তাঁদের সম্পর্কে স্থিতাবস্থা আসে।

    স্বাধীনতার পর ভারত-সিকিম সম্পর্ক

    সিকিম ছিল ব্রিটিশদের প্রটেক্টরেট রাজ্য। ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেই দায়িত্ব স্বাধীন ভারত সরকারের কাঁধে বর্তায়। চিনের তিব্বত দখল ও ভারতের উপর আক্রমণের পর সিকিম বুঝতে পারে এবার তাঁদের পালা। ষাটের দশকে সিকিমে রাজতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। স্থানীয় জনতা গণতন্ত্রের দাবি তোলে। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সেখানকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা কাজি লেন্দুপ দর্জি। ১৯৬৩ সালে স্থানীয় রাজা থাসি নামগেয়ালের মৃত্যুর পর রাজা হন পলডেন নামগেয়াল। এর দশ বছর পর ১৯৭৩ সালে সিকিমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে রাজ পরিবার বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়। কিন্তু আন্দোলনকারিরা দাবি করে রাজ পরিবার ভোটে কারচুপি করেছে। ১৯৭৪ সালের সিকিমে পুনরায় ভোটাভুটি হয়। এই নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জির দল জয়যুক্ত হয়। সিকিমের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।

    সিকিমের ভারতে বিলয়

    সিকিমের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর লেন্দুপ দর্জি বুঝেছিলেন সিকিমকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে তুলতে গেলে ভারতের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। সেই সময় লাল ফৌজের নজর ছিল ভারতের পূর্ব প্রান্তের রাজ্যগুলির দিকে। তিনি সংসদে সিকিমকে ভারতের রাজ্যে পরিণত করার আবেদন করেন। এমতাবস্থায় সংবিধানের ৩৬ তম সংশোধন সংশোধন এনে সিকিমকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    সিকিমের বলয়ে চিনের গোঁসা

    চিন সিকিমকে (Sikkim History) দীর্ঘদিন ভারতের রাজ্য হিসেবে মর্যাদা দেয়নি। ভারতের অন্তর্ভুক্তির অনেক পর ২০০৩ সালে ভারতের রাজ্যের মর্যাদা দেয় চিনা প্রশাসন। সীমান্তে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি সাধনের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে চিনা প্রশাসন। অবশ্য এর পরেও বেশ কয়েকবার সিকিম সীমান্তে ভারত ও চিনা সেনাবাহিনী ছোটখাটো সংঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SBI FD: ফিক্সড ডিপোজিটে ফের সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক, কত হল জানেন?

    SBI FD: ফিক্সড ডিপোজিটে ফের সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থায়ী আমানতে ফের সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI FD)। ২ কোটি টাকা পর্যন্ত যাঁরা আমানত করবেন এবং তার চেয়েও বেশি পরিমাণ যাঁরা আমানত করবেন দুই ক্ষেত্রেই কয়েকটি প্রকল্পে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট। বুধবার থেকেই কার্যকর হয়েছে নয়া সুদের হার। স্টেট ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ালেও, এখনও অন্য ব্যাঙ্কগুলি তা করেনি। উল্লখ্য যে, সাম্প্রতিক অতীতে স্টেট ব্যাঙ্ক ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার যতটা বাড়িয়েছে, আমানতের ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়নি সেই হারে। এহেন আবহে মিলল খানিক স্বস্তির খবর। স্থায়ী আমানতে বাড়ল সুদের হার।

    স্থায়ী আমানত কী? (SBI FD)

    স্থায়ী আমানত হল, কোনও একজন ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাঙ্কে যত পরিমাণ টাকা জমা রাখেন। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে এই টাকা তোলা যায় না। স্থায়ী আমানতের মেয়াদ কিছু দিনের জন্য হতে পারে, আবার বেশ কয়েক বছরের জন্যও হতে পারে। রেগুলার সেভিংস অ্যাকান্টের চেয়ে সচরাচর স্থায়ী আমানতে সুদের হার বেশি হয়ে থাকে (SBI FD)। চড়া হারে সুদ পাওয়ার আশায় মানুষ স্থায়ী আমানত করেন। এতে বাজারগত ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে।

    কোথায়, কত বাড়ল সুদ

    ২ কোটি টাকা পর্যন্ত যাঁরা আমানত করবেন, তাঁরা যদি ৪৬ থেকে ১৭৯ দিনের মেয়াদে টাকা জমা রাখেন, সেক্ষেত্রে সুদের হার ৪.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। ১৮০ থেকে ২১০ দিনের স্থায়ী আমানতে সুদ ২৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৬ শতাংশ। ২১১ দিন থেকে এক বছরের কম মেয়াদে সুদ বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। নয়া সুদের হার দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশ। অবশ্য এর বেশি মেয়াদের আমানতি প্রকল্পগুলিতে সুদের হার রয়েছে একই।

    আর পড়ুন: ‘‘ওরা চাঁদে পৌঁছে গেল, সেখানে আমরা…’’, পাক সাংসদের মন্তব্য ভাইরাল

    ২ কোটি টাকার ওপর যাঁরা আমানত করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৪৫ দিনের জন্য সুদ পাবেন ৫.২৫ শতাংশ হারে (SBI FD)। ৪৬ থেকে ১৭৯ মেয়াদি আমানত প্রকল্পে যাঁরা টাকা রাখবেন, তাঁরা সুদ পাবেন ৬.২৫ শতাংশ হারে। ১৮০ থেকে ২১০ দিনের মেয়াদি আমানতে সুদের হার বেড়ে হয়েছে ৬.৬ শতাংশ। এক বছর থেকে দু’বছরের কম মেয়াদের আমানতে সুদের হার মিলবে ৭ শতাংশ হারে। আর দু’বছর থেকে তিন বছরের কম সময়ের মেয়াদি আমানতেও সুদের হার ৭ শতাংশ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রবীণ আমানতকারীরা সুদ পাবেন অতিরিক্ত .৫ শতাংশ (SBI FD)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Archaeological Marvels Discovered: রাজস্থানে উদ্ধার মহাভারত ও মৌর্য যুগের অবশিষ্টাংশ

    Archaeological Marvels Discovered: রাজস্থানে উদ্ধার মহাভারত ও মৌর্য যুগের অবশিষ্টাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মাটি থেকে আবারও উদ্ধার ঐতিহাসিক সম্পদ। সম্প্রতি রাজস্থানের (Rajasthan) দৌসা জেলার ভেঝা গ্রামের একটি ঢিবির উপর খননের সময় ২,৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো প্রত্নবস্তু আবিষ্কার (Archaeological Marvels Discovered) হয়েছে। জানা গেছে এই বস্তু গুলি মহাভারত ও মৌর্য যুগের অবশিষ্টাংশ। স্বাভাবিকভাবেই হটাৎ করে এই প্রত্নতাত্ত্বিক বুস্তুগুলির আবিষ্কারে হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। 

    কী কী পাওয়া গিয়েছে? (Archaeological Marvels Discovered) 

    আবিষ্কৃত হওয়া বুস্তু গুলির মধ্যে রয়েছে ব্রোঞ্জের হাতিয়ার, মুদ্রা, মৌর্য যুগের একটি মূর্তির মাথা, শুঙ্গ যুগের অশ্বিনী কুমারদের ভাস্কর্য এবং হাড় দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি। এছাড়াও মহাভারতের সময়কার মৃৎশিল্পের টুকরো এবং অন্যান্য প্রত্নবস্তুও খনন প্রক্রিয়ার সময় আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল শুঙ্গ যুগের হাড়ের সরঞ্জাম। এছাড়াও একটি মাটির সীল উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে দেবতাদের হাতির উপর চড়ার চিত্র আঁকা রয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হওয়া বস্তু গুলির মধ্যে রয়েছে সিন্ধু সভ্যতার (১১০০ এবং ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সময়কার একটি ধূসর মাটির পাত্র, মৌর্য যুগের একটি বিরল পোড়ামাটির পাইপ এবং মাতৃদেবীর একটি পোড়ামাটির মূর্তি। পাশাপাশি প্রাচীরের ৪৫-ডিগ্রি কোণে পাওয়া পোড়া ইটগুলি, সম্ভবত মৌর্য যুগের বলে জানিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্ববিদরা।     
    জানা গিয়েছে রাজস্থানের ওই এলাকার ঢিবি খননের সময় দুটি ৩০ ফুট গভীর কুয়োর সন্ধান পাওয়ার পরেই সেখান থেকে প্রাচীন ইটের দেয়াল এবং মৃৎপাত্রের টুকরো আবিষ্কৃত হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক তছরূপ মামলায় ইডির জালে আলমগির আলম

    মন্দিরের অস্তিত্ব 

    অন্যদিকে খনন কার্যের ফলে মধ্যপ্রদেশের ধারে আবিষ্কৃত  ভোজশালাটিরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। জানা গিয়েছে প্রাচীনকালে এখানে সরস্বতী মন্দির ছিল। যা রাজা ভোজের সময় নির্মিত হয়েছিল। খনন কার্যের (Archaeological Marvels Discovered) পর বহু বছর ধরে গবেষণার পরে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বর্তমানে প্রফেসর অলোক ত্রিপাঠির নির্দেশনায় এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল, ভোজশালার প্রকৃত প্রাচীনত্ব এবং পরিচয় উন্মোচনের জন্য শিলালিপি এবং বৈজ্ঞানিক খননগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা চালাচ্ছে৷  
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “দু’-তিন বছরের মধ্যেই দেশ নকশাল মুক্ত হবে”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “দু’-তিন বছরের মধ্যেই দেশ নকশাল মুক্ত হবে”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে মোদি সরকার। আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যেই দেশ নকশাল-মুক্ত হবে।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার দরিদ্র এবং উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় কল্যাণমূলক কাজের সুফল পৌঁছে দিয়েছে। সেই কারণেই নকশালরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।”

    নকশাল-মুক্ত ৭ রাজ্য (Amit Shah)

    তিনি জানান, ঝাড়খণ্ড, বিহার, তেলঙ্গনা, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র পুরোপুরি নকশাল-মুক্ত। ছত্তিশগড়ের তিন-চারটি জেলায় অবশ্য সমস্যটা রয়ে গিয়েছে। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “আমার মনে হয় আগামী দু’তিন বছরের মধ্যেই দেশ পুরোপুরি নকশাল-মুক্ত হয়ে যাবে। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর চার-পাঁচ মাসে ১১২ জন মাওবাদী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে, ৩৭৫ জনের মতো আত্মসমর্পণ করেছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫৩জনকে। এদিকে কংগ্রেস বলছে ভুয়ো এনকাউন্টার হচ্ছে।” এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, চতুর্থ দফার নির্বাচনের মধ্যে যতগুলি আসনে ভোট হয়েছে, তাতে ২৭০টি আসন পাবে বিজেপি।

    ‘এই নির্বাচন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ’

    তিনি বলেন, “এই নির্বাচন এবং তার ফলের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তার উচিত দেশের প্রতিটি অংশ থেকে সমর্থন পাওয়া। সরকারকে স্থায়ী হতে হবে। তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে হবে।” তিনি বলেন, “বিরোধীরা ‘৪০০ পার’ স্লোগানের অপব্যাখ্যা করছে। দূরদৃষ্টির অভাবের জন্যই তারা এটা করছে। একটা স্থায়ী সরকার দেশকে শক্তি দিতে পারে, কঠোর পদক্ষেপ করতে সাহায্য করতে পারে, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে পারে গরিবের দুয়ারে, সন্ত্রাসবাদ, নকশালের উপদ্রবের মতো সমস্যার সমাধানও করতে পারে। এই সরকারই পারে দেশের পক্ষে কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে, দেশকে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে।”

    আর পড়ুন: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    বিজেপির ‘৪০০ পার’ স্লোগানের অপব্যাখ্য করায় এদিন শাহ নিশানা করেন বিরোধী নেতাদেরও। তিনি বলেন, “সংরক্ষণ তুলে দেওয়াই যদি আমাদের লক্ষ্য হত, তাহলে ১০ বছরের মধ্যেই তা করতে পারতাম। কারণ আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমরা তো তা করিনি। আমি আপনাদের স্পষ্ট করে দিতে চাই এই বলে যে, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ এদেশে হবে না। কারণ এটা সংবিধান বিরোধী (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jharkhand minister arrested: আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির জালে আলমগির আলম

    Jharkhand minister arrested: আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির জালে আলমগির আলম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মধ্যেই এবার ইডির জালে ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী (Jharkhand minister arrested) তথা কংগ্রেস নেতা আলমগির আলম (Alamgir Alam)৷ ইডি সূত্রে খবর, গ্রামোন্নয়ন দফতরে কিছু অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছিল। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি স্পষ্ট হয়। সোমবার সকাল থেকে ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার, ইডি তাঁকে প্রায় নয় ঘণ্টা জেরা করে ৷ বুধবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মিলতেই গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের এই মন্ত্রীকে৷ 

    আগে কী ঘটেছিল? (Jharkhand minister arrested)

    সোমবার ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হতেই তদন্তকারী সংস্থার সাতটি দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। এর মধ্যে রয়েছে আলমগিরের আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লাল ও তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গির আলমের ঠিকানা। এদিন ইডির তল্লাশিতে জাহাঙ্গিরের রাঁচীর বাড়ি থেকেই সব মিলিয়ে ৩৫.২৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। ঘটনায় গ্রেফতার হয় মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক ও তাঁর পরিচারক। ফলে আর্থিক তছরূপের তদন্তে নেমে রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরে অনিয়ম এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে৷ এর পরেই বুধবার রাঁচির আঞ্চলিক অফিসে তলব করা হয় আলমগিরকে (Alamgir Alam)। তাঁর বয়ান সংগ্রহ করার জন্যই তাঁকে ডেকেছিল ইডি। কিন্তু তাঁর বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ইডির বক্তব্য, এই মামলায় আরও কয়েক জন আমলা ও রাজনীতিকের নামও উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই সব কিছুর তদন্ত হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় দেশে বিপুল কর্মসংস্থান, সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    ইডি হেফাজতে আলমগির 

    বুধবার আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ (PMLA) আইনের অধীনে ৭০ বছর বয়সি এই মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি৷ গ্রেফতার হওয়ার পর আলমগির (Jharkhand minister arrested) বলেন, ‘‘ভোট চলছে। ইডি তদন্ত করছে। গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বলে তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। আমি এখনই এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না। মানুষ সব বুঝছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 10 years of Modi: মোদি জমানায় দেশে বিপুল কর্মসংস্থান, সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    10 years of Modi: মোদি জমানায় দেশে বিপুল কর্মসংস্থান, সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্বতন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের চেয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার যে নানা দিক থেকে এগিয়ে, তা স্পষ্ট হয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টে। এবার জানা গেল, কর্মসংস্থানেও আগের সরকারের চেয়ে কয়েক যোজন এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার (10 years of Modi)।

    কী বলছে ‘স্কচগ্রুপের রিপোর্ট?

    স্কচ (SKOCH) নামের এক সংস্থার করা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের (নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের ১০ বছর (10 years of Modi)) মধ্যে কংর্মসংস্থান হয়েছে ৫১.৪ কোটি। এর মধ্যে ১৯.৭৯ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে গভর্নেন্স লেড ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে। বাকি ৩১.৬১ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে ক্রেডিট-লেড ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে। সোমবারই স্কচের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টটি। তাতেই উঠে এসেছে মোদি (10 years of Modi) জমানায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কথা।

    পার্সন-ইয়ার কী?

    একজন ব্যক্তি এক বছরে যত সময় ধরে কাজ করেন, তাকে যদি ঘণ্টায় প্রকাশ করা হয়, এই সময় পরিমাপের একক হল ওয়ান পার্সন-ইয়ার, অর্থাৎ এক ব্যক্তি-বর্ষ। স্কচ গ্রুপ তাদের সমীক্ষায় ২৬০ ব্যক্তি-দিবসকে এক ব্যক্তি-বর্ষ হিসেবে ধরেছে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি এক বছরে ২৬০ দিন কাজ করলে, তা এক ব্যক্তি-বর্ষ হিসেবে গণ্য হবে। মোদি (10 years of Modi) জমানার দশ বছরে এমন ৫১.৪ কোটি পার্সন-ইয়ার তৈরি হয়েছে। রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে ৮০টি কেস স্টাডির ভিত্তিতে। এঁরা প্রত্যেকেই ঋণ গ্রহীতা। বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়েছিলেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের খতিয়ান থেকেও উঠে এসেছে এই তথ্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০১৪-২৪ সালের মধ্যে মোট ৫১.৪ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ১৯.৭০ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে গভর্ন্যান্স-লেড ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে আর বাকি ৩১.৬১ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে ক্রেডিট-লেড ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে।” উল্লেখ্য যে, স্কচ গ্রুপ হল ভারতের থিঙ্কট্যাঙ্ক। ১৯৯৭ সাল থেকে এই সংস্থা আর্থ-সমাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করছে। দেশের উন্নতির ওপরও আলোকপাত করছে।

    আর পড়ুন: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    এই সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের (10 years of Modi) ১২টি প্রকল্পের ওপর স্টাডি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম’, ‘আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা’, ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা’ও। এখান থেকেই দেখা গিয়েছে গত ৯ বছরে ক্রেডিট গ্যাপ কমে হয়েছে ১২.১ শতাংশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ক্রেডিট গ্যাপ হ্রাস, মাল্টিমেন্সনাল পভার্টি হ্রাসের সঙ্গে ইতিবাচক সমন্বয় রয়েছে। রাষ্ট্রের নেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্টও (NDP) বৃদ্ধি পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CAA: ভোটের মধ্যেই সিএএ-র অধীনে প্রথমবার নাগরিকত্ব পেলেন ১৪ আবেদনকারী

    CAA: ভোটের মধ্যেই সিএএ-র অধীনে প্রথমবার নাগরিকত্ব পেলেন ১৪ আবেদনকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেরের অধীনে আবেদনকারীদের হাতে প্রথমবার সিএএ শংসাপত্র তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা ভোট চলাকালীনই বুধবার, ১৫ মে ১৪ জনের হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হল। এদিন, নয়াদিল্লিতে এই ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, অজয় কুমার ভাল্লা। উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া, ডাক বিভাগের সচিব, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর-সহ পদস্থ কর্তারা।

    কারা আবেদন করতে পারবেন

    নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিধি জারি করার প্রায় দুই মাস পর, এদিন এই আইনের অধীনে প্রথমবারের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসা পেলেন ১৪ জন। নয়া আইনে, নাগরিকত্বের আবেদনের যোগ্যতার জন্য ভারতে থাকার সময়কাল ১১ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যে সকল অমুসলিম উদ্বাস্তু ভারতে এসেছিলেন, তাঁরাই এই আইনের অধীনে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। এই সকল শর্ত মেনেই এই ১৪ জন ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার স্পষ্ট করেছেন,  সিএএ-র ফলে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। বরং, প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া অমুসলিম সংখ্যালঘু ব্যক্তিরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: আইএমএফ-এর কাছে ঋণ চায় পাকিস্তান, দুবাইয়ে বিপুল সম্পত্তি দেশের মন্ত্রী-আমলাদের

    তৈরি হল ইতিহাস

    ২০২৪-এর ক্যালেন্ডারে এই দিনটি ইতিহাস তৈরি করল। বহু লড়াই ও আবেদনের পর ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভ করলেন এই ১৪ জন। সরকারি মুখপাত্রের কথায়, “এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের কাছ থেকে আবেদন গৃহীত হয়েছে, যারা ধর্ম বা এই ধরনের নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করেছেন৷” ওই মুথপাত্র জানান, যাচাই-বাছাইয়ের পর, সেন্সাস অপারেশনের ডিরেক্টরের নেতৃত্বাধীন কমিটি, এই ১৪ জন আবেদনকারীকে সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Rescue Operations: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    India Rescue Operations: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। নানা সময় তিনি জানিয়েছেন, দেশই তাঁর ঘরবাড়ি, দেশবাসীই তাঁর আত্মীয়-স্বজন। তাই কেবল স্বদেশের নাগরিকরা নন, কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা প্রবাসী ভারতীয়রাও তাঁর ‘আত্মার আত্মীয়’। সেই কারণেই যখনই প্রবাসে বিপদে পড়েছেন কোনও ভারতীয়, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ত্রাতা মোদি (India Rescue Operations)

    কেবল ভারত (India Rescue Operations) কেন, প্রতিবেশী দেশের লোকজনও যখন বিভুঁইয়ে বিপদে পড়েছেন, তখনই সঙ্কটমোচনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মোদিকে। প্রত্যাশিতভাবই যুদ্ধদীর্ণ ইউক্রেন থেকে স্বদেশে ফিরে মোদির জয়গান গেয়েছেন পাকিস্তানের কোনও অখ্যাত অঞ্চলের পড়ুয়াও। হয়ত তাঁর পরিবারও দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের সময় কেবল ভারতীয় ছাত্রছাত্রীই নন, পড়শি কয়েকটি দেশের পড়ুয়াদেরও উদ্ধার করেছিল মোদি সরকার।

    অপারেশন ‘গঙ্গা’

    স্মৃতির সরণি বেয়ে ফেরা যাক বছর দুয়েক আগে। হঠাৎই যুদ্ধ বাঁধল রাশিয়া-ইউক্রেনের। বিপাকে পড়লেন (India Rescue Operations) ইউক্রেনে থাকা কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। প্রমাদ গুণলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। শরণাপন্ন হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। যদিও তার ঢের আগেই ইউক্রেনে থাকা বিপদে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের কীভাবে উদ্ধার করা যায়, তা ছকে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘গঙ্গা’। ইদানিং কালে এ পর্যন্ত ভারত সরকার যতগুলি উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে, তার মধ্যে সব চেয়ে বড় অপারেশান এটি। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেছিলেন, “আমাদের ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেনে আটকে রয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি জনকে উদ্ধার করে দিল্লি কিংবা মুম্বইতে নিয়ে আসা হয়েছে। অনেককে সরানো হয়েছে ইউক্রেনের পশ্চিমের চারটি প্রতিবেশী দেশে।” সেই সময় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার এই সদস্য বলেছিলেন, “আমরা মনে করি যে আমাদের মানুষ যাঁরা ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন, তাঁদের কাছে পৌঁছানো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের সমস্ত বন্ধুরা আমাদের লোকজনকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছে।”

    পড়শি দেশের বিপন্নদের পাশেও মোদি সরকার

    অপারেশন ‘গঙ্গা’য় কেবল ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দেরই উদ্ধার করা হয়নি, নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পড়শি দেশের বিপন্ন মানুষদেরও। এই যেমন আসমা শাফিকি। শত্রু দেশ পাকিস্তানের এই পড়ুয়াকেও উদ্ধার করেছে ভারত। ভারতকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই ছাত্রী। ভিডিও-বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা যখন সকলে আটকে পড়েছিলাম, সেই সময় আমাদের সাহায্যের জন্য আমি কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করছি, ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে আমরা নিরাপদে দেশে ফিরতে পারব।”

    ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন নেপালি যুবক রোশন ঝা-ও। তিনিও আটকে পড়েছিলেন ইউক্রেনে। ভারতের এই অপারেশন ‘গঙ্গা’ই সে যাত্রায় বাঁচিয়েছিল বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি, নেপালি, বাংলাদেশি এবং তিউনিশিয়ার পড়ুয়াকে। যে কারণে মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ থাকায় রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল ইউক্রেনে আটকে পড়া বিপন্নদের। অপারেশন ‘গঙ্গা’র আগে ২০১৪ সালের জুন মাসে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকে আইএস-এর খপ্পর থেকে মোদি সরকার উদ্ধার করেছিল ৪৬ জন ভারতীয় নার্সকে।

    অপারেশন ‘মৈত্রী’

    তার পরের বছরই ভয়াল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছিল নেপাল (India Rescue Operations)। ২০১৫ সালের সেই বিপর্যয়ের পর সে দেশে আটকে পড়া ৪৩ হাজার জনেরও বেশি ভারতীয়কে উদ্ধার করেছিল ভারত সরকার। অপারেশনের নাম ছিল ‘মৈত্রী’। ওই বছরই হয়েছিল অপারেশন ‘রাহাত’। সেবার ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ভারতীয় ও ৯৬০ জন বিদেশিকে ভারত সরকার উদ্ধার করেছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেন থেকে।

    অপারেশন ‘সঙ্কটমোচন’

    ২০১৬ সালে হয় অপারেশন ‘সঙ্কটমোচন’। এই অপারেশনে হিংসাদীর্ণ দক্ষিণ সুদান থেকে ৩০০ ভারতীয়কে উদ্ধার করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। কোভিড-পর্বে চালানো হয় অপারেশন ‘সমুদ্র সেতু’ এবং অপারেশন ‘বন্দে ভারত’। সেই সময় কেবল নৌবাহিনীই উদ্ধার করেছিল ৩ হাজার ৯৯২ জনকে। ২০২১ সালে হয় অপারেশন ‘দেবী শক্তি’। এই অপারেশনে উদ্ধার করা হয়েছিল ৫০০-রও বেশি ভারতীয় নাগরিককে। এই সময় আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ১১০ জন আফগান শিখকে। ২০২২ সালে অপারেশন ‘গঙ্গা’র পরে ২০২৩ সালে মোদি সরকার হাতে নেয় অপারেশন ‘কাবেরি’। এই অপারেশনে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে ৩ হাজার ৯৬১ জন ভারতীয় ও ১৩৬ জন বিদেশিকে উদ্ধার করেছিল মোদি সরকার।

    অপারেশন ‘অজয়’

    ২০২৩ সালেই মোদি জমানায় হয়েছে আরও একটি অপারেশন। ২০২৩ সালের এই অপারেশনের নাম ছিল ‘অজয়’। ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হামাস নৃশংসভাবে হত্যা করে ১২০০-রও বেশি ইজরায়েলি শিশু-নারী-পুরুষ এবং সৈন্যকে। এই সময় ইজরায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ভারত সরকার চালায় অপারেশন ‘অজয়’। উদ্ধার করা হয় ১৩০০-রও বেশি ভারতীয়কে। এই অপারেশনেও মোদি সরকার উদ্ধার করেছিল বেশ কিছু বিদেশি নাগরিককে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে মোদি সরকার। তার পর থেকেই দেশের পাশাপাশি প্রবাসে থাকা ভারতীয়দের কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। বিপন্ন ভারতীয়দের সম্ভাব্য সব রকমের সাহায্য দিচ্ছে, পাশে দাঁড়াচ্ছে।

    আর পড়ুন: আইএমএফ-এর কাছে ঋণ চায় পাকিস্তান, দুবাইয়ে বিপুল সম্পত্তি দেশের মন্ত্রী-আমলাদের

    ভারত ক্রমেই একটি বিশ্ব শক্তি হয়ে উঠছে। গত দশ বছরে মোদির আমলে হাল ফিরেছে দেশের অর্থনীতির। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় এক সময় যে দেশের জায়গা ছিল ১০ নম্বরে, সেই দেশই এখন ব্রিটেনকে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে পাঁচে। অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যেই জাপানকে সরিয়ে ভারত জায়গা করে নেবে চার নম্বরে। এহেন উদীয়মান শক্তি ভারত তাঁর প্রতিটি নাগরিকের প্রতিই দায়বদ্ধ – সে তিনি স্বদেশেই থাকুন কিংবা বিদেশে (India Rescue Operations)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • LAC: ‘‘পরিস্থিতি অস্বাভাবিক’’, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রচুর সেনা মোতায়েন রয়েছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    LAC: ‘‘পরিস্থিতি অস্বাভাবিক’’, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রচুর সেনা মোতায়েন রয়েছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসনের খবর প্রায়ই আসতে থাকে। কখনও রাস্তা বা সেতু তৈরিতে বাধা, আবার কখনও ভারতীয় ভূখণ্ডের উপরে লাল ফৌজের টহলের অভিযোগ। কোথাও আবার ভারতীয় ভূখণ্ডেই গ্রাম গড়ে তুলেছে চিনা প্রশাসন। এমন অভিযোগ এসেছে বারংবার। এবার খোদ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অস্বাভাবিক হারে সেনা মোতায়ন রয়েছে।

    চিনের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী

    ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের একটি অনুষ্ঠানে চিনা আগ্রাসন নিয়ে মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গালওয়ান সংঘর্ষের পর সীমান্তে (LAC) অতিরিক্ত সেনা মোতায়ন করে জবাব দিয়েছে ভারত (India)। শুধু সেনাবাহিনী মোতায়েন নয়, সেনার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। সেনার যাতে গোলাবারুদ এবং রসদে কোনরকম সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে কারও সঙ্গে আপোসের কোনও প্রশ্ন নেই। তাই অস্বাভাবিক হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রচুর সেনা মোতায়ন করেছে ভারত।”

    গলওয়ানের পর বদলে গেছে পরিস্থিতি  

    বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “১৯৬২ সালের পর ১৯৮৮ সালে চিন গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। চিনের (China) সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রেই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে স্পষ্ট বোঝাপড়া হয়েছিল যে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সংক্রান্ত মতপার্থক্য মিটিয়ে নেব আমরা। সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হবে। আগের মত সব চলবে। সেই নীতিতে ভর করে এতদিন সম্পর্ক টিকে ছিল চিনের সঙ্গে।

    আরও খবর: সংঘাতের মধ্যেই মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য ভারতের

    কিন্তু ২০২০ সালে সেই নীতিতে পরিবর্তন এসেছে। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আমূল পরিবর্তন ঘটেছে । ২০২০ সালের চিন একাধিক চুক্তি লঙ্ঘন করে। আমাদের সীমান্তে বিরাট বাহিনী এনে (LAC) হাজির করে করোনা কালে ভারতে যখন লকডাউন চলছে তখন এই কাণ্ড ঘটানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mathura: “৪০০ পেলে ফেরত আসবে কৃষ্ণ জন্মভূমি ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, ইঙ্গিত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Mathura: “৪০০ পেলে ফেরত আসবে কৃষ্ণ জন্মভূমি ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, ইঙ্গিত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৩০০ সিট পেয়ে আমরা রাম জন্মভূমিতে মন্দির তৈরি করেছি। ৪০০ পেলে মথুরায় (Mathura) কৃষ্ণ জন্মভূমিতে (Krishna Janmabhoomi) মন্দির তৈরি করব। ফেরত নেব পাক (POK) অধিকৃত কাশ্মীর।” সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মোদি ৩.০ সরকারের পরিকল্পনার যেন আগাম ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

    কাশ্মীর ইস্যুতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ হিমন্ত বিশ্বশর্মার  

    কাশ্মীর প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, “কংগ্রেস জমানায় জবর দখল করে রাখা কাশ্মীরের অংশ ফেরত আনা নিয়ে কোনও আলোচনা হত না। শুধু ভারতীয় কাশ্মীরের প্রসঙ্গে আলোচনা হত। কৌশলগত সুবিধার জায়গায় ছিল পাকিস্তান। কিন্তু মোদি জামানায় হয়েছে ঠিক উল্টো। ওই সাক্ষাৎকারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “কংগ্রেস জামানায় বলা হত কাশ্মীরের একটি অংশ ভারতের, অপর অংশ পাকিস্তানের। সংসদে কখনই বলা হত না যে পাকিস্তান কাশ্মীরের একটি অংশকে বলপূর্বক দখল করে রেখেছে। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। পাকিস্তানের মানুষ এখন ভারতীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেখানকার প্রশাসনের কাছ থেকে পরিত্রাণ চাইছে পাকিস্তানের দখল করে রাখা কাশ্মীরের মানুষ। আগে লালচৌকের আশেপাশে পাকিস্তানের পতাকা উড়ত। কিন্তু সেসব দিন অতীত হয়ে গিয়েছে।”

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বিজেপি সরকার সংরক্ষণ বিরোধী নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ। বিজেপি যাকে রাষ্ট্রপতি করেছে তিনি তফশিলি শ্রেণিভুক্ত। আমরা চাই সংরক্ষণ থাক। কিন্তু কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের অনেকেই এসসি, এসটি ও ওবিসির সংরক্ষণ তুলে দিয়ে সবটাই মুসলিমদের দিয়ে দিচ্ছে। আমরা এটার বিরোধী।

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের প্রতিক্রিয়া

    প্রসঙ্গত পাকিস্তানের যে গণবিদ্রোহ শুরু হয়েছে সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগেই বলেছেন,  “ভারতের সংসদের রিজোল্যুশন আছে। আমরা স্পষ্টভাবে মনে করি, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ। ঐতিহাসিকভাবে এটি শুধুমাত্র ভারতেরই অংশ। আগেও ছিল, আগামীতেও থাকবে।“

    আরও পড়ুন: “৩০ এর বেশি সিট পেলে ছমাসের মধ্যে নবান্নে বসবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী”, ঘোষণা সুকান্তর

    আমাদের সংকল্প একদিন আমরা পাকিস্তানের কব্জা শেষ করে দেব। এবং ওই অঞ্চল ভারতের সঙ্গে জুড়ে যাবে। কিন্তু ভারতের কিছু বিরোধী দলের নেতা আজব যুক্তি দিয়ে চলেছেন। যেমন ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেছেন এ বিষয়ে কথা বলা যাবে না। কারণ পাকিস্তানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে। আমরা আমাদের দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের উপর গর্ব করি। কিন্তু মনিশংকর আইয়ার এবং ফারুক আবদুল্লার মতো নেতারা পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রকে বেশি গুরুত্ব দেয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share