Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Economy: ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত, বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট

    Indian Economy: ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত, বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির যেখানে হাঁড়ির হাল, সেখানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্রমেই উন্নতির শিখরে উঠছ ভারত (Indian Economy)। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। দেশ যে অচিরেই জাপানকে সরিয়ে চতুর্থ স্থান দখল করবে, সে বিষয়ে আশাবাদী অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশ।

    কী বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট (Indian Economy)

    এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও জানিয়ে দিল ভারতের অর্থনীতি এবং ফাইনানসিয়াল সিস্টেম দাঁড়িয়ে রয়েছে মজবুত ভিতের ওপর। ভারতের এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২৭ জুন প্রকাশ করে ২৯তম ফাইনানসিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট (Indian Economy)। সেখানেই জানা যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতির ভিত্তি যথেষ্ঠ মজবুত। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই রিপোর্টেই প্রকাশ, ভারতের তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, বাড়ছে লভ্যাংশ। এর পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পেয়েছে নন পারফর্মিং অ্যাসেটসের পরিমাণ।

    ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অর্থনীতি

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির গ্রস নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও এবং নেট নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও একধাক্কায় কমে গিয়েছে অনেকখানি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হ্রাসের পরিমাণ যথাক্রমে ২.৮ এবং ০.৬ শতাংশ। যার জেরে মজবুত হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, ক্যাপিটেল টু রিস্ক-ওয়েট অ্যাসেটস রেসিও এবং কমন ইক্যুয়ালিটি টায়ার ওয়ান রেসিও দাঁড়িয়ে রয়েছে যথাক্রমে ১৬.৮ শতাংশ এবং ১৩.৯ শতাংশে।

    আর পড়ুন: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনানসিয়াল কোম্পানিগুলির পারফরম্যান্সও চোখ ধাঁধানো। এদের ক্যাপিটেল টু রিস্ক ওয়েড অ্যাসেটস রেসিও দাঁড়িয়েছে ২৬.৬ শতাংশে, গ্রস নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও দাঁড়িয়েছে ৪ শতাংশে। মার্চের শেষে রিটার্ন অন অ্যাসেটসের পরিমাণ হয়েছে ৩.৩ শতাংশ। এই সব পরিসংখ্যানই জানিয়ে দেয় ভারতীয় অর্থনীতির মজবুত ভিতের কথা।

    ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের চতুর্থ বা শেষ ত্রৈমাসিকে এই প্রথমবার ভারতের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস দাঁড়িয়েছে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার, যেটাকে অন্যভাবেও বলা যায় যে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস দাঁড়িয়েছে জিডিপির ০.৬ শতাংশ। এই বৃদ্ধি পূর্বতন ত্রৈমাসিকের তুলনায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ সেইসময়ে (Indian Economy) কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে ডেফিসিট ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kerala: কেরলের পালাক্কাদ উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি, কেমন হবে ভোটের সমীকরণ?

    Kerala: কেরলের পালাক্কাদ উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি, কেমন হবে ভোটের সমীকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে, কেরলের (Kerala) দুটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুটি কেন্দ্রের মধ্যে সকলের দৃষ্টি পালাক্কাদের দিকে। এই কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয়বারের মতো রাজ্যে বিধায়ক নির্বাচন করার একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেতে পারে। এর আগে, ২০১৬ সালে, দলের প্রবীণ নেতা ও রাজাগোপাল নেমোম থেকে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছিলেন। আসুন জেনে নিই কেমন অবস্থানে রয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির সম্ভাবনা (Kerala)

    পালাক্কাদে (Kerala) বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হয় কারণ বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর এখানে শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ফল বেশ ভালো ছিল। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভাদাকারা থেকে কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক শফি পারম্বিলের জয়ের কারণে এই উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। বিজেপি, ২০২১ এবং ২০১৬ উভয় ক্ষেত্রেই পালাক্কাদে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল। উল্লেখ্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছিল। আবার পারম্বিলে বিজেপির ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরনকে মাত্র ৩,৮৫৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল। কংগ্রেস ৩৮.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, যেখানে বিজেপি ৩৫.৩৪ শতাংশ এবং সিপিআই(এম) ২৫.৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আবার ২০১৬ সালে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এবং সিপিআই(এম)-এর মধ্যে ব্যবধান আরও কম ছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪১.৭৭ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেয়ছিল ২৯.০৮ শতাংশ এবং সিপিআই(এম) পেয়েছিল ২৮.০৭ শতাংশ ভোট।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেমন ফল ছিল?

    কেরলে (Kerala) ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি আবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কংগ্রেস প্রার্থী ভি কে শ্রীকন্দন পেয়েছেন ৫২৭৭৯ ভোট, আর বিজেপির সি কৃষ্ণকুমার পেয়েছেন ৪৩০৭২ ভোট। সিপিআই(এম) এর এ বিজয়রাঘবন পেয়েছেন ৩৪৬৪০ ভোট।

    উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী

    কেরল (Kerala) বিজেপি এখনও উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই করেনি, তবে দল সি কৃষ্ণকুমার বা শোভা সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। শোভা ২০১৬ সালে পালাক্কাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং আলাপ্পুঝাতে দলের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করিয়েছিলেন। কংগ্রেস নেতা কে মুরলীধরনের বোন এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের মেয়ে পদ্মজা ভেনুগোপালের নামও আলোচনায় রয়েছে। সম্প্রতি তিনিও বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

    চ্যালেঞ্জ ও কৌশল

    যদিও কেরলে (Kerala) বিজেপির অবস্থান ভালো মনে হচ্ছে, তবে সবকিছু সহজ নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সংখ্যালঘু ভোট, বিশেষ করে মুসলিম ভোট। গত নির্বাচনে, শ্রীধরনের ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে বিজেপি প্রচুর ভোট পেয়েছিল। তবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায়, এই ফ্যাক্টরটি এবার থাকবে না। অতএব, বিজেপিকে দ্বিতীয়স্থান থেকে বিজয়ী হতে গেলে সিপিআই(এম)-র হিন্দু ভোটের দিকে গুরুত্বপূর্ণ নজর দিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপর চিন্তা

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, “কেরলে (Kerala) বিজেপির পক্ষে একটি নতুন মুখ উপস্থাপন করা ভাল হবে। কারণ ভোটাররা কৃষ্ণকুমারকে নিয়ে ক্লান্ত। শোভা সুরেন্দ্রনের জন্য, আলাপুজায় ফোকাস করা পক্ষে ভাল হতে পারে। তিনি কায়মকুলাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, কারণ এখানে দল ভাল পারফর্ম করেছে। কংগ্রেস প্রার্থী করতে পারে রাহুল মামকুতাথিলকে, যিনি রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তবে, এমনও জল্পনা রয়েছে যে ভিটি বলরামকে প্রার্থী করা হতে পারে। তিনি অবশ্য পালাক্কাদ জেলার থ্রিথালা থেকে দুবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    Ladakh: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ি নদী পার হতে গিয়েই বিপত্তি। হড়পা বানে ভেসে গেলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক। ঘটনায় পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু। এঁদের মধ্যে একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার, বাকি চারজন জওয়ান। শুক্রবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী দৌলত বেগ ওল্ডি এলাকায়। মৃত জওয়ানদের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা।

    হড়পা বানে বিপত্তি (Ladakh)

    জানা গিয়েছে, এদিন টি-৭২ ট্যাঙ্কে চড়ে নদী পার হচ্ছিলেন ওই জওয়ানরা (Ladakh)। রাতের অন্ধকারে কীভাবে পাহাড়ি নদী পার হতে হয়, চলছিল তারই অনুশীলন। হঠাৎই নদীতে চলে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে যায় ট্যাঙ্কটি। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। একে একে উদ্ধার হয় পাঁচজনেরই দেহ। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটে লাদাখ থেকে ১৪৮ কিলোমিটার দূরে মন্দির মোড় এলাকায়।

    হড়পা বানে আগেও ভেসেছেন জওয়ান

    গত বছর জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই জওয়ানের। কাকতালীয়ভাবে সেই দিনটিও ছিল শনিবার। সেনা সূত্রে খবর, সেদিন সুরানকোট এলাকার দগরা নালা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন নায়েব সুবেদার কুলদীপ সিং এবং সিপাই তেলু রাম। সেই সময়ই চলে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে যান দুই জওয়ানই। পরে দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের।

    আর পড়ুন: সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    কৌশলগতভাবে লাদাখের গুরুত্ব ভারত এবং চিন দুই দেশের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বছরভর এখানকার তাপমাত্রার পারদ নীচের দিকে থাকলেও, শত্রুর চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। এজন্য তাঁদের পার হতে হয় কঠোর অনুশীলন-পর্ব। এই অনুশীলন-পর্বের মধ্যেই রয়েছে রাতের অন্ধকারের বুক চিরে কীভাবে চালাতে হয় ট্যাঙ্ক, কীভাবেই বা পার হতে হয় পাহাড়ি নদী। সমস্তরকমের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও শত্রুর মোকাবিলা কীভাবে করতে, তাও শেখানো হয় জওয়ানদের। এদিন গভীর রাতে সেরকমই এক প্রশিক্ষণ-পর্ব চলাকালীন ঘটে দুর্ঘটনা। যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জওয়ানের (Ladakh)।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Religious Freedom In India: সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    Religious Freedom In India: সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা (Religious Freedom In India) নিয়ে মার্কিন রিপোর্টকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে উড়িয়ে দিল নয়াদিল্লি। ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ রিপোর্ট ২০২৩-এ দাবি করা হয়েছিল ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপরে হিংসাত্মক হামলা, ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা বেড়েছে। এই রিপোর্টকে ‘অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে দাবি করল  বিদেশমন্ত্রক। এর পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে ধারণার অভাবও এমন রিপোর্ট তৈরির পিছনে অন্যতম কারণ।

    রিপোর্ট নিয়ে কী বলছে বিদেশমন্ত্রক (US report)?

    প্রসঙ্গত, ওই রিপোর্টে (Religious Freedom In India) ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বাড়তে থাকা ঘৃণাভাষণের অভিযোগ নিয়েও। সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও উপাসনাস্থলও নাকি ধ্বংস করা হয় ভারতে এমন অভিযোগও করা হয়েছে রিপোর্টে। এবার সেই রিপোর্ট উড়িয়ে দিল বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণবীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন রিপোর্টটি আমাদের নজরে এসেছে। অতীতের মতো এবারের রিপোর্টটিও অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট। ভারতের সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে। আমরা এটা প্রত্যাখ্যান করেছি।’’

    আগেই রিপোর্টের তীব্র নিন্দা করেছে ভারতের সংখ্যালঘু সংগঠন আইএমএফ

    তবে এটাই প্রথম বা নতুন নয় গত বছরও একই রকম রিপোর্ট পেশ করেছিল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দফতরের ২০২২ সালের রিপোর্টটিতেও একই অভিযোগ করা হয়েছিল (Religious Freedom In India)। সেবারও ওই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক। ‘ত্রুটিপূর্ণ’, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে পালটা তোপ দেগেছিল নয়াদিল্লি। প্রসঙ্গত, রিপোর্টের তীব্র নিন্দা করেছে ভারতের সংখ্যালঘু সংগঠন আইএমএফ। আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, কিউবা, চিনের মতো ‘স্বৈরাচারী শাসনে’র সঙ্গে ভারতের তুলনা যে আসলে এদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা, তেমনই দাবি করেছে তারা। রিপোর্টটিকে (US report) ‘বিভ্রান্তিকর’বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএমএফ-র বিবৃতিতে। ২০২০ সাল থেকেই এমন প্রবণতা চলছে বলেও দাবি আইএমএফের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Govt Job: অদক্ষ কর্মীদের জনস্বার্থে অবসরগ্রহণে বাধ্য করা হবে, নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Central Govt Job: অদক্ষ কর্মীদের জনস্বার্থে অবসরগ্রহণে বাধ্য করা হবে, নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের (Central Govt Job) কর্মীদের কর্মদক্ষতা খতিয়ে দেখা হবে। নথি ঘেঁটে দেখা হবে তাঁদের কাজের রেকর্ড। যদি অদক্ষতা ধরা পড়ে তাহলে জনস্বার্থেই তাঁদের অবসরগ্রহণে বাধ্য করা হবে। সম্প্রতি, এমনটাই জানাল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, প্রতিটি কেন্দ্রীয় দফতরে এই সার্ভিস রেকর্ড রিভিউ চালু হতে চলেছে। সরকারি বেতনভুক কর্মীর কর্মদক্ষতা বিচার করা হবে মৌলিক বিধি ৫৬ (J)এবং ৫৬ (I), এছাড়া সেন্ট্রাল সিভিল রুল ১৯৭২ এর ৪৮ (১) ধারার আওতায়। এই ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে যে কোনও সরকারি কর্মচারীকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করার এক্তিয়ার থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। দেখা হবে, সংশ্লিষ্ট পদে কাজ করার দক্ষতা কর্মীর আছে কি না, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে কি না। দেখা হবে তাঁর কর্মজীবনের সার্ভিস রেকর্ড, অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট (APR)। সংশ্লিষ্ট কর্মীর ফাইল ও রিপোর্টও পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে।

    ‘ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনাল অ্যান্ড ট্রেনিং’ পর্যালোচনা করবে কর্মদক্ষতা 

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt Job) একটি নির্দেশিকা জারি করেছে এবং সেখানেই ‘ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনাল অ্যান্ড ট্রেনিং’- এই দফতরকে বলা হয়েছে, যেকোনও ধরনের পাবলিক সেক্টর, ব্যাঙ্ক, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান- এ সমস্ত ক্ষেত্রে কর্মীদের দক্ষতা যাচাই করতে। এই নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে, কর্মীদের চাকরিতে রাখা উচিত নাকি সময়ের আগে তাদেরকে চাকরি থেকে অবসর নেওয়া উচিত, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কর্মীদের কর্ম দক্ষতা পর্যালোচনা করা হবে।

    ২০২০ সালেও এসেছিল এমন নির্দেশ

    বিভিন্ন দফতর ও মন্ত্রকের (Central Govt Job) প্রতিটি কর্মীকেই যাচাই করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। নির্দেশ জারি করা হয়েছে গত ২৭ জুন। এমন নির্দেশ তবে প্রথম নয়, এর আগে ২০২০ সালেও সমস্ত মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরগুলিকে কর্মীদের দক্ষতা পর্যালোচনা নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়। বর্তমানে যে নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকার দিল তা ২০২০ সালের দেওয়া নির্দেশেরই (Retire Non-Performers) একটি বিস্তৃত রূপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২৭ জুনের ওই নির্দেশিকায় প্রতিমাসের ১৫তম দিনে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনাল অ্যান্ড ট্রেনিং’- কে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: নিট ইস্যুতে বিরোধীদের হট্টগোল! বারবার মুলতুবি রাজ্যসভা, ধনখড় বললেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক এবং অবিশ্বাস্য’’

    Rajya Sabha: নিট ইস্যুতে বিরোধীদের হট্টগোল! বারবার মুলতুবি রাজ্যসভা, ধনখড় বললেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক এবং অবিশ্বাস্য’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার পাশাপাশি নিট নিয়ে তুমুল হট্টগোল বিরোধীরা শুরু করে রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha)। কংগ্রেস তথা অন্যান্য বিরোধী দলগুলির এমন হট্টগোলে শুক্রবার বারবারই মুলতবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। বিরোধীদের নেতৃত্ব দেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বিরোধী দলনেতার এমন ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। দেশের উপরাষ্ট্রপতি বিরোধীদের এমন আচরণকে দুর্ভাগ্যজনক এবং অবিশ্বাস্য আখ্যা দিয়েছেন।

    মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো একজন নেতা এই হট্টগোলগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন 

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার তিনবার রাজ্যসভার অধিবেশন (Rajya Sabha) মুলতবি করতে হয় বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে। এরপরে দুপুর আড়াইটা নাগাদ রাজ্যসভা অধিবেশন ফের চালু হলে জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‘এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক এবং অবিশ্বাস্য ছিল যে মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো একজন নেতা যিনি ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতা রাখেন, তিনি এই হট্টগোলগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’’ এর সঙ্গে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সংযোজন, ‘‘কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার প্রমোদ তেওয়ারি একই ভাবে অংসদীয় আচরণ করছেন। এগুলো আমার কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি, বিরোধীদলের নেতারা সংসদে আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলবেন। উদাহরণ তৈরি করবেন যা অন্যান্যরা অনুসরণ করবে।’’

    মল্লিকার্জুন খাড়্গে মিথ্যা কথা বলছেন! 

    এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘মল্লিকার্জুন খাড়্গে মিথ্যা কথা বলছেন।’’ তিনি আরও সংযোজন করেন, ‘‘মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Rajya Sabha) ভুল রিপোর্টকে পেশ করছেন রাজ্যসভার সামনে।’’ বিরোধীদের এমন আচরণে রাজ্যসভাকে (Rajya Sabha) অপদস্থ হতে হয়েছে বলেও জানান উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর মতে, এতে গণতন্ত্রের মন্দিরের মর্যাদাও নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে নিট ইস্যুতে লোকসভাও এদিন বারবার মুলতুবি হয়ে যায়। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নিট বিতর্কে যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি সরকার। তারা আলোচনাও করতে চায়। কিন্তু বিরোধীদেরও সেই আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। নিট প্রসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। এই ঘটনায় সবরকম তদন্ত চলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dharmendra Pradhan: “সরকার সব রকম আলোচনার জন্য প্রস্তুত” নিট বিতর্কে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

    Dharmendra Pradhan: “সরকার সব রকম আলোচনার জন্য প্রস্তুত” নিট বিতর্কে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা (NEET-UG) এবং ইউজিসি নেট-এর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিতর্ক-বিক্ষোভে (NEET Row) উত্তাল দেশ। নিট ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নিট বিতর্কে যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি সরকার। তারা আলোচনাও করতে চায়। কিন্তু বিরোধীদেরও সেই আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। নিট প্রসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। এই ঘটনায় সবরকম তদন্ত চলছে। 

    আলোচনায় বসতে রাজি সরকার  

    নিট বিতর্কে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, ‘‘সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত ৷ তবে এটি সুষ্ঠু এবং সঠিকভাবে হওয়া উচিত। গতকাল যখন রাষ্ট্রপতি নিজেই তাঁর বক্তৃতায় এই সমস্যাটি সম্বোধন করেছিলেন, তখন বোঝা যায় যে সরকার যেকোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমি প্রত্যেককে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা দোষীদের রেহাই দেব না। ইতিমধ্যেই সরকার এনটিএ (ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি) চেয়ারপার্সনকে সরিয়ে দিয়েছে ৷ তাঁর বদলে অভিজ্ঞ অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ যা থেকে স্পষ্ট, সরকার বেনিয়ম বরদাস্ত করবে ৷ এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না ৷’’ ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘নিটে দুর্নীতি (UGC NET Controversy) প্রমাণিত হলে দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। নেটের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। কাউকে কোনও অবস্থাতেই রেয়াত করা হবে না। আমি তার গ্যারান্টি দিচ্ছি। পরীক্ষা পদ্ধতির উপর বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমার।’’ 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি! আন্ডারপাসে আটকে বাস, স্তব্ধ জনজীবন

    অধিবেশন মুলতুবি 

    নিট বিতর্কে (NEET Row) আলোচনার দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকেই লোকসভায় সরব হন বিরোধীরা। হইহট্টগোলের মধ্যে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। পরে অধিবেশন শুরু হলে ফের বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। বাধ্য হয়ে গোটা দিনের জন্যই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। স্পিকারের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনা চলাকালীনও নিট ইস্যুতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারেন বিরোধীরা। তবে বিরোধী শিবির, শুধুমাত্র নিট ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে অনড় থাকায় সংসদ মুলতবি করে দেওয়া হয়। আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত সংসদের দুই অধিবেশনই মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, যথাসময়ে নিট নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত বিরোধীদের সংসদ চালানোর মতো পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Parliament: বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত সংসদ  

    Parliament: বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত সংসদ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার লোকসভায় (Parliament) মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের উপর চর্চার দাবিতে বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল লোকসভা। রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনার আগে নিট (NEET) বিতর্কে আলোচনা চায় কংগ্রেস।

    নিটের উপর চর্চা চেয়ে হাঙ্গামা (Parliament) 

    লোকসভার (Parliament) বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে নিজের প্রস্তাবিত বিষয়ের উপর চর্চার দাবি তোলেন। পাল্টা সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর চর্চা হয়। ধন্যবাদ প্রস্তাবের পরেই অন্য বিষয়ে চর্চা হতে পারে। এ বিষয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, “আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব হবে। ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে বা কার্য স্থগিত রাখা বা অন্য কোণও প্রস্তাব নেওয়া হবে না।” তিনি বিরোধীদের সংসদ চলতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর নিটসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা হতে পারে।

    সংসদ শুরু হতেই বিরোধীদের হাঙ্গামা

    দুপুর ১২:০০ টায় সংসদ স্থগিত হওয়ার পর যখন ফের সংসদ (Parliament) শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হাজী নুরুল ইসলাম সদস্যতার শপথ নেন। অসুস্থ থাকার কারণে তিনি এর আগে শপথ নিতে পারেননি। এরপর থেকেই বিরোধীরা নিট সহ অন্যান্য পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে চর্চার দাবি তোলেন। যদিও ওম বিড়লা এদিন রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন বিরোধীদের প্রস্তাব নেওয়া হবে বলে জানান। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের তরফ থেকে হাঙ্গামা বজায় থাকে। পাল্টা স্পিকার বলেন, “পরিকল্পিতভাবে সংসদ চলতে না দেওয়া সংসদীয় গণতন্ত্রে কাম্য নয়। জনগণ সাংসদদের সংসদে হাঙ্গামা করার জন্য পাঠায় না। রাস্তায় বিরোধিতা করা আর সংসদে বিরোধিতা করার মধ্যে পার্থক্য থাকা উচিত।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বিরোধীদের হাঙ্গামা কিরেন রিজিজু বলেন, “সংসদের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব ছাড়া অন্য বিষয়ে চর্চার পরম্পরা নেই। এই প্রথমবার কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের সদস্যরা অন্য বিষয়ে চর্চা চাইছেন। তাঁরা স্পিকারের আসনের কাছে চলে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। আমরা এর নিন্দা করছি।” তিনি আরও বলেন, “চর্চা চলাকালীন (Parliament) যে সমস্ত বিষয়ে আসবে সরকার তার উপরে জবাব দেবে। কিন্তু সংসদ চলতে দিতে হবে।” হাঙ্গামা না থামায় স্পিকার দুপুর ১২:০৭ নাগাদ সোমবার সকাল ১১:০০ পর্যন্ত সংসদ স্থগিত থাকবে বলে ঘোষণা করেন।”

    আরও পড়ূন: বৃন্দাবনে ২০০ বছর পুরানো রাম-সীতার জরাজীর্ণ দোলনা সারাবেন মুসলিম কারিগর

    এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ সংসদের কাজ শুরু হয় সংসদ শুরু হতেই স্পিকার ১৩ জন প্রাক্তন সাংসদদের মৃত্যুর জেরে নীরবতা পালনের সিদ্ধান্ত নেন। নীরবতা শেষ হতেই কংগ্রেসসহ বিরোধীদলেরা নিট পরীক্ষায় বিষয়ে চর্চার দাবি তোলে। স্পিকার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন সকলকে নিজেদের দাবি জানানোর কথা বলেন। তিনি বলেন বিরোধীদের সমস্ত বিষয়ে সরকার জবাব দেবে আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধীদের স্লোগান চিৎকার ও হাঙ্গামা থমসেনা দেখে দুপুর দুটো পর্যন্ত বারোটা পর্যন্ত সংসদে স্থগিত করে দেওয়া হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain in Delhi: রেকর্ড বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি! আন্ডারপাসে আটকে বাস, স্তব্ধ জনজীবন

    Heavy Rain in Delhi: রেকর্ড বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি! আন্ডারপাসে আটকে বাস, স্তব্ধ জনজীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাসছে দিল্লি। ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain in Delhi) জেরে থমকে গিয়েছে রাজধানী। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় দিল্লিতে ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে , বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এর ফলে কার্যত জলের নীচে ডুবে গিয়েছে দিল্লির অধিকাংশ এলাকা। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লিতে। 

    রেকর্ড বৃষ্টি

    ১৯৩৬ সালের পর এই প্রথম দিল্লিতে (Heavy Rain in Delhi) টানা ২৪ ঘণ্টায় এত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৩৬ সালে পরিমাণ ছিল ২৩৫.৫ মিলিমিটার। সাধারণত জুন মাসে দিল্লিতে গড়ে ৮০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লিতে। শুক্রবার সকালে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। জলমগ্ন দিল্লিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    আন্ডারপাসে আটকে বাস

    বৃহস্পতিবার অফিস ফেরত যাত্রীরা প্রায় পথেই আটকে গিয়েছেন। দিল্লির  কাইজজারগঞ্জে কোদিয়া সেতুর আন্ডারপাসে আটকে যায় একটি যাত্রীবোঝাই বাস। প্রায় ৮ ফুট সমান জলে যাত্রীদের নিয়ে আটকে পড়ে বাসটি। আন্ডারপাসের মাঝ বরাবর বাসটি জলের মধ্যে আটকে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বাসটি আটকে ছিল। আন্ডারপাসের নীচে বাস আটকে পড়ার খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয়। তার পরই সেখানে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, আটকে পড়া যাত্রীদের বাস থেকে এক এক করে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকাজের জন্য দড়ি এবং লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হয়েছিল।  পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও সকলকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

    জলমগ্ন বহু রাস্তা

    প্রশাসনের তরফে খবর,  দিল্লি-মেরাঠ হাইওয়ে, নারাইনা-মোতি বাগ রোড, ধৌলা কুঁয়া উড়ালপুল, বীর বান্দা বৈরাগী মার্গ, আজাদ মার্কেট আন্ডারপাস, তিলক সেতু, অরবিন্দ মার্গ, অনুব্রত মার্গ, আইটিও এবং এমস যাওয়ার বহু রাস্তা মথুরা রোড, মুলচাঁদ, মিন্টো রোড, মেহরৌলি, বদরপুর রোড, মান্ডাওয়ালি, ভিখাজি কামা প্লেস, মধু বিহার, তিন মূর্তি মার্গ, প্রগতি ময়দান, মুনিরকা, ধৌলা কুঁয়া, মোতি বাগ, আইটিও এবং নয়ডার বহু রাস্তা প্লাবিত। নীচু এলাকাগুলিতে বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে গিয়েছে।

    বিপর্যস্ত বিমানবন্দর

    ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দিল্লিতে (Heavy Rain in Delhi) তুমুল বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১-এর একাংশ। পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি এবং ট্যাক্সি চাপা পড়ে যায় ভেঙে পড়া অংশের নীচে। ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টার্মিনাল ১-এর পরিষেবা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jio-Airtel Price Hike: রিচার্জের দাম বাড়াল জিও-এয়ারটেল! কোন প্ল্যানে কত খরচ? জানুন খুঁটিনাটি

    Jio-Airtel Price Hike: রিচার্জের দাম বাড়াল জিও-এয়ারটেল! কোন প্ল্যানে কত খরচ? জানুন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিও ও এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য বড় খবর। মোবাইল রিচার্জ করতে গেলে এবার অতিরিক্ত গ্যাটের কড়ি খরচ করতে হবে গ্রাহকদের। কারণ সম্প্রতি রিচার্জের দাম বাড়িয়েছে দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও (Jio-Airtel Price Hike)। প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড দুই রিচার্জের দামই বাড়িয়েছে রিলায়েন্স জিও। আনলিমিটেড ৫জি নিয়েও বড় ঘোষণা করেছে সংস্থা।
    তবে শুধু জিও নয় জিও-এর পর এবার এয়ারটেলও (Jio-Airtel Price Hike) রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। ১১ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে খরচ। জানা গিয়েছে আগামী ৩ জুলাই থেকে লাগু হবে এই দাম। প্রিপেইড-পোস্টপেইড ছাড়াও, অ্যাড-অন ডেটা ভাউচার প্ল্যানগুলির দামও বাড়ানো হয়েছে। জিও-এর মতো এয়ারটেলও আনলিমিটেড ৫জি পরিষেবা দিয়ে থাকে। সেই নিয়েও বড় পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা।

    কত টাকা বাড়ল জিও রিচার্জের দাম? (Jio-Airtel Recharge Plans)

    আগে ফোন চালু রাখার জন্য নূন্যতম প্রিপেইড প্ল্যান ছিল ১৫৫ টাকা। এবার সেই প্ল্যান বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮৯ টাকা। এই প্ল্যানে ২৮ দিন আনলিমিটেড কল এবং মোট ২ জিবি ডেটা পাওয়া যাবে। একই ভ্যালিডিটিতে দৈনিক ১ জিবি ডেটা চাইলে, খরচ করতে হবে ২৪৯ টাকা, আগে যা ছিল ২০৯ টাকা। একইসঙ্গে ২৩৯ টাকার প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৯৯ টাকা। ২৯৯ টাকা প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৪৯ টাকা। ৩৪৯ টাকার প্ল্যান এখন ৩৯৯ টাকা। ৩৯৯ টাকার প্ল্যান এখন ৪৪৯ টাকা। দুমাসের প্রিপেইড প্ল্যানের দাম ৪৭৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭৯ টাকা। ৫৩৩ টাকা প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭৯ টাকা। তিন মাসের সবথেকে সস্তা প্ল্যান এখন ৪৭৯ টাকা, যা আগে ছিল ৩৯৫ টাকা। ৬৬৬টাকার রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৯৯ টাকা। ৭১৯ টাকার রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮৫৯ টাকা। 

    কত টাকা বাড়ল এয়ারটেল রিচার্জের দাম? (Jio-Airtel Recharge Plans)

    বর্তমানে এয়ারটেলে নূন্যতম প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের খরচ ১৭৯ টাকা। তবে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। ২৬৫ টাকার প্ল্যান বেড়ে হয়েছে ২৯৯ টাকা। ২৯৯ টাকার প্ল্যান বেড়ে হয়েছে ৩৪৯ টাকা। ৩৫৯ টাকা প্ল্যানের নতুন খরচ ৪০৯ টাকা। ৩৯৯ টাকা প্ল্যানের নতুন খরচ ৪৪৯ টাকা। ৪৫৫ টাকার যে প্ল্যান ছিল, তার খরচ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৯৯ টাকা। ৪৭৯ টাকা প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৭৯ টাকা। ৫৪৯ টাকা প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ৬৪৯ টাকা। ৭১৯ টাকা প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫৯ টাকা। ৮৩৯ টাকা প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৭৯ টাকা। আর ১৭৯৯ টাকার প্ল্যান বেড়ে হয়েছে ১৯৯৯ টাকা।  

    আনলিমিটেড ৫জি তে কী সুযোগ থাকছে? 

    আনলিমিটেড ৫জি পরিষেবা চালু রাখছে জিও। তবে এর জন্য দৈনিক ২ জিবি ডেটার যে প্ল্যান রয়েছে, সেগুলি রিচার্জ করতে হবে। আর এই রিচার্জ প্ল্যানের দাম শুরু ২৩৯ টাকা থেকে। অন্যদিকে এয়ারটেলে আনলিমিটেড ৫জি পরিষেবা পেতেও নূন্যতম ২৩৯ টাকা রিচার্জ করতে হবে। তাহলেই বিনামূল্যে ৫জি ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকেরা। 

    আরও পড়ুন: বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিল ভারত

    পোস্টপেইড ও ডেটা ভাউচার  

    জিও পোস্টপেইড ৩০ জিবি প্ল্যানের দাম ২৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৪৯ টাকা করা হয়েছে। ৭৫ জিবি প্ল্যানের দাম ৩৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪১৯ টাকা করা হয়েছে। এক বছরের রিচার্জ প্ল্যান এবং অ্যাড-অন ডেটা ভাউচারের দামও বাড়িয়েছে রিলায়েন্স জিও। একইসঙ্গে এরায়টেলে এতদিন ১৯ টাকায় এক দিনের ১ জিবি ডেটা ভাউচার পাওয়া যেত। এই প্ল্যানের দাম (Jio-Airtel Price Hike) বাড়িয়ে করা হয়েছে ২২ টাকা। ২৯ টাকার ভাউচার হতে চলেছে ৩৩ টাকা এবং ৫৫ টাকার ডেটা ভাউচারের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৭ টাকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share