Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Odisha CM: মোদির মাণদণ্ড মেনেই হবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন, ঘোষণা ওড়িশা বিজেপি নেতৃত্বের

    Odisha CM: মোদির মাণদণ্ড মেনেই হবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন, ঘোষণা ওড়িশা বিজেপি নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল ভোটে ওড়িশা বিজয় বিজেপির। পদ্ম ঝড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে নবীন পট্টনায়েকের দল। রেকর্ডের দোরগোড়া থেকে ফিরে গেলেন নবীন। সিকিমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং রাজ করেছেন ২৪ বছর ১৬৫ দিন। আর নবীনের মুখ্যমন্ত্রিত্বের কাল ২৪ বছর ৮৮ দিন। ওড়িশায় (Odisha CM) নবীন ‘বধে’র পর সরকার গড়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

    কী বলছে ওড়িশা বিজেপি (Odisha CM)

    বিজেপির ওড়িশা সভাপতি মনমোহন সামল বুধবার বলেন, “বিজেডি সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই লোকজন এই নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। এই নির্বাচন ছিল ওড়িয়া অশ্মিতা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের। ওড়িশাবাসী বিজেপির আশ্বাসে ভরসা রেখেছেন। নয়া সরকার দ্রুত তাঁদের জন্য কাজ শুরু করে দেবে। ওড়িয়া নন এমন মুখ্যমন্ত্রীকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন, ভোট দিয়েছেন বিজেপির পক্ষে।” কেন্দ্রে তৃতীয় মোদি সরকার শপথ (Odisha CM) নেবেন ৮ জুন। পরের দিন শপথ নেওয়ার কথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর।

    ওড়িশায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই জানিয়েছিলেন, ওড়িশায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে ১০ জুন। বিজেপির ওড়িশা সভাপতি জানান, ওড়িশায় মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, এক-দুদিনের মধ্যেই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দলের সংসদীয় বোর্ড। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেঁধে দেওয়া মাণদণ্ডের ভিত্তিতেই ওড়িশায় মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। এই পদে কোনও ওড়িয়া নারী কিংবা পুরুষকেই বসানো হবে, যিনি ওড়িয়া সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।”

    আর পড়ুন: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    সামল বলেন, “রাজ্যে যে স্বাস্থ্যকার্ড চালু রয়েছে, তা দ্রুত বদল করা হবে। ওড়িশায় চালু হবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। রাজ্যের বাইরে থাকা দেড় কোটি ওড়িয়াও এই প্রকল্পের সুযোগ পাবেন। বর্তমানে রাজ্যে যে বিস্কি (BSKY) চলে, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ পাঁচ লাখ টাকার একশো শতাংশই পাবেন। চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও সীমাবদ্ধতা থাকবে না। আয়ুষ্মান ভারত খুবই জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। নয়া সরকার শপথ নেওয়ার পরেই এই প্রকল্প লাগু হবে।” সামল বলেন, “রত্ন ভাণ্ডার খোলাই হোক কিংবা শ্রীমন্দিরের গেট খোলা, প্যাডি এমএসপি কিংবা অন্য কিছু – শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে এসব কাজ (Odisha CM)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shopping Mall: অধিকাংশ দোকান খালি, ক্রেতা নেই বললেই চলে, কলকাতাতেও বাড়ছে ‘ভুতুড়ে শপিং মল’

    Shopping Mall: অধিকাংশ দোকান খালি, ক্রেতা নেই বললেই চলে, কলকাতাতেও বাড়ছে ‘ভুতুড়ে শপিং মল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা ভারতবর্ষে বাড়ছে ভুতুড়ে শপিং মলের সংখ্যা, যাকে ইংরেজি পরিভাষায় ঘোস্ট শপিং মলও (Shopping Mall) বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন সার্ভে থেকে জানা গিয়েছে, এই ভুতুড়ে শপিং মলের সংখ্যা ২০২৩ সালে সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০২২ এর তুলনায় ৫৯ শতাংশ বেশি। অনেকের হয়তো মনে হতে পারে, এই ভুতুড়ে শপিং মল মানে শপিং মলে ভূতের উপদ্রব। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সাধারণত যে শপিং মলগুলির অধিকাংশ দোকান খালি পড়ে থাকে এবং ক্রেতার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকাংশে কম হয়, সেগুলিকে সাধারণত ভুতুড়ে শপিং মল অথবা ঘোস্ট শপিং মল বলা হয়। এই ধরনের শপিং মলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া মানে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে যাওয়া। এই ধরনের শপিং মলের সংখ্যা বাড়তে থাকলে ভারতবর্ষ এক সময় কঠিন আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হবে। ‘থিঙ্ক ইন্ডিয়া থিঙ্ক রিটেইল ২০২৪: শপিং সেন্টার অ্যান্ড হাই স্ট্রিট ডায়নামিকস অ্যাক্রস ২৯ সিটি’ নামক এক  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভুতুড়ে শপিং মলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ২০২৩ সালে ভারতের মোট ৬৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

    ঘোস্ট শপিং মলের কবল থেকে বাদ যায়নি কলকাতাও (Shopping Mall)

    সার্ভে রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে কলকাতার অবস্থা সব থেকে খারাপ। গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে ভুতুড়ে শপিং মলের প্রসার সব থেকে বেশি ঘটেছে কলকাতার মধ্যেই। ২০২২ সালে কলকাতায় ইজারাযোগ্য জায়গার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৭ শতাংশের মতো। কলকাতায় এই ধরনের জায়গার পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ বর্গফুট, যা সাম্প্রতিক কালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ বর্গফুটের কাছাকাছি। ২০২২ এ ভুতুড়ে শপিং মলের সংখ্যা কলকাতায় ছিল চারটি, যেখানে ২০২৩ এ আরও ২ টি যোগ হয়েছে।

    ভুতুড়ে শপিং মলের সংখ্যা দিনদিন বাড়ার কারণ কী? (Shopping Mall)

    গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে ভুতুড়ে শপিং মল বাড়ার পিছনে রয়েছে অসংখ্য কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে তার কিছু কারণ হল, শপিং মলগুলির (Shopping Mall) অবস্থানগত অসুবিধা। আবার দেখা গিয়েছে, আকার ছোট হওয়ার কারণেও ভুতুড়ে হয়ে উঠেছে শপিং মলগুলি। আর আকার ছোট হওয়ার কারণে বিভিন্ন বড় বড় ব্র্যান্ড শপিং মলে জায়গা পায় না। এছাড়াও আরও একটি বিশেষ কারণ হল, কোভিড মহামারীর পর মানুষ বিশেষ করে অনলাইন শপিংয়ে ঝুঁকে পড়েছে। মানুষ ভালো পণ্য কেনাকাটা করার জন্য বড় শপিংমলগুলিতে পা বাড়াচ্ছে। ফলে ছোট শপিং মলগুলি বাদ যাচ্ছে সেই তালিকা থেকে। আর সেই সব ছোট শপিং মলগুলি পরিণত হচ্ছে ঘোস্ট শপিং মলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সরকার গড়ার আগে নীতীশ-নাইডুর কাছে লিখিত সমর্থন নিল এনডিএ  

    PM Modi: সরকার গড়ার আগে নীতীশ-নাইডুর কাছে লিখিত সমর্থন নিল এনডিএ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরিক-কাঁটার ঘায়ে যাতে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার পড়ে না যায়, তাই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে বিজেপি (PM Modi)। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। এনডিএ সম্মিলিতভাবে পেয়েছে ২৯৩টি কেন্দ্রের রাশ। প্রত্যাশিতভাবেই সরকার গড়ার দাবিদার এনডিএ। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবির ভাঙাতে না পেরে বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘ইন্ডি’ জোটের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) নেতারা।

    শনিবার মোদির শপথ (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে শপথ নেবে নয়া সরকার। তার আগের দিন সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন এনডিএ নেতারা। এনডিএর জয়জয়কারের খবর পাওয়ার পর বুধবারই বৈঠকে বসেছিলেন এনডিএ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতারাও। তবে যেহেতু না আঁচালে বিশ্বাস নেই, তাই রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গড়ার দাবি জানাতে যাওয়ার আগে ফের একপ্রস্ত বৈঠকে বসছেন এনডিএ নেতারা। এই বৈঠকে এনডিএর নবনির্বাচিত সব সাংসদকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এজন্য বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যেই তাঁদের চলে আসতে বলা হয়েছে দিল্লিতে।

    সমর্থনের লিখিত আশ্বাস

    জানা গিয়েছে, এবার বিজেপির তরফে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জনতা দল ইউনাইটেড নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। কারণ, বিজেপি বাদে এনডিএর শরিকদলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি সাংসদ রয়েছেন এই দুই দলের। জেডিইউয়ের সাংসদ সংখ্যা ১২, টিডিপির ১৬। এদের সম্মিলিত সাংসদ সংখ্যা ২৮। এই সাংসদরা যাতে শিবির-ছাড়া না হন, তাই এই দুই দলের কাছ থেকে বিজেপি নেতৃ্ত্বাধীন এনডিএ সরকারকে সমর্থনের নিশ্চিত আশ্বাস পেতে চেয়েছে পদ্ম পার্টি। সেজন্য সমর্থন প্রদানের কথা লিখিত আকারে দিতে বলা হয় টিডিপি এবং জেডিইউ নেতৃত্বকে।

    আর পড়ুন: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    এর কারণও রয়েছে। আগে একাধিকবার শিবির বদলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে গিয়েছেন নীতীশ। আর বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেও মাঝ পথে গেরুয়া-হাত ছাড়ার রেকর্ড রয়েছে চন্দ্রবাবুর। সেই কারণেই এবার আটঘাট বেঁধে সরকার গড়ার দাবি জানাতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shivrajyabhishek Sohala: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    Shivrajyabhishek Sohala: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬৩০ খ্রীস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারী, বর্তমান মহারাষ্ট্রে ভোঁসলে মারাঠা বংশে শাহাজি এবং জিজাবাইয়ের কাছে জন্মগ্রহণ করেন ছত্রপতি শিবাজি (Chhatrapati Shivaji)। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সেনাপতি এবং বীর যোদ্ধা। গোপন যুদ্ধের শিল্পের জন্য তাকে প্রায়শই ‘পাহাড়ের ইঁদুর’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ১৬৭৪ সালে রায়গড়ে শিবাজিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রাজ্যের ছত্রপতি বা সম্রাট হিসাবে মুকুট দেওয়া হয়েছিল। ছত্রপতির এই রাজ্যাভিষেক মারাঠা ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসাবে রয়ে গেছে। ছত্রপতির রাজ্যাভিষেকের (Shivrajyabhishek Sohala) ৩৫০ বছর পূর্তিতে জেনে নেওয়া যাক কিছু অজানা তথ্য।  

    কথিত আছে, শিবাজি মহারাজের মা স্থানীয় দেবী শিবাইয়ের কাছে প্রার্থনার পর পুত্র সন্তান শিবাজির জন্ম হয়। তাই শিবাজি মহারাজের নামকরণ করা হয়েছিল দেবী শিবাইয়ের নামানুসারে। পরবর্তীকালে এই শিবাজিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মারাঠা রাজ্য। দক্ষ নেতৃত্ব, বীরত্ব এবং সামরিক কৌশলের জন্য পরিচিত তিনি। ভারতীয় ইতিহাসে ছত্রপতি শিবাজি (Chhatrapati Shivaji) মহারাজের ভূমিকা ও অবদান তাঁকে একজন জাতীয় বীর করে তোলে। তিনি ছিলেন মধ্যযুগীয় ভারতের প্রথম ভারতীয় শাসক যিনি তার নিজস্ব নৌবাহিনী গড়ে তোলেন এবং ১৬৬৫ সালে তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৌ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। 

    রাজ্যাভিষেকের তাৎপর্য (Shivrajyabhishek Sohala) 

    ছত্রপতি হিসাবে শিবাজির রাজ্যাভিষেক নিছক একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান ছিল না বরং মারাঠাদের স্বাধীনতা এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলির উপর সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করার একটি রাজনৈতিক ঘটনা ছিল। এটি মুঘল ও আদিল শাহীদের অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে শিবাজির আজীবন সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি নিশ্চিত করে।

    শিবাজির অবদান (Chhatrapati Shivaji) 

    সেই অর্থে কোনও আনুষ্ঠানিক বা প্রথাগত শিক্ষা ছিল না শিবাজির। তবুও রামায়ণ এবং মহাভারত সহ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থগুলির গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন তিনি। হিন্দু রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যও তিনি পরিচিত। বহুল ব্যবহৃত ভাষা ফার্সির পরিবর্তে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় মারাঠি ও সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার প্রচারেও তাঁর অবদান অনেক। তাঁর রাজত্বকালে তিনি (Chhatrapati Shivaji) আটজন মন্ত্রীকে নিয়ে অষ্ট প্রধান মন্ডল গঠন করেন, যা উপদেষ্টা পরিষদ হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে শিবাজিকে পরামর্শ দিত। তিনি তাঁর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে হাইন্দব ধর্মোধারক (হিন্দু ধর্মের রক্ষক) উপাধিও নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: এই নিয়ে তৃতীয় বার! ফের মহাকাশ অভিযানে রওনা সুনীতা উইলিয়ামসের

    রাজ্যাভিষেকের বছর পূর্তির উদযাপন    

    প্রতি বছর এই দিনটি মহা সমারহে মহারাষ্ট্রে পালিত হয়। বিশেষ করে রায়গড়ের লোকেরা এদিন রায়গড় দুর্গে শিবাজির জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এরপর তারা একে অপরকে শুভ রাজ্যাভিষেক (Shivrajyabhishek Sohala) দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিবাজির মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NDA: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    NDA: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA) জিতেছে ২৯৩টি আসনে। এরপর বুধবার বৈঠকে বসে নরেন্দ্র মোদিকেই সর্বসম্মতভাবে নেতা নির্বাচিত করেছেন এনডিএ-র নেতারা। তার পরেই শুরু হয়েছে সরকার গড়ার প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, শুক্রবার সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন এনডিএ নেতারা। বুধবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন মোদি। তার পরেই সপ্তদশ লোকসভা ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সূত্রের খবর, ৮ জুন, শনিবার শপথ নেবে নয়া সরকার।

    ফের বৈঠকে এনডিএ

    রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার আগে শুক্রবার সকালে বৈঠকে বসবেন এনডিএ-র নবনির্বাচিত সাংসদরা। সে জন্য বৃহস্পতিবারই তাঁদের চলে আসতে বলা হয়েছে দিল্লিতে। শনিবার মোদি সরকার শপথ নেওয়ার পর রবিবার (NDA) অন্ধ্রপ্রদেশে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বে সরকার গড়বে টিডিপি। 

    শাহ-সিং-নাড্ডাকে ‘গুরু’ দায়িত্ব

    বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকার গঠন নিয়ে এনডিএর জোট শরিকদের সঙ্গে কথা বলতে। চন্দ্রবাবুর দল টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের কাছ থেকে বিজেপি নেতৃত্ব ‘পাকা কথা’ করে নিতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই দুই দলের নেতাদেরই ঘনঘন শিবির বদলানোর বদনাম রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থা।

    আর পড়ুন: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪ ও তার পরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এনডিএর শরিকদলগুলিকে নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে হয়নি গেরুয়া নেতৃত্বকে। তবে এবার শরিকদের নিয়ে বিশেষ করে ভাবতে হচ্ছে পদ্ম-পার্টিকে। তার কারণ, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। সম্মিলিতভাবে এনডিএ-র শক্তি ২৯৩। এর মধ্যে আবার বেশি করে সাংসদ রয়েছে নীতীশ এবং চন্দ্রবাবুর দলের। তাই এনডিএ-র এই দুই শরিককে গেরুয়া শিবির বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে খবর। তবে ‘হর্সট্রেডিং’ করে ‘ইন্ডি’ জোট যাতে সরকার গড়তে না পারে, তাই আটঘাট বেঁধেই শুক্রবার সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন এনডিএ নেতারা।

    জানা গিয়েছে, এবার এনডিএতে একজনকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এঁর কাজ হবে ঘনঘন শরিকদলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করা। তবে তৃতীয় মোদি সরকার যে ‘বিকশিত ভারতে’র লক্ষ্যেই কাজ করবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বুধবারের বৈঠকে। ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার যে দায়বদ্ধ, তা-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে (NDA)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    PM Modi: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ তারিখে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে। সরকারি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। বুধবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নেতারা। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে এনডিএ জিতেছে ২৯২টি আসনে। সূত্রটি জানিয়েছে, মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল এবং মরিশাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

    কী বলছে শ্রীলঙ্কা? (PM Modi)

    শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের অফিসের তরফে জানানো (PM Modi) হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিক্রমসিংহে আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন। মোদির জয়ে তাঁকে ফোনে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। এই সময়ই বিক্রমসিংহকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন।

    আসছেন কারা?

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সময়ই হাসিনাকেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান তিনি। জানা গিয়েছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগানাউথকেও। প্রচণ্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলাদা করেও কথা হয়েছে। ফোনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের অফিসিয়ালি নিমন্ত্রণ জানানো হবে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে। ২০১৪ সালে যখন প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি, সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সার্কের (SAARC) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর যখন দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন মোদি, তখন উপস্থিত ছিলেন বিমস্টেক (BIMSTEC) দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা।

    আর পড়ুন: সরকার গড়ার সংখ্যা নেই, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনেই

    প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি আসন। এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি কেন্দ্রের রাশ। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জন্যই রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে এনডিএ (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election Result: সরকার গড়ার সংখ্যা নেই, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনেই

    Lok Sabha Election Result: সরকার গড়ার সংখ্যা নেই, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডিয়া’ ব্লক আপাতত সরকার গড়ার চেষ্টা করবে না।” বুধবার ‘ইন্ডি’ জোটের (Indi Alliance) তরফে কথাগুলি বললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এদিকে, এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ নেতারা। সেখানে ঠিক হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা (Lok Sabha Election Result)।

    বৈঠকে ‘ইন্ডি’ ব্লক

    এদিন খাড়্গের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন ‘ইন্ডি’-র প্রায় সব দলের নেতাই। সেখানেই ঠিক হয়, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনে। তবে লড়াই চালিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে। ‘ইন্ডি’ জোটের (Lok Sabha Election Result) সব শরিকের মধ্যে সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন। বৈঠক শেষে খাড়্গে বলেন, “আমাদের বিপুলভাবে সমর্থনের জন্য জোট শরিকদের তরফে দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। মানুষ তাঁদের রায়ে বিজেপি এবং তাদের ঘৃণা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং ধুর্ত পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংবিধান রক্ষা ও গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির ফ্যাসিবাদ শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাখবে।”

    কী বললেন খাড়্গে?

    কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “মানুষ চান না যে বিজেপি আর দেশ শাসন করুক। এই বিষয়টি মাথায় রেখে জনগণের ইচ্ছে পূরণে আমরা ঠিক সময় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এটি আমাদের সিদ্ধান্ত এবং আমরা এই বিষয়গুলিতে সম্পূর্ণ এক মত। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করব আমরা।” এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী এবং জেএমএম বিধায়ক কল্পনা সোরেন, এনকে প্রেমচন্দ্রন।

    আর পড়ুন: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    ছিলেন এএপি সাংসদ রাঘব চাড্ডা, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, সীতারাম ইয়েচুরি, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। প্রসঙ্গত, এনডিএ যেখানে ২৯২টি আসন পেয়েছে, সেখানে ‘ইন্ডি’ জোটের সাংসদ সংখ্যা মাত্র ২৩৪ (Lok Sabha Election Result)। এনডিএ থেকে নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুকে ভাঙানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ম্যাজিক ফিগারে (২৭২) পৌঁছানো সম্ভব নয় জেনেই ‘ইন্ডি’ জোট-বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নেয় বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • NDA Meet: সর্বসম্মত নেতা মোদি-ই, “তাড়াতাড়ি সরকার গড়ুন”, এনডিএ বৈঠকে বললেন নীতীশ

    NDA Meet: সর্বসম্মত নেতা মোদি-ই, “তাড়াতাড়ি সরকার গড়ুন”, এনডিএ বৈঠকে বললেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বার সরকার গড়ার লক্ষ্যে বুধবার বৈঠকে বসলেন এনডিএ নেতারা (NDA Meet)। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সর্বসম্মতভাবে এনডিএর নেতা নির্বাচিত হন মোদি। তাঁর বাসভবনেই জড়ো হয়েছিলেন এনডিএর নেতারা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনতা দল ইউনাইটেড নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। সরকার গড়তে প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেন তিনি। বৈঠকে নীতীশ বলেন, “দ্রুত কাজ শুরু করুন। সরকার গড়ায় দেরি করা উচিত হবে না। আমরা এটা (সরকার গঠন) যত শীঘ্র সম্ভব করব।”

    এনডিএ

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে (NDA Meet) বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি আসন। জোট শরিকদের আসন নিয়ে এনডিএর আসন সংখ্যা ২৯২। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তাই এবার সরকার গড়তে পদ্ম শিবিরের ভীষণ প্রয়োজন নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থন। এই দুই দলের সাংসদের সংখ্যা ২৮। এদিন দিল্লিতে আয়োজিত এনডিএ-র বৈঠকের আগে চন্দ্রবাবু বলেন, “আমরা এনডিএতে রয়েছি। এনডিএর বৈঠকেই যোগ দিতে দিল্লিতে যাচ্ছি।” প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার আসন রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি জয়ী হয়েছে ১৬টি আসনে। বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হয়েছে নীতীশের দল জেডিইউ।

    বৈঠকে ছিলেন কারা

    জানা গিয়েছে, সরকার গড়ার দাবিতে এদিনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন এনডিএ নেতারা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমার, একনাথ শিন্ডে, এইচডি কুমারস্বামী, জিতন রাম মাঝি, চিরাগ পাশোয়ান, পবন কল্যাণ, অনুপ্রিয় প্যাটেল, জয়ন্ত চৌধুরী এবং প্রফুল্ল প্যাটেল। জনতা দল ইউনাইটেড দলের নেতা লালন সিংহ এবং সঞ্জয় ঝা-ও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বিজেপির তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও।

    একনাথ শিন্ডে বলেন, “মোদিজি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। মোদিজির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার গড়বে।” উল্লেখ্য, ২০১৪ এবং ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি (NDA Meet)।

    আর পড়ুন: ‘‘সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে’’, দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে’’, দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি

    PM Modi: ‘‘সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে’’, দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। আশা করা হচ্ছে শনিবার ৮ জুন শপথ নেবেন তিনি। পদত্যাগের আগে শেষবার মোদি ২.০ কেবিনেটের সঙ্গে বৈঠক (Modi Emotional Speech) করেন। বৈঠকে তিনি ক্যাবিনেটের মন্ত্রীদের উদ্দেশে (PM Modi) বলেন, ‘‘জয় পরাজয় রাজনীতির অঙ্গ।’’ ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৪-এ আশাতীত ফল না হওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে আবেগপ্রবণ ভাষণ মোদির

    ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, “জয় পরাজয় রাজনীতির অঙ্গ। মোট প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা কখনও বেড়েছে কখনও কমেছে। সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে। আমরা দশ বছরে ভালো কাজ করেছি এবং আগামী দিনেও সেই কাজ করে যাব। আপনারা সকলেই ভাল কাজ করেছেন এবং আগামী দিনেও দিশা দেখাবেন।” সূত্রের খবর ক্যাবিনেটের শেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ৩.০ কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন(Modi Emotional Speech)।

    তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হলে রেকর্ড ছোঁবেন মোদি

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হয়। শেষ দুবার বিজেপি একার দমে ২৭২ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা পেরিয়ে যায়। কিন্তু এবার এনডিএ জোট সরকার হিসেবে ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দিয়েছে (Modi Emotional Speech) । সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেও ২৭২ এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে অনেক দূরে খিচুড়ি জোটের সংখ্যা। তা সত্ত্বেও জোটের নেতারা আস্ফালন দেখালেন। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হবেন জেনেও মোদির (PM Modi) মুখে শান্তির লেশমাত্র যেন ছিল না।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিলেন পদত্যাগপত্র, ৮ জুন প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ মোদির

    তবে আরেকটা রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জওহরলাল নেহেরুর পর তিনিই হবেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি তিনবার দেশের মসনদে বসবেন।প্রসঙ্গত বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদি। ইস্তফা দিলেও পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া অবধি তিনিই থাকবেন দেশের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী। বড় অঘটনা না ঘটলে এনডিএ দেশের সরকার গড়বে আগামীতে এটাই প্রায় নিশ্চিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lucknow: ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’র ১ লক্ষ টাকা নিতে লখনউ কংগ্রেস দফতরে ভিড় জমালেন মুসলিম মহিলারা

    Lucknow: ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’র ১ লক্ষ টাকা নিতে লখনউ কংগ্রেস দফতরে ভিড় জমালেন মুসলিম মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ লোকসভা ভোটের ফলাফল। ফলাফলে ইন্ডিয়া জোট অপ্রত্যাশিতভাবে উত্তর প্রদেশে বিজয়ী হয়েছে। আর সেই ফল প্রকাশের পরেই বুধবার লখনউ (Lucknow) এর একটি কংগ্রেস অফিসের বাইরে প্রচারের সময় প্রতিশ্রুত ‘গ্যারান্টি কার্ডের’ দাবিতে ভিড় জমায় অসংখ্য মহিলা। কারন নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় কংগ্রেস অনেক পরিবারকে ‘গ্যারান্টি কার্ড’ বিতরণ করেছিল। একইসঙ্গে প্রতি দরিদ্র পরিবারের মহিলা প্রধানকে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। আর এদিন সেই প্রতিশ্রুতির দাবি নিয়েই কংগ্রেস অফিসের (Congress office) বাইরে ভিড় জমান অসংখ্য মহিলা। 

    প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ (Lucknow)

    সম্প্রতি একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এই গরমে রোদ মাথায় নিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক মুসলিম মহিলা লখনউতে কংগ্রেস অফিসের (Congress office)  বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের মধ্যে কিছু মহিলা ‘গ্যারান্টি কার্ড’ দাবি করেছেন। অন্যদিকে যারা ইতিমধ্যে তাদের গ্যারান্টি কার্ড পেয়েছেন তারা তাদের অ্যাকাউন্টে প্রতিশ্রুত অর্থ জমা দেওয়ার জন্য ফর্ম জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে তারা তাদের ফর্ম জমা দেওয়ার পরে কংগ্রেস অফিস থেকে রসিদ পেয়েছেন।

     

    ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ কর্মসূচি  

    নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ২৫টি গ্যারান্টি কার্ড সহ প্রায় ৮ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ কর্মসূচি চালু করেছিল। এর মধ্যে ছিল মহালক্ষ্মী স্কিম, যা দারিদ্র্য সীমার নীচে (বিপিএল) পরিবারের মহিলা প্রধানদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রতি মাসে ৮,৫০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এই প্রকল্পটি আসলে কর্ণাটকের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন গৃহ লক্ষ্মী প্রকল্পের অনুরূপ। যদিও কর্ণাটকে দরিদ্র পরিবারের মহিলা প্রধানদের ২,০০০ টাকা প্রদান করে এই স্কিম।  

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষে শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও ভোগান্তির আশঙ্কা নিত্য যাত্রীদের

    অন্যদিকে ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে এসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি অনেক মহিলা বেঙ্গালুরুর জেনারেল পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলতে ছুটে এসেছেন। কারন তাঁরা আশা করেছিলেন যদি ইন্ডি জোট কেন্দ্রে ক্ষমতা পায় তাহলে মাসিক ৮,৫০০ টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। তবে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে ইন্ডি জোট এক্সিট পোলকে মিথ্যে করে দিয়ে ২৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। একইসঙ্গে এনডিএ পরবর্তী সরকার গঠনের জন্যও প্রস্তুত করেছে নিজেদের। কারন বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯২টি আসন লাভ করে, ২৭২টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share