Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mohan Bhagwat: বারাণসীতে হিন্দু ঐক্যের বার্তা, আদিবাসী কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: বারাণসীতে হিন্দু ঐক্যের বার্তা, আদিবাসী কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ৩০ এপ্রিল ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। এই পুণ্য তিথিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বারাণসীতে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং কন্যাদান করেন। এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় বারাণসীর সঙ্কলধারা কুণ্ডে। ১২৫ জন নব দম্পতি, যাঁরা বিভিন্ন জাতি-বর্ণের ছিলেন, তাঁদেরকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করান মোহন ভাগবত। এই অনুষ্ঠানে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারিত হয়। যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরোহিতরা নানা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেন। ১২৫ জনের দুই হাত এক হয় এইভাবেই।

    আদিবাসীকে কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    এই গণবিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন একজন আদিবাসী কন্যা রাজবন্তী। তিনি এসেছিলেন শোনভদ্র জেলার যোগদিহি গ্রাম থেকে। মোহন ভাগবত নিজের হাতে রাজবন্তির পা ধুয়ে দেন। এরপরেই আরএসএস প্রধান জানান, এভাবেই সামাজিক বৈষম্য দূর হওয়া উচিত এবং হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। এরপরেই রাজবন্তীর হাত তিনি তুলে দেন অমনের হাতে। প্রসঙ্গত, অমনও একজন আদিবাসী বর। অমনের হাতে রাজবন্তীর হাত তুলে দেওয়ার সময় আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান বলেন, ‘‘আমি কন্যাদান করলাম তোমার হাতে।’’ শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক চালক কন্যাদান করার পরে ৫০১ টাকাও তুলে দেন অমনের হাতে। এরপরেই আরএসএস প্রধানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার মেয়ের খেয়াল রেখো। তাকে সর্বদা সুখে রেখো।’’

    অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্ষয় কন্যাদান মহোৎসব’

    বারাণসীতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্ষয় কন্যাদান মহোৎসব’ (Akshay Kanyadan Mahotsav), এটি শুধুমাত্র কোনও অনুষ্ঠান ছিল না। এটা ছিল ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, মূল্যবোধের একটি প্রতিফলন। এভাবেই ভারতের হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার এক প্রয়াস এখানে দেখা গেল। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের বিভিন্ন জাতি বর কনেরা একত্রিত হলেন এভাবে। গোটা অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ছিলেন বীরেন্দ্র জয়সওয়াল। যিনি উত্তরপ্রদেশের একজন বরিষ্ঠ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা বলেই জানা যায়। জানা গিয়েছে, নিজের পুত্র সন্তান বৈভবের বিয়ে উপলক্ষ্যেই তিনি এমন গণবিবাহের আয়োজন করেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই আরএসএস নেতা জানিয়েছেন, নিজের পুত্রের বিয়েটি একটু অন্যরকম করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে আরএসএস নেতা বীরেন্দ্র জয়সওয়াল মনস্থির করেন যে পুত্রের বিয়ের সঙ্গেই তিনি আরও ১০১ জন বিভিন্ন জাতি এবং বর্ণের কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। এভাবেই তাঁর সিদ্ধান্তে ধরা পড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নিঃস্বার্থ সেবা ভাবনা।

    কী বললেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)?

    অনেকের মতে, বীরেন্দ্র জয়সওয়াল এভাবেই সামাজিক সমরসতার এক নতুন ভাবনা প্রতিষ্ঠিত করলেন। ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ গঠন করার এই ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘ চালক মোহন ভাগবত। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘একটি বিবাহ শুধুমাত্র দুটি ব্যক্তির একত্র হওয়াই নয়। এটা দুটি পরিবারকে এক করে। এর মাধ্যমেই সমাজ সংগঠিত হয়। শক্তিশালী হয়।’’ একই সঙ্গে যে সমস্ত অভিভাবকরা ওই কন্যাদানে হাজির ছিলেন। তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যাঁরা অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে যাঁদেরকে বিবাহ দিলেন, তাঁদের সঙ্গে অন্তত বছরে দুবার করে যোগাযোগ রাখুন। দুবার অন্তত তাঁদের বাড়িতে যান।’’ নিজের বক্তব্য মোহন ভাগবত আরও বলেন, ‘‘একটি পরিবারকে শুধুমাত্র ভাবা উচিত নয় স্বামী-স্ত্রী এবং পুত্র হিসেবে। পরিবার হচ্ছে সমাজের জীবন্ত অংশ। পরিবার ব্যবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে মিশে রয়েছে আমাদের মূল্যবোধ পরম্পরা ও সংস্কার।’’

    গণবিবাহের যাত্রা শুরু হয় দ্বারকাধীশ মন্দির থেকে

    প্রসঙ্গত, গোটা অনুষ্ঠানটিতে ১২৫ জন দম্পতিকে বিবাহ দেওয়া হয়। বরেরা প্রত্যেকেই ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল ব্যান্ড, ডিজে এবং বাজি ফাটিয়ে তাঁদেরকে স্বাগত জানানো হয়। এর পাশাপাশি নানা রকমের ধর্মীয় গানও বাজতে থাকে। এই গণবিবাহের যাত্রা শুরু হয় দ্বারকাধীশ মন্দির থেকে। এখান থেকেই বারাত বা বরযাত্রীরা বের হন। তাঁদের পাশে থাকা মানুষজন ফুল হাতে হাঁটতে থাকেন। রাস্তা জুড়ে একটা আলাদা পরিবেশ নির্মাণ হয়। এর পরবর্তীকালে মূল অনুষ্ঠানটি হয় সংকুলধারা কুণ্ডে। এখানেই বিভিন্ন গ্রাম গ্রামের মানুষজন হাজির ছিলেন। তাঁরা নানাভাবে ধর্মীয় আচার-আচরণ রীতিনীতি মেনে বর-কনেকে আশীর্বাদ করেন। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্রনাথ পান্ডে। উত্তরপ্রদেশের শিল্পমন্ত্রী নন্দগোপাল গুপ্তা নন্দী এবং বারাণসীর মেয়র অশোক তেওয়ারি।

  • India-Pakistan Conflict: সম্মুখ সমরে ভারত-পাকিস্তান! জলে-স্থলে-আকাশে সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে?

    India-Pakistan Conflict: সম্মুখ সমরে ভারত-পাকিস্তান! জলে-স্থলে-আকাশে সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ২৬ জন পর্যটকের নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সামরিক (India-Pakistan Military Strength) শক্তির তুলনা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর।

    সক্রিয় সেনাসংখ্যা

    স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সামরিক বাহিনীতে মোট সক্রিয় সদস্য ১৪ লক্ষ। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার, নৌবাহিনীতে ৭৫ হাজার ৫০০ এবং বায়ুসেনায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০, উপকূলরক্ষী বাহিনীতে ১৩ হাজার ৩৫০। এছাড়াও ১৬.১৬ লক্ষ আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছে। পাকিস্তানের মোট সেনাসংখ্যা ৭ লক্ষ, সেনাবাহিনীতে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার, বায়ুসেনায় ৭০ হাজার এবং নৌবাহিনীতে ৩০ হাজার। পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী ২.৯১ লাখ সদস্যবিশিষ্ট।

    অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে ৯ হাজার ৭৪৩টি কামান রয়েছে। পাকিস্তানের কামানের সংখ্যা ৪ হাজার ৬১৯টি। ভারতের কাছে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক রয়েছে ৩ হাজার ৭৪০টি, পাকিস্তানের ২ হাজার ৫৩৭টি। ভারতের রয়েছে ১,৪৩৭টি ফিক্সড-উইং বিমান, ৯৯৫টি হেলিকপ্টার, ৭,০৭৪টি সাঁজোয়া যান এবং ১১,২২৫টি আর্টিলারি। পাকিস্তানে ৮১২টি ফিক্সড-উইং বিমান, ৩২২টি হেলিকপ্টার, ৬,১৩৭টি সাঁজোয়া যান এবং ৪,৬১৯টি আর্টিলারি রয়েছে। সাঁজোয়া যানে ভারতে কিছুটা অগ্রাধিকার থাকলেও খুব বেশি পার্থক্য নেই।

    পারমাণবিক শক্তি

    ভারত মূলত স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এছাড়া আকাশপথেও পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে এবং সাবমেরিন থেকে পারমাণবিক হামলার সক্ষমতাও গড়ে তুলছে। ভারতের কাছে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে এবং আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল পরীক্ষাধীন। ভারতের কাছে ১৮০টি ওয়ারহেড রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রে বা রকেটের যে অংশটিতে রাসায়নিক, জৈবিক বা পারমাণবিক বিস্ফোরক ভরে শত্রুপক্ষের দিকে ছোড়া হয়, সেটিকে ওয়ারহেড বলা হয়। পাকিস্তানের ওয়ারহেডের সংখ্যা ১৭০। পাকিস্তান স্থলভিত্তিক ও আকাশপথে পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। তাদের ছোট, মাঝারি ও নিকট পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। সাবমেরিন থেকে পারমাণবিক ক্রুজ মিসাইল ছোড়ার সক্ষমতা নেই পাকিস্তানের।

    বায়ুসেনা

    বিশ্বতালিকায় ভারতের বায়ুসেনার স্থান চতুর্থ। ভারতের কাছে রয়েছে ২,২২৯টি এয়ারক্র্যাফট। সেখানে পাকিস্তানের রয়েছে মাত্র ১,৩৯৯টি। শত্রুর বুকে আঘাত হানতে যে কোনও সময় ওড়ার জন্য প্রস্তুত ভারতের ৫১৩টি যুদ্ধবিমান। সেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ৩২৮টি। ভারতের হাতে অ্যাটাকিং যুদ্ধবিমান রয়েছে ১৩০টি, ৮৯৯টি হেলিকপ্টার ও ৮০টি অ্যাটাকিং কপ্টার। সেখানে পাকিস্তানের মাত্র ৯০টি অ্যাটাকিং যুদ্ধবিমান, ৩৭৩টি হেলিকপ্টার ও ৫৭টি অ্যাটাকিং কপ্টার।

    নৌসেনা

    নৌবহরের দিক থেকেও পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করতে তৈরি ভারত। দেশের একদিকে ভারত মহাসাগর, অন্যদিকে আরব সাগর। ফলে বিরাট সমুদ্র অঞ্চলে কড়া নজরদারি চালাতে ভারতের নৌবহর বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় বিরাট শক্তিশালী। নৌবহরে বিশ্বে ষষ্ঠস্থানে ভারত। আর পাকিস্তান ২৭ তম স্থানে। ভারতের কাছে যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে ২৯৩টি। সেখানে পাকিস্তানের ১২১টি। ভারতের রয়েছে দুটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার – আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত। যা পাকিস্তানের নেই। এছাড়া ভারতের ১৮টি ডুবোজাহাজ, পাকিস্তানের ৮টি। ভারতের ১৩টি ডেস্ট্রয়ার, পাকিস্তান ০। ভারতের ফ্রিগেট ১৪টি, পাকিস্তানের ৯টি, করভেট রয়েছে ভারতের ১৮টি, পাকিস্তানের ৯টি। এবং টহলদারি ভেসেল ভারতের ১৩৫টি ও পাকিস্তানের ৬৯টি।

    প্রতিরক্ষা বাজেট

    ২০২৫ সালে ভারতের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৬.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে সেনার আধুনিকীকরণের জন্য বরাদ্দ হয় ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। দেশের মোট জিডিপি-র ১.৯ শতাংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ করে ভারত। আর বাজেটের ১৩.৪৫ শতাংশ। অন্য দিকে, ২০২৪ সালে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে ২.১২ লক্ষ কোটি বরাদ্দ করেছিল, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৪ হাজার ৮২ কোটি টাকা। দেশের জিডিপি-র ১.৭ শতাংশ তারা প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করে।

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের চলতি বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান চতুর্থ। অন্যদিকে, গত বছরও বিশ্ব তালিকায় ৯ নম্বর স্থানে ছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে চলতি বছরে পাকিস্তান নেমে গিয়েছে ১২ নম্বরে। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স (GFP)-এর তথ্যে ভারতের (PwrIndx) স্কোর ০.১১৮৪ এবং পাকিস্তানের স্কোর ০.২৫১৩। এখানে ০.০০ স্কোর সবচেয়ে ভালো বলে ধরা হয়।

    সামরিক আধুনিকীকরণ

    ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছিল।স২০১৯ সালের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সামরিক আধুনিকীকরণে মনোযোগী হয়েছে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। রাশিয়া প্রধান সরবরাহকারী হলেও, ভারত এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইজরায়েল এবং দেশীয় উৎপাদনের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে — যার মধ্যে রয়েছে বিমানবাহী রণতরী, সাবমেরিন এবং হেলিকপ্টার।

  • Bangladesh Border: বাংলাদেশে পাক সেনা-আইএসআইয়ের জোর তৎপরতা! হাই অ্যালার্ট ভারতের পূর্ব সীমান্তে

    Bangladesh Border: বাংলাদেশে পাক সেনা-আইএসআইয়ের জোর তৎপরতা! হাই অ্যালার্ট ভারতের পূর্ব সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তেও (Bangladesh Border) দুই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। কারণ, গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতা বেড়েছে পদ্মাপাড়ে। মহম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতাও তৈরি হয়েছে বেশ ভালো। এই কারণেই বাংলাদেশ সীমান্তে চূড়ান্ত হাই অ্যালার্ট বজায় রাখা হয়েছে। অনুপ্রবেশ রোখার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। বাংলাদেশের পাশাপাশি নজরদারি চালানো হচ্ছে মায়ানমার সীমান্তেও।

    মুর্শিদাবাদ হিংসায় উঠে আসে বাংলাদেশি যোগ

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে মুর্শিদাবাদ জেলাতে বিক্ষোভের নামে ভয়ংকর হিংসা ছড়ায়। সেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশি যোগ। এই আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে করতে শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ হিংসায় তিনজন মানুষের মৃত্যু হয়। কয়েকশো মানুষ আহত হন। কেন্দ্রের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ যোগের কারণেই এই হিংসা আরও প্রবল আকার ধারণ করেছে। এই আবহে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ২৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়। ঠিক সেই সময়ই বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তেও ব্যাপক সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারত।

    নজরে বাংলাদেশ সীমাও (Bangladesh Border)

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি, সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা (Bangladesh Border)। অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর সীমানা ছাড়া, বাংলাদেশ সীমাও এখন ভারতের নজরে।

  • Caste Census: জাতিভিত্তিক গণনার কথা ঘোষণা কেন্দ্রের, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেতারা

    Caste Census: জাতিভিত্তিক গণনার কথা ঘোষণা কেন্দ্রের, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মোদি সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন নেতানেত্রী। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah), তেমনি রয়েছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানের পাশাপাশি এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারও।

    কী বললেন শাহ (Caste Census)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই ঘোষণার ফলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নতি হবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আজকের সিসিপিএ সভায় আসন্ন আদমশুমারিতে জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সামাজিক সমতা ও প্রতিটি বিভাগের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও তার মিত্র দলগুলি কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকাকালীন জাতিভিত্তিক আদমশুমারির বিরোধিতা করেছিল এবং বিরোধী দলে থাকাকালীন একে নিয়ে রাজনীতিকরণ করেছিল। এই সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া সকল শ্রেণির ক্ষমতায়ন করবে, অন্তর্ভুক্তি প্রচার করবে এবং বঞ্চিতদের অগ্রগতির জন্য নতুন পথ প্রশস্ত করবে।”

    নাড্ডার পোস্ট

    বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত স্তরে পিছিয়ে পড়া জাতিগুলিকে মূলধারায় আনার ক্ষেত্রে এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের অধিকার ও অধিকার থেকে বঞ্চিতদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “মোদি সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতি সম্প্রসারণ, সমাজের প্রতিটি অংশের উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মর্যাদা বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। সমাজের সকল অংশের কল্যাণের লক্ষ্যে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি মোদিজির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকাকালীন, কংগ্রেস সব সময় জাতিগত জনগণনার বিরোধিতা করেছে, যার প্রমাণ স্বাধীনতার পর দেশে আজ পর্যন্ত জাতিগত জনগণনা করা হয়নি। মোদি সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতি প্রসারিত করার পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণির উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া অংশের সম্মান বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক (Amit Shah) হয়ে থাকবে। সমগ্র সমাজের কল্যাণে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি মোদিজিকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই (Caste Census)।”

    অজিত পাওয়ারের বক্তব্য

    মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, “দেশে সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার ঐতিহাসিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি, মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহজি এবং সমগ্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!” তিনি লেখেন, “বহু দশক ধরে অসংখ্য ব্যক্তি, সংগঠন এবং গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে জাতিভিত্তিক আদমশুমারির দাবি করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহের দূরদর্শী এবং সংবেদনশীল নেতৃত্বের কারণে এই দাবি পূরণ হয়েছে। জাতিভিত্তিক আদমশুমারির অভাবে তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া অন্যান্য বর্ণের জনসংখ্যার অর্থনৈতিক (Amit Shah) ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলস্বরূপ, সমাজের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ওবিসি সম্প্রদায়কে এর পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল।” মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধানও (Caste Census)।

    কী বললেন নীতীশ কুমার 

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জাতিভিত্তিক আদমশুমারির সরকারি সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “জাতিগত আদমশুমারি পরিচালনার জন্য আমাদের দাবি অনেক পুরানো। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে কেন্দ্রীয় সরকার জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনা বিভিন্ন শ্রেণির জনসংখ্যা নির্ধারণে সাহায্য করবে, যা তাদের উন্নয়ন ও উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নকে সহজতর করবে। এটি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শ্রদ্ধেয় শ্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন ও ধন্যবাদ (Caste Census)।”

    প্রসঙ্গত, ভারতে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। জনগণনা হয় প্রতি ১০ বছর অন্তর। সেই হিসেবে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে সেবার জনগণনা হয়নি। শেষ জনগণনা অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১২১ কোটি (Amit Shah)। এর মধ্যে তফশিলি উপজাতি ৮.৬১ শতাংশ, তফশিলি জাতি রয়েছে মোট জনসংখ্যার ১৬.৬৩ শতাংশ। আর ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন ৫২ শতাংশ (Caste Census)।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ হিন্দুদের হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের খোঁজ চলছে। বৈসরন উপত্যকার জঙ্গি হানায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার পারদ এখনও চড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী যুদ্ধের সীমা না পেরিয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানার দিকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS)-এর দ্বিতীয় বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ

    এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC)-তে ছোট অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর “উস্কানিমূলক” গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ডিজিএমও হটলাইনে ভারতীয় সেনাবাহিনী কড়া বার্তা দেয়। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান আবার উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পারগওয়াল সেক্টরে গুলিবর্ষণ শুরু করে। একজন সেনা কর্মকর্তা জানান, “আমাদের বাহিনী সব ধরনের সংঘর্ষবিরোধ লঙ্ঘনের জবাব দ্বিগুণ শক্তিতে দিচ্ছে।” মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে সামরিক আধিকারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সেনাবাহিনীকে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের “সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দেওয়ার ফলে এখন বিষয়টি আর “পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না” নয়, বরং “কখন নেওয়া হবে”—এই প্রশ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “পাল্টা জবাবের পরিকল্পনা ও ধাপে ধাপে প্রতিক্রিয়ার কৌশল প্রস্তুত রয়েছে। এটি কোনো আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া নয়, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে বরং হিসেব করে নেওয়া, বিশ্বাসযোগ্য এবং নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ।” বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটিতে হানা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ তার বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করেছে—ফলে চমকের উপাদান প্রায় নেই। তা সত্ত্বেও, ভারতীয় সেনা ১৫৫ মিমি কামান, ১২০ মিমি মর্টার এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে আঘাত হানার উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।

    দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার

    একজন কর্মকর্তা আরও জানান, “নিয়ন্ত্রণ রেখা না পার হয়েও দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব। পাকিস্তানি বাহিনী ১৫৫ মিমি গোলাবারুদের ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, যা তারা ইউক্রেনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রফতানি করছে।” এছাড়া, সীমিত স্থল অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা-স্পেশাল ফোর্স অংশ নিতে পারে—যেমন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, যেখানে চারটি আলাদা স্থানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছিল। বিমানে হামলা—যেমন ২০১৯ সালের বালাকোট স্ট্রাইক—এবারও বিকল্প হতে পারে, যদিও তা কিছুটা উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এবার ভারতের হাতে রয়েছে আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান, যেগুলো স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল, ইসরায়েলি ক্রিস্টাল মেজ ও স্পাইস ২০০০-এর মতো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত।

    সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গ

    এছাড়া, ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের ওপর একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি হাই কমিশনের কার্যক্রম সীমিত করা এবং ভারতে অবস্থানরত সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি)। নিয়ন্ত্রণরেখায় বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং বারামুলা জেলার কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার অপর প্রান্ত থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনা। কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বিপরীত প্রান্ত থেকেও গুলি চালিয়েছে পাক ফৌজ। তার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। প্রসঙ্গত, এলওসি এলাকায় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করতে ২০০৩ সালে একমত হয়েছিল নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছিল। খাতায়কলমে এই নিয়ম এখনও বহাল। কিন্তু, অতীতেও দু’দেশের সেনা পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।

    উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান

    কুলগাঁও, ত্রাল, সোপিয়ান-পুলওয়ামার মতো চারটি স্থানে সেনা অভিযান হয়েছে। ত্রালের অদূরে জঙ্গলে একটি জঙ্গিদলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। তাদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। বৈসরনে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জন স্থানীয়কে গ্রেফতার করে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ধরপাকড়ের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গির বাড়ি নিরাপত্তাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।

    পহেলগাঁও প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপুঞ্জে

    পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে ‘দুর্বৃত্ত দেশ’ (রোগ স্টেট) বলে সমালোচনায় বিঁধেছে ভারত। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানাতেই সবচেয়ে বেশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ভারতের প্রতি সংহতির বার্তা দিয়েছে।

  • India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত (India Pakistan Relation)। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই ঘোষণার জেরে এখন থেকে পাক সংস্থার কোনও বিমান (Pakistani Flights) আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের তরফে এদিন একটি ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! (India Pakistan Relation)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। এর পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। বুধবার কেন্দ্রের এই ঘোষণা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পরপরই পদক্ষেপ করে পাকিস্তানও। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। পাক সরকারের সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যেই একই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’

    বুধবার রাতে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জারি করে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’। এটি প্রযোজ্য হবে ২৩ মে পর্যন্ত। বিমানবন্দরের এক কর্তার মতে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ হল একটি নোটিশ যাতে বিমান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। আর এক কর্তা জানান (India Pakistan Relation), পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল ভারত। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমানের পাশাপাশি পাকিস্তান বিমান সংস্থা এবং অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা উপলব্ধ থাকবে না (Pakistani Flights)।

    বিশেষ নজরদারি

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকেই দুষছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত নেই। মুখে এ কথা বললেও, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান। ভারত যে কোনও দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমায়। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধই, তবে ভারতের আকাশসীমা দিয়ে যদি কোনও বিদেশি বিমানও পাক আকাশে প্রবেশ করে, তাতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাক আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে (India Pakistan Relation)। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    গোদের ওপর বিষফোঁড়া

    মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান যাতায়াত করে ভারতের ওপর দিয়ে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। কারণ ওই বিমানগুলিকে অনেকটা ঘুরে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সেই সঙ্গে লাগবে বেশি সময়ও। তাই বাড়তে পারে টিকিটের দাম। কমে যেতে পারে যাত্রী সংখ্যা। এমনিতেই পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল।  অধিকাংশ ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় যায়। ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়াগামী বিমানগুলিকে হয় চিন নয়তো শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে হবে। তাই এই সময় (Pakistani Flights) গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান চলাচল করে না।

    অর্থনৈতিক যুদ্ধ!

    অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় কূটনীতিকের মতে, “এটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।” ইউরোপীয় এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নিষেধাজ্ঞার (চার বছর পর গত বছর প্রত্যাহার করা হয়) মধ্যেই সঙ্কটে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) সামনে এখন নতুন অস্তিত্ব সঙ্কট। সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩২টি বিমান রয়েছে পিআইএ-র। সেখানে ভারতের সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। এক বিমান বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি পিআইএ-র কফিনে শেষ পেরেক হয়ে উঠতে পারে (Pakistani Flights)।”

    পাকিস্তানের বড় ক্ষতি

    পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে আগে সপ্তাহে ৮০০-এরও বেশি ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল করত, যার মাধ্যমে তারা দৈনিক প্রায় ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করত। এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ছিল। কিন্তু তাদেরই প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় এখন এই আয় বন্ধ হয়েছে। এক ভারতীয় ঊর্ধ্বতন বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, “ভারতীয় এয়ারলাইন্স বন্ধের পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার শামিল। এখন তাদের আরও বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হতে হবে (India Pakistan Relation)।”

  • Char Dham Yatra 2025: শুরু চারধাম যাত্রা, শুক্রবার খুলছে কেদারনাথের দ্বার, মন্দির সাজবে ১৩ কুইন্টাল ফুলে

    Char Dham Yatra 2025: শুরু চারধাম যাত্রা, শুক্রবার খুলছে কেদারনাথের দ্বার, মন্দির সাজবে ১৩ কুইন্টাল ফুলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ২ মে খুলছে কেদারনাথ ধামের দ্বার (Char Dham Yatra 2025)। ভগবান কেদারনাথের মন্দিরকে সাজানো হচ্ছে ১৩ কুইন্টাল ফুল দিয়ে। বৃহস্পতিবার ১ মে কেদারনাথের মূর্তি ধামে পৌঁছাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ কেদারনাথের দরজা খুলবে। অন্যদিকে, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা খুলে গিয়েছে গত ৩০ এপ্রিল। অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ এবং পুজো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দরজা খোলা হয়। এর সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা।

    প্রথম পুজো করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Char Dham Yatra)

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভক্তদের ওপর পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। গঙ্গোত্রী ও যমুনেত্রী মন্দিরে। অন্যদিকে, যমুনেত্রী মন্দিরে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি প্রথম পুজো করেন। মন্দির খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পুজো শুরু করেন (Char Dham Yatra 2025)। প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী, চারধাম যাত্রার দ্বারোদঘাটনের পুজোয় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে পুজো দেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গে চারধাম যাত্রা যাতে সফলভাবে সংঘটিত হয় এবং ভক্তদের জীবনে যাতে সুখ সমৃদ্ধি শান্তি আসে সেই কামনাও করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। বৈদিক রীতি রীতি মেনে ৩০ এপ্রিল সকালেই পুজো শুরু হয় গঙ্গোত্রী মন্দিরে, ভক্তদের জন্য গঙ্গোত্রী মন্দিরের দরজা খোলা হয় ঠিক সকাল সাড়ে দশটায়।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, যমুনেত্রী ধামের দরজা খোলা হয় ঠিক সকাল ১১:৫৫ মিনিট নাগাদ। এখানেও বৈদিক রীতি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপরেই সাংবাদিকদের সামনে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেন, ‘‘চারধাম যাত্রার অনুষ্ঠানিক সূচনা অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হল। চারধাম যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। এখানে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত দেশ থেকে আসেন। বিদেশ থেকেও আসেন অনেকে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের পরম্পরা হল অতিথি দেব ভব। তাই সমস্ত ভক্তরা চারধাম যাত্রায় আসবেন, তাঁদের যথাযোগ্য স্বাগত জানানো হবে। একই সঙ্গে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Char Dham Yatra 2025)। যাতে এই চারধাম যাত্রা পরিবেশবান্ধব হয়।

  • Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানাও করেন (Population Survey) তিনি। অশ্বিনী সাফ জানিয়ে দেন, আলাদা করে দেশে জাতি শুমারির প্রয়োজন নেই। জনগণনার সঙ্গেই হবে জাতিভিত্তিক গণনা।

    আদমশুমারি (Caste Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর হয় আদমশুমারি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। করোনা অতিমারির কারণে জনগণনা হয়নি ২০২১ সালে। তার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। বুধবার, এপ্রিল মাসের একেবারে শেষ দিনে সরাসরি জাতিশুমারির কথা ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।

    জাতিভিত্তিক জনশুমারি

    বিহারে ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনশুমারি হয়েছে। এদিন জাতিভিত্তিক জনশুমারি ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটে থাকা অন্যান্য দলকেও নিশানা করেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস বরাবর জাতিভিত্তিক জনশুমারির বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, ক্যাবিনেটের উচিত জাতিভিত্তিক জনশুমারি নিয়ে বিবেচনা করা। মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনশুমারির সুপারিশ করেছিল। তার পরেও কংগ্রেস সরকার জাতিভিত্তিক (Caste Census) সমীক্ষা করেছিল।” অশ্বিনী বলেন, “কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের সদস্যরা জাতিভিত্তিক জনশুমারিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিছু রাজ্য এই সমীক্ষা করেছে শুধুমাত্র কোনও জনজাতির সংখ্যা জানতে। কিছু রাজ্য ভালো কাজ করেছে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ মানুষ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ মানুষ জনজাতি সম্প্রদায়ের এবং উপজাতির নাগরিক ১.৭ শতাংশ।

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এই বিহারই প্রথম জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল (Population Survey)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কেন্দ্রের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ (Caste Census)।

  • PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে নিজের রাশিয়ার সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত রাশিয়াতে ৯ মে বিজয় দিবস পালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই দিনেই নাৎসি জার্মানিকে পরাস্ত করে সোভিয়েত রাশিয়া। তারপর থেকেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের তা ৮০তম বিজয় উৎসব। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নিজের রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন মোদির সফর বাতিলের কথা

    পহেলগাঁও-তে ২৭ জন হিন্দু নাগরিককে যেভাবে তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে, তাতে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে প্রত্যেকটি ভারতবাসীর মধ্যে। এই আবহে যুদ্ধ পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। বৃহস্পতিবারই এই খবর সামনে এল যে ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন একথা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফরে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁর বদলে অন্য একজন কূটনৈতিক প্রতিনিধি এই বিজয় উৎসবে যোগদান করবেন।

    আগেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মোদি, তারই মধ্যে ঘটে পহেলগাঁও হামলা

    আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) রাশিয়া সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। একথা ঘোষণা করেছিলেন সে দেশের উপ-বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্দ্রে রুডেনেকো। তিনি সে সময় জানিয়েছিলেন যে, সারা মস্কো অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আমন্ত্রণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং উপযুক্ত সময়ই আমরা জানাব যে বিজয় উৎসবে অংশগ্রহণের কথা। কিন্তু এরপরেই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ২২তম রাশিয়া-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সে সময় তিনি মস্কোতে (Russia) পা রেখেছিলেন।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ড (Pahalgam Attack) ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুনর্গঠন করা হল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (NSA Board)। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশীকে ওই পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এছাড়া স্থানীয় এক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও। এই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পুনর্গঠন করল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।

    কারা রয়েছেন পর্ষদে

    এই পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত। এই সদস্যরা হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কিংবা সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিং, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নাও রয়েছেন এই পর্ষদে।

    অলোক ছাড়াও রয়েছেন দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিং। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছ। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টার কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (Pahalgam Attack)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় যে জঙ্গিরা, তাদের একজনেরও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে উপত্যকাজুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনার দায় স্বীকার (NSA Board) করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share