Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • RSS: শুক্রবার যোধপুরে বসছে সমন্বয় বৈঠক, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করল আরএসএস

    RSS: শুক্রবার যোধপুরে বসছে সমন্বয় বৈঠক, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ যোধপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) সমন্বয় বৈঠক। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আরএসএস নেতা সুনীল আম্বেকর। ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের বিজয়াদশমী পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) তার শতবর্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এই অনুষ্ঠান শুরু হবে নাগপুরে একটি বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে সংঘের সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত ভাষণ দেবেন। আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, শতবর্ষের উদযাপনে দেশজুড়ে স্বয়ংসেবকরা পথসঞ্চালন করবেন এবং বছর জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে- হিন্দু সম্মেলন, সামাজিক সদ্ভাবনা সভা, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রম। তিনি আরও জানিয়েছেন, এসব কর্মসূচির লক্ষ্য হল সংঘের কর্মকাণ্ডকে সমাজের বৃহত্তর অংশের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

    ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর (RSS) কথাও এদিন বলেন সুনীল আম্বেকর

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সংঘের ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর কথাও তুলে ধরা হয়। জানানো হয় এনিয়েও আলোচনা চলবে সংঘের সমন্বয় বৈঠকে। এই ইস্যুতে কর্মসূচি চলবে আগামীদিনে। প্রসঙ্গত, এই ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ হল-

    সামাজিক সম্প্রীতি (Social Harmony)

    পারিবারিক জাগরণ (Family Awakening)

    পরিবেশ সচেতনতা (Environmental Awareness)

    আত্মনির্ভরতা (Self-Reliance)

    নাগরিক কর্তব্য (Civic Duty)

     কী কী আলোচনা হবে অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak)?

    সংঘের (RSS) বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম পর্যালোচনা চলবে। একইসঙ্গে  ২০২৫-২৬ সালের শতবর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, বিশেষ করে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির প্রসঙ্গে।

    কারা অংশ নেবেন বৈঠকে?

    সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, ড. মোহন ভাগবত (সরসংঘচালক), দত্তাত্রেয় হোসাবলে (সরকার্যবাহ), সমস্ত সহ-সরকার্যবাহগণ, সংঘের ৩২টি সংগঠনের ৩২০ জন কার্যকর্তা। উপস্থিত সংগঠনগুলোর (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak) মধ্যে রয়েছে-রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, সংস্কার ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় কিষান সংঘ, বিদ্যা ভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘ, বিজেপি ইত্যাদি।

  • Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালে চালু হয় পণ্য ও পরিষেবা কর, যাকে বলা হয় জিএসটি। ৮ বছর পর বুধবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিল করের স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। নতুন জিএসটি কর হারের ঘোষণা হওয়া ইস্তক দেশে একজোড়া শব্দবন্ধ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। তা হচ্ছে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax)।

    জিএসটি কাউন্সিলের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। এছাড়া, কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। এই বিশেষ কর হারের তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি ট্যাক্স’ (Sin Tax) আর সেই তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’।

    ‘সিন ট্যাক্স’-এর বাংলা অর্থ করলে বোঝায় ‘পাপের কর’। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক ও নীতিগতভাবে এই শব্দটি একটি নির্দিষ্ট গুরুত্ব বহন করে। কারণ, মনে করা হয়, ব্যক্তি বা সমাজের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে—এমন জিনিসগুলিকে এই করের আওতায় আনা হয়। অর্থাৎ, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায়। সাম্প্রতিক সময়ে জিএসটি কাউন্সিলের সভায় এই ‘সিন ট্যাক্স’-এর প্রাসঙ্গিকতা ফের একবার উঠে এসেছে, বিশেষত এই করের মাধ্যমে রাজস্ব তৈরি এবং এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি কীভাবে যেকোনও মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতবর্ষের (India) ক্ষেত্রে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) কিভাবে কাজ করে, তা বোঝা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপিত করা হচ্ছে এমন কতগুলি পণ্য

    শুরুর কথাতেই যেমন বলা হয়েছে, নাগরিকদের স্বাস্থ্য, সমাজ বা পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয় এমন পণ্য ও পরিষেবার উপর আরোপিত একটি করকেই ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) বলা হয়। এগুলি সাধারণভাবে বেশিরভাগটাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অথবা সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সমাজের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এবার কয়েকটি উদাহরণ সহ বোঝা যাক—যেমন, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায় পড়ছে তামাক, সিগারেট, মদ্যপান, পান মসলা, জুয়া, যেকোনও ধরনের বাজি। এর পেছনে উদ্দেশ্য হল—এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি যাতে মানুষ কম ব্যবহার করেন এবং সেগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যায়, সেইজন্যই সরকার এগুলির ওপর বেশি কর আরোপ করছে, জিএসটি বেশি নিচ্ছে।

    বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে

    দেশে বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। ভারতে সিগারেটের উপরে মোট ৫২ শতাংশ কর চালু রয়েছে। বিড়ির উপরে ২২ শতাংশ কর বর্তমানে চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভারত। সেই অনুযায়ী, তামাকজাত পণ্যে ৭৫ শতাংশ কর আরোপ করতে পারে ভারত সরকার। ৪০ শতাংশ জিএসটি হওয়ায় এই করের হার ৬৪ শতাংশ হবে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—দাম যত বাড়বে, তত মানুষ এগুলি কিনতে চাইবেন না। বলা হচ্ছে, ভারতবর্ষের মতো দেশে জনস্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ আজ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে—তামাক ব্যবহার, অ্যালকোহল সেবন এবং জীবনযাত্রা-সম্পর্কিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সমাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে কী বলা হল?

    একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—তামাক ব্যবহারের ফলে ভারতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এও জানিয়েছে যে, প্রতিবছর শুধুমাত্র তামাক ব্যবহারের কারণেই ভারতে প্রায় ১৩.৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতের নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহার করেন। তামাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও ভারত সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক সেবন করে

    ২০১৬-১৭ সালের ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ইন্ডিয়া’-র তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক (Sin Tax) ব্যবহার করেন। ভারতে তামাক ব্যবহারের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হল ‘ধোঁয়াবিহীন তামাক’। এর মধ্যে পড়ে—খৈনি, গুটখা, পান তামাক, জর্দা ইত্যাদি। আর ধোঁয়াযুক্ত তামাকের মধ্যে পড়ে—বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপ করে মোদি সরকার অতিরিক্ত তামাক সেবনকে রুখতে চাইছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব সুরক্ষিত করতে চাইছে।

    এক নজরে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’-এর তালিকা

    ১) তামাকজাত পণ্য, ২) গুটখা, ৩) পানমশলা, ৪) জর্দা, ৫) অন্যান্য তামাকজাত পণ্য, ৬) সিগারেট, ৭) সিগার/চুরুট, ৮) মিষ্টি যুক্ত ঠান্ডা পানীয়, ৯) কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১০) ক্যাফিন যুক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১১) লাক্সারি গাড়ি, ১২) ১২০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির পেট্রল গাড়ি, ১৩) ১৫০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির ডিজেল গাড়ি, ১৪) ৩৫০ সিসির উপরে মোটরবাইক, ১৫) ইয়ট, ১৬) হেলিকপ্টার, প্রাইভেট এয়ারক্রাফট, ১৭) কয়লা, লিগনাইট, পিট, ১৮) অনলাইন গ্যাম্বলিং ও গেমিং সার্ভিস

  • PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মরসুমে বড় উপহার মোদি সরকারের। ১০০টিরও বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে। বুধবার জিএসটি (GST) কাউন্সিলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিরাট স্বস্তিতে দেশবাসী। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপে উপকৃত হবেন কৃষক, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত, মহিলা এবং যুব সমাজ। তিনি (PM Modi on GST Reforms) এই সিদ্ধান্তকে ‘আগামী প্রজন্মের জিএসটি’ পরিবর্তন বলে উল্লেখ করেছেন। পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিল, জিএসটি কাউন্সিল তা অনুমোদন করেছে। বুধবার কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকের পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রির প্রথম দিন। আর সেই দিন থেকেই কার্যকর হচ্ছে জিএসটি-র নতুন স্ল্যাব।

    আগামী প্রজন্মের জিএসটি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

    কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। স্বাধীনতা দিবসেই লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন জিএসটিতে সংস্কারের কথা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিপাবলীতে এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের জন্য বড় উপহার হতে চলেছে। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই ঘোষণা। তুলে দেওয়া হল জিএসটির দুটি স্ল্যাব। ২৮ শতাংশ ও ১২ শতাংশের জিএসটি তুলে নেওয়া হল। ৩ সেপ্টেম্বরই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই ঘোষণা করেন। বুধবার একে ‘নেক্সট-জেনারেশন রিফর্ম’ (Next Gen GST) বলে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এক্স-এ পোস্টে লেখেন, “স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আমি বলেছিলাম যে আমাদের লক্ষ্য হল জিএসটিতে পরবর্তী প্রজন্ম পরিবর্তন আনা। কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিস্তীর্ণ জিএসটি হার বিভাজন ও প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রস্তাবনা এনেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।” তিনি আরও লেখেন, “জিএসটি কাউন্সিলের কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা সম্মিলিতভাবে এই প্রস্তাবনায় রাজি হয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষ, কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত মানুষ, মহিলা ও যুব প্রজন্ম উপকৃত হবে। এই বিশাল পরিবর্তন নাগরিকদের জীবনযাত্রা উন্নত করবে এবং ব্যবসা করতে, বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের আরও সুবিধা করে দেবে।” নতুন জিএসটি-কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্যরা।

    অর্থমন্ত্রী নির্মলার ঘোষণা

    বুধবার ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি ঘোষণা করেন, “আমরা স্ল্যাব কমিয়ে এনেছি। এখন থেকে দু’টি স্ল্যাব থাকবে এবং আমরা ক্ষতিপূরণ সেসের সমস্যাগুলিরও সমাধান করছি।” অর্থমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই সংস্কার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের উপর প্রতিটি করের কঠোর পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হার ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে কৃষক এবং কৃষিক্ষেত্র, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রও উপকৃত হবে। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।” অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “যেসব পণ্যের উপর জিএসটি ৫% নামানো হয়েছে- চুলের তেল, টয়লেট সাবান, সাবানের বার, শ্যাম্পু, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, সাইকেল, টেবিলওয়্যার, রান্নাঘরের জিনিসপত্র এবং অন্যান্য গৃহস্থালীর জিনিসপত্র।” তবে বিলাসবহুল কিছু পণ্যের জন্য থাকছে বিশেষ উচ্চ হার। যেমন দামি গাড়ি, তামাক ও সিগারেটের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। এই নতুন হার কার্যকর হবে ২২ সেপ্টেম্বর, নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে। অর্থমন্ত্রীর কথায়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় প্রতিটি কর খতিয়ে দেখা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক, শ্রমনির্ভর শিল্প ও স্বাস্থ্যখাত প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।

    স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার

    বর্তমানে চিকিৎসার খরচ যেভাবে বেড়েছে, তাতে বিমা না করিয়ে উপায় নেই। আর সেই বিমার সঙ্গে জিএসটি দিতে দিতে নাজেহাল হতে হত সাধারণ মানুষকে। অবশেষে স্বস্তি। জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় দিতে হবে না কোনও জিএসটি। বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুটি বিমার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়। অর্থাৎ কাউকে যদি ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাহলে তার সঙ্গে আরও ১৮০০ টাকা দিতে হয় শুধু জিএসটি হিসেবে অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম পড়ে ১১,৮০০ টাকা। এই পুরো বোঝাটাই এবার কমে যাবে। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম হলে ১০,০০০ টাকাই দিতে হবে। এছাড়া এবার থেকে লাইফ ইনসিওরেন্স বা জীবনবিমার মধ্যেই পড়বে ইউনিট লিংকড ইনসিওরেন্স ও এনডাওমেন্ট প্ল্যান। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বিমা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসছে।

    কোন কোন জিনিসের দাম কমল

    দুধ, ছানা, পনির, রুটি, পাউরুটির উপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি ছিল। তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    কনডেন্‌সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, চি়জ় এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে জিএসটি করা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। একই হার প্রযোজ্য বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম এবং অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে।

    পশুচর্বি, সসেজ়, সংরক্ষিত বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডল্‌স, স্প্যাগেটি এবং বিভিন্ন সব্জির দাম কমছে। জিএসটি এ সব ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামছে।

    জ্যাম, জেলি, মাশরুম, নারকেলের জল, ইস্ট, সরষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতলের উপর থেকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমে হল পাঁচ শতাংশ।

    মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্‌স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম, জিলেটিনের উপর থেকে জিএসটি কমানো হয়েছে। এত দিন ১৮ শতাংশ জিএসটি ছিল এই সমস্ত পণ্যে। কমে হয়েছে পাঁচ শতাংশ।

    যাবতীয় জীবনবীমা এবং স্বাস্থ্য বীমার উপর থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    দাম কমছে থার্মোমিটার, ক্লিনিক্যাল ডায়াপারের।

    বিড়ির দাম কমছে। বিড়ির পাতার উপর ১৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে পাঁচ শতাংশ। বিড়ির উপর ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে ১৮ শতাংশ।

    সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার উপর জিএসটি পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

    টিভি, এসি, ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসি-র নীচে বাইকের দাম কমছে। এখন থেকে এই পণ্যগুলিতে ১৮ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে।

    কোন কোন জিনিসে দাম বাড়ল

    বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিং কারের উপর ৪০ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে।

    পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বনযুক্ত পানীয়ের দাম বাড়ছে। ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি করা হচ্ছে ৪০ শতাংশ।

    সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হবে।

    কয়লার দাম বাড়ছে। পাঁচ থেকে ১৮ শতাংশ হচ্ছে কয়লার উপর জিএসটি।

  • New GST Regime: জিএসটি মুক্ত স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়াম, বিরাট স্বস্তি আমজনতার

    New GST Regime: জিএসটি মুক্ত স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়াম, বিরাট স্বস্তি আমজনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিএসটি কাউন্সিলের (New GST Regime) প্রথম দিনের বৈঠকেই মিলল সুখবর। দু’দিনের এই বৈঠক শুরু হয়েছে বুধবার। জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। উপস্থিত ছিলেন দেশের সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (Insurance Premiums)। এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়ামের ওপর আর আরোপ করা হবে না জিএসটি। এদিন এই ঘোষণাটি করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী স্বয়ং। ২০২৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রি উৎসবের প্রথম দিন থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে এই নয়া নিয়ম।

    সরকারি বিজ্ঞপ্তি (New GST Regime)

    সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “সমস্ত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিমা এবং তার পুনঃবিমা এবং সমস্ত ব্যক্তিগত জীবনবিমা এবং তার পুনঃবিমাকে জিএসটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” বর্তমানে স্বাস্থ্য ও টার্ম ইন্স্যুরেন্স পণ্যে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি আরোপ করা হয়। অর্থাৎ, কাউকে যদি ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাহলে তার সঙ্গে আরও ১৮০০ টাকা দিতে হয় শুধু জিএসটি হিসেবে অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম পড়ে ১১,৮০০ টাকা। জিএসটি অব্যাহতির ফলে এখন স্বাস্থ্য ও টার্ম ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম আরও সস্তা হবে বলেই আশা। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম হলে ১০,০০০ টাকাই দিতে হবে। প্রশ্ন হল, বিমাকারীর প্রিমিয়াম কতটা কমবে? এইচএসবিসি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেটস (ইন্ডিয়া)-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরোপুরি জিএসটি মুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তবে বিমা সংস্থাগুলির খরচের অনুপাতও এই হ্রাসের পরিমাণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    বিমা কোম্পানির বক্তব্য

    স্কোয়ার ইন্স্যুরেন্সের সিইও আকাশ পারওয়াল বলেন, “স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার ওপর থেকে জিএসটি তুলে দিলে সরাসরি প্রিমিয়ামের খরচ কমবে। ফলে বিমা পণ্যগুলো আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হবে। বর্তমানে ১৮ শতাংশ জিএসটি থাকায় একটি ২৫,০০০ টাকার স্বাস্থ্যবিমা পলিসির খরচ প্রায় ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়, যা মধ্যবিত্ত পরিবার ও তরুণ ক্রেতাদের বিমা করা থেকে নিরুৎসাহিত করে। এই কর তুলে দেওয়ায় গ্রাহক উৎসাহিত হবেন এবং এতে দেশে বিমা কভারেজ বৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ অনায়াস হবে।” তবে এইচএসবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি এই ছাড় দেওয়া হয় তবে সরকার বছরে প্রিমিয়ামের জিএসটি থেকে ১.২ থেকে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়তে পারে। যদিও প্রিমিয়াম কমলে চাহিদা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। তবুও বিমা কোম্পানিগুলির ধারণা, খুচরো স্বাস্থ্যখাতে যৌথ অনুপাতের ওপর ৩ থেকে ৬ শতাংশ প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রধান কারণ হল নবায়নের পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ধীরে চলবে, যা সম্পূর্ণ হতে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে (New GST Regime)।

    সহমত পোষণ

    গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স অন হেল্থ অ্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সদস্যরা এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছিলেন যে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার ওপর জিএসটির বোঝা কমানো প্রয়োজন। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সব ব্যক্তিগত জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা পলিসিকে জিএসটির (Insurance Premiums) আওতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাবকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। তবে কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মত হল, এই ছাড় দেওয়ার উদ্দেশ্য তখনই পূর্ণ হবে, যখন বিমা সংস্থাগুলি সরাসরি উপভোক্তাদের ওপর বোঝা কমাবে। এখন বিমা সংস্থাগুলি যদি প্রিমিয়াম না কমায়, তাহলে সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না (New GST Regime)।

    জিএসটি প্রত্যাহার এসবেও

    এদিকে, স্বাস্থ্যবিমার পাশাপাশি দাম কমছে মেডিক্যাল সরঞ্জামেও। সস্তা হচ্ছে থার্মোমিটার, অক্সিজেন, ডায়গানাস্টিক কিট, রিএজেন্ট, গ্লুকোমিটার, টেস্ট স্ট্রিপ। ৩৩টি জীবনদায়ী ওষুধের জিএসটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনটি ওষুধ যাদের জিএসটি ছিল ৫ শতাংশ, তাও শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। এতদিন এসব ক্ষেত্রে জিএসটি নেওয়া হত ১২ শতাংশ হারে। এবার তা কমে হচ্ছে পাঁচ শতাংশ। প্রসঙ্গত, এবার থেকে দেশে দু’টি হারে কার্যকর হবে জিএসটি – ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্ল্যাব ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায় (Insurance Premiums)।

     ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদি

    দেশব্যাপী যে জিএসটির বোঝা কমতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লা থেকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই। তিনি জানিয়েছিলেন, নয়া প্রজন্মের জন্য জিএসটি সংস্কার করা হবে। এর ফলে কমবে করের বোঝা, জিনিসপত্রের দাম। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে ওই দিন প্রধানমন্ত্রী দিপাবলীতে ডাবল উপহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন, “দেওয়ালিতে বড় উপহার পাবেন। কর ব্যবস্থাকে সরল করা হয়েছে, জিএসটি আনা হয়েছে। আট বছর বাদে আবার রিভিউ করা হচ্ছে (Insurance Premiums)।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর বলা পথেই হাঁটল জিএসটি কাউন্সিল (New GST Regime)।

  • GST Council: জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বড় অনুমোদন, লাভবান হবেন কারা?

    GST Council: জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বড় অনুমোদন, লাভবান হবেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:পণ্য ও পরিষেবা কর কাউন্সিল (GST Council) ব্যবসায়ীদের ওপর কমপ্লিয়েন্স সংক্রান্ত চাপ কমাতে কিছু ব্যবস্থা অনুমোদন করেছে। এই অনুমোদিত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প (MSME) ও স্টার্ট-আপগুলির জন্য রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ৩০ দিন থেকে কমিয়ে মাত্র তিন দিনে আনা হয়েছে। রফতানিকারীদের (Businesses Sources) জন্য স্বয়ংক্রিয় জিএসটি রিফান্ড ব্যবস্থার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে।

    সরকারের পরিকল্পনা (GST Council)

    বুধবার সকালে শুরু হয়েছে কাউন্সিলের দুদিনের বৈঠক। বৈঠকের অ্যাজেন্ডায় প্রধান আলোচ্য বিষয় হল জিএসটি কর স্ল্যাবের যুক্তিসঙ্গত করা। কাউন্সিল বর্তমানে যে করের স্তরগুলি রয়েছে, তাকে অর্ধেকে নামানোর সুপারিশগুলি খতিয়ে দেখছে। বর্তমানে চারটি স্ল্যাব রয়েছে — ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। সরকারের পরিকল্পনা হল ২৮ শতাংশ স্ল্যাবের মধ্যে থাকা প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্যকে ১৮ শতাংশ স্ল্যাবে নামিয়ে আনা এবং ১২ শতাংশ স্ল্যাবের একটি বড় অংশকে ৫ শতাংশ স্তরে নিয়ে আসা। এর ফলে ডোমেস্টিক কনজাম্পশান বাড়বে এবং প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সামগ্রিকভাবে আটটি খাত বস্ত্রশিল্প, সার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, হস্তশিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য ও বিমা সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে হার পুনর্গঠনের ফলে। কিছু পণ্য বা পরিষেবা, যেমন, জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম, যেগুলির ওপর বর্তমানে ১৮ শতাংশ কর বসে, সেগুলিকে জিএসটি কাঠামো থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে।

    ‘পাপ সামগ্রী’ শ্রেণিতে যুক্ত হবে স্বাস্থ্য সেস

    তবে কিছু বিলাসবহুল সামগ্রী, যেমন তামাক, উচ্চমূল্যের গাড়ি এবং মদ আগের মতোই ‘পাপ সামগ্রী’ শ্রেণিতে পড়বে এবং এবার এর সঙ্গে যুক্ত হবে স্বাস্থ্য সেস (Health Cess) বা সবুজ শক্তি সেস (GST Council)। প্রসঙ্গত, এই হার যুক্তিসঙ্গত করার প্রস্তাবগুলির ভিত্তি হল গত আট বছরে চারটি করস্ল্যাব থেকে সংগৃহীত রাজস্বের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্য। সরকার মনে করছে, এর ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি উপকৃত হবে। কারণ তাদের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যদিও কোন কোন পণ্য এর আওতায় পড়বে, তা এখনও পরিষ্কার নয়) এবং আকাঙ্ক্ষিত পণ্যগুলি সস্তা হবে (Businesses Sources)।

    কর ছাড় নির্মাতাদের দাম কমাতে উৎসাহিত করবে। যদিও উৎপাদকরা সচরাচর পুরো হারে দাম কমায় না, তাই কর হ্রাসের হার ও দামের হ্রাস এক হবে না, তবুও এতে উৎপাদন বাড়বে বলেই আশা (GST Council)।

  • Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রয়াত মায়ের উদ্দেশে কুকথা বলা হয়েছিল কংগ্রেস-আরজেডির মঞ্চ থেকে। তার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এটা গোটা দেশের মা-বোন এবং কন্যাদের অপমান।” দেশের মহিলাদের অপমান করায় বিহার বনধের (Bihar Bandh) ডাক দিল এনডিএ। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর মাকে কটু কথা (Bihar Bandh)

    প্রধানমন্ত্রী যখন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁর মায়ের উদ্দেশে কটু কথা বলা হয়। চিন থেকে ফিরেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিহারের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও, কেন তাঁর মাকে টেনে আনলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং হাত শিবিরের লেজুড় আরজেডি নেতা? বিষয়টিকে দেশজুড়ে মহিলাদের প্রতি অপমান হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তাঁর মৃত মায়ের উদ্দেশে এভাবে অপমানসূচক মন্তব্য অকল্পনীয়।”

    রাহুল-তেজস্বীকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

    রাহুল এবং তেজস্বীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী (Bihar Bandh) বলেন, “একজন দরিদ্র মায়ের সংগ্রাম, তাঁর ছেলের কষ্ট – রাজপরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ রাজকুমাররা বুঝতে পারেন না। এই নামদার লোকেরা মুখে রূপার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশ ও বিহারের ক্ষমতা তাঁদের কাছে পরিবারের উত্তরাধিকারের মতো মনে হয়।” তিনি বলেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিহার সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিহারের সব মহিলা আরজেডিকে সরিয়ে বারবার পরাজিত করার ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই আরজেডি হোক বা কংগ্রেস আজ এই (PM Modi) লোকেরা মহিলাদের ওপর সব চেয়ে বেশি বিরক্ত। এই লোকেরা আপনাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, তারা সুযোগ খুঁজছে যাতে তারা আপনাদের শাস্তি দিতে পারে (Bihar Bandh)।”

  • Bihar: বিহারে এসআইআর শেষ হলেই নয়া ভোটার কার্ড ভোটারদের, কী কী বদল?

    Bihar: বিহারে এসআইআর শেষ হলেই নয়া ভোটার কার্ড ভোটারদের, কী কী বদল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) এসআইআরের (sir) আবহেই এবার নয়া ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। এসআইআর শেষ হলেই নয়া ভোটার কার্ড (Voter Id Cards) আনতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রযুক্তিনির্ভর এই ভোটার কার্ডে থাকছে নানারকম ডিজিটাল সুবিধা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এসআইআর শেষ হলেই বিহারের প্রত্যেক ভোটারের হাতে তুলে দেওয়া হবে এই নয়া ভোটার কার্ড। নির্বাচন নিয়ে গুচ্ছের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের দাবি, প্রযুক্তির প্রয়োগে নয়া ভোটার তালিকা হবে আরও বেশি সুরক্ষিত।

    বিহারে ভোটার চিহ্নিত করতে নয়া প্রযুক্তি (Bihar)

    চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই এবার বিহারে ভোটার চিহ্নিত করতে নয়া প্রযুক্তি আনছে নির্বাচন কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের ভোটাররা হাতে পাবেন নয়া প্রযুক্তির ভোটার আইডি কার্ড। নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “এসআইআর চলাকালীন বিহারের বাসিন্দাদের তাঁদের লেটেস্ট ছবি চাওয়া হয়েছিল। সেই ছবিই ব্যবহার করা হবে নয়া ভোটার কার্ডে।” তবে এই নয়া আইডি কার্ড কেবল বিহারেই চালু হবে, নাকি গোটা দেশেই, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফে। প্রসঙ্গত, পয়লা অগাস্ট প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে বিহারে ভোটার রয়েছেন ৭.২৪ কোটি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে ফাইনাল লিস্ট।

    এপিকের আপডেটেড সংস্করণ

    জানা গিয়েছে (Bihar), নয়া ভোটার কার্ড হল পুরানো এপিকের আপডেটেড সংস্করণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটাররা যাঁরা এসআইআর প্রক্রিয়ায় তাঁদের ছবি আপডেট করেছেন, নয়া কার্ডে তাদের সেই ছবিই দেখা যাবে। কার্ডে থাকছে কিউআর কোড। তাই জালিয়াতি বা নকল কার্ড তৈরি করা কার্যত অসম্ভব। কমিশন সূত্রে খবর, কার্ড (Voter Id Cards) মিলবে দু’রকমের – একটি ফিজিক্যাল ও অন্যটি ডিজিটাল। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, প্রযুক্তির এই প্রয়োগে বিহারের ভোটার তালিকা আরও সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ হবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন হবে আরও আধুনিক। উল্লেখ্য (Bihar), আগামী ২২ নভেম্বর শেষ হচ্ছে বিহারের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ। আইন অনুযায়ী, তার আগেই গঠন করতে হবে নয়া বিধানসভা। কমিশন সূত্রের খবর, অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝির মধ্যেই হতে পারে বিধানসভা নির্বাচন।

    ভোট কেন্দ্রে ভিড় কমাতে চিন্তাভাবনা

    এদিকে, ভোট কেন্দ্রে ভিড় কমাতে চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। ভোটের দিনে বুথে বুথে ভিড় কমাতে বাড়ানো হবে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা। আগে প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বাধিক দেড় হাজার ভোটার থাকত। সেই সংখ্যাটা কমিয়ে এবার আনা হচ্ছে ১ হাজার ২০০ জনে। এই পরিবর্তনের ফলে বিহারে মোট বুথের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজারে। আগে ছিল ৭৭ হাজার। ছাব্বিশের মার্চ-এপ্রিলে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা পশ্চিমবঙ্গে। সেই সময়ও বুথের সংখ্যা বাড়ানোর (Voter Id Cards) সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এতে ভোটারদেরও অনেক বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না (Bihar)।

  • K Kavitha: সাসপেন্ড হয়েই পদত্যাগ! কবিতা-কাণ্ডে বেআইনি সম্পদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দাবি তেলঙ্গানা বিজেপির

    K Kavitha: সাসপেন্ড হয়েই পদত্যাগ! কবিতা-কাণ্ডে বেআইনি সম্পদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দাবি তেলঙ্গানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মেয়ে কে কবিতাকে (K Kavitha) সাসপেন্ড করেছেন বিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও। মঙ্গলবার ভারত রাষ্ট্র সমিতির পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়, “দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য এমএলসি কবিতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেসিআর। এই মুহূর্ত থেকে এই সাসপেনশন কার্যকর হবে।” এরপরই বুধবার, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এবং তেলঙ্গানা বিধান পরিষদের এমএলসি পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন কে কবিতা। একইসঙ্গে তাঁর খুড়তুতো ভাই এবং প্রাক্তন মন্ত্রী টি হরিশ রাও এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ জে সন্তোষ কুমারের সমালোচনা করেছেন কবিতা।

    বিআরএস-এ অন্তর্দ্বন্দ্ব

    কবিতা (K Kavitha) বুধবার হায়দ্রাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা করেন এবং দলের ভিতরে তাঁর বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের জন্য হরিশ রাও এবং সন্তোষ কুমারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আমি এমএলসি পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমি আমার পদত্যাগপত্র বিধানসভার স্পিকার এবং কেসিআর-এর কাছে পাঠাচ্ছি।” কবিতা আরও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর ভাই এবং বিআরএস-এর কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাও (কেটিআর) তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের সময় তাঁকে সমর্থন করেননি। তিনি বলেন, “যখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিল, তখন আমার ভাই রামা রাও আমাকে সমর্থন করেননি। আমার সাসপেনশন দলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।” তিনি তাঁর বাবা কেসিআর-কে তাঁর চারপাশে ঘটে চলা ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “হরিশ রাও এবং সন্তোষ আমাদের পরিবারের কল্যাণকামী নন।”

    বিজেপি’র দাবিই সত্য!

    তেলঙ্গানা বিজেপি সভাপতি এন রামচন্দ্র রাও মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, বিআরএস (BRS) এমএলসি কে কবিতার সাম্প্রতিক মন্তব্য তাঁর নিজের দলের বিরুদ্ধেই ছিল এবং তা স্পষ্টভাবে কেসিআর (KCR) পরিবারে কেলেশ্বরম প্রকল্পের “অবৈধ সম্পদের ভাগবাটোয়ারা” নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করে। রাও আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সিবিআই তদন্তে বিলম্ব করে বিআরএসকে রক্ষা করছে। প্রায় ২০ মাস ধরে তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর না করে তারা প্রমাণ লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছে।

    তিনটি ভাগে বিভক্ত বিআরএস

    রামচন্দ্র রাও বলেন, “বিজেপি প্রথম থেকেই কেলেশ্বরম দুর্নীতির তদন্ত দাবি করে এসেছে। কে কবিতার (K Kavitha) এই বিস্ফোরক মন্তব্যে বোঝাই যাচ্ছে, পরিবারেরই কেউ দুর্নীতিতে জড়িত। এটি আমাদের অভিযোগেরই প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, কবিতার বহিষ্কার বিআরএস-এর অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাতে বিজেপির কিছু বলার নেই। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা এ রেভন্ত রেড্ডিকে নিশানা করে রাও বলেন, “বিরোধীদলে থাকাকালীন রেভন্ত কেলেশ্বরম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। কিন্তু এখন ক্ষমতায় এসে গত ২০ মাসে একটিও পদক্ষেপ করেননি। কেলেশ্বরম প্রকল্পের জলের স্রোতের সঙ্গেই প্রমাণও বোধহয় ধুয়ে গিয়েছে।” বিজেপি সাংসদ লক্ষ্মণ বিআরএস-এর তুলনা করেছেন ধসে পড়া কেলেশ্বরম প্রকল্পের স্তম্ভের সঙ্গে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “যেমন কেলেশ্বরম প্রকল্প ভেঙে পড়েছে, তেমনি বিআরএস দলও এখন তিনটি ভাগে ভেঙে গিয়েছে।”

  • Supreme Court: ‘আধার কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না’, ফের জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ‘আধার কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না’, ফের জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার (AADHAAR) কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার দাবি তুলেছিল বিহারের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ওই দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আইন অনুসারে আধারের মর্যাদা নির্ধারিত হয়েছে। সেই মর্যাদা বাড়ানো সম্ভব নয়।”

    ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) সংক্রান্ত মামলায় এর আগে জানিয়েছিল, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অন্য নথির সঙ্গে আধার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য করা হতে পারে। সোমবারের শুনানিতে তা আরও স্পষ্ট করে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যাচাইয়ের জন্য অনেক নথির মধ্যে আধারও একটি নথি হতে পারে। আধার আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আধার নম্বর বা অথেনটিকেশন ধারকের নাগরিকত্ব বা বাসস্থানের প্রমাণ হবে না। ২০১৮ সালেও সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ পুত্তস্বামী মামলায় জানিয়েছিল, “আধার নম্বর কারও নাগরিকত্বের অধিকার অধিষ্ঠিত করতে পারে না।”

    বিরোধী দলগুলির দাবি

    এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিহারের বিরোধী দলগুলির আইনজীবীরা একাধিকবার শুনানির সময় সওয়াল করেছিলেন এই বলে যে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য একমাত্র আধারকেই প্রমাণ হিসেবে ধরা হোক। এ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আধারে এত জোর দেওয়া হচ্ছে কেন নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ আধার – আমরা কখনওই সেই নির্দেশ দেব না।” নির্বাচন কমিশনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সওয়াল করেন রাকেশ দ্বিবেদী। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আধারকে (AADHAAR) প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তার কারণ বিহারের কয়েকটি জেলায় আধার কার্ড রয়েছে ১৪০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করা হয়েছে, বহু বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করে আধার কার্ড বানিয়েছে কিছু রাজ্যে।

    ৬৫ লাখ লোকের নাম বাদ

    প্রসঙ্গত, বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ লোকের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে মামলা শুনছে শীর্ষ আদালত। এর আগে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা। তালিকায় বাদ পড়া ভোটারদের অভিযোগ জানানোর সময়সীমা বৃদ্ধি করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বিহারের বিরোধী দলগুলি (Supreme Court)। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই শুনানি হয় সেই মামলার। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ নাম বাদ গিয়েছে (AADHAAR)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও, আধারকে পরিচয়ের একমাত্র প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে না (Supreme Court)।”

  • Amit Shah: সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Amit Shah: সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প (Detention Camps) গড়ে তুলতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের গতি-প্রকৃতি সীমিত রাখতেই এই ব্যবস্থা করতে হবে। যতক্ষণ না তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, ততক্ষণ রাখা হবে ওই ক্যাম্পে। মঙ্গলবার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Amit Shah)। সম্প্রতি পাশ হওয়া অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫ এর প্রেক্ষিতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে (Amit Shah)

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন বা জেলা কালেক্টর অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ জারি করে, কোনও ব্যক্তিকে আইন অনুযায়ী বিদেশি হিসেবে গণ্য করা হবে কি হবে না, সেই প্রশ্নটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত বিদেশি ট্রাইবুনালে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবে। এই বিদেশি ট্রাইবুনালে সর্বোচ্চ তিনজন আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ সদস্য থাকবেন, যাঁদের উপযুক্ত মনে করে নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশি নয় বলে তার দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে এবং তার দাবির সমর্থনে জামিনের ব্যবস্থাও করতে না পারলে, সেক্ষেত্রে তাকে আটক করে হোল্ডিং সেন্টারে রাখা হবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে বিদেশিদের ভারতে প্রবেশ বা অবস্থান করতে দেওয়া নাও হতে পারে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও বিদেশি ভারতের কোনও পর্বতচূড়ায় আরোহণ করতে পারবেন না বা করার চেষ্টাও করতে পারবেন না। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি খাতে বিদেশিদের নিয়োগের জন্য নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, “ভারতে কর্মসংস্থানের জন্য বৈধ ভিসা থাকা কোনও বিদেশি ব্যক্তি, দেওয়ানি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যুৎ বা জল সরবরাহ অথবা পেট্রোলিয়াম খাতের সঙ্গে যুক্ত কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবে না। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি, মানবাধিকার অথবা এ সংক্রান্ত অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে যুক্ত কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও বিদেশিকে নিয়োগ করতে পারবে না।”

    পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে না!

    আর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেপাল বা ভুটানের নাগরিকদের স্থলপথে বা আকাশপথে ভারতে প্রবেশের সময় পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে না। তবে তাদের বৈধ পাসপোর্ট থাকলে এবং তারা নেপাল বা ভুটান ছাড়া (Detention Camps) অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে প্রবেশ বা ভারত থেকে বের হলে, সে ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে চিন, ম্যাকাও, হংকং বা পাকিস্তান থেকে প্রবেশ বা প্রস্থানের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। এই নিয়ম তিব্বতিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যাঁরা ইতিমধ্যেই ভারতে বসবাস করছেন বা যাঁরা ভারতে প্রবেশ করছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নাম নথিভুক্ত করে নথিপত্র জোগাড় করেছেন, তাঁরা যদি ১৯৫৯ সালের পর কিন্তু ২০০৩ সালের ৩০ মে-র আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকেন (Amit Shah)।

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ছাড় প্রযোজ্য 

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানরা, যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বৈধ নথি থাকুক বা না থাকুক, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা ভারতে ঢুকেছেন এবং বৈধ নথি ছাড়াই এসেছেন কিংবা বৈধ নথি নিয়ে প্রবেশ করলেও, যার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ও ভিসা আইন পুরোপুরি কার্যকর হবে না। তবে যাঁরা ছাড়ের আওতায় নেই, তাঁদের কঠোর নিয়ম মানতে হবে (Detention Camps)। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তৈরি ডিটেনশন সেন্টারে তাঁদের আটকে রাখা হবে, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত (Amit Shah)।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর এই অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতেই ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বাংলাভাষায় কথা বললেই ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ধরে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদেরও বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে (Amit Shah)।

LinkedIn
Share