Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NIA News: কাঁথি থেকে ধৃত বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণে জড়িত দুই সন্দেহভাজন! কীভাবে খোঁজ পেল এনআইএ?

    NIA News: কাঁথি থেকে ধৃত বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণে জড়িত দুই সন্দেহভাজন! কীভাবে খোঁজ পেল এনআইএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলা থেকে গ্রেফতার দুই সন্দেহভাজন। মুসাভির হুসেন শাহিব ও সহযোগী আবদুল মথিন তাহাকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ (NIA News)। এরা দুজনেই বেঙ্গালুরু ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের  মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কলকাতার উপকণ্ঠেই গা ঢাকা দিয়ে ছিল এই দুই অভিযুক্ত। কাঁথি থেকে এনআইএ-র জালে ধরা পড়ে তারা।

    কীভাবে গ্রেফতার

    গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর (Bengaluru Blast) রামেশ্বরম ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এনআইএ সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পর তারা বাংলায় এসে আত্মগোপন করেছিল। বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁরা এই রাজ্যে পরিচয় গোপন করে থাকছিলেন। ২৮ দিন ধরে রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছে তারা। তারই মধ্যে ধৃত মুসাভির হুসেন শাহিব মহম্মদ জুনের শাহিব নামে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়েছিল। আবদুল মাথিন আহমেদ তাহা বিগনেস ওরফে সুমিত নামে ভুয়ো আধার কার্ডও বানিয়েছিল।  দু-তিন দিন আগে অন্য় নাম ব্য়বহার করে নিউ দিঘার একটি হোটেলে ওঠে দুই সন্দেহভাজন। সূত্রের খবর, তাদের ধরতে রাজ্য় পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এনআইএ (NIA News)। পরিকল্পনা মতো বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হোটেলে হানা দিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। নিখোঁজ দুই সন্দেহভাজন জঙ্গির নামেই ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তার পরিণাম পাওয়া গেল শুক্রবার। ধৃতের মধ্য়ে একজন রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলে কেন্দ্রীয় গোয়ন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর ইলেকট্রনিক গেজেট, ল্য়াপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘মায়ের শেষ যাত্রাতেও থাকতে দেয়নি, মেলেনি জামিন’ জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ রাজনাথের

    কীভাবে খোঁজ মেলে

    বিস্ফোরণের (Bengaluru Blast) পরেই ওই ক্যাফের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, এক যুবক ক্যাফের ভেতরে একটি ব্যাগ রেখে আসে, ঘন্টাখানেক পর তা থেকেই ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনা। বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিল শরিফকে আগেই আটক করা হয়েছিল। খোঁজ চলছিল সন্দেহভাজন বাকি দুজনের। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই দুজনকে আটক করে। শুক্রবার এনআইএ, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, কর্ণাটক ও কেরল পুলিশের যৌথ অভিযানে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএর সঙ্গে ছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি দলও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjeev Sanyal: বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যালকে স্মরণ করলেন তাঁর নাতি তথা প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল

    Sanjeev Sanyal: বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যালকে স্মরণ করলেন তাঁর নাতি তথা প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৩ এপ্রিল ছিল বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যালের জন্মদিন। ঠিক এই সময়েই ফের একবার এই অগ্নিযুগের বিপ্লবী আলোচনায় উঠে এলেন তাঁর নাতির কারণে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য তথা ঐতিহাসিক সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal) স্মরণ করলেন তাঁর দাদু তথা বাংলার বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যালকে। প্রসঙ্গত, শচীন্দ্রনাথ সান্যাল ১৯০৭ সালে কলকাতায় অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেন। শচীন্দ্রনাথ সান্যাল ১৯০৯ সালে বারাণসীতে ‘ইয়ং ম্যান অ্যাসোসিয়েশন’ নামে এক বিপ্লবী দল গঠন করেন। তিনি ছিলেন রাসবিহারী বসুর অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ। রাসবিহারী বসু তাঁকে লাট্টু নামে ডাকতেন বলে জানা যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসবিহারী বসু সেনাবিদ্রোহের উদ্যোগ নেন। জানা যায় এই প্রচেষ্টার অন্যতম সহযোগী ছিলেন শচীন্দ্রনাথ সান্যাল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সঞ্জীব সান্যাল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে সঞ্জীব সান্যাল আলোচনা করেন শচীন্দ্রনাথ সান্যাল এর লেখা বই ‘Bandi Jeevan: A Life in Captivity’ এর ওপর। এ সংক্রান্ত আলোচনাটি চলতি সপ্তাহেই একটি ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা হয়। বর্তমানে ওই বইটি ইংরেজিতেও অনুবাদ করা হয়েছে।

    লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা নিক্ষেপ মামলা 

    সঞ্জীব সান্যালের (Sanjeev Sanyal) বক্তব্যে উঠে আসে ১৯১২ সালের সাড়া জাগানো বৈপ্লবিক ঘটনা লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা নিক্ষেপ মামলা। প্রসঙ্গত, রাসবিহারী বসুর নেওয়া এই উদ্যোগে নদীয়ার বসন্ত বিশ্বাস বোমা ছুড়ে ছিলেন বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ এর ওপরে। রাসবিহারী বসু চাকরি করতেন দেরাদুনের বন বিভাগে, সেখানে বসেই এই পরিকল্পনা রচনা করেন তিনি। বড়লাটের ওপর বোমা নিক্ষেপের ঘটনার পরে অতিসক্রিয় হয়েও ব্রিটিশ পুলিশ টিকি খুঁজে পায়নি রাসবিহারী বসুর। সঞ্জীব সান্যালের মতে, সে সময়ে ব্রিটিশ পুলিশের নজরে আসে অনুশীলন সমিতির কার্যকলাপও। তৎক্ষণাৎ শচীন্দ্রনাথ সান্যাল অনুশীলন সমিতির নাম বদল করেন। এমনটাই বলেছেন সঞ্জীব বাবু।

    হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মি

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখার সময় সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal) আরও জানিয়েছেন, বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোম পড়েছিল চাঁদনি চকে। যা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুবই কাছে। বাংলার বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যাল হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মিও তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ জারি রাখতে। তারও উল্লেখ করেছেন সঞ্জীব সান্যাল। প্রসঙ্গত,  ১৯২৪ সালেই প্রতিষ্ঠা হয় হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মি। এই বাহিনী গঠনের মূলে ছিল ১৯২২ সালের চৌরিচোরার ঘটনা। প্রসঙ্গত, চৌরিচোরার ঘটনায় আন্দোলনকারীদের হাতে পুলিশ কর্মীরা নিহত হলে অসহযোগ আন্দোলনকে তুলে নেন মহাত্মা গান্ধী। এই সময় শচীন্দ্রনাথ সান্যাল অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জীব। ওই সময়ে দেশের যুবসমাজের কংগ্রেস তথা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি অনাস্থাও পরিলক্ষিত হতে থাকে। দেশের যুব সমাজের বড় অংশ মনে করতে থাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রত্যাহারের কারণে ব্রিটিশরা শক্তিশালী হয়েছে। এই সময় বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তুলতে শচীন্দ্রনাথ সান্যাল নিয়োগ করতে শুরু করেন রামপ্রসাদ বিসমিল, রাজেন্দ্র লাহিড়ী, আশফাকুল্লাহ খান প্রভৃতি কলেজ ছাত্রদের। বারাণসী সংস্কৃত কলেজে পাঠরত সুখদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদদেরও নিয়োগ করেন শচীন্দ্রনাথ সান্যাল। ৯ অগাস্ট ১৯২৫ সালে কাকোরি ট্রেন অ্যাকশন যা কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলাতেও হিন্দুস্তান রিপাবলিকান আর্মির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। এই আর্মির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভগৎ সিংও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Rajnath Singh: ‘মায়ের শেষ যাত্রাতেও থাকতে দেয়নি, মেলেনি জামিন’ জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘মায়ের শেষ যাত্রাতেও থাকতে দেয়নি, মেলেনি জামিন’ জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ করে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানিয়েছেন, মা যখন অসুস্থ ছিলেন তখন প্যারোলেও ছাড়া হয়নি তাঁকে। মায়ের শেষ যাত্রাতেও অংশ নিতে দেয়নি তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। আর এখন তারাই স্বৈরাচারের কথা বলছে, বলে কটাক্ষ করেন রাজনাথ। 

    কী বললেন রাজনাথ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার তাঁকে জেলে ভরে দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “যারা জরুরী অবস্থার সময় একনায়কতন্ত্র জারি করেছিলেন, তারাই এখন আমাদের বলছে আমরা নাকি একনায়ক।” রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় আমি জেলে ছিলাম। আমরা বিক্ষোভ দেখাতাম, সাধারণ মানু্ষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করতাম যে ইমার্জেন্সি কতটা ভয়ঙ্কর এবং তা স্বৈরাচারী মনোভাবকেই তুলে ধরে।” তিনি আরও বলেন, “আমার সদ্য বিয়ে হয়েছিল। সারা দিন কাজ করার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম, আমায় তখন বলল, পুলিশ এসেছিল। আমায় ওয়ারেন্ট দেওয়া হল। মাঝরাতে আমায় গ্রেফতার করল, জেলে নিয়ে গেল। আমায় একা একটা কুঠুরিতে রাখা হয়েছিল।”

    মায়ের মৃত্যুর কথা স্মরণ রাজনাথের

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Rajnath Singh) জানান সেই সময় জেলে কোনও বই পড়তে দিত না। একটা পাত্রে ডাল দিত। আর কয়েকটা চাপাটি দেওয়া হতো। কিছু সময়ের জন্য় জেল চত্বরে যেতে দিত। হেসে হেসেই তিনি বলেন, “আমার হয়তো ভাল মেজাজ ছিল, তাই আমায় জেলে দীর্ঘদিন রাখা হয়েছিল। যখন আমায় মির্জাপুর জেল থেকে নৈনি সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন আমার মা বলেছিল, যাই-ই হোক না কেন, ক্ষমা চাইবে না। শুনে উপস্থিত পুলিশকর্মীরাও কেঁদে ফেলেছিলেন।”  রাজনাথ জানান, জরুরী অবস্থা আরও একবছর বৃদ্ধি করা হয়েছে এটা শুনে তাঁর মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৭ দিন মাকে হাসপাতালে রাখতে হয়েছিল। পরে মারা যান তিনি। তাঁর কথায়, “আমি তারপরও জেল থেকে ছাড়া পাইনি, প্যারোল পাইনি। আমি জেলেই মুণ্ডন করেছিলাম। আমি যেতে না পারায়, আমার ভাই শেষকৃত্য করেছিল…ভাবুন এরপরও ওরা (কংগ্রেস) আমাদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার, একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ আনে। নিজেদের দিকে দেখে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Renewable Energy Park: বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্নবীকরণ শক্তির পার্ক এবার ভারতে, আয়তনে প্যারিসের পাঁচগুন

    Renewable Energy Park: বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্নবীকরণ শক্তির পার্ক এবার ভারতে, আয়তনে প্যারিসের পাঁচগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্নবীকরণ শক্তির (Renewable Energy Park) পার্ক এবার ভারতে। যা প্যারিসের থেকেও পাঁচ গুন বড় বলে জানা গিয়েছে। গুজরাটের কচ্ছের খাভাদাতে এই পুনর্নবীকরণ পার্কটি গড়ে তোলেন গৌতম আদানি। জানা যায়, ২০২২ সালে এই জায়গাটা এতটাই ছোট এবং জনমানবহীন ছিল যে এটির পিন কোড ব্যবহার করা হতো ৮০ কিলোমিটার দূরের কোনও একটি গ্রামের। গুজরাটের কচ্ছের খাভদাতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এই জায়গাটি আরও ছোট ছিল, তখনই গৌতম আদানি ওই এলাকায় পৌঁছানোর জন্য প্রথম ব্যক্তি হিসেবে একটি ছোট এয়ারক্রাফ্ট ব্যবহার করেন।

    জায়গাটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের থেকে পাঁচ গুন বড় 

    এই জায়গাটি ছিল উচ্চ লবণাক্ত মাটি মিশ্রিত। সে অর্থে গাছপালা নেই বললেই চলে। বাসস্থানের কথা তো ভাবাই যায় না। কিন্তু লাদাখের পরে এটাই দেশের দ্বিতীয় সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল (Renewable Energy Park), যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো পৌঁছায় এবং এর পাশাপাশি বাতাসের গতিবেগ পাঁচ গুন বেশি থাকে। যা পুনর্নবীকরণ শক্তি পার্কের জন্য অপরিহার্য। ৫৩৮ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত এই জায়গাটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের থেকে পাঁচ গুন বলে জানা গিয়েছে। ছোট এয়ারক্রাফটে করে গৌতম আদানি যখন খাভদায় পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি কৌতুক করে বলেন যে এখানে একটি মশা ও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    কীভাবে গড়ে তোলা হল

    পরবর্তীকালে এই এলাকার উন্নয়নের জন্য তেড়ে-ফুঁড়ে নামে আদানি গ্রুপ। সেখানে স্থাপন করা হতে থাকে সৌর প্যানেল যা সূর্য রশ্মিকে (Renewable Energy Park) বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে এবং বসানো হতে থাকে বায়ু কল যা প্রতি সেকেন্ডে ৮ মিটার বেগে প্রবাহিত বাতাসকে কাজে লাগায়। বায়ু শক্তিকে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে। আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গুজরাটের কচ্ছের খাভদার এই উপকূলের ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করতে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে আগামীদিনে আদানি গোষ্ঠী। এই এনার্জি পার্কের কূটনৈতিকভাবে অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ তা পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানাচ্ছেন মাত্র ৩৫ দিনের মাথায় পুনর্নবীকরণ শক্তি কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছিল। এখানকার এক আধিকারিকের মতে,  ২০২২ সাল থেকেই এই অঞ্চলের উন্নয়ন যখন শুরু হয় তখন থেকে ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি নর্দমা তৈরি হয়েছে এবং ১০০ কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • K Kavitha: সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার কেসিআর-কন্যা কবিতা, তিহার জেলেই জিজ্ঞাসাবাদ

    K Kavitha: সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার কেসিআর-কন্যা কবিতা, তিহার জেলেই জিজ্ঞাসাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে কবিতা (K Kavitha)। ওই একই মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিহাড় জেলে গিয়েছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার তিহাড় জেলের ভিতর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এর ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির জোড়া ফলায় বিদ্ধ কবিতা।

    কী অভিযোগ

    দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ১৫ মার্চ দুপুরে কবিতার (K Kavitha) হায়দ্রাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তার পর বিকেলে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। ইডির গ্রেফতারি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন কবিতা। গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। তবে শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি। নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।এর পর নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কবিতা। তাঁর ১৬ বছরের পুত্র পরীক্ষা দেবে। এই সময়ে তার মায়ের সাহায্য প্রয়োজন। নিম্ন আদালতে এই যুক্তি দিয়েই অন্তর্বর্তিকালীন জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। গত মঙ্গলবার কবিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মাঝেই আবার তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    কেন গ্রেফতার

    আদালতের অনুমতিতে সিবিআই তাঁকে তিহার জেলের ভিতরেই জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল। সহ অভিযুক্তের ফোন থেকে তাঁর সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথোপকথনের বিষয়ে কবিতার (K Kavitha) বক্তব্য জানতে চেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমানে বাতিল দিল্লির আবগারি নীতিতে আম আদমি পার্টিকে `খুশি` করতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কে কবিতার বিরুদ্ধে। এজন্য একটি জমি লেনদেনের নথি পাওয়া গিয়েছে এক অভিযুক্তের কাছে। গত ডিসেম্বরে আবগারি মামলায় ধৃত মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর সূত্রেই কবিতার নাম উঠে আসে। মামলার চার্জশিটে ইডির অভিযোগ ছিল, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মদ সংক্রান্ত নীতির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সিসৌদিয়া আবগারি নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে দক্ষিণ ভারতের যে ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন, কবিতা তার ৬৫ শতাংশের মালিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়ার পর যে কোনও হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে গেলে খাবারের বিলে পাওয়া যাবে ২০ শতাংশ ছাড়। উত্তরাখণ্ডে ভোটারদের উৎসাহ দানের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে মৌ স্বাক্ষর করা হয়েছে।

    কতদিন, কীভাবে মিলবে পরিষেবা

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯ এপ্রিল ভোটকেন্দ্র থেকে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিয়ে বেরিয়ে কোনও ভোটার যদি হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে যান, তবে খাবারের বিলে তিনি ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিষেবা ভোগ করতে পারবেন ভোটারেরা। উত্তরাখণ্ডের সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সভাপতি এই প্রসঙ্গে জানান, খাবারের বিলে ছাড় দেওয়ার আগে আঙুলে কালির ছাপ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন আদপে তাঁরা ভোট দিয়েছেন কি না। উত্তরাখণ্ডের হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে থাকা সমস্ত হোটেল ও রেস্তরাঁতেই এই অফার পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    কেন এই উপহার

    আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু দেশে। ১ জুন সাত দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষের পর ৪ জুন জানা যাবে কারা ফিরছে মসনদে। উত্তরাখণ্ডে প্রথম দফায় ভোট হবে। উত্তরাখণ্ডে ৫টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে।  ১৯ এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই অফার দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য ইলেকটোরাল অফিসার বিজয় কুমাক যোগদান্দে এই বিষয়ে বলেছেন, “রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়াতে একাধিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। উত্তরাখণ্ড হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এই প্রস্তাবনা এনেছিল এবং নির্বাচন কমিশন এতে রাজি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Herald: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    National Herald: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক আট দিন পরেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফার ওই নির্বাচনে লড়াইয়ের (National Herald) ময়দানে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিরোধী ছাব্বিশটি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। এমনিতেই দীর্ঘদিন ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে থাকায় কংগ্রেসের কোষাগারের হাল হয়েছে হাঁড়ির।

    বিপাকে কংগ্রেস (National Herald)

    এমতাবস্থায় আরও বিপাকে পড়ল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পত্তি সাময়িক বাজেয়াপ্ত করায় সায় দিলেন পিএমএলএ বিষয়ক বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। গত নভেম্বরেই ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল কংগ্রেসের ওই সম্পত্তি। পিএমএলএ কর্তৃপক্ষের জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, যেসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ইক্যুইটি শেয়ার ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা অবৈধভাবে আয় ও অর্থ পাচারের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

    বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি

    ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) সংবাদপত্র, তার প্রকাশনা সংস্থা এজেএল এবং পরিচালন তথা মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার। সেই বন্ধ সংস্থাই অধিগ্রহণ করে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। এর পরেই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি চলে আসে ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে। সঙ্গে আসে ৯০ কোটি টাকা দেনার দায়ও। এই দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয় কারণ দর্শিয়ে কংগ্রেসের তরফে মকুব করে দেওয়া হয় দেনার টাকা। এই সময়ই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ফের চর্চায় আসে ইয়ং ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল হেরান্ডের দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার মালিকানাধীন ছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড, বাজারে তাদের ঋণ ছিল ৯০ কোটি টাকা। এই টাকার বেশিরভাগটাই নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের কাছ থেকে। মালিকানা হাতবদলে বেআইনি কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত। এই মামলায় প্রথমে সোনিয়া এবং পরে রাহুল গান্ধীকেও দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল (National Herald) ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jammu Kashmir: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে সফল সেনা, পুলওয়ামায় হত ১ জঙ্গি  

    Jammu Kashmir: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে সফল সেনা, পুলওয়ামায় হত ১ জঙ্গি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুশির ঈদে সকাল থেকেই গুলির লড়াই চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir)। এদিন ভোর রাতে পুলওয়ামা জেলার ফ্রাসিপোরা এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। আরও এক জঙ্গি ওই এলাকাতেই লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর। 

    জঙ্গি দমনে সাফল্য

    পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে পুলওয়ামা জেলার ফ্রাসিপোরায় কয়েক জন  জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই খবর পেয়েই ওই এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা।  পুরো এলাকা অবরোধ করে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলির জবাব দেয়ে সেনা। এতে একজন জঙ্গি নিহত হয়। ওই এলাকায় আরও কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান চলছে। জঙ্গিরা বড় ষড়যন্ত্র চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে খবর।

    পাক মদতের সম্ভাবনা

    স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করেই ওই এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা সীমান্তের ওপার থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে। তারা বড় কোনও নাশকতার ছক কষছিল। নিহত জঙ্গি কোন সংগঠনের তা এখনও জানা যায়নি। জঙ্গিদের পিছনে পাক মদত দেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে সেনা।

    প্রসঙ্গত, উপত্যকা (Jammu Kashmir) থেকে ৩৭০ এবং ৩৫ এ- ধারা অপসারণের পরে পাকিস্তানের পায়ের তলা থেকে জমি সরে যায়। তাই সময় বিশেষে ভারতীয় সীমান্তে সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে উদ্যত পাকিস্তান। এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে ভারতকে ছোট করাই লক্ষ্য পাকিস্তানের। যদিও কেন্দ্রের মোদি সরকার এ বিষয়ে সব সময় কড়া জবাব দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের চাবাহার বন্দরের পর এবার দ্বিতীয় ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার অধিকার পেল ভারত। সিটওয়ে (Myanmar Sittwe Port) নামের এই বন্দরটি রয়েছে কালাদান নদীর ওপর। এই বন্দর পরিচালনার জন্য ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের একশো শতাংশ মালিকানাই পোর্টস, শিপিং এবং জলপথ মন্ত্রকের।

    চিন-ভারত রেষারেষি! (Myanmar Sittwe Port)

    বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারে মেতেছে চিন ও ভারত। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের দায়িত্ব নিয়েছে চিন। আফ্রিকার ডিজবাউটি বন্দরের দায়িত্বও নিয়েছে ড্রাগনের দেশ। বাংলাদেশ ও মলদ্বীপের বন্দরেও লগ্নি করবে বলে ওই দুই দেশের সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে বেজিং। চিনের এই অর্থনৈতিক আগ্রাসনের জেরে উদ্বেগে ভারত। তার পরেই একের (Myanmar Sittwe Port) পর এক ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার ভার নিতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই তালিকায় প্রথমেই ছিল ইরানের ছাবাহার বন্দর। এবার তালিকায় ঢুকে পড়ল মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরও। এই বন্দরটি কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট পরিবহন প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল, কলকাতার সমুদ্র বন্দরকে সমুদ্রপথে সিটওয়ে বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা। গত বছরের মে মাস থেকে সিটওয়েতে নোঙর করছে মালবাহী জাহাজ।

    ভারতীয় জাহাজকে স্বাগত মায়ানমারে

    কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে যায় প্রথম জাহাজটি। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন পোর্টস, শিপিং ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল এবং মায়ানমারের তরফে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডমিরাল তিং আং সান। মায়ানমারের এই বন্দরের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগের যোগাযোগ সুগম হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাইপাসের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যাবে বাংলাদেশে। মায়ানমারের এই বন্দরের মাধ্যমে যে লেনদেন হবে, পুরোটাই হবে ভারতীয় মুদ্রায়। জানা গিয়েছে, বন্দর পরিচালনার পুরো দায়িত্বই থাকবে ভারতের হাতে। ভারতের নিজস্ব বন্দরগুলির রাশ যেভাবে রয়েছে স্বদেশের হাতে, তেমনিই সিটওয়ের রশিও থাকবে ভারতের হাতে। মনে রাখতে হবে, ছাবাহার বন্দরের চেয়েও সিটওয়েতে (Myanmar Sittwe Port) ভারতের দখলদারি বেশি। কারণ, ছাবাহারে মাত্র দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করতে পারে ভারত। সিটওয়ের ক্ষেত্রে করবে পুরোটাই।

    কী লাভ হল ভারতের?

    সিটওয়ের ক্ষেত্রে চুক্তি পুনর্নবীকরণ হবে প্রতি তিন বছর অন্তর। বন্দরের লিজের মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ায় উপকৃত হবে ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইন প্রদেশের সিটওয়ে বন্দরটিতে ভারত বিনিয়োগ করবে ৪৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের অধীনে হবে সিটওয়ের কাজ। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের জলপথ ও সংযোগকারী রাস্তা চালু হয়ে গেলে সিটওয়ে বন্দরের মাধ্যমে ভারতের পূর্ব উপকূলকে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। মিজোরাম ও হলদিয়া বা কলকাতা বা কালাদান নদীর মধ্যে দিয়ে যে কোনও ভারতীয় বন্দরের মধ্যে একটি বিকল্প জলপথ হয়ে উঠবে। যে পথে অনায়াস হবে কার্গোশিপ পরিবহন। কালদান প্রজেক্টের মাধ্যমে উপকৃত হবে উত্তরপূর্বের রাজ্য ত্রিপুরাও। জানা গিয়েছে, সিটওয়ে বন্দরের রাশ ভারতের হাতে চলে আসায় কলকাতা ও ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা এবং মিজোরামের রাজধানী আইজলের মধ্যে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে পঞ্চাশ শতাংশ। সময়ও প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    উদ্বেগের কারণ

    গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমার (Myanmar Sittwe Port)। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সে দেশে চলছে সেনার শাসন। তা সত্ত্বেও মায়ানমারকে ভারত বরাবর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে তার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কারণে। আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, উত্তর-পূর্বের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভারতের প্রয়োজন মায়ানমারের সাহায্য। এমতাবস্থায় মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ায় অ্যাডভান্টেজ নয়াদিল্লি। মায়ানমারের এই বন্দরের রাশ ভারতের হাতে এলেও, উদ্বেগ কমেনি এতটুকুও। কারণ যে রাখাইন প্রদেশে সিটওয়ে বন্দরটি রয়েছে, সেটি সামরিক শাসক ও বিদ্রোহীদের সংঘাতে দীর্ণ। সিটওয়ে প্রকল্পটির আয়ু কতদিন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ বিদ্রোহীরা রাখাইন প্রদেশের দখল নিয়ে নিলে, এই বন্দরে কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে ভারতের। তবে ভূকৌশলগত অবস্থান বিবেচনা করেই সিটওয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত (Myanmar Sittwe Port)।

    আরও পড়ুুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী প্রচারিত মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে দেখা যেতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ‘‘কীভাবে ভারত ও বিশ্বকে পাল্টে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি’’ শীর্ষক একটি সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রশ্নের অকপট জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধীর পর মোদিই হবেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁকে ‘নিউজউইক’-এর কভারে দেখা যাবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিউজ উইকের এপ্রিল ১৯৬৬ সংখ্যার প্রচ্ছদে উপস্থিত ছিলেন। নিউইয়র্ক ভিত্তিক এই ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী মোদির ৯০ মিনিটের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এই সাক্ষাৎকারে দেশের নীতি-উন্নয়ন থেকে শুরু করে চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ভারত-চিন প্রসঙ্গ

    ‘নিউজউইক’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে জোর সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর কথায়, “আমার বিশ্বাস, সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে যে বিবাদ চলছে সেই নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা দরকার। তাহলেই আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে যা সমস্যা রয়েছে সেগুলো দূর হতে পারে। ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক সেটাই সকলে চায়। কেবল এই দুই দেশ নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা গোটা বিশ্বের কাছেই এই সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে। তার জোরেই আমাদের সীমান্তে শান্তি স্থাপন হবে।” মোদির মতে, চিনের (China) সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে হবে।

    রাম মন্দির প্রসঙ্গ

    নাতি দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে ওঠে অযোধ্যার রাম মন্দির প্রসঙ্গও। অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ওঁর (শ্রী রাম) জীবন আমাদের চিন্তাধারা ও মূল্যবোধের রূপরেখা নির্ণয় করেছে। আমাদের পবিত্র ভূমি জুড়ে তাঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে। আমি ১১ দিনের বিশেষ রীতি পালন করেছিলাম, শ্রী রামের পদচিহ্ন যেখানে যেখানে রয়েছে, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এই যাত্রা আমায় দেশের বিভিন্ন কোণায় নিয়ে গিয়েছে, যেখানে আমি দেখেছি, রাম আমাদের সকলের মধ্যে বসবাস করে।”

    আরও পড়ুুন: ভারতে আসছেন টেসলা কর্তা, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই লগ্নির ঘোষণা মাস্কের!

    ভারতের উন্নয়ন

    ভারতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে এই সাক্ষাৎকারে নানান কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দির, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়েও সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন মোদি। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে মোদি আরও এক বার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্তা দেন ইসলামাবাদকে। জানান, ভারত সর্বদা শান্তি এবং সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশের পক্ষে। কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, তা স্বচক্ষে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি কিংবা অন্য কেউ কী বলল, তা শোনার প্রয়োজন নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share