Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India’s Economic Growth: ভারতের অর্থনীতি চলতি বছর ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের

    India’s Economic Growth: ভারতের অর্থনীতি চলতি বছর ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে উঠে আসবে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই দাবি যে অমূলক নয় তা প্রমাণ করছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাম্প্রতিক রিপোর্ট (UN Report)। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি (India’s Economic Growth)। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক গ্রাফেই সেটা প্রতিভাস হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের দাবি, ভারতের অর্থনীতি চলতি বছর ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বড় অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে ভারতের গতি সবচেয়ে বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট

    বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে (UN Report) বলা হয়েছে, “ভারতের অর্থনীতি ২০২৪ সালে ৬.৯ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, প্রধানত শক্তিশালী সরকারি বিনিয়োগ এর কারণ।” চলতি বছর জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে বলা হয়েছিল, ভারতে এই বছর জিডিপি বৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশ হবে। ইউএন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস (ডব্লিউইএসপি) ২০২৪ রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে, শক্তিশালী বৃদ্ধি এবং উচ্চ শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের মধ্যে শ্রম বাজারের সূচকগুলিও উন্নত হয়েছে। ভারত সরকার পুঁজি বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ধীরে ধীরে রাজস্ব ঘাটতি কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি (India’s Economic Growth)।

    কেন ভারতের অগ্রগতি

    রিপোর্টে, (UN Report) ভারতের জিডিপি এই বছর ৬.৯ শতাংশ গতিতে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতে অর্থনৈতিক (India’s Economic Growth) বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র একীভূত হওয়ায় ভারত বিশেষ অর্থনৈতিক জোন হয়ে উঠেছে। এছাড়া গত ১০ বছরে ভারতের ইন্টারনেট সংযোগ, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবে বিশ্বের মঞ্চে বিনিয়োগের অন্যতম স্থান হয়ে উঠেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: কোনও বাপের বেটা সিএএ রুখতে পারবে না! হুঁশিয়ারি মোদির

    বর্তমান জিডিপি অনুসারে, আমেরিকা, চিন, জার্মানি এবং জাপানের পরে ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি (India’s Economic Growth) হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে, ভারত ইতিমধ্যেই ২০২২ সালে অর্থনীতির দিক থেকে ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে গেছে। এক দশক আগেও ভারতের জিডিপির নিরিখে বিশ্বে স্থান ছিল ১১ তম। তবে, বর্তমানে ভারতের জিডিপি প্রায় ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে সীতার মন্দির! নির্বাচনের মধ্যেই বড় ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে সীতার মন্দির! নির্বাচনের মধ্যেই বড় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে তৈরি হবে সীতার মন্দির। লোকসভা ভোটের আবহে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এবছর লোকসভা নির্বাচনে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাকে অন্যতম হাতিয়ার করেছে বিজেপি। আর এবার তাদের পরবর্তী লক্ষ্য সীতা মন্দিরের (Grand Sita Temple) কোথাও জানিয়ে দিলেন শাহ। অর্থাৎ রামলালার পর এবার রামচন্দ্র-পত্নী সীতার মন্দির বিজেপি তৈরি করবে বলে বিহারের মানুষকে কথা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন”, রোড শোয়ে ভিড় দেখে বললেন সুকান্ত

    সীতামঢ়ীতে সীতার মন্দির নির্মাণ (Grand Sita Temple)

    বৃহস্পতিবার নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা বিহারের সীতামঢ়ী জেলায় একটি নির্বাচনী প্রচারে যান অমিত শাহ। হিন্দু পুরাণমতে সীতামঢ়ীতেই দেবী সীতার জন্ম। সেখানে তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেমন অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করেছেন ঠিক তেমনি সীতার জন্মস্থানেও একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে। শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘বিজেপি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিকে ভয় করে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় রামলালার জন্মস্থানে মন্দির নির্মাণ করেছেন। কিন্তু তাঁর একটি কাজ এখনও অসমাপ্ত রয়েছে— মা সীতার জন্মস্থান সীতামঢ়ীতে বিশাল মন্দির নির্মাণ। সেই কাজ তিনি সমাপ্ত করবেন।’’
    যদিও এদিন এই প্রতিশ্রুতির পর শাহ (Amit Shah) বলেন, “অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি থেকে যাঁরা নিজেদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন, তাঁদের দ্বারা এই কাজ সম্ভব নয়। একমাত্র নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিই পারে সীতার জন্মস্থানে মন্দির তৈরি করতে। আমরা রামায়ণ সার্কিটের মাধ্যমে জনকপুর এবং সীতামঢ়ীকেও সংযুক্ত করব। এই মন্দির এমন এক মন্দির তৈরি হবে যা শুধু বিহার, ভারত, পূর্বাঞ্চল বা মিথিলাঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বকে সীতামাড়ির প্রতি আকৃষ্ট করবে।” 

    বিরোধীদের কটাক্ষ শাহর 

    আগামী সোমবার বিহারের যে ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে তার মধ্যে অন্যতম সীতামঢ়ী। শাহ (Amit Shah) এদিন প্রচারে বিরোধীদের বিঁধতে গিয়ে বলেন, “লালু প্রসাদ যাদব পাওয়ার, পলিটিক্সের জন্য, নিজের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য সেই কংগ্রেসের কোলে গিয়ে বসেছেন, যারা সব সময় পিছিয়ে পড়া মানুষের বিরোধিতা করে এসেছে। লালু প্রসাদ যাদব বিহারে জঙ্গলরাজের জন্য পরিচিত। আমি জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তারা জঙ্গলরাজ চান নাকি উন্নয়ন রাজ চান? লালু অ্যান্ড কোম্পানি কি এখানে উন্নয়ন করতে পারবে? একমাত্র নরেন্দ্র মোদিই পারেন বিহারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: ভোটের আগে জম্মু-কাশ্মীরে বড় অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম ৪ জঙ্গি

    Jammu and Kashmir: ভোটের আগে জম্মু-কাশ্মীরে বড় অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম ৪ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারামুল্লা লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তার আগেই উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারার নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী একটি বড়সড় অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতেই সেনা গুলি চালায়, যার ফলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় চারজন জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে খবর মিলেছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলছে।

    অনুপ্রবেশ রুখল সেনা

    জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ভারতীয় সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পুলিশের একটি দল, এই যৌথ অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। তখনই জঙ্গিদের এই অনুপ্রবেশকে আটকায় সেনা। তবে এটাই প্রথম নয় চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারও নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু কাশ্মীরের সীমান্তে একজন পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী করাচির বাসিন্দা এবং তার নাম জহির খান। প্রসঙ্গত, কুপওয়ারার এই অঞ্চলেই আগামী ২০ মে ভোট হতে চলেছে। এটি বারামুল্লা লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে পড়ে। ৩৭০ ধারা বিলোপ সাধনের পরে নিজস্ব ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বারামুল্লা লোকসভায় রেকর্ড ভোট পড়তে চলেছে।

    জইশ-মহম্মদ জঙ্গির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনআইএ

    অন্যদিকে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদীর সংগঠন জইশ-মহম্মদ এর শীর্ষস্থানীয় নেতা সারতাজ আহমেদ মান্টুর সাতটি সম্পত্তি তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রত্যেকটি সম্পত্তি পুলওয়ামাতে অবস্থিত বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় সারতাজ মান্টুকে। তার কাছ থেকে অস্ত্র গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই বছরেরই ২৭ জুলাই চার্জশিট পেশ করে এনআইএ। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক পদার্থ আইন, দেশদ্রোহিতা আইনে (Jammu and Kashmir) মামলা চলছে। জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের কাজে জড়িত ছিল সে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Citizenship Amendment Act: কোনও বাপের বেটা সিএএ রুখতে পারবে না! হুঁশিয়ারি মোদির

    Citizenship Amendment Act: কোনও বাপের বেটা সিএএ রুখতে পারবে না! হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মাঝে নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) নিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, ১৬ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভা করেন উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে এবং সেখানেই লালগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সমাবেশে মোদি বলেন, ‘‘ভোটের প্রচারে ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা বলছেন, তাঁরা সিএএ বাতিল করবেন। কিন্তু সে ক্ষমতা কারও হবে না।’’ এর পরেই জনতাকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দেশে এমন কোনও ‘মাই কা লাল’ (চলতি বাংলায় ভাবানুবাদে ‘বাপের বেটা’) জন্মেছে যে সিএএ বাতিল করতে পারে?’’

    প্রধানমন্ত্রীর আরও হুঁশিয়ারি

    লালগঞ্জের ওই সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী আরও হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলি সিএএ (Citizenship Amendment Act) ইস্যুতে মিথ্যাচার করছে। তারা উত্তরপ্রদেশ-সহ গোটা দেশকে দাঙ্গার আগুনে পোড়ানোর প্রবল চেষ্টা করেছিল। আজও ওই ‘ইন্ডি’ জোটের লোকেরা বলছে যে, মোদী সিএএ নিয়ে এসেছেন এবং যে দিন তিনি যাবেন, সিএএ-ও সরানো হবে। কিন্তু তাদের সেই ক্ষমতা নেই।’’ প্রসঙ্গত গত মার্চ মাসেই নাগরিকত্ব আইন লাগু করেছে কেন্দ্র এবং তারপর গত বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা প্রথম দফায় ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন। সেই আবহে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য সামনে এল।

    ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার

    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। ওই আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, শিখ) ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতবর্ষে এসেছেন, তাদেরকে নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: প্রথম চার দফায় দেশে ভোটের হার কত? জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: প্রথম চার দফায় দেশে ভোটের হার কত? জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) চতুর্থ দফা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। আগামী ২০ ও ২৫ মে হবে পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার ভোট। সপ্তম দফার ভোট হবে ১লা জুন। কিন্তু তার আগে প্রথম চার দফার ভোটের শেষে দেশে কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা জানাল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম চার দফায় (First 4 phases) ৬৬.৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম চার ধাপে চারশো পঞ্চাশ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন।  

    কোন দফায় কত ভোট? (Lok Sabha Election 2024) 

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪৫ কোটি ১০ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম চার ধাপে (First 4 phases) ভোটারের উপস্থিতি ৬৬.৯৫ শতাংশ, যা ২০১৯ সালের ৬৭.৪ শতাংশের তুলনায় সামান্য পিছিয়ে। জানা গিয়েছে প্রথম ধাপে ভোটদানের ব্যবধান ২০১৯ সালের তুলনায় ৩.৭৫ শতাংশ পিছিয়ে ছিল, দ্বিতীয় ধাপে তা ২.৯৩ শতাংশ হয় এবং তৃতীয় ধাপে তা কমে ১.৩২-শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এবছর প্রথম তিন দফায় ভোটদানের হার কমেছে। চতুর্থ দফার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) চূড়ান্ত পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। তবে চতুর্থ পর্বে ভোটদান গতবারের চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

    আরও পড়ুন: শহরের এক ডজন জায়গায় আয়কর হানা! ভোটের আবহে উদ্ধার টাকার পাহাড়

    নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য 

    নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন যে, ” যত বেশি ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে “ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তি” সম্পর্কে বিশ্ব এক অন্য বার্তা পাবে।” পাশাপাশি আইপিএল ম্যাচ, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, টেলিকম এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদিতে ভোটার সচেতনতা প্রচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,”কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতা ভোটার সচেতনতা কর্মসূচির অপরিহার্য স্তম্ভ।  এটা সত্যিই আনন্দের যে কমিশনের অনুরোধে, বিভিন্ন প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলি ভোটারদের ভোটদানে (Lok Sabha Election 2024) উৎসাহিত করতে সক্ষম হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: মামলা চললে পিএমএলএতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    ED: মামলা চললে পিএমএলএতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির (ED) পায়ে বেড়ি পরাল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, বিশেষ আদালতে বিচারাধীন বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন মামলার ১৯ নম্বর ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি। তেমন কোনও অভিযু্ক্তকে হেফাজতে রাখতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে ইডিকে।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ (ED)

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ‘যদি একজন অভিযুক্ত সমনে সাড়া দিয়ে আদালতে হাজির হন, তবে তাঁকে গ্রেফতার করতে হলে ইডিকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আদালতেই আবেদন করতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া হাজিরা দেওয়া অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে পারবে না ইডি (ED)’। ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ, পিএমএলএ মামলায় অভিযুক্ত যদি সমন মেনে আদালতে হাজিরা দেন, তবে তাঁর আদালাভাবে জামিনের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই।

    কী বলল আদালত?

    আদালত জানিয়েছে, এই আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিন পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ এক্ষেত্রে বিচারককে ধরে নিতে হয়, অভিযুক্ত এই অপরাধ করেননি এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অপরাধ করবেন না। যা অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। প্রসঙ্গত, জনৈক তারসেম লাল বনাম ইডি মামলায় এমন রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    আর পড়ুন: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    রায়ে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট আইনের ৪৪ নম্বর ধারায় কোনও একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পিএমএলএ-র ধারা ৪ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের স্বীকৃতি নেওয়ার পরে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো ব্যক্তিকে ১৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করার ক্ষমতা ইডির নেই। শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের না হওয়া পর্যন্ত ইডি যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে থাকে, তবে বিশেষ আদালত মামলায় স্বীকৃতি নেওয়ার সময় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে পারবে, ওয়ারেন্ট নয়। আসামি জামিনে থাকলেও, সমন জারি করতে হবে (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Medicine Price: দাম কমছে অ্যান্টিবায়োটিক-ভিটামিন ওষুধের? স্বস্তিতে ডায়াবেটিস, হার্ট, সুগারের রোগীরা

    Medicine Price: দাম কমছে অ্যান্টিবায়োটিক-ভিটামিন ওষুধের? স্বস্তিতে ডায়াবেটিস, হার্ট, সুগারের রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মধ্য়েই বেশ কিছু রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত ওষুধের দাম (Medicine Price) কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্র সরকার মোট ৪১টি ওষুধ ও ৬টি ফর্মুলেশনের দাম বেঁধে দিয়েছে।  যার মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্র, লিভার, ছোঁয়াচে রোগ, অ্যালার্জি, অ্যান্টাসিড, অ্য়ান্টিবায়োটিক ও মাল্টিভিটামিন মেডিসিন। এছাড়াও দাম কমবে বেশ কিছু পেইন কিলার বা ব্যথা উপশমের ওষুধের।

    কী সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়েছে

    ন্যাশনাল ফার্মাসিইউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির ১৪৩তম বৈঠকে ওষুধের দাম (Medicine Price) কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সারা ভারতে ওষুধের দাম (Medicine Rate Cut) নিয়ন্ত্রণ করে থাকে সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা। তাদের বৈঠকে ৪১টি ওষুধ ও ৬টি ফর্মুলার দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।  এই মর্মে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে এনপিপিএ-র (NPPA)তরফে। সেখানে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলিকে অবিলম্বে ডিলারদের এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য় দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ওষুধের দামের উপর জিএসটি নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে এনপিপিএ। বলা হয়েছে, ফার্মা কোম্পানি ওষুধের দামের উপর জিএসটি তখনই নিতে পারবে যদি সংস্থাটি এই কর সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করে থাকে। সেটা না হলে ক্রেতাকে জিএসটিতে ছাড় দিতে হবে তাঁদের।

    আরও পড়ুন: যুবভারতীতে শেষ ম্যাচ, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর

    কাদের স্বস্তি

    সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইনসুলিন সহ অন্যান্য ওষুধের দাম ((Medicine Price) কমায়, স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। জীবনদায়ী এইসব ওষুধ এবার সস্তায় মিলবে। এখন সারা দেশে ১০ কোটিরও বেশি ডায়াবেটিসের রোগী আছেন। ওষুধ সস্তা হওয়ায় তাঁরা একটু নিস্তার পাবেন। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসেও ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বেশ কিছু ওষুধের দাম কমিয়েছিল। ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন সহ ৬৯টি ওষুধের দাম (Medicine Rate Cut) কমানো হয়েছিল। এমনকী এই সমস্ত ৬৯টি ওষুধের ফর্মুলেশনের দামও বেঁধে দিয়েছিল সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা। এছাড়াও আরও ৩১টি ফর্মুলেশনের দাম কমিয়েছিল সরকার। এবার এই তালিকায় জুড়ে গেল আরও ৪১টি ওষুধের নাম। আম জনতার একটা বড় অংশকে নিত্যদিন খেতে হয় মাল্টিভিটামিন, অ্য়ান্টিবায়োটিক, অ্যালার্জি, ইনফেকশান, সুগার, কোলেস্টরেল, লিভার, হার্ট ও পেইন কিলারের মতো ওষুধ। এই আবহে ওষুধের দাম কমায় মধ্যবিত্তর মুখে হাসি ফুটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim History: ১৯৭৫ সালে আজকের দিনে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সিকিম, এর নেপথ্যে ছিল যে কারণ…

    Sikkim History: ১৯৭৫ সালে আজকের দিনে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সিকিম, এর নেপথ্যে ছিল যে কারণ…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ১৬ মে রাজনৈতিক টানপোড়েনের শেষে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। চিনের আক্রমণ থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে সিকিমের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভারতের অন্তর্ভুক্তি প্রার্থনা করে। সংবিধানে সংশোধন এনে সিকিমকে (Sikkim) ভারতের ২২তম রাজ্যে পরিণত করা হয়। কিন্তু কীভাবে সিকিম ভারতের (Sikkim History) অন্তর্ভুক্ত হল দেখে নিন এক নজরে।

    সিকিমের ইতিহাস (Sikkim History)

    অতীতে সিকিমে নামগ্যাল পরিবারের শাসক ছিল। স্থানীয় রাজাকে সিকিমে চোগিয়াল বলা হত। সিকিমে সাংস্কৃতিকভাবে তিব্বতি বৌদ্ধ ধারার প্রভাব ছিল। একসময় সিকিমের লড়াকু চোগিয়ালরা নেপাল ও তিব্বতের কিছু অংশ দখল করে নিয়েছিল। তাঁদের রাজত্ব ছিল চুম্বি ভ্যালি পর্যন্ত। কিন্তু ব্রিটিশরা (East India Company) তাঁদের ক্ষমতা খর্ব করে দেয়। ১৮ শতকের মাঝামাঝি প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার নেপালি সিকিমে চলে আসে। ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে সিকিমে নেপালের প্রভাব বিস্তার হয়। নেপালের আক্রমণের ফলে সিকিমের রাজ্য অনেকটা ছোট হয়ে যায়। ব্রিটিশদের সঙ্গে নরমে গরমে সম্পর্ক ছিল সিকিমের রাজাদের। তেতালিয়া চুক্তির পর ব্রিটিশদের দার্জিলিং হস্তান্তর করে দেওয়ায় তাঁদের সম্পর্কে স্থিতাবস্থা আসে।

    স্বাধীনতার পর ভারত-সিকিম সম্পর্ক

    সিকিম ছিল ব্রিটিশদের প্রটেক্টরেট রাজ্য। ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেই দায়িত্ব স্বাধীন ভারত সরকারের কাঁধে বর্তায়। চিনের তিব্বত দখল ও ভারতের উপর আক্রমণের পর সিকিম বুঝতে পারে এবার তাঁদের পালা। ষাটের দশকে সিকিমে রাজতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। স্থানীয় জনতা গণতন্ত্রের দাবি তোলে। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সেখানকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা কাজি লেন্দুপ দর্জি। ১৯৬৩ সালে স্থানীয় রাজা থাসি নামগেয়ালের মৃত্যুর পর রাজা হন পলডেন নামগেয়াল। এর দশ বছর পর ১৯৭৩ সালে সিকিমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে রাজ পরিবার বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়। কিন্তু আন্দোলনকারিরা দাবি করে রাজ পরিবার ভোটে কারচুপি করেছে। ১৯৭৪ সালের সিকিমে পুনরায় ভোটাভুটি হয়। এই নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জির দল জয়যুক্ত হয়। সিকিমের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।

    সিকিমের ভারতে বিলয়

    সিকিমের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর লেন্দুপ দর্জি বুঝেছিলেন সিকিমকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে তুলতে গেলে ভারতের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। সেই সময় লাল ফৌজের নজর ছিল ভারতের পূর্ব প্রান্তের রাজ্যগুলির দিকে। তিনি সংসদে সিকিমকে ভারতের রাজ্যে পরিণত করার আবেদন করেন। এমতাবস্থায় সংবিধানের ৩৬ তম সংশোধন সংশোধন এনে সিকিমকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    সিকিমের বলয়ে চিনের গোঁসা

    চিন সিকিমকে (Sikkim History) দীর্ঘদিন ভারতের রাজ্য হিসেবে মর্যাদা দেয়নি। ভারতের অন্তর্ভুক্তির অনেক পর ২০০৩ সালে ভারতের রাজ্যের মর্যাদা দেয় চিনা প্রশাসন। সীমান্তে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি সাধনের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে চিনা প্রশাসন। অবশ্য এর পরেও বেশ কয়েকবার সিকিম সীমান্তে ভারত ও চিনা সেনাবাহিনী ছোটখাটো সংঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SBI FD: ফিক্সড ডিপোজিটে ফের সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক, কত হল জানেন?

    SBI FD: ফিক্সড ডিপোজিটে ফের সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থায়ী আমানতে ফের সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI FD)। ২ কোটি টাকা পর্যন্ত যাঁরা আমানত করবেন এবং তার চেয়েও বেশি পরিমাণ যাঁরা আমানত করবেন দুই ক্ষেত্রেই কয়েকটি প্রকল্পে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট। বুধবার থেকেই কার্যকর হয়েছে নয়া সুদের হার। স্টেট ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ালেও, এখনও অন্য ব্যাঙ্কগুলি তা করেনি। উল্লখ্য যে, সাম্প্রতিক অতীতে স্টেট ব্যাঙ্ক ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার যতটা বাড়িয়েছে, আমানতের ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়নি সেই হারে। এহেন আবহে মিলল খানিক স্বস্তির খবর। স্থায়ী আমানতে বাড়ল সুদের হার।

    স্থায়ী আমানত কী? (SBI FD)

    স্থায়ী আমানত হল, কোনও একজন ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাঙ্কে যত পরিমাণ টাকা জমা রাখেন। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে এই টাকা তোলা যায় না। স্থায়ী আমানতের মেয়াদ কিছু দিনের জন্য হতে পারে, আবার বেশ কয়েক বছরের জন্যও হতে পারে। রেগুলার সেভিংস অ্যাকান্টের চেয়ে সচরাচর স্থায়ী আমানতে সুদের হার বেশি হয়ে থাকে (SBI FD)। চড়া হারে সুদ পাওয়ার আশায় মানুষ স্থায়ী আমানত করেন। এতে বাজারগত ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে।

    কোথায়, কত বাড়ল সুদ

    ২ কোটি টাকা পর্যন্ত যাঁরা আমানত করবেন, তাঁরা যদি ৪৬ থেকে ১৭৯ দিনের মেয়াদে টাকা জমা রাখেন, সেক্ষেত্রে সুদের হার ৪.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। ১৮০ থেকে ২১০ দিনের স্থায়ী আমানতে সুদ ২৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৬ শতাংশ। ২১১ দিন থেকে এক বছরের কম মেয়াদে সুদ বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। নয়া সুদের হার দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশ। অবশ্য এর বেশি মেয়াদের আমানতি প্রকল্পগুলিতে সুদের হার রয়েছে একই।

    আর পড়ুন: ‘‘ওরা চাঁদে পৌঁছে গেল, সেখানে আমরা…’’, পাক সাংসদের মন্তব্য ভাইরাল

    ২ কোটি টাকার ওপর যাঁরা আমানত করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৪৫ দিনের জন্য সুদ পাবেন ৫.২৫ শতাংশ হারে (SBI FD)। ৪৬ থেকে ১৭৯ মেয়াদি আমানত প্রকল্পে যাঁরা টাকা রাখবেন, তাঁরা সুদ পাবেন ৬.২৫ শতাংশ হারে। ১৮০ থেকে ২১০ দিনের মেয়াদি আমানতে সুদের হার বেড়ে হয়েছে ৬.৬ শতাংশ। এক বছর থেকে দু’বছরের কম মেয়াদের আমানতে সুদের হার মিলবে ৭ শতাংশ হারে। আর দু’বছর থেকে তিন বছরের কম সময়ের মেয়াদি আমানতেও সুদের হার ৭ শতাংশ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রবীণ আমানতকারীরা সুদ পাবেন অতিরিক্ত .৫ শতাংশ (SBI FD)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Archaeological Marvels Discovered: রাজস্থানে উদ্ধার মহাভারত ও মৌর্য যুগের অবশিষ্টাংশ

    Archaeological Marvels Discovered: রাজস্থানে উদ্ধার মহাভারত ও মৌর্য যুগের অবশিষ্টাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মাটি থেকে আবারও উদ্ধার ঐতিহাসিক সম্পদ। সম্প্রতি রাজস্থানের (Rajasthan) দৌসা জেলার ভেঝা গ্রামের একটি ঢিবির উপর খননের সময় ২,৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো প্রত্নবস্তু আবিষ্কার (Archaeological Marvels Discovered) হয়েছে। জানা গেছে এই বস্তু গুলি মহাভারত ও মৌর্য যুগের অবশিষ্টাংশ। স্বাভাবিকভাবেই হটাৎ করে এই প্রত্নতাত্ত্বিক বুস্তুগুলির আবিষ্কারে হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। 

    কী কী পাওয়া গিয়েছে? (Archaeological Marvels Discovered) 

    আবিষ্কৃত হওয়া বুস্তু গুলির মধ্যে রয়েছে ব্রোঞ্জের হাতিয়ার, মুদ্রা, মৌর্য যুগের একটি মূর্তির মাথা, শুঙ্গ যুগের অশ্বিনী কুমারদের ভাস্কর্য এবং হাড় দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি। এছাড়াও মহাভারতের সময়কার মৃৎশিল্পের টুকরো এবং অন্যান্য প্রত্নবস্তুও খনন প্রক্রিয়ার সময় আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল শুঙ্গ যুগের হাড়ের সরঞ্জাম। এছাড়াও একটি মাটির সীল উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে দেবতাদের হাতির উপর চড়ার চিত্র আঁকা রয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হওয়া বস্তু গুলির মধ্যে রয়েছে সিন্ধু সভ্যতার (১১০০ এবং ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সময়কার একটি ধূসর মাটির পাত্র, মৌর্য যুগের একটি বিরল পোড়ামাটির পাইপ এবং মাতৃদেবীর একটি পোড়ামাটির মূর্তি। পাশাপাশি প্রাচীরের ৪৫-ডিগ্রি কোণে পাওয়া পোড়া ইটগুলি, সম্ভবত মৌর্য যুগের বলে জানিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্ববিদরা।     
    জানা গিয়েছে রাজস্থানের ওই এলাকার ঢিবি খননের সময় দুটি ৩০ ফুট গভীর কুয়োর সন্ধান পাওয়ার পরেই সেখান থেকে প্রাচীন ইটের দেয়াল এবং মৃৎপাত্রের টুকরো আবিষ্কৃত হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক তছরূপ মামলায় ইডির জালে আলমগির আলম

    মন্দিরের অস্তিত্ব 

    অন্যদিকে খনন কার্যের ফলে মধ্যপ্রদেশের ধারে আবিষ্কৃত  ভোজশালাটিরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। জানা গিয়েছে প্রাচীনকালে এখানে সরস্বতী মন্দির ছিল। যা রাজা ভোজের সময় নির্মিত হয়েছিল। খনন কার্যের (Archaeological Marvels Discovered) পর বহু বছর ধরে গবেষণার পরে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বর্তমানে প্রফেসর অলোক ত্রিপাঠির নির্দেশনায় এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল, ভোজশালার প্রকৃত প্রাচীনত্ব এবং পরিচয় উন্মোচনের জন্য শিলালিপি এবং বৈজ্ঞানিক খননগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা চালাচ্ছে৷  
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share