Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • International Family Day: আজ আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব 

    International Family Day: আজ আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফল্য হোক বা ব্য়র্থতা, সুখ বা দুঃখ, যাঁদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয় তাঁরাই পরিবার। সমাজ তৈরির সবচেয়ে ক্ষুদ্র ইউনিট বা এককও বলা যায় পরিবারকে। এই পরিবারের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ১৫ মে তারিখে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস (International Family Day 2024) পালন করা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম জাতিসংঘ এই দিবস ঘোষণা করে। মূলত প্রতিবছর জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক শান্তি সংঘ বিশ্ব পরিবার দিবসের সমস্ত আয়োজন করে আসছে। 

    এই দিনের ইতিহাস

    ১৯৮০-দশক থেকে পরিবারের উপর নজর দিতে শুরু করে ইউনাইটেড নেশনস (United Nations)। পরিবারের ভাল-মন্দ, পরিবারের বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার দিকে নজর দিতে শুরু করে ইউনাইটেড নেশনস। ১৯৯৩ সালে দুনিয়াজুড়ে পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে ও পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালনের ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এই বিশেষ দিন পালনের পিছনে রয়েছে একটি মূল কারণ। তা হল, সমাজের উন্নয়নের জন্য প্রথমে দরকার একটি সুষ্ঠু পরিবার। ছোট-বড় সকল সদস্যের নিরাপদ ও নিশ্চিত জায়গা হল পরিবার। পরিবারের পারস্পরিক সম্পর্কগুলি ও ঐতিহ্য যাতে অটুট থাকে, আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলি যাতে পরিবারগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দারিদ্র্য, পরিবারের কাজের সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস।

    আরও পড়ুন: ফের চন্দ্রাভিযান ভারতের! এবার কোথায় অবতরণ করবে মহাকাশযান?

    এই বছরের থিম

    বিশ্বের সব পরিবারই নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়। আর সেই সমস্যাগুলির সমাধান করা, সব বিপদের মোকাবিলা করার জন্যই এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের (International Family Day 2024) থিম হল পরিবার এবং জলবায়ু পরিবতর্ন (Families and Climate Change)। পরিবারের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং জলবায়ুর স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে পরিবারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরতেই এমন ভাবনা। এই দিনটিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ইভেন্ট, সেমিনার, প্রদর্শনী, জনসভা, ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে করোনাকালে এইসব ইভেন্ট করা সম্ভব নয়। তাই ভার্চুয়ালি ইভেন্ট করার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন বিশ্বের সব পরিবারের সুরক্ষা ও সহায়তা সম্পর্কে জোর দেওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: মোদির বিরুদ্ধে আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পরামর্শ

    Supreme Court: মোদির বিরুদ্ধে আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণাভাষণের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। চলতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদি- সহ বিজেপি নেতারা বিদ্বেষমূলক ভাষণ দিচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে ৷ মঙ্গলবার বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ এই মামলা খারিজ করে  আবেদনকারীকে ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের’ অর্থাৎ প্রথমে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    এদিন আবেদনকারীদের আইনজীবী আনন্দ এস জোন্ধালে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) অভিযোগ করেন, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন করে লোকসভা ভোটের প্রচারে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের কথা বলছেন মোদী। যা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। শাস্তি হিসাবে ছ’বছরের জন্য মোদীর ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করারও আবেদন জানান আইনজীবী জোন্ধালে। জবাবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ‘‘আপনি কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন? এই আবেদন জানানোর আগে আপনাকে প্রথমে কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হবে। এর পরেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি শর্মার বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    ড. ইমানি অনন্ত সত্যনারায়ণ শর্মা ও অন্যদের দায়ের করা আর একটি মামলারও এদিন শুনানি হয়। সেখানেও সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ জানিয়ে দেয় যে নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে তারা নির্দেশিকা জারি করবে না ৷ আবেদনকারীদের আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে নির্বাচন কমিশন নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না ৷ তার পরও সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশিকা এই নিয়ে জারি করতে রাজি হয়নি ৷ বিজেপির সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দুটি পোস্টকে উল্লেখ করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Railway Project: বছর পেরোলেই ট্রেনে চেপে সোজা সিকিম! রেলপথ শেষের পথে

    Sikkim Railway Project: বছর পেরোলেই ট্রেনে চেপে সোজা সিকিম! রেলপথ শেষের পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ জলপাইগুড়ি কিংবা শিলিগুড়ি নেমে গাড়ি করে সিকিম (Sikkim) যাওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে। বছর পার হলেই সরাসরি ট্রেনে পৌঁছে যেতে পারবেন সিকিম। রেলপথ নির্মাণের প্রায় ৯৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেবক রংপো রেল (Sikkim Railway Project) প্রজেক্ট শেষ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেনাও পাবে বাড়তি কৌশলগত সুবিধা।  

    চারটি টানেল নির্মাণের কাজ শেষ

    নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, “টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন তৈরির কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এগোচ্ছে। শেষ সপ্তাহেই একটি টানেল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চার নম্বর টানেল নির্মাণ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এই সুড়ঙ্গ পথ ৩৯৮৪ মিটার লম্বা। দার্জিলিংয়ের হনুমান ঝোরা দিয়ে যাবে এই সুরঙ্গ রেলপথ (Sikkim Railway Project)। প্রত্যেকটি টানেল নয়া অস্ট্রেলিয়ান মেথড ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে। হিমালয়ের কঠিন ভূতাত্বিক এবং কম্পনযুক্ত এলাকার মধ্যে দিয়ে নির্মিত হয়েছে এই চতুর্থ টানেল।

    পূর্বের রাজ্যগুলিও যুক্ত হবে ট্রেনলাইনে

    সিকিমকে রেলপথের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে চিনের সঙ্গে সামরিক দিক থেকে বাড়তি কৌশলগত সুবিধা পাবে ভারত। পূর্বের সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters State) রাজ্যগুলিকেও রেলপথের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মোদি সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে প্রথমে সিকিম রংপো রেল প্রজেক্ট চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার লম্বা রেলপথে ৫ কিলোমিটার ৩০০ মিটার টানেলটি সবচেয়ে লম্বা। পর্যটকদের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও এই রেলপথের অপেক্ষায় রয়েছেন।

    সিকিমে পৌঁছবে বন্দে ভারত

    রেল সূত্রে খবর এই পথে সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে রেল দফতরের। চিন সীমান্তের (Indo-China Border) খুব কাছাকাছি ট্রেন লাইন তৈরি হয়ে গেলে সেনাবাহিনীও পাবে বাড়তি সুবিধা। কারণ নাথুলা পাস পর্যন্ত ভারতীয় রেলপথ সম্প্রসারিত হয়ে গেলে সীমান্তে চিনের (LAC) সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে বিমানের উপর নির্ভরশীল থাকবে না ভারতীয় সেনা।

    আরও পড়ুন: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    সিকিম-রংপো রেলপথ চালু হয়ে গেলে ভারতের চিকেন নেক হয়ে উঠবে আরও শক্তিশালী। ২০২৫ সালের আগস্ট মাসের মধ্যেই এই রেলপথে (Sikkim Railway Project) ট্রেন চলবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে রেল দফতরের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মোদির প্রস্তাবক কারা ছিলেন, জানেন?

    PM Modi: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মোদির প্রস্তাবক কারা ছিলেন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপির প্রার্থী তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। প্রস্তাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ওবিসি সম্প্রদায়ের দু’জন, একজন দলিত এবং একজন ব্রাহ্মণ। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রস্তাবক হিসেবে কারা থাকবেন, তা ঠিক হয়েছিল ১৫ দিন আগেই। ৫০ জনের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় ওই চারজনকে।

    মোদির চার প্রস্তাবক (PM Modi)

    তবে সেটাও সহজে হয়নি। প্রথমে ৫০ জনের মধ্যে থেকে ১৮ জনকে বেছে নেন প্রধানমন্ত্রীর সেনাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশাল। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয় চারজনকে। এঁরা হলেন গণেশ্বর শাস্ত্রী (ব্রাহ্মণ), বৈজনাথ প্যাটেল (জনসংঘের সময় থেকে দলের বিশ্বস্ত কর্মী) ও লালচাঁদ কুশওহা (দুজনেই ওবিসি সম্প্রদায়ের) এবং সঞ্জয় সোনকর (দলিত)। অযোধ্যার রাম মন্দিরে কোন শুভ মুহূর্তে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে, তা ঠিক করেছিলেন এই গণেশ্বরই।

    মোদির পুজো-প্রার্থনা

    জানা গিয়েছে, ১৮ জনের মধ্যে থেকে এই চারজনকে বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। এদিন তিনি যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান, এই চারজন ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব। মনোনয়নপত্র পেশের আগে প্রধানমন্ত্রী ঘুরে দেখেন দশাশ্বমেধ ঘাট। সেখানে মা গঙ্গার কাছে প্রার্থনা করেন তিনি। পরে দর্শন করে কালভৈবর মন্দিরও। সেখানে পুজোও দেন।

    দেশে চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। বাকি এখনও তিন দফার ভোট। বারাণসীতে নির্বাচন হবে ১ জুন, শেষ দফায়। এই বারাণসী কেন্দ্রেই আগের দু’বার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অজয় রাই।

    আরও পড়ুুন: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন উপলক্ষে সারা শহর জুড়ে ছিল সাজ সাজ রব। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মা গঙ্গা তাঁকে শহরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বারাণসীর বাসিন্দারা তাঁকে বানারসিয়া (বারাণসীর বাসিন্দা) বানিয়ে নিয়েছেন। এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে রোড-শো-ও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 4: ফের চন্দ্রাভিযান ভারতের! এবার কোথায় অবতরণ করবে মহাকাশযান?

    Chandrayaan 4: ফের চন্দ্রাভিযান ভারতের! এবার কোথায় অবতরণ করবে মহাকাশযান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর এবার চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) এর পথচলা শুরু। ইসরোর এ যাবৎ কালের এটি সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প। চন্দ্রযান ৩ ঠিক যে জায়গায় অবতরণ করেছিল সেই শিবশক্তি পয়েন্টের কাছেই অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৪।

    চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই (Chandrayaan 4) অভিযান

    জানা গিয়েছে চন্দ্রযান ৪ অভিযানে ল্যান্ডার মডিউল, অ্যাসেন্ডার মডিউল ও দুটি উৎক্ষেপণ যান থাকবে। নমুনা সংগ্রহ করতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৪। সেখান থেকে পাথর এবং চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করবে চন্দ্রযান-৪এর রোভার। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফেরত নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এবং তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে নমুনা সংগ্রহ করা হবে তাতে জলের অণু আছে কি না, তাতে কী কী খনিজ রয়েছে, এছাড়াও চন্দ্রপৃষ্ঠের মাটির পারমাণবিক গঠন এবং ভবিষ্যতে চাঁদে উপনিবেশ গড়ে তোলা যায় কী না, সেসব দিকগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এই অভিযানে চাঁদের মাটিতে ৩৫০ কেজি ওজনের একটি অত্যাধুনিক রোভার নামাবে ইসরো। যা অল্প সময়ের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হবে। এখনও পর্যন্ত চাঁদের বৃহৎ আকারের গহ্বরে নামেনি কোন দেশের রোভার। চন্দ্রযান-৪’এর রোভারকে দক্ষিণ মেরুর গহ্বরে নামিয়ে তার উপরিভাগে অনুসন্ধান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর ।

    চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার

    প্রসঙ্গত প্রত্যাশিত সাফল্য পেয়েছিল চন্দ্রযান ৩। এই অভিযানের সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে সারা বিশ্ব। রাশিয়া কিংবা আমেরিকার তুলনায় অনেক কম খরচে ইসরোর অভিযানে নয়া দিশা দেখিয়েছে সারা বিশ্বকে। এবার শুরু হয়েছে চতুর্থ চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি। ইসরো জানিয়েছে চন্দ্রযান ৩ ঠিক যে জায়গায় অবতরণ করেছিল সেই শিবশক্তির পয়েন্টের কাছাকাছি অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৪’-এর (Chandrayaan 4) ল্যান্ডার। এক চন্দ্র দিবস চন্দ্রপৃষ্ঠে অনুসন্ধান চালাবে ওই রোভার।

    আরও পড়ুন: নতুন মাইলফলক ইসরোর, দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা

    অর্থাৎ পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন কাজ করবে সেই রোভার। ইসরোর এই অভিযান ঘিরে প্রত্যাশার পারদ বাড়তে শুরু করেছে। চন্দ্রযান ৩’-এর রোভার মোট ১৪ দিনের জন্য কাজ করলেও তাঁকে ফের ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা হয়েছিল। এবার চেষ্টা হচ্ছে যাতে ১৪ দিনের টাইমলাইনের বেশি যেন চন্দ্রজান-৪’এর রোভার কাজ করতে পারে। ইতিমধ্যেই সেই ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে ইসরো। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের বুকে যে কাজ শুরু করেছিল সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে চন্দ্রযান ৪। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাটি নমুনা সংগ্রহ করতে পারলে চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহকারী হিসেবে চতুর্থ দেশ হয়ে উঠবে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pepsico India: পাম অয়েল ছেড়ে এবার সূর্যমুখীর তেল! লে’স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পেপসিকোর

    Pepsico India: পাম অয়েল ছেড়ে এবার সূর্যমুখীর তেল! লে’স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পেপসিকোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিপস মানেই লোভনীয় চটপটা খাবার। যে খাবার কেউ অফার করলে চোট করে না বলা যায় না। একেবারে ৮ থেকে ৮০ সকলেরই প্রিয় চিপস। আর সেই চিপসের প্রথম শাড়িতেই রয়েছে লে’স। তবে যে খাবার আমরা সকলেই এত ভালোবেসে খাই সেই খাবারটি কি আদেও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর? বর্তমানে সারা বিশ্বে আলোচনা চলছে কোন খাবারের প্রভাব স্বাস্থ্যের উপর কেমন পড়তে পারে তা নিয়ে। আর সেই খাবারের তালিকাতেই প্রথমের শাড়িতে রয়েছে লে’স। যা নিয়ে গভীর দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবার এরই মধ্যে লে’স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কোম্পানি। এবার থেকে লেইস প্রস্তুতকারক সংস্থা পেপসিকো (Pepsico India) লে’স তৈরি করতে পাম তেলের পরিবর্তে সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করতে শুরু করেছে। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Pepsico India) 

    আসল বিষয় হল, পাম তেলের দাম কম থাকার কারণে এই তেল খাবার প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে পাম অয়েল দামে সস্তা হলেও তা স্বাস্থ্যের দিক থেকে কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই। আর সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে অনুমান। জানা গিয়েছে, এবার সানফ্লাওয়ার তেল দিয়ে চিপস তৈরির প্রক্রিয়ায় ট্রায়াল শুরু করেছে পেপসিকো। 

    আরও পড়ুন: কলা গাছের ছালের সুতোয় তৈরি চট, গামছাসহ আস্ত জ্যাকেট, বালুরঘাটের শিল্পীর কামাল

    শুধুমাত্র ভারতের ক্ষেত্রেই পাম তেলের ব্যবহার 

    আমেরিকায় যেখানে পেপসিকোর (Pepsico India) হেডকোয়ার্টার রয়েছে, সেখানে এই চিপসের সবচেয়ে বড় বাজার। আর সেখানে এই চিপস ‘হার্ট সুরক্ষিত রাখে’ এমন তেল দিয়ে তৈরি হয়। এই তেলের তালিকায় সানফ্লাওয়ার অয়েল, কর্ন, ক্যানোলা রয়েছে। কিন্তু পেপসিকো ভারতে তাদের জিনিসগুলোতে পামোলিন এবং পাম তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করত। তবে এখন থেকে কোম্পানিটি পামোলিনের সঙ্গে সানফ্লাওয়ার অয়েলের ব্যবহার শুরু করবে। এ প্রসঙ্গে পেপসিকো ইন্ডিয়ার (Pepsico India) মুখপাত্র জানান, সানফ্লাওয়ার অয়েল বা সূর্যমুখীর তেল দিয়ে চিপস তৈরির ট্রায়াল গত বছরই শুরু হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chabahar Port Agreement: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    Chabahar Port Agreement: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ মে, সোমবার ভারত স্বাক্ষর করেছে ঐতিহাসিক চাবাহার বন্দর চুক্তিতে (Chabahar Port Agreement)। ইরানে গিয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ভারতের জাহাজ ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তার পরে পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে ভারতের এই চুক্তিতে মধ্য এশিয়ায় ভারতের জন্য খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (Chabahar Port Agreement)

    সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “চাবাহার বন্দর চুক্তি নিয়ে আজ আমার কথা হয়েছে সতীর্থ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে। চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি গিয়েছেন ইরানে। এটা আশা করা হচ্ছে যে ভারত ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি (দশ বছরের জন্য) এই চুক্তি আজই স্বাক্ষরিত হবে। অ্যাড হক অ্যারেঞ্জমেন্টসের ভিত্তিতে এই চুক্তি হচ্ছে। এতে ভারতের দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই। যদিও ইরানের তরফে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে (এর আগেই অবশ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছে)।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যখন (Chabahar Port Agreement) এই দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যাবে, তখন এই বন্দরে বৃহত্তর বিনিয়োগের দ্বার খুলে যাবে। বন্দরটির এখনও সেভাবে নামডাক হয়নি। কারণ দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি না হলে বন্দরে মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করা খুব কঠিন। এখন যখন দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি হচ্ছে, তখন অবশ্যই ওই বন্দরে আমরা মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করব।”

    ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট ইউরোপ ইকনমিক করিডর

    বিদেশমন্ত্রী এদিন ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট ইউরোপ ইকনমিক করিডর চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন। গত বছর জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারত। সেখানেই এই চুক্তি হয়। জয়শঙ্কর জনান, চাবাহার বন্দর ভারতকে জুড়ে দেবে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই বন্দরের মাধ্যমে অনেকগুলি কানেকটিভিটি লিঙ্কেজ তৈরি হবে। আজ আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশের কানেকটিভিটি একটা বড় ইস্যু। ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর, যেটা করা হয়েছিল ইরান-রাশিয়ার সঙ্গে, এর সঙ্গে আমাদের যুক্ত করবে চাবাহার। মধ্য এশিয়াকেও যুক্ত করবে এই বন্দর।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমাদের একটা আলাদা করিডর আছে, আইএমইইসি করিডর সৌদি আরবের মধ্যে দিয়ে। তাই আমি মনে করি, চুক্তি (চাবাহার চুক্তি) নিয়ে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত আমায় অপেক্ষা করতে হবে। আপনারা জানেন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।” প্রসঙ্গত, চাবাহার বন্দর চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এদিনই ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিশেষ বিমানে ইরানে উড়ে গিয়েছিলেন জাহাজ ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

    চাবাহার বন্দর

    ইরানের এই চাবাহার বন্দর রয়েছে ওমান উপসাগরের মুখে। এর আগে প্রতি বছরের জন্য চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হলেও, এবার টানা দশ বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছে এই বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। পাকিস্তানের করাচির পাশাপাশি গদর বন্দরকে বাইপাশ করেই ইরানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ায় বাণিজ্য করতে পারবে ভারত। ব্যবসায়িক যোগাযোগের একটি নয়া রাস্তাও খুলে দেবে এই বন্দর। সংবেদনশীল এবং ব্যস্ত পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালীর বিকল্প ব্যবসায়িক রুট হিসেবেও কাজ করবে এই বন্দর (Chabahar Port Agreement)। বিভিন্ন বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ার খেলায় মেতেছে চিন। এভাবে বিভিন্ন দেশে মাতব্বরি করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না বেজিং। চিনকে টেক্কা দিতে কোমর কষে নেমে পড়েছে ভারতও। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সিট্টে বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছে ভারত। গত বছর মে মাসে মায়ানমারের ওই বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছিল নয়াদিল্লি। সেই বন্দরের উদ্বোধনও করেছিলেন সোনোয়াল। এবার ভারত নিল চাবাহার বন্দরের রশিও।

    আরও পড়ুুন: শ্রীনগরে পড়ল রেকর্ড ভোট, কী প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর?

    চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব

    ভারত ও ইরান দুই দেশের কাছেই চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বন্দর-চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারতের সঙ্গে ইরান, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার যোগাযোগের রুট হল সংক্ষিপ্ততর। চাবাহার বন্দরকে ট্রানজিট হাব বানাতে চাইছে ভারত। এর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের মাধ্যমে কমনওয়েল্থ অফ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটসের দেশগুলিতে অনায়াসে পৌঁছতে পারবে ভারত। ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার কার্গো যোগাযোগের জেরে মজবুত হবে ভারতের অর্থনীতির ভিত। সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলে চাবাহার বন্দর পরিণত হবে এই অঞ্চলের কমার্সিয়াল ট্রানজিট সেন্টারে। আইএনএসটিসি একটি মাল্টি টান্সপোর্টেশন রুট। এটি কাস্পিয়ান সাগরের মধ্যে দিয়ে ভারত মহাসাগর ও পারস্য উপসাগরে সংযোগকারী পরিবহণ রুট হিসেবে কাজ করে। ইরান এবং ভায়া রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ হয়ে ইউরোপের উত্তরাংশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ করে সুগম। মুম্বই থেকে সমুদ্র পথে শাহিদ বেহেস্তি বন্দর-চাবাহার, চাবাহার থেকে স্থলপথে কাস্পিয়ান সাগরে থাকা ইরানের আর এক বন্দর বন্দের-ই-আনজালি এবং সেখান থেকে কাস্পিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগও অনায়াস হবে চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে (Chabahar Port Agreement)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pinaki Bhattacharya: ভারতে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি ইমেল! পিছনে বাংলাদেশি পিনাকি ভট্টাচার্য

    Pinaki Bhattacharya: ভারতে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি ইমেল! পিছনে বাংলাদেশি পিনাকি ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ১৪ মে সকালে দিল্লির বেশ কয়েকটি হাসপাতালে সরাসরি ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়, বোমা বিস্ফোরণে সেগুলিকে উড়িয়ে দেওয়া হবে। এই হুমকি ফোন পাওয়ার পরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাসপাতালগুলিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে এমন চারটি হাসপাতালে ফোন করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এগুলি কোনও ভুয়ো ফোন কল হতে পারে। যদিও ফোন কল পাওয়া মাত্রই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের (Pinaki Bhattacharya) সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে হাসপাতালগুলিতে তল্লাশিও চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, দীপচাঁদ বন্ধু হাসপাতাল, দাদাদেব হাসপাতাল, হেডগেওয়ার হাসপাতাল, গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে- এই হুমকি ফোনগুলি এসেছে।

    মঙ্গলবারই প্রথম নয়

    তবে মঙ্গলবারই প্রথম নয়। ১২ মে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট সমেত আরও কতগুলি হাসপাতালে সিরিয়াল বোমা বিস্ফোরণের হুমকি ইমেল আসে। চলতি মাসের শুরুতেই আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের হুমকি চিঠি আসে। যেখানে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। এর ফলে মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করতে থাকে। যে জায়গাগুলিকে বোমা বিস্ফোরণে ওড়ানোর কথা বলা হয়, সেখানে (Pinaki Bhattacharya) পুলিশে বোম স্কোয়াডস হাজির হয়। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের তদন্ত করার পরে পুলিশ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে এই হুমকি মেলগুলির পুরোটাই ছিল মিথ্যা।

    পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে

    তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এর পিছনে কোনও বড় রকমের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা! বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিল্লির স্কুলগুলি ছাড়াও গৌতম বুদ্ধ নগরের আরও কয়েকটি স্কুল যেগুলি নয়ডা, গুরুগ্রাম ইত্যাদি জায়গায় অবস্থিত সেখানেও একই ধরনের হুমকি মেল এসেছে। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মনোজ মিনা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, উত্তর দিল্লির বুরারির এক হাসপাতালে বোমার হুমকি ইমেল চিঠি এসেছিল। সেখানে বোম নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। ওই হাসপাতালের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক আশিস কয়াল বলেন, ”আমার ফোনে হাসপাতালের ইমেলের অ্যাক্সেস আছে। ওই ইমেলে বলা হয়, হাসপাতালে একটি বোম রাখা আছে। আমি এটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছিলাম।”

    পিনাকী ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya) ভারত বিরোধী একজন ব্যক্তি

    গোয়েন্দাদের অনুমান, এই সমস্ত হুমকি চিঠিগুলির পিছনে রয়েছে পিনাকি ভট্টাচার্য নামের এক কট্টর ভারত ও হিন্দু বিরোধী। যার নাম হিন্দুদের মতো হলেও সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে বহু আগেই। বর্তমানে ফ্রান্সে বসে এই ধরনের হুমকি ইমেল হাসপাতাল ও স্কুলগুলিতে সে পাঠায়। সে এই চক্রের মাথা। ভারত বিরোধী অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য সে ফ্রান্সের মাটি ব্যবহার করছে, এমনটাই অভিযোগ। পিনাকি ভট্টাচার্য ভারত বিরোধী একজন ব্যক্তি। যে সবসময় হিন্দু, ভারতবর্ষ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতাদের লক্ষ্য করে সর্বদাই ঘৃণার ভাষণ ছড়ায়।

    ইউটিউবে চ্যানেল খুলে সে এই জেহাদ চালায়

    ইউটিউবে চ্যানেল খুলে সে এই জেহাদ চালায়। বর্তমানে তার ১৬ লাখেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এই চ্যানেলকে ব্যবহার করেই ভারত ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার ডাক দেয় পিনাকি ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নাগরিক পিনাকি সেদেশে থাকার সময় সেক্স ট্যাবলেট সহ অন্যান্য চিনা নকল ওষুধ তৈরি করতে থাকে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ উঠতেই সে ফ্রান্সে আশ্রয় চায়। পরে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে হিন্দু ও ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রচার শুরু করে।

    পিনাকির জেহাদ

    ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর পিনাকি ভট্টাচার্য তার একটি ফেসবুক পোস্টে লেখে, ”জেহাদই হল বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইজরায়েলকে নির্মূল করার একমাত্র উপায়। আমার সমস্ত অনুরাগী ও অনুগামীদের এই কাজে যোগদান করা উচিত।” উল্লেখ্য, পিনাকি ভট্টাচার্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের প্রতি খোলাখুলি সমর্থন প্রকাশ করেছে। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইজরায়েলের উপর হামাসের যে হামলা, সেটিকে তাতে সে খুবই আনন্দিত বলে জানিয়েছে।

    আর্থিক ফান্ডিং কোথা থেকে পায়

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, জামাত-ই-ইসলামের পাশাপাশি আল কায়দা সমেত বিএনপি দলও ব্যাপক আর্থিক ফান্ডিং করে পিনাকি ভট্টাচার্যকে। ফ্রান্সে বসে সে এভাবে জেহাদের কাজ চালিয়ে যায়। বাংলাদেশে বর্তমানে চলছে উগ্র মৌলবাদীদের বয়কট ইন্ডিয়া আন্দোলন। এই আন্দোলনে পিনাকি ভট্টাচার্য খোলাখুলি ইউটিউব চ্যানেলে তার দর্শকদেরকে ভারত বিরোধী প্রচারে অংশ নিতে বলছে। ব্রিটেন, ইজরায়েল, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সমেত অন্যান্য যেকোনও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিরুদ্ধেও ঘৃণার প্রচার করে পিনাকি ভট্টাচার্য। জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানায় সে। আফগানিস্তানের তালিবানদেরও বড় সমর্থক পিনাকি। শুধু তাই নয়, তার ঘৃণার প্রচার এতটাই বেশি যে প্রতিটি হিন্দুকে জারজ হিসেবে বলে উল্লেখ করেছে সে।

    পিনাকির বায়োডেটা

    বাংলাদেশের বোগরা জেলার জলেশ্বরী তলায় ১৯৬৭ সালে জন্ম পিনাকির। বাবা শ্যামল ভট্টাচার্য ছিলেন স্কুল শিক্ষক। পড়াশোনায় ভালো পিনাকি ভর্তি হয়েছিল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে। পাশ করে বের হয় ১৯৯২ সালে। অধঃপাতের সূত্রপাত সেখানেই। কলেজে পড়াকালীনই জামাতের সংস্পর্শে আসে পিনাকি। পরে হয় মুসলমান। এর পরেই পিনাকির সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেন শ্যামলবাবু। পিনাকির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তার স্ত্রীও, যখন তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামীর যোগাযোগ রয়েছে আইএসআই, জিহাদি এবং জঙ্গিদের সঙ্গে। ফ্রান্সে ঘাঁটি গেড়ে বসা পিনাকি হাওয়ালার ব্যবসা শুরু করেছে, সঙ্গে চালাচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলও। তার চ্যানেলের সিংহভাগ দর্শকই অর্ধশিক্ষিত। মূলত বাংলাদেশি শ্রমিক যাঁরা কর্মসূত্রে ছড়িয়ে রয়েছেন মালয়েশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি একটি ভিডিওয় পিনাকির দাবি, বাংলাদেশের ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেন থামাতে ভারত প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছে।

    হিন্দু ধর্মকে ছোট করতে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করছে পিনাকি

    ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পিনাকি উগ্রপন্থী। সেই হিন্দু এবং ভারত-বিরোধী সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। হিন্দু ধর্মের অপমান করতে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে সে। হিন্দুদের সে বেজন্মা বলে গালিও দিচ্ছে। বাংলাদেশের যেসব মানুষ এবং সংবাদ মাধ্যম ভারতপন্থী, তাদেরও খিস্তি-খেউড় করছে সে। হিন্দু ধর্মকে ছোট করতে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করছে পিনাকি। হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে বাংলাদেশি তরুণদের উদ্বুদ্ধও করছে এই বিধর্মী (Pinaki Bhattacharya)!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আসছে বর্ষা! সুখবর জানাল আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আসছে বর্ষা! সুখবর জানাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দেরি নেই। বেশিদিন আর সূর্যের তাপে নাজেহাল হতে হবে না। কারণ এবছর নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই দেশে ঢুকছে বর্ষা। আবহাওয়া (Weather Update) দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী স্বাভাবিক সময়ের আগেই ১৯ মে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা (Monsoon Arrival) প্রবেশ করতে পারে। তবে আগামী কয়েকদিন বঙ্গে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস (Weather Update)

    যদিও জুনের প্রথম সপ্তাহেই বর্ষার (Weather Update) প্রবেশের অফিসিয়াল টাইম। কিন্তু এবার বর্ষার আগমন হতে চলেছে তার আগেই। সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে ও আন্দামান সাগরে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশে করতে চলেছে ১৯ মে নাগাদ। তাই এবার আগেভাগেই ভারত ভূখণ্ডে বর্ষা ঢুকতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। 

    দিল্লির মৌসম ভবনের পূর্বাভাস 

    আবহাওয়াবিদদের মতে এবছর কেরলে বর্ষা (Monsoon Arrival) প্রবেশ করতে চলেছে ২৬ মের মধ্যে। তার পরবর্তী ৭ থেকে ১৩ দিনের মাথায় বর্ষা দেশের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে প্রবেশ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে এবার স্বাভাবিকের তুলনায় ৭ থেকে ১১ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি পেতে চলেছে দেশ। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিল্লির মৌসম ভবনের। ফলে দীর্ঘ হবে বর্ষাকাল। আইএমডির রিপোর্ট অনুসারে, চলতি বছর গড়ে ৮৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হবে ভারতে। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম আবহাওয়া (Weather Update) দফতর বর্ষায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।  

    তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী 

    তবে সময়ের আগে বর্ষা আসলেও আপাতত কয়েকদিন তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখীই (Weather Update) থাকবে। আবহাওয়া দফতর তরফে জানানো হয়েছে আগামী পাঁচ দিনে পারদ শুধুই উপরে উঠবে। তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রা আবারও ৪০ ডিগ্রি পেরোতে পারে বেশ কিছু জেলাতে। অর্থাৎ এবার হাওয়াবদলের পালা শুরু। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলি ছাড়া আর সেভাবে কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গেও। 

    আরও পড়ুন: তৃতীয় দফার থেকে চতুর্থ দফায় সামান্য এগিয়ে ভোটের হার, জানাল কমিশন

    এল নিনোর প্রভাব

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতর মনে করছে, এল নিনোর প্রভাবে বর্ষার প্রথম ভাগে তাপমাত্রার এই পরিবর্তন ঘটছে। যা মোটামুটি জুলাই অবধি চলবে। এরপর বৃষ্টি বাড়বে (Monsoon Arrival)। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগও বাড়বে সারা দেশে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফার থেকে চতুর্থ দফায় সামান্য এগিয়ে ভোটের হার, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফার থেকে চতুর্থ দফায় সামান্য এগিয়ে ভোটের হার, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম তিন দফার পর চতুর্থ দফাতেও  নির্বিঘ্নে ভোট (Lok Sabha Election 2024) হল। আর ভোট দানের হারে প্রথম তিন দফার থেকে এগিয়ে রইল চতুর্থ দফা। সোমবার চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গের আট লোকসভা কেন্দ্র-সহ দেশের মোট ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ ছিল। ভোট হয়েছে দেশের ৯টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। অন্ধ্রপ্রদেশ (২৫) এবং‌ তেলঙ্গানা (১৭)-র সব আসনেই ভোট হয়েছে সোমবার। তাছাড়াও উত্তরপ্রদেশের ১৩টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, মধ্যপ্রদেশের ৮টি, ওড়িশার ৪টি, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের ৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে চতুর্থ দফায়। 

    কোথায় কত ভোটদানের হার? (Lok Sabha Election 2024) 

    কমিশন তরফে জানা গেছে চতুর্থ দফায় ভোটদানের হার ৬৭.৭১ শতাংশ। যা তৃতীয় দফার থেকে একটু এগিয়ে। কারণ তৃতীয় দফায় ভোটের হার ছিল ৬৫.৬৮%। চতুর্থ  দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে ৭৮.৩৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট (Lok Sabha Election 2024) পড়েছে জম্মু এবং কাশ্মীরে। সেখানে ভোট পড়েছে ৩৭.৯৮ শতাংশ। এ ছাড়াও, অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৮.৩৬ শতাংশ, ওড়িশায় ৭৩.৯৭ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৭০.৯৮ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ৬৫.২ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৬৪.৭৪ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৯.৬৪ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৮.০৫ শতাংশ, বিহারে ৫৭.০৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

    ভোটদানের হারে এগিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা

    ভোটদানের (Lok Sabha Election 2024) হারে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা। লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর চতুর্থ দফা ছাড়াও, দুটি রাজ্য-অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশা-তে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট সোমবার শেষ হয়েছে। অন্ধ্র ও ওড়িশায় (Andhra Pradesh-Odisha) সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে। 

    আরও পড়ুন: ধুলো ঝড়ে বিপর্যস্ত মুম্বই! মৃতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ-জানালেন শিন্ডে 

    এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ভোট (Lok Sabha Election 2024) হয়েছে চার দফায়। গত ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে ছিল প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট। এরপর আগামী ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন রয়েছে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট। যদিও চতুর্থ দফাতে সব থেকে বড় চিন্তা ছিল কাশ্মীরকে নিয়ে। কিন্তু সেখানেও নির্বিঘ্নেই সমস্ত কিছু মিটে গিয়েছে। এমনকী পশ্চিমবঙ্গেও দু-একটি ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নেই মিটেছে ভোটপর্ব (Lok Sabha Election 2024)। পাশাপাশি দেশের অন্য কোনও প্রান্ত থেকেও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share