Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: “শ্রীলঙ্কাকে কচ্ছতিভু দ্বীপ দিয়েছিল কংগ্রেস, ওদের বিশ্বাস নেই”, তোপ মোদির

    PM Modi: “শ্রীলঙ্কাকে কচ্ছতিভু দ্বীপ দিয়েছিল কংগ্রেস, ওদের বিশ্বাস নেই”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেসকে বিশ্বাস করবেন না। ওরা শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল কচ্ছতিভু দ্বীপ।” রবিবার বোমা ফাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “চোখ খুলে দেওয়া ও চমকে ওঠার মতো বিষয়। নয়া তথ্য উঠে এসেছে। তাতে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কচ্ছতিভু দান করে দেওয়া হয়েছিল। এতে প্রত্যেক ভারতীয় ক্ষুব্ধ। মানুষ বুঝে গিয়েছে, আমরা কখনও কংগ্রেসকে ভরসা করতে পারব না।”

    আরটিআইয়ে কী জানা গেল? (PM Modi)

    তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান কে আন্নামালাই তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন, কীভাবে শ্রীলঙ্কার হাতে ‘মা ভারতীর’ অংশ কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করার পর তিনি জানতে পারেন, ১৯৭৪ সালে ইন্দো-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক চুক্তির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার হাতে ১৬৩ একরের কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধী সরকার। সেই সময় ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তথ্য জানার অধিকার আইনে দ্বীপ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কচ্ছতিভু দ্বীপ

    তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল এসম সি সেতালবাদ জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি (PM Modi) নিয়ে দিনের আলোর মতো স্বচ্ছতা না থাকলেও, ওই দ্বীপের ওপর ভারতের বেশি অধিকার আছে। ভারতের হাতেই কচ্ছতিভু দ্বীপ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন সেতালবাদ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তৎকালীন যুগ্ম সচিব কে কৃষ্ণ রাও জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে শ্রীলঙ্কা যে দাবি করছে, সেটার মজবুত ভিত্তি আছে। তবে কচ্ছতিভু দ্বীপে মাছ ধরার অধিকার পওয়ার জন্য ভারতের হাতে আইনি সুযোগ আছে বলেও সওয়াল করেছিলেন কে কৃষ্ণ রাও। যদিও এখনও কচ্ছতিভু দ্বীপ অঞ্চলে মাছ ধরতে গেলে তামিল মৎস্যজীবীদের ধরপাকড় করে (PM Modi) শ্রীলঙ্কা। অথচ ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে নির্বিঘ্নে মাছ ধরতে পারতেন তামিল মৎস্যজীবীরা। 

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতের গড়ে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর, প্রধান ইস্যু ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Punjab Girl Dies: অনলাইনে কেনা জন্মদিনের কেক খেয়ে অসুস্থ বালিকা, হাসপাতালেই নিভল জীবনদীপ

    Punjab Girl Dies: অনলাইনে কেনা জন্মদিনের কেক খেয়ে অসুস্থ বালিকা, হাসপাতালেই নিভল জীবনদীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিন। কেক কাটছে বছর দশেকের মানভি। হইহই করছে প্রতিবেশীদের বাচ্চারা। সমস্বরে গাইছে, ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’। অনলাইনে অর্ডার করা (Punjab Girl Dies) কেকের ওপর বড় বড় করে ইংরেজিতে লেখা ‘মানভি’।

    জন্মদিনের পার্টিতে কান্নার সুর (Punjab Girl Dies)

    কেক কাটার আগে প্রথা মেনে মোমবাতিও নিভিয়েছে বছর দশেকের ওই বালিকা। যদিও বার্থ-ডে পার্টিতে উপস্থিত কেউই জানতেন না যে মোমবাতির দীপ নিভে যাওয়ার পরে পরেই নিভে যাবে মানভির জীবনদীপও। জন্মদিনের পার্টির হুল্লোড়ে তখন শোকের পরিবেশ। যে মুখগুলো এতক্ষণ ধরে হ্যাপি বার্থ-ডে গাইছিল, সেই মুখগুলোতেই হাহাকার করা কান্নার সুর। ঘটনাটি তবে (Punjab Girl Dies) খুলেই বলা যাক। পাঞ্জাবের পাতিয়ালার বাসিন্দা বছর দশেকের মানভির জন্মদিনের পার্টি ছিল। জন্মদিন উপলক্ষে অনলাইনে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল কেক।

    বরাত জোরে বেঁচে গেল মানভির বোন

    শনিবার সন্ধেয় কেক কাটা হয়। মানভির বাড়ি তখন কচিকাঁচার কলকাকলিতে ভরপুর। ওদিকে হেঁসেলে চলছে রকমারি রান্না। সুগন্ধে ম ম করছে মানভির বাড়ি। মোমবাতি নিভিয়ে কেক কেটে প্রথম টুকরোটি মুখে নেয় মানভি ও তার বোন। উপস্থিত বাচ্চারা অবশ্য কেক খায়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে দুই বোন। ঘন ঘন বমি করতে থাকে। দ্রুত তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানভিকে মৃত ঘোষণা করেন। মানভির দাদু হারবান লাল বলেন, “মানভির বোন বেঁচে গিয়েছে। গোটা কেকটা ও বমি করে বের করে দিয়েছিল। তাই চিকিৎসকরা ওকে বাঁচাতে পেরেছেন।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপির ভোট কাটতেই সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে যাদবপুরে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মানভির পরিবারের তরফে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। যদিও সংস্থার দাবি, মানভির পরিবারে কোনও কেক এদিন সরবরাহ করা হয়নি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মানভির পোস্টমর্টেম হয়েছে। পরীক্ষার জন্য কেকের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে তারা (Punjab Girl Dies)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Himanta Biswa Sarma: “২০২৬ এর মধ্যে অসম কংগ্রেসে হিন্দু থাকবেন না”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “২০২৬ এর মধ্যে অসম কংগ্রেসে হিন্দু থাকবেন না”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের মধ্যে অসম কংগ্রেসে কোনও হিন্দু থাকবেন না।” লোকসভা নির্বাচনের প্রক্কালে কথাগুলি বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। শনিবার গুয়াহাটিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে গিয়েছিলেন হিমন্ত। লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতেই সদর দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। পরে নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

    কী বললেন হিমন্ত? (Himanta Biswa Sarma)

    হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালের মধ্যে অসমে কোনও হিন্দু কংগ্রেসে থাকবেন না। আর ২০৩২ সালের মধ্যে প্রায় সব মুসলমানও কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন। রাজীব ভবনে মহানগর বিজেপির শাখা খুলব আমরা। আগামিকাল (আজ, রবিবার) অনেক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন।” তিনি বলেন, “গুয়াহাটিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রভারিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এদিনই কংগ্রেসের তিনজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকি কয়েকজন যোগ দেবেন রবিবার। আমি মাজুলিতে যাব। পয়লা এপ্রিল সেখানে সাইকেল মিছিল দিয়ে আমি লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করব।”

    ‘মুসলমান সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা’

    মুসলমানদের উন্নয়নে যে তাঁর সরকার কাজ করছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “মুসলমানদের সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা আমি করছি। অনেক মুসলমান যুবক আমায় সমর্থন করছেন। সেটা আপনারা ফেসবুকেই দেখতে পাবেন। তাঁরা একে স্বাগতও জানাচ্ছেন। কেউই এখনও এর বিরোধিতা করেননি।” লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জোড়হাট কেন্দ্রে জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। বলেন, “একটা অংশ আমার বিরুদ্ধে বিরূপ পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু আসল সত্যটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।”

    কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ

    এদিকে, শনিবারই কংগ্রেস ছেড়ে তিন নেতা যোগ দিলেন অসম বিজেপিতে। এঁরা হলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানস বোরা, গৌরব গগৈ এবং অসম প্রদেশ কংগ্রেসের আর এক সাধারণ সম্পাদক গৌরব সোমানি। দলীয় নেতৃত্বকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে মানস লিখেছেন, “আমি মনে করি নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর এটাই আমার কাছে সেরা সুযোগ। এলাকাবাসী এবং রাজ্যের কল্যাণেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ইস্তফাপত্রে সোমানি আবার দুষেছেন (Himanta Biswa Sarma) দলের রাজ্য নেতৃত্বকেই।

    আরও পড়ুুন: “গোপাল ভাঁড়কে খুন করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র”, দাবি মন্ত্রীর, মামলার হুমকি রানিমার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Delhi Liquor Policy Case: আবগারি দুর্নীতিতে কেজরিওয়ালের মন্ত্রীকে ৫ ঘণ্টা জেরা ইডির

    Delhi Liquor Policy Case: আবগারি দুর্নীতিতে কেজরিওয়ালের মন্ত্রীকে ৫ ঘণ্টা জেরা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ক্রমশই জাল গুটিয়ে আনছে ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এ বার দিল্লির আপ সরকারের (Delhi Liquor Policy Case) মন্ত্রী কৈলাস গেহলটকে ৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিকাংশ প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেন নি গেহলট। ইডির দাবি, মোবাইলের সিম একটা ব্যবহার করলেও, কৈলাসের ফোনে তিনবার বদল করা হয়েছে IMEI নম্বর।

    আবগারি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কৈলাস

    জানা গিয়েছে, দিল্লি সরকারের বিতর্কিত আবগারি দুর্নীতিতে (Delhi Liquor Policy Case) যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কৈলাস গেহলট। এর আগেও তাঁকে এই মামলায় জেরা করতে করতে চেয়ে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু দিল্লি বিধানসভার অধিবেশন চলছে, এই যুক্তি দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। তার পর কৈলাসের কাছে যায় ইডির দ্বিতীয় সমন। শনিবার সেই সমনের ভিত্তিতেই হাজিরা দিলেন কৈলাস।

    কী বললেন কৈলাস

    আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালেই গ্রেফতার হয়েছিলেন আপ নেতা বিজয় নায়ারকে। তখনই অভিযোগ ওঠে, দিল্লির সিভিল লাইনে কৈলাসের জন্য বরাদ্দ করা বাংলোয় থাকতেন বিজয়। এবিষয়ে কৈলাস বলেন, “আমি সর্বদাই বলে এসেছি যে, আমি কখনও সরকারের (Delhi Liquor Policy Case) দেওয়া বাংলোয় থাকিনি। কারণ, আমার স্ত্রী এবং সন্তানেরা বসন্ত কুঞ্জ থেকে সিভিল লাইনে আসতে চায়নি। আমি সিবিআইকেও এই কথা জানিয়েছিলাম। আজও একই কথা জানালাম।” এর পাশাপাশি কৈলাস জানিয়েছেন, বিজয় যে তাঁর বাংলোয় থাকতেন, সে কথা তিনি জানতেন না।

    ১০০ কোটির আবগারি দুর্নীতি

    ইডির দাবি, বিতর্কিত আবগারি নীতিতে (Delhi Liquor Policy Case) নির্দিষ্ট ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিল আপ। সেই টাকার অনেকটাই খরচ করা হয় গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে। এই প্রসঙ্গে কৈলাসের দাবি, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাঁর কথায়, “আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। কারণ, আমি গোয়ার নির্বাচনী প্রচার পরিকল্পনার অংশ ছিলাম না। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে ইডি। আবগারি নীতি এমনভাবে তৈরি করা হয় যে খুচরো ব্যবসায়ীদের ১৮৫ শতাংশ লাভের কথা বলা হয় সেখানে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ লাভের কথা বলা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: প্লাস্টিক পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে তৈরি জ্যাকেট পরেই গেটসের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

    PM Modi News: প্লাস্টিক পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে তৈরি জ্যাকেট পরেই গেটসের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi News) সঙ্গে ধনকুবের বিল গেটসের একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়। জানিয়ে সর্বত্রই চর্চা চলছে। মোদি-গেটসের বৈঠকে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়। কিন্তু এর পাশাপাশি বৈঠকের অন্য আকর্ষণ রয়েছে। তা হল নরেন্দ্র মোদির পোশাক চয়ন। এটিই যেন ‘টক অফ দ্য টাউন’ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি পরেছিলেন একটি সাদা কুর্তা-পাজামা। কুর্তার ওপরে চাপানো ছিল নীল রঙের স্লিভলেস সাদরি অথবা জ্যাকেট। এই জ্যাকেটের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এটি তৈরি হয়েছে প্লাস্টিক পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে।

    প্ল্যাস্টিকের জ্যাকেট নিয়ে কী বললেন মোদি? 

    নরেন্দ্র মোদির জ্যাকেটটি (PM Modi News) সম্পর্কে কৌতূহল প্রকাশ করেন বিল গেটস। জ্যাকেট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদি বিল গেটসকে বলেন, ‘‘এটা তৈরি করা হয়েছে পুরনো কিছু কাপড় এবং ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বর্জ্য প্লাস্টিক পদার্থ দিয়ে।’’ ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দূষণের বিস্তার থেকে জলবায়ুর পরিবর্তনে যখন অন্যতম উদ্বেগজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য, সেই সময় প্লাস্টিক বর্জ্য যে পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে হাল ফ্যাশনের ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব, এদিন যেন সেই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুুন: রাজনাথের নেতৃত্বে এবার ইস্তাহার কমিটি বিজেপির, কারা রয়েছেন জানেন?

    এর আগেও জি-৭ সামিটে প্ল্যাস্টিকের জ্যাকেট পরেছিলেন মোদি

    তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও এমন জ্যাকেট পরেছিলেন মোদি। গতবছরেই জাপানে বসে জি-৭ সামিট। সেখানেও দেখা যায় মোদিকে প্ল্যাস্টিকের জ্যাকেট (PM Modi News) পরতে। তার আগে ২০২৩ সালের  ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদে একই প্ল্যাস্টিকে জ্যাকেট পরে আসেন তিনি। ইন্ডিয়ান অয়েল-এর তরফে ওই জ্যাকেটটি তৈরি করা হয়েছিল এবং ওই সংস্থা প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন প্লাস্টিক বোতল রিসাইকেল করার লক্ষ্য়মাত্রা নিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

     

    আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Lalla: দাবদাহে পুড়ছে অযোধ্যা, স্বস্তি দিতে রামলালাকে পরানো হচ্ছে সূতির পোশাক

    Ram Lalla: দাবদাহে পুড়ছে অযোধ্যা, স্বস্তি দিতে রামলালাকে পরানো হচ্ছে সূতির পোশাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবদাহে পুড়ছে দেশ। প্রখর গরমে হাঁসফাঁস দশা মানুষের। কষ্ট পান ভগবানও। তাই অযোধ্যায় আজ, ৩০ মার্চ থেকে রাম মন্দিরের বিগ্রহ রামলালাকে (Ram Lalla) পরানো হচ্ছে সূতির পোশাক। রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে রামলালার সূতির পোশাক পরা ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, “যে বস্ত্র আজ প্রভু পরেছেন, সেটি হ্যান্ডলুম কটন মলমল, প্রাকৃতিক নীল রংয়ে রাঙানো। বিগ্রহকে সাজানো হয়েছে গোট্টা ফুল দিয়ে।”

    ‘আত্মবৎ’ সেবা (Ram Lalla)

    হিন্দু শাস্ত্রে দেব বিগ্রহকে ‘আত্মবৎ’ সেবার কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ হল, ভক্ত তাঁর আরাধ্যকে পুজো করবেন সেইভাবে, যেভাবে তিনি নিজের আত্মার তৃপ্তি সাধন করেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ধারণা থেকেই গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে যাতে রামলালাকে (Ram Lalla) কিছুটা স্বস্তি দেওয়া যায়, তাই পরানো হয়েছে সূতির পোশাক। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। সেদিনই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। যেহেতু পাঁচ বছর বয়সের বালকের প্রতিমূর্তি এই বিগ্রহ, তাই নাম রাখা হয় ‘বালক রাম’। ৫১ ইঞ্চির এই মূর্তির রূপ অনিন্দ্যসুন্দর। এই মূর্তিকেই এদিন থেকে পরানো হচ্ছে সূতির পোশাক।

    দোরগোড়ায় রামনবমী

    এদিকে, এগিয়ে আসছে রামনবমী। তার দিন চারেক আগেই বাংলা নববর্ষ। তাই এই মরশুমে অযোধ্যায় নামবে ভক্তের ঢল। সেকথা মাথায় রেখেই শুক্রবার বৈঠকে বসেছিলেন হনুমানগড়ি মন্দির কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অযোধ্যার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। এই বৈঠকে পানীয় জলের ব্যবস্থা কী করা যায়, শৌচাগারেরই বা কী হবে, ভক্তদের পা যাতে প্রচণ্ড গরমে পুড়ে না যায়, তা নিয়ে কী করা হবে – এসব নিয়েই হয়েছে আলোচনা। প্রসঙ্গত, এই বৈঠকেরই দিন কয়েক আগে প্রখর তাপ ও জলের অভাবে কয়েকজন ভক্ত অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছিলেন হনুমানগড়ি মন্দির কর্তৃপক্ষ (Ram Lalla)।

    আরও পড়ুুন: রাজনাথের নেতৃত্বে এবার ইস্তাহার কমিটি বিজেপির, কারা রয়েছেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: রাজনাথের নেতৃত্বে এবার ইস্তাহার কমিটি বিজেপির, কারা রয়েছেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: রাজনাথের নেতৃত্বে এবার ইস্তাহার কমিটি বিজেপির, কারা রয়েছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা ছত্রখান। তবে ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) রণাঙ্গনে আস্তিন গুটিয়ে নেমে পড়েছে বিজেপি। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে হবে নির্বাচন। তার মধ্যে প্রায় ৪০০ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে পদ্ম শিবির। অন্তত ৩৭০টি আসন জয়ের লক্ষ্যে নেমেছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের দল।

    ইস্তাহার কমিটি (Lok Sabha Elections 2024)

    এমতাবস্থায় ইস্তাহার প্রকাশের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করল গেরুয়া পার্টি। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কমিটিতে রয়েছেন স্মৃতি ইরানিও। রাজনাথের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে সব মিলিয়ে রয়েছেন ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। তিনি কমিটির আহ্বায়ক। সহযোগী আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    কারা রয়েছেন কমিটিতে?

    বিজেপির (Lok Sabha Elections 2024) এই হেভিওয়েট নেতারা ছাড়াও রয়েছেন আরও কয়েকজন দক্ষ নেতা। এঁরা হলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণু, রাজীব চন্দ্রশেখর, কিরেণ রিজিজু, অর্জুন মুণ্ডা। রয়েছেন অর্জুন রাম মেঘওয়াল, ভূপেন্দ্র যাদব, বিষ্ণু দেও সহি, ভূপেন্দ্র প্যাটেল, শিবরাজ সিং চৌহান, মোহন যাদব, বসুন্ধরা রাজে, রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলকে ৩৭০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনডিএর বাকি শরিকদের তিনি বলেছেন অন্তত ৩০টি আসন পেতে। তাহলেই পূরণ হবে ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা। লোকসভা নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সেই প্রত্যয়ী সুর শোনা গিয়েছে একাধিক জনসভায়। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের কারণেই যে দেশবাসী তাঁকে হাত উপুড় করে ভোট দেবেন, সে বিষয়েও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হল প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী সহ চারজনকে

    মোদিই যে ক্ষমতায় ফিরছেন, তা আঁচ করে ফেলেছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়করা। মোদি ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ধরে নিয়ে তাঁকে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নিমন্ত্রণ করে রেখেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও। ভুটান সরকার মোদিকে দিয়েছেন সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। এসব সত্ত্বেও গত বারের চেয়ে এবার আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণেই গঠন করা হয়েছে নানা কমিটি। রাজনাথের (Lok Sabha Elections 2024) নেতৃত্বে এবার গড়া হল ইস্তাহার কমিটিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu and Kashmir: মুসলিম শাসকরা ভেঙেছিলেন, ফের নির্মাণের পথে জম্মু-কাশ্মীরের মার্তন্ড সূর্য মন্দির

    Jammu and Kashmir: মুসলিম শাসকরা ভেঙেছিলেন, ফের নির্মাণের পথে জম্মু-কাশ্মীরের মার্তন্ড সূর্য মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার (Jammu and Kashmir)। প্রাচীন মার্তন্ড সূর্য মন্দিরকে পুনরায় স্থাপন করার ঘোষণা করল উপত্যকার প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিকদের মতে, এই সূর্য মন্দিরকে ধ্বংস করেছিলেন মুসলিম শাসক সিকন্দার বুটসিকান। মনে করা হয় এই মন্দির স্থাপন করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজা ললিতাদিত্য। তাঁরও মূর্তি বসছে মন্দির প্রাঙ্গণে। গত ২৭ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রশাসন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন নীরজ পান্ডে, জম্মু-কাশ্মীরের সরকারের সেক্রেটারি হিসেবে।

    সম্প্রতি মন্দির পরিদর্শন করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়। তার আগেই সঙ্ঘ পরিবারের কর্মসূচি অনুযায়ী দেশের প্রতিটি প্রান্তেই পাঠানো হয় অক্ষত চালের কলস। সেই রকমই কলস পাঠানো হয়েছিল অনন্তনাগ জেলার সূর্য মন্দিরের প্রাজ্ঞণে। যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ুর রামভক্তরা। গত মাসেই কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহা পরিদর্শন করেন মার্তন্ড সূর্য মন্দির (Jammu and Kashmir) এবং সেখানে তাঁকে পুজো করতেও দেখা যায়। তাঁর ভাষণে উঠে আসে শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির কথাও।

    আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মন্দিরের ইতিহাস 

    মনে করা হয়, অষ্টম শতাব্দীতে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল। ১৩৮৯ থেকে ১৪১৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বেশ কয়েকবার মন্দিরকে ধ্বংস করতে আক্রমণ চালায় মুসলিম শাসকরা (Jammu and Kashmir)। বিশ্বাস, হিন্দু শাসক ললিতাদিত্য এই মার্তন্ড সূর্য মন্দির তৈরি করেছিলেন। তিনি সূর্যের উপাসক ছিলেন। সূর্যবংশীয় রাজা ললিতাদিত্য। মন্দিরের নির্মাণশৈলী সম্পূর্ণভাবে বাস্তুশাস্ত্র মেনে তৈরি করা হয়েছে। সেটি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে সূর্য মূর্তিতে যেন সূর্যের আলো পড়তে পারে।

    আরও পড়ুন: সুকান্তের সমর্থনে মিছিলে হাঁটলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা, তুলে ধরলেন সন্ত্রাসের কথা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Patna High Court: সঙ্গীকে ‘ভূত’ বা ‘পিশাচ’ সম্বোধন ‘নিষ্ঠুরতা’ নয়, পর্যবেক্ষণ পাটনা হাইকোর্টের

    Patna High Court: সঙ্গীকে ‘ভূত’ বা ‘পিশাচ’ সম্বোধন ‘নিষ্ঠুরতা’ নয়, পর্যবেক্ষণ পাটনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সঙ্গীকে শুধুমাত্র ‘ভূত’ বা ‘পিশাচ’ বলে সম্বোধন করা ‘নিষ্ঠুরতা’ নয়। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ পাটনা হাইকোর্টের (Patna High Court)। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চে চলছিল এই মামলা। সংশ্লিষ্ট মামলায় উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বৈবাহিক সম্পর্কে অনেক সময়েই স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন। কিন্তু এই ধরনের সমস্ত অভিযোগই নিষ্ঠুরতার মধ্যে আসে না।

    কী নিয়ে অভিযোগ

    ঝাড়খণ্ডের বোকারোর বাসিন্দা নরেশকুমার গুপ্তর বিয়ে হয়েছিল বিহারের নওয়াদার এক মহিলার সঙ্গে। কিন্তু ১৯৯৪ সালে ওই মহিলার বাবা তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়ের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের টাকার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিল। শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ জানানো হয়। তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়। তদন্তের পর পুলিশ চার্জশিট করে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তাঁদের নাম ছিল সেই চার্জশিটে। সেই অনুযায়ী, ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশে এক বছরের জেলের শাস্তি হয় অভিযোগকারীর জামাইয়ের। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “ভারত এমন দেশ নয়, যাকে অন্যের উপদেশ নিতে হবে”, বললেন ধনখড়

    আদালতে সওয়াল

    সংশ্লিষ্ট মামলায় প্রথমেই স্ত্রীকে ‘পিশাচ’ বলায় স্বামী নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন সওয়ালের এমন যুক্তি খারিজ করে দেন বিচারপতি। সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে বিচারপতি বলেন, স্ত্রী তাঁর সাক্ষ্য-প্রমাণে বলেছেন যে তিনি তাঁর বাবাকে একাধিক চিঠির মাধ্যমে নির্যাতনের বিষয়ে জানিয়েছেন। তবে মামলার বিচার চলাকালীন অভিযোগকারিনী একটি চিঠিও দেখাননি। নরেশের প্রাক্তন স্ত্রীর দাবি ছিল, নরেশ এবং তাঁর বাবা সহদেব গুপ্ত তাঁকে ‘ভূত’ এবং ‘পিশাচ’-এর মতো ‘অশ্লীল’ ভাষায় গালিগালাজ করতেন। যদিও আদালতের পর্যবেক্ষণ, এমন যুক্তি মেনে নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। বিচারপতি চৌধরি বলেন, ‘‘বিয়ের সম্পর্কে, বিশেষ করে ব্যর্থ বিয়েতে স্বামী এবং স্ত্রী, উভয়েরই পরস্পরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করার নজির রয়েছে। তবে, এই ধরনের সমস্ত অভিযোগকে নিষ্ঠুরতা বলা যায় না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IISC: বালির বিকল্পের সন্ধান দিলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা, কী সেই বস্তু?

    IISC: বালির বিকল্পের সন্ধান দিলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা, কী সেই বস্তু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্নের ঘর কিংবা মাথা গোঁজার আশ্রয়স্থল। বাড়ি তৈরির অপরিহার্য উপাদান হল সিমেন্ট, লোহার রড, ইট এবং বালি। প্রাকৃতিক সম্পদের মতোই বালি সাধারণভাবে নদীর চরেই মেলে। প্রতিনিয়ত তা যেন অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের মতোই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। এর পাশাপাশি, বেআইনিভাবে বালি খননের ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশও। বালির বিকল্পের সন্ধানে অনেকদিন ধরেই লেগে ছিলেন বিজ্ঞানী মহল (IISC)। পাওয়া গেল বালির বিকল্প।

    কীভাবে মিলল বালির বিকল্প? 

    বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’ বা আইআইএসসি-র (IISC) বিজ্ঞানীরা এমন এক উপাদান তৈরি করতে পেরেছেন, যা নির্মাণকাজে প্রাকৃতিক বালির প্রয়োজন দূর করতে পারে। আইআইএসসি-র ‘সেন্টার ফর সাসটেইনেবল টেকনোলজিস’ (CST)-এর বিজ্ঞানীরা খনন করা মাটি এবং নির্মাণ বর্জ্যে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্লু গ্যাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সঞ্চয় করার উপায় খুঁজছেন। এই উপাদানই প্রাকৃতিক বালিকে প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহার করা যাবে। আইআইএসসি-র গবেষণা টিমটির কথায়, “নির্মাণ সামগ্রীর ফলে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, এতে সেই ক্ষতি অনেকাংশে কমবে। শুধু তাই নয়, কার্বন ডাই অক্সাইড সঞ্চয় করলে নির্মাণ বর্জ্যে এমন এক বৈশিষ্ট্য তৈরি হবে, যা নির্মাণকাজে এই বর্জ্যের ব্যবহার বাড়াতে পারে।”

    আরও খুঁটিনাটি তথ্য

    সিএসটি-র সহকারী অধ্যাপক সৌরদীপ গুপ্তর নেতৃত্বাধীন গবেষণারত টিমটি দেখিয়েছে যে বালির বদলে কার্বন পরিস্রুত নির্মাণ বর্জ্য ব্যবহার (IISC) করা যেতে পারে। এই ধরণের প্রযুক্তি যথেচ্ছ বালি খনন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং দেশের ডিকার্বনাইসেশনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণেও সক্ষম হবে। এই প্রক্রিয়ায় নির্মাণ সামগ্রীর শক্তি ২০ থেকে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের জন্য, ভারত সরকার কার্বন নির্গমন কমানোর যে লক্ষ্য নিয়েছে, এই পদ্ধতি সেই উদ্যোগেরও সহায়ক। খননের ফলে যে এঁটেল মাটি উঠে আসে, তাতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ইনজেকশনের প্রভাবও পরীক্ষা করেছে। তাঁরা দেখেছেন, এর ফলে সিমেন্ট এবং চুনের উপস্থিতিতে কাদামাটি আরও বেশি স্থিতিশীলতা পায়। কাদামাটির পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল, ছিদ্রের পরিমাণ এবং তাতে চুনের প্রতিক্রিয়াও (IISC) অনেকটা কমে যায়। এর ফলে, নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে উপাদানটির কর্মক্ষমতা বাড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share