Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Gyanvapi Mosque Case: এবার ‘বিদেশ থেকে’ প্রাণনাশের হুমকি-ফোন জ্ঞানবাপী মামলার বিচারককে

    Gyanvapi Mosque Case: এবার ‘বিদেশ থেকে’ প্রাণনাশের হুমকি-ফোন জ্ঞানবাপী মামলার বিচারককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রাণনাশের হুমকি জ্ঞানবাপী মামলার (Gyanvapi Mosque Case) বিচারককে। জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বির্তকে ইতি টানতে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক রবি কুমার দিবাকর ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগকে বিতর্কিত কাঠামোর পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    হুমকি-ফোন (Gyanvapi Mosque Case)

    তাঁর অভিযোগ, একটি আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। চলতি সপ্তাহে এসএসপি সুশীল চন্দ্রভান ঘুলেকে লেখা চিঠিতে দিবাকর লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে বিদ্বেষপূর্ণ ফোন পাচ্ছেন তিনি। দেওয়া হচ্ছে হত্যার হুমকিও। এটা খুবই উদ্বেগজনক।’ এর আগেও একবার দিবাকরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় এলাহাবাদ হাইকোর্ট দিবাকরের জন্য ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল। পরে তা নামিয়ে আনা হয় এক্স ক্যাটেগরিতে। তার পরেই ফের এল হুমকি-ফোন (Gyanvapi Mosque Case)।

    নিরাপত্তা অপর্যাপ্ত

    বর্তমানে দিবাকরের নিরাপত্তায় রয়েছেন দু’জন নিরাপত্তারক্ষী। হুমকি ফোন আসার পরে তাঁদেরই একজন জানিয়েছেন, দিবাকরের নিরাপত্তা অপর্যাপ্ত। কারণ জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় অত্যাধুনিক যেসব অস্ত্রশস্ত্রের প্রয়োজন, তা তাঁদের নেই। ২০২২ সালে জ্ঞানবাপী মামলায় বিতর্কিত কাঠামোর পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিবাকর। তার পরেই এসেছিল হুমকি-ফোন। সেই সময় দিবাকর বলেছিলেন, ‘এই সিভিল কেসকে এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসে পরিণত করতে একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। ভয়ের বাতাবরণ এমনই যে, আমার নিরাপত্তা নিয়ে আমার পরিবার উদ্বিগ্ন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমিও উদ্বিগ্ন। আমি যখনই বাড়ির বাইরে যাই আমার স্ত্রী বারংবার আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।’

    আরও পড়ুুন: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    দিবাকরের স্ত্রীর উদ্বেগ যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলেছিল গত বছরই। সেবার দিবাকরের লখনউয়ের বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার এক সদস্যকে। সেই সময় শাহাজাহানপুরের এসএসপি অশোক কুমার মিনা দিবাকরের ভাইয়ের বাড়ি প্রহরায় একজন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মী নিয়োগ করেছিলেন। দিবাকরের ভাইও অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ। লোকসভা নির্বাচনের মুখে সেই পুলিশ কর্মীকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বেরিলিতে। এই দিবাকরই ২০১৮ সালে বেরিলি হিংসা মামলায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। মূল চক্রী বলে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন প্রবীণ ধর্মগুরু তাকির রাজাকে (Gyanvapi Mosque Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Horlicks: আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয় হরলিক্স! ঘোষণা প্রস্তুতকারী সংস্থার, কেন জানেন?

    Horlicks: আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয় হরলিক্স! ঘোষণা প্রস্তুতকারী সংস্থার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্নভিটার পর এবার হরলিক্স (Horlicks)। এগুলি আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়। এই পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘হিন্দুস্তান ইউনিলিভার’ হরলিক্সের বোতল থেকে ‘হেল্‌থ ফুড ড্রিঙ্কস’ ট্যাগটি সরিয়ে নিচ্ছে। বদলে লেখা হয়েছে, ‘ফাংশানাল ন্যাশনাল ড্রিঙ্ক’ (এফএনডি)। এই খবর সামনে আসতেই মাথায় হাত পড়েছে অভিভাবকদের। বাচ্চাদের এই ধরনের পানীয় দেবেন কি না তা নিয়ে চিন্তায় বাবা-মায়েরা।

    কেন নয় স্বাস্থ্যকর পানীয়

    বুস্ট, বোর্নভিটা, হরলিক্সের (Horlicks) মতো পানীয়ে চিনির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এই ধরনের পানীয় সাধারণত শিশু এবং বয়স্করাই খেয়ে থাকে। ফলে বাড়ন্ত বয়সে এবং বার্ধক্যে অত্যধিক চিনি শরীরে প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে বলেই অনেকের মত। শরীরে অতিরিক্ত চিনি প্রবেশ করলে তাতে ওবেসিটি বাড়ে। যা থেকে নানা সমস্যা দেখা যায়। ফলে এগুলিকে স্বাস্থ্যকর পানীয় বলা যায় না।

    কী জানাল প্রস্তুতকারী সংস্থা

    ‘হিন্দুস্তান ইউনিলিভার’-এর চিফ ফিনানশিয়াল অফিসার রীতেশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, হরলিক্স (Horlicks) এখন থেকে ‘এফএনডি’ বিভাগভুক্ত। তবে বদল এলেও গ্রাহক বৃদ্ধি এবং গ্রাহকদের হরলিক্সের প্রতি আস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নজর দেওয়া হচ্ছে।  ‘এফএনডি’ হল কারও জীবনযাপন অনুসারে পুষ্টির চাহিদা মেটায়। এই ধরনের পানীয় প্রোটিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি পূরণ করে।

    আরও পড়ুুন: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    কেন এই পদক্ষেপ

    ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস বা (NCPCR) সম্প্রতি জানিয়েছে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট, ২০০৬-এর আওতায় হেলথ ড্রিংকসের কোনও সংজ্ঞা নেই। এপ্রিলের শুরুতে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) সমস্ত ই- কমার্স ওয়েবসাইটগুলিকে দুধ বা মল্টকরা পানীয়গুলোকে হেলথ ড্রিংকসের তালিকায় আনতে নিষেধ করেছিল। FSSAI এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ভুল শব্দের ব্যবহার গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করতে পারে, তাই সমস্ত ওয়েবসাইটগুলিকে এমন প্রোডাক্ট হেলথ ড্রিংকস ক্যাটেগরি থেকে সরাতে বা বিজ্ঞাপনগুলি সংশোধন করতে বলা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Pakistan Relation: ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ

    India Pakistan Relation: ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন হল ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র (India Pakistan Relation)। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সফলভাবে ওই তরুণীর শরীরে হৃদযন্ত্র বসাতে সক্ষম হয়েছেন। এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভালোভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন ওই ছাত্রী।

    ১৯ বছরের তরুণী আয়েশা  

    জানা গিয়েছে, বিগত পাঁচ বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ১৯ বছর বয়সী আয়েশা রেশান (India Pakistan Relation)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর শরীরে ৬৯ বছর বয়সী এক ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়া রোগীর হার্ট বসানো হয়। ঐ রোগীর দেহ দিল্লি থেকে উড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে আসা হয়েছিল।

    কী জানালেন আয়েশা? 

    আয়েশা জানিয়েছেন, এখন ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন তিনি। তাঁর নিঃশ্বাস নিতেও কোনও ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। বর্তমানে করাচিতে পড়াশোনা চালাচ্ছেন (India Pakistan Relation) তিনি। ভবিষ্যৎ জীবনে আয়েশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। ২০১৯ সালে আয়েশা প্রথম বার ভারতে এসেছিলেন। সেই সময় একবার হার্টঅ্যাটাক হয়েছিল তাঁর।

    ভারতীয় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আয়েশার মা

    আয়েশার মা সনোবর রেশান তাঁর মেয়েকে কার্যত জীবনদান দেওয়ার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের (India Pakistan Relation) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নিজের মেয়েকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখতে বড় কষ্ট হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল ও। ওর এই অবস্থা আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমরা ভারতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হই। আমার মেয়ে এখন সুস্থ। আমাদের বিল মেটাবার সক্ষমতা ছিল না। তবুও চিকিৎসকরা আমাদের ভারতে আসতে বলেন এবং তাঁরা চিকিৎসা করে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।”

    কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আয়েশা 

    জানা গিয়েছে, সিনিয়র সার্জেন এস বালাকৃষ্ণণ ২০২৩ সাল থেকে ওই তরুণীর চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তিনি ওই তরুণীর মাকে জানিয়েছিলেন হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। যদিও বিদেশি রোগীর হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট-এর ক্ষেত্রে ভারতীয় রোগী তালিকাভুক্ত না থাকলে তবেই অঙ্গদানের বিধান রয়েছে। যেহেতু দাতা ৬৯ বছর বয়সী ছিলেন তাই এত বয়স্ক মানুষের হৃদযন্ত্র সেই সময় অপেক্ষারত তালিকাভুক্ত কোনও ভারতীয় রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করার ঝুঁকি কোনও চিকিৎসক নেন নি। ফলে সহজেই ওই পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বয়স বেশি হলেও দাতার হৃদযন্ত্র বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। এখন পাকিস্তানি (India Pakistan Relation) তরুণীর দেহে রয়েছে ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র।

    চিকিৎসার খরচ বহন কারা করল?

    জানা গিয়েছে, চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চিকিৎসক এবং রোগীরা মিলে তৈরি করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। ট্রান্সপ্লান্টের কয়েকদিন পরেই আয়েশাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: আজ দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন, ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ

    Lok Sabha Election 2024: আজ দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন, ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ঢাকে কাঠি পড়েছে। প্রথম দফায় নির্বাচন হয়েছে ১৯ এপ্রিল। আজ, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল দেশ জুড়ে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন। দ্বিতীয় পর্বের প্রচার শেষ হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায় ৭টায়। এই পর্বে ভোটগ্রহণ হবে দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে।  তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসন— দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট।

    কোন কোন আসনে ভোট

    দ্বিতীয় দফায় কেরলের ২০টি লোকসভা আসনের (Lok Sabha Election 2024) সবগুলিতে ভোট হবে। তা ছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও অসমের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও। গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় মণিপুরের একটি অংশে ভোট হয়েছিল। এবার হবে অপর অংশে। দ্বিতীয় দফায় মধ্যপ্রদেশের আটটি লোকসভা আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেখানকার বেতুল কেন্দ্রে ভোট তৃতীয় দফার (৭ মে) হবে।

    পশ্চিমবঙ্গে কোথায় ভোট

    এই পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে – দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে ৷ বিজেপির গড় হিসেবেই পরিচিত উত্তরবঙ্গ ৷ দার্জিলিঙে এবার বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তাকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা ও কংগ্রেসের প্রার্থী মুনীশ তামাং ৷ বালুরঘাট কেন্দ্রে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র ও আরএসপি প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত ৷ রায়গঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী, বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল ও কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর)৷

    এই পর্বের খুঁটিনাটি

    দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে গত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৫২টিতে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস মাত্র ১৮টিতে। এ ছাড়া জেডিইউ এবং অবিভক্ত শিবসেনা চারটি করে, আইইউএমএল দু’টিতে, বিএসপি, সিপিএম, আরএসপি, কেরল কংগ্রেস, জেডিএস প্রার্থী একটি করে কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই পর্বে ১২ রাজ্যের ১২০৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে সেদিন। ইতিমধ্যেই ২৬৩৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪২৮। দ্বিতীয় দফায় কেরল থেকে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সংখ্যাটা হল—৫০০। তার পর রয়েছে কর্নাটক, ৪৯১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। 

    উল্লেখযোগ্য প্রার্থী

    দ্বিতীয় পর্বে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, শশী তারুর (তিরুবনন্তপুরম), লোকসভার স্পিকার তথা বিজেপি প্রার্থী ওম বিড়লা (কোটা)। রাহুল লড়ছেন কেরলের ওয়েনাড় থেকে। সেখানে দ্বিতীয়বার জেতার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি ৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রণের মুখোমুখি হবে রাহুল ৷ প্রখ্যাত অভিনেত্রী এবং রাজনীতিবিদ হেমা মালিনী উত্তরপ্রদেশের মথুরা নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দী উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ইউনিটের রাজ্য সভাপতি মুকেশ ধাঙ্গার। রামায়ণ ধারাবাহিকে রামের চরিত্রে অভিনয় করা অরুণ গোভিল এবার মেরঠ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। গোভিল বিএসপি-র দেবব্রত কুমার ত্যাগী এবং এসপি-র সুনীতা ভার্মার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও রয়েছেন ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল (রাজনান্দগাঁও), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত (যোধপুর), বিজেপি বাংলার সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (বালুরঘাট)।

    আরও পড়ুন: চতুর্থ দফায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি, দ্বিতীয়-তৃতীয় দফায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    আজ ভোট যেখানে

    ১. অসম- করিমগঞ্জ, শিলচর, মঙ্গলদই, নগাঁও, কালিয়াবর

    ২. বিহার-কিষাণগঞ্জ, কাঠিহার, পূর্ণিয়া, ভাগলপুর, বাঙ্কা।

    ৩. ছত্তিশগড়- রাজনন্দগাঁও, মহাসামুন্দস, কাঙ্কের।

    ৪. কর্নাটক- চিক্কোডি, বেলগাঁও, বাগলকোট, বিজাপুর, গুলবার্গ, রাইচুর, বিদার, কোপ্পাল, বেল্লারি, হাভেরি, ধারওয়াড়, উত্তর কন্নড়, দাভানাগেরে, শিমোগা

    ৫. কেরল- কাসারগোড, কান্নুর, ভাদাকারা, ওয়েনাড, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম, পোন্নানি, পালাক্কাদ, আলাথুর, ত্রিশুর, চালাকুডি, এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, কোট্টায়াম, আলাপ্পুঝা, মাবেলিক্কারা, পাথানামথিত্তা, কোল্লাম, আত্তিঙ্গাল, থিঙ্গাল।

    ৬. মধ্য়প্রদেশ- টিকামগড়, দামোহ, খাজুরাহো, সাতনা, রেওয়া, হোশাঙ্গাবাদ, বেতুলে

    ৭. মহারাষ্ট্র-  বুলধানা, আকোলা, অমরাবতী, ওয়ার্ধা, ইয়াভাতমাল ওয়াশিম, হিঙ্গোলি, নান্দেদ, পারভানি।

    ৮. মণিপুরে –একটি আসন তথা আউটার মণিপুরে ভোট রয়েছে।

    ৯. রাজস্থান-  টঙ্ক-সাওয়াই মাধোপুর, আজমের, পালি, যোধপুর, বারমের, জালোর, উদয়পুর, বাঁশওয়ারা, চিত্তোরগড়, রাজসামন্দ, ভিলওয়ারা, কোটা, এবং ঝালাওয়ার-বরান

    ১০. ত্রিপুরা- ত্রিপুরা পূর্ব

    ১১. উত্তরপ্রদেশ- আমরোহা, মীরাট, বাগপত, গাজিয়াবাদ, গৌতম বুদ্ধ নগর, বুলন্দশহর, আলিগড়, মাথুর।

    ১২. পশ্চিমবঙ্গ-  দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে।

    ১৩. জম্মু-কাশ্মীর- জম্মু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Melting Glaciers: হিমালয়ে গলছে হিমবাহ! হ্রদ উপচে বন্যার আশঙ্কা, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

    Melting Glaciers: হিমালয়ে গলছে হিমবাহ! হ্রদ উপচে বন্যার আশঙ্কা, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ক্রমেই বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। গত বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। উষ্ণায়নের ফলে হিমালয় (Himalaya) অঞ্চলে শতাধিক হিমবাহ (Melting Glaciers) দ্রুত গলে যাচ্ছে। আর সেই বরফগলা জলে ক্রমশ বাড়ছে হ্রদের আয়তন। এর ফলে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

    বড় হ্রদগুলির প্রতি চারটির মধ্যে একটির আয়তন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে

    প্রসঙ্গত, হিমালয় অঞ্চলে ১০ হেক্টরের চেয়েও বড় হ্রদগুলির প্রতি চারটির মধ্যে একটির আয়তন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রবণতা শুরু হয়েছে ১৯৮৪ সাল থেকে। তবে সাম্প্রতিক কালে পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। এর ফলে হিমবাহ গলা জল হ্রদের (Melting Glaciers) দুকূল ছাপিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বন্যার ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে ক্রমেই। আমরা যদি ১৯৮৪ থেকে ২০২৩ সালের তথ্য দেখি, তাহলে দেখা যাবে যে হিমালয়ে ২,৪৩১ হ্রদ রয়েছে, যেখানে ১৯৮৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৬৭৬ হ্রদ রয়েছে যার আয়তন বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০টি ভারতে রয়েছে। সিন্ধু নদীর উপর ৬৫টি হিমবাহী হ্রদ, গঙ্গার উপর ৭টি এবং ব্রহ্মপুত্রে ৫৮ টি হিমবাহী হ্রদ গঠিত হয়েছে। এই ৬৭৬ হ্রদের মধ্যে ৬০১টি আকারে দ্বিগুণেরও বেশি প্রসারিত হয়েছে।

    কেদারনাথ ও সিকিমের স্মৃতি

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ জুন রাতে সমগ্র কেদারনাথ (Kedarnath) উপত্যকা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পাহাড়ের উপরিভাগে অবস্থিত একটি হ্রদ ফেটে যাওয়ার কারণে এমন বন্যা হয়েছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। এই বিপর্যয়ে মারা গেছেন ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে এই দুর্ঘটনার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন এখনও বিদ্যমান। এই ধ্বংসযজ্ঞের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে হিমালয় অঞ্চলের বরফ গলেই সেই বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (GLOF) বলা হয়। সাম্প্রতিককালে, হিমবাহ ফেটে সিকিম ও উত্তরবঙ্গে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। সেই স্মৃতি আজও টাটকা।

    গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (GLOF)

    গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (GLOF) হল এমন একটি পরিস্থিতি যখন হিমবাহ গলনের ফলে সমতল ভূমিতে অত্যধিক জলের প্রবাহ ঘটে এবং প্রাকৃতিক বাঁধ বা হ্রদে জলের স্তর বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সহজ কথায়, একে হ্রদ ফেটে যাওয়াও (Melting Glaciers) বলা হয়। যার কারণে হ্রদ সংলগ্ন এলাকা এবং নিচু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরকে গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের (GLOF) জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর জম্মু-কাশ্মীরের পরেই রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড। ফলে হিমবাহ গলা জল অন্যান্য সমস্ত দেশের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ওপরেও বিরাট আকার নেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এমন কিছু ঘটলে আবার ফিরে আসবে কেদারনাথের স্মৃতি।

    উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

    গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। প্রখ্যাত হিমবাহবিদ অনিল ভি কুলকার্নির আশঙ্কা, এই হ্রদ যে ভাবে বেড়ে চলেছে তা ভবিষ্যতে মানালি লে হাইওয়ে পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। তার জেরে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা ওই অঞ্চলের জনবসতি। দিভেচা সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর বিজ্ঞানী অনিল জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও আলোচনা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত বছর সিকিমের (Sikkim) লোনাক হ্রদের জল (Melting Glaciers) উপচে বন্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন ওই হিমবাহবিদ। 

    হিমবাহবিদের আশঙ্কা 

    তবে প্রখ্যাত হিমবাহবিদ মিরিয়াম জ্যাকসন গত বছরেই বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানান, হিমবাহ গলে আরও বহু জলাশয় তৈরি হবে। বাড়বে বহু জলাশয়ের আয়তনও। যা ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলে বন্যা তৈরির ইঙ্গিতবাহী। গবেষকদের মতে, আগামী দশকে মধ্য ও পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের অধিকাংশ হিমবাহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিছু হিমবাহ গলে যাওয়ার আশঙ্কা আরও গুরুতর হবে। যার কারণে আসন্ন বন্যায় (Melting Glaciers) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতও রয়েছে।  বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে আগামী শতাব্দীর মধ্যে হিমালয়ের  ৭৫ শতাংশ বিলীন হয়ে যেতে পারে। ফলে পরিবেশের এমন ক্ষতি হবে, যা পূরণ করা সম্ভব নয়।

    পৃথিবী জুড়ে তীব্র জল সংকট

    অন্যদিকে হিমবাহ গলে কয়েক দশক পর নদী শুকিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে দেখা দিতে পারে পৃথিবী জুড়ে তীব্র জল সংকট। এর মূল কারণ হিসেবে বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করেছেন গবেষকরা। গত ৪ দশকে হিমালয় পর্বতমালার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ হিমবাহ বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য গলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এশিয়ায় (Asia) মূল নদীগুলির উৎপত্তি এই হিমালয় থেকেই। ফলে এশিয়ার প্রায় ৮০ কোটি মানুষের জীবনধারা এসব নদীর ওপর নির্ভরশীল। দ্বিগুণ গতিতে হিমবাহ গলতে থাকলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ঘনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলে একসময় তীব্র জল সংকটের (water crisis) কারণে ভয়ানক বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই সময় থাকতেই এবার সচেতন হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chabahar Port Contract: নির্বাচন-পর্ব মিটলেই স্বাক্ষরিত হবে ভারত-ইরান চাবাহার বন্দর চুক্তি!

    Chabahar Port Contract: নির্বাচন-পর্ব মিটলেই স্বাক্ষরিত হবে ভারত-ইরান চাবাহার বন্দর চুক্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ অপেক্ষার। রূপায়ণ হতে চলেছে ইরানের চাবাহার বন্দর চুক্তি (Chabahar Port Contract)। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছিল। শেষমেশ রাজি হয়েছে তেহরান (ইরানের রাজধানী)। বর্তমানে ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এই পর্ব চুকে গেলেই স্বাক্ষরিত হবে চাবাহার বন্দর চুক্তি।

    চিনকে চাপে রাখার কৌশল! (Chabahar Port Contract)

    ভারতকে চাপে রাখতে বিভিন্ন দেশের বন্দরের দখল নিচ্ছে চিন। এর পরেই ভারতও উদ্যোগী হয় বিভিন্ন বন্দরের রাশ হাতে নিতে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছে ভারত। ভারত-ইরান চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে চাবাহার বন্দরের রশিও চলে আসবে নয়াদিল্লির হাতে। জানা গিয়েছে, নির্বাচনের পর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইরানের ওই বন্দর পরিদর্শনে যাবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি ওই দল যেতে পারে চাবাহার (Chabahar Port Contract) দর্শনে। চাবাহার বন্দর চুক্তির জল যে অনেক দূর গড়িয়েছে, তা জানিয়েছে ইরানও। ইরানিয়ান দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, “চুক্তি শেষ পর্যায়ে। ভারতীয় প্রতিনিধি দল কবে ইরান সফরে যান, আমরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। এই চুক্তির ফলে উভয় তরফই লাভবান হবে।”

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব যে খুব কম নয়, সে ইঙ্গিত মিলেছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়। ২০১৮ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রওহানি। তাঁর সেই সফরে ভারতের সঙ্গে ইরানের বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “চাবাহার বন্দর তৈরি হওয়ার পর আফগানিস্তানের মতো স্থলবেষ্টিত একটি দেশের সামনে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ এসে গেল।”

    আরও পড়ুুন: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    প্রসঙ্গত, শত্রুদেশ পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ট্রানজিট রুট গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই চাবাহার বন্দরের রাশ হাতে নিতে চাইছে নয়াদিল্লি। এই সমুদ্রবন্দরটি বাড়ানো হচ্ছে সাড়ে ৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের গ্বদরে চিনের অর্থ সাহায্যে যে সমুদ্রবন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখান থেকে চাবাহার বন্দরের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। ভূকৌশলগতভাবে চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব ভারতের কাছে অপরিসীম। ’২২ সালের বাজেটে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই বন্দরের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ করেছিলেন ১০০ কোটি টাকা (Chabahar Port Contract)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sarbananda Sonowal: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে”, দাবি সোনোয়ালের

    Sarbananda Sonowal: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে”, দাবি সোনোয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে।” বুধবার এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal)। এদিন অসমের শিলচরে বিজেপির একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় যোগ দিয়েছিলেন সর্বানন্দ। শিলচর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লাবৈদ্যর সমর্থনে আয়োজন করা হয়েছিল এই জনসভার।

    কী বললেন সোনোয়াল? (Sarbananda Sonowal)

    এই সভায়ই সোনোয়াল বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর। উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত সরকার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি গ্রহণ করেছে। তাই এই অঞ্চলে স্থায়ী একটি ট্রান্স-শিপমেন্ট উন্নত ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। ভুটান থেকে আসা জিনিসপত্রও আসামের মাধ্যমে বাংলাদেশে রফতানি করা যাচ্ছে।” ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক গটবন্ধনের জেরে যে অসমের বরাক উপত্যকা উপকৃত হচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি (Sarbananda Sonowal) বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে গিয়ে যাতে সময়, অর্থ এবং ভ্রমণের খরচ অপচয় না হয়, তাই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কালাদান মাল্টামোডাল প্রজেক্টের কাজ করে চলেছে। এই প্রকল্পে কাজ শেষ হলে কলকাতার সঙ্গে দূরত্ব কমবে বরাক উপত্যকার। মায়ানমার এবং মিজোরামের মধ্যে দিয়েই গড়ে উঠবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার জেরে কলকাতা থেকে বরাক উপত্যকার দূরত্ব কমবে।”

    কংগ্রেসকে তোপ মন্ত্রীর

    সোনোয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাক নদীকে জাতীয় জলপথ ঘোষণা করেছেন। এ পথেও ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হবে অনায়াস।” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা লগ্নি করেছে। এটা করা হয়েছে বারাক উপত্যকায় যাতায়াতের যে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, তার উন্নয়ন করতে। এই কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলে পরিবহন বেড়ে যাবে এক লপ্তে বহুগুণ।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস জমানায় এটা উপেক্ষিত ছিল। অথচ এটা একটা বাণিজ্যিক হাব হতে পারত। সুগম হতে পারত ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য।”

    আরও পড়ুুন: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    মোদি সরকারে প্রশংসার পাশাপাশি সোনোয়াল এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসকেও। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের ছ’দশকের অপশাসনে বারাক উপত্যকার মানুষ প্রচুর কষ্ট ভোগ করেছেন। কংগ্রেস সরকারের উদাসীনতার কারণে এই উপত্যকার মানুষকে অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়েছে। কংগ্রেসের এই অপশাসন জন্ম দিয়েছে দুর্নীতির, স্বজন-পোষণ এবং বঞ্চনার (Sarbananda Sonowal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • S Jaishankar: “মুম্বই হামলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি ইউপিএ সরকার”, তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “মুম্বই হামলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি ইউপিএ সরকার”, তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার পরেও তৎকালীন ইউপিএ সরকার কোনও সামরিক পদক্ষেপ করেনি। অন্তত এমনই অভিযোগ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে মূল্য চোকাতে হতে পারে ভারতকে। তাই পাকিস্তানে আক্রমণ চালায়নি নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন জয়শঙ্কর।

    ভারত “গ্লোবাল সাউথে”র স্বর

    ভারতকে তিনি “গ্লোবাল সাউথে”র স্বর বলেও অভিহিত করেন। এই গ্লোবাল সাউথে রয়েছে বিশ্বের ১২৫টি দেশ। জয়শঙ্কর বলেন, “গ্লোবাল সাউথের দেশগুলি ভারতকে বিশ্বাস করে।” এদিন ‘ফরেন পলিসি দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে: ফ্রম ডিফিডেন্স টু কনফিডেন্স’ শীর্ষক আলোচনাচক্রে ভাষণ দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “মুম্বই হামলার পরেও আগের ইউপিএ সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিখেছিলেন যে আমরা বসেছিলাম, আমরা আলোচনা করেছি। আমরা সমস্ত বিকল্প বিবেচনা করেছি। তারপর আমরা কিছুই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের পদক্ষেপ না নেওয়ার পিছনে যুক্তি ছিল যে, পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে বেশি মূল্য চোকাতে হবে বলে মনে হয়েছে।”

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এরপর আপনারাই বিচার করুন।” তিনি বলেন, “কিছু দেশের প্রতি ভারতের একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই দেশগুলি ঔপনিবেশিক শাসনে ছিল এবং দ্রুত পুনরুদ্ধার বা পুনর্গঠনের কাজ করতে পারেনি, যেমন ভারত করেছে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সীমান্তে ভারতের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সেগুলিকে রক্ষা করার মূল চাবিকাঠি কেবল জনসমক্ষে ভাষণ দেওয়া নয়, বরং পরিকাঠামো তৈরি করা। সামরিক বাহিনীকে সমর্থন করা ও এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা যা সীমান্ত হুমকির মুখে পাল্টা প্রতিক্রায়া জানাবে।

    আরও পড়ুুন: “সন্দেহ মিলে গিয়েছে”, কাকুর স্বর-রিপোর্ট জমা দিয়ে বলল ইডি

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছিলাম, আমরা তা করেছিলাম আত্মবিশ্বাসের ভর করেই। আমরা যখন বালাকোটের সীমান্ত অতিক্রম করে আঘাত করি, তখন আমরা একই কাজ করেছি। আগের চেয়ে এখন আমাদের দেশ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমেরিকারও মোকাবিলা করছে।” ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আপনার দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে বলেও মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা। কেবল ব্রহ্মোস নয়, অন্যান্য সরঞ্জামও রফতানি করা হবে (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DRDO: সবচেয়ে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করে নজির গড়ল ডিআরডিও

    DRDO: সবচেয়ে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করে নজির গড়ল ডিআরডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যাবৎকালের সবচেয়ে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করল ডিআরডিও (DRDO)। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর ভাষায় থ্রেট লেভেল সিক্স পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম এই বুলেটপ্রুফ (Bullet Proof) জ্যাকেট। স্নাইপারের (Sniper) টানা ছটি গুলি পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারে এই নয়া বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। যা তৈরি হয়েছে মনোলিথিক সিরামিক প্লেট ও পলিমারের সাহায্যে। ফলে অত্যন্ত হালকা হওয়ার সঙ্গে পরনে যথেষ্ট আরামদায়ক হবে এই জ্যাকেট। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে এ এক অনন্য নজির। 

    কোথায় তৈরি এই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট (DRDO)

    ডিফেন্স ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড স্টোর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের (DRDO) কানপুর (Kanpur) শাখায় এই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করা হয়েছে। এই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের ডিজাইনের রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট একদিকে সশস্ত্র বাহিনীকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম অন্যদিকে এই জ্যাকেট বহনেও যথেষ্ট হালকা ও আরামদায়ক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটটি চণ্ডীগড়ের টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে (টিবিআরএল) সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। জ্যাকেটটি একটি নতুন ডিজাইনের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই জ্যাকেটের সামনের হার্ড আর্মার প্যানেল (HAP) একাধিক হিট বা স্নাইপার রাউন্ড এর ছয়টি শট পর্যন্ত সহ্য করতে পারে। আই সিডব্লু (ICW) হার্ড আর্মার প্যানেল এবং স্বতন্ত্র এইচএপি-এর আঞ্চলিক ঘনত্ব যথাক্রমে ৪০ কেজি (kg/m2) এবং ৪৩ কেজি (kg/m2) থেকেও কম।”

    আরও পড়ুনঃ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ

    জঙ্গি দমনে ব্যবহার হবে এই জ্যাকেট

    জানা গিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Air Force) হেলিকপ্টার বাহিনী এবং জঙ্গি দমন বাহিনীকে এই হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলি প্রথমে দেওয়া হবে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য উড়ন্ত অবস্থায় সর্বোচ্চ ৪ কেজি এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ৮ কেজি ওজনের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট প্রয়োজন রয়েছে। এই জ্যাকেটগুলিতে ক্যাটেগরি থ্রি+ বিভাগভুক্ত করা হয়েছে। এই ক্যাটাগরির বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট (DRDO), একে ৪৭ জাতীয় রাইফেল থেকে ২৫ মিটার রেঞ্জ থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Real Estate: দশ বছরেই ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টর পৌঁছবে দেড় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে! দাবি সমীক্ষায়

    Indian Real Estate: দশ বছরেই ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টর পৌঁছবে দেড় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে! দাবি সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দশ বছরের মধ্যেই ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টর (Indian Real Estate)  পৌঁছে যেতে পারে ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২৫ লক্ষ কোটি টাকা। অন্তত এমনই রিপোর্ট দিয়েছে ভারতীয় শিল্প কনফেডারেশন, সংক্ষেপে সিআইআই এবং নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়া। এই সেক্টরে ব্যাপক বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    কী বলা হয়েছে রিপোর্টে? 

    সিআইআই এবং নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার “ইন্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট: এ ডিকেড ফ্রম নাও” শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবৃদ্ধির গতিপথ ভারতের অর্থনৈতিক উৎপাদনকে যে শক্তিশালী করবে, তা প্রত্যাশিত। আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের জিডিপিতে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের (Indian Real Estate) অবদান হতে পারে ১০.৫ শতাংশ। ২০৩৪ সালের মধ্যে ভারতের শহরগুলির জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ১.৫৫ বিলিয়ন বা ১৫৫ কোটি। এই সময়সীমার মধ্যে গগনচুম্বী হতে পারে বাড়ির চাহিদা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় এই চাহিদার যা পরিমাণ হবে, তার মূল্য হতে পারে ৯০৬ মার্কিন বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে গোটা দেশের শহরগুলিতে নতুন বাড়ি তৈরি হবে ৭৮ মিলিয়ন বা ৭.৮ কোটি।

    বাড়বে চাহিদা

    রিয়েল এস্টেট (Indian Real Estate) ক্ষেত্রে চাহিদার এই ঊর্ধ্বগতি মেটাতে প্রয়োজন হবে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন থেকে বিলাসবহুল পর্যন্ত সব ধরনের বাড়ি। সমাজের বিভিন্ন আয়ের মানুষের জন্যই বাড়ি নির্মাণ হবে। সিআইআইয়ের রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিংয়ের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান নীল রাহেজা বলেন, “এই সেক্টরের প্রভূত উন্নতি সম্পর্কে আমি ব্যাপক আশাবাদী।” ভারতের রিয়েল এস্টেট বাজার বিনিয়োগকারীদের গুচ্ছ সুবিধা দেবে বলেও প্রত্যয়ী তিনি। এই সেক্টরে ভারতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও ব্যাপক হবে বলেও জানান রাহেজা। তিনি বলেন, “২০৩৪ সালের আগে ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টরের সম্ভাবনাগুলি অত্যন্ত আশ্বাসদায়ক বলে মনে হচ্ছে। জনসংখ্যার পরিবর্তন, দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও সহায়ক নীতি গ্রহণের মতো পদক্ষেপের কারণগুলিই রয়েছে এর নেপথ্যে।

    বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুঘটক

    এই কারণগুলি কৌশলগত দূরদর্শিতা ও উদ্ভাবনী পদ্ধতির দ্বারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। প্রত্যাশিতভাবেই এই সেক্টরে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন লগ্নিকারীরা। সিআইআইয়ের রিয়েল এস্টেট (Indian Real Estate) অ্যান্ড হাউজিংয়ের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “আগামী দশকে যেহেতু ভোল বদলাবে ভারতীয় অর্থনীতির, তাই রিয়েল এস্টেট শিল্পে খুলে যাবে প্রভূত সুযোগের দ্বার। কনজাম্পশান প্যাটার্নের পাশাপাশি বদলে যাবে রেভেনিউ এক্সপ্যানশানও।” তিনি বলেন, “এই রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছি আমি। এই রিয়েল এস্টেট সেক্টরই ভারতীয় অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে বলেও মনে করি আমি।”

    ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান

    নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়ার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রিসার্চ, অ্যাডবাইসরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ভ্যালুয়েশন গুলাম জিয়া বলেন, “আগামী দশকে ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান একটি অভূতপূর্ব উত্থানের দ্বারা চিহ্নিত হবে, যেখানে ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে দাঁড়বে রিয়েল এস্টেট সেক্টর। ক্রমবর্ধমান সম্পদ, শক্তিশালী ভোক্তা ব্যয়, পরিকাঠামোগত অগ্রগতি, উদ্যোক্তা উদ্দীপনা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মতো বিভিন্ন কৌশলগত উদ্যোগের দ্বারা আমাদের দেশ দাঁড়িয়ে রয়েছে গভীর অর্থনৈতিক বিবর্তনের কিনারে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতীয় রিয়েল এস্টেট সেক্টর ২০৩৪ সালের মধ্যে ১.৫ মার্কিন ট্রিলিয়ন অর্থনীতির পাওয়ার হাউসে উন্নীত হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদনের ১০.৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।” এই সেক্টরই (Indian Real Estate) সমৃদ্ধ আগামীর পথ প্রশস্ত করবে বলেও আশাবাদী তিনি।

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে ভারতের শীর্ষ ৮টি শহরে অফিস স্টক ছিল ২৭৮ মিলিয়ন বর্গফুট। গত কয়েক বছরে যা বেড়েছে ৯০০+ এমএন বর্গফুট। অফিস রিয়েল এস্টেটের জন্য দেশের টায়ার ২ ও টায়ার ৩ শহরগুলিতে চাহিদা ক্রমবর্ধমান। ব্যবসার সম্প্রসারণ, স্বল্প খরচ, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, আইটি এবং পরিষেবা শিল্পের উত্থান ও প্রতিভার সহজলভ্যতার মতো কারণগুলি ২ টায়ার ও ৩ টায়ার শহরগুলিতে অফিস স্টক বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। ভারতে আনুষ্ঠানিক কর্মশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ অফিসের জায়গার জন্য চাহিদা তৈরি করবে এই কারণগুলি।

    কেবল রিয়েল এস্টেট (Indian Real Estate) নয়, ওয়্যায়হাউজিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরেও ব্যাপক উন্নতি হবে। ভারতের শক্তিশালী এবং দৃঢ় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই এই দুই শিল্পেও হবে প্রভূত উন্নতি। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০৩৪ সালের মধ্যে ওয়্যার হাউজিংয়ের জন্য চাহিদা হবে ১১১ মিলিয়ন স্কোয়্যার ফিট। জোয়ার আসবে ম্যান্যুফ্যাকচারিং কাজকর্মে। এসবই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে দেশের জিডিপিতে। রিটেইল সেক্টরের ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে রিপোর্টে। আগামী দশ বছরের মধ্যে সংগঠিত রিটেইল কনজাম্পশান বৃদ্ধিরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। এই সময়সীমার মধ্যে রিটেইল কনজাম্পশান ২১ শতাংশ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। রিয়েল এস্টেট সেক্টরে প্রাইভেট ইক্যুইটি লগ্নিও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী দশ বছরের মধ্যে প্রাইভেট ইক্যুইটি বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share