Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    Lok Sabha Elections 2024: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে, কোনও একতা নেই।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। হাতে গোনা আর দু’দিন পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার ঠিক আগে অমর্ত্যর এই বক্তব্যে জাস্ট অ্যাডভান্টেজ বিজেপি।

    অমর্ত্য উবাচ (Lok Sabha Eelections 2024)

    নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “বিরোধী জোট সেভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। নীতীশ কুমার ও জয়ন্ত চৌধুরীর মতো শরিকরা রাতারাতি বেরিয়ে গিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোনও একতা নেই। ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোট। একজোট হতে পারলে তারা আরও শক্তিশালী হতে পারত।” তাঁর সংযোজন, “কংগ্রেসের অনেকগুলি সমস্যা রয়ে গিয়েছে।” ক্ষমতায় (Lok Sabha Elections 2024) এলে দেশে জাতিগত জনগণনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেনের মতে, জাতিগত জনগণনার চেয়ে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশে পিছিয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের আবশ্যিকতা রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ প্রয়োজন সমাজের সমস্ত স্তরেই।

    আরও পড়ুুন: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’

    বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বাঁধে দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডি’। জন্মলগ্ন থেকেই ইন্ডির অন্দরে ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। কখনও নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক, কখনও আবার (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। একটি অনুষ্ঠানে ইন্ডির শরিক শারদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায়ও হয়েছিল বিতর্ক। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেও, জোটের অন্দরে আসন রফা হয়নি। বাংলায় একলা চলো নীতি নিয়েছে ইন্ডির শরিক তৃণমূল।

    পাঞ্জাবে আবার একলা লড়ছে আম আদমি পার্টি। ঝাড়খণ্ডে একলা লড়ার কথা ঘোষণা করেছে ‘ইন্ডি’র আর এক শরিক সিবিআইও। একলা চলোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক হলেও, জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দলও আলাদা করে প্রার্থী দিচ্ছে। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট। ‘ইন্ডি’র অন্দরে নিরন্তর চলা অশান্তির জেরে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক ছেড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরে ফিরে গিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীও ইঙ্গিত দিয়েছেন এনডিএতে যোগ দেওয়ার (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: সঙ্ঘের শিবিরগুলিতে কী শেখানো হয়? গান্ধী থেকে অম্বেডকর কী ভাবতেন আরএসএস সম্পর্কে?

    RSS: সঙ্ঘের শিবিরগুলিতে কী শেখানো হয়? গান্ধী থেকে অম্বেডকর কী ভাবতেন আরএসএস সম্পর্কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর ধরেই নানা কার্যক্রমের আয়োজন করে থাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। এর পাশাপাশি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং কর্মীদের শারীরিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশের লক্ষ্যে সঙ্ঘের তরফে আয়োজন করা হয় প্রশিক্ষণ শিবিরেরও। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ নামেই পরিচিত। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে তিনটি স্তরে। এই তিনটি স্তর হল, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-প্রথম বর্ষ, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-দ্বিতীয় বর্ষ, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-তৃতীয় বর্ষ। প্রতিটি প্রশিক্ষণ শিবিরই চলে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত।

    শিবিরগুলিতে নিত্য প্রয়োজন সামগ্রী সমেত স্বয়ংসেবকরা হাজির হন

    শিবিরগুলিতে নিত্য প্রয়োজন সামগ্রী সমেত স্বয়ংসেবকরা (RSS) হাজির হন। তবে প্রত্যেকেই যে এই শিবিরগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, এমনটা নয়। সারা বছর ধরে শাখার মাধ্যমে বাছাই করা স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করানো হয়। প্রতিটি শিবিরে স্বয়ংসেবকদের ভোর চারটে নাগাদ উঠতে হয়। শিবির চলে রাত্রি দশটা পর্যন্ত। সকাল এবং সন্ধ্যা এই দুটি সময় রাখা হয় শারীরিক অনুশীলনের জন্য। এর পাশাপাশি বিকাল এবং সন্ধ্যার পরের সময়টিকে ব্যবহার করা হয় নানা রকমের বৌদ্ধিক আলোচনার জন্য। বৌদ্ধিক আলোচনায় দেশ-কাল-সমাজের বিভিন্ন ইস্যু, ইতিহাস যেমন থাকে তেমনই দেশ গঠনের স্বয়ংসেবকদের (RSS) ভূমিকা কী হতে পারে, সেটাও থাকে। এর পাশাপাশি দেশের সভ্যতা এবং সনাতন সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন মহাপুরুষদের জীবনী বিষয়ক পাঠও দেওয়া হয় স্বয়ংসেবকদের। পাঠ দেওয়া হয় ভারতের সুমহান প্রাচীন ঐতিহ্য, দেশের প্রাচীন সংস্কৃতির বিষয়েও।

    স্বয়ংসেবকদের একটি দল থাকে ভোজন ব্যবস্থার দায়িত্বে

    সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গে স্বয়ংসেবকদের (RSS) ডায়েট মেনেই চলতে হয়। তাঁদেরকে নিরামিষ ভোজন পরিবেশন করা হয়। কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার স্বয়ংসেবকদের পাতে দেওয়া হয়। এই খাবার রান্নার জন্য আলাদা করে কোনও রাঁধুনি থাকে না। বরং স্বয়ংসেবকদের মধ্যে থেকেই একটি দল ভোজন ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকে। প্রতিদিন শিবিরগুলিতে কী কী হবে, তার দৈনন্দিন রুটিন শিবির চালুর আগে থেকেই স্বয়ংসেবকদের হাতে পৌঁছে যায়। স্বয়ংসেবকরা শিবির শেষে রাত্রিতে যখন ঘুমাতে যান তখন একটি হলঘরে একসঙ্গে তাঁদেরকে ঘুমাতে হয়। সাধারণভাবে যেকোনও প্রতিষ্ঠান ভাড়া করেই এমন শিবিরগুলির আয়োজন করে তাকে আরএসএস। সারি দিয়ে বিছানা তৈরি করা থাকে। বিছানার চাদর থেকে আরম্ভ করে শোবার সামগ্রী স্বয়ংসেবকদের আনতে হয়।

    কারা হতে পারেন প্রচারক

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পগুলি প্রাদেশিক এবং জেলা স্তরে অনুষ্ঠিত হয়। তবে তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্প একেবারে সঙ্ঘের সদর কার্যালয় নাগপুরেই অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে কারা অংশগ্রহণ করবেন, তার বাছাই পর্ব চলে সারা দেশ জুড়ে। এই প্রশিক্ষণ পর্ব ৩০ দিনের হয়ে থাকে। সাধারণভাবে প্রতিবছর গ্রীষ্মকালের মে জুন মাসেই তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় নাগপুরে। প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ করেছেন এমন স্বয়ংসেবকরাই যোগ্য হন তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণের বিষয়ে। সাধারণভাবে ১৬ বছরের উর্ধ্বে যে কোন যুবকই প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্বে অংশগ্রহণ করতে গেলে ন্যূনতম বয়স লাগে ১৮ বছর। তৃতীয় বর্ষ প্রশিক্ষণ পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পরে যে সমস্ত স্বয়ংসেবক আজীবন ব্রহ্মচর্য ব্রত পালনে রাজি থাকেন এবং দেশের জন্য কাজ করব এই মানসিকতা স্থির করেন, পূর্ণ সময়ের জন্য তাঁরা প্রচারক হিসেবে হন।

    ১৯২৯ সালে নাগপুরে হয়েছিল প্রথম শিবির

    সঙ্ঘের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে তাদের প্রথম প্রশিক্ষণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২৯ সালে নাগপুরে (RSS)। ৪০ দিনের এই প্রশিক্ষণ শিবির চলেছিল ১ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত। তখন এই শিবিরের নাম সঙ্ঘ প্রশিক্ষণ বর্গ ছিল না বরং তা গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প নামেই পরিচিত ছিল। ১৯৫০ সালের পর থেকে সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-এই শব্দ চালু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ পর্বের ধরনেরও। প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে বিভিন্ন সামরিক ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এবং প্রশিক্ষণের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হত ইংরেজি।

    ক্যাম্পের নামকরণের ইতিহাস 

    বিএন বারাদপান্ডে ছিলেন নাগপুরের একজন আরএসএস কার্যকর্তা। তিনি একটি বই লিখেছিলেন ‘সঙ্ঘ কার্যপদ্ধতি কা বিকাশ’। ওই বইতে তিনি লিখছেন, ‘‘একটি বৈঠকে (RSS) আমরা আলোচনা করছিলাম যে কিভাবে আমরা গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পকে সম্বোধন করব। কেউ একজন প্রস্তাব দিয়েছিলেন এটার নাম হওয়া উচিত ‘ট্রেনিং ক্লাসেস’। অন্য একজন স্বয়ংসেবক বলেন, ক্যাম্প হল আরএসএস-এর শাখারই বিস্তৃত রূপ তাই আমাদের এটা বলা উচিত ‘সঙ্ঘ ট্রেনিং ক্লাস’। কিন্তু ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার বলেন,  এই ক্যাম্পগুলি চালানো হয় সেই সমস্ত কর্মীদের জন্য, যাঁরা সংগঠনকে সর্বোচ্চ সময় দেবেন। তাই এই ক্যাম্পের নাম হওয়া উচিত অফিসার্স ট্রেনিং ক্যাম্প বা ওটিসি।’’ প্রসঙ্গত, আজও ওটিসি সঙ্ঘের সংগঠনের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় শব্দ হয়ে রয়েছে। যদিও এই নামে এখন আর কোনও ক্যাম্প নেই। গুরুজি গোলওয়ালকর এই ক্যাম্পের নামকরণ করেন সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ।

    প্রথম দিকের শিবিরগুলি কোথায় অনুষ্ঠিত হত

    জানা যায়, ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত বেশ কিছু বিনোদনমূলক কার্যক্রমও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) ক্যাম্পগুলিতে আয়োজিত হত। এগুলি হত শনিবার সন্ধ্যায় এবং রবিবারে। কিন্তু ১৯৩৮ সাল থেকেই তা পাল্টে যায় কারন সেই বছর থেকেই সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরের সময়সীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ দিন করা হয়। ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হতো নাগপুরে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পুনেতে শুরু হয় ১৯৩৫ সাল থেকে। ১৯৩৮ সাল থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের ক্যাম্পগুলি চালু করা হয় লাহোরে।

    জাতপাতহীন শিবির

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রশিক্ষণ শিবর গুলিতে জাতপাতহীন সমাজ ব্যবস্থার প্রতিফলন দেখা যায়। যাঁরা অংশগ্রহণ করেন শিবিরে, তাঁরা নিজেদেরকে সামাজিক দিক থেকে একই রকম ভাবেন। তাঁদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ কাজ করে না। সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে যাঁরা প্রশিক্ষণ দেন এবং যাঁরা প্রশিক্ষণ নেন, প্রত্যেকের মধ্যেই ভ্রাতৃত্ববোধ কাজ করে। তাঁরা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। একসঙ্গে চলাফেরা করেন।

    মহাত্মা গান্ধীর চোখে সঙ্ঘের শিবির

    ১৯৩৪ সালে মহাত্মা গান্ধী ওয়ার্ধাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেন এবং স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীকালে শিবির পরিদর্শনের কথা মহত্মা গান্ধীর বলেন ১৯৪৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। যখন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার জীবিত ছিলেন। আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদের এমন নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা পরায়ণতা এবং জাতপাতহীন সমাজ ব্যবস্থা দেখে। তারপর থেকে সঙ্ঘের অনেকটা বিকাশ হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে সংগঠনে এমন মহান আদর্শ এবং আত্মত্যাগের মন্ত্র রয়েছে তারা শক্তিশালী হবেই।’’

    বাবা সাহেব অম্বেডকরের চোখে সঙ্ঘের শিবির

    বাবা সাহেব অম্বেডকর সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেন ১৯৪৯ সালে পুনেতে। বাবাসাহেব অম্বেডকর ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেন যে সঙ্ঘের শিবির গুলিতে অস্পৃশ্যতা সংক্রান্ত অসুবিধা রয়েছে নাকি! তখন আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা তাঁকে উত্তর দেন, এখানে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই। যাঁরা এখানে আসেন তাঁরা প্রত্যেকেই শুধু হিন্দু। প্রত্যুত্তরে অম্বেডকর বলেন, আমি এই শিবির পরিদর্শন করে আশ্চর্য হলাম। স্বয়ংসেবকরা অন্যদের জাতপাত না জেনেও তাঁদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে চলাফেরা করেন। বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী জয়প্রকাশ নারায়ণ যিনি সোসালিস্ট ছিলেন এবং সত্তরের দশকে ঐতিহাসিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী সরকারের বিরুদ্ধে, তিনিও ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর পাটনাতে আরএসএস-এর (RSS) ট্রেনিং ক্যাম্পে সম্মোধন করেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও সঙ্ঘের তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে সম্বোধন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    Ram Navami 2024: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক বিজ্ঞান ও ধর্মের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন। অযোধ্যার রাম মন্দিরের আশ্চর্য রীতির সাক্ষী থাকল গোটা দুনিয়া। রামলালার কপালে সূর্য রশ্মি এঁকে দিল তিলক। রামলালার ললাটের সূর্য তিলকের ছবি দেখল গোটা দুনিয়া। খবর মিলেছে, প্রতি রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দুপুরেই সূর্যরশির এমন তিলক আঁকা হবে রামলালার কপালে। তবে প্রতি বছর যেহেতু রাম নবমী আলাদা আলাদা দিনে পড়ে তাই সে ক্ষেত্রে সূর্যের অবস্থান জানতে চলবে গণনা। সেই অনুযায়ী বসানো হবে আয়নাকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্য রশ্মিকে রামলালার কপালে প্রতিফলিত করার যে পদ্ধতি, তা খুব সহজ ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, এই দিনই ছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রথম রাম নবমী (Ram Navami 2024) উদযাপন। উদ্বোধনের পর থেকে আজকের এই বিশেষ দিনে অযোধ্যায় নজর ছিল গোটা বিশ্ববাসীর। আর সেদিনই এমন সূর্য তিলক অনুষ্ঠান দেখা গেল।

    দুপুর ১২:০১ মিনিটে সূর্য অভিষেক শুরু হয়

    রামলালার কপালে ঠিক দুপুর ১২:০১ মিনিটে সূর্য অভিষেক শুরু হয়। পাঁচ মিনিট ধরে চলে এই অনুষ্ঠান। আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরা সূর্য তিলকের জন্য একটি বিশেষ অপটো-মেকানিক্যাল সিস্টেম তৈরি করেছেন। তারই মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় (Ram Navami 2024)। এজন্য মন্দিরের ওপরের তলায় স্থাপন করা হয়েছে যন্ত্রটি। প্রথমে সূর্য রশ্মি আয়নায় পড়ে, পরবর্তীতে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রি কোণে প্রতিফলিত হয়ে একটি পাইপের মাধ্যমে রামলালার কপালে এসে পড়ে। রামলালার কপালে যে সূর্যরশ্মির তিলক আঁকা হয় তার দৈর্ঘ্য ৭৫ মিলিমিটার।

    একশোর ওপর এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয় অযোধ্যায়

    এমনিতেই রাম নবমীকে (Ram Navami 2024) কেন্দ্র করে সারা অযোধ্যায় আজকে জনজোয়ার। তারপরে সূর্য তিলকের মাহাত্ম্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকেও প্রচুর ভক্ত ভিড় করেন। একশোর  ওপর এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয় অযোধ্যায়। সেখানে অনেক ভক্ত জড়ো হয়ে এই অনুষ্ঠান দেখতে থাকেন। প্রসঙ্গত ভগবান রামচন্দ্র সূর্যবংশের জন্ম নেন বলে বিশ্বাস রয়েছে হিন্দুদের। শঙ্খের আওয়াজ, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, আরতির মাধ্যমে সূর্য তিলকের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Palghar Sadhu Lynching: রাহুল গান্ধীর নির্দেশেই পালঘর সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেননি উদ্ধব!

    Palghar Sadhu Lynching: রাহুল গান্ধীর নির্দেশেই পালঘর সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেননি উদ্ধব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালঘরে দুই সাধুকে পিটিয়ে খুনের (Palghar Sadhu Lynching) মামলায় বিস্ফোরক দাবি শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের! দলের সম্পাদক তথা মুখপাত্র কিরণ পাওয়াস্কারের দাবি, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর নির্দেশে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে পালঘর সাধু খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেননি। সেই কারণেই আজও সত্য উদ্ঘাটন হয়নি নারকীয় এই ঘটনার। দোষীরা পায়নি সাজা।

    পালঘর সাধু খুন

    ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল ঘটেছিল পালঘরে সাধু হত্যা। খর বৈশাখের সেই দিনটিতে দেশজুড়ে যখন চলছিল রাম নবমী পালনের উদযোগ। সেই রাতে ঘটেছিল নৃশংস সেই গণপিটুনির ঘটনা, যার জেরে বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল জুন আখড়ার দুই সন্ন্যাসীর। এঁদের (Palghar Sadhu Lynching) একজন বছর সত্তরের কল্পবরুক্ষগিরি ও বছর পঁয়ত্রিশের সুশীল গিরি মহারাজ। করোনা পরিস্থিতিতে জুনা আখড়ার এই দুই সাধু মুম্বইয়ের কান্দিভালি থেকে সুরাটে যাচ্ছিলেন অন্য এক সাধুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে। গাদচিনচিল গ্রামে তাঁদের ঘিরে ধরে জনতা। তারপর নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করা হয় এই দুই নিরীহ সাধুকে। কেবল এই দুই সাধু নন, সেই রাতে উন্মত্ত জনতার রোষের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁদের গাড়ির চালক বছর তিরিশের নীলেশ তেলগাদেও।

    সিবিআই দেয়নি ঠাকরে সরকার

    নৃশংস এই হিংসার ছবি ভিডিও বন্দি করা হয়। শ’খানেক উন্মত্ত জনতার সেই তাণ্ডবের ছবিতে দেখা গিয়েছে, ঘটনার সময় পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয় দর্শক। বিপন্ন দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির চালককে উদ্ধারের কোনও চেষ্টাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের নেতা তথা দলের সম্পাদক পাওস্কর বলেন, “২০২০ সালে সাধুদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। মামলাটি যখন সুপ্রিম কোর্টে যায় তখন একটিই দাবি ছিল। সেটি হল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিয়ে তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। সেই সময় একজন বলতে থাকেন, তিনি হিন্দুত্ববাদী, বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে। তিনি বলেছিলেন, এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করার প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকারের হাতেই থাকবে।” ঠাকরের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এত নৃশংস একটি খুনের ঘটনার কথা জেনেও সেই সময় উদাসীন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ব্যস্ত ছিলেন তহবিল সংগ্রহে।” তাঁর অভিযোগ, সরকারি উদাসীনতার জেরেই পার পেয়ে গিয়েছে সন্দেহভাজনরা। শিবসেনার এই মুখপাত্রের অভিযোগ, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার হস্তান্তরে দেরি হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে তদন্তের।

    আরও পড়ুুন: দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উদ্যোগ 

    দুই সাধু খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হন জুনা আখড়ার সাধুরা। তাঁদের সুরে সুর মেলায় জনতাও। অভিযোগ, তার পরেও তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি সিবিআইয়ের হাতে। পরে ফাটল ধরে শিবসেনায়। ২০২২ সালের ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন একনাথ শিন্ডে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় পালঘর সাধু খুনের মামলা হস্তান্তর করা হবে সিবিআইয়ের হাতে। পরে তা হস্তান্তর করাও হয় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার হাতে। শিবসেনা নেতার এহেন বিস্ফোরক দাবিতে ঘুরতে পারে পালঘর সাধু খুনের মামলার মোড়। কারণ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল পালঘর সাধু খুনের (Palghar Sadhu Lynching) তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘটনায় দেশের শীর্ষ আদালত যখন সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবিতে জমা পড়া পিটিশনের জবাব চায়, তখনই রাজ্য সরকারের তরফে জমা দেওয়া হয় ওই হলফনামা।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, জুনা আখড়ার ওই দুই সাধু খুনের নেপথ্যে ছিল বড়সড় ষড়যন্ত্র। ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে অতিবাম দল, স্থানীয় এনসিপি নেতারা এবং খ্রিস্টান মিশনারি সংগঠন। এফআইআরে সিপিআইএমের গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের নামও রয়েছে। যা থেকে আক্রমণের নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। সাধুদের হেনস্থার ঘটনাটি যে পূর্ব পরিকল্পিত, সেই আশঙ্কাও করছেন তাঁরা (Palghar Sadhu Lynching)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    Ram Navami 2024: দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচশো বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বিগ্রহ রামলালার। তার পর আজ, বুধবার রাম নবমী। মহা সমারোহে অযোধ্যায় পালিত হচ্ছে দিনটি। রাম নবমী (Ram Navami 2024) উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর প্রথম রাম নবমী (Ram Navami 2024) এই প্রজন্মের কাছে এক নতুন মাইল ফলকের মতো। আশা ও অগ্রগতির এক নতুন যুগের সূচনার সঙ্গে শতাব্দী প্রাচীন ভক্তির পথ। এই দিনটির জন্য কোটি কোটি ভারতীয় অপেক্ষা করছিলেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর এটাই প্রথম রাম নবমী।” তিনি বলেন, “প্রভু শ্রী রামের আশীর্বাদ সর্বদা আমাদের ওপর থাকুক এবং আমাদের জীবনকে জ্ঞান ও সাহসে আলোকিত করে ন্যায় ও শান্তির দিকে পারিচালিত করুক।” রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। সেদিনের সেই স্মৃতি আজও অমলিন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    শাহি শুভেচ্ছা

    রাম নবমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “জয় শ্রীরাম! রাম নবমী উপলক্ষে প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানাই।” তিনি বলেন, “মর্যাদা পুরুষোত্তম ন্যায়ের জন্য লড়াই, জনকল্যাণ এবং আত্মমর্যাদার প্রতীক। নিজের জীবন দিয়ে ভগবান প্রতিষ্ঠা করেছেন সত্য ও ধর্ম। এভাবেই গোটা বিশ্বকে যুগের পর যুগ ধরে দিশা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।”

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তিনি বলেন, “রাজ্যবাসীর পাশাপাশি সমস্ত ভক্তকে রাম নবমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।” তিনি বলেন, “কয়েক শতাব্দী অপেক্ষার পর অযোধ্যা ধামে তৈরি হয়েছে ভগবান রামলালার নতুন, প্রাসাদোপম, স্বর্গীয় মন্দির। যা দেখে লাখ লাখ রাম ভক্ত ও মানব সভ্যতা খুশি ও গর্বিত (PM Modi)।”

    আরও পড়ুুন: ‘স্পাই ইমাম’ প্রজেক্টে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ নিতে ইমামদের তুরস্কে পাঠাচ্ছে পাক আইএসআই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Navami 2024: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    Ram Navami 2024: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৫০০ বছরের অপেক্ষার পর ঘরে ফিরেছেন রামলালা। পাঁচ বছরের বালক রূপে অযোধ্যায় নতুন মন্দিরে অধিষ্ঠিত তিনি। তাঁর জন্মেৎসব রাম নবমীতে তাই জন জোয়ার অযোধ্যায়। ভোর সাড়ে তিনটে থেকে খোলা মন্দিরের দরজা। মন্দির চত্বর জুড়ে চলছে ভগবান রামের মন্ত্র ও স্তুতির জপ। রাম নবমীর পূণ্যতিথি উপলক্ষ্যে রামলালার মন্দির সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফুল-মালা ও আলোয়। গোটা মন্দিরে ধ্বনিত হচ্ছে বৈদিক মন্ত্র। 

    রাম নবমী উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি

    রাম নবমী উপলক্ষে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, রাম নবমীর দিন মঙ্গল আরতির পর ভোর সাড়ে তিনটে থেকে মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছে। রামলালার শুদ্ধিকরণ, অলঙ্করণ ও দর্শন চলছে। রাত ১১টা পর্যন্ত দেখা যাবে রামলালাকে। অর্থাৎ ১৯ ঘণ্টা মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে রামলালার দর্শনের জন্য। রামলালাকে  খাবারের নিবেদনের সময় মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য পর্দা বন্ধ থাকবে। এরপরে, ভক্তরা আবার রামলালার দর্শন করতে পারবেন। এদিন রামলালার দর্শনের জন্য একটাই পথ করা হয়েছে, সবাইকে এই একই পথ দিয়ে যেতে হবে। সব ধরনের বিশেষ পাস, দর্শন-আরতি ইত্যাদির জন্য বুকিংয়ের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে। রাম-রাজ্যে আজ সবাই সমান।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। সমস্ত রকম ভারী যানবাহন, অযোধ্যা শহরে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট টিভি ও ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। ভক্তদের সুবিধার্থে জায়গায় জায়গায় বিশুদ্ধ পানীয় জল ও অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

    রামলালার পুজো

    এদিন পুজোর শুভক্ষণ শুরু হবে বেলা ১২টা ১৬ মিনিটে। সেই সময় সূর্য রশ্মির ছটায় আলোকিত রামলালার বিগ্রহের মুখমন্ডল এক ঐতিহাসিক পরিবেশ সৃষ্টি করবে। মন্দিরের গর্ভগৃহে সকাল বেলায় দুধ-ঘি সহযোগে এখনই চলছে দিব্য অভিষেক পর্ব। রামলালাকে স্নান করানো হয়েছে। এরপর রামলালাকে নিবেদন করা হবে ৫৬ ভোগ। তারপর তা’ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

    আরও পড়ুন: “মঙ্গল ভবন অমঙ্গল হারি”-অধর্মকে দূরে সরিয়ে ধর্মের স্থাপনাই হল রাম নবমী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh Encounter: ভোটের আগেই বড় সাফল্য বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম শীর্ষনেতা-সহ ২৯ মাওবাদী

    Chhattisgarh Encounter: ভোটের আগেই বড় সাফল্য বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম শীর্ষনেতা-সহ ২৯ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগেই ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমনে (Chhattisgarh Encounter) বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। ১৯ এপ্রিল লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে বস্তার জেলায়। তারই দুই দিন আগে সেখানে নাশকতার বড় পরিকল্পনা বানচাল করল সরকার। ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২৯ জন মাওবাদী। শীর্ষ স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক আইকে এলেসেলা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মাওবাদীদের শীর্ষনেতা শঙ্কর রাও, যাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তিন জন জওয়ান। তবে তাঁরা এখন বিপদ মুক্ত।

    গত ১০ বছরে সবচেয়ে বড় অভিযান

    বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, গোটা জেলায় ৬০ হাজারের বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছত্তীসগঢ়ে সংঘর্ষ (Chhattisgarh Encounter)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ অভিযান শুরু হয়। শামিল ছিল জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ছোটেবেটিয়া থানার অন্তর্গত এলাকায় যৌথ অভিযানে নেমেছিল ডিআরজি এবং বিএসএফ। জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুটে আসে। পাল্টা গুলি ছোড়েন জওয়ানেরা। এখন পর্যন্ত ২৯ জন মাওবাদীর দেহ মিলেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কাঙ্কের জেলায় সংঘর্ষ এখনও চলছে। নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে অসংখ্য একে-৪৭, তিনটি লাইট মেশিন গান-সহ একাধিক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

    অতীতেও সফল অভিযান

    এই বছরে আরও এনকাউন্টার (Chhattisgarh Encounter) গতমাসেও এই জেলায় হওয়া এনকাউন্টারে এক মাওবাদী এবং এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে কাঙ্কেরে আরও একটি এনকাউন্টারে তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। গত নভেম্বরে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ হয়। তবে একসঙ্গে এতজন মাওবাদীর মৃত্যু অনেক দিন পরে হল। আধিকারিকদের মতে, এই বছর এখনও পর্যন্ত কাঙ্কের সহ সাতটি জেলা নিয়ে গঠিত বস্তার অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭৯ জন নকশাল নিহত হয়েছে। এদিনের অভিযানে নিহত মাওবাদীর সংখ্যা যদি ৩০ অতিক্রম করে, তবে এটি হবে বিগত ১০ বছরে বাহিনীর সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে, গ্রেহাউন্ড কমান্ডোরা ২০১৬ সালে একটি অপারেশনে ৩০ জন নকশালকে খতম করেছিল। ২০২১ সালে অন্য একটি অপারেশনে, শীর্ষ নকশাল নেতা মিলিন্দ তেলতুম্বে সহ ২৫ জন নিহত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “মঙ্গল ভবন অমঙ্গল হারি”-অধর্মকে দূরে সরিয়ে ধর্মের স্থাপনাই হল রাম নবমী

    কড়া বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মাওবাদীদের পুরোপুরি নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান (Anti Naxal Ops) চালিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘নকশালেরাই উন্নয়ন এবং শান্তির পথে সবচেয়ে বড় শত্রু। তারা যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।’’

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক্সে লিখেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি সরকারের আক্রমণাত্মক নীতি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টার কারণে নকশালপন্থা এখন একটি ছোট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই ছত্তিশগড়-সহ গোটা দেশ সম্পূর্ণ নকশাল মুক্ত হবে। আজ, ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে বিপুল সংখ্যক নকশাল নিহত হয়েছে। আমি সমস্ত নিরাপত্তাকর্মীদের অভিনন্দন জানাই যাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এই অপারেশন সফল করেছেন। যাঁরা আহত হয়েছেন সেই সাহসী পুলিশকর্মীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, কার কী ভূমিকা জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, কার কী ভূমিকা জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল হবে প্রথম দফার নির্বাচন। এবার নির্বাচন হবে সাত দফায়। শেষ দফার ভোট হবে ১ জুন। প্রথম দফায় দেশের বেশ কিছু আসনের সঙ্গে এদিন নির্বাচন হবে বাংলার তিনটি আসনেও। এই তিনটি আসনই অবশ্য উত্তরবঙ্গে। নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) বিঘ্নহীন করতে চেষ্টার কসুর করছে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে গুচ্ছ নির্দেশিকা। যেসব কেন্দ্রে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে, সেসব জায়গায় ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের মুখে আসতে পারে আরও কয়েক কোম্পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় নির্বাচনের কাজে লাগানো হতে পারে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশকেও।

    ডুজ (Lok Sabha Election 2024)

    নির্বাচন চলাকালীন পর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ কার কী করণীয়, তা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। এগুলি হল,

    ১) পোলিং স্টাফ, ভোটার ও পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে ভদ্র, সৌজন্যমূলক ও সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে। প্রসাইডিং অফিসারের আদেশ মেনে চলতে হবে। দায়িত্বের সময় সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) ভোট কেন্দ্র বা (Lok Sabha Election 2024) ভোট প্রাঙ্গনে ঘটতে থাকা যে কোনও দুর্ঘটনা বা ঘটনার মোকাবিলা করুন দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে।

    ৩) জনগণকে নিরাপদ বোধ করুন। আস্থার বোধ তৈরি করুন, যাতে তাঁরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

    ৪) নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নির্বাচনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখুন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকুন।

    ৫)ভোটকেন্দ্র বা পোস্টের যথাযথ প্রতিরক্ষা স্থাপন করতে হবে।

    ৬) ভোট কেন্দ্রের প্রবেশ গেটে দাঁড়ান। প্রিসাইডিং অফিসার ডাকলেই বুথে প্রবেশ করুন।

    ৭)ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর পর ভোটকেন্দ্র প্রাঙ্গন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করুন (Lok Sabha Election 2024)।

    ৮) ভোট দেওয়ার জন্য লাইনকে সাবধানতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত।

    ৯) ভোটকেন্দ্রে দুর্নীতিবাজদের শনাক্ত করার জন্য সতর্ক থাকুন এবং যদি এমন কিছু লক্ষ্য করা যায়, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে ডিইও/আরও, সেক্টর অফিসার এবং পর্যবেক্ষককে অবহিত করুন।

    ১০) পোলিং স্টাফ/ইভিএম নিয়ে আসা এবং ডি-ডি-এর সময়, এসকর্ট করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

    ১১) অসদাচরণ/আইন-শৃঙ্খলাভঙ্গের আশঙ্কা প্রিসাইডিং অফিসার/সেক্টর অফিসারের নজরে আনতে হবে।

    ১২) কোনও চরমপন্থী হামলার ক্ষেত্রে আদেশের জন্য অপেক্ষা করবেন না এবং হুমকিকে নিরপেক্ষ করতে কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া করুন।

    ১৩) নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন – ক) নির্বাচক, খ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট এবং পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি প্রার্থীর একজন করে পোলিং এজেন্ট।

    ১৪) নিরপেক্ষভাবে আপনার দায়িত্ব পালন করুন।

    ডোন্টজ

    নির্বাচনী দায়িত্বের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ কী কী করবেন না।

    ১) নির্বিচারে (Lok Sabha Election 2024) গুলি চালানোর পন্থা অবলম্বন করবেন না। গুলি চালানো উচিত আত্মরক্ষার শেষ অবলম্বন হিসেবে। ভোটার ও ইভিএমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও।

    ২) আপত্তিজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে বলপ্রয়োগ করবেন না।

    ৩) কারও সঙ্গে খুব বেশি বন্ধুত্ব করবেন না। ভোটগ্রহণ কর্মী বা বহিরাগত কারও কাছ থেকে চা, সিগারেট বা কোনও অনুগ্রহ গ্রহণ করবেন না। ভোট কেন্দ্রে ধূমপান করবেন না।

    ৪) পোলিং স্টাফ, কাগজপত্র এবং ইভিএম সুরক্ষার জন্য শক্তি ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না যা আপনার প্রাথমিক দায়িত্ব।

    ৬) আপনার নির্ধারিত ডিউটি পয়েন্ট (পোলিং স্টেশন/প্রাঙ্গন) ছেড়ে যাবেন না।

    ৬) অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেন না, প্রিসাইডিং অফিসারের দেওয়া সমস্ত আদেশ/নির্দেশ মেনে চলুন

    ৭) একটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা বর্ণের লোকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাথে পরিচিতি দেখাবেন না।

    ৮) কোনও পক্ষ থেকে কোনও অনুগ্রহ গ্রহণ করবেন না বা এমনভাবে কাজ করবেন না, যা এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে

    কোনও দল বা প্রার্থীর জয়ে সম্ভাবনাকে। কোনওভাবেই কোনও ভোটারকে প্রভাবিত করবেন (Lok Sabha Election 2024) না।

    ৯) নিরাপত্তা প্রদান করা ছাড়া ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন না। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।

    ১০) কোনও নির্বাচনী সভা সংগঠিত বা তাতে অংশগ্রহণ করবেন না। সভা চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়তা করবেন না।

    ১১) কোনও ব্যক্তি/দলকে ভোট দিতে বলবেন না/অনুরোধ করবেন না। আপনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং অনুভূতিগুলি দেখানো/শেয়ার করবেন না (Lok Sabha Election 2024)।

     

    আরও পড়ুুন: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রামলালার মূর্তি তৈরির উপলব্ধি কেমন ছিল? জানালেন অরুণ যোগীরাজ

    Ram Navami 2024: রামলালার মূর্তি তৈরির উপলব্ধি কেমন ছিল? জানালেন অরুণ যোগীরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ লাখো লাখো ভক্তের গন্তব্য হতে চলেছে অযোধ্যা। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই প্রতিদিন লাখের ওপর ভক্ত সমাগম হচ্ছে অযোধ্য়ায়। প্রথমবারের জন্য রাম নবমী পালিত হবে অযোধ্যার মন্দিরে (Ram Navami 2024)। রামলালার মূর্তি তৈরি করেছেন অরুণ যোগীরাজ। লাখ লাখ ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু রামলালার মূর্তি। বিগ্রহ তৈরির উপলব্ধি নিয়ে সম্প্রতি অরুণ যোগীরাজ এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন।

    সাক্ষাৎকারে কী জানালেন অরুণ যোগীরাজ 

    অরুণ যোগীরাজ ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি অজস্র ভক্তের সঙ্গে দেখা করেছেন। রামভক্তরা (Ram Navami 2024) তাঁর (অরুণ যোগীরাজ) সঙ্গে ভাব বিনিময় করেছেন। তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। রাম মন্দির আন্দোলনে নিজেদের আত্মত্যাগের কথা, নিজেদের যন্ত্রণার কথা এবং ভগবান রামচন্দ্রের প্রতি ভালোবাসার কথা রাম ভক্তরা অরুণ যোগীরাজকে জানিয়েছেন। অরুণ যোগীরাজের মতে, ‘‘ভক্তদের মুখে আমি সমস্ত কিছুই শুনেছি। বিগ্রহ এতটা সুন্দর হতে পেরেছে তার কারণ ভগবান রামচন্দ্রের প্রতি ভালবাসার কারণে।’’

    নিজের দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব

    অরুণ যোগীরাজের মূর্তি (Ram Navami 2024) অযোধ্যার রাম মন্দিরের স্থাপিত হবে এ কথা ঘোষণা হতেই রাতারাতি খ্যাতি পান এই শিল্পী। সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অরুণ যোগীরাজ বলেন, ‘‘ভগবান রামচন্দ্রের মূর্তি তৈরি করতে পেরে সারা দেশের মানুষের অসংখ্য ভালবাসা পেয়েছি। এর পাশাপাশি আমি সেই সমস্ত মানুষদের কাছ থেকেও ভালোবাসা পেয়েছি যাঁরা ভগবান রামচন্দ্রকে মেনে চলেন। প্রত্যেকেই আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। তাঁরা আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। ভগবান রামচন্দ্রের মূর্তি কীভাবে বানিয়েছি তা জানতে চেয়েছেন। আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি জনসাধারণের সঙ্গে আলাপচারিতা চালিয়ে যাব। আমি মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই। আমি তাঁদের ভালবাসাকে আমার হৃদয়ে রাখতে চাই এবং যখনই আমি সুযোগ পাবো আমি তাঁদের জন্য এবং আমার নিজের দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব।’’

    রামলালা যেন জীবন্ত মূর্তি 

    রামলালার চোখ সম্পর্কেও (Ram Navami 2024) তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন সাংবাদিকরা। প্রসঙ্গত, রামলালার বিগ্রহ সামনে আসতে প্রথমেই আলোচনা শুরু হয় বিগ্রহের চোখ নিয়ে। রামলালার চোখ দেখে মনে হয়, তিনি সত্যিই সবকিছুতে নজর রাখছেন। রামলালা যেন জীবন্ত মূর্তি। রামলালার চোখ নিয়ে অরুণ যোগীরাজ বলেন, ‘‘সব থেকে বেশি প্রশ্ন মানুষ আমাকে করেছেন রামলালার চোখ নিয়ে। আমি রামলালার মূর্তি তৈরি করিনি। রামলালা নিজেই তাঁর মূর্তি তৈরি করেছেন। অরুণ যোগীরাজ জানিয়েছেন, মূর্তি তৈরি করার সময় অনেক বাচ্চা ছেলে আমাকে বলতো যেন মনে হচ্ছে ভগবান রামচন্দ্র কিছু বলতে চায়! পরবর্তীকালে মূর্তি স্থাপিত হওয়ার পরে একই কথা ভক্তদের কাছ থেকে শোনা গেল।’’

    খাদ্যাভ্যাসেও তিনি বদল আনেন

    এর পাশাপাশি অরুণ যোগীরাজ জানিয়েছেন, যখন তিনি মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন তখন তাঁর খাদ্যাভ্যাসেও তিনি বদল আনেন। তার কারণ সেই সময় তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হতো, কঠিন পাথরকে রামচন্দ্রের মূর্তিতে পরিণত করার জন্য। তাই এই সময় তিনি কম তেল এবং মশলাযুক্ত খাবারের খেতেন ও ডায়েট মেনে চলতেন (Ram Navami 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Update: ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’! তীব্র গরমে বর্ষা নিয়ে সুখবর দিল মৌসম ভবন

    Monsoon Update: ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’! তীব্র গরমে বর্ষা নিয়ে সুখবর দিল মৌসম ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের কাঠফাটা রোদ, অসহ্য গরমের মধ্যেই বর্ষা (Monsoon Update) নিয়ে সুখবর দিল মৌসম ভবন। বর্ষায় দেশে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। সোমবার আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে গোটা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ছ’শতাংশ বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হতে পারে ৮৭ শতাংশ। দীর্ঘ হবে বর্ষাকাল।

    কী বলল মৌসম ভবন

    মৌসম ভবন জানাচ্ছে, এই মরশুমে বৃষ্টিপাত (Monsoon Update) স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি হবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সামগ্রিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই বৃষ্টি স্বাভাবিক বা তার কিছু বেশি হবে। তবে, দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলাতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর মনে করছে, ‘এল নিনো’র প্রভাবে বর্ষার প্রথম ভাগে তাপমাত্রা বাড়বে। যা মোটামুটি জুলাই অবধি চলবে। এরপর বৃষ্টি বাড়বে। দুর্যোগ বাড়বে সারা দেশেই। আমাদের দেশে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ বর্ষা ঢোকে। এবারও তার পরিবর্তন হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এবছর দেশে  বর্ষা আসার দিনক্ষণ জানায়নি আবহাওয়া অফিস। কেরলে বর্ষা তাড়াতাড়ি এলে সারা দেশেই বর্ষা আসবে সময়ের আগে। আবহবিদদের ধারণা, এল নিনোর প্রভাবে এবারও সময়ের আগেই দেশে বর্ষা আসতে পারে।   

    আরও পড়ুন: অভিষেকের পর অযোধ্যায় প্রথম রাম নবমীতে পূজিত হবেন রামলালা, চলছে বিশেষ প্রস্তুতি

    কেন বেশি বৃষ্টি

    সোমবার আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে, বসন্তকালে এ বার উত্তর মেরুতে অন্য বারের তুলনায় কম তুষারপাত হয়েছে। এর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। সব মিলিয়ে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এ বার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি (Monsoon Update) পাবে দেশ। ১০৬ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে দেশে, বলছে মৌসম ভবন। মৌসম ভবনের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ‘এল নিনো’ থাকলে সামগ্রিক ভাবে দেশে যেমন বেশি বৃষ্টি হয়, তেমনই ওড়িশা, দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম বৃষ্টি হয়। আসল কথা, ১৫ জুলাই থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে কতটা বৃষ্টি হচ্ছে তার উপর বেশি খেয়াল রাখা হয়। ওই সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে মুখে হাসি ফোটে কৃষকদের। কারণ, ওই সময়ই আমন ধান রোপণের কাজ চলে। ওই পর্বে স্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হলে বাংলার চাষিরা কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share