Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pahalgam Terror Attack: ‘‘প্ল্যান এ ফেল, উপত্যকার ঘাসে রয়েছে ৩৫টি বন্দুক’’! আটক ঘোড় সহিসের ‘প্ল্যান বি’-ই কি বৈসরনে হামলা?

    Pahalgam Terror Attack: ‘‘প্ল্যান এ ফেল, উপত্যকার ঘাসে রয়েছে ৩৫টি বন্দুক’’! আটক ঘোড় সহিসের ‘প্ল্যান বি’-ই কি বৈসরনে হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার এক সহিসকে আটক করেছে গান্দেরবাল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওর ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন এক মহিলা পর্যটক। ভিডিওতে তিনি ওই ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে অভিযোগ করেছেন, সন্দেহভাজন পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদেরই একজন। তাঁর আরও দাবি, তিনি যখন কাশ্মীরে ঘুরতে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি তাঁর ধর্ম পরিচয় জানতে চেয়েছিল। ওই ছবির ভিত্তিতে দ্রুত ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ।

    অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয়

    গান্দেরবাল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সহিসের নাম আইয়াজ আহমেদ জুঙ্গাল। তাঁর বাবার নাম নবি জুঙ্গাল। গান্দেরবালের গোহিপোড়া রাইজানের বাসিন্দা তিনি। সোনমার্গের থাজওয়াস হিমবাহে পর্যটকদের খচ্চরের সওয়ারি করান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই আইয়াজের সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার কোনও যোগ রয়েছে কি না, মহিলা যে সহিসের কথা বলেছেন, ধৃত তিনিই কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত তিন জনের স্কেচ প্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সেই স্কেচ দেখার পরে একতা তিওয়ারি নামে এক মহিলা পর্যটক দাবি করেছেন, ওই তিন জনের মধ্যে এক জনের সঙ্গে গত ২০ এপ্রিল তাঁর দেখা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে। একতা উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে ২০ জনের একটি দলের সঙ্গে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

    ভাইয়ের হাতে রুদ্রাক্ষ কেন

    একতা নিজের মোবাইলে মেরুন জ্যাকেট, পাজামা পরা এক ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, ওই ব্যক্তিই পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) সঙ্গে জড়িত। ওই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ম নিয়েও জিজ্ঞাসা করেছিলেন বলে দাবি একতার। তিনি আরও জানিয়েছেন, বৈসরন উপত্যকাতেই ওই ব্যক্তির ছবি তুলেছেন তিনি। তবে তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গিয়েছেন। ভিডিওতে একতা আরও দাবি করেন, তাঁর বন্ধুরাও ওই ব্যক্তিকে চিনতে পেরেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তবে তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অন্যরাও জঙ্গিদের স্কেচ থেকে সন্দেহভাজনদের চিনতে পেরেছেন। একতা জানিয়েছেন, ওই সহিস তাঁকে তাঁর নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছিলেন। একতার ভাইয়ের হাতে রুদ্রাক্ষ দেখে ওই ব্যক্তি জানতে চান, কেন তাঁর ভাই হাতে ওটা পরেছেন?

    অজমের শরিফ গিয়েছেন

    একতার দাবি, ওই ঘোড় সহিস এ-ও জিজ্ঞাসা করেন যে, একতা কখনও অজমের শরিফ বা অমরনাথ গিয়েছেন কি না। তাঁর কত জন হিন্দু বা মুসলিম বন্ধু রয়েছেন। তিনি অমরনাথ যেতে চান কি না, তা-ও জিজ্ঞাসা করেছিলেন ওই সহিস। তাঁর অমরনাথ যাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন বলেও দাবি করেছিলেন সহিস। একতা কোরান পড়েছেন কি না, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। একতার দাবি, তিনি জবাবে জানিয়েছিলেন, উর্দু পড়তে পারেন না। তাই কোরান পড়া হয়নি। তখন সহিস জানিয়েছিলেন, হিন্দিতে লেখা কোরানও পাওয়া যায়। একতা জানিয়েছেন, এ সব প্রশ্নের পরে তিনি ভয় পেয়ে যান।

    প্ল্যান এ ফেল, প্ল্যান বি!

    একতা জানান, এসব কথা শুনে তিনি ও তাঁর দল সিদ্ধান্ত নেন যে, বৈসরনে যাবেন না। তাঁরা ফিরে আসেন। এর মধ্যেই ওই সহিসের কাছে একটা ফোন আসে। একতা জানান, তাঁর সঙ্গে কথোপকথনের সময়ই ওই ব্যক্তির ফোন আসে। সেই ফোনে তাঁকে বলতে শুনেছিলেন, ‘‘প্ল্যান এ ব্রেক ফেল। প্ল্যান বি ৩৫ বন্দুক পাঠানো হয়েছে। উপত্যকার ঘাসে রয়েছে।’’ যখন সহিস বুঝতে পারেন একতা তাঁর কথা শুনছেন, তখন অন্য ভাষায় তিনি কথা বলতে শুরু করেন, এমনটাই জানিয়েছেন একতা। এখন প্রশ্ন তবে কি প্ল্যান বি-ই বৈসরনে হামলা! ২৬ নিরীহ হিন্দু পর্যটককে হত্যা! বৈসরনের ঘাসেই কি লুকানো ছিল আগ্নেয়াস্ত্র! যা দিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা!

    জেরা শুরু আইয়াজের

    মহিলার আরও দাবি, কথা শুনে ওই সহিসকে পাকিস্তানি বলে মনে হয়েছিল তাঁর। প্রশ্ন উঠেছে, এইসব শোনার পরেও পুলিশকে কেন জানাননি তিনি? একতার দাবি, পর্যটকদের বুথে কোনও লোক ছিল না। এমনকি, পহেলগাঁওয়ের ৭-৮ কিলোমিটার আগে একটি চেকপোস্ট ছিল। তিনি যখন ফিরছিলেন, তখন সেই চেকপোস্টেও কেউ ছিলেন না। কিন্তু একতা বারবার দাবি করেছেন, পুলিশ যে তিনজনের স্কেচ প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল পহেলগাঁওতেই। একতার অভিযোগের ভিত্তিতেই আইয়াজকে গ্রেফতার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এখন তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। তবে, ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে সত্যিই পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) যোগ রয়েছে কি না সেই বিষয়ে স্পষ্ট করেনি পুলিশ।

  • Waqf Act: সংসদে পাশ হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য! ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Waqf Act: সংসদে পাশ হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য! ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন (Waqf Act), ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা পিটিশন খারিজ করার জন্য শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রাথমিক হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র। সরকার ওই হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণভাবে বৈধ। আরও জানিয়েছে, এই আইনের বিরুদ্ধে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে তা ভ্রান্ত। এই আইন কখনও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করেনি। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এক সপ্তাহের ভিতরে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকার হলফনামা জমা দেয়। সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উঠে এসেছে। ওয়াকফ আইন নিয়ে ইচ্ছাকৃত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর বিবরণ দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করে কেন্দ্র। মোদি সরকার আরও জানিয়েছে, সংসদে প্রণোদিত কোনও আইনের উপর এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তা হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য!

    কী জানাল কেন্দ্রীয় সরকার (Waqf Act)?

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বৈধ এবং দেশের সংসদে আইন মেনেই তা পাশ করানো হয়েছে।

    ● দেশের সংসদে তৈরি করা সংশোধনী আইন সংবিধান মেনেই পাশ করানো হয়েছে।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২২ জনের ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ দুইজন অমুসলিম প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এটা এমন একটা সংখ্যা যা ওয়াকফ বোর্ডের কোনও সিদ্ধান্তকেই প্রাভাবিত করতে পারবে না।

    ● দেশের সংসদ তার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করেছে, যাতে ওয়াকফ বোর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বেশ কিছু মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনীর মাধ্যমে মৌলিক অধিকারকে সংশোধন করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়।

    ● কেন্দ্রের মতে, ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে যেভাবে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, তা আসলে এদেশের বিচারবিভাগীয় মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে যায়।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তির একাধিক অপব্যবহার সামনে এসেছে।

    ● কেন্দ্র জানিয়েছে, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনা বিশ্লেষণের মাধ্যমেই এই সংশোধনী আইন আনা হয়েছে।

    ● কেন্দ্র জানিয়েছে, কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে তা না জেনে, একটা বিধানের (সংসদে পাশ করা আইন) ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা অনভিপ্রেত। যদি সংসদে প্রণোদিত কোনও আইনের উপর এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তা হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্য (Waqf Act) নষ্ট করার সমতুল্য!

    ১৭ এপ্রিল মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা দিতে বলে কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিলই (Waqf Act) এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত রয়েছে এমন ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনওরকমের বদল ঘটানো যাবে না। একইসঙ্গে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, নিয়োগ করা যাবে না ওয়াকফ বোর্ড বা পর্ষদেও। তখনই কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক হলফনামা জমা করল শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শেরশা সি শেখ মহিউদ্দিন এই হলফনামা জমা দেন শীর্ষ আদালতে।

    ৩৬ বার যৌথ সংশোধনী কমিটির বৈঠক, ৯৭ লক্ষেরও বেশি অংশীদারের পরামর্শ

    প্রসঙ্গত, লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার আগে যৌথ সংশোধনী কমিটির ৩৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, ৯৭ লক্ষেরও বেশি অংশীদার তাঁরা নিজেদের পরামর্শ দিয়েছেন। যৌথ সংসদীয় কমিটি দেশের দশটি বড় শহরে ঘুরে জনসাধারণের মতামত নিয়েই নয়া ওয়াকফ আইনের খসড়া তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার আগে পর্যন্ত যেকোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ প্রপার্টি হিসেবে ঘোষণার অধিকার এতদিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। অতীতে বহুবার এদের বিরুদ্ধে গরিব মুসলমানদের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের (Waqf Act) ব্যক্তিগত সম্পত্তি হরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে নয়া সংশোধনীতে এই অধিকার একেবারে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কোন সম্পত্তি ওয়াকফ হবে এবং কোনটি ওয়াকফ নয় তা বিচার করা চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৯৫৪ সালে প্রথমবার ওয়াকফ আইন পাশ করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনের সংশোধন এনে ফের ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বাড়িয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার।

  • Rajgir: বিশ্বশান্তি স্তূপ, সপ্তপর্ণী গুহা, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ! ঘুরে আসুন রাজগীর

    Rajgir: বিশ্বশান্তি স্তূপ, সপ্তপর্ণী গুহা, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ! ঘুরে আসুন রাজগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় নাম ছিল রাজগৃহ (Rajgir)। রত্নগিরি, বিপুলগিরি, বৈভবগিরি, শোনগিরি, উদয়গিরি-এই পাঁচটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা। তাই কেউ কেউ একে ‘পাঁচ পাহাড়ের দেশ’ বলেও অভিহিত করেন। আর আপামর পর্যটকদের কাছে এর পরিচিতি ‘রাজগীর’ নামে। মগধরাজ জরাসন্ধের রাজধানী ছিল এই রাজগীর। সম্রাট অশোকের পিতা সম্রাট বিম্বিসারের রাজধানী ছিল এই রাজগীর। পরবর্তী কালে সম্রাট অশোক এখান থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন তৎকালীন পাটলিপুত্র, বর্তমানের পাটনাতে। ভগবান বুদ্ধ তাঁর জীবনের ১২টি বসন্ত কাটিয়েছেন এখানে। নালন্দার কাছে কুন্দলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর। সেই অর্থে রাজগির হল বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের অনুগামীদের জন্য এক পবিত্র তীর্থস্থান।

    বিশ্বশান্তি স্তূপ (Rajgir)

    রাজগীরের সেরা আকর্ষণ হল গৃধ্যকুট পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বিশ্বশান্তি স্তূপ। গৌতম বুদ্ধের স্মরণে জাপানের বৌদ্ধ সঙ্ঘ এই বিশ্বশান্তি স্তূপ নির্মাণ করেন। রাজগীরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এখানকার উষ্ণ প্রস্রবণগুলি। বৈভব পাহাড়ের পাদদেশে ব্রহ্মা মন্দিরের পাশেই এই উষ্ণ প্রস্রবণ। অনেকেই মনে করেন, এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ থাকায় এই জলে স্নান করলে বহু রোগের নিরাময় হয়। এর কাছেই জয়প্রকাশ নারায়ণ পার্ক। এর বিপরীতে রয়েছে মনিয়ার মঠ। এটিকে অনেকেই ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন ও মহাভারতে বর্ণিত মণিনাগের মন্দির বা মনসা মন্দির বলেন। এখান থেকে একটু এগোলেই বাঁ দিকে মৃগ উদ্যান। আর সামান্য দূরে জরাসন্ধের রত্নাগার।

    সপ্তপর্ণী গুহা

    এর পরের দ্রষ্টব্য সপ্তপর্ণী গুহা। বৈভব পাহাড়ের এই গুহায় (Rajgir) বসেই লেখা হয়েছিল বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক। এবার চলুন বেনুবন। একটি বিশাল সরোবরসহ এই সুন্দর বাগানটি ভগবান বুদ্ধকে উপহার স্বরূপ দিয়েছিলেন নৃপতি বিম্বিসার। এছাড়াও দেখুন ভীরায়তন মিউজিয়াম, রথচক্র দাগ, রণক্ষেত্র, জাপানি ও বার্মিজ টেম্পল, জৈন তীর্থঙ্কর আদিনাথের মন্দির, নওলখা মন্দির প্রভৃতি।

    নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

    রাজগীর ভ্রমণের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল নালন্দা দর্শন। রাজগীর (Rajgir) থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরে এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। এটিই হল নালন্দার প্রধান আকর্ষণ। এর প্রবেশ পথের ঠিক উল্টো দিকেই রয়েছে মিউজিয়াম। এখানে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া বিভিন্ন এবং অন্যান্য স্থানের বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ও আকর্ষণীয় জিনিসপত্র প্রদর্শিত হয়েছে। ইচ্ছে এবং হাতে সময় থাকলে একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যায় রাজগীর থেকে ৩১ কিমি দূরে পাওয়াপুরি থেকেও। পাওয়াপুরির জল মন্দিরটি ভালো লাগবেই।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Rajgir)

    যাতায়াত-কলকাতা-হাওড়া থেকে পাটনাগামী যে কোনও ট্রেন ধরে আসতে হবে পাটনার একটু আগে বখতিয়ারপুর স্টেশনে। সেখান থেকে বাস বা গাড়িতে যেতে হবে প্রায় ঘন্টা দেড়েক দূরে রাজগীর।
    থাকা খাওয়া-এখানে রয়েছে সারদা গ্রুপের বেশ কয়েকটি হোটেল। এর মধ্যে রয়েছে ১) হোটেল রাজলক্ষ্মী ২) মা সারদা লজ ৩) বঙ্গবাসী লজ ৪) হোটেল সারদা প্রভৃতি। যোগাযোগ-০৯৩৩৯৮৯৯৪৯৩, ০৯৪৩১৪৮৭৬৪৬। এদের কলকাতায় নিজস্ব অফিস আছে ৫বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট-এ। ফোন-৮৫৮২৯১৬৪৯৯, ৯৪৩৩৭৫২৭২৩, ৯০৫১২৪৮৫৫৭২। প্রসঙ্গত জানাই, এখানে বাস বা গ্রুপ পার্টির থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে।

  • Pahalgam Terror Attack: জোর করে পাহাড়ে তোলা হয়েছিল,পুলিশ দেখেও নীরব! পহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভমের স্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি

    Pahalgam Terror Attack: জোর করে পাহাড়ে তোলা হয়েছিল,পুলিশ দেখেও নীরব! পহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভমের স্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দম্পতি। ফেব্রুয়ারিতে চার হাত এক হয়েছিল কানপুরের ব্যবসায়ী শুভম দ্বিবেদীর। গা থেকে এখনও মুছে যায়নি নতুন বিয়ের গন্ধটুকু। স্ত্রী ঐশ্বন্যাকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ভূস্বর্গকে। কিন্তু সেই মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে বিধবা হলেন ঐশ্বন্যা। সিঁথির লাল রং মুছে গেল রক্তের দাগে। মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ব্যবসায়ী শুভম। অতর্কিতে হামলার ফলে এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তে ভেসে যায় বৈসরন। এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় ২৬ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক। হামলায় কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন, কেউ পুত্রকে! মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল চার থেকে ছ’জন জঙ্গি। কিন্তু শুভমের স্ত্রীর দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বড় চক্রান্ত। রয়েছে স্থানীয় যোগাযোগ।

    স্থানীয় কয়েকজন ঘোড়াওয়ালাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    কানপুরের বাসিন্দা শুভম দ্বিবেদীর মরদেহ তাঁর শহরে নিয়ে আসা হয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে নিজে উপস্থিত হন। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে শুভমের স্ত্রী ঐশান্যা (Aishanya)। তিনি জানান, হামলার আগেই কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছিল, যা থেকে স্পষ্ট হয় যে স্থানীয়দের কেউ কেউ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ঐশান্যা জানিয়েছেন, তাঁরা দু’জনে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন, তবে তাঁরা আগেই ঘোড়াওয়ালাকে বলে দিয়েছিলেন বেশি উঁচুতে না নিয়ে যেতে। কিন্তু সেই ঘোড়াওয়ালা জোর করে তাঁদের পাহাড়ের শীর্ষে নিয়ে যেতে থাকে। শুভম তাঁকে অনুরোধ করেন যে পুরো টাকা নিয়ে নিলেও যেন নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু সেই অনুরোধ উপেক্ষিত হয়।

    জড়িত কয়েকজন কাশ্মীরি পুলিশকর্মী

    কয়েকটি পরিবারের অভিযোগ, ঘোড়াওয়ালারা ইচ্ছাকৃতভাবে পর্যটকদের ওপর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং যখন গুলি চলতে শুরু করে, তখন চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত তিনজন কাশ্মীরি পুলিশকর্মী ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কিছুই করেননি। পর্যটকদের সাহায্যের জন্য বারবার চিৎকার করা হলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। শুভমের বাবা জানান, পহেলগাঁওয়ে তাঁদের হোটেলে কিছু স্থানীয় ব্যক্তি পর্যটকদের সম্পর্কে — কে কোথা থেকে এসেছে, কতজন, নাম ও ফোন নম্বর — এসব জানার চেষ্টা করছিল। অন্যদিকে, এক মহিলা পর্যটক অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ঘোড়াওয়ালা ঘন ঘন ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইছিল এবং কোরান নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল। সেই ব্যক্তি জানতে চেয়েছিল, তাঁদের দলের সদস্যরা মুসলিম না হিন্দু। সন্দেহবশত ওই মহিলা তাঁকে বলেন যে তাঁরা সবাই মুসলিম, তখন সে বলেছিল যে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই তারা অমরনাথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। এমনকি ফোনে কথা বলার সময় ঘোড়াওয়ালা ৩৫টি বন্দুকের কথাও বলেছিল, বলে দাবি ওই মহিলা পর্যটকের।

    হামলার পেছনে কি স্থানীয় স্লিপার সেল 

    এই সমস্ত ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, পহেলগাঁওয়ে এই হামলার পেছনে কি স্থানীয় স্লিপার সেল বা মৌলবাদী চক্র কাজ করেছে? এত বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা স্থানীয় সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। পহেলগাঁও থেকে বৈসরন উপত্যকা যাওয়ার পথ বেশ দুর্গম। সেখানে গাড়ি চলাচলের কোনও পথ নেই। হয় পায়ে হেঁটে অথবা ঘোড়ায় বা খচ্চরে চেপে যেতে হয় সেখানে। এতটা পথ পার হয়ে জঙ্গিরা পৌঁছে গেল সেখানে। তারা রেইকি করল, সেনার পোশাক গায়ে সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে ঘাপটিও মেরে থাকল। অথচ স্থানীয়রা কিছুই টের পেল না? উঠছে এই ধরনের নানা প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, এই ঘটনার জবাব সঠিক সময়ে দেওয়া হবে এবং সন্ত্রাসবাদকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা হবে।

    জানা যাচ্ছে, পিওকে ও পাকিস্তানের হ্যান্ডলারদের সহায়তায় নাশকতার এই ছক অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করা হয়েছিল। ওপার থেকে অস্ত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের এদেশে পাঠানোর পাশাপাশি খোঁজা হয়েছিল এমন পর্যটনস্থল, যেখানে পর্যটকের সংখ্যা প্রচুর হলেও নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে তুলনামূলক কম। শুধু তাই নয়, আততায়ীদের কাছে ওপার থেকে রিয়াল টাইম নানা নির্দেশও পাঠানো হচ্ছিল বলেও শোনা যাচ্ছে। যে চার আততায়ী মঙ্গলবার নাশকতা চালিয়েছিল, তাদের হেলমেটে ক্যামেরা লাগানো ছিল। যার ফলে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং ও রিয়াল টাইম আপডেটও নিচ্ছিল তাদের ‘আকা’-রা। স্থানীয় সহযোগিতা ছাড়া সীমান্তের ওপার থেকে এসে এত নিখুঁত পরিকল্পনা সম্ভব নয় বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞরা।

     

     

     

     

  • Mohan Bhagwat On Pahalgam: “লড়াইটা ধর্ম বনাম অধর্মের, হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না”, পহেলগাঁও ইস্যুতে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat On Pahalgam: “লড়াইটা ধর্ম বনাম অধর্মের, হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না”, পহেলগাঁও ইস্যুতে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ লড়াই ধর্ম বনাম অধর্মের। একজোট হতে হবে। পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat On Pahalgam)। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘এই যুদ্ধ ধর্ম এবং অধর্মের মধ্যে। আমরা প্রত্যেকে এই ঘটনায় ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু শয়তানকে ধ্বংস করতে গেল পূর্ণ শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। যেমন রাবণ নিজেকে শোধরাতে অসম্মত ছিলেন। তাই রামের হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না। তবু রাবণ শোধরানোর একটা সুযোগ দিয়ে তার পরই হত্যা করেছিলেন রাম।’ ভাগবতের কথায়, “একজন প্রকৃত হিন্দু কখনও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে কাউকে হত্যা করতে পারে না। পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা রাক্ষসোচিত আচরণ—মানবতাবিরোধী ও ধর্মের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”

    ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে হিন্দুদের

    ‘হিন্দু’ শব্দটির উল্লেখ না করেও আরএসএস প্রধান বুঝিয়ে দিলেন, এই কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সংখ্যাগুরুদের। তবে একই সঙ্গে মোদি সরকারকে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এবার কড়া জবাব দিতেই হবে। বৃহস্পতিবার আরএসএস প্রধান পহেলগাঁও ইস্যুতে মুখ খুলে বললেন, “ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে মানুষ মারা হয়েছে। হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না। এই লড়াইটা এখন ধর্ম বনাম অধর্মের।” সংঘপ্রধান বলছেন, “আমাদের হৃদয় ব্যাথিত। আমরা ক্ষুব্ধ। কিন্তু শয়তানকে শেষ করতে হলে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে হয়। রাবণও নিজেকে বদলাতে চায়নি। তাই অন্য কোনও বিকল্প না দেখে রাম তাঁকে হত্যা করেন। তবে সেটার আগে একবার মত বদলের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল রাবণকে।” ভাগবত বলেন, “আজকের রাবণ ধ্বংসে দরকার মা দুর্গার মতো শক্তি—অষ্টাদশ ভুজা শক্তি। সেই শক্তি আমাদের ঐক্য, আমাদের সংগঠন, আমাদের নৈতিক অবস্থান।”

    একত্রিত হওয়ার ডাক

    সরসংঘপ্রধান (Mohan Bhagwat On Pahalgam) বলছেন, “এবার আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমরা একত্রিত থাকলে কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। আর যদি কেউ চোখ তুলে তাকায় তাহলে সেই চোখ গেলে দেওয়া হবে। ঘৃণা বা নৃশংসতা কোনওটাই আমাদের স্বভাব নয়। কিন্তু চুপচাপ নিজের ক্ষতি সহ্য করাও যাবে না। অহিংসদেরও শক্তিশালী হতে হয়। শক্তি না থাকলে কোনও বিকল্প থাকে না। আর শক্তি থাকলে সেটা দৃশ্যমান হওয়া উচিত।” ভাগবত বলেন, “এটি কোনো ধর্মীয় সংঘর্ষ নয়, এটি ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। রাবণও শিবের ভক্ত ছিলেন, পণ্ডিত ছিলেন। কিন্তু তিনি অধর্মের পথে চলেছিলেন—তাই রামের হাতে নিহত হন। তেমনি যারা আজ ঘৃণা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, তাদেরও নির্মূল করতে হবে ধর্ম রক্ষার তাগিদে।”

    জোরালো প্রতিক্রিয়া

    আরএসএস প্রধান ভাগবতের মতে, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা, শয়তানি শক্তিকে আটকাতে হলে আমাদের আরও শক্ত হবে। আমরা দেশবাসীরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই। তাহলে কেউ আমাদের দিকে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকাতেও সাহস পাবে না। আর কেউ যদি সে সাহস করে তার চোখ যেন উপড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার জোরালো প্রতিক্রিয়া দরকার।’ মোহন ভাগবতের কথায়, ভারতবাসীর স্বভাবে হয়তো শত্রুতা ঘৃণা নেই। কিন্তু তা বলে তাঁরা নীরবেও ক্ষতি সহ্য করবে না। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও যুদ্ধ নয়। এটি ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে একটি যুদ্ধ। কারণ যারা নিহত হয়েছে তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। কোনও হিন্দু বা আমাদের সৈন্য কখনও তাদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে কাউকে হত্যা করেনি। কিছু চরমপন্থী তাদের নিজস্ব ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করেছে এবং এই ধরনের কাজ করেছে। সবার মধ্যে ক্রোধ এবং শোক রয়েছে। তবে গোটা জাতিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।’

    সরছে পর্যটকরা

    জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন। পহেলগাঁও হামলার পরে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে অন্তত ১০ হাজার পর্যটক ইতিমধ্যেই সরে গেছেন। ২৪ এপ্রিল শুধুমাত্র শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ১১০টি ফ্লাইটে ১৪,০০০-এরও বেশি যাত্রীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আইবি ও র’ প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

  • Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তালহা দেড় বছর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে ভারতে ঢোকে মুসা। তার পরে আসে আলি। এই দুই জঙ্গিকে পথঘাট চিনিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা আদিল হুসেন ঠোকর। আদিল নিজেও পহেলগাঁও হামলায় জড়িত। এছাড়াও রয়েছে আরেক হামলাকারী আসিফ শেখ। এই জঙ্গির বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে। আসিফের বাড়ি ইতিমধ্যে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আদিলের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে।

    জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গি পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে (Pahalgam Attack)

    সূত্রের খবর, জঙ্গি আসিফ জম্মু-কাশ্মীরের যে এলাকায় থাকত, সেটি ছিল লস্কর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির এলাকা। তাকে বছর খানেক আগে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল আসিফ। এর ঠিক তিন বছর পরে সে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালেই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত আর এক জঙ্গি আদিল। পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। মাঝেমধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরে আদিলকে দেখা যেত বলে জানা যাচ্ছে।

    দেড় বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল ২ পাক জঙ্গি মুসা এবং আলি

    অন্যদিকে, প্রায় দেড় বছর ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি মুসা এবং আলি। এমনটাই জানা যাচ্ছে গোয়েন্দা সূত্রে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ভারতে প্রবেশ করেছিল মুসা। মূলত বদগাঁও এলাকায় সক্রিয় ছিল সে। অন্যদিকে অপর পাক জঙ্গি (Terrorists) আলি শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দাচিগাঁও জঙ্গলে সক্রিয় ছিল। প্রসঙ্গত, এখানকার ঘন পাহাড়ি জঙ্গল পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) পর্যন্ত বিস্তৃত। মনে করা হচ্ছে এই জঙ্গলের পথ ধরেই পহেলগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করত জঙ্গিরা। যাতায়াতের পথে তাদের সাহায্য় করত আদিল।

  • Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি রাজ্যে থাকা পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই তিনি জানান, রাজ্যগুলিতে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ থেকে থাকেন, তবে তাঁকে শনাক্ত করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অমিত শাহের এই কথোপকথনের বিষয়ে কেন্দ্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে

    সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে। তাদের রাজ্যে কত পাকিস্তানি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে, সকল পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠাতে বলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেকটা জঙ্গিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরও ছাড়া হবে না।”

    রণংদেহী মোদি সরকার

    পাকিস্তানকে যে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত, তা মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার জবাবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। এই আবহে এবার আরও এক ধাপ কঠোর হল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Amit Shah) নির্দেশ দিল রাজ্য থেকেও পাকিস্তানিদের (Pakistanis) উৎখাতের। আগামী ২ দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সকল পাকিস্তানিকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।

    হামলায় পাক-যোগ, বিভিন্ন দেশ প্রমাণ দিয়েছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই তাঁদের ওপর গুলি চালায় ইসলামিক জঙ্গিরা। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের (Pakistanis) দিকেই আঙুল তুলেছে। নিজেদের দাবির সপক্ষে দিল্লি তথ্যপ্রমাণও দিয়েছে আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিনের বিদেশি কূটনীতিকদের।

  • Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানায় (Jammu Kashmir Attack) জড়িত আসিফ শেখের বাড়ি ধূলিসাৎ করা হল বিস্ফোরণে। জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে ছিল আসিফের বাড়ি। সেই বাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অন্যদিকে, আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির বাড়িও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা ছিল বলে জানতে পারে প্রশাসন। এরা হল হুসেন ঠোকর ও আসিফ শেখ। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। অন্যদিকে আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।

    বৃহস্পতিবার রাতেই তল্লাশি জঙ্গি আসিফের বাড়িতে (Jammu Kashmir Attack)

    সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটিও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পহেলগাঁওয়ের (Terrorist) জঙ্গিহানায় দুজনই যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে বান্দিপোরায় শুরু হয়েছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। ইতিমধ্যে ১ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে খবর। খতম জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম কমান্ডার আলতাফ লালি (Jammu Kashmir Attack)। এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গুলির লড়াই চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি

    ধর্ম দেখে ২৬ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের (Jammu Kashmir Attack) খুঁজতে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। মূলত পহেলগাঁওয়ের আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি অভিযান। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই এলাকাতেই লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা। আজ শুক্রবার সকালেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে। জঙ্গলে ঢুকতেই জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এই সংঘর্ষে দুই জওয়ান আহত হন। আপাতত চারিদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হবে না। নদীগুলির অবস্থান ভারতে হওয়ার কারণে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য এদেশের ওপরেই নির্ভর করতে হত পাকিস্তানকে। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। পাকিস্তান বর্তমানে যে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি রয়েছে যেমন সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোন বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়াতে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছু বন্ধ হল। এতে বেশ বিপাকে পড়বে পাকিস্তান (Indus Water Treaty)। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    জলশক্তি মন্ত্রকের উচ্চ আধিকারিক দিলেন ব্যাখ্যা

    এ নিয়েই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের (Indus Water Treaty) একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে অবিলম্বে বন্ধ হল তথ্য আদান প্রদান। দৈনিক তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জলের নিয়ন্ত্রণ অপরিবর্তিতই থাকছে। যেহেতু এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত, তাই এদেশের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পাকিস্তানকে চলতে হত এবং সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু চুক্তির অধীনে ভারত রবি, বিপাশা এবং শতদ্রু- এই তিন নদীর সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি থেকে জল গ্রহণ করে। পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির মধ্যে আছে চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলাম। সিন্ধু প্রণালীর প্রধান নদী- সিন্ধু এবং পাঁচটি উপনদী: রবি, বিপাশা, শতদ্রু, ঝিলাম এবং চেনাব। এই পাঁচটি উপনদীই বাঁদিক দিয়ে ভারত হয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে এই প্রণালীর ডান তীরের উপনদীগুলি ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় না। রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুকে একত্রে পূর্ব নদী বলা হয় এবং চেনাব, ঝিলাম এবং সিন্ধুকে পশ্চিম নদী বলা হয়।

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় গতি পাবে এদেশে জল বিদ্যুতের কাজ

    পাকিস্তানের সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে তাদের আশি শতাংশ জল সরবরাহ হয় সিন্ধু ব্যবস্থার মাধ্যমে। জানা যায়, সিন্ধু প্রণালীর এই জল তাদের ৯৩ শতাংশ কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পরে ভারতবর্ষের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি আরও গতি পেতে পারে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতের জলবিদ্যুৎ সংস্থা এনএইচপিসির একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পে পাকিস্তান আপত্তি জানায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে নালিশ করে। সেই রায়ের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের আর সেইরকম বাধা কোনও রইল না।’’

    কোন কোন প্রকল্পের কাজে গতি?

    পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার ফলে কিষাণগঙ্গা এবং রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধ নির্মাণ দ্রুত গতিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ( ৩৩০ মেগাওয়াট) নিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতি মঞ্চেও গিয়েছে। অন্যদিকে, রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধের কাজও এরফলে এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও জানা যাচ্ছে, চেনাব অববাহিকায় কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট), কীরথাই I এবং II (১৩২০ মেগাওয়াট) এবং সাওয়ালকোট (১,৮৫৬ মেগাওয়াট) প্রকল্পগুলিও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা করে ভারত আদতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। কারণ, এর আগে ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের যুদ্ধ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তবে কখনও এই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়নি। এবারে মোদি সরকার সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করে দিল।

    সিন্ধুর ওপর বাঁধ নির্মাণ করবে ভারত?

    অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত বর্তমানে সিন্ধুর উপর একটি বাঁধ নির্মাণের (Indus Water Treaty) কথাও বিবেচনা করতে পারে। ঠিক ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর চিন যেমন বাঁধ নির্মাণ করেছে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা আইনি এবং কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও যাবে। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী সরদার আওয়াইস ভারতের পদক্ষেপকে জল‌ যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনার মতে, পাকিস্তান প্রায় ভারতের উন্নয়নকে থামানোর জন্য এই চুক্তিকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

    প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার কী জানাচ্ছেন?

    ভারতের প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘উঁচু অববাহিকার দেশ হিসাবে ভারতের কাছে একাধিক বিকল্প রয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে এটি চুক্তি বাতিলের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। যদিও চুক্তিটি বাতিল করার জন্য কোনও সুস্পষ্ট বিধান নেই, তবে চুক্তির আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৬২-তে পর্যাপ্ত পরিসর দেওয়া আছে। যা বলে, পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তনে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।’’

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার আবহে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গুলিবর্ষণ পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার আবহে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গুলিবর্ষণ পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তিনদিন পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে এসেছে। সূত্রের মারফত আরও জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি, যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    বান্দিপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গুলি বর্ষণ করে (Pahalgam Attack)। এরপর ভারতও পাল্টা জবাব দেয়। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করার পরে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, তাতে এ কথা বলা যায় যে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তান জুড়েও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে পলাতক এক সন্ত্রাসী আহত হয়েছে এই গুলির লড়াইয়ে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় উচ্চ পদস্থ পুলিশকর্তা সহ দুই নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।

    বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে তল্লাশি, গুলির লড়াই (Pahalgam Attack)

    জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে, এমন খবর নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সূত্রে পায়। এরপরেই তাঁরা সেই জঙ্গলকে ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। তখনই সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পাল্টা উত্তর দেয় সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই উধমপুর জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে এক সেনা নিহত হন। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরে নিরাপত্তা বাহিনী সেই জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। হামলার (Pakistan) পিছনে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে এমন তিন সন্দেহবাজনের ছবি ও প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ, আবু তালহার। এই সন্ত্রাসবাদীদের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে কুড়ি লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।

LinkedIn
Share