Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের চাবাহার বন্দরের পর এবার দ্বিতীয় ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার অধিকার পেল ভারত। সিটওয়ে (Myanmar Sittwe Port) নামের এই বন্দরটি রয়েছে কালাদান নদীর ওপর। এই বন্দর পরিচালনার জন্য ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের একশো শতাংশ মালিকানাই পোর্টস, শিপিং এবং জলপথ মন্ত্রকের।

    চিন-ভারত রেষারেষি! (Myanmar Sittwe Port)

    বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারে মেতেছে চিন ও ভারত। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের দায়িত্ব নিয়েছে চিন। আফ্রিকার ডিজবাউটি বন্দরের দায়িত্বও নিয়েছে ড্রাগনের দেশ। বাংলাদেশ ও মলদ্বীপের বন্দরেও লগ্নি করবে বলে ওই দুই দেশের সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে বেজিং। চিনের এই অর্থনৈতিক আগ্রাসনের জেরে উদ্বেগে ভারত। তার পরেই একের (Myanmar Sittwe Port) পর এক ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার ভার নিতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই তালিকায় প্রথমেই ছিল ইরানের ছাবাহার বন্দর। এবার তালিকায় ঢুকে পড়ল মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরও। এই বন্দরটি কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট পরিবহন প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল, কলকাতার সমুদ্র বন্দরকে সমুদ্রপথে সিটওয়ে বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা। গত বছরের মে মাস থেকে সিটওয়েতে নোঙর করছে মালবাহী জাহাজ।

    ভারতীয় জাহাজকে স্বাগত মায়ানমারে

    কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে যায় প্রথম জাহাজটি। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন পোর্টস, শিপিং ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল এবং মায়ানমারের তরফে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডমিরাল তিং আং সান। মায়ানমারের এই বন্দরের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগের যোগাযোগ সুগম হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাইপাসের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যাবে বাংলাদেশে। মায়ানমারের এই বন্দরের মাধ্যমে যে লেনদেন হবে, পুরোটাই হবে ভারতীয় মুদ্রায়। জানা গিয়েছে, বন্দর পরিচালনার পুরো দায়িত্বই থাকবে ভারতের হাতে। ভারতের নিজস্ব বন্দরগুলির রাশ যেভাবে রয়েছে স্বদেশের হাতে, তেমনিই সিটওয়ের রশিও থাকবে ভারতের হাতে। মনে রাখতে হবে, ছাবাহার বন্দরের চেয়েও সিটওয়েতে (Myanmar Sittwe Port) ভারতের দখলদারি বেশি। কারণ, ছাবাহারে মাত্র দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করতে পারে ভারত। সিটওয়ের ক্ষেত্রে করবে পুরোটাই।

    কী লাভ হল ভারতের?

    সিটওয়ের ক্ষেত্রে চুক্তি পুনর্নবীকরণ হবে প্রতি তিন বছর অন্তর। বন্দরের লিজের মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ায় উপকৃত হবে ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইন প্রদেশের সিটওয়ে বন্দরটিতে ভারত বিনিয়োগ করবে ৪৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের অধীনে হবে সিটওয়ের কাজ। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের জলপথ ও সংযোগকারী রাস্তা চালু হয়ে গেলে সিটওয়ে বন্দরের মাধ্যমে ভারতের পূর্ব উপকূলকে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। মিজোরাম ও হলদিয়া বা কলকাতা বা কালাদান নদীর মধ্যে দিয়ে যে কোনও ভারতীয় বন্দরের মধ্যে একটি বিকল্প জলপথ হয়ে উঠবে। যে পথে অনায়াস হবে কার্গোশিপ পরিবহন। কালদান প্রজেক্টের মাধ্যমে উপকৃত হবে উত্তরপূর্বের রাজ্য ত্রিপুরাও। জানা গিয়েছে, সিটওয়ে বন্দরের রাশ ভারতের হাতে চলে আসায় কলকাতা ও ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা এবং মিজোরামের রাজধানী আইজলের মধ্যে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে পঞ্চাশ শতাংশ। সময়ও প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    উদ্বেগের কারণ

    গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমার (Myanmar Sittwe Port)। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সে দেশে চলছে সেনার শাসন। তা সত্ত্বেও মায়ানমারকে ভারত বরাবর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে তার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কারণে। আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, উত্তর-পূর্বের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভারতের প্রয়োজন মায়ানমারের সাহায্য। এমতাবস্থায় মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ায় অ্যাডভান্টেজ নয়াদিল্লি। মায়ানমারের এই বন্দরের রাশ ভারতের হাতে এলেও, উদ্বেগ কমেনি এতটুকুও। কারণ যে রাখাইন প্রদেশে সিটওয়ে বন্দরটি রয়েছে, সেটি সামরিক শাসক ও বিদ্রোহীদের সংঘাতে দীর্ণ। সিটওয়ে প্রকল্পটির আয়ু কতদিন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ বিদ্রোহীরা রাখাইন প্রদেশের দখল নিয়ে নিলে, এই বন্দরে কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে ভারতের। তবে ভূকৌশলগত অবস্থান বিবেচনা করেই সিটওয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত (Myanmar Sittwe Port)।

    আরও পড়ুুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী প্রচারিত মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে দেখা যেতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ‘‘কীভাবে ভারত ও বিশ্বকে পাল্টে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি’’ শীর্ষক একটি সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রশ্নের অকপট জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধীর পর মোদিই হবেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁকে ‘নিউজউইক’-এর কভারে দেখা যাবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিউজ উইকের এপ্রিল ১৯৬৬ সংখ্যার প্রচ্ছদে উপস্থিত ছিলেন। নিউইয়র্ক ভিত্তিক এই ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী মোদির ৯০ মিনিটের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এই সাক্ষাৎকারে দেশের নীতি-উন্নয়ন থেকে শুরু করে চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ভারত-চিন প্রসঙ্গ

    ‘নিউজউইক’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে জোর সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর কথায়, “আমার বিশ্বাস, সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে যে বিবাদ চলছে সেই নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা দরকার। তাহলেই আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে যা সমস্যা রয়েছে সেগুলো দূর হতে পারে। ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক সেটাই সকলে চায়। কেবল এই দুই দেশ নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা গোটা বিশ্বের কাছেই এই সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে। তার জোরেই আমাদের সীমান্তে শান্তি স্থাপন হবে।” মোদির মতে, চিনের (China) সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে হবে।

    রাম মন্দির প্রসঙ্গ

    নাতি দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে ওঠে অযোধ্যার রাম মন্দির প্রসঙ্গও। অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ওঁর (শ্রী রাম) জীবন আমাদের চিন্তাধারা ও মূল্যবোধের রূপরেখা নির্ণয় করেছে। আমাদের পবিত্র ভূমি জুড়ে তাঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে। আমি ১১ দিনের বিশেষ রীতি পালন করেছিলাম, শ্রী রামের পদচিহ্ন যেখানে যেখানে রয়েছে, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এই যাত্রা আমায় দেশের বিভিন্ন কোণায় নিয়ে গিয়েছে, যেখানে আমি দেখেছি, রাম আমাদের সকলের মধ্যে বসবাস করে।”

    আরও পড়ুুন: ভারতে আসছেন টেসলা কর্তা, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই লগ্নির ঘোষণা মাস্কের!

    ভারতের উন্নয়ন

    ভারতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে এই সাক্ষাৎকারে নানান কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দির, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়েও সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন মোদি। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে মোদি আরও এক বার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্তা দেন ইসলামাবাদকে। জানান, ভারত সর্বদা শান্তি এবং সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশের পক্ষে। কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, তা স্বচক্ষে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি কিংবা অন্য কেউ কী বলল, তা শোনার প্রয়োজন নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আশীর্বাদ করছেন”, বললেন মোদি

    PM Modi: “৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আশীর্বাদ করছেন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করায় বিআর অম্বেডকরের (সংবিধান রচয়িতা) আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।” বুধবার নাগপুরের কানহান শহরের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ৩৭০ ধারা রদ (PM Modi)

    সেখানে এনডিএ প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা ছিল তা লোপ করা হয়েছে। তাই অম্বেডকরের আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।” দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে গিয়ে বিরোধীরা বলেছিলেন, মোদি ফের ক্ষমতায় এলে বিপন্ন হবে সংবিধান এবং গণতন্ত্র। এদিনের সভায় তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এসব কথা বলে বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। বিরোধীরা তাঁকে আক্রমণ শানানোয় আদতে যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর আসন বাড়বে, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    বিরোধীদের নিশানা মোদির

    তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে সংবিধানের যদি এতই গুরুত্ব ছিল, তাহলে কেন তা গোটা দেশে প্রয়োগ করা হয়েছিল না? কেন ভূস্বর্গ থেকে রদ করা হয়নি ৩৭০ ধারা? বিরোধীরা এটা করেননি, কারণ বিচ্ছন্নতাবাদীদের সম্পর্কে তাঁদের দুর্বলতা ছিল।” তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা রদ হওয়ায় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের দলিত এবং উপজাতির মানুষও সাংবিধানিক অধিকার পাচ্ছেন। কংগ্রেসের রাজত্বে তো ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি হত।” তাঁর তোপ, “বিরোধীরা দেশের ঐতিহ্য-বিরোধী, উন্নয়ন-বিরোধী।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।”

    আরও পড়ুুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে উন্নয়নের বাকি থাকা কাজগুলি সেরে ফেলতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে যে কাজ আমি করেছি, সেটা ট্রেলর মাত্র, মেইন কোর্স এখনও বাকি রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী পাঁচ বছরে, আপনাদের স্বপ্ন হল মোদির সংঙ্কল্প। আমার জীবনের প্রতিটি ক্ষণ, মুহূর্ত আপনাদের কল্যাণে নিয়োজিত এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ হবে ২৪x৭।” বিজেপির এই তারকা প্রচারক (PM Modi) বলেন, “আসন্ন নির্বাচন কেবল সাংসদ নির্বাচনের জন্য নয়, এই ভোট আগামী হাজার বছরে ভারতের ভিত্তিকে মজবুত করবে।” প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রে নির্বাচন হবে প্রথম দফায়, ১৯ এপ্রিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন।” বুধবার এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের কঠিন কাজগুলি করতেই যে ঈশ্বর তাঁকে বেছে নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভগবানের দান (PM Modi)

    তিনি বলেন, “শোনার ক্ষমতাটাও নেতৃত্ব দেওয়ার একটা বড় গুণ। ভগবান আমায় এই গুণটি দিয়েছেন। আমি নিয়মিত এর চর্চাও করি। আরও একটি গুণ আমায় ভগবান দিয়েছেন, সেটি হল আমি সব সময় কাজেই রয়েছি। ফোন কল করে কিংবা মেসেজ করে বা অন্য কিছু করে সময় নষ্ট করি না। যখনই আমি কিছু করি, তখনই আমি তাতে একশো শতাংশ নিয়োজিত হই, সেই কাজের সাগরে ডুবে যাই।”

    আদর্শ নেতার গুণ

    একজন ভালো নেতার কী কী গুণ থাকা উচিত, এই সাক্ষাৎকারে তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর মতে, নেতার ওপরতলা থেকে নিচুতলা পর্যন্ত সমস্ত খবরাখবর নখদর্পনে থাকবে। তৃণমূল স্তরেও থাকবে তাঁর নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ। সেই যোগাযোগ এমনই হবে, যে যখনই কোনও ঘটনা ঘটবে, তখনই সেটি সরাসরি তাঁর কানে পৌঁছবে।

    আরও পড়ুুন: ভারতে আসছেন টেসলা কর্তা, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই লগ্নির ঘোষণা মাস্কের!

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম (গুজরাটের), রাত তিনটেয় একজন ফোন করেছিলেন। কার্জন নামে একটি শহর থেকে কলটা এসেছিল। সচরাচর এত রাতে কেউ একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও বিষয়ে সতর্ক করেন না। কিন্তু আমার অধঃস্তনরা আমার কাজের ধরন জানতেন। তাই তাঁরা আমায় সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ওই শহরে একটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন লোকটি। তিনি বলেছিলেন, আগের দিন আমি যখন তাঁর বাড়িতে খেতে গিয়েছিলাম তখন তিনি আমায় দেখেছিলেন। তাই আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি সরাসরি আমায় ফোন করেছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কারণ কী? তিনি আমায় বলেছিলেন, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে রেল লাইন গিয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটানো হতে পারে সেখানেই। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাটি জেলা প্রশাসনকে জানাই, রেলের আধিকারিকদের জানাই, ঘটনাটির বিষয়ে খোঁজ নিতে। তাঁরা কেউই আগে এ ব্যাপারে কোনও খবর পাননি। তার জেরেই সেবার রোখা গিয়েছিল দুর্ঘটনা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রতি মাসে হাজার হাজার চিঠি পাই। সেগুলি পড়ে দেখি আমায় নিয়ে মানুষের আবেগ-আশা-ভরসা কতখানি। মন কি বাতের অনুষ্ঠান শুনেই তাঁরা আমায় চিঠি দেন (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Supreme Court: গৃহবন্দি থাকলে নিরাপত্তার খরচ জোগাতে হবে নাভালাখাকেই, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: গৃহবন্দি থাকলে নিরাপত্তার খরচ জোগাতে হবে নাভালাখাকেই, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভীম কোরেগাঁও মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তিরস্কৃত হলেন অভিযুক্ত গৌতম নাভালাখা। গৃহবন্দি দশায় তাঁকে যে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, তার খরচ বহন করতে হবে তাঁকেই। গত শুনানিতে নাভালাখার জামিনের আবেদন খারিজ করতে গিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) আদালতে জানিয়েছিল ‘শহুরে নকশাল’ নাভালাখা গৃহবন্দি থাকাকালীন তাঁর নিরাপত্তায় খরচ হয়েছে ১.৫৪ কোটি টাকা। সেই খরচই বহন করতে হবে তাঁকে।

    সুপ্রিম নির্দেশ (Supreme Court)

    মঙ্গলবার আদালত মন্তব্য করে, “আপনি যদি গৃহবন্দিদশায় থাকতে চান, তাহলে তার খরচ জোগাতে হবে আপনাকেই। এ ব্যাপারে আপনি আপনার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।” প্রসঙ্গত, ভীম কোরেগাঁও সংঘর্ষের ঘটনায় (Supreme Court) ২০১৮ সালে ইউএপিএতে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ভীম কোরেগাঁও মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে। সেখানেই আদালত নাভালাখার আইনজীবীকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যদি নাভালাখা গৃহবন্দি থাকতে চান, তাহলে তাঁর খরচ দিতে হবে তাঁকেই। আদলত এও জানিয়েছে, যেহেতু তাঁকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ, তাই গৃহবন্দি থাকলে তাঁর ওপর নজরদারি করবে এনআইএ। তাই খরচও দিতে হবে নাভালাখাকে।

    কী বললেন নাভালাখার আইনজীবী?

    নাভালাখার আইনজীবী জানান, খরচের বিষয়ে কোনও সমস্যা হবে না। তবে ঠিক কত খরচ হচ্ছে, তার সঠিক হিসেব রাখা প্রয়োজন। খরচের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানায় আদালত। প্রসঙ্গত, অসুস্থতার কারণে ভীম কোরেগাঁও মামলায় ধৃত মানবাধিকার কর্মী গৌতম নাভালাখাকে জেল থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে গৃহবন্দি রাখার অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টই। ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর ওই নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। নাভালাখার মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সেদিন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    আরও পড়ুুন: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: ভারতে আসছেন টেসলা কর্তা, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই লগ্নির ঘোষণা মাস্কের!

    Elon Musk: ভারতে আসছেন টেসলা কর্তা, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই লগ্নির ঘোষণা মাস্কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে মোটা অঙ্কের লগ্নির ব্যাপারে কথা দিয়েছিলেন আগেই। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। দেশ ফুটছে রাজনীতির আঁচে। এহেন আবহে চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন টেসলা কর্তা। ভারতে নয়া কারখানা গড়তে আগ্রহী মাস্ক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেই সম্ভবত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের।

    কবে আসছেন টেসলা কর্তা?

    তবে ঠিক কবে ভারতে আসবেন টেসলা কর্তা, কবেইবা বসবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে, সে ব্যাপারে এখনও কিছুই জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেই ভারত সফরে আসতে চলেছেন মাস্ক (Elon Musk)। এই সফরেই দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এপ্রিলেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। ভোট হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। তার পর আরও কয়েকটি দফার নির্বাচন হবে চলতি মাসেই। সেই সময়ই ভারতে আসছেন মাস্ক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেসলার এক আধিকারিক বলেন, “এপ্রিল মাসে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই ভারত সফরে যাবেন ইলন মাস্ক।”

    আরও পড়ুুন: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

    সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছিল ঢের আগে

    গত জুনে তিন দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরেই নিউ ইয়র্কে মাস্কের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই ভারতের সম্ভাবনা ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন টেসলা কর্তা। আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতে বিনিয়োগের বিষয়ে। মাস্ক ভারতে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার চিন্তাভাবনা করছেন বলেও জানা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই বৈঠক শেষে মাস্ক বলেছিলেন, “দারুণ একটা বৈঠক হল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁকে আমি খুবই পছন্দ করি। কয়েক বছর আগে (২০১৫ সালে) তিনি আমাদের কারখানায় এসেছিলেন। আমরা একে অপরকে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই চিনি।” সেই সময়ই তিনি বলেছিলেন, “ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি ভীষণ উৎসাহিত। আমার ধারণা, বিশ্বের যে কোনও বড় দেশের তুলনায় ভারতের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।” জানা গিয়েছে, সেই সূত্রেই এবার ভারতে আসতে চলেছেন মাস্ক। সূত্রের খবর, ভারতে কারখানা চালু হলেই বছরে উৎপাদন করা হবে ৫ লক্ষ গাড়ি। গাড়ির দাম হবে ২০ লক্ষের মধ্যেই (Elon Musk)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Patanjali Case: আয়ুষ না অ্যালোপ্যাথি, পছন্দ হওয়া উচিত ব্যক্তিগত, পতঞ্জলি মামলায় জানাল কেন্দ্র

    Patanjali Case: আয়ুষ না অ্যালোপ্যাথি, পছন্দ হওয়া উচিত ব্যক্তিগত, পতঞ্জলি মামলায় জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ না অ্যালোপ্যাথি কোন পদ্ধতিতে কেউ চিকিৎসা করাবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ। এবং কোনও একটি পদ্ধতিকে নিরুৎসাহ করাও উচিত নয়। পতঞ্জলি মামলায় (Patanjali Case) বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি আর্য়ুবেদ সংস্থার বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা বিজ্ঞাপনী মামলা চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। এই মামলায় আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য ছিল, “সরকার চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।” এর পরেই এদিন আদালতে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টি জানাল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের হলফনামা (Patanjali Case)

    সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আইন অনুযায়ী সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটিকে বলা হয়েছিল, পরীক্ষা না করা পর্যন্ত এই জাতীয় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না। বিষয়টি (Patanjali Case) জানানো হয়েছিল রাজ্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষকেও। বলা হয়েছিল, ‘করোনিল’ ট্যাবলেট কোভিড ১৯ সহায়ক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। করোনা নিরাময়ের জন্য মিথ্যা দাবিগুলির বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপও করেছে কেন্দ্র।

    ‘করোনিল কিট’

    ২০২০ সালের ২৩ জুন বাজারে ‘করোনিল কিট’ নিয়ে আসে রামদেবের সংস্থা। কিটে ছিল ‘করোনিল’ ও ‘শ্বাসারি’ বটি নামে দু’প্রকার ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের এক শিশি তেল। কিটের দাম ছিল ৫৪৫ টাকা। সংস্থার দাবি, সব মিলিয়ে ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি করেছে পতঞ্জলি। এই করোনিল নিয়েই বিজ্ঞাপন দিয়েছিল রামদেবের সংস্থা। তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ও চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও ওঠে।

    আরও পড়ুুন: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

    এতেই চাপে পড়ে যান যোগগুরু। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। হলফনামা দিয়ে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমাও চাইতে হয়েছে শীর্ষ আদালতে। ক্ষমা চাইতে হয়েছে পতঞ্জলির এমডি আচার্য বালকৃষ্ণকেও। এই জাতীয় ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও আদালতে জানিয়েছিলেন রামদেব ও তাঁর সহযোগী বালকৃষ্ণ (Patanjali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Triyuginarayan Temple: শিব-পার্বতীর বিবাহস্থল! বিয়ে করতে অনেকেই ছুটে যান উত্তরাখণ্ডের এই মন্দিরে

    Triyuginarayan Temple: শিব-পার্বতীর বিবাহস্থল! বিয়ে করতে অনেকেই ছুটে যান উত্তরাখণ্ডের এই মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডকে দেবভূমি বলা হয়ে থাকে। একাধিক পৌরাণিক কাহিনীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন স্থান। উত্তরাখণ্ডের অন্যতম বিশেষ তীর্থস্থান হল ত্রিযুগীনারায়ণ মন্দির (Triyuginarayan Temple)। রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত এই মন্দিরকে দেখতে পাওয়া যায় পর্বতের ১,৯৮০ মিটার উচ্চতায়। হিন্দুদের ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী, এই মন্দিরেই সম্পন্ন হয়েছিল শিব পার্বতীর আধ্যাত্মিক বিবাহ। ভক্তদের বিশ্বাস, ত্রিযুগীনারায়ণ মন্দিরের অগ্নিকুণ্ড শিব-পার্বতীর বিবাহের সময় থেকেই জ্বলছে। এই কুণ্ডকে সাক্ষী রেখে বিবাহ সম্পন্ন করেছিলেন শিব এবং পার্বতী। ত্রিযুগীনারায়ণ মন্দিরে অধিষ্ঠান করছেন ভগবান বিষ্ণু। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তিন যুগ ধরে অবস্থান করছে মন্দির। তাই এমন নামকরণ।

    বিবাহ কেন্দ্র ত্রিযুগীনারায়ণ মন্দির (Triyuginarayan Temple)

    সাত পাকে বাঁধা পড়া, হিন্দু ধর্মে কোনও চুক্তি নয় বরং তা এক পবিত্র সম্পর্কের শুরু বলে মানা হয়। বর্তমান লিভ-ইন সম্পর্কের যুগে হিন্দু ধর্মের পবিত্র বিবাহ বন্ধন নৈতিক সমাজ গঠনে অনেক বেশি কার্যকরী বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পবিত্র সম্পর্কের শুরু করতে অনেকেই তাই তীর্থস্থানকে বেছে নেন। ত্রিযুগীনারায়ণ মন্দিরে (Triyuginarayan Temple) সব থেকে বেশি বিবাহ সম্পন্ন হয় বলেই জানা যাচ্ছে। প্রতি বছরেই দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষই আসেন এখানে নিজেদের বিবাহ সম্পন্ন করতে। স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, প্রতিবছরে এমন বিবাহের সংখ্যা ত্রিযুগীনারায়ণ মন্দিরে বেড়েই চলেছে।

    কী বললেন পুরোহিত কমিটির সভাপতি? 

    বর্তমানে ত্রিযুগীনারায়ণ (Triyuginarayan Temple) তীর্থ পুরোহিত কমিটির সভাপতি রয়েছেন সচ্চিদানন্দ পাঁচপুরি। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিনই আমরা অজস্র ফোন কল এবং অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন পাই। যাঁরা এই মন্দিরের মাধ্যমে নিজেদের বিবাহ সম্পন্ন করাতে চান। দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে পাঁচশো বেশি বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে এই মন্দিরে।’’ ওই পুরোহিত আরও জানিয়েছেন, আড়াইশো জনেরও বেশি মানুষ রেজিস্ট্রি করেছেন ভবিষ্যতে বিবাহ করার জন্য। মন্দিরের পুরোহিত কমিটির সভাপতির মতে, ‘‘আমরা এখনও পর্যন্ত বিদেশ থেকে অসংখ্য ফোন কল পেয়ে যাচ্ছি। বিবাহের আবেদন করছেন ওনারা।’’ ওই মন্দির কমিটির সভাপতি মতে, ‘‘আমরা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও আবেদন জানিয়েছি, যাতে দেশের কোনও মানুষ বিদেশে বিবাহ করতে না যান। উত্তরাখণ্ডে এই মন্দিরেই নিজেদের বিবাহ সম্পন্ন করেন।’’

    পৌরাণিক কাহিনী কী বলছে?

    পুরাণ অনুযায়ী, চৈত্র মাসে বিয়ে হয়েছিল শিব-পার্বতীর। এখন চৈত্র মাস চলছে। চারদিকে, বিশেষ করে গ্রামবাংলায় গাজন উৎসব পালিত হচ্ছে। এই উৎসবকে শিব-পার্বতীর বিয়ের উৎসব হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, নিজেদের বিবাহের জন্য এই স্থানকেই বেছেছিলেন শিব-পার্বতী। এখানকার অগ্নিকুণ্ডের আগুন শিব-পার্বতীর বিবাহ সময় জ্বালিয়েছিলেন স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু। এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। এই অগ্নিকুণ্ডে এখনও পর্যন্ত ভক্তরা এসে নিয়মিতভাবে আহুতি দেন এবং এটাকে পবিত্র কাজ বলে মানা হয়। মনে করা হয়, শিব-পার্বতীর বিবাহে প্রধান পুরোহিতের ভূমিকা পালন করেছিলেন ব্রহ্মা। এছাড়া ভগবান বিষ্ণু বিবাহের যাবতীয় প্রস্তুতির দায়িত্বে ছিলেন। এই মন্দিরের গঠনশৈলীর সঙ্গে কেদারনাথের গঠন শৈলী মিলে যায়। প্রতি বছর কেদারনাথের মতোই অসংখ্য ভক্তের গন্তব্য হয়ে ওঠে এই ত্রিযুগীনারায়ণ (Triyuginarayan Temple) মন্দির। এই মন্দিরে রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর দু’ফুটের বড় একটি ছবি। তার পাশে দেখা যায় মা লক্ষ্মী এবং সরস্বতীকেও। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে দেবী পার্বতী ছিলেন হিমালয়ের কন্যা। তিনি ভগবান শিবকে বিয়ে করতে চেয়ে কঠোর তপস্যা করেন। যা উত্তরাখণ্ডের গৌরিকুণ্ডে অবস্থিত বর্তমানে কেদারনাথ ট্রেকিংরুটে এটি পড়ে।

    উদ্যোগ নিচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকারও

    উত্তরাখণ্ডের সরকার ইতিমধ্যেই ত্রিযুগীনারায়ণ (Triyuginarayan Temple) মন্দিরকে কেন্দ্র করেই সমস্ত কিছুর উন্নয়নকে উপর জোর দিচ্ছে। সেখানকার পর্যটন মন্ত্রীর সতপাল মহারাজ জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডকে বিবাহ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে তাঁদের সরকার। পর্যটকদের টানতে এবং সুবিধার কাজে একাধিক প্রকল্পও শুরু হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডারও ডাকা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPC 498A: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারাটির অপব্যবহার হচ্ছে, মত কর্নাটক হাইকোর্টের

    IPC 498A: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারাটির অপব্যবহার হচ্ছে, মত কর্নাটক হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহিত মহিলাদের ওপর শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার বন্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারাটি (IPC 498A) কারওর অজানা নয়। তবে বর্তমানে এই ধারার অপব্যবহার হচ্ছে বলে মনে করছে কর্নাটক হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারা ৪৯৮ এ (নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা)যা মূলত বিবাহিত মহিলাদের উপর স্বামী বা তাদের আত্মীয়দের দ্বারা নিষ্ঠুরতার শাস্তি দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল তার বর্তমানে অপপ্রয়োগ হচ্ছে। বিচারপতি সিএম জোশী বলেছেন যে সুপ্রিম কোর্ট সহ বেশ কয়েকটি আদালত এই ধরনের অপব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    একটি মামলার শুনানির সময় বিচারপতি জোশী বলেন,  যে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে আদালত ৪৯৮এ (IPC 498A)  ধারার অপব্যবহার এবং এই ধরনের অভিযোগের বিচারে যাওয়ার সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি বিবেচনা না করে বিবাহ সংক্রান্ত বিরোধে স্বামীর আত্মীয়দের জড়িত করার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ বিচারপতি সিএম জোশী জানান যে বিধানগুলির প্রায়শই অপব্যবহার করা হয় এবং দম্পতিদের মধ্যে ছোটখাটো পার্থক্য আদালতের সামনে নিয়ে আসা হয়। দম্পতির মধ্যে পার্থক্য বিভিন্ন কারণে হতে পারে তবে এই কারণগুলিকে মোড়কে করে সাজানো অর্থহীন। প্রসঙ্গত, যে মামলার শুনানির সময় আদালত এই মন্তব্য করে সেই মামলায় আদালত অবশ্য অভিযোগকারীর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বহাল রেখেছেন। আদালত মহিলার অভিযোগ খতিয়ে দেখেন যে অভিযোগগুলি মূলত তার স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের বিষয়ে, আদালত বলেছে যে জড়িত থাকার বিষয়টি দূরবর্তী ছিল। ওই আত্মীয়েরা মুম্বাইতে বসবাসই করতেন না যেখানে এই দম্পতি থাকতেন।

    আরও পড়ুন: নববর্ষের আগেই ফের বাড়বে তাপমাত্রা! দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    ৪৯৮ ধারা কী

    ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC 498A) এই ধারায় কোনও মহিলার ওপর অত্যাচারের ক্ষেত্রে তাঁর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়। একটি মামলার শুনানির সময় কর্ণাটক হাইকোর্ট জানায়, ‘আইনসভা সমাজ থেকে পণের ভয় দূর করার জন্য ধারা ৪৯৮এ এর বিধান প্রণয়ন করেছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে উক্ত বিধানের অপব্যবহার করে নতুন আইনি সন্ত্রাসের রাস্তা উন্মোচিত হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় বিবাহিত কোনও মহিলা শ্বশুরবাড়িতে নিষ্ঠুরতার শিকার হলে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে নিষ্ঠুর আচরণের সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, এমন কোনও আক্রমণাত্মক আচরণ যা ওই বিবাহিত মহিলাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয় অথবা তাঁর দেহে অথবা মনে মারাত্মক আঘাত সৃষ্টি করে। এছাড়া এই আচরণের আওতায় পড়ে মূল্যবান সম্পত্তি বা সামগ্রীর জন্য বধূ বা তাঁর কোনও আত্মীয়কে চাপ দেওয়ার মতো ঘটনাও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “যদি নয়াদিল্লি চিনের কিছু অঞ্চলের নাম বদলে দেয়…”, বেজিংকে খোঁচা রাজনাথের

    Rajnath Singh: “যদি নয়াদিল্লি চিনের কিছু অঞ্চলের নাম বদলে দেয়…”, বেজিংকে খোঁচা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যদি প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নাম পরিবর্তন করি, তাহলে কি সেগুলি আমাদের ভূখণ্ডের অংশ হয়ে যাবে?” মঙ্গলবার অরুণাচল প্রদেশ পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের নামসাইতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এই ভাষায়ই চিনকে নিশানা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)।

    রাজনাথের কটাক্ষ-বাণ (Rajnath Singh)

    সম্প্রতি ফের একবার অরুণাচল প্রদেশের ৩০টি রাজ্যের নাম বদলে দিয়েছে বেজিং। তার পরেই চিনকে নিশানা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনিও বলেছিলেন, কোনও জায়গার নাম অন্য দেশ বদলে দিলেও, সেই ভূখণ্ড ওই দেশের হয়ে যায় না। এদিন রাজনাথের গলায়ও শোনা গেল প্রায় একই সুর। তিনি বলেন, “নাম বদলে দিলে ভারতের কিস্যু যায় আসে না।” এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “যদি নয়াদিল্লি চিনের কিছু অঞ্চলের নাম বদলে দেয়, তাহলে কি সেই জায়গাগুলি ভারতের হয়ে যাবে?”

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যে চালু হবে সংগ্রামী ভাতা”, ঘোষণা শুভেন্দুর, কারা পাবেন?

    কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    এদিনের সভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “চিন অরুণচল প্রদেশের তিরিশটি জায়গার নাম বদলে দিয়েছে। সেটা আবার তারা ওয়েবসাইটে পোস্টও করেছে। আমি আমার প্রতিবেশীকে বলতে চাই, নাম বদলে দিলে ভারতের বয়েই যায়।” এর পরেই তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আগামিকাল যদি আমরা চিনের কিছু অঞ্চল ও প্রদেশের নাম পরিবর্তন করে ফেলি, তাহলে কি সেই জায়গাগুলি ভারতের হয়ে যাবে?” ভারত যে যেচেপড়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করতে চায় না, এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ। তবে সম্মানের সঙ্গে কোনওরকম আপোশ করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, “অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রায়ই বলতেন, বন্ধুরা জীবনে পরিবর্তন আনে, কিন্তু প্রতিবেশীরা নয়। ভারতের লক্ষ্যই হল, প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখা। কিন্তু কেউ যদি ভারতের সম্মানে ঘা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আজ ভারত তাকে মুখের মতো জবাব দেবে।” ‘বিকশিত ভারত’ যে স্রেফ স্লোগান নয় তা জানিয়ে রাজনাথ বলেন, “এটা বিজেপির প্রতিশ্রুতি, যা পূরণ করতেই হবে।” তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত দেশে পরিণত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share