Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Migrant Worker: কাশ্মীরে ফের এক পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করল সন্ত্রাসবাদীরা

    Migrant Worker: কাশ্মীরে ফের এক পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করল সন্ত্রাসবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে এক পরিযায়ী শ্রমিককে (Migrant Worker) গুলি করে খুন করল সন্ত্রাসবাদীরা। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, নিহত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম অমৃতপাল সিং। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন অপর এক পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁর নাম রোহিত। পাঞ্জাবের অমৃতসরের বাসিন্দা ছিলেন অমৃতপাল। পেশায় ছিলেন একজন হকার। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিবৃতি সামনে এসেছে কাশ্মীর পুলিশেরও।

    কী জানাল জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরের (Migrant Worker) শহিদগুঞ্জে। গোটা এলাকাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং চিকিৎসা চলছে।

    অক্টোবর মাসেও খুন করা হয় এক পরিযায়ী শ্রমিককে

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসেই উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিককে কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা (Migrant Worker)। ঠিক চার মাসের মাথায় ফের একবার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। প্রসঙ্গত ২ দিন আগেই নার্সারুর আহমেদ ওয়ানি নামের কাশ্মীরের এক ইনস্পেক্টরকে সামনে থেকে তিনটি গুলি করা হয়। ওই পুলিশ আধিকারিক তখন ক্রিকেট খেলছিলেন। মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভাইপোর হাতে এনসিপি, শরদ গোষ্ঠীকে নতুন নাম দিল নির্বাচন কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভাইপোর হাতে এনসিপি, শরদ গোষ্ঠীকে নতুন নাম দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরদ পাওয়ারের নিজের হাতে গড়া দল গেল ভাইপোর অজিত পাওয়ারের হাতে। অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীকেই ‘এনসিপি’ (ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি) নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার দিল দেশের নির্বাচন কমিশন। তবে কাকা শরদ পাওয়ারের কী হবে? বুধবারই নির্বাচন কমিশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শরদ গোষ্ঠীর নতুন নাম দেওয়া হবে ‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি-শরদচন্দ্র পওয়ার’। তবে দলের নির্বাচনী প্রতীক কী হবে, তা জানা যায়নি। প্রতীক পরে বরাদ্দ (Lok Sabha Election 2024) করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

    বুধবার প্রস্তাব পাঠায় শরদ গোষ্ঠী

    শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর তরফে বুধবারই দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তাতে নাম এবং প্রতীক হিসাবে তিনটি ‘পছন্দ’ জানানো হয় কমিশনকে। সূত্রের খবর, নতুন দলের নাম হিসাবে ‘এনসিপি শরদ পওয়ার’, ‘মি রাষ্ট্রবাদী’ এবং ‘শরদ স্বাভিমানী’-র মধ্যে যে কোনও একটি চেয়েছিল শরদ গোষ্ঠী। তবে নির্বাচন কমিশন নতুন দলে, শরদের প্রতিষ্ঠিত দলের সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে দিল। জানা গিয়েছে, নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে শরদ পাওয়ারের গোষ্ঠী তিনটি পছন্দ জানিয়েছে (Lok Sabha Election 2024) কমিশনকে— ‘কাপ-প্লেট’, ‘সূর্যমুখী ফুল’ এবং ‘উদীয়মান সূর্য’। এব্যাপারে কমিশন কিছু জানায়নি এখনও। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই ভারতের নির্বাচন কমিশন ভাইপো অজিত গোষ্ঠীকে ‘আসল এনসিপি’ বলে স্বীকৃতি দেয়। 

    কবে গঠিত হয় এনসিপি?

    ১৯৯৯ সালের জুন মাসে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরোধিতা করে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন শরদ পাওয়ার। তখনই গড়েন নতুন দল এনসিপি। ২৫ বছর পরে সেই দলও হাতছাড়া হল তাঁর। দলের সমস্ত কিছু গেল ভাইপোর হাতে। ঘটনাচক্রে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধবের আবেদন খারিজ (Lok Sabha Election 2024) করে দিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীকে দলের নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক তিরধনুক ব্যবহারের অধিকার দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। শিন্ডের মতোই মহারাষ্ট্রের অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতও এবার পেলেন এনসিপির পুরো অধিকার। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুলাই এনসিপিতে বিরাট পটপরিবর্তন হয়। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব বিজেপি-শিবসেনা জোটে ভিড়ে যান। এই পরিস্থিতিতে দলের বিধায়ক-সাংসদরাও তাঁর দিকে যান। দলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় অজিতের হাতে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh Crackers Factory: মধ্যপ্রদেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ বাজি কারখানায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

    Madhya Pradesh Crackers Factory: মধ্যপ্রদেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ বাজি কারখানায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh Crackers Factory) আতসবাজির কারখানায় ভয়ানক বিস্ফোরণ। সে রাজ্যের হরদা জেলার বৈরাগড় গ্রামে এই বিস্ফোরণের  জেরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের  ঘটনা ঘটে। গোটা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬ জনের। সময় যত দ্রুত যাচ্ছে ততই মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। আগুনের দগ্ধ হয়েছেন ৬০ জন। এঁদের মধ্যেও অনেক জন আছেন যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখার কারণে ক্রমাগত বিস্ফোরণ ঘটেই চলে ওই বাজি কারখানায়। এরফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মানুষজন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা কী বলছেন?

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি যে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে মনে হল যেন এলাকায় কোনও ভূকম্পন সংঘটিত হল। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পরে বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে (Madhya Pradesh Crackers Factory) ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে কারখানা থেকে আগুনের শিখা কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশে এবং কালো ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে ছেয়ে গিয়েছে। আগুন লাগার সময় ওই কারখানাতেই কাজ করছিলেন এক জনৈক কর্মী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে প্রথম বিস্ফোরণের পরে কোনওক্রমে তিনি প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। ওই শ্রমিকের দাবি, কারখানায় তাঁরই মতো আরও দেড়শ জন কাজ করছিলেন।

    ঘটনার খোঁজ নিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী

    মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে এবং বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছেন ঘটনার। অন্যদিকে জেলাশাসক ঋষি গর্গ বলেছেন, “দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে। পাশাপাশি চলছে উদ্ধার অভিযান। আমরা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও (Madhya Pradesh Crackers Factory) ডেকেছি।” জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই ৭০টি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে। প্রশাসনিক ব্যস্ততাও চরম নজরে পড়ছে। সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রয়োজন পড়লে আহতদের হেলিকপ্টারে করে কোনও উন্নত হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। তবে কীভাবে এই আগুন লাগল তার কারণ এখনও অজানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Natwarlal: তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন! জানেন কে সেই গুণধর?

    Natwarlal: তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন! জানেন কে সেই গুণধর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা শব্দটির সঙ্গে প্রায় সবাই পরিচিত। এই শব্দটি মোটেও সুখকর নয়। প্রতারণার চক্করে পড়ে অনেক মানুষের জীবন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে প্রতারকরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলেছে। আবার এমন মানুষও আছেন, যাঁরা প্রতারণা করে গোটা বিশ্বের ইতিহাসে নিজের নাম তুলে ধরেছেন। আজ প্রতিবেদনে এমনই এক প্রতারকের সম্বন্ধে আলোচনা করব, যিনি ভারতের সর্বকালের সেরা ছদ্মবেশীদের মধ্যে একজন, তাঁকে সবাই মিস্টার নটবরলাল নামেই চেনে। যার আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব। মিথিলেশ শ্রীবাস্তব প্রতারণার দিক থেকে এতটাই দক্ষ এবং পারদর্শী ছিলেন যে তাঁকে ভারতের সর্বসেরা প্রতারকের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। শুনলে অবাক হতে হয় যে তিনি তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন, এমনকি লালকেল্লা ও সংসদ ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন বিদেশিদের কাছে।

    কী পরিচয় মিথিলেশের? কীভাবে প্রতারণার হাতেখড়ি তাঁর?

    ১৯১২ সালে ভারতের বিহারের একটি জায়গা জিরাদাতে জন্ম এই মিথিলেশের। পড়াশোনাতে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি স্নাতক পাশ করার পরে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন, আর এই পড়াশুনা করার সময় থেকে তাঁর প্রতারণা করার ভাবনা মাথায় আসে। সর্বপ্রথম তিনি তাঁর গ্রামের এক লোকের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেন। সেই ব্যক্তি শহরের কোনও ব্যাংকে টাকা জমা করতে শ্রীবাস্তবকে দায়িত্ব দেন। ঠিক সেই সময় সেই ব্যক্তির ব্যাংক থেকে প্রায় এক হাজার টাকা তাঁর স্বাক্ষর নকল করে তুলে নেন এই শ্রীবাস্তব, সেই সময় ১০০০ টাকার বর্তমান মূল্য ছিল প্রচুর।

    তাজমহল থেকে লালকেল্লা, তিনি সব বেচে দিয়েছিলেন

    স্বাক্ষর নকল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ছদ্মবেশ ধারণে পারদর্শী ছিলেন মিথিলেশ। তাঁর জন্ম থেকে প্রায় ৫০ টিরও বেশি ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণা করেছিলেন নটবরলাল। এই প্রতারণা করার খিদে তাঁর মধ্যে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে। তাই তিনি বড় কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি টাটা থেকে আম্বানি, বিড়লা সবার সই জাল করতে পারদর্শী ছিলেন। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গা যেমন তাজমহল, লালকেল্লা, সংসদ ভবন  বিদেশিদের কাছে বহু মূল্যে বিক্রয় করে দিয়েছিলেন তিনি।

    গ্রেফতার হয়েছেন বহুবার, ছিল অসংখ্য মামলা

    এত প্রতারণা করার পর তিনি পুলিশের হাত থেকে কখনই ছাড় পাননি, প্রায় ১০০ টিরও বেশি মামলা ছিল তাঁর নামে। নয় বার আটক হয়েছিলেন নটবরলাল, কিন্তু প্রত্যেক বারেই তিনি পালিয়ে এসেছিলেন, কেউ ধরতেও পারেনি। একবার ১৯৯৬ সালে শরীর অসুস্থ বলে কানপুর জেল থেকে দিল্লি AIIMS এর উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বেপাত্তা হয়ে যান।

    প্রতারক হয়েও তিনি জনপ্রিয় 

    বিভিন্ন প্রতারণামূলক ও অপরাধমূলক কাজ করা সত্ত্বেও তিনি গ্রামের মানুষদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রচুর টাকা তিনি তার গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। তাঁকে নিয়ে ভারতে দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭৯ সালে মিস্টার নটবরলাল ও ২০১৪ সালে রাজা নটবরলাল খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও তাঁর জীবন নিয়ে ডকুমেন্টারিও তৈরি হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ শে জুলাই মারা যান নটবরলাল, এই ক্ষেত্রেও তিনি ধাঁধায় ফেলে দেন মানুষকে। কারণ এখনও পর্যন্ত তাঁর আসল মৃত্যুর তারিখ কেউ জানতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: কথা রাখল বিজেপি, উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পেশ হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল

    Uniform Civil Code: কথা রাখল বিজেপি, উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পেশ হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। রাজ্যবাসী আস্থা রেখেছিলেন বিজেপি-র ওপর। এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার সময় এসেছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি-র হাত ধরেই মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পেশ করা হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য (Uniform Civil Code)

    ২৮ জানুয়ারি এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছিল ধামি মন্ত্রিসভা। এবার, বিধানসভায় বিলটি পাশ হলে, দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু হবে। এই বিল পেশের জন্যই উত্তরাখণ্ড বিধানসভার এক বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বিজেপি বিধায়কদের ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের মধ্যে বিলটি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। জানা গিয়েছে, ২০২২-এর ২৭ মে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনপ্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল ধামি সরকার। এই বিধি তৈরি এবং কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়, সেই সব দিক খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল এই কমিটির। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি তাদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর, ২৯ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি।

    কী রয়েছে এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলে?

    রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিলে (Uniform Civil Code) মৃত্যুর পর সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে পুত্র ও কন্যার সমান অধিকার, বৈধ ও অবৈধ সন্তানের সমান অধিকার, দত্তক নেওয়া এবং জৈবিকভাবে জন্ম নেওয়া সন্তানদের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, বহুবিবাহ এবং বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত ধর্মের মেয়েদের বিয়ের একটিই বয়স, সমস্ত ধর্মের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের একই ধরনের ভিত্তি এবং পদ্ধতি প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    এদিন ভারতের সংবিধানের একটি প্রতিলিপি হাতে নিয়ে সরকারি বাসভবন থেকে বের হন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের নাগরিকদের সমান অধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে, মঙ্গলবার বিধানসভায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল (Uniform Civil Code) পেশ করা হবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে আমরা পরিচিত হব। এটা রাজ্যের সকল মানুষের জন্য গর্বের মুহূর্ত।” অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রিপোর্ট হাতে বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “আজ আমাদের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। উত্তরাখণ্ড থেকে দেশের নাগরিকদের সমান অধিকার দেএয়ার কাজ শুরু হচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AAP Scam: কেজরিওয়ালের উচিত মোদিজিকে অনুসরণ করা, কেন একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি

    AAP Scam: কেজরিওয়ালের উচিত মোদিজিকে অনুসরণ করা, কেন একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি ও জল বোর্ডের দুর্নীতি (AAP Scam) ইস্যুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে মীনাক্ষী লেখি টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদাহরণও। এবং তিনি বলেন যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর উচিত প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করা। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সিবিআই তলব করে। সেসময় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ঘটনা টেনে মীনাক্ষী লেখি বলেন যে তিনি (নরেন্দ্র মোদি) যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি ইস্যুতে (AAP Scam) ইতিমধ্যে পাঁচবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি কিন্তু প্রতিবারই তিনি গরহাজির থেকেছেন। শেষবারের মতো আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর কাছে নোটিশ পৌঁছায় গত ২ ফেব্রুয়ারি।

    কেজরিওয়ালকে খোঁচা 

    এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে খোঁচা দিয়ে মীনাক্ষী লেখি বলেন যে তিনি কিভাবে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হবেন? কারণ তাহলে তো তাঁর নাটক এবং দুর্নীতি দুটোই ধরা পড়ে যাবে। প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় ক্রমশই চাপ বাড়ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার খোঁজ চালাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভাব কুমারের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মোট ১০ টি জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান চলছে। 

    দুর্নীতির অভিযোগে আপ পার্টির একাধিক শীর্ষ নেতা জেলে

    এদিন মীনাক্ষী লিখে আরও বলেন যে দুর্নীতি এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে দিল্লির জল বোর্ডের বিরুদ্ধেও। সেখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন ঠিকাদারকে গত সপ্তাহেই (AAP Scam) গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির আম আদমি পার্টির কিছু শীর্ষ নেতাও এই দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যন্দ্র জৈন। এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। মীনাক্ষী লেখির মতে, ‘‘দিল্লির সরকার শুধুমাত্র প্রচারে থাকতে চায় সব সময় এবং তারা যে কোনও মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

    Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরায় মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব। কাশীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ছিল আদি বিশ্বনাথের মন্দির, এই খবরের পর ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) সম্পর্কে বড় খবর প্রকাশ্যে এল। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছে এএসআই। শাহি ইদগাহ মসজিদের উপর রিপোর্ট তলব করে আরটিআই করলে তার সাপেক্ষে এএসআই এই ঐতিহাসিক সত্যকে উত্তরপত্রে উল্লেখ করে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ তথা এএসআই, কৃষ্ণ জন্মভূমির মন্দির কমপ্লেক্সের ১৯২০ সালের একটি গেজেটের তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেছে এএসআই (Krshina Janmabhumi)?

    ১৯২০ সালের নভেম্বর মাসে গেজেট থেকে আরটিআই-এর উত্তর দিয়ে তারা জানিয়েছে, “কাটরা ঢিবির অংশগুলি নাজুল প্রজাদের দখলমুক্ত ছিল। এক সময় সেখানে কেশবদেবের একটি মন্দির (Krshina Janmabhumi) ছিল। পরবর্তী সময়ে ওই মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। এই জায়গায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।”

    আরটিআই করে তথ্য জানা গিয়েছে

    মন্দির ভাঙা বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের ময়নপুরীর বাসিন্দা অজয় প্রতাপ নিজে আরটিআই করেন। এই আরটিআই-এর মাধ্যমে জানতে চান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের (Krshina Janmabhumi) বিষয়ে তথ্য। এরপর তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের ১৯২০ সালের গেজেটের রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়, এখন যেখানে মসজিদ, সেখানে আগে কাটরা কেশবদের মন্দির ছিল। এরপর মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। একই ভাবে অজয় প্রতাপ খুব স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছিলেন, মন্দির ভাঙা হয়েছিল কিনা। কিন্তু আরটিআই-এর উত্তরে কৃষ্ণ জন্মভূমি শব্দের উল্লেখ না করলেও মসজিদের জমি যে কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির কমপ্লেক্সের, একথা বলা হয়েছে। মুঘল সম্রাট এই কেশবদেবের মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণের কথা উত্তরপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়। ফলে এএসআইয়ের রিপোর্টকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চাল্যকর তথ্য উঠে আসে।

    কৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নিয়াস সংগঠনের বক্তব্য

    কৃষ্ণ জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) মুক্তি নিয়াসের সভাপতি আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং বলেন, “ব্রিটিশ শাসনকালে গণপূর্তি বিভাগ বিল্ডিং ও সড়ক বিভাগকে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানের ৩৯টি স্মৃতিস্তম্ভের তালিকা। এরপর তাকে রেকর্ড করা হয় গেজেটে। ১৯২০ সালে এলাহবাদ হাইকোর্টে প্রকাশ করা হয় এই রিপোর্ট। এই তালিকার ৩৭ নম্বরে উল্লেখ করা হয় কেশবদেবের মন্দিরকে। এই তথ্যকে বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাই এই প্রামাণ্য তথ্যের উপর নির্ভর করে একটি কমিশন গঠনের জন্য আবেদন করা হবে।”

    শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির মূল বিবাদ কী?

    শ্রীরামের জন্মস্থান অযোধ্যা, বাবা বিশ্বনাথের আদি মন্দির জ্ঞানব্যাপীর মতো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) নিয়েও বিরাট বিবাদ তৈরি হয়েছে। হিন্দুদের দাবি, অযোধ্যায় রাম জন্মভূমির মন্দিরকে যেমন বাবরের সেনাপতি মীরবাকি ভেঙে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিল, ঠিক একই ভাবে মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব ১৬৭০ সালে শ্রীকৃষ্ণের কেশবদেবের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এই এলাকার মোট বিবদমান জমির পরিমাণ ১৩.৩৭ একর। যার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের জমির পরিমাণ ১০.৯ একর। বাকি আড়াই একরে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। উল্লেখ্য কংসের যে কারাগারে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সেই কারাগারের গা ঘেঁষেই মসজিদ নির্মাণ হয়। ফলে কারাগার এবং যমুনা নদী পর্যন্ত দীর্ঘ সুড়ঙ্গ মসজিদের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে দাবি হিন্দু পক্ষের। তাই পুরো জমিটাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। এখানে মসজিদ অবৈধ নির্মাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: আরও চাপে কেজরিওয়াল, আবগারি দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের খোঁজে ইডি

    ED Raid: আরও চাপে কেজরিওয়াল, আবগারি দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের খোঁজে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ক্রমশই চাপ বাড়ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর (ED Raid)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার খোঁজ চালাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভাব কুমারের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মোট ১০ টি জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান চলছে। আবগারি দুর্নীতি মামলা বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে বর্তমানে জেলে রয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই আম আদমি পার্টির মহল্লা ক্লিনিক এর দুর্নীতিও (ED Raid) সামনে এসেছে। সরকারি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ৬৫ হাজার ভুয়ো ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করানোর। যাদের বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই।

    পাঁচবার সমন কেজরিওয়ালকে, একবারও হাজির হননি

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ নিয়ে পাঁচ বার সমান পাঠানো হলেও কোনও বারই হাজির হননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (ED Raid)। শেষবার গত ২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের তার ব্যক্তিগত সচিবের আস্তানাগুলিতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিষয়টিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    রেডারে রয়েছেন আপের রাজ্যসভার সাংসদও

    জানা গিয়েছে কেবল আপ নেতা নয়, এদিন সকাল থেকে একসঙ্গে দিল্লির ১২টি জায়গায় ইডি-র তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। ইডি-র গোয়েন্দারা বেশ কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভব কুমার-সহ দিল্লি জল পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য শলভ কুমার এবং রাজ্যসভার সাংসদ তথা আপ নেতা এনডি গুপ্তার বাড়িতেও অভিযানে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। এক দেড়মাসের মাথায় লোকসভা ভোট, তার আগে দুর্নীতি ইস্যুতে বেশ কোনঠাসা হয়ে রয়েছে কেজরিওয়ারেল দল।

     

  • Ram Mandir: ‘‘বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রামলালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন’’, মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Ram Mandir: ‘‘বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রামলালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন’’, মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ভগবানের আশীর্বাদ বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত ৫০০ বছরের সংঘর্ষের পর অযোধ্যায় স্থাপিত হয়েছে রাম মন্দির (Ram Mandir) । এই ঘটনাকে সর্বশক্তিমানের ইচ্ছা বলেও মন্তব্য করেন মোহন ভাগবত। সোমবারই মোহন ভাগবত হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের পুনেতে। গীতা ভক্তি অমৃত মহোৎসব নামের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি জানান, ভারতবর্ষের উত্থান হতেই হবে,  সারা পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য। তিনি আরও বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি রাম লালা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মন্দিরে, বহু সংঘর্ষের পরে এই সফলতা মিলেছে। বর্তমান প্রজন্ম ভাগ্যবান, তাঁরা রাম লালাকে মন্দিরে দেখতে পেলেন।’’

    শীঘ্রই শুরু হবে রামের দরবার নির্মাণের কাজ

    শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজ। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে রামের দরবার-এর প্রথম এবং দ্বিতীয় তলের নির্মাণকাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। জানা গিয়েছে, প্রভু রামের দরবারে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ। নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র শনিবারই মন্দির চত্বর (Ram Mandir) পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে, ‘পরকোটা’-র কাজও শেষ করতে হবে। ৭৯৫ মিটার দীর্ঘ পরিক্রমা প্রাচীরের কাজও তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথম ১১ দিনে পা পড়েছে ২৫ লাখ ভক্তের

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ৮ হাজার অতিথি সামিল হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তারপর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। হিসাব বলছে, প্রথম ১১ দিনে ২৫ লাখ ভক্তের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে এবং মোট প্রণামী সংগৃহীত হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এসেছে শুধু প্রণামী বাক্স থেকেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রণামী পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Public Examination Bill: সরকারি চাকরির পরীক্ষায় জালিয়াতি করলে ন্যূনতম ৩ বছরের জেল, জরিমানা ১ কোটি

    Public Examination Bill: সরকারি চাকরির পরীক্ষায় জালিয়াতি করলে ন্যূনতম ৩ বছরের জেল, জরিমানা ১ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কেন্দ্র সরকার সংসদে পেশ করল একটি নয়া বিল। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় এবার থেকে প্রশ্ন ফাঁস (Public Examination Bill) অথবা যে কোনও ধরনের জালিয়াতি করলে কঠিন সাজা হবে। জানা গিয়েছে, যে কোনও ধরনের জালিয়াতি অথবা অসাধুপন্থা অবলম্বন কিংবা প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে তাদের ন্যূনতম তিন বছরের জেল হবে। তার সঙ্গে ১ কোটি টাকা জরিমানা হবে। প্রসঙ্গত বর্তমানে কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই যার দ্বারা প্রশ্ন ফাঁস অথবা সরকারি চাকরির পরীক্ষায় জালিয়াতিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এদিন ৫ ফেব্রুয়ারি ‘পাবলিক এক্সামিনেশন বিল ২০২৪’ (Public Examination Bill) পেশ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    জিতেন্দ্র সিং এদিন বলেন, ‘‘এবার থেকে প্রশ্ন ফাঁস হলে অথবা ওএমআর শিট ফাঁস হলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যে সমস্ত প্রার্থীরা জড়িত থাকবে এবং যারা এই অসাধু পন্থা অবলম্বন করবে তাদের কঠিন সাজা হবে।’’ এর পাশাপাশি ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলেও বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা চক্র কাজ করে। এবং সেখান থেকে আর্থিক দুর্নীতি সংঘটিত হয়। এই সমস্ত ওয়েবসাইটগুলি (Public Examination Bill) ভুয়ো পরীক্ষারও আয়োজন করে। যার মাধ্যমে প্রতারিত হন দেশের হাজার হাজার বেকার। এর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই আইনে।

    চাকরির পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের

    জানা গিয়েছে, সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতি হলে যে অথরিটি, পরীক্ষার ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবে তাদেরকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ফাইন করা হতে পারে। এই ধরনের দুর্নীতিতে যে এজেন্সি, অর্গানাইজেশন, অ্যাসোসিয়েশন জড়িত থাকবে তাদের প্রত্যেককে ফাইন করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই বিলকে পেশ করার উদ্দেশ্য হল, সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সমস্ত ধরনের স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং যেকোনও ধরনের চাকরির পরীক্ষা সম্পর্কে জনসাধারণের মনে বিশ্বাসকে অক্ষুন্ন রাখা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share