Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডির বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সমর্থনের অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২২ অগাস্ট একটি সম্মেলন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ অভিযোগ করেন, যদি রেড্ডি বস্তারের আদিবাসী নেতৃত্বাধীন মাওবাদবিরোধী (Naxalism) আন্দোলন ‘সলওয়া জুডুমে’র বিরুদ্ধে রায় না দিতেন, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে নির্মূল হয়ে যেত মাওবাদীদের সন্ত্রাস। তিনি বলেন, “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন। তিনি সলওয়া জুডুম বিষয়ে রায় দিয়েছিলেন। যদি সেই রায় না দেওয়া হত, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই নকশাল সন্ত্রাসের অবসান হয়ে যেত। তিনি সেই মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন, যার ফলেই সলওয়া জুডুমের রায় দেওয়া হয়েছিল।” ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের ‘সলওয়া জুডুম’ সংক্রান্ত রায় প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তোপ (Amit Shah)

    তাঁর মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নির্বাচনের কারণে কেরালায় কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা আরও কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, “কেরলের মানুষ অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে বামপন্থী দলগুলির চাপে কংগ্রেস এমন একজন প্রার্থীকে দাঁড় করাচ্ছে, যিনি নকশালবাদের পক্ষে ছিলেন এবং সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি পবিত্র মঞ্চকে ব্যবহার করেছিলেন।” প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ পুলিশ অফিসার (SPO) বা সালওয়া জুডুম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেন। তিনি এ-ও নির্দেশ দেন, জুডুম সদস্যদের অবিলম্বে নিরস্ত্র করতে হবে।

    লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ধাক্কা

    ‘নন্দিনী সুন্দর ও অন্যান্য বনাম ছত্তিশগড় রাজ্য’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তখন রাজ্যের লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে সালওয়া জুডুমের সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তৎকালীন ছত্তিশগড় সরকার রাজ্যে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ছত্তিশগড় অক্সিলিয়ারি আর্মড পুলিশ ফোর্স আইন পাশ করে (Naxalism)। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মাওবাদীরা ছত্তিশগড়ের ঝিরম ঘাঁটিতে রাজনৈতিক নেতাদের এক কনভয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং সলওয়া জুডুম  আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব মহেন্দ্র করমা-সহ দু’ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হন (Amit Shah)।

    আগামী মাসে দেশে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। এজন্য মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর জমা দেওয়া ২৮টি মনোনয়নপত্র রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী বাতিল করা হয়েছে। ২০২৫ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এবং রাজ্যসভার মহাসচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মোট ২৭ জন প্রার্থীর ৪০টি মনোনয়নপত্র পরীক্ষার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। জানা (Naxalism) গিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বরের ওই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী হয়েছেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ। আর তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ‘ইন্ডি’ জোটের বি সুদর্শন রেড্ডি (Amit Shah)।

  • Dharmasthala Mass Burial: মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিলেন সাফাইকর্মী! কর্নাটকে ধর্মস্থল মামলায় গ্রেফতার মূল অভিযোগকারী

    Dharmasthala Mass Burial: মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিলেন সাফাইকর্মী! কর্নাটকে ধর্মস্থল মামলায় গ্রেফতার মূল অভিযোগকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণকবর কাণ্ডে নয়া মোড়। কর্নাটকের ধর্মস্থল (Dharmasthala Mass Burial) থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল মেয়ে। তা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন সুজাতা ভাট নামে এক মহিলা। শুক্রবার সেই সুজাতাই জানালেন, তিনি পুলিশকে যা বলেছিলেন সে সবটাই নাকি মিথ্যে। তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার গল্পটা পুরোটাই সাজানো। তাঁর কোনও মেয়েই নেই। তাঁর এই জবানবন্দির পর শনিবার সকালে ধর্মস্থল কাণ্ডের মূল অভিযোগকারীকে গ্রেফতার করে বিশেষ তদন্তকারী দল।

    সাফাইকর্মীর মিথ্যা তথ্য

    দক্ষিণ ভারতের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত কর্নাটকের ধর্মস্থল মন্দির এখন চাঞ্চল্যের কেন্দ্রে। এক প্রাক্তন সাফাইকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ, ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই দশক ধরে তিনি “শত শত মৃতদেহ” কবর দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে বহু নারী, কিশোরী এবং কিছু দরিদ্র পুরুষের দেহ, যাদের অনেককেই ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু বিশেষ তদন্তকারী দল অনুসন্ধানের পর দেখেছে, ওই সাফাইকর্মী মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমকে (SIT) বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।

    সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার

    সূত্রের খবর, ধর্মস্থল মন্দির (Dharmasthala Mass Burial) প্রশাসনের ওই প্রাক্তন সাফাইকর্মীকে শুক্রবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি বহু মৃতদেহ কবর দিয়েছেন। তবে তদন্তে উঠে আসে, তিনি যে খুলি সিট-কে দেখিয়েছিলেন, সেটি ছিল নকল। তাঁর বলা ১৫টি কবরস্থলের মধ্যে শুধুমাত্র একটি জায়গা থেকে একটি পুরুষের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। বাকি স্থানে কিছুই পাওয়া যায়নি। যদিও ওই সাফাইকর্মীর দাবি, জঙ্গলের বৃদ্ধি ও নির্মাণকার্য চলার ফলে বাকি স্থানগুলো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, “আমি মন্দিরের বদনাম করে কী পাব? আমি হিন্দু, তাও আবার তফসিলি জাতির মানুষ।”

    পুলিশকে ভুয়ো তথ্য

    অন্যদিকে, এই ঘটনার অপর সাক্ষী, সুজাতা ভাট সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে জানিয়েছেন, অনন্যা ভাট নামে তাঁর কোনও মেয়ে ছিল না। ২০০৩ সালের মে মাসে তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার যে গল্প তিনি পুলিশকে বলেছিলেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। মেয়ের যে ছবি প্রমাণ হিসেবে তিনি পুলিশকে দেখিয়েছিলেন তা ভুয়ো। সুজাতার দাবি, তাঁকে গিরিশ মাত্তান্নাভার এবং টি জয়ন্তী নামে দুই ব্যক্তি এই মিথ্যে গল্প বানানোর জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ধর্মস্থল মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের পরিবারিক জমি নিয়ে একটি পুরনো বিবাদ ছিল। সেই বিবাদকে কেন্দ্র করেই দুই প্রধান আন্দোলনকারী গিরিশ মত্তন্নাভর এবং টি জয়ন্তী তাঁকে মিথ্যা কথার বলার জন্য জোর দিয়েছিলেন। সুজাতা জানিয়েছেন, তিনি মিথ্যে কথা বলার জন্য কখনও কারও কাছে টাকা চাননি। এমনকী নেননি। সুজাতার দাদুর সম্পত্তি মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁর সই ছাড়াই নিয়ে নিয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই সুজাতাকে এই মিথ্যে গল্প বলতে হয়েছিল।

    ধর্মস্থলের ভক্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা

    প্রসঙ্গত, এর আগে সুজাতা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ১৮ বছরের মেয়ে অনন্যা ভাট ২০০৩ সালের মে মাসে বন্ধুদের সঙ্গে ধর্মস্থলে (Dharmasthala Mass Burial) ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয়ে যান। সুজাতা জানিয়েছেন, এর পরে তিনি যখন নিজের মেয়েকে খুঁজছিলেন তখন তাঁকে অপহরণ করে মারধর করা হয়। তাঁকে মুখ বন্ধ করে রাখার পাশপাশি ধর্মস্থলে ফিরে না আসার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সুজাতার দাবি, তাঁকে তখন এত মারধর করা হয়েছিল যে তিনি এক মাস কোমায় ছিলেন। পুলিশের কাছে মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ জানাতে এসে এ সবই বলেছিলেন সুজাতা। কিন্তু শুক্রবারের বিবৃতিতে তিনি নিজের বলা সমস্ত কথা অস্বীকার করে কর্নাটকের মানুষ এবং ধর্মস্থলের ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

  • Indian Railways: বিমানের মতো মালপত্রের ওজন ও মাপ নিয়ে এবার কড়া নিয়ম আনছে ভারতীয় রেল

    Indian Railways: বিমানের মতো মালপত্রের ওজন ও মাপ নিয়ে এবার কড়া নিয়ম আনছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন পর্যন্ত ব্যাগের নির্দিষ্ট ওজন এবং সেই ব্যাগের মাপ নিয়ে বিমানবন্দরের ক্ষেত্রেই কড়াকড়ি দেখা যেত। এবার ওই একই নিয়ম চালু হতে চলেছে ট্রেন যাত্রীদের (Indian Railways) জন্য। এই নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তারা বিবৃতিও দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, উত্ত-মধ্য রেলের দুটি স্টেশন — উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এবং প্রয়াগরাজ চেওকি স্টেশনে — এই নিয়ম ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হতে চলেছে।

    কোন শ্রেণির কামরার জন্য কত ওজন নির্দিষ্ট (Indian Railways)

    নিয়ম অনুযায়ী, এসি ফার্স্ট ক্লাসের ট্রেন যাত্রীরা ৭০ কেজি, এসি টু টায়ারের যাত্রীরা ৫০ কেজি, এসি থ্রি টায়ার এবং স্লিপার ক্লাসের যাত্রীরা ৪০ কেজি পর্যন্ত মালপত্র সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে উঠতে পারেন। এবং এসি ও স্লিপার ক্লাসকে বাদ দিলে, যে সাধারণ কামরাগুলি রয়েছে, সেখানকার যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই মালপত্রের ওজনদায় ৩৫ কেজি — এমনটাই ছিল নিয়ম। তবে তা খাতায়-কলমে ছিল, সেভাবে কার্যকর হত না। এবার এই নিয়ম বাস্তবে প্রয়োগ করতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    ভারতীয় রেল অবশ্য জানাচ্ছে যে, এমন নিয়ম আগেও কার্যকর ছিল

    রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুই স্টেশনে (উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এবং প্রয়াগরাজ ছেওকি স্টেশন) ট্রেন যাত্রীদের মালপত্র স্ক্যান করে দেখা হবে। এবং ওই মালপত্রে ওজন যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে বেশি হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে জরিমানা দিতে হবে যাত্রীদের। ভারতীয় রেল অবশ্য জানাচ্ছে যে, এমন নিয়ম আগেও কার্যকর ছিল। কিন্তু তা খাতায়-কলমে থাকলেও, সেভাবে কার্যকর করা হয়নি। এবার উত্তরপ্রদেশেরই এই দুটি স্টেশনে ব্যাগ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ফল যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে ধাপে ধাপে ভারতের সব স্টেশনে এই নিয়ম চালু করা হবে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

    কী বলছেন রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক?

    এই বিষয়টি কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর-মধ্য রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার (ডিসিএম) হিমাংশু শুক্ল। তিনি বলেন, “অনেকেই নির্দিষ্ট ওজনের বেশি মালপত্র নিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করেন। এমনকি ব্যাগে কী আছে, তাতে কোনও বেআইনি জিনিসপত্র আছে কি না, বা সেই সমস্ত জিনিস নিয়ে ট্রেনে (Train Passengers) যাতাযাত করা যায় কি না, তার নিয়মিত কোনও পরীক্ষা হয় না। কিন্তু আপনি বিমানবন্দরে গেলে জিনিসপত্রের পরিমাণ তো বটেই, ব্যাগে কী আছে, তা কঠোর ভাবে স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। আমরা তাই একটা পাইলট প্রজেক্ট নিয়েছি। আপাতত প্রয়াগরাজ এবং প্রয়াগরাজ চেওকি স্টেশনে এই কাজ হবে।”

    কীভাবে হবে মালপত্র পরীক্ষা?

    কী ভাবে এই পরীক্ষা হবে তা ব্যাখ্যা করে হিমাংশু বলেন, “স্টেশনে আরপিএফ মালপত্র স্ক্যান করবে (Train Passengers) এবং রেলের (Indian Railways) বাণিজ্য বিভাগ (কমার্শিয়াল ডিপার্টমেন্ট)-এর কর্মীরা সেই ব্যাগের মাপ ও ওজন পরীক্ষা করবেন। যদি ব্যাগে বেআইনি কিছু থাকে, তবে তা আরপিএফ ধরবে। আর ব্যাগের ওজন যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি হয়, তবে বাণিজ্য বিভাগের কর্মীরা ধরবেন। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে জরিমানা করা হবে। এর ফলে রেলের সুরক্ষা যেমন বাড়বে, রাজস্বও বাড়বে।” তিনি আরও বলেন, “স্টেশনের যে সমস্ত জায়গা খোলা রয়েছে, অর্থাৎ যে কেউ ঢুকে পড়তে পারেন, এমন অংশ আমরা ঘিরে দেব। আমাদের আশা, আগামী দু’-তিন মাসের এই কাজ আমরা শুরু করতে পারব।”

    ফুটওয়েতে মালপত্র রাখলেও হবে জরিমানা

    একই সঙ্গে ভারতীয় রেল (Indian Railways) জানিয়েছে, ট্রেনের ভিতরে ফুটওয়েতে চলাফেরার জায়গায় যদি কেউ মালপত্র রাখে, তাহলেও জরিমানা করা হবে। এই প্রসঙ্গে উত্তর-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শশীকান্ত ত্রিপাঠী বলেন, “ট্রেনে যেমন টিকিট কেটে ওঠাটা নিয়মের মধ্যে পড়ে, তেমনই একটি নির্দিষ্ট ওজনের মালপত্র নিয়ে ওঠা যায়। সেই ওজনের বেশি হলে মালপত্রের জন্য বেশি ভাড়া দিতে হয়। এটাই নিয়ম। সেই নিয়মের কথাই এক বার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

  • AMCA Jet Engines: ফরাসি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি, ভারতেই তৈরি হবে অ্যামকার জেট ইঞ্জিন, ঘোষণা রাজনাথের

    AMCA Jet Engines: ফরাসি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি, ভারতেই তৈরি হবে অ্যামকার জেট ইঞ্জিন, ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান ‘অ্যামকা’-র অত্যাধুনিক ইঞ্জিন নিয়ে বিরাট খবর দিলেন রাজনাথ সিং। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা, উচ্চ-ক্ষমতার ইঞ্জিন তৈরি করতে ফ্রান্সের সংস্থা সাফরান-এর সঙ্গে শীঘ্র চুক্তি হতে চলেছে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ ও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকে মাথায় রেখে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই তৈরি হবে এই ইঞ্জিন।

    সাফরান-ডিআরডিও গাঁটছড়া

    অনেক দিন ধরে দেশের মাটিতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি। বহু টালবাহানার পর অবশেষে অ্যামকার জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন বাছাই করে ফেলল ভারত। শুধু তাই নয়, দেশেই সেই ইঞ্জিন বানানোর পথও প্রশস্ত করল ভারত। ফ্রান্সের সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে যৌথভাবে এদেশেই ওই ইঞ্জিন তৈরি করবে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও। জেট ইঞ্জিন তৈরির ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেতের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে শীঘ্রই আবেদন জানাবে ডিআরডিও। দুই দেশের মধ্যে সরকারি স্তরেই এই ডিল হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

    ভারতেই হবে অ্যামকা, ভারতেই হবে ইঞ্জিন

    শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ‘ইকোনমিক টাইমস ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরাম’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন রাজনাথ সিং। সেখানেই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির ক্ষেত্রে এগোচ্ছে। রাজনাথ সিং ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘আজ, আমরা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির দিকেও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা ভারতেই বিমানের ইঞ্জিন তৈরির দিকেও এগিয়েছি। ফরাসি সংস্থা সাফরানের সঙ্গে যৌথ ভাবে ভারতে ইঞ্জিন তৈরি করা হবে।’’ একইসঙ্গে, নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেখেন, ‘‘সাফরানের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ডিআরডিও। ওই সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে আমরা হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন তৈরি করেছি। দেশের মাটিতে অ্যামকার ইঞ্জিন বানানোর ব্যাপারেও ওই সংস্থার সঙ্গে কাজ করব।’’

    ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে রাজনাথ সিং ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের অ্যামকার প্রথম প্রোটোটাইপকে অনুমোদন দেন। তিনি একে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন। আর দুমাস পরই অ্যামকার জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন বাছাই ও ভারতেই তার উৎপাদন নিশ্চিত করলেন তিনি। সূত্রের খবর, ১২০ কিলো-নিউটনের এই ইঞ্জিন তৈরির প্রযুক্তির ১০০ শতাংশ হস্তান্তর ভারতকে করবে ওই ফরাসি সংস্থা। এই চুক্তির আওতায় প্রায় ২৫০টি ইঞ্জিন তৈরি হবে, যার আনুমানিক খরচ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এতে ভারতীয় প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও আধুনিকতা, যা দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে এক নতুন মাত্রা আনবে।

    রাফাল-ইঞ্জিনের নির্মাতাও সাফরান

    এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, রাফাল যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনও তৈরি করে ফরাসি সংস্থা সাফরান। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের থেকে বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল ফাইটার জেট কিনেছে ভারত। সম্প্রতি কয়েক হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে নৌসেনার জন্য ২৬টি নতুন রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে ভারত। পাশাপাশি, সাফরানের সঙ্গে যৌথভাবে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার তৈরি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। এ রকম ৪০০টি হেলিকল্টার সেনার বিভিন্ন বিভাগে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া, ১৩ টনের ভারী হেলিকপ্টারের জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন যৌথভাবে তৈরি করছে এই দুই সংস্থা। এর জন্য ‘সাফহ্যাল’ নামে নতুন একটি সংস্থা তৈরি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ভবিষ্যতে সেগুলি রুশ মি-১৭ হেলিকপ্টারের জায়গা নেবে। ২০২৭ সাল থেকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে শুরু করবে ওই সমস্ত হেলিকপ্টার।

    রাজনাথের গলায় ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘আমাদের মেক ইন ইন্ডিয়া কেবল ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যখন আপনি মেক ইন ইন্ডিয়া করবেন, তখন আপনি বিশ্বের জন্য তৈরি হবেন। ভারতের চিন্তাভাবনা উন্নয়ন এবং শান্তির দিকে পরিচালিত হয়। আমাদের জন্য, বিচ্ছিন্নভাবে উন্নয়ন যথেষ্ট নয়, বরং, সম্মিলিত উন্নয়ন আরও গুরুত্বপূর্ণ।’’ রাজনাথ সিং আরও বলেন, ‘‘আমি সমস্ত বিদেশি কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা উৎপাদনের খাতে বিনিয়োগ করার জন্য আবেদন জানাতে চাই। আমরা আপনাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র প্রদান করব এবং হ্যান্ডহোল্ডিং সহায়তা প্রদান করব।’’

  • Rajnath Singh: ‘‘এটা তো ব্যঙ্গাত্মক নয়, স্বীকারোক্তি’’! মুনিরের ‘ফেরারি’ মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘‘এটা তো ব্যঙ্গাত্মক নয়, স্বীকারোক্তি’’! মুনিরের ‘ফেরারি’ মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশ পাকিস্তানকে ‘নুড়িবোঝাই ট্রাক’ আর ভারতকে নয়া ‘মার্সিডিজ’ গাড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এবার তার পাল্টা দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। জানালেন, মুনিরের কথা ব্যঙ্গ করার মতো নয়। কারণ, সেটা আসলে স্বীকারোক্তি। পাকিস্তান কতটা দুর্বল, ওই মন্তব্যের মাধ্যমে জেনে বা না-জেনে তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুনির।

    ব্যঙ্গ নয় স্বীকারোক্তি

    সম্প্রতি আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফেরারি গাড়ির সঙ্গে তুলনা করে ট্রাক দিয়ে পিষে ফেলার মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়। শুক্রবার এর জবাব দেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ভাবতেও অবাক লাগে, সবাই নাকি বলে দুটি দেশের স্বাধীনতা একই সময়ে। কিন্তু ভারত যেখানে রাস্তায় ফেরারির মতো গাড়ি চালাচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান হাল আমলের ট্রাকেই পড়ে আছে। যদি পাশাপাশি দু’টি দেশ একসঙ্গে স্বাধীনতা পেয়ে থাকে, একটি দেশ পরিশ্রম, সঠিক নীতি এবং দূরদৃষ্টির মাধ্যমে ঝাঁ-চকচকে গাড়ির মতো অর্থনীতি তৈরি করে থাকে এবং অপর দেশটি ব্যর্থতাতেই আটকে থাকে, তবে এটা তাদের কৃতকর্মের ফল। এটা তো ব্যঙ্গাত্মক কিছু নয়। এটাই তো স্বীকারোক্তি।’’

    আধুনিক অস্ত্রে আত্মনির্ভর ভারত

    আমেরিকা থেকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে মুনির জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান যদি ধ্বংস হয়, তবে অর্ধেক পৃথিবীকে নিয়ে ধ্বংস হবে। সেই ক্ষমতা পাকিস্তানের আছে। এ প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্কল্প ইতিমধ্যে দেখিয়ে দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের শক্তি নিয়ে আমরা পাকিস্তানের মনে কোনও ভ্রান্ত ধারণা গড়ে উঠতে দেব না।’’ ভারতের প্রতিরক্ষার অগ্রগতির কথা বলতে গিয়ে রাজনাথ (Rajnath Singh) তেজস যুদ্ধবিমানের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অসাধারণ একটা উদাহরণ হতে চলেছে তেজস। এ ছাড়া পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এবং ইঞ্জিন গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ করেছি।’’

    মুনিরের মন্তব্য নির্বুদ্ধিতার পরিচয়

    উল্লেখ্য, একই সঙ্গে স্বাধীন হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। তারপর থেকে ধীরে ধীরে গণতন্ত্রকে হাতিয়ার করে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। নিজেদের পরিশ্রম-মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে ভারতবাসী। মোদি সরকারের চেষ্টায় আত্মনির্ভর ভারত এখন সারা বিশ্বে দাগ কাটছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত। সেখানে দিনে দিনে দারিদ্রে ঢাকা পড়ছে পাকিস্তান। তাই মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্য নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। গত জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাক সেনা প্রধান অসীম মুনির। মার্কিন শিল্পপতির ডাকা নৈশভোজে উপস্থিত হয়ে মুনির বলেছিলেন, ‘‘ভারত ঝা- চকচকে মার্সিডিজ গাড়ির মতো। পাকিস্তান হল বড় নুড়িবোঝাই ট্রাক। দুইয়ের সংঘর্ষে কী পরিণতি হবে, তা সকলের জানা।’’ কিন্তু এদিন রাজনাথ সিংয়ের এই কথার মাধ্যমে স্পষ্ট যে, আদতে ভারতকে ফেরারি গাড়ির সঙ্গে তুলনা করে পাক সেনাপ্রধান অসীম মুনির নিজের দেশের ব্যর্থতাকেই স্বীকার করে নিলেন। পাকিস্তান যে এখনও পিছিয়ে রয়েছে তা মুনিরের কথাতেই স্পষ্ট।

  • PM Modi: “সরকারি কর্মীর চাকরি গেলে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন কেন?”, প্রশ্ন মোদির

    PM Modi: “সরকারি কর্মীর চাকরি গেলে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন কেন?”, প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন!” শুক্রবার ভোটমুখী বিহারের গয়ায় আয়োজিত এক জনসভায় (Jailed Ministers) এমনই মন্তব্যই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারের ওই জনসভা থেকে তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সরকারি কর্মচারীদের দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন জেলে থাকলে মন্ত্রিত্ব খোয়া যাবে না?” জেল থেকে সরকার চালানোর সাম্প্রতিক নজিরও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কারও নাম নেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছু দিন আগে আমরা দেখেছি, কীভাবে জেলে বসে ফাইলে সই করা হচ্ছিল। সরকারের নির্দেশিকা কীভাবে জেল থেকে জারি করা হচ্ছিল। নেতারাই যদি এমন আচরণ করেন, তবে আমরা কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব?” তিনি বলেন, “এনডিএ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন এনেছে। এই আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রীও রয়েছেন।” এর পরেই তিনি বলেন, “যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। তা তিনি গাড়ির চালক হোন, কেরানি হোন কিংবা পিয়ন। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন!”

    প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় কারা

    প্রসঙ্গত, আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা না দিয়ে জেলে বসেই সরকার পরিচালনা করেছিলেন তিনি। মাস ছয়েক পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান কেজরিওয়াল। তারপর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দায়িত্ব তুলে দেন অতীশীর হাতে। প্রধানমন্ত্রী এদিন সেই ঘটনারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আগেও দেখেছি, কীভাবে জেল থেকে বসে সরকার চালানো হয়। একের পর এক ফাইলে সই করা হয়। নেতারাই যদি এরকম হন, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানো অসম্ভব।” তিনি বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির নৈতিক হওয়া প্রয়োজন। সেই কারণেই আমাদের সরকার এমন একটি আইন আনতে চলেছে, যার নজরদারিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীও থাকবেন।”

    উল্লেখ্য, (PM Modi) বুধবার সংসদে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল-সহ আরও দু’টি বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনও গুরুতর অপরাধে যদি কোনও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত (Jailed Ministers), তাহলে ঠিক ৩১ দিনের মাথায় পদ থেকে সরে যেতে হবে ওই মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi)।

  • PM Modi in Bihar: ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে যারা…’’, বিহার থেকেই তৃণমূলকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi in Bihar: ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে যারা…’’, বিহার থেকেই তৃণমূলকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bihar)। শুক্রবার বঙ্গে আসার আগে গয়ার (Gaya) এক সভা থেকেই মোদি তাঁর ভাষণে বাংলাকে ইঙ্গিত দিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Infiltrators) দেশ থেকে তাড়ানোর সংকল্পের কথা জানিয়ে দেন। বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এরপর খুব শীঘ্রই জাতিগত জনসংখ্যা গণনা দিকে পা বাড়াবে কেন্দ্র।

    দেশের অন্যতম বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ

    বিহারের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bihar) বলেন, ‘‘দেশের এক অন্যতম বড় সমস্যা হল অনুপ্রবেশের। বহু জায়গাতেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যা বিন্যাস। বিশেষ করে বিহারের সীমানা জেলাগুলিতে। আমি চাই না বিহারের তরণ প্রজন্মের উপার্জনের পথ অনুপ্রবেশকারীরা বন্ধ করে দিক। তাই যে সব দল এই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে, তাদের চিনে রাখুন।’’ মোদির কথায়, ‘‘দেশে অবৈধ অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা উদ্বেগের বিষয়। বিহারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে, জনসংখ্যার চিত্র দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অবৈধ অভিবাসীদের আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেওয়া হবে না। আমরা অভিবাসীদের বিহারের জনগণের জন্য নির্ধারিত চাকরি কেড়ে নিতে দেব না…।’’

    মানুষকে সজাগ থাকার বার্তা

    বিহারের মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে মোদি (PM Modi in Bihar) বলেন, ‘‘আপনারাও সজাগ থাকবেন যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী আপনাদের হক ছিনিয়ে না নিতে পারে। কোন কোন দল অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করুন। ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে কংগ্রেস-আরজেডি সবকিছু করতে পারে। ওরা যে কোনও স্তরে নেমে যেতে পারে। বিহারকে ওদের অশুভ দৃষ্টি থেকে বাঁচাতেই হবে। রাজ্যের মানুষের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জনংখ্যা বিন্যাস সংক্রান্ত এই হুমকি মোকাবিলা করার জন্য, আমি একটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক মিশন শুরু করার প্রস্তাব করেছি। এই মিশন শীঘ্রই তার কাজ শুরু করবে। আমরা প্রতিটি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করব… বিহারের জনগণকে দেশের এই অভিবাসীদের সমর্থকদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে… কংগ্রেস এবং আরজেডি বিহারের জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায় এবং তুষ্টির জন্য এবং তাদের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর জন্য অভিবাসীদের হাতে তুলে দিতে চায়।’’

    অশ্বত্থ পাতায় মোদিকে স্বাগত

    পশ্চিমবঙ্গ সফরের আগে শুক্রবার বিহারে (Bihar) জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন বিহারের খ্যাতনামা স্যান্ড আর্টিস্ট মধুরেন্দ্র (Sand Artist Madhurendra) এক অভিনব পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বিহারের গয়া জি-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে অশ্বত্থ পাতায় (Peepal Leaf) তাঁর ছবি খোদাই করেছেন মধুরেন্দ্র। মোদির সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) প্রতিচ্ছবি এবং দুটি ট্রেনের প্রতিচ্ছবিও রয়েছে। এই অভিনব শিল্পকর্ম দিয়েই গয়ার ঐতিহ্য ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে একসঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন শিল্পী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মধুরেন্দ্র তাঁর ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গয়া হল শান্তি ও আধ্যাত্মিকতার ভূমি। তাই বুদ্ধমূর্তি ও উন্নয়নের ভাবনাকে একসঙ্গে মিশিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি।’’

  • Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ভারত। তার ঠিক আগেই রয়েছে এশিয়া মহাদেশেরই দেশ জাপান (Japan)। সেই জাপান সরকারই আগামী ১০ বছরে ভারতের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার পরিকল্পনা করছে। টোকিও থেকে প্রকাশিত দ্য আসাহি শিম্বুন পত্রিকার প্রতিবেদনেই মিলেছে এই খবর। জানা গিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২৯ অগাস্ট টোকিওয় বৈঠকের সময় এই নয়া লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করবেন। এই পরিকল্পনা জাপানের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রাকে আরও প্রসারিত করবে। ২০২২ সালের মার্চে ভারত সফরের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভারতে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

    তিন দিনের জন্য জাপান সফরে মোদি (Japan)

    দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, তাতে এই নয়া বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার কথা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৯ অগাস্ট থেকে তিন দিনের জন্য জাপান সফরে যাবেন। এটি হবে ২০২৩ সালের মে মাসে হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর তাঁর প্রথম জাপান সফর। জাপানি ব্যবসায়ীরা এরপর থেকে গড়ে প্রতি অর্থবর্ষে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) ভারতে বিনিয়োগ করেছে। সরকার নয়া লক্ষ্যমাত্রা আপডেট করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে একটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনাও করছে। এটি হবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি নতুন কাঠামো, যা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে – যেমন গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মূল পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

    অগ্রাধিকার যেসব ক্ষেত্রে

    এই উদ্যোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূল খাতগুলিতে, যেমন, সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগিতা উদ্যোগ গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি, ডিজিটাল পার্টনারশিপ ২.০ নামে একটি প্রকল্পও চালু করা হবে, যা উৎপাদনশীলতার বাইরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসারিত করে উদীয়মান প্রযুক্তি খাত, যেমন সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্টার্টআপকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে (Japan)।

    জানা গিয়েছে, জাপান ও ভারত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করবে ‘এনার্জি ডায়ালগ’ নিয়ে। এর উদ্দেশ্য হল দুই দেশের সহযোগিতা মজবুত করা, যাতে একইসঙ্গে ডিকার্বনাইজেশন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন করা যায়। দুই দেশই যৌথ ক্রেডিটিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা করতে পারে। এটি (PM Modi) একটি দ্বিপাক্ষিক কাঠামো, যার মাধ্যমে জাপান ও ভারতের মধ্যে তার গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসকারী প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিয়ে অর্জিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৃতিত্বকে নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যপূরণের অংশ হিসেবে গণনা করতে পারবে (Japan)।

  • Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারী রুখতে নয়া পদক্ষেপ অসম (Assam) সরকারের। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। ২১ অগাস্ট অসম সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা যেন বেআইনি উপায়ে আধার কার্ড (AADHAAR) সংগ্রহ করতে না পারে, তাই এই পদক্ষেপ। অন্য যে কেউ, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, নতুন আধার কার্ড করতে চাইলে তাঁদের জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।

    সুযোগ মিলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (Assam)

    তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সুযোগ খোলা থাকবে, অর্থাৎ যাঁরা এখনও আধার কার্ড করেননি তাঁরা আগামী মাসের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী অসম থেকে আধার কার্ড সংগ্রহ করতে না পারে। বর্তমানে অসমে আধার কার্ডের সংখ্যা ১০৩ শতাংশ। তাই এসসি, এসটি এবং চা-বাগান সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোনও প্রাপ্তবয়স্ক নতুন আবেদনকারী হলে তাঁকে অবশ্যই জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।” তিনি জানান, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে এসসি, এসটি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। যদি কেউ জেলা কালেক্টরের কাছে নতুন আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেন, তবে জেলা কালেক্টরকে স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের রিপোর্ট ও বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট যাচাই করে তারপর অনুমোদন দিতে হবে।

    ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায় ষড়যন্ত্র!

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায়। এই এলাকাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে (Assam) মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করেছে। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চিকেন্স নেক অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা মূলত বাংলাদেশ বা পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন। এখন তাঁরা আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক হলেও, তাঁদের মধ্যে সবসময়ই তাঁদের জন্মভূমির প্রতি একটা (AADHAAR) টান রয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশের কিছু কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠন এঁদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং “স্লিপার সেল” সক্রিয় করছে। তিনি বলেন, “আমরা আগুনের ওপর বসে আছি।” যতদিন বাংলাদেশ সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই, ততদিন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি কোনও সংঘাত হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে আসা এক বড় অংশের মানুষ (AADHAAR) আসলে কোন দিকে তাঁদের আনুগত্য দেখাবেন, সেটিই বড় প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২০ বছর অসমের (Assam) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং যে কোনও বিপদ এড়াতে খুব শক্তিশালী পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।”

  • GST 2.0: জিএসটি-তে বড় পরিবর্তন! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে বহু জিনিসের দাম

    GST 2.0: জিএসটি-তে বড় পরিবর্তন! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে বহু জিনিসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। দেশে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি (GST) ব্যবস্থায় আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন। বর্তমান চার-স্তরীয় কর কাঠামোর বদলে দুটি প্রধান স্তরে জিএসটি আনার যে প্রস্তাব কেন্দ্র দিয়েছিল, তা গ্রহণ করেছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠী (GoM)। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এই মন্ত্রিগোষ্ঠী কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় দেওয়ায় জিএসটি ২.০-এর (GST 2.0) পথ প্রশস্ত হল। এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হল কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ, সরল এবং স্বচ্ছ করে তোলা, যাতে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ উভয়েরই সুবিধা হয়।

    নতুন জিএসটি কাঠামো

    জিএসটি-র এই নতুন ব্যবস্থায় মূলত দুটি করের হার থাকবে ৫% এবং ১৮%। বর্তমানে দেশে চারটি প্রধান জিএসটি হার রয়েছে: ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। নতুন কাঠামোয় ১২% এবং ২৮% -এই দুটি স্তরকে পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে করের হিসাব রাখা এবং রিটার্ন ফাইল করা অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন জিনিস কোন স্তরে

    যে সমস্ত পণ্যের উপর বর্তমানে ১২% হারে জিএসটি (GST 2.0) নেওয়া হয়, তার প্রায় ৯৯% জিনিসই নতুন ব্যবস্থায় ৫% করের আওতায় চলে আসবে। এর মধ্যে ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পোশাক, জুতো এবং অন্যান্য গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকতে পারে। একইভাবে, যে সমস্ত পণ্যের উপর এখন ২৮% কর বসে, তার প্রায় ৯০% জিনিসপত্র ১৮%-এর স্তরে নেমে আসবে। এর ফলে বড় টেলিভিশন, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ক্ষতিকর ও বিলাসবহুল পণ্য

    সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত পণ্যে করের বোঝা কমানো হলেও, ক্ষতিকর এবং অতি-বিলাসবহুল কিছু পণ্যের উপর বাড়তি কর চাপানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল, বিলাসবহুল গাড়ি ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন গুডস’ বা ক্ষতিকর পণ্যের উপর সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত কর বসানো হতে পারে। এর উদ্দেশ্য হল একদিকে যেমন এই সব পণ্যের ব্যবহার কমানো, তেমনই সরকারের রাজস্ব আদায়ও নিশ্চিত করা।

    সাধারণ মানুষের জীবনে কী প্রভাব

    এই প্রস্তাব আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা জিএসটি (GST Reform) কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে কেন্দ্র ও সব রাজ্যের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এই পদক্ষেপকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত “নেক্সট-জেনারেশন জিএসটি সংস্কার”-এর প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নতুন জিএসটি ব্যবস্থা চালু হলে সাধারণ মানুষের জীবনে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। এই হার সংস্কার বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীতে কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও কর্ণাটকের মন্ত্রীরা রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই সংস্কার থেকে সম্ভাব্য রাজস্ব হ্রাস নিয়ে বেশ কিছু রাজ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই কারণে, রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দাবি করেছে। উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না বলেন, ১২% ও ২৮% করের স্তর তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে। তিনি জানান, ৫-৭টি পণ্যই মাত্র উচ্চ করের আওতায় থাকবে।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও সহজ কর ব্যবস্থা

    জিএসটি-র (GST Reform) এই পরিবর্তনে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমায় মূল্যবৃদ্ধির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। বিশেষত, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির মাসিক খরচের বোঝা কমবে। করের স্তর কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের জন্য জিএসটি রিটার্ন ফাইল করা এবং অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলা আরও সহজ হবে। এর ফলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হবে। দুটি মাত্র করের হার থাকায় পুরো ব্যবস্থাটি আরও স্বচ্ছ হবে এবং কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, এই সংস্কারের ফলে সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। এখন মন্ত্রিগোষ্ঠীর এই সুপারিশ জিএসটি কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেখানে সবুজ সংকেত পেলেই দেশজুড়ে চালু হবে ‘জিএসটি ২.০’, যা ভারতীয় অর্থনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

LinkedIn
Share