Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ram Mandir Inauguration: ‘রামের আলো’ থেকে বিদ্যুৎ! ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’র ঘোষণা মোদির

    Ram Mandir Inauguration: ‘রামের আলো’ থেকে বিদ্যুৎ! ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’র ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’র (Pradhanmantri Suryodaya Yojana) আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। সোমবার অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে তাঁর ঘোষণা, সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন দিশা দেখাবে তাঁর সরকারের এই কর্মসূচি। দেশের এক কোটি নাগরিকের বাড়িতে সোলার রুফ টপ সিস্টেম (Solar Roof Top System) বসানোর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে গরিব ও মধ্যবিত্তের বিদ্যুৎ-এর বিল কম হবে। এর পাশাপাশি শক্তি সম্পদের দিক থেকেও ভারত আত্মনির্ভর হবে।

    মোদির নয়া ঘোষণা

    দিল্লিতে ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’ সংক্রান্ত বৈঠকের পরে মোদি তাঁর সরকারি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘বিশ্বের সব ভক্ত সর্বদা সূর্যবংশী ভগবান শ্রীরামের আলো থেকে শক্তি পান। আজ, অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার শুভ দিবসে, আমার সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে যে ভারতের জনগণের বাড়ির ছাদে তাদের নিজস্ব ‘সোলার রুফ টপ সিস্টেম’ (সৌরবিদ্যুতের প্যানেল) থাকা উচিত।’’ 

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর এই কাজেও এনেছেন রামের ছোঁয়া। দেশবাসীকে বাড়ি বাড়ি ‘রাম-জ্যোতি’ জ্বালিয়ে স্বাগত জানানোর আর্জি রাখেন মোদি। আর দিনান্তে ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’ নিয়ে তাঁর বিশেষ বার্তা, ‘‘অযোধ্যা থেকে ফিরে আসার পর আমি প্রথম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা হল, আমাদের সরকার দেশের কোটি বাড়িতে ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর লক্ষ্য নিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’ চালু করবে। এটি শুধু দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের বিদ্যুৎ খরচই কমাবে না, ভারতকে শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে তুলবে।’’ সেই প্রকল্পের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের ছবিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন মোদি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: ভোর ৩টে থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন! জনসাধারণের জন্য খুলে গেল রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ভোর ৩টে থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন! জনসাধারণের জন্য খুলে গেল রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরদিন থেকেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) দরজা। আজ, মঙ্গলবার থেকেই রামলালাকে দর্শন (Ramlala Darshan) করতে পারবেন ভক্তরা। এই প্রেক্ষিতে, মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় ও দর্শনের নিয়ম নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। 

    সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টা ২৯ মিনিটে ‘অভিজিৎ মুহূর্তে’ রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। একাধিক ধর্মীয় নিয়মবিধি মেনে গর্ভগৃহে রামলালার পুজো করেন ‘প্রধান যজমান’ নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    আজ থেকে সাধারণ দর্শনের জন্য খুলল মন্দির

    সোমবার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অভ্যাগত অতিথি ও বিশিষ্টজনেরা রামলালার দর্শন করে একে একে চলে যান। তার পর থেকেই অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir) কার্যত মানুষের ঢল নামে। সকলের গন্তব্য রামলালা দর্শন (Ramlala Darshan)। যদিও, গতকাল অতিথিদের ছাড়া, কাউকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ ভোর ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা। রামলালাকে ভোগ নিবেদনের পরে আবার বেলা ২টো থেকে খুলবে মন্দির। সন্ধে ৭টা অবধি দর্শন করা যাবে। দুপুর ১টা নাগাদ ভোগ দেওয়ার পরে বিশ্রাম নেবেন রামলালা। আবার ২টো থেকে দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। সন্ধে ৭টা নাগাদ আরতি হবে মন্দিরে।

    ভোর ৩টে থেকেই ভক্তদের লাইন

    তবে, রামলালা দর্শন (Ramlala Darshan) নিয়ে জনমানসে এতটাই উন্মাদনা রয়েছে যে, ভোররাত ৩টে থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যায়। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তা আধিকারিকদের। মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই অনেক আগে থেকে রামলালা দর্শনের এই সময় ঘোষিত হয়েছে। পরবর্তীকালে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সময় বদল হতে পারে। দর্শনের সময়ের পাশাপাশি, পুজোর নিয়ম নিয়েও বিধি জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। রীতি অনুযায়ী, সকালে ঘুম থেকে তোলার পর রামলালাকে লাল চন্দন আর মধুতে স্নান করানো হবে। দুপুরে বিশ্রাম, সন্ধ্যার ভোগ ও আরতির পর শয়ন দেওয়ার আগে ১৬ মন্ত্র প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। দিনে পাঁচবার আরতি হবে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে হবে মন্ত্রপাঠ, শাস্ত্র আলোচনা। রাম ভজন হবে রোজই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Netaji Subhash Chandra Bose: আজও গায়ে কাঁটা দেয় ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি, ১২৭তম জন্মদিনে নেতাজির নানা কথা

    Netaji Subhash Chandra Bose: আজও গায়ে কাঁটা দেয় ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি, ১২৭তম জন্মদিনে নেতাজির নানা কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কদম কদম বাড়ায়ে যা…” এখনও শত কোটি ভারতবাসীর অনুপ্রেরণা। মহান দেশপ্রেমিক, বাঙলার বীর সন্তান সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মদিনে ভারতীয় যুব সমাজের কাছে আদর্শ তিনি। সুভাষচন্দ্র বসু থেকে নেতাজি উপাধি নিয়ে আপামর দেশবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে নানা কাহিনী। তাঁর কথা স্মরণ করেই আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে পরাক্রম দিবস। 

    শিশু সুভাষ ও শিক্ষাজীবন

    ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি বেলা ১২টা বেজে ১০মিনিটে ওড়িশার কটকে জন্ম হয়েছিল ভারতের বীর সন্তান সুভাষচন্দ্র বসুর। বাবা জানকীনাথ বসু ও মা প্রভাবতী দেবী। জানকীনাথ বসু একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সুভাষ পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন। অন্যান্য ভাই-বোনেদের মতো সুভাষকে প্রথমে কটকের প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয়ান স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল। স্কুলেই ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন পালন করে সাহেবদের বিষনজরে পড়েন তিনি। এরপর বারো বছর বয়সে তিনি কটকের র‌্যাভেনশা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। কলেজ জীবন থেকে দেশের জন্য লড়াই করার ইচ্ছা জাগে সুভাষের মনে।

    দেশের জন্য চাকরি ত্যাগ

    ১৯২০ সালে নেতাজি ইংল্যান্ডে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেনস। কিন্তু ভারতীয় স্বতন্ত্রতা সংঘর্ষে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। সিভিল সার্ভিস ছেড়ে দেওয়ার পরে দেশকে ইংরেজদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নেতাজিকে অত্যন্ত বিচলিত, মর্মাহত করে।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ

    অসহযোগ আন্দোলনের সময়, জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশনে কংগ্রেসের বাম গোষ্ঠীর সম্পূর্ণ সমর্থনে তিনি সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশনে গান্ধীজি মনোনীত প্রার্থী পট্টভি সিতারামাইয়াকে ২০৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সভাপতির নির্বাচিত হন তিনি।

    কংগ্রেস ত্যাগ

    তরুণ সুভাষের রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। তাঁর হাত ধরেই সুভাষ প্রথম প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখেন। এমনকী দেশবন্ধুর স্ত্রী বাসন্তী দেবীও সুভাষকে খুবই স্নেহ করতেন এবং সুভাষ তাঁকে ‘মা’ বলে ডাকতেন। দেশবন্ধুর মতোই স্বরাজ অর্থাৎ পূর্ণ স্বাধীনতার সমর্থক ছিলেন নেতাজি। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন চরমপন্থীর নায়ক। তাই তাঁর চরমপন্থী চিন্তাধারার সঙ্গে কংগ্রেসের নরমপন্থীদের মতবিরোধ হয়। এমনকী কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে নরমপন্থীরা বিক্ষুব্ধ হলে সুভাষ অসন্তুষ্ট হয়ে কংগ্রেস ত্যাগ করেন। এরপরই নেতাজির হাত ধরে তৈরি হয় “ফরওয়ার্ড ব্লক’। নতুন দলের হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য দেশবাসীকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন সুভাষচন্দ্র বসু।

    দেশ ত্যাগ- ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই

    কিন্তু স্বাধীন ভারত গড়ার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই ব্রিটিশ পুলিশের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে ১৯৪১ সালে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে ছদ্মবেশ ধারণ করে আফগানিস্তানের কাবুল হয়ে জার্মানিতে যান এবং জার্মানির বার্লিনে একনায়কতন্ত্রের প্রতীক হিটলারের সঙ্গে দেখা করে সাহায্য প্রার্থনা করেন। যদিও এখানে তাঁর উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় ডুবো জাহাজে করে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আসেন জাপানে। জাপান সরকারের সাহায্যে এবং রাসবিহারী বসুর সহায়তায় সুভাষচন্দ্র বসু গঠন করেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। ভারতকে ইংরেজের হাত থেকে মুক্ত করতে নেতাজি ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর ‘‌আজাদ হিন্দ সরকার’‌-এর প্রতিষ্ঠা করার সময়ই ‘‌আজাদ হিন্দ সেনা’‌ গঠন করেন। এরপর সুভাষচন্দ্র বসু নিজের সেনা নিয়ে ১৯৪৪ সালের ৪ জুলাই বর্মা (‌এখন মায়ানমার)‌ পৌঁছান। এখানে নেতাজি তাঁর বিখ্যাত স্লোগান ‘‌তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’ বলেছিলেন।

    নেতাজি অন্তর্ধান

    ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তাইপেইতে একটি বিমান দুর্ঘটনার পরই নেতাজির আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই নেতাজির নিখোঁজ নিয়ে একাধিক রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে। মৃত্যু, অন্তর্ধান নাকি অন্য কিছু? আজও নেতাজির মৃত্যু কিংবা অন্তর্ধান নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। আসলে কোনও বিশেষ আদর্শের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই আদর্শের মৃত্যু হয় না। সেই আদর্শ একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ramlala: হীরের মুকুট, গলায় হার, ফুলের মালায় সুসজ্জিত হয়ে দেশবাসীর সামনে এলেন রামলালা

    Ramlala: হীরের মুকুট, গলায় হার, ফুলের মালায় সুসজ্জিত হয়ে দেশবাসীর সামনে এলেন রামলালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৫০০ বছরের আন্দোলনের পরে প্রতীক্ষার অবসান। রামলালার (Ramlala) মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী। অরুণ যোগীরাজের হাতে তৈরি রামলালার মূর্তিই এখন চর্চার বিষয়। রাজা রামের মাথায় হীরের মুকুট, কপালে টিকা, গলায় হার। ফুলের মালায় সুসজ্জিত হয়ে ২২ জানুয়ারি বিশ্ববাসীর সামনে আবির্ভূত হলেন তিনি।

    রামলালার সাজের বর্ণনা

    বালক রাম বা রামলালার হাতে রয়েছে সোনার ধনুক। সোনা, রুপো এবং হীরের গয়নায় বালক রামকে সাজানো হয়। বাল্মিকী রামায়ণের ভগবান রামচন্দ্রের যে মুকুট বর্ণনা করা হয়েছে, সেই ধাঁচের তৈরি মুকুটই পরানো হয়েছে রামলালাকে (Ramlala)। হীরের মুকুটে সোনার সঙ্গে সবুজ রঙের রত্নও নজরে পড়ছে। মুকুটের একেবারে মাথায় তিনটে পানের মত মূর্তি রয়েছে। যেখানে লাল এবং সবুজ মণি দেখা যাচ্ছে। মুকুটের মাঝখানেও একটি সবুজ রঙের মণি রয়েছে। রামলালার কানেও রয়েছে সোনার অলঙ্কার। রামলালার গলার চারপাশে বড় নেকলেসও দেখা যাচ্ছে। কোমরে রয়েছে কোমর বন্ধনী, যা হীরে সমেত লাল এবং সবুজ রঙের অন্যান্য রত্ন দিয়ে তৈরি হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী গর্ভগৃহে প্রবেশের পরেই খোলা হয় বিগ্রহের আবরণ। তার পরে হয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা। রামলালাকে যে মুকুট পরানো হয়, মন্দিরে সেটি নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    রামলালার মূর্তির বর্ণনা

    এই রামলালার (Ramlala) মূর্তিটি ৫১ ইঞ্চি লম্বা, চওড়া ৩ ফুট। ওজন প্রায় ২০০ কেজি। ভগবান রামকে দাঁড়িয়ে থাকা ভঙ্গিতে পাঁচ বছরের শিশু হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। কালো পাথরের তৈরি এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন মহীশূরের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। মূর্তির চালচিত্রে রয়েছে বিষ্ণুর দশাবতার–মৎস্য, কুর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও কল্কি। মূর্তির একদিকে হনুমান ও অপর দিকে গরুড়। শুধু তাই নয়, মূর্তির যে মুকুট রয়েছে তাতে সূর্য, শঙ্খ, স্বস্তিক, চক্র ও গদা রাখা হয়েছে। মূর্তির প্রধান বিশেষত্ব হল, একটি কৃষ্ণশিলা দিয়েই এটি গড়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ধ্বংসের উপর ভক্তির জয়, রাম মন্দিরের এক নির্মাণের ইতিহাস

    Ram Mandir: ধ্বংসের উপর ভক্তির জয়, রাম মন্দিরের এক নির্মাণের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বিক্রম সংবত ২০৮০, পৌষ মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বাদশী। আজ রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হোল। দেশজুড়ে এখন রাম নামের মাতোয়ারা। অযোধ্যা সেজে উঠেছে রামলালার আগমনে। দেশজুড়ে রাম ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস এখন তুঙ্গে। প্রায় ৫০০ বছরের দীর্ঘ আন্দোলনের পর রামলালা নিজভূমে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা পেলেন। সম্পন্ন হোল অভিষেক প্রক্রিয়া। কিন্ত এই মন্দির নির্মাণের পথ এত সহজ ছিল না। আসুন জেনে নিই রাম মন্দির পুনর্নির্মাণের ইতিহাস।

    শ্রীরামের জন্ম এবং প্রাচীন মন্দির (Ayodhya Ram Mandir)

    অযোধ্যা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বৈবশ্বত মনু। তিনি ভগবান মৎস্যাবতারের আশীর্বাদ ও সাহায্যে মহাপ্রলয় থেকে পৃথিবীতে জীবন রক্ষা করেছিলেন। আনুমানিক ২১০০ বছর আগে অযোধ্যার শ্রী রাম জন্মভূমিতে সম্রাট বিক্রমাদিত্য নির্মাণ করেন ৮৪টি কালো টাচস্টোন স্তম্ভের উপর একটি সুবৃহৎ মন্দির (Ayodhya Ram Mandir)।

    মন্দিরে বহিরাগত আক্রমণ (Ayodhya Ram Mandir)

    প্রায় ৫০০ বছর আগে ১৫২৮ সালে মুসলিম আক্রমণকারী বাবরের সেনাপতি মীর বাকি শ্রীরামের হাজার হাজার বছরের পুরাতন মন্দিরকে (Ayodhya Ram Mandir) ধ্বংস করেছিলেন। মুসলমান আক্রমণকারীদের হাত থেকে মন্দিরকে বাঁচাতে ১৫ দিন ধরে শ্রী রামভক্তদের প্রথম যুদ্ধ সংগঠিত হয়। মন্দিরকে ধ্বংস করে একটি মসজিদের কাঠামো নির্মাণ করা হয়। ১৫২৮ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত রাম মন্দিরকে উদ্ধার করতে আনুমানিক ৭৬ বার রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এই মহান সংগ্রামে গুরু গোবিন্দ সিং, মহারানি রাজ কুনওয়ার এবং আরও অনেক মহান ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

    প্রথম এফআইআর

    ১৮৫৮ সালে মসজিদের এক মৌলবি মসজিদ ই জন্মস্থান বলে ফৈজাবাদ একটি এফআইআর দায়ের করেন। এরপর ১৮৮৫ সালে ফৈজাবাদ কোর্টে শ্রী রাম জন্মভূমি (Ayodhya Ram Mandir) মামলার প্রথম শুনানি শুরু হয়। ১৯১২ সালের নভেম্বর ২০, ২১ তারিখে গোহত্যার বিরুদ্ধে ঈদের সময় অযোধ্যায় প্রথম দাঙ্গা শুরু হয়। উল্লেখ্য, ১৯০৬ সাল থেকে পৌর আইনের অধীনে অযোধ্যায় গরু জবাই করা নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৩৪ সালের মার্চ মাসে ফৈজাবাদের শাহজাহানপুরে গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে হিন্দুরা প্রবল আন্দোলন করে। পরিণামে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষুব্ধ হিন্দুরা বিতর্কিত মসজিদের কাঠামোর দেয়ালে আক্রমণ করে। পালটা ইংরেজ সরকার সেই সময় বিতর্কিত মসজিদের কাঠামোর মেরামত করে দেয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ সালের মধ্যরাতে বিতর্কিত মসজিদ কাঠামোর মূল গম্বুজের নীচে রাম লালার জন্মস্থানে রাম লালা নিজেকে প্রকাশ করেন। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পন্ডিত গোবিন্দ বল্লভ পন্ত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেরালার শ্রী কে কে নায়ার ছিলেন ফৈজাবাদ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট। ১৯৫০ সালে রামের জন্মস্থানের মালিকানা দাবি করার জন্য ফৈজাবাদ আদালতে একটি মামলা শুরু হয়। এই মামলার অন্যতম নেতা ছিলন হিন্দু মহাসভার গোপাল সিং বিশারদ, দিগম্বর আখাড়ার মহন্ত এবং পরমহংস রামচন্দ্র দাস। ১৯৫৯ সালে নির্মোহি আখাড়া মসজিদের বিতর্কিত স্থানের উপর তাদের অধিকার দাবি করে আরো একটি পিটিশন দাখিল করে এবং সেই সঙ্গে তারা নিজেদেরকে রাম জন্মভূমির অভিভাবক বলে দাবি করে। ১৯৬১ সালে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড বিতর্কিত কাঠামোতে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে পালটা একটি পিটিশন দাখিল করে এবং দাবি করে যে এর চারপাশের জমি সহ কাঠামোটি একটি কবরস্থান ছিল। পুরো জমিটাই তাঁদের। ১৯৮৩ সালে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের একজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শ্রী দাউ দয়াল খান্না, ওই বছরের মার্চ মাসে মুজাফফরনগরে অযোধ্যা পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করেন। নেহরুর মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রী গুলজারি লাল নন্দা, তিনিও ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ১৪৫ সিআরপিসির মাধ্যমে বিতর্কিত কাঠামোটির জন্য প্রিয়া দত্ত রামকে রিসিভার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ধর্মীয় আস্থা এবং বিশ্বাসের কথা মাথায় রেখে নামাজ পড়া বন্ধ করে এলাকাকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাম জন্মভূমির তালাবদ্ধ গেটের সামনে স্থানীয় মানুষ ও সাধুরা চালাতে থাকেন অখন্ড নাম সংকীর্তন।

    প্রথম ধর্মসভা এবং রাম শিলান্যাস

    ১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাসে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি (Ayodhya Ram Mandir) পুনরুদ্ধার বিষয়ে নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্তৃক প্রথম ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে সারা দেশে গণজাগরণের জন্য সীতামারি থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রাম-জানকী রথযাত্রা শুরু হয়। রথযাত্রার প্রভাব এতটাই জোরাল ছিল যে হিন্দু সমাজের চাপে ফৈজাবাদ জেলা আদালত ১লা ফেব্রুয়ারী ১৯৮৬ তারিখে তালা খোলার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, সেই সময়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের বীর বাহাদুর সিং এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধি। ৯ নভেম্বর ১৯৮৯ সালে, তৎকালীন সরকারের যথাযথ অনুমতি নিয়ে বিহারের একজন তপশীলি সামজের মানুষ কামেশ্বর চৌপাল মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সমগ্র ভারত ও বিদেশ থেকে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার ইট (শ্রীরাম শিলা) ১৯৮৯ সালের অক্টোবরের শেষ নাগাদ অযোধ্যায় পৌঁছায়। আনুমানিক ৬ কোটি মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় এই প্রস্তাবিত মন্দিরের জন্য একটি মন্দিরের মডেল তৈরি করেছিলেন গুজরাটের সুপরিচিত মন্দির স্থপত্য শিল্পী শ্রী চন্দ্রকান্ত সোমপুরা। ৩০ অক্টোবর ১৯৯০ সালে মন্দিরের পুনর্নির্মাণের জন্য করসেবা শুরু করার জন্য সাধুসন্তরা একটি ঘোষণা পত্র প্রকাশ করেন। এরপর এই ১৯৯০ সালেরই অক্টোবর মাসে হাজার হাজার রামভক্তরা মুলায়ম সিং যাদবের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন উত্তর প্রদেশ সরকারের দ্বারা তৈরি করা সকল বাধা অতিক্রম করে অযোধ্যায় পৌঁছান।

    কর সেবকদের উপর গুলি

    ২ নভেম্বর, ১৯৯০ সালে করসেবকদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুলায়ম সিং যাদব এবং অনেক করসেবক তাদের প্রাণ হারিয়েছিলেন। এরপর ব্যাপক আন্দোলনের চাপে তাঁকে ১৯৯১ সালের ৪ এপ্রিল পদত্যাগ করতে হয়েছিল। পরবর্তী নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির কল্যাণ সিং। দ্বিতীয়বার করসেবার ডাক দেওয়া হয় এবং ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের আঘাতে ভেঙে পড়ে বিতর্কিত মসজিদের কাঠামো। কাঠামো ভাঙতেই দেওয়াল থেকে প্রাচীন মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) নানা তথ্য বের হয়। বিতর্কিত মসজিদ কাঠামো ভাঙার দায়ভার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগ করেন কল্যাণ সিং। প্রত্নতাত্ত্বিক নমুনা থেকে পুরাতন মন্দির নির্মাণের বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে আরও খনন কার্য চালিয়ে ২৫০ টির বেশি হিন্দু মন্দিরের নিদর্শন তুলে ধরা হয়। এরপর এলাহাবাদ হইকোর্টে রাম লালার পূজার জন্য আবেদন করা হলে অনুমতি পাওয়া যায়। ধ্বংসের আগে যেখানে শ্রী রাম লালা বসেছিলেন, সেই জায়গায় করসেবকেরা ত্রিপল দিয়ে একটি অস্থায়ী মন্দির তৈরি করেন। এরপর সুপ্রীম কোর্টে চলে লম্বা আইনি লড়াই।

    শুরু খনন কার্য

    ১৯৯৫ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের দুই জন হিন্দু এবং একজন মুসলমান বিচারপতি মামলার শুনানি শুরু করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি ডঃ শঙ্কর দয়াল শর্মা প্রশ্ন তোলেন, “বিতর্কিত শ্রী রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগে কোনও হিন্দু মন্দির বা কোনও হিন্দু ধর্মীয় কাঠামো বিদ্যমান ছিল কি না?” এরপর রাষ্ট্রপতির উপদেশে ২০০২ সালের অগাস্ট মাসে ডিভিশন বেঞ্চ সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। এরপর বিশেষজ্ঞরা তাঁদের প্রতিবেদনে জানান, ধ্বংস করা কাঠামোর নীচে একটি বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সুবিশাল মন্দির কাঠামোর অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ২০০৩ সালে হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) কে বৈজ্ঞানিকভাবে জায়গাটি খনন করার এবং রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়। দুই পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে খনন কাজ চালানো হয়। ৫০টি সমান দূরত্বে অনেক দেয়াল, মেঝে, দুই সারি পিলার-ভিত্তিস্তম্ভ পাওয়া যায়। একটি শিব মন্দিরের সন্ধান মেলে। এরপর ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ তিনটি সমান পক্ষ – নির্মোহি আখড়া, শ্রীরামলালা (Ayodhya Ram Mandir) এবং উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে বিতর্কিত জায়গাটি ভাগ করার নির্দেশ দেয়। ২০১১ সালে আবার সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। ২০১৫ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রামমন্দির পুনর্গঠনের জন্য পাথর সংগ্রহের জন্য দেশব্যাপী প্রচার শুরু করে। ওই বছরের শেষের দিকে, দুই ট্রাক পাথর অযোধ্যায় এসে পৌঁছায়। 

    সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা

    অবশেষে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্ট চূড়ান্ত রায় প্রদান করে। আদালত স্পষ্টভাবে রায় দিয়ে জানায় যে বিতর্কিত জমি রামমন্দির পুনর্গঠনের জন্য হিন্দুদের দেওয়া হবে এবং পাঁচ একর বিকল্প জমি দেওয়া হবে মুসলমানদের। ২০২০ সালে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বরিষ্ঠ হিন্দু নেতাদের উপস্থিতিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত মসজিদ কাঠামো ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্ত লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং এবং অন্যান্য ২৮ জনকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত নির্দোষ বলে মামলা থেকে মুক্ত করে। অবশেষে ২২ জানুয়ারী ২০২৪, অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রাম (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন স্থির হয়। শাস্ত্র মতে বিধিবিধান মেনে মন্দিরের গর্ভগৃহে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়া এদিন যজমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল, আরএসএস সর সঙ্ঘচালক মোহন রাও ভাগবত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাত পোহালেই উদ্বোধন রাম মন্দিরের, শুভ যোগ শুরু হচ্ছে বেলা ১২টা ২০ মিনিটে

    Ram Mandir: রাত পোহালেই উদ্বোধন রাম মন্দিরের, শুভ যোগ শুরু হচ্ছে বেলা ১২টা ২০ মিনিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে রামলালার (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ শুভ যোগ শুরু হচ্ছে যা চলবে বেলা একটা পর্যন্ত। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে ঘিরে সাজো সাজো রব গোটা রাম নগরী জুড়ে। ইতিমধ্যেই রামলালার মূর্তি অধিষ্ঠিত করা হয়েছে গর্ভগৃহে। দেশ জুড়ে প্রচুর রাম ভক্ত হাজির হয়েছেন এই শুভ তথা ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, বারাণসীর পুরোহিত লক্ষীকান্ত দিক্ষিত গোটা অনুষ্ঠানটি বিধি মেনে সম্পূর্ণ করবেন।

    আমন্ত্রিত ৮ হাজার অতিথি

    রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সারা দেশ জুড়ে ৮ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রিত জানানো হয়েছে। যার মধ্যে রাজনীতিবিদরা যেমন রয়েছেন তেমনই রয়েছেন বড় শিল্পপতিরাও। দেশের ক্রীড়া মহলের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। বলিউডের বহু খ্যাত নামা অভিনেতাকেও দেখা যাবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে।

    অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে দেশজুড়ে, ৯ হাজার রেল স্টেশনেও দেখা যাবে অনুষ্ঠান

    রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হবে সারা দেশ জুড়ে। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে যে সবাই যেন ভার্চুয়াল ভাবে ওই প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Ram Mandir) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইতিমধ্যে প্রতি বাড়িতে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন। সরাসরি সম্প্রচার শুরু হচ্ছে সকাল ১১ টা থেকেই। সরাসরি সম্প্রচার দেখা যাবে দূরদর্শনে। দেশের অসংখ্য ধর্মস্থানে স্ক্রিন লাগিয়ে সম্প্রচার করা হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ভারতীয় রেলও ৯ হাজারেরও বেশি স্ক্রিন লাগিয়েছে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে সরাসরি সম্প্রচারিত করার জন্য।

    উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সম্প্রচারে, থাকছে ৪০টি ক্যামেরা

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir) অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার যেহেতু দূরদর্শনে হবে তাই অযোধ্যার বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে ৪০টি ক্যামেরা বসিয়েছে দূরদর্শন। জানা গিয়েছে,  লাইভ টেলিকাস্ট করা হবে সরযূ ঘাট, কুবের টিলার জটায়ুর মূর্তি থেকেও। অত্যন্ত উন্নত মানের সম্প্রচার প্রযুক্তি হল 4K ট্রান্সমিশন, যা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ব্যবহার করা হয়েছিল। রাম মন্দিরের উদ্বোধনেও দেখা যাবে ওই প্রযুক্তি। বেসরকারি চ্যানেলগুলিও দূরদর্শনের সৌজন্যে সম্প্রচার অনুষ্ঠান দেখাতে পারবে।

    প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে মঙ্গল ধ্বনিও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গর্ভ গৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ। নাগারা রীতিতে তৈরি রাম মন্দির ৩৮০ ফুট দীর্ঘ পূর্ব থেকে পশ্চিমে। অন্যদিকে ১৮০ ফুট উচ্চতা রয়েছে মন্দিরের। চওড়াতে এই মন্দির ২৫০ ফুট দীর্ঘ বলে জানা গিয়েছে। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মোট ৩৯২ টি স্তম্ভ রয়েছে। মোট দরজার সংখ্যা ৪৪।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা, মুকেশ আম্বানি থেকে অমিতাভ বচ্চন, মোট আমন্ত্রিত ৮ হাজার

    Ram Mandir: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা, মুকেশ আম্বানি থেকে অমিতাভ বচ্চন, মোট আমন্ত্রিত ৮ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি থেকে বলিউডের বিগ বি অমিতাভ বচ্চন সকলেই আমন্ত্রিত। জানা গিয়েছে মোট ৮ হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে। যার মধ্যে ৩ হাজার জনই ভিভিআইপি। এই তালিকার রয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বড় শিল্পপতি, অভিনেতা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আমলা থেকে কূটনীতিকরা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী অমিতাভ বচ্চন অযোধ্যায় আসছেন নিজের ব্যক্তিগত বিমানে।

    আমন্ত্রিত অভিনেতা ও লেখকরা

    অভিনেতা ও লেখকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে আমন্ত্রিত রয়েছেন অজয় দেবগণ, অক্ষয় কুমার, দক্ষিণ ভারতের পুষ্পা খ্য়াত আল্লু আর্জুন, মোহনলাল, অনুপম খের, চিরঞ্জীবী, পরিচালক সঞ্জয় বানসালি, চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী, লেখক প্রসূন জোশি এঁরাও আমন্ত্রিত।

    আমন্ত্রিত শিল্পপতিরা

    শিল্পপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে আমন্ত্রিত রয়েছেন মুকেশ আম্বানি, তাঁর মা কোকিলাবেন। স্ত্রী নীতা আম্বানি, তাঁর দুই পুত্র আকাশ এবং অনন্ত। আমন্ত্রিত (Ram Mandir) রয়েছেন মুকেশ আম্বানির জামাইও। আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমারমঙ্গলম বিড়লা এবং তাঁর স্ত্রী আমন্ত্রিত রয়েছেন রাম মন্দিরের উদ্বোধনে। পিরামল গ্রুপের চেয়ারম্যান অজয় পিরামল, টিসিএস এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কে কৃত্তিবাসন এঁরাও আমন্ত্রিত। প্রসঙ্গত রাম মন্দির নির্মাণ করছে  এল অ্যান্ড টি সংস্থা, সেই সংস্থার সিইও এস এন সুব্রহ্মণিয়ামও আমন্ত্রিত রয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন ইনফোসিস এর প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ন মূর্তিও।

    আমন্ত্রিত বিরাট কোহলি, মিথিলা রাজ

    আমন্ত্রিত (Ram Mandir) রয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারী, পূর্বতন প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলু আলিয়া, ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, ভারতীয় মহিলা দলের ক্রিকেটার মিথিলা রাজ, শচীন তেন্ডুলকরও আমন্ত্রিত রয়েছেন।

    অযোধ্যা এবং লক্ষ্ণৌতে থাকবেন অতিথিরা

    জানা গিয়েছে, এই সমস্ত ভিভিআইপিদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে লক্ষ্ণৌ এবং অযোধ্যাতে। ভিভিআইপি ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কেউ নিজেদের ব্যক্তিগত বিমানে আসবেন, আবার অনেকেই বাণিজ্যিক বিমানেও এসে হাজির হবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাঙালি শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া, নজরুলের লেখা ‘রাম বন্দনা’ ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: বাঙালি শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া, নজরুলের লেখা ‘রাম বন্দনা’ ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাম মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে দেখা গেল কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান। গানটি গেয়েছেন বাংলার শিল্পী পায়েল কর। বঙ্গ শিল্পীর নজরুলসঙ্গীতটি শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) লিখেছেন, ‘‘প্রভু শ্রীরামের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অগাধ শ্রদ্ধা।’’ নজরুল ইসলামের লেখা ‘মন জপ নাম’ গানটি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর গাওয়া গান প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত পায়েল কর।

    কী বলছেন শিল্পী পায়েল কর?

    দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা পায়েল কর, বঙ্গবাসী কলেজের অধ্যাপিকা। তিনি অবশ্য জানতেন না তাঁর গাওয়া গান প্রধানমন্ত্রী শেয়ার করেছেন। এক পরিচিত তাঁকে বলেন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ট্যুইটের ব্যাপারে। পরে সংবাদমাধ্যমকে পায়েল বলেন, ‘‘জানতে পেরে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমি ভাবতেও পারিনি যে, এত নামী শিল্পীর গলায় এই গানটি থাকলেও আমার গান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেয়ার করবেন! তা-ও এই গানটি নতুন গাওয়া এমন নয়। বছর সাতেক আগে গানটি অ্যালবামে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই গান এখন প্রধানমন্ত্রী শেয়ার করলেন ভেবে ভাল লাগছে।’’

    আরও পড়ুন: অটল পেনশন যোজনায় বাড়তে পারে টাকার পরিমাণ, বাজেটে ঘোষণা করবে কেন্দ্র

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট

    তৃণমূল সমেত বাংলার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি যখন রামকে বহিরাগত প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে, তখন বাঙালির শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া গান প্রধানমন্ত্রীর শেয়ার করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন শুভেচ্ছা জানানো তো দূরের কথা, রাজ্য সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবহে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ট্যুইট বার্তাও দিল, রামের সঙ্গে বাংলার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরে মোদি, দিলেন পুজো, মাউথ অর্গ্যান বাজিয়ে শোনাল হাতি

    Narendra Modi: রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরে মোদি, দিলেন পুজো, মাউথ অর্গ্যান বাজিয়ে শোনাল হাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ঠিক দুদিন আগে শনিবারই দক্ষিণ ভারতের শ্রী রঙ্গনাথস্বামীর মন্দিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গবেষকদের মতে, এই মন্দিরের সঙ্গে রামায়ণেরও এক সম্পর্ক রয়েছে। কথিত আছে ওই মন্দিরে যে শ্রীরঙ্গমের মূর্তি রয়েছে তা একসময় পুজো করতেন রাম এবং তাঁর পূর্বপুরুষরা। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী ব্রহ্মা, রামের পূর্বপুরুষদের হাতে এই মূর্তি তুলে দিয়েছিলেন। এই মূর্তিই প্রতিদিন পুজো করতেন দশরথের পরিবারের সদস্যরা। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে সেই শ্রী রঙ্গনাথস্বামীর মন্দিরেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi)। পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, ওই মূর্তি আবার বিভীষণকে দিয়েছিলেন রাম। বিভীষণ যখন রামের কাছে বহুমূল্য কোনও উপহার চেয়েছিলেন তখন এই মূর্তিই তুলে দেন রামচন্দ্র। লঙ্কা যাওয়ার পথে সেই মূর্তিটি শ্রীরঙ্গমে রেখে দেন বিভীষণ, ভক্তদের বিশ্বাস এমনটাই।

    হাতির শুঁড়ে তুলে দেন মাউথ অর্গ্যানও

    ওই মন্দিরে মূল বিগ্রহে প্রণাম করে সেখানে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। পান করেন চরণামৃত। আবার সেখানে হাতির শুঁড়ে তিনি তুলে দেন মাউথ অর্গ্যান । প্রধানমন্ত্রীকে মাউথ অর্গ্যান  বাজিয়ে শোনায় হাতিটি। ভিডিওতে হাতির শুঁড়ে হাত বুলিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi)।

    কাম্বা রামায়ণও শোনেন প্রধানমন্ত্রী

    এই মন্দিরে পূজো দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে কাম্বা রামায়ণও শোনেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। দ্বাদশ শতকে তামিল কবি কাম্বা ওই রামায়ণ রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, সোমবার রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান রয়েছে অযোধ্যায়। তার আগে বিশেষ ব্রত পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী এদিন হাজির হলেন রঙ্গনাথস্বামীর মন্দিরে। আপ্যায়নে মন্দিরের বিশেষ মুকুট পরিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানো হয়। ওই মুকুচকে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ মানা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: গর্ভগৃহের বেদিতে বসানো রামলালার মূর্তির মধ্যে রয়েছে বিষ্ণুর দশাবতার

    Ram Mandir: গর্ভগৃহের বেদিতে বসানো রামলালার মূর্তির মধ্যে রয়েছে বিষ্ণুর দশাবতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালা (Ram Mandir) হলেন ভগবানব বিষ্ণুর অবতার। তাঁর মূর্তির মধ্যে রয়েছে স্বস্তিক চিহ্ন থেকে পদ্ম, গরুড়ু চিত্রমূর্তি। মূর্তির গঠন, আকৃতি, ডিজাইনে হিন্দু দশাবতার এবং সনাতন ধর্মের তাৎপর্যপূর্ণ প্রতীকগুলিকে চিত্রিত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কৃষ্ণশিলায় নির্মিত এই রামলালার মূর্তিটিকে মন্দিরের গর্ভগৃহের মূলবেদিতে স্থাপন করা হয়েছে। এরপর করা হয়েছে বিধি নিয়মের পূজাচার। একটি হলুদ কাপড়ের আবরণে রামালালার মূর্তি আবৃত করে রাখা হয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাম ভক্তদের মধ্যে এখন এই মূর্তিকে ঘিরে তীব্র উচ্ছ্বাস।

    কেমন দেখতে মূর্তি (Ram Mandir)?

    রামলালার (Ram Mandir) এই মূর্তির দৈর্ঘ্য ৪.২৪ ফুট এবং প্রস্থ ৩ ফুট। মূর্তির মধ্যে রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর ১০ অবতারের ছোট খোদাই। রামলালার মূর্তির ডান দিকে উপর থেকে নিচে রয়েছে মৎস, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামনের চিত্রমূর্তি। আবার ডান দিকে উপর থেকে পরপর নিচে রয়েছে পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, কল্কির মূর্তি। মূল মূর্তির একদম উপরে রয়েছে স্বস্তিক চিহ্ন, রয়েছে ওম, চক্র, গদা, শঙ্খ। এর ঠিক নিচে রয়েছে সূর্য নারায়ণের চিত্র। একই ভাবে মূর্তির ডান দিকে একেবারে নিচে রয়েছে রাম ভক্ত হনুমানের চিত্র এবং বাঁ দিকে নিচে রয়েছে আরেক রাম ভক্ত গরুড় মূর্তি। এই দুই মূর্তির চিত্র রামলালার পাদদেশের সঙ্গে মিশে রয়েছে। এই মূর্তির ওজন ২০০ কেজি। মূর্তিটিতে রাম লালার পাঁচ বছরের রূপটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রামলালার চেহারার মধ্যে শিশু সুলভ সারল্যের ভাব বর্তমান রয়েছে।

    মূর্তিটি কৃষ্ণশিলায় নির্মিত

    প্রভু রামলালার (Ram Mandie) এই মূর্তিটি কৃষ্ণশিলা থেকে খোদাই করে রামলালার অবয়ব তৈরি করা হয়েছে। মেঙ্গালুরুর কাছেই কারকালা শহরে পাওয়া যায় এই মূর্তির শিলা। কর্ণাটকের ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ হলেন মূর্তির শিল্পী। জানা গিয়েছে, যোগীরাজের পরিবার পাঁচ পুরুষ ধরে মূর্তি নির্মাণের কাজ করছেন। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৈদিক ব্রাহ্মণ এবং আচার্যদের দ্বারা মূর্তি স্থাপনার পর বিশেষ ভাবে পুজো অর্চনা করা হয় গত বৃহস্পতিবার। কেদারনাথে শঙ্করাচার্যের যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে তা তাঁরই তৈরি করা মূর্তি। একই ভাবে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে স্থাপন করা সুভাষ চন্দ্র বসুর বিখ্যাত মূর্তিও যোগীরাজ তৈরি করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share