Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Narendra Modi: মেঝেতে বিছানা, ব্রাহ্মমুহূর্তে শয্যাত্যাগ, রাম মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে কঠোর ব্রতে মোদি

    Narendra Modi: মেঝেতে বিছানা, ব্রাহ্মমুহূর্তে শয্যাত্যাগ, রাম মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে কঠোর ব্রতে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে ১১ দিনের বিশেষ ব্রত পালনের কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) শুক্রবারই ঘোষণা করেছেন। গতকাল তিনি ছিলেন নাসিকের কলারাম মন্দিরে। ওই স্থানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রামায়ণও। ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নাসিকের ওই স্থানেই রামচন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন তাঁর কুটির। যা পঞ্চবটি নামে খ্য়াত। পঞ্চবটি হল পাঁচটি কলা গাছের সমহার। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে ওই বিশেষ স্থান থেকেই মোদি (Narendra Modi) তাঁর ব্রত পালন শুরু করেন। ব্রত পালনের কারণে তিনি খাটে শয্যা ত্যাগ করেছেন। মাটিতে পাতা হচ্ছে তাঁর বিছানা! রামমন্দির উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বাংলোর মেঝেতেই শোবেন তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে। শুক্রবার তাঁর ব্রতপালন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে আর মাত্র ১১ দিন বাকি। প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ভারতবাসীর প্রতিনিধিত্ব করতে ঈশ্বর আমাকে প্রস্তুত করেছেন। এ কথা স্মরণে রেখে আমি আজ থেকে ১১ দিনের বিশেষ ব্রতপালন শুরু করছি।’’

    কৃচ্ছ্রসাধনের জীবনে জপ, ধ্যান এবং পূজাপর্ব করে কাটাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে , রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে তাঁর এই ব্রত সন্তদের উপদেশ মেনে চলছে। শনিবারে তাঁর ব্রত দ্বিতীয় দিনে পা দিল। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি কঠোর অনুশাসন মেনে চলবেন। কৃচ্ছ্রসাধনের জীবনে জপ, ধ্যান এবং পূজাপর্ব করে কাটাচ্ছেন। সেই সঙ্গে যোগ ব্যায়াম, প্রাণায়ামও করছেন তিনি। 

    ‘ব্রাহ্মমুহূর্তে’ শয্যাত্যাগ করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    সূত্রের খবর, ১১ দিনের ব্রত পালনে ‘ব্রাহ্মমুহূর্তে’ শয্যাত্যাগ করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)। এর পরেই শুরু হচ্ছে যোগ, শরীরচর্চা এবং ধ্যানপর্ব। ‘ব্রতকথা’র নিয়ম অনুযায়ী দিনের বেশ খানিকটা সময় ‘নীরব’ থাকছেন তিনি। পালন করছেন মৌনতা। পূজার্চনার পাশাপাশি, ১১ দিন ধরে নিয়মিত নানা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পাঠ করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমনিতেই নিরামিষাশী, ‘ব্রতপালন’ পর্বে প্রধানমন্ত্রী মোদির খাদ্য তালিকাতেও থাকছে ধর্মীয় রীতির ছোঁয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের নিরাপত্তায় যোগী পুলিশই, ব্ল্যাক ক্যাটের ধাঁচে হরিয়ানায় প্রশিক্ষণ ২০০ অফিসারকে

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের নিরাপত্তায় যোগী পুলিশই, ব্ল্যাক ক্যাটের ধাঁচে হরিয়ানায় প্রশিক্ষণ ২০০ অফিসারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন রয়েছে ২২ জানুয়ারি। তার আগে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রাম নগরীকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই ওই বিশেষ দিনে জঙ্গি হামলার আশহ্কার কথা জানিয়েছে। মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে অযোধ্যায় নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বাহিনী গড়ল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি)-এর তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বাছাই করা ২০০ অফিসারকে। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দায়িত্ব যাবে ওই বাহিনীর হাতে। জানা গিয়েছে প্রত্যেক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অফিসারেরই বয়স ৩৫ এর নীচে। দলটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, কীভাবে কুইক রেসপন্স টিমের নির্দেশে কাজ করতে হবে, হামলার সময় ভিভিআইপি ব্যক্তিদের কীভাবে উদ্ধার করতে হবে, শত্রুপক্ষের ওপর কীভাবে আঘাত হানতে হবে, পণবন্দিদের কীভাবে উদ্ধার করতে হবে এই সমস্ত বিষয়ে। এর পাশাপাশি মোটর সাইকেলে চেপে অপারেশন চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

    হরিয়ানার মানেসরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এই বিশেষ বাহিনী

    যোগী আদিত্যনাথ সরকার (Ram Mandir) এক্ষেত্রে ভরসা রেখেছে রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর এবং কনস্টেবলদের ওপরে। ভিভিআইপি নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসদমন অভিযানে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এনএসজি-এর কমান্ডোদের বলা হয় ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ বাহিনী। হরিয়ানার মানেসরে সেই বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে। জানা গিয়েছে, এই শিবিরেই যোগী পুলিশের বিশেষ বাহিনী প্রশিক্ষিত হয়েছে। খাকি ড্রেসের বদলে তারা পরবে ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডোদের মতোই পোশাক।

    রাজ্য পুলিশেই ভরসা

    ২০০৮ সালে যখন মুম্বইয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটে, তখন তুকারাম নামের এক কনস্টেবলই কাসভকে ধরে ফেলে। অর্থাৎ রাজ্য পুলিশও যে সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবিলা করতে সিদ্ধহস্ত, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল মুম্বইয়ে। এবার সেই মডেলই কাজ করবে রাম মন্দির রক্ষায়। তবে শুধুমাত্র রাম মন্দিরই নয় সমগ্র রাম নগরীর (Ram Mandir) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে যোগী পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এতদিন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করতো সিআরপিএফ। এবার থেকে মন্দির রক্ষার দায়িত্বে দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Varanasi: চলুন ঘুরে আসি ভারতের ‘আধ্যাত্মিক রাজধানী’ বারাণসী

    Varanasi: চলুন ঘুরে আসি ভারতের ‘আধ্যাত্মিক রাজধানী’ বারাণসী

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, বারাণসী থেকে ফিরে: কথাতেই রয়েছে ‘গঙ্গার পশ্চিমপাড় বারাণসীর সমান’। ভারতবর্ষে এই পুণ্যভূমির গুরুত্ব এতটাই যে বারাণসীকে (Varanasi) দেশের ‘আধ্যাত্মিক রাজধানী’ বলা হয়। গ্রীসের মিউজিয়ামে আজও উল্লেখ রয়েছে যে বারাণসীই হল পৃথিবীর প্রাচীনতম শহর। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বারাণসীতে (Varanasi) পা পড়ল এক সন্ধ্যাবেলায়। গাড়ির চালকও বাঙালি, পেশার টানে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন বারাণসীতে। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই নগর এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। মোদি ক্ষমতায় আসার পরেই ব্যাপক উন্নয়ন চলছে শহরে। আমাদের প্রথম গন্তব্য দশাশ্বমেধ ঘাট। দশাশ্বমেধ ঘাট যাওয়ার রাস্তায় চারচাকা গাড়ির অনুমতি নেই। তাই প্রায় ১ কিমি দূর থেকেই হাঁটা শুরু করলাম। সমস্ত ভিড়ই দেখলাম মিশছে দশাশ্বমেধ ঘাটে।

    দশাশ্বমেধ ঘাটের গঙ্গা-আরতি

    গঙ্গা আরতির সময় এই ঘাট সেজে ওঠে প্রার্থনা, দেবতাদের স্তোত্র, আধ্যাত্মিকতা, ভক্তিভাব,পবিত্রতার এক মেল বন্ধনে। তরুণ পুরোহিতদের ছন্দ ও তাল মিলিয়ে আরতি সত্যিই টানে দেশের তীর্থযাত্রী ও ভক্তদের। বালক থেকে বৃদ্ধ সকলের কপালে মহাদেবের হলুদ তিলক। ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার এমন নগরী দেশে হয়তো আর একটাও, নেই তাই আধ্যাত্মিক রাজধানী  (Varanasi)নামকরণ একেবারে সার্থক।

    নমো ঘাট থেকে নৌকো বিহার

    পরের দিন আমরা বের হলাম নৌকো করে গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনে। এদিন গাড়ির চালক অবশ্য ছিল স্থানীয়। তার কথা মতোই নৌকো যাত্রা করার জন্য আমরা বাছলাম নমো ঘাটকে। যাত্রা শুরু হল নমো ঘাট থেকে। নমো ঘাটের বয়স খুব বেশি নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দিতা করেন বারাণসী আসন থেকে। তারপরেই নির্মাণ করা হয় এই ঘাট। নমো ঘাটে প্রতিদিনই চলে সাংস্কৃতিক উৎসব। আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো নমো ঘাট। নমো ঘাট থেকে দশাশ্বমেধ ঘাট পর্যন্তই নৌকো পৌঁছাতে পারল সেদিন। গঙ্গা আরতি চলার কারণে গঙ্গাতেও দেখলাম যানজট। তাই আবার পিছন দিকে ফেরা। তীর্থযাত্রা ও পর্যটন একসঙ্গেই সম্পন্ন হতে পারে বারণাসীতে (Varanasi)। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নতুন কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে নাম কাশী-তামিল সঙ্গম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: নিজে হাতে মন্দির সাফ করলেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় যুব দিবসে শোনালেন বিবেক বাণী

    Narendra Modi: নিজে হাতে মন্দির সাফ করলেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় যুব দিবসে শোনালেন বিবেক বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাতীয় যুব দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) জঞ্জাল সাফাই করতে দেখা গেল। মহারাষ্ট্রের কলারাম মন্দির প্রাঙ্গণ এদিন নিজের হাতেই সাফ করতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত শুক্রবার সকালেই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ১১ দিন নিজের ব্রত পালনের কথা বলেন মোদি। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আবেগপ্রবণ হয়ে  অডিও বার্তা দেন তিনি। করেন ট্যুইটও। জাতীয় যুব দিবসে নাসিকে বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। শোনান বিবেক বাণীও।

    রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে দেশের ধর্মস্থানগুলিকে পরিষ্কার রাখার আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) দেশবাসীর কাছে আর্জি রেখেছিলেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে দেশের সমস্ত মন্দির প্রাঙ্গণ এবং তীর্থস্থান পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এর জন্য বিশেষভাবে স্বচ্ছতা অভিযানে নামার অনুরোধও করেন তিনি দেশের মানুষকে। সেই মতো শুক্রবার নিজেই শুরু করলেন ধর্মস্থান স্বচ্ছতা অভিযান। নাসিকের কলারাম মন্দিরে এদিন প্রথমে  তিনি মারাঠি সন্ত একনাথের ভবার্থ রামায়ণ গাঁথা শোনেন। তারপর ওই মন্দিরেই ঝাঁটা, বালতি হাতে নেমে পড়েন নমো। সাফাই অভিযানের ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।

    জাতীয় যুব দিবসে বিবেকানন্দ স্মরণ

    শুক্রবার তিনি ভারতের দীর্ঘতম অটল সেতুরও উদ্বোধনও করবেন। তার আগে যুব দিবসে সকালে নাসিকের যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বক্তব্যও রাখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘‘মহর্ষি অরবিন্দ এবং স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন যে তরুণদের স্বাধীন চিন্তা ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম উন্নয়ন ও উত্তরাধিকার দুটোই চায়। আজকের তরুণ প্রজন্ম দাসত্বের প্রভাব থেকে মুক্ত।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sarnath: গৌতম বুদ্ধ প্রথম উপদেশ দিয়েছিলেন এখানেই, পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা সারনাথ

    Sarnath: গৌতম বুদ্ধ প্রথম উপদেশ দিয়েছিলেন এখানেই, পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা সারনাথ

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, সারনাথ থেকে ফিরে: পাহাড়, সমুদ্র ছাড়া ইতিহাসের টানেও ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ঘুরতে যায়। একে শিক্ষামূলক ভ্রমণও বলা যেতে পারে। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভ্রমণের গুরুত্ব যে কতটা, তা চাক্ষুষ করলাম সারনাথে পা রেখে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সারনাথে যখন পৌঁছালাম তখন দুপুর গড়িয়েছে। নেপালের রাজপুত্র সিদ্ধার্থ, গৌতম বুদ্ধ হয়ে তাঁর প্রথম উপদেশ সারনাথে (Sarnath) প্রদান করেছিলেন। তাই দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভিড়ে থিক থিক করছে সারনাথ। বৌদ্ধ বিহার, স্তূপগুলির দেওয়ালজুড়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী এবং জীবনী নজরে পড়বে। সারনাথের মূল আকর্ষণ ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’ স্থান। এখানেই পাঁচ শিষ্যকে উপদেশ দান করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। ব্যাখ্যা করেছিলেন জীবনে দুঃখ-কষ্টের কারণ ও তার সমাধান নিয়ে।

    শিক্ষামূলক ভ্রমণে হাজির কলেজ পড়ুয়ারাও

    আগে থেকেই আমাদের জন্য ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল মহাবোধি সোসাইটির গেস্ট হাউস (Sarnath)। গেস্ট হাউসের অবস্থান ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর স্থানের সামনেই। মহাবোধি সোসাইটি বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে কাজ করে। গেস্ট হাউস সংলগ্ন স্থানে চলছে মহাবোধি সোসাইটির স্কুলও। শিশু ও কিশোর বয়সের ছাত্ররা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর বেশে সেখানে শিক্ষাগ্রহণ করছে। অরুণাচল প্রদেশ থেকে আসা এমন একাধিক ছাত্রর সঙ্গে কথা হল। এরপর আমরা বেরিয়ে পড়লাম ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর  স্থানের দিকে। ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর স্থান তখন ভিড়ে ঠাসা (Sarnath)। স্থানীয় কলেজগুলি থেকে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী সেদিন এসেছিলেন শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। যে জায়গায় বসে গৌতমবুদ্ধ উপদেশ দিয়েছিলেন, সেখানে রয়েছে তাঁর মূর্তি। গোল করে বুদ্ধ মূর্তি ঘিরে আরও পাঁচ মূর্তি, এঁরা গৌতম বুদ্ধের প্রথম পাঁচ শিষ্য।

    কী বললেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী?

    জার্মানি থেকেও বেশ কয়েকজন পর্যটক এসেছেন দেখলাম। কথা হল তাঁদের মধ্যে একজনের সঙ্গে। বিদেশি পর্যটক জানালেন, ভারতের সংস্কৃতি তাঁকে টানে। গৌতম বুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান দর্শন করতেই তাঁর আসা। ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর স্থানের মাহাত্ম্য আমাদের সামনে ব্যাখ্যা করলেন এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। বললেন, ‘‘তাঁর (গৌতম বুদ্ধ) গোটা জীবনজুড়েই অরণ্য। জন্মস্থান, তপস্যা স্থান এবং প্রথম উপদেশ স্থান, তিনটেই অরণ্যে।’’ আমাদের সঙ্গে থাকা চিত্র সাংবাদিক শ্যামল দত্ত তাঁর গোটা বক্তব্য রেকর্ড করলেন। ‘ধম্মচক্রপ্রবর্তন’-এর (Sarnath) ঠিক পাশেই রয়েছে গৌতম বুদ্ধের বড় মন্দির। বাকি অংশ সবুজ ঘাষে মোড়া। শীতের সন্ধ্যায়, আলো-আবছায়াতে এক আলাদাই অনুভূতি মেলে সারনাথে। এখান থেকে বারাণসী যা ভারতের আধ্যাত্মিক রাজধানী বলে পরিচিত মাত্র আধঘণ্টায় পৌঁছানো যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর’’, ট্যুইট মোদির

    Narendra Modi: ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর’’, ট্যুইট মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রয়েছে রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেদিনই রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার আগে শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর একটি অডিওবার্তা ভেসে এল। যেখানে তিনি বলছেন, ‘‘১১ দিনের পবিত্র অনুষ্ঠান আজ থেকেই শুরু করছি।’’ নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা হয়েছে ওই অডিওবার্তা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলছেন, ‘‘আমি সৌভাগ্যবান, এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে।’’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর। আজ থেকেই আমি ১১ দিনের অনুষ্ঠান শুরু করছি। আমি খুবই আবেগপ্রবণ বর্তমানে। জীবনে প্রথমবার আমি এইরকম অনুভূতি পাচ্ছি।’’

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট 

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আরও বলেন, ‘‘জীবনের কিছু মুহূর্ত আসে, যা সম্ভব হয় সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদের কারণে। এটাই হল সেরকম একটি পবিত্র অনুষ্ঠান। যা আমাদের সবার জীবনে এসেছে।’’

    আমন্ত্রিত ৭ হাজার

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) সঙ্গেই সারাক্ষণ হাজির থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেদিন রামনগরীতে হাজির থাকবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় অযোধ্যায় আমন্ত্রিত প্রায় ৭ হাজার অতিথি। যার মধ্যে ভিভিআইপি প্রায় ৩ হাজার। ইতিমধ্যে অযোধ্যার অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার চেষ্টা করা হতে পারে বলে সতর্কতাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গোটা রামনগরীকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, নিরাপত্তার চাদরে রামনগরী

    Ram Mandir: অযোধ্যায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, নিরাপত্তার চাদরে রামনগরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার রয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। সন্ত্রাসবাদীরা টার্গেট করছে মূলত বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক আধিকারিকদের। অযোধ্যায় ওই দিন একটি অশান্তির পরিবেশও তারা তৈরি করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা চলতি ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইজরায়েলের পক্ষে ভারতের দাঁড়ানোকেও ব্যবহার করছে, উস্কানি হিসেবে। রাম জন্মভূমিতে ওই দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অতি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র অযোধ্যা নয়, সারা উত্তরপ্রদেশকে অস্থির করার একটি ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানা গিয়েছে। যেখানে ভারত বিরোধী শক্তিগুলো সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে এই অশান্তির পরিবেশ নির্মাণ করতে চাইছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে সাজো সাজো রব। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনিতেই আঁটোসাঁটো। তবে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার পরে আরও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

    নিরাপত্তার কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক এক নজরে 

    বুম ব্যারিয়ার্স

    এই ব্যবস্থাকে টায়ার কিলার্সও বলে। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আন-অথরাইজড যানবাহন প্রবেশে বাধা দেয় এই টায়ার কিলার্স নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি

    যোগী রাজ্যের পুলিশই ভারতের একমাত্র রাজ্য পুলিশ যারা রাম মন্দিরের (Ram Mandir) নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে। ড্রোন হামলা কোনও বাবেই সম্ভব হবে না এই প্রযুক্তির ব্যবহারে।

    হাই-টেক সিসিটিভি

    হাইটেক সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা অযোধ্যাকে। 

    ইন্টেলিজেন্ট ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ITMS)

    এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কড়া ভাবে ট্রাফিকের উপর নজরদারি চালানো হবে। থাকবে ইমার্জেন্সি কল বক্স, অসুবিধায় পড়লে যাতে দ্রুত জানানো যায়।  

    ২৫টি টেলিস্কোপ

    প্রতিটি টেলিস্কোপের এক একটিতে থাকবে ৯টি করে লেন্স। কড়া নজরদারি চলবে এর মাধ্যমে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আজকাল অনেক ক্ষেত্রেই অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই সেখানেও নজরদারি চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Banerjee: নোবেলজয়ী বাঙালি গবেষণার কাজে বাছলেন যোগী রাজ্যকে, আলোচনাও সফল

    Abhijit Banerjee: নোবেলজয়ী বাঙালি গবেষণার কাজে বাছলেন যোগী রাজ্যকে, আলোচনাও সফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা প্রায়শই বলেন যে বাংলাকে নাকি ইউপি-বিহার হতে দেওয়া যাবে না। অথচ নিজের গবেষণার জন্য উত্তরপ্রদেশকেই বেছে নিলেন নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Vinayak Banerjee)। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কীভাবে গ্রামের মানুষদের মধ্যেও স্বাস্থ্য পরিষেবা সহজে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে রিসার্চ করছেন অভিজিৎবাবু। এই গবেষণাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন যোগী রাজ্যকে। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে এবিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও সারেন অভিজিৎবাবু (Abhijit Banerjee)। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। নোবেলজয়ী বাঙালি এবং রাজ্য বিজেপির নেতার হাতে এদিন বংশীধারী কৃষ্ণ মূর্তিও তুলে দিতে দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে। মঙ্গলবারই অযোধ্যার উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল যোগী আদিত্যনাথের। কিন্তু সেই সফরসূচি তিনি পিছিয়ে দেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের কারণে।

    দীর্ঘ আলোচনা নোবেলজয়ী বাঙালি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা অভিজিৎবাবুর (Abhijit Banerjee) সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন যোগী আদিত্যনাথ। সূত্রের খবর, নোবেলজয়ী বাঙালির কাছ থেকে সমস্ত কিছু শোনার পরে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। খুব তাড়াতাড়ি উত্তরপ্রদেশে তাঁর গবেষণার কাজ শুরু করতে চলেছেন অভিজিৎবাবু। গবেষণা সফল হলে জ্বর, পেটব্যথা কিংবা যে কোনও ধরনের ছোটখাট অসুখের চিকিৎসা পরিষেবা গ্রামের মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সাধারণভাবে প্রান্তিক মানুষদের অসুবিধার প্রধান বড় কারণ হল, সেখানে ভালো নামী-দামি চিকিৎসক মেলে না। তাঁদেরকে চিকিৎসা করাতে বড় শহরে কোনও বড় হাসপাতালেই যেতে হয়। কিন্তু অভিজিৎবাবুর (Abhijit Banerjee) গবেষণা সফল হলে সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    নোবেলজয়ী বাঙালির (Abhijit Banerjee) সফরসঙ্গী ছিলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুল প্রয়োগ করে গ্রামের প্রান্তিক মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কাজ কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশে কাজ করতে চান অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সমস্ত রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যার পুকুরগুলিতেও আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া, রাম-সীতার মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে

    Ram Mandir: অযোধ্যার পুকুরগুলিতেও আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া, রাম-সীতার মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে

    রামনগরী অযোধ্যা-আট

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: জোরকদমে চলছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের প্রস্তুতি। তাই সরাসরি কোনও ট্রেনই ঢুকছিল না অযোধ্যায়। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বারাণসীতে নেমে সড়ক পথেই অযোধ্যায় রওনা দিয়েছিলাম আমরা। উদ্দেশ্য রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠক। প্রায় ৪ ঘণ্টা চলার পরে গাড়ি ঢুকল অযোধ্যার শহরতলিতে। তখন থেকেই চোখে পড়তে থাকল স্বাগত জানানোর প্ল্যাকার্ড। পদ্মফুলের ওপরে জোড়হাতের প্রতীক। শহরে প্রবেশের আগেই একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড জানান দিল নিরাপত্তার আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা। শহরে প্রবেশ করতেই বাঁদিকে বড় পুকুর। তার চারপাশে তৈরি হয়েছে মন্দিরের মতো ধাঁচা। পুকুরের পাড় ইঁট দিয়ে সুন্দরভাবে বাঁধানো রয়েছে। তার ওপর প্লাস্টার। প্লাস্টারের ওপর রংবেরঙের চোখ ধাঁধানো কারুকার্য।

    জলাশয়ের মধ্যেও আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ

    মনে পড়ল অযোধ্যা (Ram Mandir) আগামী দিনে হতে চলেছে ভারতের আধ্যাত্মিকতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা পা রাখবেন রামনগরীতে। তাই জলাশয়গুলিতেও আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। জনা তিরিশেক শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাই পুকুর বাঁধানোর মতো কাজেও শ্রমিকরা মাথায় হলুদ হেলমেট পরেছেন। এমন চিত্র পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় না বললেই চলে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেই জানা গেল, জলাশয়ের নামকরণ করা হয়েছে দিব্য কুণ্ডু। পুকুরের সৌন্দর্যায়নের কাজ বিগত ১ বছর ধরেই চলছে বলে জানালেন শ্রমিকরা। দিব্য কুণ্ডু ছাড়িয়ে গাড়ি ছুটতে থাকল। ফের পুলিশের ব্যারিকেড। গাড়ির গতি কমে এল জ্যামের কারণে। নজরে পড়ল রাস্তার ডানদিকে দেবদেবীর মূর্তি নির্মাণের কাজ চলছে।

    কী বললেন অযোধ্যার মূর্তি নির্মাণকারী সঞ্জয় শর্মা?

    হনুমান, দুর্গা, রাম-সীতা-লক্ষণ প্রভৃতি দেবদেবীর বিভিন্ন আকারের মূর্তি নিয়ে বসে রয়েছেন বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়। ভিড় রাস্তায় গাড়ি থেকে নামার উপায় ছিল না। অগত্যা গাড়িতে থেকেই ইশারা করে ডাকা হল তাঁকে। সাংবাদিক পরিচয় দিলাম। ভদ্রলোক জানালেন, নাম সঞ্জয় শর্মা। ভিড় কমতেই গাড়িকে তাঁর দোকানের সামনে দাঁড় করালাম। মূর্তি কেমন বিক্রি হচ্ছে? প্রশ্ন শুনতেই সঞ্জয়বাবুর উত্তর, ‘‘এখন যেমন অযোধ্যা দেখছেন, কয়েক বছর আগেও এখানে এমন চিত্র ছিল না। বর্তমানে ভিড় লেগেই থাকে। রাম-সীতা (Ram Mandir) ছাড়াও অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তিরও চাহিদা ভালোই রয়েছে।’’ ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিকতার রাজধানী বলা হয় বারাণসীকে। পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরেরও স্বীকৃতি মিলেছে বারাণসীর। তবে আগামী দিনে অযোধ্যাকে কেন্দ্র করেই যে আধ্যাত্মিক ভারতের পরিবেশ নির্মাণ হতে চলেছে, অযোধ্যায় পা রাখতেই তা উপলব্ধি করা গেল। রাস্তার নামও রামপথ, সরযূ নদীও বয়ে চলেছে রামায়ণের ঐতিহ্যকে নিয়ে, পুকুরের নামও দিব্যকুণ্ডু। স্বাধীনতা দিবসের দিন যেমন প্রতিটি বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা দেখা যায়, তেমনি পতপত করে অযোধ্যার বাড়ির ছাদগুলিতে উড়ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা। নজর কাড়ল দোকানের ওয়াল পেন্টিংগুলিও। সেখানেও তীরধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রভু রামচন্দ্র। এয়ারপোর্টের নামও মহর্ষি বাল্মিকীর নামে। সব মিলিয়ে অযোধ্যার অলিখিত নাম রামনগরী (Ram Mandir) যেন সার্থক হয়ে উঠেছে। (শেষ)

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayhika Mukherjee: বাংলার গর্ব, রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘অর্জুন’ পুরস্কার নিলেন ঐহিকা

    Ayhika Mukherjee: বাংলার গর্ব, রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘অর্জুন’ পুরস্কার নিলেন ঐহিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ‘অর্জুন’ পুরস্কার গ্রহণ করলেন বাংলার মেয়ে ঐহিকা মুখোপাধ্যায় (Ayhika Mukherjee)। তিনি বাংলার গর্ব। এই পুরস্কার বাংলা থেকে মাত্র একজনই পেয়েছেন। এর ফলে বাংলার খেলার জগতের বিশেষ সম্মান বৃদ্ধি হল বলে মনে করছেন খেলাপ্রিয় মানুষজন। ঐহিকা বললেন, “আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।” পাশাপাশি দ্রোণাচার্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন টিটির কোচ জয়ন্ত পুশিলাল। দেশের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রদান করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) একটি পোস্ট করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

    টেবিল টেনিসে জয়ী ঐহিকা (Ayhika Mukherjee)

    এশিয়ান গেমসের ডাবলসে দেশকে ব্রোঞ্জের পদক এনে দিয়েছেন নৈহাটির মেয়ে ঐহিকা (Ayhika Mukherjee)। টেবিল টেনিসের এখন নামী তারকা তিনি। এছাড়াও জুনিয়র ভারতীয় দলের হয়ে একাধিক সাফল্য পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয় করেছেন। তাঁর এই সাফল্য অনন্য। তাঁকে আজ দেশের রাষ্ট্রপতি অর্জুন পুরস্কারের সম্মানে ভূষিত করলেন।

    কী বললেন ঐহিকা?

    এদিন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে পুরস্কার পেয়ে সাংবাদিকদের ঐহিকা (Ayhika Mukherjee) বলেন, “এই সম্মানে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলে। দেশকে আরও সাফল্য এনে দেওয়ার চেষ্টা করব। অর্জুন পুরস্কার গ্রহণের পর লক্ষ্য হল প্যারিস অলিম্পিক্স।” তাঁর বন্ধু এবং পরিবার এই পুরস্কারে ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত। বাংলা থেকে আগে টিটি খেলায় অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন মৌমা দাস। তিনিও টেবিল টেনিস তারকা। তবে এখনও খেলায় সক্রিয় তিনি, অবসর নেননি।

    দ্রোণাচার্য পুরস্কার

    ঐহিকার (Ayhika Mukherjee) পাশাপাশি দ্রোণাচার্য পুরস্কার পেয়েছেন টিটির বিখ্যাত কোচ জয়ন্ত পুশিলাল। তিনি নারকেলডাঙার সাধারণ সমিতিতে বহু বছর ধরে কোচিং দিয়েছেন। তাঁর প্রশিক্ষণে সাফল্য পেয়েছেন মৌমা, অরূপ বাসক, কিশলয় বসাক, প্রাপ্তি সেন সহ আরও অনেকেই। আজ দিল্লি থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে সপরিবাররে পৌঁছান এবং পুরস্কার গ্রহণ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share