Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ram Mandir: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

    Ram Mandir: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। সেদিন রামলালাকে কোলে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য নগর পরিক্রমায় বেরনোর কথা ছিল ‘রামলালা’র। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই পরিকল্পনা বাতিল করল মন্দির প্রশাসন। আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি ‘রামলালা’র বিগ্রহ নিয়ে অযোধ্যা ভ্রমণে বেরনো হবে। এর ফলে মন্দিরে বিগ্রহ প্রবেশের আগেই ভক্তেরা বিগ্রহকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পেতেন। ৮ দিন আগেই পরিকল্পনা বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রামলালার (Ram Mandir) নগর ভ্রমণের বিষয়ে সম্প্রতি বৈঠকে বসেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভক্তদের ভিড় থেকে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা

    ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, ভক্তদের ভিড় থেকে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। প্রসঙ্গত, রামের মন্দিরে (Ram Mandir) ফেরা নিয়ে উন্মাদনা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এমতাবস্থায় অযোধ্যায় বিগত দুই মাস ধরেই উৎসবের মেজাজ রয়েছে। এমন সময়, রামলালাকে নগর পরিভ্রমণে বের করলে বিপুল ভক্ত সমাগম হতে পারে। সেখানে বিশৃঙ্খলাও হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত বদল। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন আগেই কাশীর আচার্য এবং জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন ট্রাস্টের সদস্যেরা। সেখানেই জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রামলালার বিগ্রহকে মন্দিরের বাইরে বের করে আনা হলে ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হতে পারে।

    কী বলছেন অযোধ্যার জেলাশাসক?

    অযোধ্যার জেলাশাসক এবিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রামলালার দর্শন পেতে কেবলমাত্র স্থানীয়রাই নয়, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসবেন রাম ভক্তরা (Ram Mandir)। ফলে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, যে কোনও মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ১৭ জানুয়ারি রামলালার অযোধ্যা সিটি ট্যুরের অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Elections 2024: ঐতিহাসিক জয়ে হাসিনাকে শুভেচ্ছা মোদির, আর কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Bangladesh Elections 2024: ঐতিহাসিক জয়ে হাসিনাকে শুভেচ্ছা মোদির, আর কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাক্ষাৎ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হয়ে জানিয়েছিলেন শুভেচ্ছা। আর সোমবার হাসিনাকে (Bangladesh Elections 2024) ফোন করে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

    হাসিনাকে শুভেচ্ছা মোদির

    এ নিয়ে টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন নিহত বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের কন্যা হাসিনা। সে দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল জয়ী হয়েছে ২২৫টি আসনে। হাসিনা নিজেও জিতেছেন বিপুল ভোটে। তাঁর এবং তাঁর দল আওয়ামি লীগের ঐতিহাসিক জয়ের জন্য এদিন তাঁকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জয়ের জন্য হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন (Bangladesh Elections 2024), “ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীকে স্থায়ী করতে ও দু’ দেশের জন-অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।” এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন ও সংসদ নির্বাচনে ঐতিহাসিক চতুর্থবারের মতো বিজয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।”

    ঐতিহাসিক জয় হাসিনার 

    বাংলাদেশে দ্বাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় রবিবার। ভোট গ্রহণ-পর্ব শেষে ওই দিনই শুরু হয় ফল গণনা। গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা যায় একের পর এক আসনে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে হাসিনার দল আওয়ামি লীগ। গণনা পুরোপুরি শেষ হতেই জানা যায় হাসিনার দল জয়ী হয়েছে ২২৫টি আসনে। জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০। নির্বাচন হয়েছিল ২৯৮টিতে। একটি আসনে প্রার্থীর মৃত্যু ও অন্য একটিতে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন হয়নি। যে ২৯৮টি আসনে নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে আওয়ামি লীগ পেয়েছে ২২৫টি। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রার্থী দিয়েছিল ২৬টি আসনে। তারা পেয়েছে ১১টি আসন।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তান নয়, রত্নগর্ভা লাক্ষাদ্বীপ এল ভারতেই, লৌহমানবের কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

    নির্দল ও অন্যরা জয়ী হয়েছেন ৬২টি কেন্দ্রে। বাংলাদেশে এবারই প্রথম প্রার্থী দিয়েছিল সে দেশের তৃণমূল। সবকটি আসনেই গোহারা হেরেছে তারা। ভোট বয়কট করেছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। হাসিনার জয়ের ফলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে বলেই আশা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর ভার্মাও জানিয়েছিলেন, হাসিনার জয়ের জেরে আরও মজবুত হবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক (Bangladesh Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Ram Mandir: বাবরি মসজিদের আইনজীবী ইকবালও বাড়িতে বসে বললেন, “রাম আমাদের সকলের’’

    Ram Mandir: বাবরি মসজিদের আইনজীবী ইকবালও বাড়িতে বসে বললেন, “রাম আমাদের সকলের’’

    রামনগরী অযোধ্যা-সাত

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উৎসবের মেজাজে দেখছিলাম অযোধ্যাকে (Ram Mandir)। বাড়ির দেওয়াল থেকে দোকানের দরজা, সর্বত্র লেখা জয় শ্রীরাম। তরুণ প্রজন্ম স্মার্ট ফোনের গেম ভুলে মেতেছে রামের নামে। সকাল সন্ধ্যা কপালে তিলক এঁকে ঘুরছে তারা। কর্মযজ্ঞের অযোধ্যাকে পর্যবেক্ষণ করতে ভাড়া করলাম টোটো। গেলাম স্টেশন এবং এয়ারপোর্টে। সেখানেও তুঙ্গে ব্যস্ততা। রাম রাজ্যে রাম ফিরবেন। ব্যস্ততা তো স্বাভাবিক। নতুনভাবে সেজে উঠছে অযোধ্যা। মন্দির উদ্বোধন হলে ৩ লাখ ভক্তের পা পড়বে প্রতিদিন। বেশিরভাগ ভিড়ই সামাল দিতে হবে স্টেশন এবং বিমানবন্দরকে। তাই সাজো সাজো রব। স্টেশন দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম। দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন আস্ত একটা বিশ্বমানের বিমানবন্দর। আধিকারিকরা বললেন, প্রতিদিন ৬০ হাজার মানুষ গড়ে যাতায়াত করতে পারবেন অযোধ্যা স্টেশনের মাধ্যমে। বিমানবন্দরে গিয়ে দেখলাম সেখানেও একই চিত্র। আমরা যখন গিয়েছিলান তখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেননি। হোটেলে ফেরার পথে টোটো চালক বললেন, সামনেই বাবরি মসজিদের আইনজীবী থাকেন, যাবেন সেখানে? আমরা উত্তর দিলাম, অবশ্যই। রাস্তার ধারে টোটো দাঁড়াল। আঙুল দিয়ে টোটো চালক দেখিয়ে দিলেন ইকবাল আনসারির বাড়ি।

    ইকবাল আনসারির বাড়িতে

    রামপথের (Ram Mandir) ঠিক বাঁদিকে যেখানে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, সেখানেই পড়ছে ইকবাল আনসারির বাড়ি। বাড়ির সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি মেরামতির দোকান। জানা গেল এগুলি তাঁরই (ইকবাল আনসারির)। বাড়ির অদূরে বর্জ্য পদার্থ ফেলার জায়গা। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম ইকবাল আনসারির বসার চেম্বারে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ভিড়। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে মিডিয়ার গাড়ি। উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ইকবাল। বয়স প্রায় ষাট ছুঁইছুঁই। শরীরে মেদ নেই বললেই চলে। মাঝারি উচ্চতার ইকবাল আনসারি স্বাগত জানালেন আমাদের। আলাপচারিতায় জানলেন, আমরা কোথা থেকে এসেছি। প্রসঙ্গত, ইকবাল আনসারির বাবা ছিলেন হাসিম আনসারি। যিনি বাবরি মসজিদের আইনজীবী ছিলেন প্রথম থেকেই। মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকার সময়ই মৃত্যু হয় হাসিম আনসারির। তার পর থেকেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ইকবাল। সাক্ষাৎকার শুরুর প্রথমেই জিজ্ঞেস করলাম ‘‘শরীর কেমন রয়েছে?’’ স্মিত হেসে উত্তর দিলেন, কোনও অসুবিধা নেই। এবার আসল প্রসঙ্গে ঢুকলাম। রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হচ্ছে কেমন লাগছে? ইকবাল আনসারি জবাব দিলেন, ‘‘রামের মন্দির তৈরি হওয়াতে অযোধ্যার মুসলিম সমাজের মতো আমিও খুশি। রাম আমাদের সকলের।”

    সকল ধর্মের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন রামচন্দ্র

    এরপরেই তিনি নিজের মোবাইল বের করে দেখাতে থাকলেন, হিন্দুধর্মের বিভিন্ন উৎসবে তাঁর সামিল হওয়ার চিত্র। তাঁর সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্ন করেছিলাম, উদ্বোধনের দিন আমন্ত্রণ পেলে যাবেন? জানালেন, নিশ্চিত যাব। (প্রসঙ্গত জানুয়ারির প্রথমেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা-কর্মীরা ইকবাল আনসারির বাড়ি গিয়ে দিয়ে এসেছেন আমন্ত্রণপত্র)। অযোধ্যার হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির কথাও শোনা গেল ষাট ছুঁইছুঁই ইকবালের মুখে। পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমের সুবাদে জেনেছি, অযোধ্যার বিমান বন্দরের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে ফুলও ছোড়েন তিনি। এবার রাম মন্দিরের উদ্বোধনে সামিল হবেন ইকবাল। রামের ঘরে ফেরা সত্যই তাৎপর্যপূর্ণ। জাতি-ধর্ম-বর্ণের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে রাম মন্দির (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: সরকারি বাংলো এখনও খালি করেননি কেন? মহুয়াকে শো-কজ নোটিশ কেন্দ্রের

    Mahua Moitra: সরকারি বাংলো এখনও খালি করেননি কেন? মহুয়াকে শো-কজ নোটিশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে তিনি প্রশ্ন করতেন। তাঁর এই ‘কীর্তি’ সামনে আসতেই সাংসদ পদ খারিজ হয় তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra)। ছাড়তে বলা হয় দিল্লির সরকারি বাংলো। তবে এখনও সরকারি বাংলো খালি করেননি মহুয়া। সোমবার ঠিক এই কারণেই তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে বিষয়টি সামনে এসেছে। লোকসভায় প্রশ্ন করার বিনিময়ে শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির থেকে ঘুষ নিতেন তিনি। এই অভিযোগে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন মহুয়া। সংসদের ওয়েবসাইটের আইডি, পাসওয়ার্ড দুবাইকেন্দ্রিক ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে।

    ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করার কথা ছিল

    প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর সাংসদ পদ খারিজ হয় মহুয়ার (Mahua Moitra)। তখনই তাঁকে বলা হয়েছিল, ৭ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করে দিতে হবে। কেন এখনও তিনি খালি করেননি বাংলো, তা তিনদিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে তাঁকে। মহুয়ার দাবি ছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তিনি দিল্লির বাংলো খালি করবেন। যদিও সেটা সম্ভব ছিল না। কারণ সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরে সরকারি ওই বাংলোতে থাকা যায় না। এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করা একদা সাংসদ।

    দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে মহুয়ার দাবি 

    মহুয়ার (Mahua Moitra) আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যদি তাঁর মক্কেলকে সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে বর্ধিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য যে কোনও খরচ দিতেও প্রস্তুত। তবে কার্যত মহুয়ার আবেদন খারিজ করে দেয় কোর্ট। বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, সরকারি আবাসনে থাকার জন্য ডিওই-র কাছেই আবেদন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত কিছু করতে পারবে না।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    রামনগরী অযোধ্যা-ছয়

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: প্রভু রামের মন্দিরে ফেরা ২২ জানুয়ারি। তার আগেই অযোধ্যার উৎসবের ঢেউ গিয়ে পড়ছে আসমুদ্র হিমাচলে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী হোক, অথবা গুজরাট থেকে গুয়াহাটি। সর্বত্রই রামভক্তরা এখন থেকেই আনন্দে মেতেছেন। কেউ হায়দরাবাদ থেকে সোনার জুতো নিয়ে রামনগরীতে (Ram Mandir) পৌঁছাচ্ছেন, তো কোথা থেকে আসছে রামের রথ। তবে ভগবান রামের সব থেকে বড় শিষ্য রাম জন্মভূমির অদূরে তাঁর নিজের মন্দিরেই দীর্ঘকাল বিরাজমান রয়েছেন। অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরও ভক্তদের অন্যতম তীর্থস্থল হিসেবে পরিচিত। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যখন মন্দির চত্বরে পৌঁছালাম, ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১০টা ছুঁয়েছে। শীতের রাতেও মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই। ভক্তদের বিশ্বাস, প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থানেই থাকেন বজরঙ্গবলী। হনুমানগড়ি মন্দির যেতে রামপথের ওপর দিয়ে সোজা হাঁটতে হবে ঠিক রাম মন্দিরের দিকে। তারপরেই ডানদিকে ভেঙে যাচ্ছে রামপথ। সেখানেই রয়েছে হনুমানগড়ি মন্দির। রাম মন্দিরের মতোই এখানেও ২৪ ঘণ্টাই পুলিশি ব্যারিকেড রয়েছে।

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী (Ram Mandir)

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী। হনুমানের দর্শন পেতে তাই ভাঙতে হবে ৭৬টি সিঁড়ি। হলুদ ধুতি পরা তরুণ পুরোহিতরা ভক্তদের পুজো পৌঁছে দিচ্ছেন হনুমানের চরণতলে। কপালে তিলকও এঁকে দিচ্ছেন তাঁরা। হনুমানের দর্শন পেতে সে কী হুড়োহুড়ি! বোঝাই গেল রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে হনুমানগড়িতে যদি এত ভিড় হয়, তাহলে ২২ জানুয়ারির পর ঠিক কী হতে চলেছে। ভগবান রামের পাশাপাশি অযোধ্য়ার উদ্দেশে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের গন্তব্য যে হনুমানগড়ি হবে, একথা বলাই যায়। বিরাট মন্দিরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চারপাশে অনেক ছোট-বড় ব্যবসায়ী দোকান তৈরি করেছেন, বেশ কিছু নতুন দোকানও তৈরি হচ্ছে দেখা গেল। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরাও আশায় বুক বাঁধছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের। মন্দিরের ডানদিক বরাবর সোজা গেলে পড়বে দশরথ ভবন। এই রাস্তাতেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে অযোধ্যার (Ram Mandir) কোনায় কোনায়, পথে পথে, সরযূর জলে।

    হনুমানগড়ির পৌরাণিক কথা (Ram Mandir)

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অযোধ্যায় রামের দর্শনের (Ram Mandir) আগে তাঁর প্রিয় ভক্ত বজরঙ্গবলীর দর্শন ও আজ্ঞা নেওয়া জরুরি। হনুমানগড়ি মন্দির অযোধ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। এই মন্দিরে ৬ ইঞ্চির বালক বজরঙ্গবলীর প্রতিমা রয়েছে। হনুমানের সঙ্গে তাঁর মা অঞ্জনীও আছেন এই মন্দিরে। মন্দির পরিসরে অঞ্জনীর কোলে দেখা যায় হনুমানকে। মন্দিরের চারপাশের দেওয়ালে হনুমান চালিশার পংক্তি লেখা রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, হনুমানগড়িতে রাজা হিসেবে বজরঙ্গবলীর রাজতিলক করেন রাম। একটি গুহায় বসবাস করে বজরংবলী রামজন্মভূমি ও অযোধ্যাকে রক্ষা করেন। বজরঙ্গবলীর সেবা ও ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে রাম বলেন, যাঁরা অযোধ্যায় আমার দর্শনের জন্য আসবেন, তাঁদের সবার আগে হনুমানের দর্শন, পুজো ও অনুমতি নিতে হবে। হনুমানের অনুমতি না-নিয়ে ও পুজো না-করে রামের দর্শন ও পুজোর ফল পাওয়া যায় না। রামচরিত মানসের সুন্দরকাণ্ডে বলা হয়েছে, বজরংবলী রামের সবচেয়ে প্রিয় ভক্ত। তাই রামের দর্শন ও আশীর্বাদ লাভের জন্য বজরংবলীর দর্শন ও আশীর্বাদ নিতে হয়। এ কারণে হনুমানগড়িতে বজরঙ্গবলীর পুজোর পর রামের দর্শনের পরম্পরা প্রচলিত। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বপ্রথম হনুমানগড়িতেই পুজো দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ থেকে চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী (৬৪) আট হাজার কিলোমিটার তীর্থযাত্রা করে অযোধ্যা পৌঁছাতে চলেছেন দিন কয়েকের মধ্যেই। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামের পাদুকা নিয়ে তিনি পৌঁছাবেন রামনগরীতে (Ram Mandir)। ওই পাদুকা দুটি রুপোর তৈরি এবং সোনা দিয়ে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। এক একটির ওজন ১২ কেজি। এর আগে, রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) আড়াই কোজি ওজনের পাঁচটি রুপোর ইট প্রদান করেছিলেন শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য অযোধ্যা পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর (শাস্ত্রী)।

    রামের বনবাসে যাওয়ার পথেই হাঁটছেন শাস্ত্রী

    জানা গিয়েছে, অযোধ্যা-রামেশ্বরমের পথেই হাঁটছেন শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত এটাই হল রামচন্দ্রের বনবাসের পথ। তবে তিনি (শাস্ত্রী) দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসছেন, এটাই পার্থক্য। গত বছরের ২০ জুলাই এই তীর্থযাত্রা শুরু করেন শাস্ত্রী। তীর্থপথের মাঝখানে প্রসিদ্ধ স্থান, যেখানে রামচন্দ্র শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের, সেখানেও গিয়েছেন তিনি। ওড়িশা রাজ্যের পুরী, মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বক, গুজরাটের দ্বারকা এই সমস্ত তীর্থভূমি ঘুরে তিনি অযোধ্যার খুব কাছেই চলে এসেছেন। প্রতিদিন ৩৮ কিলোমিটার করে পথ হাঁটছেন।

    কী বলছেন চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী?

    শাস্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে রামের পাদুকা (Ram Mandir) ছাড়াও পঞ্চধাতুর রামের মূর্তি। নিজের মাথায় তিনি তা বয়ে চলেছেন। পঞ্চধাতুর মূর্তি তিনি প্রদান করতে চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। প্রসঙ্গত, তাঁর এই যাত্রার বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমার বাবাও অযোধ্যাতে করসেবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভগবান হনুমানের ভক্ত ছিলেন। তাঁরও স্বপ্ন ছিল অযোধ্যার ভূমিতে রাম মন্দির দেখে যাওয়া। কিন্তু তিনি বর্তমানে বেঁচে নেই। তাই আমি স্থির করলাম তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার।’’ বর্তমানে তিনি চিত্রকোটে রয়েছেন, যেখান থেকে অযোধ্যা দূরত্ব ২৭২ কিলোমিটার। শাস্ত্রীর সঙ্গে আরও পাঁচজন রয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে তীর্থযাত্রা করছেন। তবে প্রথমে তাঁর সঙ্গে যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন ২০ জন। তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে অযোধ্যাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান শাস্ত্রী এবং সেখানে একটি বাড়িও নির্মাণ করতে চাইছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Boycott Maldives: মালদ্বীপের মন্ত্রীর ভারত সম্পর্কে কু-মন্তব্য, দলে দলে ভারতীয়রা ট্যুর বাতিল করছেন

    Boycott Maldives: মালদ্বীপের মন্ত্রীর ভারত সম্পর্কে কু-মন্তব্য, দলে দলে ভারতীয়রা ট্যুর বাতিল করছেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি বেশ ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে লাক্ষাদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে দেখা যায় এবং এর পাশাপাশি সমুদ্রের তলদেশে ডুবুরিদের সঙ্গেও নামতে দেখা যায়। এরপরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন মালদ্বীপের এক মন্ত্রী ভারতকে উদ্দেশ্য করে ট্যুইট করেন এবং সেখানে তিনি বলেন যে ভারত উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মালদ্বীপকে (Boycott Maldives) লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে এবং সমুদ্র সৈকতে পর্যটনে তাদের (মালদ্বীপ) দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারত এঁটে উঠতে পারছে না বলেই এই কাজ করছে।

    নেট নাগরিকদের ট্যুইট

    এরপর থেকেই নেট নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়াতে মালদ্বীপের (Boycott Maldives) বিরুদ্ধে পোস্ট করতে থাকেন এবং অনেকেই নিজেদের মালদ্বীপ ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিলও করেন। সেখানে বিভিন্ন নেট-নাগরিকদের কমেন্ট করতেও দেখা যাচ্ছে। এই সমস্ত পোস্টগুলিতে বয়কট মালদ্বীপ ট্যাগও ব্যবহার করা হচ্ছে।

    ডক্টর ফালাক জোশিপুরা নামের একজন এক্স হ্যান্ডেল এ পোস্ট করে লিখছেন, ‘‘চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর মালদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ট্রিপ চূড়ান্তও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করলাম মালদ্বীপের মন্ত্রী টুইটের জন্য।’’

    অন্যদিকে অক্ষিত সিং লিখছেন, ‘‘দুঃখিত মালদ্বীপ আমাদের নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ আছে। আমরা আত্মনির্ভর।’’

    রুসিক রাওয়াল নামের একজন লিখছেন, ‘‘তিন সপ্তাহের জন্য বুকিং করেছিলাম মালদ্বীপে (Boycott Maldives) পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে। ঘর ট্যুর শুরু হতো ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সাল থেকে। কিন্তু মালদ্বীপের মন্ত্রী ট্যুইট দেখে তা বয়কট করলাম।’’

    চিনের দিকে ঝুঁকেছে মালদ্বীপ

    এ বিতর্ক  প্রথম নয়! গত বছরের নভেম্বর মাসেই সে দেশের মসনদে বসেন মহম্মদ মুইজু। তখনই মালদ্বীপের (Boycott Maldives) নীতির বদল আনেন তিনি। চিনের কাছাকাছি আসার সংকেত দেন। এবং ভারত থেকে দূরত্ব বাড়ানোর কথা বলেন। প্রসঙ্গত, এই বিতর্কের মাঝেই মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি আগামী সোমবার থেকেই চিন সফরের কথা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: মন্দির উদ্বোধনে তিরুপতি থেকে অযোধ্যায় পৌঁছাবে ১ লক্ষ লাড্ডু প্রসাদ

    Ayodhya Ram Temple: মন্দির উদ্বোধনে তিরুপতি থেকে অযোধ্যায় পৌঁছাবে ১ লক্ষ লাড্ডু প্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির উদ্বোধনে ভক্তদের জন্য অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Temple) বিশেষ প্রসাদ পাঠাবে তিরুপতি মন্দির ট্রাস্ট। প্রভু শ্রীরামের মন্দিরে রামলালার মূর্তিতে যখন প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত ব্যস্ততার মুখে, ঠিক সেই সময় দক্ষিণ ভারতের তিরুপতি মন্দিরধামও রামভক্তদের জন্য প্রসাদ পাঠানোর বার্তা দিল। দক্ষিণের এই মন্দির ট্রাস্ট জানিয়েছে, উদ্বোধনের দিনে আগত ভক্তদের জন্য লাড্ডু প্রসাদ পাঠানো হবে।

    ১ লক্ষ লাড্ডু পাঠানো হবে (Ayodhya Ram Temple)

    আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় শ্রীরামের মন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধন হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠান কাজ সম্পন্ন করবেন। আসবেন সারা দেশের ৭ হাজার বিশিষ্ট অতিথি। তাই রামনগরীতে সাজো সাজো রব। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতির ব্যস্ততাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এই অনুষ্ঠানে প্রসাদ থাকবে লাড্ডু, যা তিরুপতি থেকে পাঠানো হবে অযোধ্যার রামভক্তদের কাছে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানামস।

    কী জানিয়েছে তিরুপতি মন্দিরের ট্রাস্ট

    তিরুপতি মন্দির ট্রাস্টের কার্যকরী অধিকর্তা এভি রেড্ডি বলেছেন, “ভাগবান বেঙ্কটেশ্বর এবং ভগবান রাম-উভয়ই মহা বিষ্ণুর অবতার। মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় সমস্ত দেশ। ভক্তদের জন্য আমরা মন্দিরের তরফ থেকে লাড্ডু বিতরণ করব। সমস্ত রামভক্ত এবং বিশিষ্ট অতিথিদের জন্য সৌজন্যের নিদর্শন হবে এই প্রসাদ।” সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ তিরুপতি মন্দিরে ১৭০ গ্রাম ওজনের লাড্ডু প্রসাদ হিসাবে ভক্তদের বিতরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Temple) যেহেতু এক লক্ষ লাড্ডু পাঠানো হবে, তাই প্রতি প্রসাদ লাড্ডুর ওজন হবে ২৫ গ্রাম।

    উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টরা

    দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের নেতা, বলি তারকা, খেলোয়াড় এবং বিদেশের কূটনীতিকরাও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের সাধুসন্ত, সন্ন্যাসীরা উপস্থিত থাকবেন। মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই দিন সাধারণ ভক্তদের মন্দির চত্বরে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। কেবলমাত্র বিশিষ্টরাই যোগদান করবেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Lalla: মূর্তি নির্মাণে নেওয়া হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ! জানালেন মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক  

    Ram Lalla: মূর্তি নির্মাণে নেওয়া হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ! জানালেন মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। গর্ভগৃহে প্রভু শ্রী রামলালার (Ram Lalla) বিগ্রহ বসানো হবে। প্রভু রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই সঙ্গে বৈদিকমন্ত্রে হবে রামলালার অভিষেক। রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই মন্দিরের মূর্তি প্রসঙ্গে বলেছেন, “মূর্তি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শে তৈরি করা হয়েছে।”

    মূর্তি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে (Ram Lalla)?

    অযোধ্যার রাম মন্দিরে মূর্তি (Ram Lalla) স্থাপনার জন্য কর্ণাটকের বিখ্যাত শিল্পী ভাস্কার অরুণ যোগীরাজের খোদাই করা মূর্তিকে নির্বাচন করা হয়েছে। মূর্তি সম্পর্কে চম্পত রাই বলেন, “মূর্তির পা থেকে মাথা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য হল ৫১ ইঞ্চি। ওজন ১.৫ টন। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লাপক্ষের রাম নবমীর দিনে ঠিক দুপর ১২ টার সময় মন্দিরের এই মূর্তির কাপালে এসে পড়বে সূর্যের আলো। জল, দুধ এই মূর্তির তেমন কোনও ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। মূর্তির উচ্চতা এবং গর্ভগৃহের কেমন মাপ হবে সেই বিষয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।”

    মূর্তি দখতে কেমন হয়েছে?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক রাই আরও জানান, “গাঢ় বর্ণের পাথর দিয়ে এই রামলালার (Ram Lalla) মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর দেবত্ব এবং রাজপুত্রের তেজ রয়েছে। মূর্তির মুখ দেখতে ৫ বছরের শিশুর মতো নিষ্পাপ। মূর্তির মধ্যে শিশুসুলভ সারল্য, স্নিগ্ধতা, হাসি এবং শরীরের গঠন দেখে নির্বাচন করা হয়েছে। মূর্তির পাথর হল গ্রানাইট। সূর্য, জল, আলো, বাতাসে ক্ষয় হবে না। আর্দ্রতা শোষণ করে নেবে পাথর। তবে মূর্তি তৈরিতে কোনও কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি।

    গত ৩০০ বছরের মধ্যে বিরল মন্দির

    আপাতত গর্ভগৃহে কেবলমাত্র রামের মূর্তি (Ram Lalla) বসানো হবে। মন্দির সম্পূর্ণ নির্মাণ হলে প্রথম তলে লক্ষ্মণ, সীতা, হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। মন্দির চত্বরে থাকবে মহর্ষি বাল্মীকি, মহর্ষি বশিষ্ঠ, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত্য, নিষাদ রাজ, মাতা শবরী, দেবী অহল্যার মন্দির। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরের কুবের টিলায় জটায়ুর মূর্তি স্থাপনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ৩০০ বছরের মধ্যে এটি বিরল মন্দির হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: যোগী রাজ্যের জেলগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান

    Ram Mandir: যোগী রাজ্যের জেলগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলগুলিতেও সরাসরিভাবে সম্প্রচার করা হবে। শনিবারই এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন যোগী সরকারের কারামন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতি। সে রাজ্যের বন্দীরাও সরাসরি দেখতে পাবেন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মুহূর্ত। উত্তরপ্রদেশের কারামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার বন্দী রয়েছে। তারাও দেশের নাগরিক। তাই তাদের এই অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করি। সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জেলগুলিতে রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যারা বন্দী হয়ে রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী নয়। যখন কোনও ঘটনা ঘটে তখনই তারা অপরাধী হয়ে যায়। তাই পবিত্র অনুষ্ঠানের সময় এদের এক ঘরে করে রাখার কোনও মানে হয় না। সে কথা মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’’

    বুথে বুথে সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাম জন্মভূমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রতিটা বুথস্তরে সরাসরি ভাবে সম্প্রচারিত করবে করা হবে। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ৫০০ মিটার হেঁটে রাম লালাকে (Ram Mandir) কোলে করে তা গর্ভগৃহে স্থাপন করবেন নরেন্দ্র মোদি। মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে বিজেপি।

    রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যে নিমন্ত্রিতদের কাছে পত্র পাঠানোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে জোর কদমে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। জনপ্রিয় পরিচালক সুভাষ ঘাই, অক্ষয় কুমার সহ  অন্যান্যরা। পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়ে বলেছেন, ‘‘রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারব আমি, এটা ভেবে আমার খুব ভালো লাগছে। রাম মন্দিরের নির্মাণ শুধুমাত্র ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি মাইলস্টোন নয় বরং তা ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতারও একটা মেলবন্ধন।’’ আমন্ত্রিতদের তালিকায় বলিউডের একাধিক শিল্পী রয়েছেন। এর পাশাপাশি দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তও আমন্ত্রিত রয়েছেন। বলিউডের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার। এর পাশাপাশি পরিচালক রাজকুমার হিরানী, সঞ্জয় লীলা বানসালি, রোহিত শেঠি সমেত অন্যান্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share