Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Narendra Modi: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে দীপাবলি পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে দীপাবলি পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রয়েছে রাম মন্দিরের। দেশজুড়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। শনিবারই মোদিময় হয়ে ওঠে অযোধ্যা। রামনগরীতে মহর্ষি বাল্মিকী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সেখান থেকে তিনি মন্দিরের উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে দীপাবলি পালনেরও বার্তা দেন। এর পাশাপাশি অযোধ্যা আগামীদিনে দেশের উন্নয়নে নয়া শক্তি জোগাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে দীপাবলি

    শনিবার প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) অযোধ্যায় বলেন, ‘‘দেশের জন্য আমাদের নতুন সংকল্প নিতে হবে। নিজেদের মধ্যে নতুন শক্তির সঞ্চার করতে হবে। সেই জন্য অযোধ্যার এই পবিত্র মাটি থেকে আমি ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি, ২২ জানুয়ারি আপনারা সবাই নিজেদের ঘরে শ্রীরাম জ্যোতি প্রজ্জ্বলন করুন।’’  এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন যে উন্নয়ন এবং ঐতিহ্য এই দুই শক্তিই আগামীদিনে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাঁর মতে, ‘‘ঐতিহ্য এবং পরম্পরার সঙ্গে আধুনিকতাকে মিশিয়েই আমাদের দেশের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে অযোধ্যা নতুন শক্তি যোগাচ্ছে।’’

    স্মার্ট সিটি অযোধ্যা

    প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে সাজো সাজো রব চলছে অযোধ্যায়। ওই দিনে হোটেল ভাড়া পর্যন্ত গিয়েছে এক লাখ টাকা। তবে হোটেলে তাঁরাই থাকতে পারবেন যাঁদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) অফিসের চিঠি অথবা রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চিঠি থাকবে। তবে উদ্বোধনের পরে যে অযোধ্যায় ভক্তদের ঢল নামতে চলেছে, তা এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মন্দির তৈরি হওয়ার পর এখানে প্রচুর পুণ্যার্থী আসবেন। সেই কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে। অযোধ্যাকে স্মার্ট করা হচ্ছে। রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে, ফুটপাথ করা হচ্ছে, উড়ালপুল বানানো হচ্ছে। পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রচুর উন্নয়ন করা হচ্ছে।’’ এদিন প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যার ভাষণে উঠে আসে দেশের প্রান্তিক গরিব মানুষদের কথাও। তিনি জানান, এদেশে ষাট সত্তর বছর আগে গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ১৪ কোটি মানুষের কাছে গ্যাসের কানেকশন ছিল। কিন্তু তাঁর সরকারের আমলে গত ১০ বছরে ১৮ কোটি নতুন এলপিজি গ্যাসের কানেকশন পৌঁছে দিয়েছে তাঁর সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় গেরুয়া পতাকা, ধুতি, উত্তরীয় সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় মেহেবুবরাও

    Ram Mandir: অযোধ্যায় গেরুয়া পতাকা, ধুতি, উত্তরীয় সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় মেহেবুবরাও

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    কৃষ্ণ ঠাকুরের মতো কালো। গোপালের মতো গোলগাল। মহাকাল ও জয় শ্রীরামের চিহ্ন আঁকা জামা বিক্রি করছিল ছেলেটি। নাম জিজ্ঞেস করতেই বলল, মেহেবুব আলি। রামপথের দুধারে অজস্র দোকান। কেউ বিক্রি করছেন হনুমানের গদা, কোথাও বা বিক্রি হচ্ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা। তিলক থেকে গলার মালা, সবটাই পাবেন এখানে। ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলল বাঙালি দোকানদারেরও। দেখা হল মিষ্টি বিক্রেতা পুরুলিয়ার বাসিন্দার সঙ্গে, তিনিও অপেক্ষায় রয়েছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক গিয়ে ঠেকছে হনুমান গড়িতে। পথের ধারে হাঁটতে হাঁটতেই দেখা মিলল ওই মুসলিম যুবক মেহেবুব আলির। বছর ২৫-এর মেহেবুব একেবারে কৃষ্ণকালো চেহারার। গেরুয়া পতাকা, ধুতি, উত্তরীয় দিয়ে সাজানো তার দোকান। কথায় কথায় জানা গেল রাম মন্দিরের খুব কাছেই তার বাড়ি।

    জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অযোধ্যা যেন রামময় হয়ে উঠেছে। রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে সরযূ নদী পর্যন্ত রাস্তা রামপথ নামেই পরিচিত। গত তিন ধরে ওই রাস্তার ধারের হোটেলেই আমরা রয়েছি। ভক্তদের ভিড়ে অযোধ্যার রামপথে যে জনজোয়ার আসবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এখন থেকেই তো উৎসবের মেজাজ। রামপথের দু’দিকে পুরাতন বাড়িগুলি সংস্কারের কাজ চলছে। রাস্তা যে অনেকটাই সম্প্রসারিত হয়েছে, অবশ্যই এটা যোগী সরকারের দূরদর্শিতা। লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় সামলাতে রাস্তা প্রশস্ত হতেই হবে। 

    কী বলছে মেহেবুব?

    রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন নিয়ে তোমার মত কী? মেহেবুবের কাছ থেকে সাফ জবাব এল, ‘‘আমিও খুব আগ্রহ সহকারে অপেক্ষা করছি দিনটির। রাম তো আমাদের সবার।’’ এই দোকান মেহেবুবের রুটি-রুজির সন্ধান দেয়। সে বিক্রি করে জয় শ্রীরাম লেখা পোশাক, উত্তরীয়, ধুতি, চাদর। মহাকালের চিহ্ন আঁকা জামা, পোশাক, ফতুয়া, পাঞ্জাবিও নজরে পড়ল। শ্রীরাম এবং মহাকাল দুই দেবতাই রয়েছেন মেহেবুবের দোকানে। হাসিমুখে হিন্দু দেবতাদের প্রতীক আঁকা জামা বিক্রি করতে করতে মেহেবুব জানায়, এটাই তার পেশা। কারণ রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পরে আরও লোক রামের নামে অযোধ্যায় আসবেন। আসবেন মহাকালের ডাকে। এর মাধ্যমেই গড়ে উঠবে তার রুটিরুজির সংস্থান। যদিও তার দোকান সরতে সরতে রাস্তার এক কোণে চলে এসেছে।

    অপেক্ষা রাম মন্দির উদ্বোধনের

    তার দোকানের পুঁজিতে টানও পড়েছে ভীষণ রকম। তবু সে হাসিমুখে অপেক্ষা করছে দেশের প্রধানমন্ত্রী কবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা খুলবেন, কবে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি এই রামলালার মূর্তি স্থাপন করবেন এবং সেই রামলালারা টানে অযোধ্যারে সরযূ নদীর তীরে এসে জমা হবেন হাজার হাজার মানুষ, লাখ লাখ জনতা, যাঁরা সবাই রামের ভক্ত এবং মহাকালের সন্তান। তাঁরা সবাই দু’হাত বাড়িয়ে কিনবেন ঈশ্বরের নাম খোদাই করা জামা। এ সমস্ত কিছুই বিক্রি হওয়ার অর্থ মেহেবুব আলি এবং তার পরিবারের মুখে নিত্যদিনের ভাত-রুটির সংস্থান হওয়া। তাই মেহেবুব আলি হাসিমুখে অপেক্ষা করছে সেই দিনটার জন্য যেদিন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা খুলবে আর মেহবুব তার বিক্রিবাটা আরও একটু বাড়িয়ে তুলতে পারবে রামের নামে। এই ভাবেই অযোধ্যায় হাজারো মেহেবুবের মতো সংখ্যালঘু সন্তানরা অপেক্ষা করে আছেন রাম মন্দিরের উদ্বোধনের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১২টি লিফট, ১৪টি চলমান সিঁড়ি! অয্যোধ্যা স্টেশনও হতে চলেছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান!

    Ram Mandir: ১২টি লিফট, ১৪টি চলমান সিঁড়ি! অয্যোধ্যা স্টেশনও হতে চলেছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অয্যোধ্যা

    ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হবে। কিন্তু অয্যোধ্যা এখন থেকেই উৎসবের মেজাজে। সোমবার অযোধ্যায় পা রাখার পর যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই এটা ভালোরকম মালুম হচ্ছে। বুধবার সকালে গিয়েছিলাম অযোধ্যা স্টেশনে। বোঝা গেল, শুধু রাম মন্দির নয়, স্টেশনও হতে চলেছে এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। স্টেশন চত্বরে কথা হচ্ছিল বছর পঞ্চাশের পাপ্পু যাদবের সঙ্গে। ছোট্ট পানের দোকান তাঁর। বললেন, ‘‘লাইনে কাজ চলার কারণে বিগত এক মাস ধরে অযোধ্যায় কোনও ট্রেন ঢুকছে না। তাই বিক্রি নেই বললেই চলে। তবে জানুয়ারিতে ট্রেন চলাচল পুরোদমে চালু হলে বিক্রি অনেকটাই বাড়বে।” এমনই আশায় বুক বেঁধেছেন স্টেশন চত্বরের আরও অনেক দোকানি। সবাই এক নতুন ভোরের আশায় রাতে ঘুমাতে যাচ্ছেন। পেশায় টোটোচালক বছর ছাব্বিশের যুবক রাজকমল যাদব। তাঁর গলায়ও একই আশার কথা। স্টেশন ঘুরে বোঝা গেল, শুধুমাত্র রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরেই বহু খেটে খাওয়া মানুষের রোজগার এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে চলেছে।

    কেমন হতে চলেছে স্টেশন? (Ram Mandir)

    ৩ হাজার ২৪০ বর্গমিটারের স্টেশন। মন্দিরের (Ram Mandir) আদলে তৈরি স্টেশনে থাকছে সমস্ত রকমের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ১২টি লিফট, ১৪টি চলন্ত সিঁড়ি, ২টি ফুট ওভারব্রিজ, আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন সেন্টার, পুজোর ডালি কেনার জায়গা, শপিং মল-সমস্ত পরিষেবাই মিলবে পর্যটকদের। মন্দির থেকে অযোধ্যা স্টেশনের দূরত্ব খুব বেশি হলে দেড় কিলোমিটার মতো। নতুন ভাবে নির্মাণকাজ চলছে। আসলে এটি ছিল ফৈজাবাদ ক্যান্টনমেন্ট। এই স্টেশনের নতুন নামকরণ হয় অযোধ্যা জংশন। জানা গেল, পুরনো স্টেশন চত্বরকেও আধুনিক সাজে সাজিয়ে ফেলা হবে। ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে এই অযোধ্যা স্টেশন চত্বর।

    বিমান বন্দরের উদ্বোধন ৩০ ডিসেম্বর (Ram Mandir)

    একইরকম ভাবে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার নতুন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। এখন চলছে ফিনিশিং টাচ। সেখানে পৌঁছাতেই বোঝা গেল এই মুহূর্তে নির্মাণকর্মীদের নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। এয়ারপোর্টে ঢোকার রাস্তা সাজিয়ে ফেলা হচ্ছে নিজস্ব স্টাইলে। রাম মন্দিরের আদলে গড়ে উঠছে বিমানবন্দরও। রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে দ্রুত সেই কাজ শেষ করার পথে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। গেটের সামনেই রয়েছে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বন্দরের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলও। সব মিলিয়ে রামের ঘরে ফেরাকে কেন্দ্র করে অযোধ্যা জুড়ে যেন চলছে কর্মযজ্ঞ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah on CAA: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    Amit Shah on CAA: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিএএ নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় এসে বিজেপির দলীয় বৈঠকে শাহের স্পষ্ট বার্তা, সিএএ দেশের আইন, তা কার্যকর হবেই। এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। প্রত্যেকে নাগরিকত্ব পাবে। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব নিয়ে বারংবার ভুল বোঝানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন শাহ। 

    সিএএ প্রসঙ্গে শাহ

    বড়দিনের রাতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু-দিনের সফরে কলকাতা এসেছিলেন শাহ এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এখানে দলীয় নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সারেন তাঁরা। বিজেপি সূত্রে খবর,মঙ্গলবার কলকাতায় দলের আইটি সেলের এক বৈঠকে সিএএ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় নাকি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, “দিদি প্রায়ই আমাদের উদ্বাস্তু ভাইদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করেন। আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই সিএএ হল দেশের আইন। এবং এর বাস্তবায়ন কেউ আটকাতে পারবে না। প্রত্যেকে নাগরিকত্ব পাবেন।” 

    সিএএ প্রসঙ্গে সুকান্ত

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, “সিএএ ভারতের সংবিধান সম্মত আইন। যা ভারতের লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। এটা আইন। সিএএ লাগু হবে। এবং আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি লাগু হবে।” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর প্রথম থেকে বিরোধিতা করে এসেছেন সিএএ-র। সংসদের দু’কক্ষে (রাজ্যসভা ও লোকসভা) এই বিল পাশ হয়েছে ঠিকই, তবে চারবছর পরও রুল তৈরি না হওয়ায় উদ্বাস্তু সমাজের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। তাই দ্রুত এই বিল লাগু করতে চাইছে সরকার।

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    শাহি-বার্তা

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপির তরফ থেকে শাহের বক্তব্যের অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের জন্য কাজ করতে হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। বাংলায় বিজেপি সরকারের অর্থ হবে গরু পাচার রুখে দেওয়া, সিএএ কার্যকর করা।’ মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে শাহ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘দেশের সব রাজ্যে আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু বাংলা এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরির মানে হল হল অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং অনুপ্রবেশকারীদের ‘সিল’ করে দেওয়া।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    ২২ জানুয়ারি তো এখনও ঢের দেরি। নয় নয় করে আরও ২৮ টা দিন। কিন্তু সোমবার অযোধ্যায় (Ram Mandir) পা রাখতেই মনে হল, উৎসব শুরুই হয়ে গেছে। পুণ্যভূমির সর্বত্র শুধু ভগবান শ্রীরামচন্দ্র। দোকানে, বাড়ির দেওয়ালে, এমনকী বাড়ির দরজাতেও। বুঝতে অসুবিধা হল না, গোটা অয্যোধ্যা এখন রামচন্দ্রময়। জলে, স্থলে, আকাশে, বাতাসে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একটাই ধ্বনি, ‘জয় শ্রীরাম’। আগের অযোধ্যার সঙ্গে ফারাকও বিস্তর। ২২ জানুয়ারির সেই শুভ মুহূর্তটা যত এগিয়ে আসছে, কর্মব্যস্ততা ততই বাড়ছে। কারণ, প্রশাসনও জানে, ক’টা দিন পরই গোটা বিশ্ব হয়ে উঠবে অযোধ্যামুখী। তাঁদের আকৃষ্ট করতে প্রশাসনের চেষ্টার খামতি নেই।

    রামের ঘরে ফেরা (Ram Mandir)

    ২৮টা দিন অয্যোধ্যাবাসীর কাছে অবশ্য কিছু নয়। অনেকের সঙ্গে কথা বলেই বোঝা গেল, তাঁদের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে পুরাতন বাড়ি, সব জায়গায় চলছে সংস্কার। আমার মতো অযোধ্যায় পা রেখে যে কারও মনে হতেই পারে, হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে অযোধ্যা (Ram Mandir)। বাড়ির দেওয়াল থেকে পার্ক, সর্বত্রই ছাপ সনাতন সংস্কৃতির। দোকানের দরজাতেও লেখা ‘জয় শ্রীরাম’। দেদার বিক্রি হচ্ছে রামচন্দ্র-হনুমানের ছবি আঁকা গৈরিক পতাকা। এ যেন সত্যিই রামের ঘরে ফেরা।

    ভগবান রাম যেন সবার (Ram Mandir)

    এখানকার মানুষ একটা বিষয় নিয়ে বেজায় খুশি। তা হল, এ শুধু রামের ঘরে ফেরাই নয়, অযোধ্যার (Ram Mandir) অর্থনীতিরও আমূল পরিবর্তন আসছে। রামসীতা-হনুমানের মূর্তি তৈরি করেন জনৈক সন্তোষ শর্মা। তাঁর চোখেমুখে যেন খুশি ঝরে পড়ছে। তাই প্রতিবেদককে অকপটেই বলে দিলেন, ‘‘আগের থেকে বিক্রি বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।’’ রামনগরীতে ঢোকার মুখে দিব্য কুণ্ড জলাশয় বাঁধানোর কাজ চলছে। দেখলাম, সেটাও প্রায় শেষের দিকে। শ্রমিকরা বললেন, ‘‘গত ১ বছর ধরেই চলছে কাজ। আর কয়েক দিনেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’’ প্রশাসনও নিরাপত্তার নিরিখে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তাই পথের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ল পুলিশি ব্যারিকেড। বুঝলাম, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রামনগরী। অযোধ্যার অলি-গলি-তস্য গলি চষে বেড়িয়ে দেখলাম, কমবেশি সব বাড়ির ছাদেই উড়ছে শ্রীরামের ছবি বসানো পতাকা। কোনও ধনী-দরিদ্র ভাগ নেই। ভগবান রাম যেন সবার হয়ে উঠেছেন।

    ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা (Ram Mandir)

    ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে এফিডেফিট দাখিল করে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জানিয়েছিল, রামের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু অযোধ্যার রাস্তাঘাট, পার্ক, জলাশয়, দোকান, বাড়ির ছাদ সবেতেই দেখা যাচ্ছে রামচন্দ্রকে। সন্ধ্যায় পুণ্যতোয়া সরযূ নদীর ধারে ভক্ত সমাগমই বলে দিচ্ছে আধ্যাত্মিক ভূমির (Ram Mandir) মাহাত্ম্য। জানা গেল, এখানে রোজই চলে সরযূ আরতি। চলতি বছরের দীপাবলি থেকে শুরু হয়েছে অযোধ্যায় লেজার শো। গোটা রামায়ণকে লাইট শো-এর মাধ্যমে প্রতিদিন সরযূ আরতির পরে দেখানো হয়। অযোধ্যা কি বদলে গিয়েছে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্ন শুনে সরযূ-আরতি সমিতির সভাপতি মহারাজ শশীরকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে তো কেউই অযোধ্যা আসতেন না। দেশ থেকে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে দেখাও যেত না। কারণ সবাই ভীত ছিলেন কখন ঝামেলা শুরু হয়ে যাবে! তখন অযোধ্যার প্রতি সবাই ছিলেন একেবারেই উদাস। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে, যার অবদান, কৃতিত্ব অবশ্যই নরেন্দ্র মোদির। বদলেছে অযোধ্যা। পাঁচশো বছর পরে নগরী ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: একটা ঘর ১ লক্ষ! রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় হোটেল-হাহাকার

    Ayodhya Ram Mandir: একটা ঘর ১ লক্ষ! রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় হোটেল-হাহাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামমন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় এখন থেকেই মহার্ঘ হোটেলের ঘর। হোটেলের এক-একটি ঘরের ভাড়া এখন আকাশছোঁয়া। 

    ভিআইপিদের সংখ্যাই হাজারে!

    কাশী থেকে অযোধ্যা, সর্বত্র তীর্থযাত্রীরা আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত ট্রেন, বিমানের টিকিট বুকিং করে ফেলেছেন। উল্লেখ্য, সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, একমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিরাই থাকার জায়গা পাবেন। সব মিলিয়ে সংখ্যা হবে আট হাজার। এর মধ্যে ভিআইপিদের সংখ্যা হল এক হাজার। ফলে ভিআইপিদের জায়গা দিতে আদিত্যনাথ প্রশাসন সাধারণের জন্য হোটেলের বুকিং বাতিল করতে নির্দেশ দেওয়ার পর ঘরের জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন যে একটি ঘরের ভাড়া হাঁকা হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। সাধারণ হোটেলের ঘরভাড়া এখন কার্যত পাল্লা দিচ্ছে তাজ-ওবেরয়ের সঙ্গে!

    চড়া হোটেল ভাড়া (Ayodhya Ram Mandir)

    সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে অযোধ্যায় এখন হোটেল ঘরের চাহিদা তুঙ্গে। চাহিদার সঙ্গে ভাড়াও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার সরকারি নির্দেশের পর সেই দর আরও বেড়ে গিয়েছে। কোনও কোনও হোটেলের ঘর ভাড়ার দর ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। এক সময় যে হোটেলগুলির ভাড়া সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে থাকতো, এখন প্রতিদিনের ভাড়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার টাকা। বিভিন্ন হোটেল-বুকিং ওয়েবসাইটে ঘরের মূল্য অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সাধারণ মানের হোটেলেও দৈনিক রুম ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ফলে মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে যে কোনও পাঁচতারা হোটেলকেও হার মানাচ্ছে এই সাধারণ হোটেলগুলির ভাড়া। অনেকেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। 

    তিন থেকে পাঁচ লক্ষ ভক্ত আসবেন

    সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারিতে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধন করা হবে। মন্দিরে প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় সারাদেশ থেকে ৩ থেকে ৫ লক্ষ ভক্ত অযোধ্যায় পৌঁছবেন। তবে সংখ্যার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মন্দিরকে ঘিরে শহরের বেশির ভাগ হোটেল ইতিমধ্যেই বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দিরকে ঘিরে আগামীদিনে পর্যটনের একটি বিরাট ক্ষেত্র নির্মিত হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। ফলে হোটেল এবং পর্যটন ব্যবসার কথা ভেবে বড় বড় সংস্থা, কোম্পানিগুলি বিনিয়োগের কথা ভাবছে বলে জানা গিয়েছে।

    মন্দিরকে ঘিরে তীব্র উন্মাদনা

    মন্দিরকে (Ayodhya Ram Mandir) ঘিরে এখন তীব্র উন্মাদনা চলছে অযোধ্যায়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত সপ্তাহে গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maoist Attack: ঝাড়খণ্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    Maoist Attack: ঝাড়খণ্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা (Maoist Attack)। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের গোইলকেরা এবং মনোহরপুর স্টেশনের মাঝে রেললাইনের বেশ খানিকটা অংশ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা (Maoist Attack)। ঠিক তার পাশের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল একটি মালগাড়ি। মালগাড়ির চালক বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজারকে সতর্ক করে দেন।

    বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারত আপ শালিমার-কুরলা এক্সপ্রেস

    সেই সময়ে ওই ট্র্যাক দিয়ে যাওয়ার কথা আপ শালিমার-কুরলা এক্সপ্রেসের। খুব স্বাভাবিকভাবেই এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হত ওই এক্সপ্রেসকে। খবর পাওয়া মাত্রই গোইলকেরা স্টেশনে শালিমার কুরলা আপ-এক্সপ্রেস কে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি রেলের শীর্ষ আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেলের সুরক্ষা বাহিনী ও রেলের উচ্চপদস্থ পদাধিকারীরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাইশে ডিসেম্বর ভারত বনধ-এর ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা (Maoist Attack)। তার আগেই এমন ঘটনা ঘটল ঠিক ২১ ডিসেম্বরের রাতে। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকেই একটি মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “ভোটের আগে ললিপপ”! চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    কী বলছে প্রশাসন? 

    শুক্রবার এই ঘটনার পরেই বেশ কয়েকটি ট্রেনকে রাতেই অন্যান্য স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। যেমন, মনোহরপুরে পোরবন্দর শালিমার এক্সপ্রেস, জগদলপুর হাওড়া এক্সপ্রেস, গোইলকেরায় শালিমার এলটিটি এক্সপ্রেস, রৌরকেল্লায় পুনে হাওড়া এক্সপ্রেস, চক্রধরপুরে (Maoist Attack) হাওড়া সিএসএমটি এক্সপ্রেসকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। সিংভূমের পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর বলেন, “ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে রেলওয়ে ট্র্যাক মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই ট্রেন পরিষেবা ফের চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মাওবাদীরা ওই এলাকায় ব্যানার এবং পোস্টারও ফেলে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • LPG: রান্নার গ্যাসের বায়োমেট্রিক করাতে কোনও চার্জ দিতে হবে না, জানিয়ে দিল ইন্ডিয়ান অয়েল

    LPG: রান্নার গ্যাসের বায়োমেট্রিক করাতে কোনও চার্জ দিতে হবে না, জানিয়ে দিল ইন্ডিয়ান অয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রান্নার গ্যাসে ‘বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন’ বা আঙুল ছাপ নেওয়ার যে কাজ চলছে, তাতে অনেক সময়ই বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন জায়গা থেকেই অভিযোগ আসছে, গ্রাহকদের নানা ভাবে ভুল বুঝিয়ে কোথাও টাকা নেওয়া হচ্ছে, কোথাও পাইপ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ক’দিন আগেই রাজ্যের এক তৃণমূল মন্ত্রী স্ত্রীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে, তিনি প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন শুধুমাত্র এই বায়োমেট্রিক করার জন্য। গ্রাহকরা এই অবস্থায় পড়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত। তাঁদের এই সঙ্কট নিরসনে এগিয়ে এল ইন্ডিয়ান অয়েল। বৃহস্পতিবার তারা এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল, ইন্ডেন এলপিজি’র (LPG) ডোমেস্টিক গ্রাহকদের আধারের তথ্য পরীক্ষা করে দেখার জন্য ওই আঙুল ছাপ নেওয়ার কাজ চলছে। কিন্তু এই কাজের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনও রকম চার্জ নেওয়া হচ্ছে না। এই সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।

    তাহলে কী করণীয়? (LPG)

    ইন্ডিয়ান অয়েল জানিয়েছে, যদি কোথাও এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যে ওই কাজের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা দাবি করা হচ্ছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। এর জন্য কোম্পানি একটি টোল ফ্রি নম্বরও দিয়েছে। তা হল, ১৮০০২৩৩৩৫৫৫। এর জন্য কোম্পানির (LPG) টিম রয়েছে, যারা সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান করার জন্য তৈরি থাকবে। 

    কী ঘটেছে কৃষ্ণনগরে? (LPG)

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রীর নামে গ্যাসের (LPG) ডিলারশিপ রয়েছে। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী গোটা দেশ জুড়ে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে আধার কার্ডের ভেরিফিকেশন করানোর কাজ। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন গ্যাসের ডিলারের অফিস থেকে এই কেওয়াইসি করার নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। সেই মতো অনেক জায়গাতেই গ্রাহকরা গিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাঁদের আধার সংক্রান্ত কাজ করিয়ে আনছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রী সোমা বিশ্বাস গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে বলা হচ্ছে এখানে কেওয়াইসি করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সোমা বিশ্বাস এবং তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে। মূলত এই অভিযোগ তুলেই একাধিক গ্রাহক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রাহকদের বক্তব্য, কেন ২০০ টাকার বিনিময়ে আমরা কেওয়াইসি করব, যেখানে সরকারি নির্দেশ রয়েছে সম্পন্ন বিনামূল্যে এই কাজ করা যাবে। কৃষ্ণনগরে অন্য গ্যাস অফিসে কোথাও নেওয়া হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: সিবিএসই বোর্ডের ২৫টি স্কুলকে ভুয়ো ঘোষণা করল মণিপুর শিক্ষা দফতর

    Manipur: সিবিএসই বোর্ডের ২৫টি স্কুলকে ভুয়ো ঘোষণা করল মণিপুর শিক্ষা দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) ২৫টি সিবিএসই স্কুলকে ভুয়ো বলে ঘোষণা করা করল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। গত ৩ মে গোষ্ঠী সংঘর্ষ যখন চলছিল সেই সময় চুরাচাঁদপুর এবং কাংপোকপি জেলায় বেশ কিছু স্কুলে কুকি জঙ্গিদের কার্যকলাপ সক্রিয় ছিল বলে জনা গিয়েছে। এই সব স্কুলগুলি সিবিএসই বোর্ড পরিচালিত বলে খবর। উল্লেখ্য কুকি সমাজের এক ব্যক্তি গত ১৪ ডিসেম্বর একাটি সামজিক মাধ্যমে জানিয়ে ছিলেন, চুরাচাঁদপুরে ২০ এবং কাংপোকপিতে ১৬ টি স্কুলের অনুমোদন ছিল। উল্লেখ্য যখন হিংসার আবহ চলছিল সেই সময়ে কিভবে সিবিএসই-র অনুমোদন পেয়েছিল তাই এখন বড় প্রশ্ন।

    মণিপুর শিক্ষা দফতরের বক্তব্য (Manipur)

    প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে মণিপুরের শিক্ষা দফতরের সহকারী সেক্রেটারি অঞ্জলি চংথাম বলেন, “২০২৩ সালে চুরাচাঁদপুর এবং কাংপোকপি জেলায় রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কোনও রকম অনুমোদন দেওয়া হয়নি, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) পরিচালিত এই স্কুলগুলিকে। সেই সঙ্গে নো অবজেকশেনের কোনও রকম শংসাপত্র দেওয়া হয়নি।” উল্লেখ্য এই বছরের ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিএসই স্কুলের অটোমেশন সিস্টেম অনুসারে দেশে মোট ২৮৯৪২ টির মধ্যে ১০৭ টি এই মণিপুর রাজ্যে অনুমোদিত হয়েছে। ফলে সবটা পরিকল্পনা কিনা তাও সন্দেহ করা হচ্ছে। 

    শিক্ষামন্ত্রী অনুসন্ধান করতে দিল্লি গিয়েছেন

    মণিপুরের (Manipur) শিক্ষামন্ত্রী বসন্ত সিংহ এবং রাজ্যের শিক্ষা কমিশনার জ্ঞান প্রকাশ ইতিমধ্যে দিল্লিতে গিয়েছিলেন ভুয়ো স্কুলের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে। সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিএসই মাত্র সাত দিনেই ২৫টি স্কুলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য এখনও স্কুলের নাম এখনও ওয়েবসাইটে পাওয়া গিয়েছে। অনুমোদনের প্রক্রিয়াকে একপ্রকার কারসাজি হিসবে দেখেছে মণিপুরের শিক্ষা দফতর। ফলে কীভবে দিল্লি থেকে এই ধরনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    হিংসার মধ্যে এই স্কুলের কিছু ভূমিকা রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অবশ্য সাধারণ মানুষের আরও বলে থাকে গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময় জঙ্গি মদতপুষ্ট কুকিরা যদি এয়ার লাইসেন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারে তাহলে সিবিএসই স্কুলের অনুমোদ বিষয়ে কারচুপি করাও খুব একটা কঠিন কিছু হবেনা। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসের মণিপুরের হিংসায় ২০০ জনের বেশি মানুষের হত্যা হয়েছে। ২০০০ জনের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IAF Pilot: মোদির ভারতে এও এক অভিমন্যুর গল্প, শুনবেন?

    IAF Pilot: মোদির ভারতে এও এক অভিমন্যুর গল্প, শুনবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নাম অভিমন্যু। মহাভারতের চরিত্র। অর্জুন-পুত্র অভিমন্যু। আজ আমরা জানব মহান ভারতের আর এক অভিমন্যুর (IAF Pilot) কথা। যিনি একটা গ্রাম বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বলি দিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বছর তেত্রিশের এই পাইলটের বাড়ি দেরাদুনে।

    অভিমন্যুর গল্প

    হায়দরাবাদে এয়ারফোর্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে উড়িয়েছিলেন জেট বিমান। ওড়ানোর পরে পরেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় বিমানে। বিপদ বুঝে বিমানটিকে উড়িয়ে নিয়ে যান একটি ফাঁকা জায়গায়। কারণ পড়শি গ্রামে বিমান ভেঙে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। সেই কারণেই বিমানটি উড়িয়ে নিয়ে তিনি যান ফাঁকা জায়গায়। সেখানেই গোত্তা খেয়ে পড়ে বিমান। দাউ দাউ করে জ্বলে যায় আস্ত বিমান। পুড়ে খাক হয়ে যায় স্কোয়াড্রন লিডারের শরীর (IAF Pilot)। অভিমন্যু রাইয়ের স্ত্রীও এয়ারফোর্সে কর্মরত। তাঁরও পোস্টিং হায়দরাবাদে। তিনি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত। নাম অক্ষয়িতা রাই।

    অভিমন্যুর পরিবার মিলিটারিতে

    অভিমন্যুর পুরো পরিবারই জড়িয়ে রয়েছে মিলিটারির পরতে পরতে। তাঁর বাবা ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের গ্রুপ ক্যাপ্টেন ছিলেন। তাঁর শ্বশুর ইন্ডিয়ান নেভির ভাইস অ্যাডমিরাল। অভিমন্যুর বৃহত্তর পরিবারের প্রায় ৪০ জনই মিলিটারির সঙ্গে যুক্ত। কেউ চাকরি করছেন এখনও। কেউ আবার অবসরপ্রাপ্ত। তাঁরাই অভিমন্যুর সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছেন তাঁর নায়কোচিত কাজের কথা। কীভাবে পড়শি গ্রামের বাসিন্দাদের বাঁচাতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছিলেন অভিমন্যু। কীভাবে নিরীহ গ্রামবাসীদের বাঁচাতে নিজের জীবন বলি দিয়েছেন এই ভারতের অভিমন্যু। বিমান বাহিনীতে সবে ন’ বছর হয়েছে অভিমন্যুর। তাঁর বাবা অমিতাভ রাই শোনাচ্ছিলেন কীভাবে অভিমন্যু বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। কীভাবে বিভিন্ন ধরনের একের পর এক বিমান ওড়ানো শিখেছিলেন তাঁর ছেলে।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    তিনিই জানান, অভিমন্যু সব মিলিয়ে ছ’ ধরনের বিমান চালাতে পারতেন। এটা সহজ কথা নয়। অমায়িক ব্যবহার ও ভালো ব্যবহারের জন্য সহকর্মী ও জুনিয়রদের কাছেও ভালোবাসার পাত্র ছিলেন অভিমন্যু। অভিমন্যুর মা বলেন, “জীবন বাঁচাতে অভিমন্যু লাফ দিয়ে পালাতে পারত। কিন্তু গ্রামবাসীদের বাঁচাতে তিনি তা করেননি। মহাভারতের অভিমন্যুর মতোই নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা আমার ছেলে করেনি।” তিনি বলেন, “আমার ছেলে জুনিয়রদের বলত, জীবন অনিশ্চিত। তাই যতদিন বাঁচ, ঠিকঠাক করেই বাঁচ (IAF Pilot)।”

    মোদির ভারতে এও এক অভিমন্যুর গল্প!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

LinkedIn
Share